♥ Love At 1st Sight ♥
~~~Season 3~~~
Part – 2
Writter : Jubaida Sobti
হঠাৎ করে গান গাওয়া বন্ধ করে রাহুল দাঁড়িয়ে পড়ে,
আসিফ : What happen রাহুল?…
রাহুল : She is here…?
আসিফ : আরে আগে গান তো কমপ্লিট কর!
রাহুল : [ কিছুই বললো না জাষ্ট একটা তেডি স্মাইল দিয়ে দু-হাত কোমোড়ে রেখে দাঁড়িয়ে আছে ]
আসিফ : হেই রাহুল তুই পালাচ্ছিস নাকি??
[ রাহুল গিটারটা আসিফের হাতে ছুড়ে দিয়ে ইয়েস্ বলে দৌড় দেই…আর আসিফ পেছন থেকে চিল্লাতে থাকে… ]
চারদিক খুজছে রাহুল, [ মনেমনে ] আরে গেলো কই…এক্ষুণিই তো দেখলাম… দু-তলা থেকে তিন তলায় উঠলো…
হঠাৎ লাইব্রেরীর দিকে চোখ যেতেই দেখে.. স্নেহা লাইব্রেরীতেই ঢুকছে…রাহুল ও আর দেরী না করে ধীরেধীরে লাইব্রেরীর দিকেই এগুতে লাগলো…. লাইব্রেরীর ভেতরে পা দিতেই রাহুলের বুকটা ধুপ করে উঠলো..
তিন-বছরে এই 2nd টাইম লাইব্রেরীতে পা দিচ্ছে, সবাই তো লাইব্রেরীতে…নেশাখোর এর মতো বই পড়ে…কিন্তু নেশা ছুটিয়ে সবাই রাহুলের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে…রাহুল সবাইকে ইশারায় হায় দিলো… কিন্তু সবাই এতোটাই অবাক যে, কেউ আর হ্যালো ব্যাক করলো না….
রাহুল : [ মনে মনে ] এইভাবে শুভদৃষ্টিতে তাকিয়ে হায় বললে..রিপ্লে এমনই আসবে…
[ একটা বড় শাস ফেলে…ঘাড় ত্যাড়া করে এংড়ি মুড নিয়ে তাকালো…সাথে সাথে সবাই আবার বই পড়তে ব্যাস্ত…এমনিতেই রাহুল জানে লাইব্রেরিতে…হাবলা স্টুডেন্ট গুলাই থাকে সবসময়… আর কিছু না ভেবে স্নেহাকে খুজতে লাগলো….লাইব্রেরীর দু-তলায় উঠে দেখে…মুচকি হেসে হেসে…ভাজে ভাজে বই দেখছে… আহ! বই গুলোকেও এমন ভাবে ছুইছে যেন তারা ও প্রেমে পড়ে যাবে এই ছোয়ার ]
রাহুল : [ স্নেহার পাশে গিয়ে,] বই কি বেশী ভালো লাগে?…
স্নেহা : ইয়েস্ আই লাভ বুকস্!
রাহুল : [ মুখ ভেংগিয়ে ] ওহ! ইউ লাভ বুকস্, বাট আই হেট বুকস্! ডিফারেন্ট তাই না?…
স্নেহা : [ শখড হয়ে বই হাত থেকে ফেলে দিয়ে তাড়াতাড়ি পাশ ফিরে তাকালো ]
[ Rahul give a tedi smile ? ]
স্নেহা : আ- আ…আপনি!?
রাহুল : [ বইটা তুলে সেল্ফে রেখে স্নেহার দিকে তাকিয়ে ] ইয়েস্ মি!
স্নেহা কিছু না বলে দৌড়ে চলে যাচ্ছিলো…অমনিই রাহুল স্নেহার হাত ধরে টান দিয়ে টেনে সেল্ফের সাথে দাড় করাই….
[স্নেহার চোখে মুখে…ভয় দেখে রাহুল আবারো তেডি স্মাইল দিতে থাকে…?স্নেহা নিচের দিক তাকিয়ে…রাহুল স্নেহার দিক?]
রাহুল : লাইফে কোনো মেয়ের জন্য এতোটা দৌড়াইনি বুঝলে! ভার্সেটি উঠার পর ২য় বারই পা রাখলাম এই লাইব্রেরীতে… because of you!
স্নেহা : [ কাপা কণ্ঠে ] দে–দেখেন…আপনি আমাকে…যেরকম মেয়ে ভাবছেন আসলে আমি তেমন না!
[ স্নেহার কথা শুনে রাহুল হাসতে থাকে স্নেহা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো ]
রাহুল : [ হেসে হেসে ] এটা লাইব্রেরী তাই গলা ফাটিয়ে হাসতে পারলাম না সরি!…আর যেরকম মেয়ে মানে…কিরকম?.. বলোতো?..
স্নেহা : দেখেন আমার যেতে হবে… আমার ফ্রেন্ডসরা আমাকে খুজতে আসবে…
আর ওরা কেউ যদি আমাকে আপনার সাথে এভাবে দেখে…তাহলে ওরা অনেক কষ্ট পাবে?
[এবার রাহুল আরো হাসতে থাকে,, এবং স্নেহার ঘাড়ের পাশে সেল্ফের উপর হাত রেখে দাঁড়ায়… স্নেহা ভয়ে আরো কাঁপতে থাকে…বার বার চশমা ঠিক করতে থাকে… ]
রাহুল : সিরিয়াসলি ? Funny ছিলো! ঠিকাছে…আমার কিছু প্রশ্নের জবাব দিবে তারপর আমি ছেড়ে দিবো ওকে?..
স্নেহা : [ কিছুক্ষণ ভেবে ] মাথা নাড়ালো…
[ রাহুলও তেডি স্মাইল দিয়ে মাথা নাড়ালো ?… রাহুল প্রশ্ন করার জন্য মুখটা স্নেহার সামনে এনে..প্রশ্ন করতেই যাচ্ছিলো…]
স্নেহা : [ তাড়াতাড়ি চোখ বন্ধ করে কপাল কুচকে ] প্লিজ আরেকটু দূরে সরে দাঁড়ান… তা-..তারপর বলেন!
রাহুল : দূরে তো আমি সরবো না…কন্ডিশন যেটা হয়েছে…জাষ্ট ওটাই ফলো করবা! [ রাহুল হুট করে স্নেহার চোখ থেকে চশমাটা খুলে ফেলে! ]
স্নেহা : আরেহ!?
রাহুল : [ স্নেহার মুখের সামনে হাত তুলে ] বলোতো কয়টা ফিংগার এইখানে?..?
[ স্নেহা সাইলেন্ট হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো আর মুখ দিয়ে বীরবীর করতে থাকে ]
রাহুল : হেই! জবাব না দিলে কিন্তু আমিও ছাড়ছি না! তারপর তোমার ফ্রেন্ডসরা এসে দেখবে ওরা তো আবার তোমাকে আমার সাথে এভাবে দেখলে অনেক কষ্ট পাবে…[ বলেই রাহুল হাসতে থাকে ] ওকে বলো কয়টা ফিংগার?..
স্নেহা : পাঁচটা…
রাহুল : বেড়ী গুড! নাম??
স্নেহা : স্নেহা!?
রাহুল : নাইস্ ? [ with tedi smile? ] আচ্ছা কোন ইয়ার?…
স্নেহা : ফার্ষ্ট ইয়ার?…
রাহুল : কোন সাবজেক্ট?.. ?
স্নেহা : ম্যা –ম্যাথম্যাটিকস ?
রাহুল : ? ওয়াও ব্রিলিয়ান্ট.. ! মুখটা এভাবে বানিয়ে রেখেছো কেনো?…আমি কি দেখতে ভুতুড়ে?.. স্মাইল করো…
[ স্নেহা ভয় পেয়ে নিচের দিক তাকিয়েই থাকে ]
রাহুল : I say smile please ?
[ স্নেহার হাসি পাচ্ছিলো না বরং চিৎকার করে কাঁদতে মন চাচ্ছিলো…কিন্তু কি করার রেহাই পাওয়ার জন্য…ঠোটের কোণে মুখ চাপা হাসি দিলো.. ]
রাহুল : ?হেইই কিউট! [ with tedi smile? ]
স্নেহা : আমার চশমা ??…
রাহুল : ও…ইয়াহ ওয়েট [ রাহুল স্নেহার চশমাটা তার পকেটে ঢুকিয়ে…টি-শার্টে লাগানো সানগ্লাসটা স্নেহাকে পড়িয়ে দিলো ]
স্নেহা : এটা কি করছেন?…
রাহুল : তোমার চশমা চাই?..ওকে কাল সেইম টাইম এইখানে এসে নিয়ে যেও!
স্নেহা : কিন্তু এটাতো ঠিক না! আমি কেনো আসবো… কাল আবার?…
রাহুল : [ তেডি স্মাইল দিয়ে পেছাতে লাগলো ] যদি চশমা চাই…তাহলে আসবা… আর নাহলে ভুলে যাও..এটা তোমার চশমা! আর হ্যা…এভাবে স্মাইল করবা ওকে…[ চোখ মেরে ?] সুট করে তোমাকে…[ বলেই রাহুল চলে গেলো ]
স্নেহা চোখ থেকে সানগ্লাসটা খুলে…ব্যাগে ভরে নেই…বুঝতে পারছে না কি করবে…আর কিছু না ভেবে বেরিয়ে পরলো লাইব্রেরী থেকে….
মার্জান : [ স্নেহার হাত ধরে ] স্নেহা… আমাকে কি একদিনে শুকিয়ে ছাড়বি?…কি ব্যাপার কোথায় গিয়েছিলি বলতো…পুরো ভার্সেটি ছান মারলাম..
স্নেহা : ফোন করতে পারতি…?
মার্জান : হ্যা চেয়েছিলাম… বাট ব্যাটারি লো ছিলো.! আচ্ছা বাদ দে…চল পার্কিং এর দিক বাকিরা ঐখানে অপেক্ষা করছে…আমি তো ভাবলাম তুই চলেই গেলি!
স্নেহা মার্জানের সাথে সাথে পার্কিং এর দিক গেলো …দেখে শায়লা আর জারিফা ছোট একটি গাছের চৌকাটে বসে আছে…স্নেহা আর মার্জান ও গিয়ে বসে…
স্নেহা : [ ব্যাগ থেকে পানির বোতোল বের করে মার্জানকে দিয়ে ] সরি মার্জান…
মার্জান : হা-হা It’s Ok Between no need sorry!
জারিফা : স্নেহা! আমার বাচ্চা! কোথায় গিয়েছিলি বলতো?…
স্নেহা : কোথায় আবার যেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছিলি ঐখানেই ছিলাম…হঠাৎ লাইব্রেরীর দিকে চোখ পড়ে?
জারিফা : আর তুই বই পড়তে ঢুকে পড়লি…হে আল্লাহ…সব মেধা এই মেয়েকে কেনো দিলা…কিছু তো আমাদের ও শেয়ার করতা…
শায়লা : এক মিনিট! স্নেহা without
চশমা ??…
জারিফা : আরে হ্যা তো..?
স্নেহা কি বলবে বুঝতে পারছে না…সবাই যেভাবে চোখ বড় করে করে চেয়ে আছে যেন এক্ষুনি তাকে গোটা গিলে খেয়ে ফেলবে….
মার্জান : [ স্নেহাকে নাড়িয়ে দিয়ে ] স্নেহা? কোথায় হারিয়ে গেলি?…
স্নেহা : কই না তো…
মার্জান : চশমা কই? ঝড় হোক থুফান হোক তোকে তো চশমা ছাড়া পাওয়া যায় না…
স্নেহা : ব্যাগ! ব্যাগে আছে…আসলে আমি ট্রাই করছি… চশমা ছাড়া ও…চলতে পারি কিনা…
জারিফা : ওহ! গুড জব অল দা বেষ্ট!
শায়লা : স্নেহা তুই না…চশমাই পড়ে থাক!.. চশমা ছাড়া থাকলে তখন আবার ছেলেরা তোর পেছন লাইন মারবে..হাহাহা…
জারিফা : আরে আরে ঐ দিকটা দেখ Boys group coming ?
মার্জান : হ্যা হ্যা যা! তুই ও ওদের সাথে জয়েন কর…?
জারিফা : আজ আমায় দেখতে কেমন লাগছে বলতো?…?
মার্জান : Nothing special হি-হি প্রতিদিন যেমন লাগে তেমনি! হুহ!
জারিফা : ইয়ার! ?রাহুল আমার দিকে তাকিয়ে আছে… [ সাথে সাথে সবাই অবাক হয়ে ঐদিকটা তাকালো স্নেহা ও কোণা চোখে তাকালো…স্নেহা তাকানোর সাথে সাথে রাহুল তেডি স্মাইল দিতে লাগলো ? স্নেহা চোখ সরিয়ে ফেললো তাড়াতাড়ি…. ]
জারিফা : See guys! he gives tedi smile?
শায়লা : এক মিনিট! আমার মনে হচ্ছে ও তোর দিক না!… উমম! স্নেহার দিক তাকিয়ে আছে…
এইবার সবাই স্নেহার দিক তাকালে,
স্নেহা : আ–আমার দিক কেনো তাকাবে,তোর হয়তো ভূল হচ্ছে…ও জারিফার দিকেই তাকিয়ে আছে…
জারিফা : ইয়াহ! স্নেহা ইউ আর রাইট..থেংক ইউ?
মার্জান : বদমাইশ একটা…
স্নেহা : [ কৌতুহলি ভাবে ] কে?…
মার্জান : কে আবার?…মিষ্টার রাহুল! ভার্সেটিতে পড়তে আসে না….গুন্ডা মাস্তানগিরি করতে আসে… বাপের আছে টাকা…তাই ইচ্ছা মতো উড়াই.. আর মেয়েদের পেছনে খরচ করে…ক্লাস পার্টি হ্যাংগাউট, ব্যাচেলর পার্টি এগুলাই ওর কাজ…আর এই গিটার থাক এটা নিয়ে ব্যাড কমেন্ট করবো না এটা ও ভালোই বাজায়…শুধু ও একাই না…ওর পুরো গ্যাংগটাই এমন! আগে পিছে সবগুলাই ওর চামচা! ফার্ষ্ট ইয়ার, সেকেন্ড ইয়ার, থার্ড ইয়ার..সব! ও হ্যা হ্যা আমাদের গ্রুপ এ ও একটা আছে.. নাম বললে…চাকরী থাকবে না..হুহ!
জারিফা : ব্যাস মার্জান ব্যাস! তুই তো রাহুলকে নিয়ে একটা পুরো কম্পোজিশন বলে ফেলেছিস… আর আমি ওর চামচা কেনো হবো… হ্যা এটা বলতে পারিস আমি ওর ফ্যান?আর মনে আছে যখন ঐদিন ঐ ঢঙীটা কি যেন নাম?…ও হ্যা নেহা! ওর সাথে রাগ দেখিয়ে বুম~~বুম করে বাইক চালিয়ে চলে যাচ্ছিলো…ওয়াও কি না লাগছিলো…আমি তো পুরাই ক্রাশ খেয়ে ফেলেছিলাম..
মার্জান : হ্যা সারাদিন…গার্লস্ ,পার্টি, ড্রিঙ্কস এগুলো নিয়ে পরে থাকায়…রাহুল ফার্ষ্ট প্রাইজ পেয়েছে…তাই ওর ফ্যান এর ও কম নেই…ক্রাশ খাওয়ার মানুষর ও অভাব নেই!?
শায়লা : বাই দ্যা ওয়ে, কিছু তো ভালো গুণ আছে…তাই না! ঐদিন দেখিস নি?…ওদের ক্লাসের একটা মেয়েকে…একটা ছেলে ইপটিজিং করতে ছিলো আর রাহুল কি না…কেলিয়ে দিলো…
জারিফা : ইয়েস! ইয়েস! ঐদিনের ফাইট দেখে তো আমি ওর বিগ ফ্যান হয়ে গেছিলাম?
মার্জান : আচ্ছা?… তাই ফার্ষ্ট ইয়ারদের র্যাগিং করে তাই না..?.আমার তো জান বের হয়ে যাচ্ছে…কখন আমাদের ডাক দেই র্যাগিং এর জন্য! তারপর ওদের ইচ্ছামত একটা শিক্ষা দিবো… র্যাগিং কাকে বলে কত প্রকার সব ওদের শিখিয়ে দিবো…
জারিফা : Listen! রাহুল তো আর করে না…হ্যা ওর গ্যাংগ এর বাকি লিডাররা করে আমি মানছি!
মার্জান : তুই চুপ কর! রাহুলের চামচী! বাকিরা করে…রাহুল এতো ভালো হলে ও বাকিদের নিষেধ করে না কেনো?…
শায়লা : গার্লস! ? আমার না অনেক ভয় করছে এই র্যাগিং এর কথা শুনলে!…একবার ওদের গ্যাংগ এর দিক তাকা…আমাদের দিক কিন্তু বার বার তাকাচ্ছে…অলরেডি রাহুল তো ২০/২৫বার তাকিয়ে ফেলেছে…?
জারিফা : আমার দিকেই তাকাচ্ছিলো হয়তো?
মার্জান : এই চুপ! এতো ভয় পাচ্ছিস কেনো…কিছুই হবে না…
চল আমরা এইখান থেকে উঠে যায় তাহলে আর তাকাবে না…বদমাইশটা…
[ স্নেহা একবার তাকিয়ে দেখলো রাহুল গাড়ির দরজা খোলা রেখে সিটে বসে আছে আর স্মোক করছে এবং কিছুক্ষণ পর পর তাকাচ্ছে ]
জারিফা : আরে উঠছিস কেনো…তাকাক না…ভালোই তো লাগছে…?
মার্জান : ভালো লাগলে তুই বসে থাক আমরা যায়!..
জারিফা : আরে আরে দাড়া যাবো না বলেছি নাকি..
[ সবাই একসাথে হেটে চলেই যাচ্ছিলো ]
হঠাৎ, পেছন থেকে আওয়াজ আসলো…
– এই যে গার্লস গ্রুপ! দাঁড়ান! [ সবাই দাঁড়িয়ে পড়লো ]
শায়লা : [ মার্জানের কানে ভয়ে ভয়ে] আরে বাপরে!
মার্জান : চুপ কর! তুই এতো ভয় পাচ্ছিস কেনো?..
জারিফা : জি! আমাকে ডাকছেন!?
রিদোওয়ান [ রাহুলের গ্যাংগ এর সবচেয়ে বড় চ্যাছরা একটা.. ছেলে…মেল-ফিমেল কোনটাই দেখবে না..র্যাগিং এর সময় যা ইচ্ছা তাই করাবে ] : No! Everyone Come!
সবাই একটু এগিয়ে দাঁড়ালো…
রাহুল স্নেহার দিক তাকালে,স্নেহা হিমসিম খেয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে ফেলে,
রিদোয়ান : ফার্ষ্ট ইয়ার?..
জারিফা : জি!?
রিদোয়ান : ওহ! So দেখো আমার না এখন আইটেম সং দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে!? কি করার টিভি তো বাসায়…বাট আমার এক্ষুণি দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে… [ রিদোয়ান এর কথা শুনে গ্রুপের সবাই হেসে উঠে আর রাহুল কপাল কুচকে স্নেহার দিকেই তাকিয়েই আছে ]
জারিফা : [ শকড?]
মার্জান : টিভি নেই তো কি হয়েছে?..মোবাইল তো আছে..নেট অন করুণ আইটেম সং সার্চ করুন যেটা ইচ্ছে ওটা দেখুন…ও ওহ! মোবাইলে যদি চার্জ না থাকে তাহলে আমার কাছে পাওয়ার-ব্যাংক আছে ওটা ইউস্ করতে পারবেন!
আসিফ : হা-হা হাউ ব্রিলিয়ান্ট!
রিদোয়ান : হ্যা তা তো বটেই!..কিন্তু আমার না লাইভ দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে!?
জারিফা : কিন্তু আমি তো নাচ পারিনা! নাচতো আমরা মাঝে মাঝে স্নেহা থেকে শিখি [ রাহুল অবাক হয়ে স্নেহার দিক তাকালো আর [ মনে মনে বলতে থাকে ]ওয়াও ডান্স ও পারে,হুমম!
আর, মার্জান জোড়ে একটা চিমটি দিলো জারিফাকে? ] না না…মানে আমরা কেউই নাচ পারিনা! আসলে….তবে আমি..মডেলিং ওয়াক পারি?
রিদোয়ান : তাই?…তাহলে ওটাই দেখিয়ে দাও!
মার্জান : [ জারিফার কানে ] বেশি পণ্ডিত হলে এমনই হয়..যা এবার মডেলিং করে দেখা..?
রিদোয়ান : কামঅন! হারিআপ…
জারিফা ধীরেধীরে এগিয়ে মডেলিং করে হাটতে লাগলো গ্রুপের সবাই হাসতে লাগলো… আর শিষ বাজাতে লাগলো আশেপাশে অনেকই তাকিয়ে দেখছে!
[ রাহুল স্নেহার দিক চেয়ে আছে স্নেহার চেহারা দেখে…বুঝতে পারলো স্নেহা ভয়ে ভেতরে মরে যাচ্ছে… আর ওর ফ্রেন্ডসকে দিয়ে যা করানো হচ্ছে তা তার মোটেও ভালো লাগছে না ]
[ জারিফার ওয়াক শেষ হলে সবাই হেসে তালি দেই]
জারিফা : থেংক ইউ থেংক ইউ? [ জারিফার কান্ড দেখে মার্জান রাগে ফুলতে থাকে ]
রিদোয়ান : ওকে নেক্সট! ইউ…লং হেয়ার!
মার্জান : [ স্নেহার হাত ধরে ফেলে ] নো স্নেহা নট গো!? দাঁড়িয়ে থাক!
রিদোয়ান : [ চেঁচিয়ে ]? কি হলো কানে শুনতে পাওনা?…
[ স্নেহা কেপে উঠে তাড়াতাড়ি সামনে এগিয়ে এসে দাঁড়ায়…]
রিদোয়ান : গুড গার্ল! দেখে তো অনেকটা ইন্নোসেন্ট মনে হচ্ছে… নাম কি?…
স্নেহা : স্নে…স্নেহা!?
রিদোয়ান : ওহ! তো তুমিই ডান্স শিখাও ওদের?
স্নেহা : [ কিছু না বলে মাথা নিচু করে থাকে ]
রিদোয়ান : এনিওয়ে! তেমন কঠিন কিছু না…জাষ্ট সিম্পল একটা কাজ করবা!… [ বলেই স্নেহার দিক একটা জলানো সিগারেট এগিয়ে দিলো ]
স্নেহা : আ–আমি আসলে স্মোক করি না!
মার্জান : আরে পাগল নাকি আপনি?…নিজে তো করেন করেন..যারা করে না তাদের ও জোড় করে করাবেন নাকি?…ওকে দেখে কি আপনার স্মোকার মনে হয়?..?
আসিফ : বাট আমি কিন্তু অনেক মেয়েদের করতে দেখি..
মার্জান : ইউ আর রাইট! যে যেমন সে তেমন ক্যারেকটারদেরই দেখবে..
আসিফ : ওকেই [ বলে অন্যদিক ফিরে গেলো ]
রিদোয়ান : তোমার চাপ্টার তো পরে আসছে জাষ্ট ওয়েট! আগে ওরটা ক্লোজ করেনি! So ইউ মিস্ স্নেহা..হারি-আপ…
স্নেহা : আসলে স্মোক করা শরীরের জন্য অনেকটাই ক্ষতিকারক! এতে ক্যান্সার হতে পারে! এবং আমরা যে শাস নিচ্ছি ফুসফুসের মাধ্যমে ওটা ব্লাষ্ট হয়ে যায়!
রিদোয়ান : ওয়াও মাষ্টারপিস্ ? [ সবাই হেসে উঠে… ] এক্সকিউজমি আমি সাইন্টিস্ট এডভাইস্ চাইনি…যেটা বলা হয়েছে ওটাই করো!
মার্জান : [ স্নেহার কানে কানে ] স্নেহা হাত ও লাগাবি না এটাই দাঁড়িয়ে থাক… দেখবি কিছুই করতে পারবে না!
জারিফা : [ স্নেহার আরেক কানে ] কিন্তু ঐদিন দেখিসনি…একটা মেয়ে করতে চায়নি তাই ওর নামে ওয়াসরুমে কি লিখেছিলো ছি!
রিদোয়ান : এই ওর কানে কানে কি বলছো?..পেছনে যাও…আর তুমি ধরো নাও…টান দাও!
[ স্নেহা কাপা কাপা হাতে সিগারেট ধরতে যাচ্ছে! ]
রিদোয়ান : কিভাবে খায় জানো তো?…[বলেই সিগারেটটা একটান দেই আর ধোয়া গুলো স্নেহার সামনে ছাড়ে… স্নেহা মুখ চেপে কাশতে থাকে..] ?খাওয়ার আগেই কাশলে কেমনি চলবে?…একটিং কম করে?চুপচাপ যেটা বলা হয়েছে সেটাই করো…নাও টান দাও।
স্নেহা সিগারেট হাতে নিলো.. মুখের সামনে নেওয়ার আগেই সিগারেট দেখে কাশছে…? চোখে পানি জমে টলমল করছে স্নেহার…
মুখ দিতে যাবে সিগারেটে ঠিক ঐসময় রাহুল উঠে এসে স্নেহার হাত থেকে সিগারেটটা কেড়ে নিয়ে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে ঘষে দেই!
স্নেহা অবাক হয়ে রাহুলের দিক তাকায়!
বাকিরা ও অবাক না হয়ে নয়! সবাই হা করে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক!
রাহুল : [ রেগে ] Stop it! guys! she is not addicted!
জারিফা : [ স্নেহার কানে এসে ] ওয়াহ! কি এন্ট্রি ছিলোরে দোস্ত!?
সবাই এখনো হা করে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক ?
রাহুল : [ সবার দিক তাকিয়ে ] Whatever! [ স্নেহার দিক তাকিয়ে হাত দিয়ে ইশারা করছে যাতে চলে যায় স্নেহা তো শকড হয়ে এখনো তাকিয়েই আছে? ] Go না..?
মার্জান স্নেহার হাত ধরে টেনে নিয়ে চলে যাচ্ছে বাকিরা ও পিছে পিছে!
জারিফা : থেংক্স ?রা~~হু~~ল?
রাহুল : [ তেডি স্মাইল ?]
জারিফা : বাই?!
রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] আচ্ছা শোনো!
[ স্নেহা ফিরে তাকালে বাকিরা ও তাকায় ]
রাহুল : পকেটে হাত দিয়ে আরে আমার সানগ্লাসটা কই?..এই আসিফ তুই দেখেছিস?..
[আসিফ হা করে দেখে আছে রাহুলের দিক ?] উফ! সানগ্লাসটা কোথায় রাখলাম…?
শোন আসিফ আমার সানগ্লাসটা কালকের মধ্যেই চাই বুঝেছিস?..[স্নেহার দিক তাকিয়ে ]মনে থাকে যেন… [ with tedi smile ?]
[ স্নেহা হালকা করে একটু হাসলে তা কেউ বুঝতে পারলো না….তবে যার বুঝার সে বুঝে নিলো? ]
চলবে…