হৃদয়ে তুমি পর্ব-০৮

0
1273

#হৃদয়ে_তুমি
লেখনীতে:Waziha Zainab (নিহা)
অষ্টম পর্ব (রহস্যভেদ)

আমি উনি আর মিহির ভাইয়া একটা রেস্টুরেন্টে বসে আছি।কারো মুখে কোনো শব্দ নেই।কিছুক্ষণ পর নিরবতা ভেঙে মিহির ভাইয়া বললেন
“কিরে দোস্ত কিছু বলছিস না কেনো এনি প্রব্লেম?আর আজকে তুই এতো নিস্তব্ধ কেনো
এবার উনি মিহিরে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললেন
” আমি তোর কি হই?
মিহির ভাইয়া অবাক চোখে অনেক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললেন
“তুই তো আমার কলিজার টুকরা জানে জিগার দোস্ত।এক কথায় তুই আমার সব।আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড
এবার উনি রহস্যময় হাসি দিয়ে বললেন
” বেষ্ট শব্দটা তোর মুখে মানায় না রে দোস্ত
মিহির ভাইয়া সরু চোখে তাকিয়ে বললেন মানে?
এবার উনি আমাকে বললেন
“নিহা আসল ছবি টা আমাকে দাও তো
উনি বলার সাথে সাথেই আমি ব্যাগে হাত দিয়ে মিহির ভাইয়ার আর বের করে উনার হাতে ধরিয়ে দিলাম।উনি ছবিটা মিহির ভাইয়ার সামনে ধরে জিজ্ঞাসা করলেন
” দেখতো মিহির ছবিটা চিনিস কি না
মিহির ভাইয়া তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ ছবিটার দিকে তাকিয়ে বললেন
“হ্যা চিনবো না কেনো” এটা তো আমার আর রাত্রির বিয়ের ছবি
এবার উনি বললেন
“হ্যা তোদেরই বিয়ের ছবি কিন্তু কথা তো এইটা না কথা হচ্ছে তুই রাত্রিকে কবে বিয়ে করেছিস?
এবার মিহির ভাইয়া বললেন
” এটা আমার আর রাত্রি ছাড়া তো কারো কাছে ছিলো না তুই কোথায় পেয়েছিস?
উনি এবার একটা হাসি দিয়ে বললেন
“এটা আমার বউয়ের শাড়ীর ভাজে পেয়েছি আর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে তুই আমার বেস্টফ্রেন্ড হয়েও এতো বড়ো কথা টা আমার কাছ থেকে লুকিয়েছিস।আমি জানতাম যে তুই রাত্রিকে অনেক আগে থেকেই পছন্দ করিস কিন্তু ব্যাপার টা এতো দূর পৌছাবে আমি ভাবি নি।তোকে নিজের ভাইয়ের মতোই জানতাম বাট আজ
এতোটুকু বলতেই মিহির ভাইয়া বললেন
” আমি তোকে জানাতে চেয়েছি কিন্তু রাত্রি ওর কসম দিয়ে বলেছিলো যেনো তোকে ব্যাপার টা এখন না বলি।আর আমি আর রাত্রি তোর বিয়ের ছয়দিন পরই বিয়ে করেছি।ও আমাকে হঠাৎ কল দিয়ে বলে বিয়ে করবে আমায়।
এবার উনি আর কিছু না বলে উনার আর রাত্রির এডিট করা ছবিটা মিহির ভাইয়ার হাতে দেয়
মিহির ভাইয়া হতাশ গলায় বলেন
“এএটা তো আমি কিন্তু আমার জায়গায় এখানে তোর ছবি কেনো?
এবার উনি বলেন
” আমার ও তো একই প্রশ্ন তোর জায়গায় এখানে আমার ছবি এডিট করা কেনো?
কে করেছে এইসব?যে এসব করেছে শুধু এতোটুকুতেই সে সীমাবদ্ধ নয়।
এবার উনি আমার ফোনটা নিয়ে উনার আর রাত্রির অশ্লীল ছবিটা দেখালেন মিহির ভাইয়া কে। ছবিটা দেখেই মিহির ভাইয়ার মাথায় যেনো বাজ পড়লো।
উনি অস্থির হয়ে বললেন
“এএএই ছবি ততুই কোথায় পেয়েছিস?আর ছছবিতে আমার জায়গায় তুই কেনো?এটা তো আমার আর রাত্রির পার্সোনাল ছবি
এবার উনি ও স্বাভাবিক গলায় বললেন
” আমারও তো একই প্রশ্ন ছবিতে তোর জায়গায় আমি কেন?আর কে এসব করছে

স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মিহির ভাইয়ার চোখে পানি টলমল করছে উনি মিহির ভাইয়ার কাঁদে হাত রেখে বললেন
” বিয়ের ছবিটা নিহার শাড়ীর ভাজে রেখে গিয়েছিলো কেউ আর অশ্লীল ছবিগুলো নিহার মেসেঞ্জারে কোনো ফেইক আইডি থেকে পাঠানো হয়েছিলো।
মিহির ভাইয়া এবার শান্তগলায় বললেন
“কে করেছে এসব
এবার উনিও বললেন
” হুম প্রশ্ন সেটাই
এসব কে করেছে?কেনো করেছে জানতে চাই আমি? কি লাভ তার এসব করে? কিন্তু তার থেকেও বড় কথা আমাকে আগে জানতে হবে এই “কে” টা কে? কার আমার সাথে এমন শত্রুতা যে আমার এতো বড় ক্ষতি করতে চাইছে

এবার মিহির ভাইয়া চোখের কোণে জমে থাকা পানি গুলো মুছে শান্ত গলায় বললেন
“রাত্রি”
উনি অবাক হয়ে প্রশ্ন ছুড়লেন
“মানে”
মিহির ভাইয়া আবারো বললেন
“এই সব করছে রাত্রি
উনি এবার মিহির ভাইয়ার কাধে হাত রেখে বললেন
” তুই এতো টা শিউওর কিভাবে হচ্ছিস৷ মাঝে মাঝে আমাদের বোঝার ও ভুল হতে পারে।আর রাত্রি এমন না
এবার মাহির ভাইয়া হো হো করে হেসে উঠে বললেন
“হ্যা ও এমন না” আসলেই
ও এমনই এটাই বাস্তবতা হয়তো আমরা ওর আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পারি নি ওকে চিনতে পারিনি।
এসব কাজ যে ওর তার প্রথম প্রমান হচ্ছে এই বিয়ের ছবি টা রাত্রির ফোনে তোলা।আর আমাদের বিয়ের ব্যাপারে এখনো কেউ জানেনা তাই ছবিটা সোশ্যাল মিডিয়ার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম কোনো কিছুই দেওয়া হয় নি।
আর দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে আমার আর ওর এমন পার্সোনাল ছবি তো আর অন্য কারো কাছে যাওয়া সম্ভব না যদি আমি বা ওর মধ্যে কেউ কাউকে না দিই।
উনি মাথা নাড়িয়ে শায় দিয়ে বললো
“এখন আমাদের মূল উদ্দেশ্য রাত্রির প্লান কি তা জানতে হবে

আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন আয়ান ভাইয়া।আমি পেছন থেকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে বললাম
” সরি”আমার অনেক বড় ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা করে দিন প্লিজ।আমি বুঝতে পারি নি
এবার উনি মুচকি হেসে আমার দিকে তাকিয়ে আমার কপালে একটা আলতো করে ভালোবাসার পরশ দিয়ে বললেন
“ক্ষমা তুমি কেনো চাইবে।এতে তোমার তো কোনো দোষ নেই পরিস্থিতি টাই এমন ছিলো যে তুমি এসব বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছো। আসলে আমাদের জীবনটাই এমন সব সময় চোখের দেখাও সত্য হয় না আমাদের দেখার মাঝে ও ভুল থাকে।তোমার বিশ্বাস রাখা উচিত ছিলো আমার ওপর”।
আমি এবার উনাকে জড়িয়ে ধরে বললাম
” আর কখনো এমন ভুল হবে না”
এবার উনি মুচকি হেসে বললেন
“উহু ভুল যখন করেছো শাস্তি তো পেতেই হবে তোমাকে”
আমি ভ্রু কুচকে বললাম
” কি শাস্তি.।।। মাত্রই তো বললেন আমি কোনো ভুল করি নি তাহলে শাস্তি কেনো পাবো হুহ”
উনি এবার বললেন
“হুহ এতো দিন তো রাগ অভিমান নিয়ে দূরে দূরে ছিলে কিন্তু আজ কি করবে মহারাণী

আমি উনার বুকে ছোট্ট একটা ঘুষি মেরে বললাম
” অসভ্য
উনি এবার রহস্যময় একটা হাসি দিয়ে বললেন
“হ্যা নিজের বউয়ের সাথে একটু অসভ্যতামি করলে তাতে দোষ কোথায়” আর আমি এমনিতেই অনেক হ্যান্ড সাম আমার বউ কেনো যেকোনো মেয়েই আমাকে কিস করতে চাইবে”
উনার কথায় জ্বলে উঠলাম আমি
তেড়ে গিয়ে উনার ঠোটে ঠোঁট মিলিয়ে দিলাম উনিও পরম আবেশে আমাকে কোলে তুলে নিলেন

আধাঘন্টা যাবৎ রাত্রির বাসায় বসে আছি।ও বাহিরে গিয়েছে বাসায় শুধু একটা কাজের মেয়ে আমি উনি আর মিহির ভাইয়া আছেন।অবশেষে রাত্রিএলো
আমাদের তিনজনকে একসাথে দেখে রাত্রি বেশ খানেকটা অবাকও হলো আবার ভয়ও পেয়ে গেলো।একটু জোরপূর্বক হাসার চেষ্টা করে বললেন
“কি রে তোরা এখানে?
মাহির ভাইয়া হেসে বললো।
” কেনো অন্য কাউকে আশা করেছো নাকি সুইটহার্ট
এবার রাত্রি কিছুটা হকচকিয়ে গেলেন উনি এবার ব্যাগ থেকে রাত্রির আর উনার এবং রাত্রির আর মিহির ভাইয়ার বিয়ের ছবি দুটোই বের করে রাত্রির মুখে ছুড়ে মেরে জিজ্ঞাসা করলেন
“এসবের মানে কি?
রাত্রি চওড়া গলায় উত্তর দিলো
” জানিনা
এবার উনি রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে রাত্রিল গালে একটা চড় বসিয়ে দিলেন রাত্রি চিটকে কাঁচের টি-টেবিলের উপর গিয়ে পড়লো।রাত্রির কপাল টাও বেশ খানিক টা কেটে গেলো। রাত্রি আর নিজেকে সামলাতে না পেরে এসে আয়ান ভাইয়ার কলার চেপে ধরে বললেন।
“হ্যা আমি করেছি এইসব কিছু করেছি শুধু তোকে পাওয়ার জন্য” আমি সেই ছোটো বেলা থেকেই তোকে ভালোবাসি আর তুই পড়েছিলি একটা বাচ্চা মেয়ে তোর নিজের মামাতো বোনের পেছনে” ওকে তুই বিয়ে করেছিস সেটা আমি সহ্য করতে পারি নি তাই আমি মিহির কে বিয়ে করেছি যাতে মিহির কে দিয়েই তোকে ব্লাকমেইল করে বিয়ে করতে পারি আমি। আর তিন বছর আগে পার্কে বসে আমি আর আয়ান ফুচকা খাচ্ছিলাম কিন্তু হঠাৎ নিহাকে দেখেই আমি আয়ানকে বলি আমার চোখে কিছু একটা পড়েছে। আয়ান যখন আমার চোখ দেখছিলো নিহা তখন অন্য সাইড থেকে দেখেছে যার কারণে ওর মনে হচ্ছিলো যে আয়ান আমাকে কিস করছিলো। কিন্তু আমি যানতাম না যে আয়ান শেষে ওকেই বিয়ে করবে আমি ভেবেছিলাম ওদের সম্পর্ক টা হয়তো সেখানেই শেষ। আয়ানের বিয়ের খবর টা যখন আমি পাই তখনই এই ধারণা টা আমার মাথায় আসে আমি মিহিরকে কল করে বলি বিয়ে করবে আমায় আজ এক্ষুনি।মিহিরও রাজি হয়ে যায় মিহির চেয়েছিলো আয়ানকে জানাতে।মিহির চেয়েছিলো আয়ান আর নিহা হবে আমাদের বিয়ের প্রধান সাক্ষী।কিন্তু আমি মিহির কে আমার কসম দিয়ে বলি যেনো আয়ান কোনো ভাবেই আমাদের বিয়ের কথাটা না জানতে পারে।আর মিহির বেচারাও আমি যা বলেছি তাই শুনেছে বাধ্য ছেলের মতো। কারণ ও যে বড়ো ভালোবাসতো আমায়

এতোটুকু বলেই রাত্রি হাসা শুরু করলো এবার ওর কথা মিহির ভাইয়া সহ্য করতে না পেরে ওকে টেনে নিজের কাছে নিয়ে জোড়ে একটা থাপ্পড় বসালেন ওর গালে। রাত্রি চিটকে পড়লো সোফায়।মিহির ভাইয়া এবার দেওয়ালে একটা বারি মেরে বললেন
“বেইমান,,,,বিশ্বাসঘাতক।তোদের মতো মেয়েদের জন্য আজ সমাজ এতো টা বিশৃংখল। তোদের মতো কিছু নষ্টা মেয়ের জন্য প্রতিনিয়ত হাজার ছেলেরা সুইসাইড নামক অপশন টা বেচে নেয়।
এবার উনি রাত্রিকে উদ্দেশ্য করে বললেন
” তোর এমন বাজে আশা কখনোই পূরণ হবে না।আয়ান নিহার আছে নিহারই থাকবে। হোক সেটা মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত
এবার রাত্রি হো হো করে হেসে বললেন
“ঠিক আছে তুই না আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড।তোর এই ইচ্ছা টাও আমি পূরণ করে দিবো কিন্তু অন্য স্টাইলে।”
এতোটুকু বলেই রাত্রি টেবিল থেকে একটা চুরি নিয়ে আমার গলায় ধরলো
আমি আহ বলে চিৎকার দিয়ে উঠলাম।
রাত্রি চুরি টা আরো বেশী চেপে ধরে আয়ান ভাইয়া কে বললেন
“তোকে আজকেই আমাকে বিয়ে করতে হবে আর যদি না করিস তাহলে আয়ান নিহার গল্প এখানেই শেষ”
উনি খানিকটা ভয় পেয়ে গেলেন
“ততুই ওকে ছেড়ে দে
রাত্রি হেসে বললো
” হ্যা ছাড়বো তো কিন্তু তোকে আমাকেই বিয়ে করতে হবে
এবার আমি বললাম
“প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দিত্বীয় বিয়ে করা টা ঠিক নয় আর এই ক্ষেত্রে আমি চাইলে তোমাকে জেল এর ভাত ও খাওয়াতে পারি। আর কেমন মেয়ে তুমি নিজের স্বামী ছেড়ে অন্য পুরুষের দিকে নজর দাও

আমার কথায় রাত্রী চুরিটা আরো বেশ জড়োসড়ো ভাবে চেপে ধরলের যার ফলে আমার গলাটা হালকা কেটে গেলো আমি ব্যাথায় কাতরে উঠলাম। এবার উনি টলমল চোখে বললেন
” রাত্রি ওকে ছেড়ে দে আমি তোর সব কথা শুনবো”
এবার মিহির ভাইয়া নিজের পা দিয়ে রাত্রির পায়ে আঘাত করলেন যার ফলে রাত্রির হাত থেকে চুরি টা পরে যায় আর চুরিটা মিহির ভাইয়া তুলে রাত্রির গলায় চেপে ধরলেন।আর উনি এসে আমাকে সাইডে নিয়ে গেলেন
রাত্রি এমন অবস্থার জন্য প্রস্তুত ছিলো না। রাত্রি শক্ত গলায় বললো
“ছাড়ো আমায়”
মিহির ভাইয়া এবার হেসে বললো
“হ্যা ছাড়বো
বলেই মিহির ভাইয়া রাত্রির গলা থেকে চুরি টা সরিয়ে নিজের গলায় নিজে গেলেন।আয়ান ভাইয়া চিৎকার করে ওঠেন
” মিহির
রাত্রিও মিহির বলে চিৎকার করে ওঠে।

মিহির ভাইয়া হো হো করে হেসে বলতে শুরু করেন
“জীবনের প্রথম ভালোবাসা ছিলে তুমি রাত্রি।সেই ক্লাস নাইন থেকে আমার অবুঝ মনে ভালোবাসা জাগিয়েছিলে তুমি।প্রথম যেদিন তোমাকে দেখেছিলাম মুগ্ধ হয়ে তোমার মুখে তাকিয়েছিলাম জানিনা কি ছিলো ওই মুখে। কেমন মায়া দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বাধলে আমাকে।আসলে ভুল টাই আমার ছিলো আমি ভুলে গিয়েছিলাম সবাই ভালোবাসার প্রতিদানে ভালোবাসতে পারে না। বিশ্বাসের মর্যাতা সবাই রাখতে পারে না।ভুলটা যেহেতু আমারই ছিলো তাই সেটা আমিই সুধরে নিবো। তোমাকে সারাজীবনের জন্য মুক্তি দিয়ে।আমি নিজে মরে গিয়ে পারলে ক্ষমা করে দিও রাত্রি অনেক ভালোবাসতাম তোমায়।

মিহির ভাইয়া চুরিটা আরো কাছে যখন নিয়ে যাচ্ছিলো রাত্রি তার হাত থেকে চুরি টা নিয়ে ছুড়ে ফেলে মিহির ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে বললো
” ভুল করে ছি আমি।ক্ষমা করে দাও আমি বুঝতে পারি নি।আসলে আয়ানের ভালোবাসাটা আমার জন্য বরাদ্দই ছিলো না। ভুল তো মানুষ করে তাই না আমিও ভুল করেছি ক্ষমা করে দাও আমাকে।আমাকে আরেকটা সুযোগ দাও তোমাকে ভালোবাসার তোমাকে চেনার।
এবার মিহির ভাইয়াও জড়িয়ে ধরলেন রাত্রিকে
অবশেষে সব ভুল বোঝাবুঝির অবশান ঘটলো

চলবে_

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে