হৃদয়ের গহীনে পর্ব-০৪ এবং শেষ পর্ব

0
1952

#হৃদয়ের_গহীনে
part 4(last)
#সারা_মেহেক

একদিন পর,
বিকালের দিকে আকাশের রুমের দিকে মুসকান গেলো।দরজা নক করে ভিতরে প্রবেশ করেই মুসকান বললো,

“আপনার বাসায় কি এক্সট্রা ল্যাপটপ আছে?”

আকাশ ফোন টিপতে টিপতে জবাব দিলো,
“হুম আছে তো কেনো??”

“না মানে,আমি আসলে অনলাইনে কাজ করতে চাচ্ছিলাম।”

মুসকানের এ কথায় আকাশ ফোন রেখে বসা থেকে উঠে বলে,
“অনলাইন এ কাজ করে কি করবে??”

“অনেক কারন আছে। আমার অবসর সময় কাটে না। তাই কাজ করলে সময় কেটে যেতো। আর সেই সাথে কিছু ইনকাম ও হতো।”

“ওও।গুড আইডিয়া।আচ্ছা দাঁড়াও,আমি আলমারি থেকে আমার ল্যাপটপ নিয়ে আসছি।”

“ওকে”

আকাশের কাছ থেকে ল্যাপটপ নিয়ে মুসকান নিজের রুমে গিয়ে বসলো।অনলাইনে ওর সুবিধামতো একটা কাজও খুঁজে নিলো।
এজন্য অবশ্য পুরো একটা দিন সময় লেগেছে।

আজকে আফনান আকাশের বাড়ীতে এসেছে মুসকানকে ডিনারে নিয়ে যাওয়ার জন্য।আকাশ অবশ্য বাড়ীতে নেই।কারন একটা নিউ ডিল কনফার্ম এর জন্য সন্ধ্যার দিকে একটা মিটিং বসেছে।যা শেষ করতে রাত হয়ে যাবে।

ডিনারে যাওয়ার জন্য মুসকান লাল রংয়ের একটা সিল্কের শাড়ী পরলো। লাল রংয়ের শাড়ীতে অপরূপ সুন্দর লাগছে মুসকানকে দেখতে। রেডি হয়ে রুমের বাইরে আসলে আফনানের চোখ যায় মুসকানের উপর।
মুসকানকে দেখে আফনানের নজর সরানো যেনো দায় হয়ে পরেছে।

রেস্টুরেন্ট এ বসে মুসকান খাবার ইনজয় করছে।কিন্তু আফনানের গলা দিয়ে কোনো খাবার নামছে না। নামবেই বা কি করে আজকে মুসকানকে একাধারে দেখার নেশা ধরেছে তাকে।সুযোগ পেলেই আফনান মুসকানকে দেখছে।
আর মুসকান যখন আফনানের দিকে তাকাচ্ছে তখন দুজনের চোখাচোখি হওয়ায় বেশ লজ্জায় পরে যাচ্ছে মুসকান।

যতটা সময় দুজন একসাথে কাটিয়েছে, তার প্রতিটা মূহুর্তে আফনান মুসকানের ছোটো ছোটো বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখছে। কখনো শাড়ী কিছুর সাথে আটকে গেলে খুলে দিচ্ছে।মুসকানের খাবারের দিকে কি পছন্দ,কি অপছন্দ সেটা খেয়াল রাখছে।আরো কতো কি।মুসকানের খুব ভালো লাগছে আফনানের এদিকটা।

বাসায় এসে ক্লান্ত হয়ে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছে মুসকান খেয়ালই করে নি। রাত ২টার দিকে দরজায় অনবরত ধাক্কা পরায় ঘুম ভেঙে যয় মুসকানের। এতো রাতে তার রুমে কে নক করছে সেটা ভাবেতই রাগ উঠে যায় মুসকানের।
দরজা খুলে আকাশকে দেখে চমকে যায় সে। এতো রাতে আকাশ কি কারনে তার রুমের দরজায় নক করছে সেটা ভাবতে থাকে মুসকান।
আকাশ করুনা সুরে বলে,
“আমার না কোনোমতেই ঘুম আসছিলো না। এদিক ওদিক হাঁটি কিন্তু তাও ঘুম আসছে না।তাই ভাবলাম তোমাকে একটু ডিস্টার্ব করি। তোমার সাথে গল্প করতে চাচ্ছিলাম।তোমার কোনো প্রবলেম নেই তো??”

আকাশের কথা শুনে মুসকানের বিরক্তি ধরে যায়।এই রাত ২টার সময় কারোর শান্তির ঘুম ভাঙিয়ে গল্প করতে এসে আবার জিজ্ঞাসা করছে কোনো সমস্যা নেই তো!!অবশ্যই সমস্যা আছে।কিন্তু আপাতত মুসকান কিছু বলতে পারছে না। কারন এটা তার বাসা নয়,এটা আকাশের বাসা।তাই অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মুসকান জবাব দিলো,

“না,কোনো সমস্যা নেই। চলুন বারান্দায় বসি।”

মুসকানের জবাবে আকাশ খুশি হয়ে বললো,

“ঠিক আছে।চলো।”

গল্প করতে করতে অনেক রাত হয়ে যায়।মুসকান প্রথমে আকাশের গল্প শুনলেও পরে এতো ঘুম পায় যে, বারান্দায় রাখা সোফাতেই ঘুমিয়ে পরে সে।কিছুক্ষনের মধ্যে একদম গভীর ঘুমে তলিয়ে যায় মুসকান।
আকাশ যখন খেয়াল করলো যে মুসকান ঘুমিয়ে পরেছে তখন সে কথা বন্ধ করে মুসকানের দিকে একভাবে তাকিয়ে থাকে।তার মনে হচ্ছে এভাবে তাকিয়ে থেকেই রাতদিন কাটিয়ে দিতে।ঘুমের মধ্যে মুসকানের চেহারায় একটা মিষ্টি ভাব এনে দিয়েছে যা আকাশকে আরো আকর্ষন করছে।
ভোরের আলো ফুটার আগেই আকাশ মুসকানকে কোলে করে বারান্দা থেকে এনে বেডে শুইয়ে দেয়।কিছুক্ষণ মুসকানকে দেখে আকাশ নিজের রুমে আলে আসে।
রুমে এসে আকাশ ভাবতে থাকে মুসকানের জন্য এমন অদ্ভুত ফিলিংস কেনো হচ্ছে তার।মুসকান আশেপাশে থাকলে এমনিই সেই মূহুর্তটা রঙিন হয়ে উঠে।সে মূহুর্তটা অপরুপ সুন্দর হয়ে উঠে।কেনো হচ্ছে এমন বুঝছে না আকাশ।

একটা মাস সময় কেটে যায় দেখতে দেখতে। চারপাশের আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তন ঘটেছে কিছু মানুষের অনুভুতির।কিছু মানুষের মনে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়েছে।যে ভালোবাসার অনুভুতিটা সুখের সাগরে ভাসিয়ে দেয়।

আকাশের মনে মুসকানের জন্য যে ভালোবাসা তৈরী হয়েছে তা সে ধীরে ধীরে জানতে পারে। জানার পর তে নিজেকে অনেক সুখি মানুষ মনে করছে আকাশ। সে ডিসিশন নিলো যে যত তাড়াতাড়ি পারুক সে মুসকানকে প্রপোজ করবে।

আফনানের মনে যে মুসকানের জন্য প্রচুর ভালোবাসা আছে তা সে মুসকানের সাথে দেখা হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পেরেছিলো।কিন্তু সে এই টেনশনে আছে যে মুসকান কি তাকে ভালোবাসে?তার ভালোবাসা কি মুসকান মেনে নিবে?তারা দুজন কি একসাথে সুখের ঘর বাঁধতে পারবে??

মুসকানের মনে ভালোবাসা সুন্দর অনুভুতিটা এসেছে আফনানের জন্য।তার কাছে আফনানকে খুব ভালো মানুষ মনে হয়। একসাথে থাকলেই সে ছোটো বড় প্রতিটা বিষয় খেয়াল রাখে।সবসময় চেষ্টা করে যে মুসকানের মুখে যাতে হাসিটা থাকে।মুসকান জানে যে আফনানও তাকে ভালোবাসে।আফনানের চাহনিই বলে দেয় যে সে মুসকানকে পছন্দ করে।
মুসকানের মতে আকাশও ভালো মানুষ,কিন্তু তার মনের মানুষটার নাম আফনান।আকাশকে মুসকান শুধু একটা ভালো বন্ধুর মতো দেখে।
আকাশ বা আফনান কেউই জানে না যে তাদের দুজনের মনেই মুসকানের প্রতি ফিলিংস আছে।দুজনই অজানা।

আগামীকাল আকাশের একটা ডিল ফাইনাল হওয়ার পার্টি রাখা হয়েছে।এই পার্টির জন্য আকাশ মুসকানকে একটা ডায়মন্ড সেট গিফট করে। প্রথমে মুসকান রাজি না হলেও আকাশের জোরাজুরিতে রাজি হয়ে যায়।
বিকালের দিকে আফনান বাসায় এসে মুসকানকে একটা কালো সিল্কের শাড়ী গিফট করে।পার্টিতে পরার জন্য।
৩জন একসাথে অনেকক্ষণ কথাবার্তা বলে।সন্ধ্যার কিছু পরে আফনান চলে যায়।

রাতের খাবার শেষে মুসকান রুমে বসে অনলাইনে কাজ করছিলো।হঠাৎ দরজায় নক পরায় সে দরজা খুলে দিলে আকাশকে দেখে।আকাশের চেহারায় একটা কনফিউশন দেখায় দিয়েছে।যা মুসকান চট করে ধরে ফেলে।
সে আকাশকে রুমের ভিতরে আসতে বললে আকাশ রুমে যায়।মুসকান বসতে যাবে কিন্তু তার আগেই আকাশ মুসকানের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বলে,

“আই লাভ ইউ, মুসকান।আই রিয়েলি লাভ ইউ।
তোমাকে যে কখন এতো তীব্রভাবে ভালোবেসে ফেেলছি তা নিজেও টের পায়নি। প্রথমদিন দেখার পর থেকেই তোমার প্রতি একটা অদ্ভুত ফিলিংস চলে আসে। প্রথমে এ ফিলিংস এর নাম না দিতে পারলেও পরে বুঝতে পারি যে এটা তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা।আর সত্যি বলতে কি জানো,এরকম অনুভুতিটা আমার আগে কখনো হয়নি। তাই হয়তো বুঝতে সময় নিয়েছে।
আমার ভালোবাসা কি একসেপ্ট করবে?”

মুসকান বিস্ফোরিত নয়নে তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। আকাশ যে এভাবে হুট করে তাকে প্রপোজ করে বসবে সে ভাবেও নি। এতোদিন তার মনে যে ভয়টা ছিলো তা সত্যিই হলো।

আকাশ মুসকানের দিকে তাকিয়ে আছে,জবাবের জন্য অপেক্ষা করছে।
মুসকান নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,

“আমাকে একটু সময় দিন।আমি পরে নিজের জবাবটা জানাবো আপনাকে।”

আকাশ খুশি হয়ে দাড়ীঁয়ে বলে,

“যতো সময় লাগবে নাও। আমার কোনো সমস্যা নেই।আসলে এভাবো হুট করে সব করে ফেললাম তো তাই হয়তো সময় লাগছে তোমার মেনে নিতে।যাই হোক, টেইক ইউর টাইম।”বলে আকাশ চলে গেলো।

আকাশ চলে যাওয়ার সাথে সাথে মুসকান দরজা আটকিয়ে কান্না করতে লাগলো।সে ভাবছে তার এ আন্দাজটা এতোটা ঠিক হলো কেনো?দুজনই তাকে ভালোবাসে!!!না,আমি এমন সিচুয়েশনে নিজেকে ফেলতে চাই না।যেটাতে শুধু কষ্ট লিখা।
এখন তাকে খুব বড় একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।সে জানতো যে এমন কিছু হয়তো ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করছে,তাই তো একটু একটু করে সব গুছিয়ে নিচ্ছিলো সে।চোখের পানি মুছে সে কল লাগালো একজনকে।

পার্টিতে অনেক মানুষজন এসেছে।আকাশের সাকসেস পার্টি বলে কথা।আফনান কালো কালারপর ফর্মাল স্যুট পরেছে।আর আকাশ নেভিব্লু কালারের ফর্মাল স্যুট পরেছে।পার্টির প্রায় প্রতিটা মেয়ের চোখ এ দুবন্ধুর উপর স্থির।
মুসকান আফনানের দেওয়া ব্লাক কালারের সেই শাড়ী পরেছে,আর আকাশের দেওয়া সেই ডায়মন্ড সেট টাও পরেছে।
মুসকানের এই অপরুপ সাজে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। আকাশ আর আফনান তো হা করে তাকিয়ে আছে মুসকানের দিকে।যেনো চোখ বন্ধ করলেই মুসকান হাওয়া হয়ে যাবে।

পার্টি ঠিকঠাক মতোই চলছে।কিন্তু কিছু কিছু মানুষের কথা মুসকানের কানে ঢুকে।অনেকেই নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে যে মুসকান কে,সে আকাশের বাড়ীতে কবে থেকে।অনেকে আবার বলছে হয়তো আকাশের বেড পার্টনার।
এসব কথা শুনে মুসকানের প্রচন্ড খারাপ লাগে কিন্তু কিছু বলে না সে।আকাশ আর আফনানের কান পর্যন্ত হয়তো এসব কথা পৌঁছায় নি।কারন পৌছালে তারা হয়তো এতোক্ষন শান্ত থাকতো না।

অনেক রাত করেই পার্টিটা শেষ হয়। বেশিরাত হয়ে যাওয়ায় আফনান আকাশের বাড়ীতেই থেকে যায়।বিছানায় শোয়ার সাথে সাথেই দুজনের চোখে যেনো রাজ্যের ঘুম এসে ভর করে।

গভীর রাতে মুসকান বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়।পা বাড়ায় এয়ারপোর্ট এর উদ্দেশ্যে।নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য।এসব কিছু থেকে দূরে যাওয়ার জন্য।সে জানে এ ভালোবাসা ভালো কিছু বয়ে আনবে না। তাই সময় থাকতেই নিজেকে এ ভালোবাসার বন্ধন থেকে ছিন্ন করতে হবে। প্রথম প্রথম হয়তো আফনানকে ভুলতে কষ্ট হবে কিন্তু ভুলতে তো তাকে হবেই।

সকালে পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙে আকাশের।
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হতে যায় সে। শাওয়ার নিয়ে এসে আফনানকে ডাকতে থাকে আকাশ। আকাশের ডাকে আধো আধো করে চোখ খুলে আফনান।
আকাশ বেডসাইড টেবিলের উপর থেকে নিজের ফোনটা নিতে গিয়ে চোখ পরে পাশে রাখা একটা কাগজের উপর। কাগজটা হাতে নিয়ে খুলতেই দেখলো যে এটা মুসকানের লিখা চিঠি। মুসকানের চিঠি দেখে সে তাড়াতাড়ি আফনানকে উঠতে বলে।আকাশের হুরোহুরি করে ডাকাতে আফনান উঠে বসে।
আকাশ বলে,

“আফনান,দেখ।মুসকানের চিঠি।”

আফনান অবাক হয়ে বলে,
“মুসকানের চিঠি মানে!!! ও কেনো চিঠি লিখতে যাবে?পড় তো চিঠিতে কি লিখা আছে।”

আকাশ আর কিছু না বলে চিঠি পড়তে শুরু করে,

“আপনারা যখন আমার এ চিঠিটা পড়বেন তখন হয়তো আমি অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে ফেলবো।আমি আমার প্রাণের দেশে ফিরে যাচ্ছি।আমার পক্ষে আর সত্যিই থাকা সম্ভব হয়ে উঠছিলো না। আমি আপনাদের দুজনের বন্ধুত্বের মাঝে কাঁটা হয়ে থাকতে চাচ্ছিলাম না। আমি জানি আপনারা দুজনই আমাকে ভালোবাসেন।কিন্তু আমি আপনাদের দুজনের কাউকেই ভালোবাসি না।
এ ভালোবাসাটা আমাদের তিনজনের জীবনেই বড় একটা ঝড় বয়ে আনতো।তাই ঝড়টা আসার আগেই আমি আপনাদের জীবন থেকে চলে আসলাম।আমি আমার দায়িত্বটা পূরণ করেছি। এবার আপনারা আপনাদরে দায়িত্বটা পূরন করুন। আমাকে প্লিজ ভুলার চেষ্টা করবেন।ভুলা কঠিন হবেনা।কারন আমি আপনাদের জীবনে শুধু ১মাসের মেহমান।
আর আমাকে দয়া করে খুঁজার চেষ্টা করবেন না। খুঁজে কোনো লাভ হবে না। কারন সব কিছু তো আর আগের মতো হবে না।
আর আমার পাসপোর্ট ভাবির বাসাতেই ছিলো।আপনার এক সার্ভেন্টের সাহায্যে সেখান থেকে পাসপোর্ট টা আনি।ঠিকানা মনে ছিলো বিধায় সুবিধা হয়েছে।আর টাকা পেয়েছি, আমি যে অনলাইনে কাজ করতাম সেখান থেকে।
যাই হোক ভালো থাকবেন আপনারা।আল্লাহ হাফেজ।”

চিঠি পড়া শেষ হলে আকাশ আর আফনান যেনো বাকরুদ্ধ হয়ে যায়।মাথা মনপ হচ্ছে শূন্য হয়ে আসছে।কেউই ভাবেনি যে মুসকান এমন একটা স্টেপ নিবে।এভাবে তাদের ছেড়ে চলে যাবে।

মুসকান প্লেন এ বসে শুধু চোখের জল ফেলছে।

….সমাপ্ত….

(কিছু ভালোবাসা কাঁদায়,কিছু ভালোবাসা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।তেমনি অসম্পূর্ণ থেকে যায় কিছু গল্প। সবসময় তো আর এমন হয়না যে ভালোবাসার মানুষ মিলে গিয়েছে।কিছু ভালোবাসার মানুষ তো আলাদা হয়েই যায়।কিছু গল্পের নিচে লিখা থাকে ঠিকই সমাপ্ত কিম্তু সেই লেখকেরা চুপিসারে সমাপ্তের আগে একটা “অ”বসিয়ে দেয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে