#হৃদয়ের_অন্তরা❤️
#part_7
#sarika_Islam
,
,
সকালে,,হৃদয় তার বুকে অন্তরাকে আবিষ্কার করল,,সে অন্তরার কপালে হাত দিয়ে দেখল হাল্কা কমেছে,,তাও অনেক জর আছে,,হৃদয় আর অন্তরাকে উঠালো না আস্তে করে তার পাশ থেকে সে উঠে নিজের রুমে চলে গেল,, সেখান থেকে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেল নাস্তা করতে,গিয়ে দেখল তার আম্মু আব্বু বসে বসে নাস্তা করছে,,সেও তাদের সাথে জয়েন করল,,,নাস্তা খেতে খেতে হৃদয় তার মাকে বলল,,
_মা অন্তরার জর এসেছে আমি ওকে নাস্তা দিয়ে আসি,
_আচ্ছা দিয়ে আয়,,মেয়েটার যে কিভাবে আবার জর আসল,,তারাতারি যেন সুস্থ হয়,
_হুম,,,
বলেই হৃদয় খাবার শেষ করে অন্তরার জন্য নাস্তা নিয়ে তার রুমে গেল,গিয়ে দেখল অন্তরা এখনও শুয়ে আছে কম্বল মুড়ি দিয়ে,, হৃদয় অন্তরার পাশে গিয়ে বসল তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে লাগল,,
_অন্তরা উঠ, নাস্তা এনেছি খেয়ে ঔষধ খেয়ে নে তাহলে তুই একদম সুস্থ হয়ে যাবি,,
অন্তরা কোনরকম উঠলো,, হৃদয় ওকে নাস্তা খাইয়ে দিল,,তারপর বলল,,
_তুই বস একদম নরাচরা করবি না আমি ঔষধ নিয়ে আসি,,
অন্তরা শুধু মাথা নাড়াল যার মানি “ঠিকআছে” হৃদয় অন্তরার জন্য ঔঔষধ আনতে তার রুমে গেল,,জরে টেবলেট আর ইঞ্জেকশন নিল,,,নিয়ে আসল অন্তরার রুমে অন্তরাকে মেডিসিন খাইয়ে দিল আর চতুর্থ নাম্বার ইঞ্জেকশন দিল,,আর বলল,,,
_তুই ছুটছুটি করিস না লক্ষ্মি মেয়ের মতো বসে থাকবি,,
অন্তরাও চুপচাপ শুয়ে রইল,,
2দিন পর,,,,
হৃদয় আর ওর মা বাব ডাইনিং রুমে বসে সবাই চা খাচ্ছে আর টিভি দেখছে,,,হঠাৎ হাসান চৌধুরী বলে উঠল,,
_অন্তরার জর এখন কমেছে?
_হ্যা বাবা কমেছে,
_ওহ,,
হেনা চৌধুরী বলে উঠল,,
_অন্তরার কি হয়েছে রে হৃদয়?কারো সাথে এখন আর কথা বলে না দুষ্টুমি করে না নিচেও নামে না,,কি হয়েছে রে ওর?
_মা ওকে ডোজ দিচ্ছি হয়ত ওইটার এফেক্ট হচ্ছে,,দোয়া করো যেন ভালো হয়ে যায়,, কাল ওকে লাস্ট ডোজ দিব,,
_হুম,,দোয়া করি মেয়েটা যেন তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠে৷
সন্ধ্যায়,,হৃদয় তার রুমে গিয়ে ডাক্তার চাচাকে ফোন দিল,,
_চাচা সব ডোজ তো শেষ হলো,,শুধু কালকের টা বাকি,,
_কোন পরিবর্তন কি পাও?
_জি চাচা আগের থেকে কম কথা বলে৷ কম কি এখন ধরতে গেলে কথাই বলে না আগের মতো দুষ্টুমি করে না নিজের ঘরেই থাকে শুধু,,,
_ওহ যাক তাহলে তো ভালই,,কালকের ডোজ সম্পর্কে কিছু বলবো যদি চেম্বারে আসতে?
_জি জি আমি এখনি আসছি,
বলেই ফোন রেখে চলে গেল ডাক্তার চাচার কাছে,,
_আস্তে পারি চাচা?
_আরে হৃদয় আসো আসো,,,
হৃদয় কাচের দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকল,,
_বসো বসো,,কেমন অবস্থা তোমার?
_জি আলহামদুলিল্লাহ ভালোই,,
_এই যে এই ইঞ্জেকশনটা কালকে ওকে দিবা,,(ইঞ্জেকশনটা হাতে নিয়ে)
_হুম ঠিক আছে,,
_তারপর তুমি বুজবে কিভাবে যে ও ঠিক হয়েছে?
_হুম কিভাবে?(ভ্রু কুচকে তাকাল)
_আসো আসো আমি বলি,,(বলেই হাস্তে লাগল)
হৃদয় তার চাচার হাসির রহস্য খুজে পেল না আগের ন্যায় ভ্রু জোরা কুচকে রেখেছে,,ডাক্তার চাচা বলতে শুরু করল,,
_ডোজটা দেওয়ার পর কিছুক্ষন পর প্রায় এক দেড় ঘন্টা পির ওকে ডেকে তোমার ঘর বা ছাদে গিয়ে ওকে কিস করবা,, লিপ কিসসস,,(বলেই মুচকি হাসল)
হৃদয় ডাক্তার চাচার কথা শুনে আকাশ থেক পরল এইসব কি বলে চাচা?মাথা কি ঠিক আছে?হৃদয় তারাতারি করে বলল,,
_নাহ নাহ ইম্পসিবল, আমি পারবো না,,(বলেই চেয়ার থেকে উঠে দাড়ালো)
_এইটা তো তোমাকে করতেই হবে এইটা জাস্ট একটা টেস্ট নাথিং ইলস,,
_দেখেন চাচা আমি সত্যি ওকে ভালোবাসি,,আমি চাই না ও আমাকে ভুল বুঝুক,,
_আরে হৃদয় এইটা ওর ট্রিটমেন্টের একটা অংশ,,আর আমি দেখেছি তুমি ওকে কতোটা ভালোবসো,,আর তোমার এই ভালোবাসার জিতার জন্যই তোমার এইটা করতে হবে,,,
ডাক্তার চাচার অনেক জোরাজুরিতে অবশেষে হৃদয় রাজি হয়,,
_তাহলে তুমি আমাকে জানিও,,,
_ঠিক আছে,,
বলেই চলে আসল বাসাদ উদ্দেশ্যে,,বাসায় এসে ডিনার করে অন্তরার রুমে উকি মেরে দেখল অন্তরা ঘুমিয়ে গেছে, সেও তার রুমে গিয়ে শুয়ে পরল,,,
সকাল 9টা,,,
হৃদয় উঠে ফ্রেশ হয়ে অন্তরার রুমে গেল ইঞ্জেকশন নিয়ে,, গিয়ে দেখল অন্তরা উঠে গিয়েছে,,বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে অন্তরা, হৃদয় অন্তরাকে ডাকল,অন্তরা বারান্দা থেকে বের হয়ে আসল বিছানায় বসল,,হৃদয় অন্তরাকে ইঞ্জেকশন দিল,,ইঞ্জেকশন দেওয়ার সময় অন্তরা “আহহহ” শব্দ করল হৃদয় কিছুক্ষন অন্তরার দিকে তাকিয়ে রইল,,তারপর নিজের কাজে ধেয়ান দিল,,ইঞ্জেকশন দেওয়ার শেষে অন্তরা চুপ্টি করে উঠে গেল,, কোন কথা বলল না হৃদয় ও আর কোন কথা বলল না চলে গেল,,
প্রায় 1ঘন্টা পর,,হৃদয় অন্তরার রুমের দরজার সামনে এসে বলল,,
_অন্তরা একটু ছাদে আসো কথা আছে,,
বলেই সে আগে আগে গটগট করে চলে গেল,,অন্তরাও কিছু বলল না সেও মাথা নিচু করে চলে গেল ছাদে,,গিয়ে দেখল হৃদয় এক কোনে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে,,অন্তরাও হৃদয়ের পাশে গিয়ে দাড়ালো কিছু দুরুত্ব রেখে,,,,বেশ কিছুক্ষন নিরবতা চলল দুইজনের মধ্যে,, তারপর অন্তরাই মুখ ফুটে বলল,,
_ভাইয়া কিছু বলবেন,,(বলে হৃদয়ের দিকে মুখ করে দাড়ালো)
হৃদয় কি বলবে? কিভাবে বলবে? কিছুই ভেবে পাচ্ছে না,,খুব বেশি নার্ভাস হৃদয়,,হঠাৎ অন্তরাকে জরিয়ে ধরে কিস দিয়ে বসল,,অন্তরা তো হা কি হলো? কি করলো এইটা?অন্তরা বুঝে উঠতে পারায় তারাতারি করে হৃদয়কে সরিয়ে ঠাসসসসস করে থাপ্পর দিল,,
_অসভ্য ছেলে,,তোর সাহস কি হয় আমারে কিস করার,,
_অন্তরায়ায়া(গালে হাত দিয়ে)
_কে অন্তরা আমি চিনি না,,
বলেই দৌড়ে নিচে বলে গেল,,ঠিক সেই সময়ে হৃদয়ের ফোন বেজে উঠলো,,ফোন হাতে নিয়ে দেখল ডাক্তার চাচা,,ফোন রিসিভ করল,,
_কাজ হয়েছে?(খুব এক্সাইটেড হয়ে)
_হুম,আমি একটা থাপ্পর ও খেয়েছি,,(গালে হাত ঘসতে ঘসতে)
_কে থাপ্পর দিয়েছে?
_অন্তরা,,
বলার সাথে সাথেই ডাক্তার চাচা জরে চিতকার করে উঠলো
_ইয়াহুউউউউউউ well done my son…
হৃদয় বুঝতে পারল না৷ চাচার এই খুশির জিনিস,,
_কি হয়েছে চাচা?
_তুমি সাকসেস তোমার অন্তরা ভালো হয়ে গিয়েছে,,
হৃদয় মুহুর্তেই খুশি হয়ে গেল,,ফোন রেখে দিল,,তার থাপ্পরের কথা ভুলে খুশু হলো যে তার অন্তরা ভালো হয়ে গেছে,,তারপর মুখ টা আবার মলিন হয়ে গেল,,
_অন্তরা কি আমাকে ভুলে যাবে নাকি আমি মনে থাকবো?আমার ভালোবাসা কি সে বুঝবে?
ভেবেই আবার উদাস হয়ে গেল,,,
চলবে🖤
(ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন🥰)