Monday, October 6, 2025







হৃদয়াক্ষী পর্ব-০৬

#হৃদয়াক্ষী
#পর্ব_০৬
#সারিফা_তাহরিম

সময় বহমান। সত্য, মিথ্যা, সুখ দুঃখের আশ্রয়ে একেক মুহূর্ত একেক রূপ ধারণ করে প্রবাহিত হতে থাকে। আর সময়ের পরিবর্তনের সাথে প্রতিটি মানুষের জীবনের ধরণ, গঠনও পরিবর্তিত হতে থাকে। পূর্ণতার জীবনেরও পরিবর্তন হয়েছে। বিয়ের প্রায় এক মাস গড়ালো। প্রথম প্রথম মা বাবার অবহেলা, এড়িয়ে চলা খুব বেশি ব্যথিত করত তাকে। সে সবকিছু ঠিক স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠতো। কিন্তু আর সেই সময় কই! সামনে একটা পরীক্ষা এগিয়েছে। ফাইনাল পরীক্ষার আগে একটা টেস্ট হবে। সবকিছুর পড়া পড়তে বাড়তি সময় ও শ্রম দিতে হচ্ছে। প্রতিদিন ভার্সিটিতে যাওয়া না হলেও খুব বেশি মিস দেয় না। না যাওয়ার কারণ হিসেবেও দেখা যায়, বেশি রাত অবধি পড়ার কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারেনি। ভার্সিটির পরে একটা কোচিং থাকে। ভার্সিটির একজন স্যার পড়ান। মাস দুয়েক আগে ভর্তি হয়েছিল সেখানে। মিফতা আর দিনাও পড়ে সেখানে। সেই সুবাদে একসাথে যায়।

পূর্ণতা তার বাবা মায়ের মধ্যেও বেশ খানিকটা পরিবর্তন করছে। আগে থেকে কঠোরতা কমেছে বলে মনে হলো পূর্ণতার। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে কতটা ঠিক তা সে জানে না। তবে এখন ক্লান্ত শরীরে এসে মাকে কিছু এনে দিতে বললে তিনি দ্বিরুক্তি করেন না। মেয়ের হাতে দেন। কোমল স্বরে দু একটা কথা বলেন। পরিস্থিতি কি স্বাভাবিক হওয়ার পথে! জানে না পূর্ণতা। সে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কিছুই করতে পারছে না। সারাদিনের ব্যস্ততার পরে পড়াশোনা করে ক্লান্ত হয়ে থাকে শরীর। রাতে আর এই বিষয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করে না। চোখে ঘুম নেমে আসে। এই ব্যাপারটা যদি স্বাভাবিক হওয়ার পথে হয়ে থাকে, তাহলে সেই ক্ষেত্রে অবদানটা মিফতার আম্মুর।

মিফতার আম্মু প্রাণখোলা স্বভাবের মানুষ। মিফতার সাথে বন্ধুসুলভ সম্পর্ক তার। মিফতা সবকিছু তার মায়ের সাথে শেয়ার করে। আর তিনি কোনো সময় মা হিসেবে সেই বিষয়ের সমাধান বলে দেন বা কোনো সময় বন্ধু হয়ে তার পাশে থাকে। মিফতার বাবা মা তাকে খুব ভালোবাসে। পূর্ণতার বাবা মাও পূর্ণতাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। কিন্তু তাদের মধ্যে পার্থক্য হলো, মিফতার প্রতি তার বাবা মায়ের অগাধ বিশ্বাস আছে। কিন্তু পূর্ণতার উপর তার বাবা মায়ের বিশ্বাসের খুটিটা খুব ঠুনকো। এমনটা নয় যে পূর্ণতা কোনো সময় তাদের অবাধ্য হয়ে কিছু করেছে। তবুও কেন জানি উনিশ থেকে বিশ হলেই পূর্ণতার প্রতি তাদের অবিশ্বাসের মাপকাঠিটা গা ঝাড়া দিয়ে দৃশ্যমান হয়ে উঠে। এই ক্ষেত্রে তারা অনেক সময় সেই সন্দেহের সত্যতা যাচাই করার প্রয়োজন বোধও করেন না।

পূর্ণতার বিষয়টা মিফতা তার মায়ের সাথে শেয়ার করেছিল। মিফতার আম্মু বিচক্ষণ মানুষ। তিনি পরিস্থিতি কিভাবে সামলাতে হয় সেই ব্যাপারে খুব ভালো জানেন। একদিন খোঁজ খবর আর টুকটাক কথার উদ্দেশ্যে পূর্ণতার আম্মুকে কল করেন তিনি। পূর্ণতার আম্মু সরল মনের মানুষ। তিনি সহজেই সবাইকে সব কথা বলে ফেলেন৷ মিফতার আম্মু ব্যাপারটা জানেন। তাই তিনি পূর্ণতার বিয়ে সম্পর্কে খতিয়ে জিজ্ঞেস করার এক পর্যায়ে নাজিবা হাসান নিজেই সব কথা বললেন। একটা ছেলে নাকি পূর্ণতার বিয়ের দিন তাদের বাড়ির নিচে দাঁড়িয়ে ছিল। মঈনুল হাসানকে দেখে সে নাকি খুব কান্নাকাটি করে বলেছিল, সে পূর্ণতাকে ভালোবাসে। তাকে বিয়ে করতে চায়। পূর্ণতাকে যাতে অন্য কোথাও বিয়ে না দেয়। পূর্ণতার বাবা মায়ের ধারণা হয়েছিল সেই ছেলেটার সাথে পূর্ণতার সম্পর্ক ছিল। তা নাহলে সে কিভাবে জানবে পূর্ণতার বিয়ের কথা? যেখানে পূর্ণতা রাগের বসে তার বান্ধবীদেরকেও জানায়নি যে সেদিনই তার আগদ্, সেখানে ঐ ছেলেটা কিভাবে জানল? এছাড়াও পূর্ণতা প্রথমে বিয়ে করতে চাইছিল না তাই তাঁরা ধরেই নিয়েছিলেন যে ছেলেটা পূর্ণতার প্রেমিক। নাজিবা হাসানের কথা শুনে অবাক হয়েছিলেন মিফতার আম্মু। তিনি নাজিবা হাসানকে বুঝানোর জন্য বলেছিলেন,

“আপা কি বলছেন এসব? সামান্য এই ঘটনার জন্য আপনারা মেয়েটাকে এতটা অবিশ্বাস করলেন! ভাই পূর্ণতার গায়ে হাত তুলল! এটা মোটেও ঠিক হয়নি। দেখুন আপা, একজন মেয়েকে অনেক ছেলেই পছন্দ করতে পারে। আর পূর্ণতা তো দেখতে মা শা আল্লাহ খুব সুন্দর। তাকে ছেলেরা পছন্দ করতেই পারে। বিয়ের প্রস্তাব দিতেই পারে। এটা তো অস্বাভাবিক কিছু না। কিন্তু তাই বলে মেয়েও যে তাকে পছন্দ করে সেটা কিভাবে নিশ্চিত হলেন? ছেলেটা বিয়ে থামাতে বলেছে বলেই আপনারা ধরে নিলেন যে ছেলেটার সাথে পূর্ণতার প্রেমের সম্পর্ক আছে? কোনো যাচাই বাছাই না করে এরকম ভাবাটা কি ঠিক হয়েছে?

আপা, পূর্ণতা আপনার মেয়ে। আপনি তার মা। আর আমি হলাম অনেক দূরের মানুষ, বান্ধবীর মা। আপনার চেয়ে আমি কখনোই তাকে বেশি ভালোবাসতে পারব না। এটা সত্য কথা। কিন্তু আমি তাকে এত বেশি ভালোবাসতে না পারলেও কখনো এতটা অবিশ্বাস করিনি। আপনাদের ভালোবাসায় বিশ্বাসের ঘাটতি আছে আপা। যে মেয়েকে এত বেশি ভালোবাসেন তাকে একটু বিশ্বাস করতে পারেন না? আপনারা সামান্য বিষয়ে সন্দেহ করবেন বলে মেয়েটা সবসময় ভয়ে তটস্থ থাকে। নিজেকে কতটা গুটিয়ে রাখে তা কি একটাবার খেয়াল করেছেন? এমন গুটিয়ে রাখার কারণ আপনাদের অবিশ্বাস। অবিশ্বাস করলেও কখনো কি মেয়েটাকে বোঝার চেষ্টা করেছেন আদৌ?

আপা, একটা মেয়ের কাছে তারা মা সবচেয়ে আপন হয়। মায়ের যেমন মেয়েকে শাসন করাটা দায়িত্ব, তেমনই বন্ধুসুলভ আচরণ করে তার সুখ দুঃখের সময়ে তার পাশে থাকাটা তার দায়িত্ব। আমাদের ক্ষেত্রেই দেখুন না, আমি আর আমার মেয়ে মিফতার মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা খুব ভালো। আমার মেয়েকে আমি যেমন শাসন করি, তেমন বন্ধুর মতো তার পাশে থাকি৷ যার কারণে মিফতা সব কথা আমার সাথে শেয়ার করে। কোন ছেলে কবে প্রপোজ করেছে, কিভাবে করেছে সবকিছু সঙ্গে সঙ্গেই জানায়৷ এমনকি তার প্রথম ভালো লাগা সম্পর্কেও প্রথম জানিয়েছিল আমাকে। আমি তো কথাটা নেতিবাচকভাবে নিয়ে তাকে বকাঝকা বা মারধর করিনি। বরং বন্ধুর মতো আচরণ করে কলাকৌশলে বুঝিয়েছি এগুলো খনিকের আবেগ। আর আমার মেয়েও বুঝেছে। আমি আমার মেয়েকে বিশ্বাস করি। তাকে পড়তে পারি আমি। আমি যদি তাকে বুঝতেই না পারি তাহলে কি মায়ের সংঙ্গাটা পূর্ণ হবে কি করে?

আপনার আর পূর্ণতার মাঝে এটুকু দূরত্ব আছে। আর এই দূরত্ব আছে বলেই এত ভুল বুঝাবুঝি। আপনি কি আদৌ জানেন আপনার মেয়েকে কতজন ছেলে প্রেম নিবেদন করেছে? জানেন না। কিন্তু আমি অনেকটাই জানি। মিফতা আমাকে বলতো। এমনকি বেশ কয়েকটা ছেলেকে আমি নিজেও দেখেছি। অনেক সুদর্শন ছেলে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। পূর্ণতা চাইলেই প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে পারত। কিন্তু পূর্ণতা সেটা করেনি। কেন জানেন? কারণ সে আপনাদেরকে ভালোবাসে। পূর্ণতা সবসময় বলতো, ‘আমার বাবা মায়ের চেয়ে বেশি কেউ কখনো আমাকে ভালোবাসতে পারবে না। আর সেই দুজন মানুষের পছন্দ ব্যতিরেকে যদি অন্য কাউকে আমি পছন্দ করি তাহলে তাঁরা কষ্ট পাবেন। আমার বাবা যে সেই কষ্ট সহ্য করতে পারবেন না! একদমই না। এই দুজন মানুষকে কষ্ট দিয়ে আমি কিভাবে ভালো থাকব? আমিও যে তাদেরকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসি। আমার বাবার মুখের হাসির জন্য আমি আমার জীবন কুরবানি করতেও রাজি। সেখানে এই বিষয়টা তো একেবারেই ঠুনকো।’

এবার বলুন আপা আপনাদের ওরকম ধারণা করাটা কি ঠিক ছিল? পূর্ণতা তো মঈনুল ভাইয়ের কলিজা। তাহলে তিনি কিভাবে পারলেন সবটা বিবেচনা না করে মেয়েটাকে কষ্ট দিতে? যাই হোক, আপনারা বাবা মা। আপনারা কখনো পূর্ণতার খারাপ চাইবেন না। কিন্তু এই বিষয়টা নিয়ে না বলে পারলাম না। পারলে আমার কথাগুলো বিবেচনা করে মেয়েটাকে আর কষ্ট দিবেন না। আমি যদি ভুল কিছু বলে থাকি তাহলে ক্ষমা করে দিবেন। সবশেষে বলব, পূর্ণতার মতো মেয়ে পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।”

মিফতার আম্মুর কথা কাজে দিয়েছিল। নাজিবা হাসান সবকিছু বিশ্লেষণ করে দেখলেন, আসলেই তো! তারা মেয়েটাকে এত কষ্ট দিয়ে ফেলেছে! তাও সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ না করে! নাজিবা হাসানের মনে অনুতপ্ততা কাজ করা শুরু করল। নিজের স্বভাব নরম করে কয়েকদিন মেয়েকে পর্যবেক্ষণ করেন। আসলেই মেয়েটা তাদের সাথে কথা বলার জন্য কেমন অসহায় হয়ে চেয়ে থাকে! দিন শেষে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত পূর্ণতার অসহায় মুখশ্রী দৃষ্টিগোচর হতেই হৃদয় হু হু করে কেঁদে উঠে।

____

আঁধারিয়া ধরণীর নীলাভ আভার রাত্রি আকাশে এক ফালি চাঁদ উঁকি দিয়েছে। গ্রীষ্মের রাত হলেও আজ সন্ধ্যা থেকে মৃদুমন্দ শীতল হাওয়া বইছে। একটা ভেজা মাটির ঘ্রাণ নাকে এসে লাগছে যেন! এই বুঝি বৃষ্টি নামল! সারাদিন তপ্ত রোদের গ্লানিতে হাঁপিয়ে উঠেছে পূর্ণতা। কোচিং এর পড়াগুলো শেষ করে আর বসে থাকার শক্তি পেল না। বইয়ের উপরেই মাথাটা এলিয়ে দিল। ঘড়িতে রাত নয়টা বেজে পয়ত্রিশ মিনিট। চোখে ঘুম নেমে আসছে যেন! ঠিক সেই মুহূর্তে মাথায় একটা হাতের আলতো স্পর্শ অনুভব করল। ধীরে ধীরে মাথায় হাত বুলিয়ে যাচ্ছে হাতটা। স্পর্শটা চিনতে পারল পূর্ণতা। সারাদিন ক্লান্ত হয়ে চোখজোড়া ঘুমে জড়িয়ে আসার সময় তার বাবা এভাবেই তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। এখন কি তাহলে বাবা এসেছে! এতদিন পরে কি বাবা আবারও তাকে আদর করছে! তবে কি সবকিছু ঠিক হয়ে গেল! ঝট করে মাথা তুলল পূর্ণতা। হ্যাঁ, তার বাবা দাঁড়িয়ে আছেন। পূর্ণতা মাথা তুলতেই তিনি বললেন,

‘ ক্লান্ত লাগছে বাবা?’

পূর্ণতার চোখ জলে চিকচিক করছে। সে বলল,

‘ হ্যাঁ বাবা। আমি ভীষণ ক্লান্ত।’

মেয়ের মুখ দেখে হয়তো মঈনুল হাসানের মন সিক্ত হয়ে উঠলো। নিজেকে সামলানোর জন্য তিনি বেরিয়ে যেতে যেতে বললেন,

‘ শুয়ে থাকো বাবা। সারাদিন অনেক ধকল গেছে। এখন আর পড়তে হবে না। রেস্ট নাও।’

পূর্ণতা বিছানায় গিয়ে বসল। ঘুম আসলে প্রায় সময়ই তার বাবা তার মাথায় বিলি কেটে দিতেন। সে বাবার পানে চেয়ে বলল,

‘ বাবা, আজ আমার মাথায় বিলি কেটে দিবে না?’

মঈনুল হাসান পেছন ফিরলেন না। বেরিয়ে যেতে যেতে বললেন,

‘ এখন বিলি কেটে দিলে তুমি ঘুমিয়ে পড়বে। তখন আর ডিনার করা হবে না। তাই একেবারে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমুনোর সময় বিলি কেটে দিব।’

মঈনুল হাসান ড্রিম লাইট জ্বালিয়ে দরজাটা ভিড়িয়ে চলে গেলেন। পূর্ণতার চোখ থেকে দু ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। এই যে আনন্দাশ্রু! পূর্ণতা স্নিগ্ধ হাসি হাসল। এমন সময় তার ফোন বেজে উঠলো। ‘অরিত্র’ ফোন করেছে। এই মুহূর্তে কোনো রাগ কাজ করছে না পূর্ণতার। সবকিছু ঠিক হওয়ার খুশিতে যেন সে সব রাগ ভুলে বসেছে। সে ফোন রিসিভ করে বলল,

‘আসসালামু আলাইকুম।’

‘ ওয়ালাইকুম আসসালাম। কেমন আছেন পূর্ণতারাণী?’

অরিত্রের কথায় হাসলো পূর্ণতা। এই মুহূর্তে তার মাথায় নেই যে সে কার সাথে কথা বলছে। এক প্রকার ঘোরের মধ্যে আছে। সে হেসে জবাব দিল,

‘ পূর্ণতারাণী খুব ভালো আছে। আপনি কেমন আছেন? ‘

প্রেয়সীর হাস্যার ঝংকার আর প্রফুল্ল কথায় থমকাল অরিত্র। এতদিন অবধি পূর্ণতা তার সাথে ঠিকমতো কথা বলতে চাইতো না। আর আজ তার কিনা এত পরিবর্তন! বিস্ময় আর খুশিতে অদ্ভুত অনুভূতি হলো অরিত্রের। ঠোঁটে সেই ঘোর লাগা মুচকি হাসি লেপ্টে রবীন্দ্রনাথের লেখা থেকে আবৃত্তি করে বলল,

‘আছে আমার হৃদয় আছে ভরে,
এখন তুমি যা খুশি তাই করো।
এমনি যদি বিরাজ’ অন্তরে
বাহির হতে সকলই মোর হরো।
সব পিপাসার যেথায় অবসান
সেথায় যদি পূর্ণ করো প্রাণ,
তাহার পরে মরুপথের মাঝে
উঠে রৌদ্র উঠুক খরতর।
এই যে খেলা খেলছ কত ছলে
এই খেলা তো আমি ভালবাসি।
এক দিকেতে ভাসাও আঁখিজলে,
আরেক দিকে জাগিয়ে তোল’ হাসি।
যখন ভাবি সব খোয়ালাম বুঝি
গভীর তাহারে খুঁজি,
কোলের থেকে যখন ফেল’ দূরে
বুকের মাঝে আবার তুলে ধর’।’

তারপর নিজেই বলল,

‘প্রেয়সীর সেই হাসিতেই যে আমার প্রাণটা যায় ভাসি,
মিষ্টি মুখের হাসিটা যে বড্ড ভালোবাসি।’

চলবে…

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ