হৃদয় গহীনে তুমি আছো পর্ব-০৩

0
568

#হৃদয়_গহীনে_তুমি_আছো।🦋
#লেখনীতে_ফাতিমা_তুয_যোহরা।
#পর্বঃ৩

বৃষ্টির রেশ শরীর বেয়ে শিহরন বয়িয়ে দিলে গাড়ি থেকে নেমে পরলো সিরাত। সাফিন এবার আর ছাতা হাতে সিরাতের জন্য নামলো না। ড্রাইভিং সিটে হেলান দিয়ে তাঁর দিকে মা’দ’কময় চাহনিতে তাকালো শুধু। বৃষ্টির প্রত্যেকটা শিশির বিন্দু সিরাতের চুল বেয়ে সর্বাঙ্গে ঝরিয়ে দিচ্ছে।
সাফিন একহাতে সিগারেট টেনে ধোঁয়া উড়িয়ে মৃদু হেসে পকেট থেকে একটা নীল খাম বের করে সিরাতের দিকে তাক করে ধীর কন্ঠে বললো।
— তোমার পেমেন্ট। আর হ্যা, কালকে ঠিক নয়টায় তোমাকে নিতে আসব বউ। উম্মাহ, এবার যাও ভিতরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আমাকে কল লাগাবে দেন দশবার আই লাভ ইউ সোনা বলে ফোন কাটবে।
—এহ, কাজ নাইতো সিরাতের আপনাকে আই লাভ ইউ সোনা বলতে যাবে৷ তাঁর থেকে সারারাত হিরো আলমের গান শুনে কাটিয়ে দেবে। (মনে-মনে কথাটা বলে নিজেই হাসতে থাকলো)
সাফিন পকেট থেকে তাঁর ফোনটা বের করে বললো।
— হেই তুমি হিরো আলমকে নিয়ে ভাবতাছো? ও এম ঝি! হাহাহা। তুমি চাইলে আমি এক্ষুনি ওর গান প্লে করে দিচ্ছি। একটা মাএ বউ আমার। তাঁর মনের বাশনা পূরন না করলে হয়।
—এই লোক আমার মনের কথাগুলো কিভাবে জেনে জান! ধুর জিজ্ঞেস করবো ওনাকে? নাকি মনে-মনে ভাবাই বন্ধ করে দেব।
— ইট’স সিক্রেট।তবে শুনো সিরাত, তোমার মনের কথা পড়ে ফেলা কোনো ব্যাপারই না বুঝলে। কারন তুমি আমার আ’ত্মা’র সাথে মিশে আছো। আমি চাইলেই তোমাকে হাত পা বেঁধে এখন আমার সাথে নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু আমি সেটা করব না কারন এখনও সেই সময়টা আসেনি। সিরাত সাফিনের দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে রাগ নিয়ে বললো।
—আমি কোথাও যেতে-টেতে পারব না বলে রাখলাম কালকে। আর টাকা দেখাতে আসবেন না আমাকে। যখন প্রয়োজন ছিল তখন নিয়েছি এখন প্রয়োজন নেই।
সাফিন হেসে উঠলো। বললো।
—বোকা বউ আমার। তোমাকে টাকা দেখাতে যাব কেন? আমার যাবতীয় সবকিছু তো তোমারই। এটা পেমেন্ট না কি সেটা পরে দেখো, বাই দ্য ওয়ে আমাদের বাসরটা এখনও হয়নি মেবি। আগেরবারতো নো টাসিং নো টাসিং খেলা চলছিল। নো টেনশন জানস,খুব শ্রিঘ্রই আমাদের বাসর হবে। আর হ্যা,ওইসব হিরো আলমকে নিয়ে ভাবা-টা’বা চলবে না। কি সুন্দর জামাই তোমার। তোমারতো আমাকে নিয়ে গর্ভ হওয়া উচিত। কথাটা বলেই সাফিন চোখ মারতে সিরাত রাগে ফুঁ’স’তে থাকলো।
—হ্যা আপনাকে নিয়ে তো আমার গর্ভে গর্ভব’তী হওয়া উচিত। ব’জ্জা’ত লোক একটা। ভাবেন সিরাত আপনার খেলার পুতুল।যখন ইচ্ছে বিয়ে করবেন যখন খুশি ছুঁ’ড়ে ফেলে দিবেন। এগুলো তো আপনার নে’শায় পরিনত হয়েছে এখন আমাকে নিয়ে। (মনে-মনে কথাটা বললেও মুখ থেকে টু শব্দও বের করতে পারলো না সে।)
সাফিন সিরাতের লাল হয়ে ওঠা ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসি হাসলো।
ধীর পায়ে নিজেও গাড়ি থেকে নেমে পরলো। সিরাতের খুব কাছে এসে তাঁর কালো রাঙা কাজলে আঁকা চোখে চোখ রাখলো। বৃষ্টির উষ্ণ’তায় সিরাতের চোখের প্রতিটি পাপরিতে শিহরন ঝরে পরছে। সাফিন সেদিকে গভীর ভাবে তী’ক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে সিরাতের কোমর জড়িয়ে কাছে আনতে নিতে সিরাতের লালরাঙা ঠোঁটের সাথে সাফিনের ঠোঁট বারি খেয়ে গেল। সাফিন মৃদু হেসে সিরাতের কানের কাছে মুখ এনে শীতল কন্ঠে বললো।
—ইউ আর সো হট বেব্বি।
সিরাত বিরক্ত হলো।রাগ নিয়ে সাফিনকে নিজের থেকে ছারানোর ব্যার্থ চেষ্টা করতে থাকলে সাফিন হেসে উঠলো। বললো।
—উফ সিরাত। তুমি এত সহজেই রেগে যাও কেন? তোমাকে রাগাতেও আমার খুব ভালো লাগে ট্রাস্ট মি জান। এই বলোনা একবার জান আই লাভ ইউ। বলোনা-বলোনা?
সিরাত দাঁতে দাঁত চে’পে সাফিনের দিকে চোখ রাঙিয়ে বললো।
—ছারুন আমাকে। আপনার টাকা নিয়ে আপনি চলে যান এখান থেকে। আপনার কাজ তো এটাই যে, যখন খুশি সিরাতের কাছে আসবেন আর যখন খুশি ছুঁ’ড়ে ফেলে দিয়ে চলে যাবেন। এইসব আদিখ্যে’তা আমাকে দেখাতে আসবেন না আর।
সাফিন হেসে উঠলো।তাঁর বৃষ্টিতে ভেজা চুলে ঝাড়ি দিতে তাঁর রিমঝিমে উষ্ণ’তা সিরাতের চোখে মুখে ছেঁয়ে গেলে সিরাত চোখ বন্ধ করে ফেলল।
সাফিন সিরাতকে আরও কাছে টেনে এনে সিরাতের ঘাড়ের কাছের এলোমেলো হওয়া চুলগুলো সরিয়ে কিস করে সুযোগ বুঝে সিরাতের হাতে খামটা ধরিয়ে দিল। শীতল কন্ঠে বললো।
—হাউ ফানি। তুমি আমাকে যা খুশি বলতে পারো কিন্তু আমার ভালোবাসাকে স’স্তা ভাববে না কখনো। ওটা রিয়াল।
—খুব সহজ তাইনা!
সাফিন সরে যেতে সিরাত ছলছল চাহনিতে সাফিনের দিকে তাকালো। সাফিন ভেজা শরীরে গাড়িতে উঠতে নিতে সিরাতও আর দাঁড়াল না হাতে থাকা নীল খামটা না দেখেই ছিঁ’ড়ে টুকরো-টুকরো করে সাফিনের দিকে ছুঁড়ে দিতে সাফিন হাসলো। সাফিনের হাসি দেখে সিরাত রাগ নিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকার সময় সাফিন বাঁধ সেধে ধীর কন্ঠে বললো।
—শোন সিরাত?
সিরাত থ’মকে দাঁড়াতে সাফিন শীতল কন্ঠে বললো।
—ভালোবাসি তোমাকে। এটাই লেখা ছিল খামে। বাট মাই ব্যা’ড লাক আমার বউ খামটা না দেখেই ছিঁড়ে ফেলেছে৷
সাফিনের শীতল কন্ঠের রেশ সিরাতের কান ঘেঁষে পৌঁছাতে হাতে থাকা পার্সটা নিচে পরে গেলে পার্সের ভিতরে থাকা ফোনটা ভে’ঙে গু’ড়িয়ে গেলে সাফিন হেসে উঠলো। বললো।
—৯৬!
সিরাত রাগ নিয়ে পিছু ঘুরে তাকাতে সাফিন হাসতে থাকলো। বললো।
—কুল বেব্বি। শাহনেওয়াজ সাফিনের বউ ৯৬ টা কেন ১০০ টা ফোন ভা’ঙলেও তাঁকে কিনে দেওয়ার সামর্থ্য আছে তাঁর। জাস্ট চিল।
—রাজনীতি ছেড়ে দিন তাহলে।
সাফিন ভ্রু জাগিয়ে সিরাতের দিকে তাকাতে সিরাত হাসলো।
—পারবেন না তো?
—ছেড়ে দেব কিনা জানিনা। বাট শর্ত আছে আমার। কালকে যেখানে নিয়ে যাব সেখানে সবার সামনে আমাকে লিফ কিস করে বলতে হবে জামাই আমি তোমাকে অনেক-অনেক ভালোবাসি। তখন ভেবে দেখব।
সিরাত চোখ বড়-বড় করে তাকালো।
—কিহ?
—কিহ না জ্বিহ বেব্বি। এখন নেও আমার এই ফোনটা রাখো নিজের কাছে, আমি কালকে ফোন কিনে দেব। নয়তো সারারাত জ্বা’লা’ব কাকে।
—আপনার ফোন আমি কেন নেব?
— তোমার এই একটা প্রবলেম বুঝলে সিরাত। বেশি-বেশি কথা বলো। আর একটা কথা বললে এখনই হাত পা বেঁধে আমার সঙ্গে তুলে নিয়ে গিয়ে বাসর করব। তখন ভালো হবে না বলো। সিরাত রাগে ফুঁ’স’তে-ফুঁ’স’তে বললো।
—সেই শখ তোর কখনো পূরন হবে না শ’য়’তা’ন। (মনে-মনে)
.
—কিরে সাফিন বৃষ্টিতে ভিজেছিস কেন? এক তুই আর এক তোর বাপ। সারাক্ষণ জ্বা’লি’য়ে রেখেছিস আমাকে। এই মা’রা>মা’রি খু’না>খু’নি আর ভালো লাগে না আমার। শখ করে ছেলের বউ এসেছিল ঘরে তাঁকেও তাঁড়িয়ে দিলি।
নিজের আম্মা আমেনা বেগমের কন্ঠে উৎক’ন্ঠা শোনাতে সাফিন হাতে থাকা গাড়ির চাবিটা সোফায় ছুঁ’ড়ে মেরে আমেনা বেগমকে চোখ মেরে বললো।
—ওহ আম্মা। আমিতো তোমার একমাএ ছেলের একমাএ বউয়ের সাথেই ডেটে গেছিলাম। ড্যাড আজকে রাতের ফ্লাটে বেড়িয়ে পরেছে মেবি এতক্ষণে।
আমেনা বেগমের চোখে মুখে খুশি চিকচিক করে উঠলো। বললো।
—রাখতো তের বাপের কথা। এর আগে কি বললি সেটা বল। তুই সিরাতের কাছে গেছিলি? কেমন আছে মেয়েটা?
—ফ্রেশ হয়ে আসছি তুমি বসো আমি এই যাচ্ছি আর এই আসছি। তারপর সব বলবো।
সাফিন উপরে চলে যেতে আমেনা বেগম টিভি ছেড়ে সোফায় বসে পরলেন৷
.
—স্যার ছেলেটার হাত পা ভে’ঙে দিয়েছি এখন নদীতে ভাসিয়ে দেব নাকি?
সাফিন ফোনটা লাউডে রেখে ওয়াসরুমে বসে বললো।
—না হাসপাতালে এডমিট করে সেল লাগিয়ে দেও যে ছেলেটা নির্বাচনে পে’দা’নি খেয়েছে আর শাহনেওয়াজ সাফিনের উদার মন তাঁকে হাসপাতালে এডমিট করে দিয়েছে।
জুবায়ের হেসে উঠলো। বললো।
—আপনার জবাব নেই স্যার। এলেম আছে বলতে হবে।
সাফিন হাসলো। বললো।
—শাহনেওয়াজ সাফিনের বউয়ের দিকে যে চোখ তুলে তাকাবে তাঁর চোখটাও উ’প’রে নেওয়া হবে।
জুবায়ের হাসলো।
.
—সাফিন তুই ছেলেটাকে ঠিক টাইমে হাসপাতালে এডমিট করে খুব ভালো করেছিস আব্বা। দেখ ছেলেটার কি অবস্থা করছে কারা যেন?
সকাল-সকাল নিউজে খবরটা ছেঁপে যেতে বাঁকা হাসলো সাফিন। সাদা রাঙা টিশার্ট পরে নিজের ব্রাউন্ট রাঙা চুলে সাই দিতে-দিতে নিচে নামলো সে। নিউজফিডে কালকের ছেলেটার হেডলাইন হয়ে গেলে ভ্রু নাচিয়ে নিজের আম্মার দিকে তাকিয়ে বললো।
—জানোই তো আম্মা তোমার ছেলে মানুষের বী’প’দের বন্ধু৷ মানুষের বি’পদে পাশে দাঁড়ানোই তো মন্ত্রীর ছেলের কাজ তাইনা? যাইহোক তোমার ছেলে তাঁর বউয়ের কাছে যাবে টিফিন কেরিয়ার করে দাও তাঁর বউকে এত সকালে রান্না করতে হবে না তাহলে।
আমেনা বেগম হাসলেন। বললেন।
—এমন না করে মেয়েটাকে বাড়িতে নিয়ে আয়।
সাফিন হাসলো।বললো।
—খুব শীঘ্রই।
আমেনা বেগম রান্না ঘরের দিকে চলে গেলে কালো রাঙা ড্রেস পরিহিত দুইজন গার্ড সাফিনের কোর্ট আর ঘড়ি নিয়ে এগিয়ে এসে পরিয়ে দিলে সাফিন তাদের কাঁধে হাত রেখে ধীর কন্ঠে বললো।
— সিরাতকে তো চিনো?
—জ্বী স্যার।
—গুড, তাহলে আজ থেকে টানা তিনদিন দিনরাত ওর বাড়ির সামনে গার্ড দিবে।
জুবায়েরের পরে এই দুইজন সাফিনের খুব কাছের লোক। মোহন আর হেলাল। সাফিনের কথা শেষ হওয়া মাএ হেলাল চোখ নিচু করে মৃদুস্বরে বললো।
— বড় সাহেবের অবর্তমানে বাড়ি ছেড়ে বাহিরে পাহাড়া দিতে যাওয়া ঠিক হবে না বোধহয়। সামনে নির্বাচন। যেকোন সময় এ্যা’টা’ক হতে পারে বাড়ির উপর। সাফিন হেসে উঠলো।
— শাহনেওয়াজ সাফিন ওসব ভয় করে না। আর আমার মন বলছে খুব শীঘ্রই সিরাতের উপর এ্যা’টা’ক হতে পারে। কিন্তু শাহনেওয়াজ সাফিন যতদিন বেঁচে আছে ততদিন তাঁর কলিজায় কেউ আঁচও ফেলতে পারবে না। যেটা বলছি সেটা করো। ইট’স মাই অর্ডার।
—আচ্ছা স্যার।
সাফিন হাসলো।
.
—জান উঠ রান্না শেষ অপিস যাবি না আজ?
তোহা সিরাতের দিকে পিটপিট করে তাকিয়ে আবার চোখ বন্ধ করে ফেলল।
—জান দশ মিনিট ওয়েট কর।
—রাখ তোর ওয়েট ফোয়েট করতে পারতাম নাই৷ প্রমোশন…
তোহা তরিঘড়ি করে উঠে বসলো। সিরাত হাসতে থাকলো। বললো।
—সেই ছিল দোস্ত। প্রমোশনে কি পারে৷
তোহা চোখ মুখ ভার করে মৃদু হেসে সিরাতের দিকে বালিস ছুঁ’ড়ে দিতে সিরাত ক্যাঁ’চ করে নিয়ে বললো।
—দিস ইজ নট ফেয়ার দোস্ত।
—ধুর ভালো লাগে না।
—যা ফ্রেশ হয়ে আস।এক মিনিট টাইম দ্রুত যাবি৷
—ওকে বেব্বি যাচ্ছি আমি।
সিরাত হেসে উঠলো।
সকাল-সকাল কলিং বেল বেজে ওঠাতে সিরাত বিরক্ত হলো। গ্যাসে ভাজির তরকারিটা পাওয়ার স্লো করে দিয়ে ধীর পায়ে এগিয়ে এসে দরজা খুলে দিতে সাফিন ভ্রু নাচিয়ে বললো।
—মাই গুডনেস বেবস। আমার বউ এত সকালে উঠে? আমি তো জানতামই না!
—এ ছাগল আবার সক্কাল-সক্কাল হাজির হলো কেন? শ’য়’তা’নে টানে মনে হয়। (মনে-মনে কথাটা বলে দরজা ছেড়ে দিতে সাফিন ফিতরে ঢুকে পরলো।)
—কি চাই এখানে?
সাফিন রুমটার চারপাশ দেখতে থাকলে জুবায়ের কেরিয়ার বাটিটা টেবিলে রাখলে সিরাত সেদিকে এক পলক তাকিয়ে সাফিনের দিকে তাকালো। বললো।
—সকাল-সকাল চলে এলেন যে?
—কালকেই বলে ছিলাম। আমার আবার বউকে ছাড়া ভালো লাগে না বেব্বি। বউয়ের এই গোল-গোল গালে চুমু না খেলে ঘুম হয়না৷ এতদিন যে কিভাবে থেকেছি সেটাই ভাবছি এখন। যাইহোক খবর শুনেছো?
সিরাত ভ্রু জাগিয়ে তাকিয়ে বললো।
—কিসের খবর?
—আরে বউ আমার খবরই দেখেনি। জুবায়ের।
—জ্বী স্যার?
সাফিন সিরাতের কোমর জড়িয়ে ধীর কন্ঠে বললো।
—নিউজটা দেখাও আমার বউকে।
জুবায়ের পকেট থেকে ফোনটা বের করে সিরাতের সামনে ধরতে দেখল।
—নির্বাচনে মা’র খেয়ে একটা ছেলের হাত পা ভে’ঙে নদীতে ভাসানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল৷ কিন্তু আমাদের প্রধান মন্ত্রী মো. মোস্তফা কামালের ছেলে শাহনেওয়াজ সাফিন তাঁকে নদীতে ফেলার আগে উদ্ধার করে হাসপাতালে এডমিট করেন।
সিরাত ফোনটার দিকে ড্যাব-ড্যাব করে তাকিয়ে জুবায়েরের হাত থেকে ফোনটা নিজের হাতে নিতে সাফিন হাসলো। বললো।
—এবার বুঝতে পারছো সিরাত? তোমার দিকে যে ছেলে চোখ তুলে পর্যন্ত তাকাবে তাঁর ঠিক এমন অবস্থা করে ছারব আমি।
—বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে না এটা!
—বাড়াবাড়ির আর দেখেছো কি তুমি? এবার দেখবে যে,তোমার বর তোমার জন্য কি-কি করতে পারে…

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে