#হৃদয়ের বন্ধ
পর্ব:13
#লেখিকা:Afshana Afrin
“”””সকাল দশটায় ঘুম ভেঙ্গে যাই তোর্সার। চোখ খুলে দেখে অর্নব বুকে শুয়ে আছে। তোর্সা অর্নবের মাথায় হাত বুলিয়ে ডেকে বলে উঠো অর্নব বাসাই যেতে হবে। অর্নব তোর্সা কে আরো গভীর ভাবে জরিয়ে ধরে। তোর্সা এবার একটু জুরে বলে অর্নব উঠবে তুমি? অরন্য বাসাই ও কাঁদবে প্লিজ। অরন্যর কথা শুনে অর্নব তারা তারি করে উঠে কাপড় পর নেই তোর্সা ও কাপড় পড়ে ওয়াশ রুমে ডুকে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে বেরিয়ে যা বাসার উদ্দেশ্যে। বাসার ভিতরে ডুকতেই দেখে অরন্য মুখ গুমরো বসে আছে আদি আর সার্ভেন্ট রা খাবারের জন্যে জোরাজুরি করছে। অরন্যর এক কথা খাবে না। তোর্সা আর অর্নব এক সাথে গিয়ে অরন্য কে জড়িয়ে ধরে। অরন্যর দুই জনের হাত সরিয়ে বলল ধরবে তোমরা ভালো না আমাকে রেখে চলে গেছ। তোর্সা আর অর্নব একসাথে কান ধরে বলে সরি সোনা কোথাও যাই নি আমরা আসলে একটু তারা তারি করে আজকে উঠেছি এরপর আমি আর তোমার ভাইয়া হাটছিলাম! হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূরে চলে যাই আচমকা আমি পরে যাই পায়ে ব্যথা পাই তাই তো তোমার ভাইয়া আমাকে নিয়ে ডক্টরের কাছে যাই,,, এটার জন্যে দেরী সোনা বাচ্চা আমার। তোর্সার কথা শেষ হতেই অরন্য তারাতারি করে তোর্সার পায়ে হাত দিয়ে বলল কোথায় লেগেছে তোমার ভাবি আম্মু বেশি ব্যথা করছে বলো আমি আদর করে দেই। তোর্সা হাত দিয়ে দেখায় অরন্য ছোট ছোট হাতে তোর্সার পায়ে মালিশ করে ফু দিয়ে বলল একদম ঠিক হয়ে যাবে। তোর্সা অরন্যর কে জরিয়ে ধরে বলে সরি আবার ও সোনা পাখি আর কখনো আমরা দুই জন তোমাকে রেখে যাবো না এই বার ভাইয়ার কাছে যাও আমি খাবার রেডি করি আমরা তো খাইনি সোনা তোমাকে রেখে। অরন্য লাফ মেরে অর্নবের কুলে উঠে গলা জরিয়ে ধরে অর্নব অরন্যর মাথায় চুমু খেয়ে বলল আমি ও সরি বাবু। অরন্য অর্নব কে বলে ইটস্ ওকে আমি তো বড়ো সব বুজি। অর্নব আর অরন্যর কথার মাজে তোর্সা খাবার নিয়ে হাজির হয়। অরন্য আর অর্নবের মধ্যে কানে বসে আছে তোর্সা । তোর্সা অরন্যর কে খাইয়ে দিচ্ছে আর অর্নব তোর্সা কে খাওয়াচ্ছে নিজে ও খাচ্ছে। এই ভাবে খাবার শেষ করে সবাই,,,””” তোর্সা অর্নব কে বলল আজকে অফিসে যাবে না আর তুমি যেহেতু পার্টি দিতে চাইছো না তাহলে আজ সারা দিন আমরা এক সাথে ঘুরবো। অর্নব বলল ডান আজ সারা দিন তোমার আর অরন্যর,, অর্নবের উওর শুনে খুশি হয়ে তোর্সা আর অরন্যর অর্নবের দুই গালে চুমু দেই।
“””” আজ যেহেতু পহেলা বৈশাখ তাই প্লান করে এখনি বের হবে ওরা। অর্নব তোর্সার কথায় সায় জানিয়ে উপরে যাই রেডি হতে। কিছু কন পর তিন জন রেডি হয় অরন্য আর অর্নবের পরনে সেইম ডিজাইনের পাঞ্জাবী লাল সাধা সিটের। পায়ে লুফার,, দুই জনের হাতেই ঘড়ি প্লাস সেইম সানগ্লাস দুইটা একটা ছোট সাইজ। তোর্সা অর্নব আর অরন্যর সাথে মেচিং করে লাল পারে সাধা সাড়ি পরে চিকন করে আচল দিয়ে কমরে বিচা পরে নেই। ঠুঁটে টকটকে লাল খয়েরি লিপস্টিক চোখে কাজল কপালে লাল টিপ নরমাল মেকাপ হাতে লাল চুরি চুল খুলা রেখে মাথায় ফুলের গাউন পরেছে। তোর্সা কে সিড়িতে দেখে হা হয়ে চেয়ে আছে দুই ভাই। অর্নব আর অরন্য এক সাথে বলল পরী! বলেই দুই জন দুই জনের দিকে তাকিয়ে আছে। তোর্সা নিছে নামতেই অরন্যর বলল আম্মু তুমি কি পরী? তোর্সা বলল এই পশ্ন কেন বাবা? অরন্য বলল পরীরা অনেক সুন্দর হয় তুমি ও তেমন তাই পরী তুমি। তোর্সা হেসে বলে ওকে বাবা আমি পরী। তোর্সা এই বার দুই জনের দিকে তাকিয়ে বলে বাহ কি কিউট লাগছে দুই জনকে কারো নজর যেন না লাগে বলেই আগে চোখের নিছে কাজল নিয়ে অরন্যর কানের পাশে লাগিয়ে দিয়ে কপাল চুমু খাই এরপর উঠে অর্নবের কানের পিছে কাজল লাগিয়ে কপালে চুমু খেয়ে বলল তোমাদের দুই জনের উপর যেন নজর না পরে কোন পেত্নীর । অর্নব আর অরন্যর তোর্সার দুই হাতের আঙ্গুলে কামর দিয়ে বলল আমাদের জানের উপর যেন ভূতের নজর না লাগে যদি লাগে আমরা তো আছি উজা হয়ে তারাবো বলেই তিন জন হেসে দেই।
তোর্সা আর অর্নব অরন্যর হাত ধরে গাড়ীতে বসিয়ে দেই। অর্নবের সামনে অরন্য সে চালাবে অর্নব ও অরন্যর আবদার মেনে নেই। এক ঘন্টা পর ওরা একটা বড়ো মেলায় আসে যার সারা টা ফুলে ফুলে সেজে আছে আসে পাশে সব কাপাল কারো পরিবার। তোর্সা আর অর্নবের হাতের আঙ্গুল ধরে হাঁটছে অরন্য। মেলায় নাগরদোলা দেখে অরন্য বাইনা ধরে উঠে অর্নব অরন্য কে আর তোর্সা কে নিয়ে উঠে দুই জনের মাজে অর্নব বসে আছে। নাগর দুলা চলতেই অরন্য আর তোর্সা অর্ণব কে জাপটে ধরে কুলে উঠার মতো। অর্নব হেসে দেই ওদের কান্ড দেখে। এরপর নেমে পুচকা হাওয়াই মিঠাই আরো অনেক কিছু খেয়ে ছবি তুলে। এই জায়গা থেকে বের হয়ে ওরা আরো বিভিন্ন জায়গাতে যাই ঘুরতে ঘুরতে রাত আট টা বেজে যাই। অর্নব অরন্য আর তোর্সা কে নিয়ে বি আই পি রেস্টুরেন্টে যাই। অর্নব আগে থেকে সব রেডি রাখতে বলেছিলো। অর্নব রা ডুকতেই ফুলের তোরা দিয়ে স্বাগত জানায়। তোর্সা আর অরন্যর ভিতরে ডুকে অবাক পুরো একটা কেবিন সাজানো ফুল আর বেলুন দিয়ে পাশে কেক রাখা তিন রকম সাধের সাথে বাঙালী সব রান্না। অর্নব আগে তোর্সা আর অরন্যর নিয়ে কেক কাটে এরপর খেতে বসে। সকালের মতোই অর্নব তোর্সা কে আর অরন্যর কে তোর্সা খাইয়ে দিচ্ছে। খাওয়া শেষ হতেই ওরা একটু রেস্ট নিয়ে বের হয়,,,,,, ওমনি কোথা থেকে তিন চারটা মেয়ে এসে অর্নব কে ঘিরে ধরে বলে ও মাই গড ক্রাশ আইকন সামনে! তুমি কিন্তু অনেক সুন্দর অর্নব। মেয়েটির কথা শুনে অর্নব রেগে বলে হাউ ডেয়ার ইউ ইডিয়েট তোমাকে কে অধিকার দিয়েছে আমার নাম ধরে ডাকতে ডাফার। অর্নব কে রাগতে দেখে তোর্সা অর্নবের হাত ধরে মেয়েদের দেখিয়ে একটু নেকা সুরে বলল হানি কুল! তোর্সার কথা শুনে মেয়ে গুলো এইবার দেখে অর্নবের বাহু জরিয়ে ধরে আছে অতি সুন্দর রমনী। চার জন তোর্সা কে দেখে অবাক এতো সুন্দরী রমনী এই মেয়ের তুলনায় ওরা কিছু না। মেয়ে গুলোর মাজে এক জন পশ্ন করে এই সুন্দর আপু কি হয় আপনার। অর্নব কিছু বলবে তার আগে তোর্সা বলে আমি অর্নবের বউ তোর্সা চৌধুরি। তোর্সার কথা শুনে মেয়ে গুলো বলে কিইই আপনি বিবাহিত ? তোর্সা বলে ইয়েস আর এই যে দেখতে পাচ্ছো পিচ্ছি ও আমাদের বেবি। মেয়ে গুলো বলল সত্যি আপনার বেবি ও?
অর্নব এইবার বিরক্ত মাখা কন্ট নিয়ে বলল শুনতে পাও নি তোমরা ও তো বাংলাই বলেছে যতো সব চলো তো জান বলেই অরন্য কে কুলে নিয়ে তোর্সার হাত ধরে বেরিয়ে যাই…..
চলমান…