#হৃদয়ের বন্ধন
#পর্ব:6
#লেখিকা:Afshana Afrin
“”দুপুর ১টা অর্নব এখন ও কাজ করছে দুইটা মিটিং শেষ করে আবার কিছু ফাইল নিয়ে বসেছে। কয়দিনে কাজের চাপে খাওয়া হয় না ঠিক মতো। অর্নব এক মনে ফাইল দেখছে হঠাৎ দরজার সামনে দাঁড়ানো অরন্যর ডাক শুনে সামনে থাকায়। অরন্য দৌড়ে অর্নব এর সামনে গিয়ে আদো আদো কন্ঠে বলে ভাইয়া কুলে চুমু। ছোট অরন্য কে দেখে অর্নব নিমিষে সব ক্লান্তি ভুলে কুলে তুলে চুমু খাই।
অরন্য ভাইয়ের গালে চুমু খেয়ে বলে মিস ইউ ভাইয়া তাই চলে এসেছি! অর্নব প্রশ্ন করে কার সাথে এসেছো আমার সোনা বাচ্চা? অরন্য কিছু বলতে যাবে তার আগেই তোর্সা বলে আমি নিয়ে এসেছি। তোর্সা কে দেখে অবাক অর্ণব তার চেয়ে বেশি অভাক তোর্সার হাতে খাবারে পেকেট দেখে। তোর্সা অর্নবের সামনে গিয়ে বলল এমন লুচ্চা দের মতো কি দেখেন জীবনে মেয়ে দেখেন নি? অর্নব দুষ্টমি করে বলে দেখেছি তবে তোমার মতো হট সেক্সি ফিগারে আগুন সুন্দরী দেখিনি। তোর্সা রেগে বলে নির্লজ্জ বেহায়া একটা , অর্নব হেসে দেই তোর্সার কথা শুনে।
অর্নব তোর্সা কে রাগানোর জন্যে আবার বলল তুমি মনে হয় আমাকে খুব মিস করছিলে তাই না বেবি? সেই জন্য তো অফিসে চলে এলে দেখতে! আমার যানামতে তো এমন কিছুই করিনি যে মিস করবে বলেই চোখ মারে। তোর্সা ভেং করে বলে টেকা পরছে আপনাকে মিস করতে লুচ্চা একটা আমি এসেছি অরন্যর জন্য ও আপনাকে ছারা লান্স করবে না আর আমার ও তো দায়িত্ব অরন্যর সাথে আপনারা খেয়াল রাখা । তোর্সার কথা শুনে অর্নব আর কিছু বলে না। তোর্সা অর্নব কে উদ্দেশ্যে করে বলে ফ্রেশ হয়ে আসেন খাবেন। অর্নব উওর দেই কাজ আছে অনেক প্লিজ পরে খাবো। তোর্সা দাতে দাঁত ছেপে বলে কাজ মাই ফুট আমি আর অরন্য এসেছি কি আপনার কাজ দেখতে? অরন্য বেশি কন না খেয়ে তাকতে পারে না তাই বলছি হাত মুখ ধুয়ে আসেন আমি খাবার রেডি করছি। অর্নব মাথা নাড়িয়ে ওয়াশ রুমে ডুকে যাই অরন্য আর তোর্সা অর্নব এর গেস্ট রুমে চলে যাই। অর্নবের গেস্ট রুমে বসে তিন জন খেয়ে নেই। তোর্সা সব গুছিয়ে অর্নব এর হাতে ওষুধ দিয়ে বলে খেয়ে নিন আজ থেকে অনিয়ম চলবে না। তোর্সার অধিকার আর শাসন দেখে অর্নব অবাক হয় এক দিনে মেয়েটা কতো খেয়াল রাখছে! মায়ের মৃত্যুর পর চার বছরে কেউ এই খেয়াল রাখেনি। অর্নব কিছু টা মন খারাপ করে বলে যানো চার বছর পর কেউ একজন শাসন করলো খেয়াল রাখলো মম মরার পর কেউ খেয়াল রাখেনি ছোট অরন্য কে খুব কষ্টে বড়ো করেছি আর নিজের দিকে মন দিতে পারিনি বলতে বলতে অর্নব এর চোখ দিয়ে এক ফোঁটা জল বের হয়।অর্নবের কথা শুনে তোর্সার মন টা খারাপ হয়ে যাই আর ভাবে একটা ছেলে কি করে এই পরিস্থিতি সামলেছে। তোর্সা অর্নবের চোখের জল মুছে দিয়ে বলে আমি আছি অর্নব আপনারা আর অরন্যর জন্য যতো দিন থাকবো একটুও অযত্ন হবে না আপনাদের। অর্নব তোর্সার হাত ধরে বলে সারা জীবন কি থাকা যাই না তোর্সা? অর্নব এর আকুতি ভরা কন্ট শুনে তোর্সা কিছুটা নরম হয়ে বলে সেটা পরে দেখা যাবে অর্ণব তিন বছর আছি আপনাদের সাথে আজ মাএ এক দিন হতেও পারে ভাগ্য সারা জীবন এক সাথে রাখতে পারে আমাদের। তোর্সার কথা শুনে অর্নব মনে মনে বলে তুমি নিজের অজান্তেই আমার হয়ে গেছ তোর্সা এই জন্মে মুক্তি নেই আমার থেকে। অর্নবের ভাবনার মাজে তোর্সা বলে আসি আমরা? অর্নব বলে ও হুম যাও সাবধানে যেও। তোর্সা অর্নব কে উদ্দেশ্যে করে বলে বেশি রাত করবেন না কাজ একটু কম করে চলে আসবেন বাসাই এসে না হয় করবে অরন্য না খেয়ে থাকবে আপনার জন্যে অপেক্ষা করবে। অর্নব পশ্ন করে তুমি? তোর্সা অর্নব এর নাক টিপে দিয়ে বলে আমার টেকা পরে নাই আপনার মতো লুচ্চা বেটার জন্য না খেয়ে থাকবো। অর্নব দুষ্ট মার্কা হাঁসি দিয়ে বলে আচ্ছা তাই আমি লুচু আজ বাসাই যাই পরে হবে। তোর্সা অর্নব এর গালে হাল্কা থাপ্পর মেরে বলে কচু হবে বলেই বেরিয়ে যাই অর্নব হেসে অরন্য কে কুলে নিয়ে বেরিয়ে যাই। তোর্সা আর অরন্য কে গাড়ী তে তুলে অরন্যর গালে চুমু দিয়ে ড্রাইভার কে বলে সাবধানে যাবেন গাড়ীতে আমার আত্মা আছে
ড্রাইভার হেসে গাড়ী স্টার্ট দেই অর্নব তোর্সা আর অরন্য কে টাটা দেই।
চলমান……….