স্বপ্নীল
৪৪
সেদিন ঢাকায় আসলেই সমুদ্র রোদকে বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি।রোদ সারাদিন বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। যদি সমুদ্র এসে তাকে বাড়িত্ব ঢুকতে দেয়।কিন্তু সমুদ্র আসেনি।
সন্ধ্যা নিজের বাপের বাড়িতে ফিরে আসে। বাপের বাড়িতে ফিরে এসেছে আজ সাঁতদিন হয়েছে।ঘর থেকে কোথায় বের হয়নি।সমুদ্রের শারীরিক অত্যাচারে শরীর যে খুবই দুর্বল ছিল।এভাবে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়াই মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে।তার ভুল ছিল। ক্ষমা ও চেয়েছে তারপর কেন সমুদ্র তাকে কাছে টেনে নিতে পারল না।
রোদকে বাড়িতে আসতে দেখেই তার বাবা -মা অনেক প্রশ্ন করে সমুদ্র আসে নাই কেন? সে বাবা -মাকে কোনো রকমে এটা সেটা বলে বোঝ দিয়েছে।তার বাবা মা ও আর কোনো কথা বলে না।
প্রাচ্য ফোন করল রোদ কে।অনেক্ষন ধরে তাদের কুশল বিনিময় হয়।প্রাচ্য বলল,
-” নীলের কথা শুনে এত বড় একটা কাজ করতে যাওয়ার আসে আমাকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করিস নি।”
-” তখনই মাথা ঠিক ছিল না।”
-” স্বপ্ন না বললেই জানতেই পারতাম না ভাইয়া তোর সাথে এমন আচরণ করেছে?
রোদ কিছু বলল না।তার বলার মত কিছু নেই।প্রাচ্য আবার বলল,
-” ভাইয়া আর তোর মধ্যে সব ঠিক ঠাক আছে তো? ”
রোদ তাদের ব্যাপারের কিছু বলল না।সুধু বলছে সে এখন বাপের বাড়িতে আছে।কয়েক দিনে জন্য বেড়াতে এসেছে।আগের থেকে সমুদ্র এখন স্বাভাবিক আচরণ করে তার সাথে এইটুকু বলেই মিথ্যেই বলল।সে সত্যিটা প্রাচ্যকে জানিয়ে সমুদ্রকে ছোট করতে চায় না।তাদের জামেলা তারা দুজনেই মিটমাট করবে। বন্ধুদের জড়িয়ে বন্ধুত্ব নষ্ট করার কোনো মানে হয় না।রোদ ঘোরানোর জন্য বলল,
-” তোদের বাসরে কি কি হয়েছে এখন যে আমায় বললি না।”
প্রাচ্য উদাসীন হয়ে বলল,
-” আর বাসর! ”
-” কেন তোদের হয়নি। ”
-” না! ”
রোদ আর্তনাদ কর বলল,
-” কি? তৃণ তোর সাথে কিছু করে নি সেটা আমায় বিশ্বাস করতে হবে।?”
-” সত্যি আমাদের মধ্যে কিছু হয়নি।”
রোদ এবার সিরিয়াস হয়ে বলল,
-” তোদের মধ্যে কি এখন আগে ওগুলো নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।”
প্রাচ্য রোদকে সব খুলে বলল। রোদ বলল,
-” বাসর হয়নি হবে।আমি আজকেই বিকালেই আসছি তোদের বাসায়।ফুলে ফুলে সাঁজিয়ে দিব তোদের বাসর।”
এভাবে অনেক কথা হয়।প্রাচ্য সাথে কথা বললেই কেন জানি তার মন ভালো হয়ে যায়।তার বান্ধুবীটা কত ভালো। আর বান্ধুবির ভাই টা আস্তো একটা খেঁচর। সে পণ করেছে যতদিন সমুদ্র তাকে নিতে আসবে না ততদিন ফিরে যাবে না তার কাছে।ফিরে না গেলে সমুদ্র উপরে নজর দারি করবে ঠিকই।স্বামী তারেই নজর রাখা উচিত।যদি কেউ তার জায়গা দখল করে নেয় সে না থাকা অবস্থায়।
তামিম সোহাকে কিচেনে দেখে এগিয়ে আসে।পিছন থেকে সোহাকে ঝাপটে ধরে।প্রথমে আঁতকে উঠলে ও পরে তামিমকে দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে সোহা।তামিম সোহার কানের লতিতে কামড় দিয়ে বলল,
-” কি রান্না করছো? ”
-” কৈ মাছের ঝোল।”
–” ভালো তো।তাহলে পেট ভরে খেতে হবে আজকে।”
সোহা শুধু হেসেছে।তার মনে হলো তারা বন্ধ করে ভিতরে নয়।তারা কিচেনে দাঁড়িয়ে আছে। এভাবে তাদের কেউ দেখে ফেললই কেলেঙ্কাররী হয়ে যাবে।নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে সে বলল,
-” ছাড়ুন কেউ দেখে ফেলবে।”
-” সব সময় এভাবে ছাড়ুন , ছাড়ুন না করে।এটা ও বলতে পারিস একটু ধরুন।”
সোহা লজ্জা নুইয়ে গেলো।সে বলল,
-” ধ্যাত! আপনার মুখে কিছু আটকায় না।”
-” এত লজ্জা কোথায় থেকে তুই পাস? একটু বলবি আমায়? জানলে একটু উপকার হতো।”
সোহা যেন লজ্জায় মরে যায়।তার মন যাচ্ছে এখান থেকে দৌড়িয়ে রুমে যেতে।রান্না জন্য তাও করতে পাচ্ছে না সে।তামিম বলল,
-” সোহা!”
-” হুম!”
-” তুই শাড়ি পড়তে পারিস না।”
-” আপনার কাছে আমি বিবাহিত হলে অন্য আট দশ জনের কাছে আমি অবিবাহিতা। অবিবাহিতা মেয়েরা শাড়ি পড়লে অনেক কথা বলবে।তাই পড়ি না।”
-” আমার না খুব ইচ্ছা করছে তোকে একবার বউ রুপে দেখতে।”
স্মিত হাসে সোহা।আবার রান্না মনোযোগ দেয়।তামিম আবার সোহাকে ডাকল।
-” আজকে শাড়ি পড়ে আমার ঘরে আসি। অপেক্ষা থাকব আমি। ”
সোহা কোনো কথা বলল না দেখেই।তামিম আবার বলল,
-” আসবি তো!”
তাদের এভাবে দেখে নীল খুকখুক করে কেশে উঠে।কারো উপস্থিত বুঝতে ফেরে তামিম সরে যায়।নীল কে দেখে সোহা লজ্জায় নুইয়ে যায়।আল্লাহ জানেই নীল এখন তাকে কি বলে? তামিম নীলকে দেখে মুচকি হেসে চুল হাঁতাতে হাঁতাতে বের হয়ে যায়।সোহা কাজ করতে থাকে। না জানি নীলের কি প্রশ্নে মুখে তাকে পড়তে হবে।যার জন্য এমন পরিস্থিতি পড়েছে সে কি সুন্দর ভাবে হেসে কেটে পড়েছে।নীল আবার খুকখুক করে কাশে।সে বলল,
-” কি করছিস!”
সোহা তোতলাতে তোতলাতে বলল,
-” রান্না করছি।”
-” ভাইয়ার সাথে কি করছিস।”
সোহা নীলের দিকে ঘুরে তাকায়।আমতা আমতা করে বলল,
-” কিচ্ছু না! ”
-” আমি কিন্তু দেখে ফেলে ছি।”
সোহার পেটের ভিতরে কামড় মারে। যেন তার পায়খানার চাপ এসেছে।আসলে কিন্তু তা নয়।সে বলল,
-” আ…আমি….!”
তার কথা শেষ হওয়ার আগেই নীল তাকে জড়িয়ে ধরে।সোহা হতভম্ব!নীল বলল,
-“অবশেষে ভাইয়া আর তোরা ভালোবাসা বাসি হয়েছে।”
সোহা একটা স্বস্তি নিশ্বাস ফেলে।নীল বলল,
-” আমাকে এত ভয় পাওয়ার কি আছে? এত ভয় ফেলে কি জীবন চলে।”
সোহার খুব ইচ্ছা করছে নীল বলতে তাদের বিয়ে কথা। কিন্তু তামিমের কথা ভেবেই আর বলে নি।তামিম যেদিন বলবে সেদিনে সবাইকে বলবে।
রাতের বেলায় সোহা যখন তামিমের রুমে আসার জন্য বিছানা থেকে নামল।তখন আমেনা উঠে বসে।ঘুম ঘুম চোখে মেয়েকে বলল,
-” কোথায় যাচ্ছিস তুই?
মাকে এভাবে উঠতে দেখে সোহা ঘাবড়ে যায়।কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে থাকে।মেয়েকে এভাবে ঘামতে দেখে আমেনা বলল,
-” গরম বেশি পড়ছে না,তাহলে তুই এভাবে ঘামছিস কেন? ”
ভয়ে সোহার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না।হাত, পা রীতিমত কাঁপছে।হাতের মধ্যে ওড়না এককোণা নিয়ে দলামোচোরা করছে।আমেনা বিরক্ত সুরে বলল,
-” কথা বলছিস না কেন?”
সোহা আমতা আমতা আমতা করে বলল,
-” কিছু না! ”
-” কোথায় যাচ্ছিলি তুই?”
-” পা- পানি খেতে! ”
খাটের পাশে পানির জগের দিকে তাকায় আমেনা।জগ ভর্তি পানি আছে।সোহার চোখ যায় পানির জগের উপরে।ভুল ভাল মিথ্যে বলে ফেলেছে।মা না জানি এখন আবার কি প্রশ্ন করে বসে তাকে
-” পানি এখানেই আছে বাহিরে যাওয়ার দরকার নেই।খেয়ে নিয়ে শুতে আয়।রাত অনেক হয়েছে।”
সোহা কাঁপা হাতে এক গ্লাস পানি ঢেলে ঢক ঢক করে করে খেয়ে ফেলে।ওড়না দিয়ে মুখ মুচে মায়ের সাথে শুয়ে পড়ে।বিছানায় শুয়ে তামিমের কথা ভাবতে থাকে।নিশ্চয়ই তামিম তার অপেক্ষা করছে।কথা দিয়েছিল সে তামিমকে।কিন্তু কথা রাখতে পারেনি।এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে ঘুমিয়ে পড়ে সোহা।তামিম অপেক্ষায় থাকে।সোহা বলছে আজ শাড়ি পড়ে তার ঘরে আসবে।
রোদ সন্ধ্যা বেলায় তৃণদের বাসায় চলে আসে।রোদকে দেখে খাদিজা মনে ভিতরে গাঁইগুঁই করছে অনেক্ষণ।দুই বান্ধবী অনেক্ষন সুখ, দুঃখের কথা বলে।রোদ প্রাচ্যকে তনয়ার রুমে নিয়ে আসে।কিছুক্ষনের জন্য ওই রুমে থাকতে বলছে রোদ, প্রাচ্যকে।তনয়া আর রোদ মিলে তৃণ’র রুম ফুল দিয়ে সাজিয়ে ফেলে।সাদা বিছানার উপর গোলাপের পাঁপড়ি দিয়ে লাভ শেভ বানায়।সেই লাভের ভিতরে প্রাচ্য আর তৃণ নাম লেখে।পুরো ঘরে মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয়।লাইট অফ করে বের হয়ে আসতেই তৃণ সাথে দেখায় হয় রোদের।অনেক্ষণ কথা হয় তাদের মধ্যে।তৃণ রুমে ঢুকতে নিলেই রোদ বাঁধা দেয়।মানা করে দেয় এখন রুমে ঢুকা যাবে না।তৃণ দরজা সামনে দাঁড় করিয়ে রোদ রুমে ঢুকে ক্লজেট থেকে পাঞ্জাবী আর পায়াজামা এনে দিয়ে বলল,”অন্য বাথরুমে যেতে।এই বাথরুমে এখন যাওয়া যাবে না।”রোদের কথা শুনে তৃণ’র ভ্রু কুঁচকে যায়।রোদ সেদিকে তোয়াক্কা না করে তৃণকে ঠেলে মেলে বাড়ির গেস্টরুমে বাথরুমে পাঠিয়ে দেয়।তারপর সোনালি পাড়ে একটা গোলাপি শাড়ি দেয় প্রাচ্যকে পড়ার জন্য।প্রাচ্য বলল,
-” শাড়ি পড়ে আছি।আবার চেঞ্জ করে এটা পড়ব কেন? ”
রোদ বিরক্ত নিয়ে বলল,
-” উফফ!কোনো কথা বলবি না। যা বলছি তাই কর।”
প্রাচ্য অনেকবার এসব করার কারণ জানতে চায়।রোদ কোনো কথা না বলে প্রাচ্যকে শাড়ি পড়াতে থাকে।অনেক বড় গলায় একটা সোনালী ব্লাউজ পড়তে বলে। বাধ্য হয়ে প্রাচ্যকে পড়তে হলো।ব্লাঊজের ফিতা লাগিয়ে দেয়, চুল গুলো খোঁপা করে বেলিফুলের গাজরা লাগিয়ে দেয়।ঠোঁটে গাঢ় করে গোলাপি লিপস্টিক লাগিয়ে দেয়।টানা চোখ গুলো কাজল পড়িয়ে দেয়।প্রাচ্য বিরক্তি নিয়ে বলল,
-” অসহ্য লাগছে? আর কতক্ষণ লাগবে।”
শাড়ি কুঁচি ঠিক করতে করতে বলল,
-” হয়ে গেছে! আর একটু বাকি?”
শাড়ি ঠিক করে একটু চিকন করে তুলে বুকের উপর দিয়ে।তখনই প্রাচ্য শাড়ি মেলে ধরে।রোদ বিরক্তি নিয়ে বলল,
-” এমন করছিস কেন? ”
-” যেভাবে শাড়ি পড়াচ্ছিস তুই।কোমর,পেট সব স্পর্শ ভাবে দেখা যাচ্ছে।খুব বাজে লাগছে।”
-” এগুলো যাতে দেখা যায়।সেজন্য এভাবে পড়াচ্ছিস তোকে?”
প্রাচ্য আর্তনাদ করে বলল,
-” কি? ”
-” হুম!যাতে এসব দেখিয়ে তৃণ কে ঘায়েল করতে পারিস।
রোদ আবার প্রাচ্যকে ওই ভাবে শাড়ি পড়িয়ে দেয়।প্রাচ্য ঠিক করতে গেলে হাত ধরে ফেলে।প্রাচ্যকে রুমে নিয়ে যায়।প্রাচ্য এসব আয়োজন দেখেই অবাক।আবার কিছুটা ঘাবড়ে যায়। তৃণ কি ভাববে?
-” কি দরকার ছিল এসব করার।”
-” দরকার ছিল বলে করেছি!তুই থাক তৃণ নিয়ে আসি।”
দরজার কাছে যে এ ফিরে আসে রোদ।প্রাচ্যকে বলল,
-” শোন আজ যে করেই হোক নিজের অধিকার আদায়ই করে নিব।”
-” কিন্তু…!”
তার আগের রোদ বলে উঠল,
-” কোনো কিন্তু তিন্তু নয়।তৃণ তোর কাছে না আসলে তুই যাবি।এত লজ্জা পাওয়া কিছু নেই।তৃণ তোর স্বামী।অন্য কোনো পর পুরুষ নয়।কেউ একজন আগে কাছে আসলেই চলে।তোর মত সুন্দরী তৃণ কাছে গেলে মুখ ফিরে থাকতে পারবে না ।”
প্রাচ্য লজ্জা পেয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে।রোদ বেরিয়ে যায়।প্রাচ্য ঠিক করে নেয়।আজকে দরকার পড়লে সেই নিজেই যাবে তৃণ কাছে।
ফুল গুলো হাত দিয়ে ছুয়ে ছুয়ে দেখে প্রাচ্য।তখনই রোদ তৃণকে নিয়ে ঘরে ঢুকে।প্রাচ্য ঘুরে তাকায় তাদের দিকে।তৃণ দিকে তাকায়,গোলাপি রঙের পাঞ্জাবী, সাদা পায়াজামা।দারুন লাগছে তৃণকে।চোখ তুলে তৃণ দিকে তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে ফেলে লজ্জায়।
তৃণ প্রাচ্যকে এভাবে দেখে ঘোর লেগে যায়। কি অপূর্ব লাগছ।চোখ ফেরাতে কষ্ট হচ্ছে।নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে রোদকে বলল,
-” এসব কি? ”
-” তুই ছোট খোকা, যে এসব বুঝিস না?”
-” সে কথা নয়।এসবের মানে কি? ”
-” এসব মানে হলো।আজকে তোদের বাসর।খুব সুন্দর হয়েছে তাই তো।এর জন্য আমাকে ধন্যবাদ সকালে দিতে পারবি।এখন এত কথা বলে টাইম নষ্ট করা মানে নিই।আমি চলে যাচ্ছি।দরজা আটকাইছ প্লিজ।”
তৃণ কে কথা বলতে না দিয়ে রোদ একনাগাতে কথা গুলো বলে বাইরে বের হয়ে যায়।কয়েক মিনিট পড়ে এসে বলল,
-” বাসর কিন্তু হতেই হবে। সকালে যদি দেখি তোদের মধ্যে কিছু হয়নি।আমার এই বাসর সাজানো বৃথা গেছে তাহলে তোর সাধের চুল একটা মাথায় থাকবে না।”
এটা বলে রোদ চলে যায়।তৃণ এক পা এক পা করে এগিয়ে যায় প্রাচ্য’র দিকে।তৃণ তার দিকে এগোতে দেখে প্রাচ্য পিছাতে থাকে।প্রাচ্য পিছাতে পিছাতে দেওয়ালে সাথে লেগে যায়। প্রাচ্য থেকে এক হাত দূরে দাঁড়িয়ে তৃণ বলল,
-” রোদ যখন এসব করছিল তখন মানা করতে পারিস নি।”
-” আমি কি জানতাম রোদ এসব করছে? আর জানলেই বা কি হয়েছে? এতে সমস্যা কি? ”
-” সমস্যা কি জানিস না তুই।”
-” না।”
ঘাড় এদিক ওদিক ঘুরিয়ে বলল,
-” ওয়াশরুমে যেয়ে এসব সাজ গোজ তুলে এসে রুমটা পরিষ্কার কর।”
প্রাচ্য মন খারাপ হয়ে যায়।প্রাচ্য না যেয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।তৃণ বলল,
-” এখানে দাঁড়িয়ে না থেকে যেটা বলছি সেটা কর!”
প্রাচ্য চোখ তুলে তাকায়।তৃণ চোখ সরিয়ে ফেলে। কাঁদো কাঁদো বলল,
-” কেন এমন করছিস? ”
-” আমি আবার কি করলাম?”
-” আমি কি চাই তুই বুঝিস না।”
-” তুই যেটা চাই সেটা দিতে পারব না আমি তোকে।”
-” কেন? ”
-” বলতে আমি বাধ্য নই।”
-” আমি তোর স্ত্রী। আমাকে বলতেই তুই বাধ্য।আমি আমার অধিকার চাই।”
-” তোর অধিকার আমি দিছি তোরে।”
-” আমি তোর ভালোবাসা চাই।”
প্রাচ্য কথায় তাচ্ছিল্য হাসে তৃণ।প্রাচ্য তৃণ’র পাঞ্জাবী মুঠো করে ধরে বলল,
-” হাসার কিছু বলি নাই।হাসছি কেন? ”
-” ভালোবেসে যখন তোকে চেয়েছিলাম তখন তুই আমায় ফিরিয়ে দিয়েছিস।তাহলে এখন কেন আমার ভালোবাসা চাস তুই।”
-” ভুল করেছি আমি।”
তৃণ কথা না বাড়িয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে।প্রাচ্য তৃণ দিকে তাকায়।প্রাচ্য মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে আজকে তাদের সম্পর্কের এপাড় করবে না হলে ওপাড়।। আজকে না হলে দুজন ভালোবাসে এক হবে, না হলে সারাজীবনে জন্য আলাদা হয়ে যাবে।কখনো আর আসবে তৃণ কাছে।
কাউছার স্বর্ণা।
আপনার যদি সাড়া দেন তাহলে প্রতি দিন একপর্ব করে দেওয়ার চেষ্টা করব।এখন আপনার সাড়া দেওয়ার উপরে ভিত্তি করছে।গল্পের পর্ব।