স্বপ্নীল ৪২

0
1242

স্বপ্নীল
৪২
-” কালকে জন্য সরি।”
নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে স্বপ্নকে বলল,
-” ইট’স ওকে।দোষটা আমার। আমি যদি আপনার কথা শুনতাম তাহলে আপনি আমার গায়ে হাত তুলতেন না।”
-” প্লিজ নীল আমায় ক্ষমা করে দিও।তখন আমি রেগে ছিলাম।তোমায় গায়ে তোলা আমার উচিত হয়নি।তোমাকে ভালো ভাবে বোঝালে হয়তো বুঝতে পারতে।”
-” বললামেই তো এটা নিয়ে আর কোনো কথা নয়।”
-” তাহলে কি তুমি আমায় ক্ষমা করে দিয়েছো।”
-” হুম!
দুজন আমার কিছুক্ষনের জন্য নিরব হয়ে গেলো।নীল বলল,
-” আমরা কি বন্ধু হতে পারি না!”
স্বপ্ন যেন ভুতের মুখে রাম রাম শুনছে।নীল তাকে বন্ধু হওয়ার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে।বিষয়টা বেশি সুবিধার মনে হচ্ছে না।আবার তার মন এইটা ও বলছে,যে হয়তো নীল বদলে গেছে।কালকে রাতে হয়তো সে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে।স্বপ্ন মুচকি হেসে নীলের সাথে হাত মিলায়।
রাতে খাওয়া দাওয়া পর সবার জন্য নীল লেবুর শরবত বানায়।স্বপ্নের গ্লাসে লেবুর শরবতে সাথে জামের গোঁটা মিশায়।যাতে সারারাত ধরে স্বপ্ন টয়লেট কাটায়। নীল সে ব্যবস্থা করছে।স্বপ্ন নীলের হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে মুচকি হেসে গ্লাসে চুমুক দেয়।নীল মনে মনে বলল,
-” খায় চান্দু! পরে টের পাবি।”

ঘুমানো সময় স্বপ্ন পেটের ভিতরে নাঁড়া দেয়।যথারীতি একবার সেড়ে এসে বাথরুমে বাইরে বের হলে আমার পেটে নাঁড়া দেয়।পেট চেপে ধরে আবার বাথরুমে ঢুকে।সে বুঝতে পাচ্ছে না তার এমন ভাবে বাথরুমে ধরছে কেন?আবার বের হলে দৌড়িয়ে যায় বাথরুমে।ধূসর হা করে স্বপ্ন কান্ড দেখছে।কি হচ্ছে বুঝতে পাচ্ছে না।অনেক বার যাওয়া আসার কারণে স্বপ্নর শরীর নিস্তেজ হয়ে আসে।পেট চেপে খাটে বসে।স্বপ্ন কে এতোবার বাথরুমে যেতে দেখে প্রথমে হাসি ফেলে এখন স্বপ্ন’র চেহারা দেখে ধূসরে চেহারা রঙে চেঞ্জ হয়ে যায়।সিরিয়াস হয়ে বলল,
-” এতত বার বাথরুমে যাচ্ছি! সমস্যা কি? ”
-” জানি না হঠাৎ করে লেবুর শরবত খাওয়ার পর,,,,
এটুকু বলে থেমে যায় স্বপ্ন।স্বপ্ন’র এখন মনে হচ্ছে নীল কিছু মিশাই নি তো।সে ধূসর কে বলল,
-” তুই লেবুর শরবত খেয়েছিস তো।”
-” হ্যাঁ।তোর বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনি।”
-” লেবুর শরবতের সঙ্গে বাথরুম যাওয়ার কি সম্পর্ক।”
-” লেবুর শরবত খাওয়ার পরে এইভাবে বাথরুমে দৌড়াদৌড়ি করছি।”
-এই শরবত নীল বানিয়েছে।তারমানে ওই তোর গ্লাস ইচ্ছা করে কিছু একটা মিশিয়েছ।”
-” হুম।”
-” কালকে থাপ্পড় মেরেছি তাই তোর এই বেহাল করেছে, শরবত খাইয়ে।”
-” এই শরবত খাওয়ানো জন্য সন্ধ্যা ধরে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলছে।”
কথা শেষ করার পরে স্বপ্ন আমার ডাক পড়ে বাথরুমে যাওয়ার ।এবাবে অনেকবার দৌড়াদৌড়ি করে। আর না পেরে স্বপ্ন আর বাথরুম থেকে বের হয়নি।ওখানেই সারারাত কাটাবে তার মনাস্তব করে ফেলে।
নীল আজকে একটা শান্তির ঘুম দেবে।আজকে এই বাঁদরটা শায়েস্তা করতে পেয়েছে।তার গায়ে হাত তোলার পরিনাম দেখিয়ে দিয়েছে।

সমুদ্র রুমে ঢুকে দেখে রোদ বারান্দা দাঁড়িয়ে আছে।সমুদ্র রোদের পিছনে যেয়ে রোদের কোমর হাত দেয়।রোদ এতটাই অন্যমনস্ক ছিল কেউ যেয়ে তা কোমর হাত দিয়েছে সেই খেয়াল নেই।সমুদ্র রোদের চুল সরিয়ে ঘাড়ে কামড় বসায়।সমুদ্র কামড়ে রোদের চেতনা ফিরে আসে।নিজের ঘাড়ে হাত দিয়ে সমুদ্র থেকে দূরে সরে যায়। সমুদ্র দিকে তাকায় রোদ। আজকে সমুদ্রকে হিংস্রমত লাগছে না।আগে যেরকম লাগছে সেই রকমই।তার মানে কি সমুদ্র তাকে মাফ করে দিয়েছে।রোদ সমুদ্র দিকে তাকিয়ে সব জল্পনা কল্পনা করতে তাকে।আর সমুদ্র রোদের কোমরে হাত দিয়ে আবার তার কাছে নিয়ে আসে।রোদের গলায় মুখ ডুবায়। সমুদ্র’র এরকম স্বাভাবিক আচারণ রোদের হজম হচ্ছে না।ঘটকা লাগছে।কি করতে চাইছে সমুদ্র? বুঝতে পাচ্ছে না।সমুদ্র হাত দেয় রোদের ব্লাউজে ফিতায়।দুইহাত দিয়ে ব্লাউজ ফিতা খুলে দেয়।সঙ্গে সঙ্গে রোদ বলে উঠল,
-” কি করছেন? ”
সমুদ্র কোনো কথা না বলেই রোদের কাঁধ থেকে ব্লাউজ নামাতে নিলেই রোদ বাঁধা প্রয়োগ করে। রোদের আর বুঝতে বাকি রইল না সমুদ্র কেন এত স্বাভাবিক আচরণ করছে।কিন্তু তার শরীর যে আজ খুবই দুর্বল। কালকের যন্ত্রণা এখন কমেনি। আজকে যদি আবার… তাহলে সে মরেই যাবে।সে অনুনয় সুরে বলল,
-” আমি খুব অসুস্থ। ”
সমুদ্র এই কথা শুনে কাঁধ থেকে ব্লাউজ টেনে ছিঁড়ে ফেলে। সমুদ্র উপরে যেন আবার সেই হিংস্রতা ভর করে।রোদের চুলের মুটি ধরে বলল,
-” তোকে বিয়ে করেছি আমার চাহিদা মিটানোর জন্য।তোর এসব বাহানা শুনতে নয়।”
সমুদ্রকে এভাবে রেগে যেতে দেখে রোদ কান্না করে দেয়।কান্না করতে করতে বলল,
-” আমি সবাইকে বলে দিব আপনি যেয়ে আমার সাথে এরকম করেন? ”
রোদের গালে দুটো চড় মারে সমুদ্র।চড় খেয়ে তাল সামলাতে না পেরে রোদ ফ্লোরে মুখ থেঁতলে পড়ে।সমুদ্র রোদের চুলের মুটি ধরে দাঁড়া করিয়ে বলল,
-” সবাইকে বলার বাকি রাখছিস কি? সব তো বলে দিয়েছি!কোথায় কোথায় কামড় দিয়েছি।কি কি করেছি তোর সাথে? সব স্বপ্ন আর ধূসর কে বলছিস।ওদের বলে কি লাভ হয়েছে? ওরা এসে আমাকে বোঝাবে আর আমি তোকে ভালো বেসে কাছে টেনে নিব।তাই তো?”

চুলের মুটি শক্ত করে ধরে রোদকে তার কাছে আনে।রোদ ব্যথায় আর্তনাদ করতে থাকে।সেই আর্তনাদ সমুদ্রের কানে পৌঁছেও না।রোদের চুলে নিচে হাত দিয়ে গলায় কামড় বসায়।ব্যথায় রোদ চটপট করতে থাকে।সমুদ্র কিছুটা কৌতুক করে বলল,
-” স্বামী ভালো বেসে গলায়, ঠোঁটে, ঘাড়ে, লাভ বাইট দেয়।সেগুলো কি স্বামীর বন্ধুকে দেখানো উচিত।”
-” জানোয়ারে মত কামড়িয়ে বলছেন এগুলো লাভ বাইট।”
সমুদ্র দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
-” জানোয়ার গিরি করার জন্য তুই বাধ্য করেছিস।শরীরে ঝাঁজ মেটানো জন্য আমার কাছে বিলিয়ে দিতে এসেছি স্ব- ইচ্ছা।”
এটা বলে রোদকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় ধপাস করে ফেলে দেয়।রোদ উঠে বসলে সমুদ্র তাকে টেনে শুয়ে দিয়ে বলল,
-” উঠবি না তুই।যতক্ষণ পর্যন্ত আমার চাহিদা মিটানো না হয়।”
-“আমি আপনার দুটো পায়ে পড়ি।আজকে জন্য আমায় ছেড়ে দিন।”
সমুদ্র শুধু তাচ্ছিল্য হাসে।রোদের বুকের উপর থেকে শাড়ি আচঁল সরিয়ে ফেলে।রোদ ছুটার জন্য চটপট করতে থাকে।পা,হাত দিয়ে সমুদ্রককে আঘাত করতে থাকে।তাই সমুদ্র রোদের শরীরে থেকে পুরো শাঁড়ি খুলে ফেলে।সেই শাঁড়ি দিয়ে খাটের সাথে হাত, পা বেঁধে ফেলে রোদের চোখের দিকে তাকায়, চোখে পানি টলমল করছে, চোখে আকুলতা ভরা। চোখে সরিয়ে ফেলে সমুদ্র।রোদ কে নিবারণ করার খেলা মেতে উঠে সে।যে খেলায় একজন সুখ কুঁড়ায় আরেক জন্য অসহ্য যন্ত্রণা দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে নিচ্ছে।

বিছানায় শুয়ে তৃণ চটপট করছে।চোখে ঘুম নেই তার।সন্ধ্যায় রুমের দরজা আটকিয়েছে আর খোলে নি সে।প্রাচ্য সাথে তার মা কি করেছে? সে জানে না।বের করে দিয়েছে নাকি আছে। সে কিচ্ছু জানে না।এত অশান্তি তার ভালো লাগে না।প্রাচ্যকে নিয়ে তার মায়ের কি এত সমস্যা বুঝে না সে।তখনই মাকে চুপ করার জন্যই প্রাচ্য থাপ্পড় মেরেছে।সে তো জানে প্রাচ্য সজ্ঞান কোনোদিন এমন কাজ করবে না।সে যদি তখন প্রাচ্যকে থাপ্পড় না মারত তাহলে তখন জামেলা আরো বাড়ত।প্রাচ্য কে থাপ্পড় দিয়ে সে অনেক বড় অন্যায় করে ফেলেছে।বিছানা থেকে উঠে দরজা খুলে বাইরে যায়।প্রাচ্য কোথায় আছে দেখার জন্য।নিচে এসে চারদিকে চোখ বুলায়।প্রাচ্যকে না দেখেই তার মনে একটাই প্রশ্ন জাগে। ‘ প্রাচ্য কি চলে গেছে? ‘ চলে আসতে নিলেই তৃণ চোখ যায় সোফায়।সোফায় গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে প্রাচ্য।তৃণ প্রাচ্য’র কাছে যেয়ে দেখে প্রাচ্য এখন ঘুমায়নি।জেগে আছে! প্রাচ্য পাশে বসে তৃণ।তৃণ দেখেও না দেখার ভান ধরে প্রাচ্য।তৃণ খুকখুক করে কাশে যাতে প্রাচ্য তার দিকে তাকায়।প্রাচ্যকে না তাকাতে দেখে তৃণ বলল,
-” চড় মারার জন্য সরি।”
প্রাচ্য কোনো কথা বলল না।তৃণ নিজের দুইহাত দিয়ে কান ধরে বলল,
-” স্যরি।”
প্রাচ্য উঠে দুহাত দিয়ে তৃণকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয়।তৃণ দুইহাত দিয়ে প্রাচ্য জড়িয়ে ধরে।অনেক্ষণ প্রাচ্য কান্না করে। প্রাচ্য বলল,
-“আমি ইচ্ছা করে ধাক্কা দিই নি।কিভাবে যেন মা পড়ে গেছে।”
-” আমি জানি। তুই কখনো মাকে ধাক্কা দিতে পারিস না।আমি রাগ করে তোর কথা না শুনে গায়ে তুলেছিস।তুই আমায় ক্ষমা করে দিস।”
-” হুম!
প্রাচ্য নাক টেনে বলল,
-” আমার খুব খিদে পেয়েছে।”
-” আমার ও খুব খিদে পেয়েছে।দেখি তোর শ্বাশুড়ি আমাদের জন্য কিছু রেখেছে কি না।”
দুজনে মিলে উঠে ডাইনিং যায়।টেবিলে উপরে খাবার ডাকা আছে। তৃণ সেই খাবার গুলো গরম করে আনে। খাবার সার্ভ করে দেয়।প্রাচ্য ঠোঁট উল্টিয়ে বলল,
-” খাইয়ে দেয়।”
তৃণ আর্তনাদ সুরে বলল,
-” কিহ!”
-” চড় মারার শাস্তি এটা।খাইয়ে দিতে হবে।”
-” পারব না আমি।”
প্রাচ্য মুখ বাঁকিয়ে বসে থাকে।তৃণ বাধ্য হয়ে খাইয়ে দেয়।প্রাচ্য সে প্লেট থেকে ভাত নিয়ে তৃণকে খাইয়ে দেয়।খাদিজা বেগমের রুমে পানি শেষ হয়ে গেছে।ডাইনিং আসে পানির জন্য।ছেলে আর ছেলের বউয়ের এসব কৃতি দেখে পানি না নিয়ে চলে যায়।আর মনে মনে বিড়বিড় করে বলল,
-” সামান্য কিছু করে লাভ হবে না বড় কিছু করতে হবে।যাতে এই মেয়ের জায়গা তিন্নিকে আনতে পারি।”
খেয়ে দেয় দুজনে রুমে আসে।প্রাচ্যকে বিছানায় শুতে বলে তৃণ সোফা শুয়ে পড়ে।প্রাচ্য বিছানায় শুয়ে তৃণ দিকে তাকিয়ে আছে।এত ছোট সোফায় তৃণ পা বাঁকা করে জড়োসড় হয়ে শুয়ে আছে।দেখে বোঝা যাচ্ছে কষ্ট হচ্ছে।তার পাশে শুলে কি হয়? তারা তো এখন স্বামী স্ত্রী।প্রাচ্য উঠে এসে বলল,
-” এত বড় বিছানায় দুজন শোয়ার জায়গা আছে।”
-” সুন্দরী মেয়ের সাথে সাথে একই বিছানায় শুলে নিজে কন্ট্রোল করতে পারবো না।এমনিতে তো চরিত্র ঠিক নেই।”
প্রাচ্য বুঝতে পারে তৃণ তাকে খোঁজা মেরে কথা বলেছে।নিজেকে সামলিয়ে সে বলল,
-” মাঝখান দিয়ে বালিশ দিয়ে বর্ডার তৈরী করে দিব।যাতে নিজে তুই কন্ট্রোল রাখতে পারিস।”
আমি এই কথা বলেছিলাম।যাতে দেখতে পারি তুই কি বলিস।আমি নিজের উপরে যথেষ্ট কন্ট্রোল রাখতে পারি।তুই যতটা খারাপ ভাবিস তত টা খারাপ না আমি।তৃণ কোনো কথা না বলে বালিশ নিয়ে উঠে এসে পাশ ফিরে শুয়ে পড়ে।প্রাচ্য বিছানায় মাঝখানে বালিশ দিতে দিতে বিড়বিড় করে বলল,” তোকে কে এতটা সতীগিরি করতে বলেছে।আমি তোর বউ।আমাকে ছুঁলে কি হবে? ”
শুয়ে পড়ে সে ও।ইচ্ছা করছে তৃণ বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে।ইচ্ছাটাই ইচ্ছায় রয়ে গেছে।সে বলল,

-” অপাশ করে শুয়ে আছিস কেন? এপাশ হয়ে শোও।”
প্রাচ্য কথামতে তৃণ প্রাচ্য দিকে মুখ করে শোঁয়।প্রাচ্য চোখে দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে ফেলে।আজ যদি সব ঠিক থাকত।তাহলে প্রাচ্যকে বুকের খাঁচায়বন্ধী করে জড়িয়ে শুয়ে থাকত।কিন্তু সে তো আর হলো না। সবার সব ইচ্ছা কি পূরণ হয়।তৃণ একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে প্রাচ্যকে বলল,
-” গুড নাইট। ”
তারবিনিময় প্রাচ্য কিছুই বলল না।

আজকে সবাই ঢাকা চলে যাবে।সবাই ব্যাগ গুছিয়ে নিচ্ছে।কিছক্ষনের মধ্যে সবাই বের হবে।রোদ বড়দের সবাইকে সালাম করে নেয়।শায়লা আর ঢাকা ফিরবে না বলে দিয়েছে
সমুদ্রকে।এতদিন যে দুই ছেলে মেয়েদের জন্য ঢাকায় থাকা লাগত সে দুই ছেলে মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে।তিনি মনে করেন রোদ যখন আছে তাহলে ঢাকা যাওয়ার আর কোনো প্রয়োজন নেই।তিনি পুরো ফ্যামিলি সাথে গ্রামে থাকতে চায়।গ্রামে নির্মল বাতাসে প্রান জুড়াতে চায় যে কয়দিন বাঁচে।সমুদ্র ঢেকে শায়লা বলল,
-” যা হয়েছে সব ভুলে নতুন জীবন শুরু করবে। রোদের খেয়াল রাখবে।ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করবে না।”
সমুদ্র রোদের কথা শুনতে আগ্রহ নই।সে মাকে বলল,
-” তুমি চলো আমার সাথে।”
-” আমি যাবো মাঝে মাঝে।তোদের নতুন সংসার দেখে আসব। রাত করে বাড়ি ফিরবি না।কাজ সেড়ে তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে আসবি।আর হ্যাঁ বাইরের খাবার খাবি না।রোদ আমি বলে দিয়েছি বাড়িতে যেন রান্না করে।”
সমুদ্র শুধু মাথা নাঁড়ায়।মাকে সালাম করে বেরিয়ে যায় সে। নীল সমুদ্রকে পিছু ডাকে।সমুদ্র এগিয়ে আসে।
-” কিছু বলবি?”
-” তোমার সাথে কিছু কথা আছে? ”
-” বল!”
-” রোদ ভাবি কোনো দোষ নেই।”
সমুদ্র চুপ করে থাকে।নীল বলল,
-” ভাবি তোমাকে খুব ভালোবাসে।ভাবি তোমার ভালোবাসার পাওয়ার জন্য এই কাজ করেছে।তাতে ভাবি কোনো দোষ নেই।সব দোষ আমার।
তোমার প্রতি ভাবির ভালোবাসা দেখে এই কাজ করতে আমি বলেছি।ভাবিকে কান্না করতে দেখে আমার খুব খারাপ লাগছিল।তাই আমি সেদিন ভাবিকে কুবুদ্ধিত দিয়।আমি ভেবেছি দাদু শুধু কিছু কটুকথা বলবে তারপর তোমাদের বিয়ে দিয়ে দেব। আমি বুঝতে পারিনা দাদু এমন কিছু করবে।তোমার সম্মান নিয়ে শুধু ভাবি খেলা করি নি আমি ও করেছি।আমায় তুমি মাফ করে দিও।”
নীল কান্না করতে করতে কথাটুকু শেষ করে।সমুদ্র বোনকে জড়িয়ে ধরে বলল,
-” কান্না করিস না তুই।আমি তোর উপরে রেগে নেই।তোকে কবেই আমি মাফ করে দিয়েছি।”
নীল মাথা তুলে তাকায়।সে বলল,
-” তাহলে রোদ ভাবিকে মাফ করে দিও।”
সমুদ্র কোনো কথা বলল না। নীলকে ছেড়ে দিয়ে বলল,
-” আসি।সবার খেয়াল রাখিস।পাগলামো করিস না।”
রোদ পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখে রোদ আর স্বপ্ন তাকিয়ে আছে।স্বপ্ন দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে ফেলে।রোদের কাছে এসে বলল,
-” আমাকে ক্ষমা করে দিও।আমার জন্য ভাইয়া তোমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে।”
রোদ নীলকে জড়িয়ে ধরে বলল,
-” ক্ষমা তুমি কেন চাচ্ছো।তোমার জন্যই তো আমার ভালোবাসার মানু্ষকে নিজের করে পেয়েছি।ভালো থেকো আসি।”
এটা বলে রোদ চলে যায়।স্বপ্ন বলল,
-” এমন পাগলামো করা উচিত না যে সব পাগলামোর মানু্ষকে কষ্ট দেয়।”
নীল আবার নিজের ফর্ম ফিরে আসে।রাগী রাগী ভাব এনে বলল,
-” তাতে আপনার কি? ”
স্বপ্ন নীলের দিকে ঝুকে বলল,
-” আমারই সব।”
নীল স্বপ্নের বুকে দুহাত দিয়ে ধাক্কা মেরে বলল,
-” জামের গোঁটার শরবত খেয়ে রাত কেমন কেটেছে।”
স্বপ্ন হাসতে হাসতে বলল
-” ভালোই।
নীল ও হেসে দেয়।স্বপ্ন বলল,
-” ফোন দিলে ধরো কিন্তু।”
ধূসর সোহার দিকে তাকায়।যাকে দেখে মনের মনিকোটায় ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে।সেই ভালোবাসা ঝরে গেছে।তার মায়াবতী ভালো থাকুক। সেই দোয়াই করবে সে।চোখে কার্নিশে জমে থাকা পানি মধ্যমা আঙ্গুলের ডগা দিয়ে এনে ঝেড়ে ফেলে দেই।মুচকি হেসে এগিয়ে যায়। ধূসরের সেই কান্নামিশ্রত পানি সোহার চোখে এড়িয়ে যায়নি।

#কাউছার স্বর্ণা
পেইজে মেম্বার ২৬০০ কিন্তু লাইক পড়ে ১০০ বা ১৫০ সাড়া এত কম কেন? সাড়া পাইনা বলে লেখার প্রতি মন উঠে গেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে