স্বপ্নীল
৪১
সকালের মিষ্টি আলোয় সোহার ঘুম ভাঙ্গে।বিছানা থেকে উঠতে গেলে দেখে তাকে কেউ সাপের মত জড়িয়ে ধরে আছে। দুই হাত দিয়ে দুচোখ কঁচলাতে থাকে। ভালো করে তাকিয়ে দেখে তামিম তাকে জড়িয়ে ধরে আছে।কালকে রাতে তামিম তাকে এখানে এনেছে।হঠাৎ করে মনে পড়ে যায়।তাকে কেউ তামিমের ঘরে দেখলে মহা কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।তামিমের হাত ছাড়িয়ে উঠতে গেলে তামিম আরো ঝাপটে ধরে তাকে।শেষমেষ উঠতে না পেয়ে সে বলল,
-” আরে ছাড়ুন।”
-” উহু!”
-” সকাল হয়ে গেছে। মা আমাকে হয়তো খুঁজছে।”
-” খুজুক।”
সোহা তামিমকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ফেলে নিচে নেমে যায়।গায়ে ওড়না ঠিক করে নেয়।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করে। তামিমের দিকে ঘুরে ভেঙচি দিয়ে বেরিয়ে আসে।দরজা খুলে উঁকি দেয় কেউ আছে কি না এখানে?কাউকে না দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে।আবার পিছন ফিরে তামিমের দিকে একনজর দেখে।বুকের নিচে বালিশ দিয়ে তামিম উপুড় হয়ে শুয়ে আছে বাম দিকে মুখ করে। হেসে দেয় সোহা।তার পর দরজা ভিজিয়ে দেয়।সোহা ফ্রেশ হয়ে কিচেনে আসে।আমেনা বেগম পরোটা ভাজতে ভাজতে মেয়েকে বলল,
-” সকালে কই ছিলি?”
মায়ের কথায় কি উত্তর দেবে ভেবে পায় না সে।কি বলে এখন মাকে বোঝাবে?ভাবতে ভাবতে মাথায় হুট করে একটা বুদ্ধি আসে।কোনো মত এটা বলে এই যাত্রা বাঁচলে হইছে।
-” আজকে তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙ্গে গেছে।তাই একটু বাগানে হাটাহাটি করছিলাম।”
পরোটা উঠিয়ে আরেকটা পরোটা তেলে ছেড়ে দিয়ে বলল,
-” অন্যকোনো দিন আমার আগে তোকে উঠতে দেখিনি তাই আরকি? ”
সোহা কথা ঘোরানোর জন্য বলল,
-” দেখি তুমি সরো তো।অনেক ক্ষন তুমি ছেঁকছিলে এখন আমায় একটু দাও।”
এটা বলে মাকে সরিয়ে নিজে কাজ করতে থাকে।
ভার্সিটি দিন গুলো ছাড়া প্রাচ্য বরাবরে লেট করে ঘুম থেকে উঠে।আজকে সে লেট করে ঘুম থেকে উঠেছে।তার শ্বাশুড়ি বলল,
-” এই নবাবের বেটি।এটা তোমাদের বাড়ি না যে, যখন তখন ঘুম থেকে উঠলে হইছস।এই বাড়িতে থাকতে হলে সাঁত সকাল বেলা উঠতে হবে।”
খাদিজা কথা শুনে কান্না যেন প্রাচ্য’র গলা বেঁধে আসছিল। তাদের বাড়িতে কেউ কখনো এমন কথা বলেনি তাকে। এই সামান্য কথা যেন তার কাছে বিশাল।ছলছল চোখে শাশুড়ি দিকে তাকায়।খাদিজা সেদিকে খেয়াল না করে আবার বলে উঠল,
-” ফজরের নামায পড়েছিলে!”
প্রাচ্য মাথা নেঁড়ে না জানায়।খাদিজা হায় হায় করে বলল,
-” আমার তৃণ! এই কী মেয়ে ধরে এনেছে।যে মেয়ে নামায কালাম ধারে নেই।আমার সংসার বুঝি এই শেষ হলো।”
শাশুড়ি কথায় প্রাচ্য এবার অপমানিত বোধ হয়।নিচের দিকে তাকিয়ে
পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে ফ্লোর খোঁচাতে থাকে। খাদিজা ক্রোধে ফেটে পড়ল।
-” বাপের বাড়িতে মনো হয় নামায কালাম ধারে দিয়ে যাও নি।আমার এই বাড়িতে থাকলে হলে নামায পড়তে হবে নিয়মিত। না হলে এই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে হবে।”
এটা বলে তিনি রান্না ঘরে চলে যায়।প্রাচ্য নিয়মিত ওই বাড়িতে নামায না পড়লে মাঝে মাঝে পড়ত। শাশুড়ি বলা কথা শুনে ঠিক করেছে কাল থেকে আর ফজর নামায মিস দিবে না।এবার থেকে নিয়মিত নামায পড়বে সে। খাদিজা গলা খ্যাঁকিয়ে বলল,
-” সঙের মত দাঁড়িয়ে না থেকে রুটি বেলতে আসো।”
রুটি আবার কেমন জিনিস।যা বেলতে হয়। রুটি বলে মনে মনে আওড়াতে থাকে।স্বাভাবিক কন্ঠে সে বলল,
-” রুটি কি মা? ”
খাদিজা এই কথা শুনে নিজের কাজ রেখে প্রাচ্য দিকে তাকায়।শাশুড়িকে এভাবে তাকাতে দেখে ভড়কে যায় সে।সে কি ভুল কিছু বলেছে না কি? আমতা আমতা করে বলল,
-” আমি কি ভুল কিছু বলেছি নাকি! ”
খাদিজা প্রাচ্য’র পাশ কেটে ড্রয়িং রুমে এসে জোরে জোরে তৃণ বলে ডাকতে থাকে ।মায়ের এই ডাকে তৃণ আর তার ছোটবোন তনয়া রুম থেকে বেড়িয়ে আসে।তৃণ উদ্বিগ্ন কন্ঠে বলল,
-” কী হয়েছে মা! ”
-” এই মেয়ে তুই যেখান থেকে নিয়ে এসেছি সেখানে ফেলে আস।”
তৃণ প্রাচ্য দিকে তাকিয়ে মাকে বলল,
-” কথা না প্যাঁচিয়ে সোজাসুজি বলো? কি হয়েছে? ”
-” এই মেয়ে আমায় বলে রুটি কি? বুঝতে পাচ্ছি তুই।এই নবাবের বেটিকে বিয়ে করে এনেছিস তুই। আমার সংসার ধংস করার জন্য।এক্ষুনি বের কর।”
তৃণ মহাবিরক্ত নিয়ে বলল,
-” ওহ, মা তুমি কি শুরু করেছো?ওরা কি আর আমাদের মত রুটি আর ভাজি দিয়ে সকালে নাস্তা করে? ও কখনো এসব খেয়ে কি না সন্দেহ আছে? ও হয়তো রুটি কি সেটাই চিনে না।তাই তোমাকে জিজ্ঞেস করেছে? এটা নিয়ে এভাবে চিৎকার করার কি আছে। ”
খাদিজা ছেলে উপরে খেঁকিয়ে উঠে বলল,
-” চিৎকার করব না তো কি করব। এই মেয়ে রুটি কি সেটাই চিনে না।আমার এখন মনে হচ্ছে এই মেয়ে রান্না ঘরে আদৌ কোনোদিন ঢুকে কি না সন্দেহ আছে? তুই আমার সংসার ধংস করার জন্য এই মেয়ে বিয়ে করেছিস।”
তৃণ চিৎকার করে বলল,
-” বার বার এক কথা বলো কেন মা তুমি?রান্নার না পারার সাথে তোমার সংসার ধংসের সাথে কি মিল রয়েছে?
-” বিয়ে না করতে করতেই মায়ের উপরে জোর গলায় কথা বলছিস।কয়দিন পর মনে হয় এই বাড়ি থেকে আমাদের কে বের করতে দ্বিধা করবি না।”
তৃণ রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে।সে বলল,
-” উফ মা! থামো তো।এই সব কি বলছো তুমি?”
প্রাচ্য আর চুপ থাকতে পারলো না।সে তৃণকে বলল,
-” আমাদের বউ শাশুড়ি মধ্যে তুই প্লিজ কথা বলিস না।”
তৃণ রাগে হনহন করে হেঁটে চলে যায়। তার এখন একটাই কথা মনে পড়ছে ‘ যার জন্য করলাম চুরি সে বলে চোর।’ প্রাচ্য এবার শাশুড়ি কে বলল,
-” সোনার চামচ মুখে ম নিয়ে জন্মে ছিলাম। কষ্ট, দুঃখ কেউ ছুঁতে দেয়নি।সবার আদর ছিলাম বলেই ভালোবাসা দিয়ে সবাই আগলে রেখে। নিজের কাজ করার আগে চাকর বাকর হাজির হয়ে যেত। তাই এসব শিখার প্রয়োজন বোধ করিনি।”
এটুকু বলে থেমে আবার বলল সে,”কাজ পারি না। তার মানে এই নয় আমি আপনার সংসার ধংস করব।সংসারে যা যা করতে হয় সব শিখে নিব।”
খাদিজা মুখ বাঁকিয়ে বলল,
-” কাজ শিখে উল্টিয়ে ফেলবে।”
এটা বলে কিচেনে চলে যায়।খাদিজা সব কাজ করছে।প্রাচ্য করতে গেলে তাকে মানা করে।তার রান্না ঘরের কোনো জিনিস যেন হাত নাহ দেয় তার জন্য সাফ সাফ মানা করে দিয়েছে।
সাজেক যাওয়া নিয়ে অনেকদিন অফিসে যাওয়া হয়নি,আবার প্রাচ্য বিয়েতে যাওয়া নিয়ে অনেকদিন যাওয়া হয়নি। আজকে তৃণ অফিসে যাবে।আয়না দাঁড়িয়ে টাই বাঁধতে থাকে।প্রাচ্য খাটের উপরে বসে আড়চোখে তৃণ দেখছে। ফরমাল ড্রেস আপে কি সুন্দর না লাগছে?তখনই হুট করে একটা মেয়ে এসে তৃণকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে।আচমকা এমন ঘটবে প্রাচ্য’র ধারণার বাহিরে ছিল।প্রাচ্য চোখ দুটো বড় বড় হয়ে যায়। প্রাচ্য উঠে দাঁড়ায়।তৃণ মেয়েটার দিকে ঘুরে দুইহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে। প্রাচ্য বুঝতে পাচ্ছে না কে এই মেয়ে? আর এই মেয়ে তৃণকেই জড়িয়ে ধরছে আবার তৃণ এই মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরছে।তখনই তৃণ বলল,
-” অফিসে যাবো তিন্নি।এখন ছাড়ো। ”
তিন্নি।তৃণে মায়ের মুখে কালকে শুনেছে তিন্নি নামের কোন মেয়ে সাথে তৃণ’র বিয়ে ঠিক হয়েছে। তার মানে কি এই সেই তিন্নি।প্রাচ্য চোখ আগের চেয়ে দ্বিগুন বড় বড় হয়ে যায়। তৃণ দিকে তাকায়।তৃণ তিন্নি নিয়েই ব্যস্ত। তিন্নি জড়িয়ে ধরা অবস্থাই বলল,
-” আজ অফিসে না গেলে হয় না। চলো না দুজন মিলে শপিং যাই।”
তৃণ প্রাচ্য’র দিকে তাকিয়ে বলল,
-” ঠিক আছে!আজকে অফিসে যাওয়া ক্যানসেল।তোমাকে নিয়ে যাবো।”
তিন্নি খুশিতে গদগদ হয়ে তৃণ গালে চুমু খায়।প্রাচ্য হা হয়ে তাকিয়ে ছিল।তার সামনে তার ভালোবাসার মানুষকে কিস করল অন্য কেউ ভাবতেই পাচ্ছে না।একটু আগে যখন প্রাচ্য তৃণকে আজকে অফিসে যেতে বারণ করেছে তখন তৃণ রাগ দেখিয়ে অনেক কথা বলেছে।আজকে অফিসে না গেলে ক্ষতি হবে।। আর এখন এই মেয়েটা বলছে বলেই কি সুন্দর রাজি হয়ে গেলো। এখন আর কাজে ক্ষতি হবে না।বুক ফেটে কান্না আসছে তার।কত বার মাফ চাইছে তারপর কেন তৃণ তাকে এত কষ্ট দিচ্ছে।তার সামনে অন্য কাউকে গলায় জড়িয়ে ধরে রেখেছে।সে আর একমুহূর্ত দেরী না করে বাথরুমে চলে যায়।প্রাচ্যকে চলে গেলে তিন্নিকে দূরে ঠেলে দেয় তৃণ।তিন্নি বলল,
-” চলো? ”
-” তুমি কখন এসেছো?”
-” এই মাত্র এসেই তোমার কাছে এসেছি। ”
তৃণ আর কিছু বলল না।তারা চলে যাওয়ার পর প্রাচ্য রুমে এসে কান্না করতে থাকে।সন্ধ্যা র দিকে তৃণ বাসায় আসে।রুমে ঢুকে দেখে প্রাচ্যজড়সড়ো হয়ে বসে আছে।প্রাচ্য পায়ের আওয়াজ পেয়ে চোখ তুলে তাকায়। তৃণ আয়নায় দাঁড়িয়ে গলায় টাই খুলছে।প্রাচ্য উঠে যে তৃণ পিছনের শার্ট দুইহাতে টেনে ধরে খাটের উপরে ধাক্কা মারে।তারপর তৃণ বুকের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে।তৃণ ঘটনায় আকস্মিক। বড় বড় চোখে করে তাকায়।প্রাচ্য তৃণ দিকে না তাকিয়ে তৃণ’র কলার দুহাতে চেপে ধরে বলল,
-” ঘরে বউ রেখে অন্য মেয়ে সাথে শপিং যাওয়া হচ্ছে।আমি মরে গেছি নাকি। অন্য মেয়ের সাথে শপিং যাবি তুই?”
তৃণ’র বুকে মারতে মারতে বলল প্রাচ্য।তৃণ প্রাচ্যকে বুকের উপরে থেকে সরিয়ে বিছানার সাথে দুইহাত চেপে ধরে।
-” তিন্নি অন্য মেয়ে না।সে আমার হবু বউ।”
-” তাহলে আমি কে? ”
-” সেটা তুই খুব ভালো করেই জানছ!”
-” অন্য মেয়েকে বিয়ের করার যদি এত শখ হয়ে থাকে।তাহলে আমায় বিয়ে করেছিলি কেন? আমার জীবন নষ্ট করার জন্য।”
-” আমি তোকে বিয়ে করতে চাইনি।স্বপ্ন জন্য করেছি।”
-” স্বপ্ন, স্বপ্ন,আমি ফোন করে এখন স্বপ্নকে জিজ্ঞেস করব।ও কেন তোকে বলেছে আমায় বিয়ে করতে? জানতে চাইবো।”
তৃণ উঠে দাঁড়ায়।প্রাচ্য উঠে মোবাইল হাতে নেয়।স্বপ্ন নাম্বার ডায়লা করতে যেয়ে থেমে যায়। স্বপ্নকে এসব জিজ্ঞেস করে তৃণ কে স্বপ্ন কাছে ছোট করার হবে।স্বপ্ন হয়তো তাদের দুজনকে এক করার জন্য এমন করেছে। প্রাচ্য এসব মনে মনে ভাবতে থাকে।রাগ করে ফোনটা বিছানায় ছুঁড়ে ফেলে।তৃণ বলল,
-” ফেলে দিলি কেন? ফোন দিবি না স্বপ্নকে?
প্রাচ্য অন্যদিকে তাকিয়ে ঠোঁট কামড়িয়ে কান্না করতে থাকে।চোখে পানি মুচে ফেলে তৃণ’র দিকে তাকায়।ধীর পায়ে এগিয়ে এসে তৃণ সামনে দাঁড়ায়।অনুরোধ করে বলল,
-” সব কিছু ভুলে কি আমরা সংসার করতে পারি না।”
তৃণ কাটকাট জবাব,
-” না।”
এটা বলে তৃণ ওয়াশরুমে চলে যায়।প্রাচ্য রাগ করে সেন্টার টেবিলের রাখা ফুলদানীটা ছুঁড়ে মারে।ফুলদানী ড্রেসিং আয়নার পড়ে। আয়না ফেটে চৌচির ভাগ হয়ে যায়।খাদিজা আর তনয়া শব্দ পেয়ে উপরে দৌড়িয়ে আসে।খাদিজা এই অবস্থা দেখে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে থাকে। প্রাচ্য চুলের মুটি ধরে বলল,
-” এটা কি তোর বাপের বাড়ি।যে যখন ইচ্ছা তখন ভাঙবি।তোদের মত আমরা এত বড়লোক নই যে মিনিটে মিনিটে ভাঙব আবার কয়েক মিনিট নতুন কিনে আনব।”
চুল ধরাতে প্রাচ্য ব্যথা পায়।শাশুড়ি হাত থেকে চুল ছাড়াতে গেলেই প্রাচ্য হাতে ধাক্কা খেয়ে খাদিজা পড়ে যায়।তৃণ কিছু ভাঙ্গার শব্দ পেয়ে বেরিয়ে আসে।তখনই দেখে তার মা পড়ে আছে নিচে।তৃণ হ্যান্তধ্যান্ত হয়ে মাকে উঠিয়ে বলে,
-” মা তুমি কিভাবে পড়লে?”
খাদিজা কান্না করে বলল,
-” সেটা তোর বউ কে জিজ্ঞেস কর?”
তৃণ জিজ্ঞেসাসূচক ভাবে প্রাচ্য’র দিকে তাকায়।প্রাচ্য এগিয়ে আসে বলার জন্য তার আগে খাদিজা বলে উঠল,
-” আয়নার দিকে তাকায় তুই!”
তৃণ আয়নার দিকে তাকায়।এবার বুঝতে পাচ্ছে।কিসের ভাঙার শব্দ পেয়েছে সে? প্রাচ্য তার রাগ আয়নার উপরে দিয়ে উঠিয়েছে?
খাদিজা বলল,
-” তোর বউকে দুটো কূটো কথা বলছিলাম।আর তোর বউ আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছি।এই মেয়ে তোর মায়ের গায়ে হাত তুলেছে।এবার তুই তার বিচার কর।না হলে আমি এই বাড়ি থেকে চলে যাবো?
রাগী চোখে তাকিয়ে তৃণ বলল,
-” প্রাচ্য, মা যা বলছে তা কি সত্যি!”
-” আসলে,,,,
তার আগে প্রাচ্য গালে দুটো চড় পড়ে।প্রাচ্য হতভম্ব! গালে হাত দিয়ে অবিশ্বাস মত তাকিয়ে আছে।তৃণ তাকে মেরেছে।বিশ্বাস হচ্ছে না। তার মনে হচ্ছে সে যেন ঘোরে মধ্যে আছে?তৃণ চিৎকারে তার ঘোর কাটে।
-” আমার রাগ তুই আমার মায়ের উপরে দেখাছ? তোর এত সাহস আমার মাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিস!”
এট বলে টানতে টানতে রুম থেকে বের করে প্রাচ্যকে।তারা সবাই ও বেরিয়ে আসলে।তৃণ সবার মুখের উপরে নিজের রুমের দরজা আটকিয়ে ফেলে।কোনো কিছুই তার ভালো লাগে না।মনে যাচ্ছে এই সব কিছু ছেড়ে কোথাও চলে যেতে।যেখানে এত সমস্যা, জামেলা থাকবে না।থাকবে শুধু শান্তি আর শান্তি? কোথায় গেলে সে এই শান্তি পাবে?
কাউছার শ্বর্ণা
( গল্প