স্বপ্নীল
৪০
ছাঁদের দক্ষিণ কোণে একটা ছায়া দেখতে পায় স্বপ্ন।ছায়াটা মানুষের সে বুঝতে পেরে এগিয়ে যায়।ছায়া একটা মেয়ে মানুষের তাই আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যায় দেখার জন্য।কাছাকাছি আসতে স্বপ্ন থমকে দাঁড়ায়।চাপা সুরে কেউ কান্না করছে। কেই বা রাতে ছাদে এসে কান্না করবে।অন্ধকারে পিছন থেকে বুঝা যাচ্ছে না, কে? তাই ছায়াটার সামনে এসে দাঁড়াতে আবার থমকে যায়।উত্তেজিত হয়ে বলল,
-” রোদ!”
তার পাশে কেউ একজন এসে দাঁড়িয়েছে সেই খেয়াল ছিল না রোদের। চাপা সুরে কান্না করতে থাকে।এত লোক জনের মাঝে সে মন খুলে কান্না করতে পাচ্ছিল না।স্বপ্নকে দেখে হতচকিত হয়।চোখে পানি মুছে বলল,
-” স্বপ্ন তুই।”
-” হুম আমি।কান্না করছিস কেন? কি হয়েছে তোর।”
-” কিছু হয়নি।”
-” কিছু না হলে এখানে লুকিয়ে কান্না করছিস কেন? কি হয়েছে আমায় বল!”
ধূসর এই মাত্র ছাদে উঠেছিল। স্বপ্ন’র কথা শুনে ধূসর এগিয়ে যায়।
-” স্বপ্ন তুই ছাদে আছিস…
এটুকু বলতেই ধূসরের চোখ যায় রোদের দিকে।রোদের এই ফোলা ফোলা চোখ দেখে ধূসর বলল,
-” চোখের এই অবস্থা কেন তোর? ”
-” আমি ও জিজ্ঞেস করেছি কি হয়েছে? বলছেই না। না বললেই বুঝতে পারবো কি করে? কোনো সমস্যা হলে বল আমাদের? সলভ করে দিব।”
রোদ কিছু না বলে স্বপ্ন’র বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কান্না করে। স্বপ্ন আর ধূসর হতচকিত যায়।স্বপ্ন ধূসরে দিকে তাকায়! ধূসর এগিয়ে এসে বলল,
-” কান্না করলে বুঝব কি করে?
রোদ আরো কিছুক্ষণ কান্না করে। তারপর স্বপ্ন’র বুক থেকে মাথা তুলে চোখে পানি ডান হাত দিয়ে মুছে। মাথার থেকে ঘোমটা সরিয়ে ফেলে,মুখের উপর থেকে চুল সরিয়ে ফেলে।গলায়, গালে ঘাঁড়ে সব কামড়ের দাগ দেখতে পায় তারা দুজন।তারপর রোদ তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে বলল,
-” দেখ তোরা তোদের বন্ধু আমার কি অবস্থা করেছে? ”
তারা দুজন কি বলবে বুঝতে পাচ্ছে না।সমুদ্র এসব করছে ভাবতে পাচ্ছে না।রোদ কান্না করতে করতে বলল,
-” জানোয়ারে মত সে আমার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।এরকম জানোয়ারের মত আচরণ না করে যদি আমাকে বলত সুন্দর ভাবে।তাহলে কি আমি ওকে মানা করতাম।কিন্তু,,,,,,”
এটুকু বলে রোদ আবার কান্না করতে থাকে।স্বপ্ন এগিয়ে এসে চোখের জল মুছে দিয়ে বলল,
-” আমি যতটুকু চিনি সমুদ্র এমন করার ছেলে না। ”
-” হুম! সে তো প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এমন ব্যবহার করছে।আমি তার নামে মিথ্যে বদনাম দিয়েছি তাই।”
ধূসর বলল,
-” তুই কেন ওর নামে মিথ্যে বদনাম দিয়েছিস? আমি যতটুকু জানি সমুদ্র তোর সাথে এমন কিছু করেনি যার জন্য চিল্লাবি।আর যদি ও বা খারাপ কিছু করে থাকে তাহলে কি হয়েছে।তুই তো সমুদ্রকে ভালোবাসিস।ভালোবাসার মধ্যে একটু আকটু কাছে আসা হয়েই থাকে। তাই জন্য তুই,,,,
-” মাথা ঠিক ছিল না আমার! ”
-” তাহলে আমি বলব।সমুদ্রর এখন মাথা ঠিক নেই।এই জন্য বোধ হয় এমন জঘন্য কাজ করতে দ্বিধাবোধ করেনি।”
-” ধূসর চুপ কর!”
স্বপ্ন এবার রোদ কে তার সামনাসামনি দাঁড় করিয়ে বলল,
-” তুই সমুদ্রকে ভালোবাসি।তাহলে কেন ওর নামে মিথ্যে বদনাম দিয়েছিস। বল! ”
রোদ কিছু না বলে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে।স্বপ্ন কপট রাগ দেখিয়ে বলল,
-” আমার কথা উত্তর দেয়।”
-” ওইদিন যখন সমুদ্র আমাকে অপমান করে যায়। তখনই নীল এসে আমায় বলে।”
-” কি বলছে নীল তোকে? ”
রোদ সবটা খুলে বলল।ধূসর রোদের হাত ধরে তার সামনে এসে দাঁড় করিয়ে বলল,
-” মন যাচ্ছে তোকে চড় মেরে শিক্ষা দিয়ে দিতে।সিনেমা আর বাস্তব এক।এই নীল মেয়েটা একটা পাগল।ওই পাগলের কথা শুনে সমুদ্র ক্ষতি করেছিস তার সাথে নিজের ও।”
-” এত বাজে ভাবে আমায় অপমান করেছে তাই মাথা কাজ করেনি আমার।তাই নীলের কথা রাজি হয়েছি।”
-” মাথা যখন কাজ করেনি এবার সমুদ্রকে সামলা তুই।”
স্বপ্ন খুব রাগ হচ্ছে নীলের উপরে।এই মেয়ের আজ একটা ব্যবস্থা করেই ছাড়বে।রোদ কে কুবুদ্ধি কেন দিয়েছে আজ তাকে বলতে হবে? আজ এর বিহিত করেই ছাড়বে।সব নষ্টের মুল নীল।তার এই বাজে বুদ্ধির জন্য সমুদ্র আর রোদকে পস্তাতে হচ্ছে।স্বপ্ন যেয়ে রোদের এক হাত চেপে ধরে নিচে নেমে আসে।রোদ আর ধূসর বুঝতে পাচ্ছে না স্বপ্ন কি করছে যাচ্ছে।রোদ বার বার হাত ছাঁড়া কথা বলে।তারপর স্বপ্ন হাত ছাড়েনি তার।স্বপ্ন নীলের রুমের দরজা এসে নক করে।এবার কিছুটা বুঝতে পারে তারা দুজন।তাদের দুজনে মুখে কিছুটা আতংকের চাপ দেখা যাচ্ছে।তারা খুব ভালো করে জানে স্বপ্ন রেগে গেলে কতটা ভয়ংকর হয়।নীল এসে দরজা খুলে দেয়।তাকে কিছু বলার আগেই স্বপ্ন তাকে ঠেলে রুমে ঢুকে যায়।তাতেই নীলের মেজাজ চটে যায়,
-” এভাবে কেউ রুমে ঢুকে?আর রাত বিরাতে এভাবে দরজা নক করছেন কেন অসভ্যের মত।”
স্বপ্ন রোদের হাত ছেড়ে দেয়।নীলের দিকে তাকায়।স্বপ্নকে এভাবে তাকাতে দেখে কিছুটা ভয় লাগছে তার।চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে, কপালে রগগুলো ফুলে উঠেছে।নীল বলল,
-” এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? বের হোন রুম থেকে আমি ঘুমাবো এখন?”
স্বপ্ন দপ করে নীলের হাত চেপে ধরে। বলল,
-” রোদকে যা যা শিখিয়ে দিয়েছো তুমি।তোমার ফ্যামিলি কাছে সব শিকার করবে তুমি! ”
এমনিতে স্বপ্নর তখনকার ব্যবহার স্বপ্ন উপরে রেগে ছিল। আর এখন আবার ওরকম করাতে রাগ যেন দ্বিগুন বেড়ে গেলো।নীল ঘ্যাড় বাঁকা করে বলল,
-” যদি না করি! ”
এবার স্বপ্ন’র রাগ মাথা উঠে যায়।আরো জোরে হাত চেপে ধরে।নীল ব্যথা পেয়ে বলল,
-” হাত ছাড়েন।
-” চলো!সমুদ্রকে বলবে তুমি। রোদের মাথা কুবুদ্ধি গুলো তুমি দিয়েছে?”
নীলের খুব রাগ উঠে যায়। সে স্বপ্নকে ধাক্কা মারে,
-” আমি কিছুই বলল না। দেখি কি করতে পারেন?”
স্বপ্ন পড়ে যেতে নিলে নিজেকে সামলিয়ে ফেলে।রোদ আর ধূসর এই মেয়ে সাহস দেখে অবাক।নীল বলল,
-” আমি কি ভাইয়ার নামে মিথ্যে ঘটনা রটাইছি, যে আমি সবার কাছে শিকার করবো।”
স্বপ্ন দাঁতে দাঁত চেপে নীলের হাত ধরে টানতে টানতে বলল,
-” আমি যখন বলেছি তোমাকে তো বলতেই হবে।চলো! ”
নীল তার ডান পা দিয়ে ল্যাং মারে স্বপ্নকে। নিজেকে সামলাতে নীলের হাত ছেড়ে দেয় স্বপ্ন।রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে কিছু বলতে গেলে তার আগেই নীল চিল্লিয়ে বলল,
-” এই মুহূর্তে যদি আমার রুম থেকে বের না হয়ে গেছেন।আমি এখন চিৎকার করে ডাকব সবাইকে।আর বলব আপনি আমার সাথে অসভ্যতামী করতে এসেছেন।”
বলে শেষ করলে নীল।স্বপ্ন তার গালে চড় মারে। চড়ের আওয়াজতে রোদ আর ধূসর কেঁপে উঠে। এই মেয়ের গায়ে স্বপ্ন হাত উঠিয়েছে।আল্লাহই জানে এই মেয়ে কি করে বসে!নীল গালে হাত দিয়ে স্বপ্ন’র দিকে তাকায়।স্বপ্ন বলল,
-” অসভ্য মেয়ে।তোমরা এই বাঁদরামি তোমার ফ্যামিলি সাথে করবে।আদর দিয়ে বাদর বানিয়েছে তোমাকে।তাই আজ অবস্থা তোমার।”
এটা বলে বেড়িয়ে যায় সে।তারপর পিছনে তারা দুজন ও বেড়িয়ে আসে।
দুচোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে।আজ পর্যন্ত কেউ তাকে চড় মারেনি আর এই বাইরে একটা ছেলে তার গালে চড় মেরেছে।মানতে পাচ্ছে না সে।খুব রাগ লাগছে তার।কিছুতে রাগ কমছে না তার।তাই রুমে সব কিছু ছুড়ে ফেলে। ধপাস করে বসে পড়ে খাটে।দাঁতমুখ খিঁচে রাগ কমাতে থাকে।এই ছেলে তো সে ছাড়বে না।তাকে চড় মেরেছে, এত সাহস!
-” তোর কাছ থেকে এসব আশা আমি মোটে করিনি। ”
স্বপ্নের কথার প্রতিত্তুরে সমুদ্র কিছু বলল না।আয়েশী বঙ্গীতে সিগারেট টানতে থাকে।স্বপ্ন কপালে বিরক্তি রেখা দেখা যাচ্ছে,সে বলল,
-” এখানে রোদের কোনো দোষ নেই।তোর বোন রোদকে কুবুদ্ধি দিয়েছিল বলে রোদ এমন করেছে।”
আরেকটান দিয়ে, হাতে সিগারেট নিয়ে বলল,
-” নীল যদি রোদকে বলে বিষ খাওয়ার জন্য তাহলে কি রোদ বিষ খেতে? খেতে না।কারণ বিষ খেলে তো সে মারা যেত।বিষ খেয়ে সে নিজের ক্ষতি কোনো দিন করত না।”
-” কিসের সাথে কি মিলাচ্ছিস তুই?”
-” কেন মিলাচ্ছি সেটা তোর অজানা নয়।তুই ঠিকই বুঝতে পাচ্ছিস!একটু আগে বললি না নীল রোদকে কুবুদ্ধি দিয়েছিল বলে এই কাজ করেছে।আমি মানছি নীল এটা বলেছে। নীল আর রোদের মধ্যে অনেক তাফাৎ আছে।নীলের মধ্যে এখনো ছেলেমানুষি ভরা, আর রোদ মধ্যে ম্যাচিউরিটি আছে।রোদ খুব ভালো করেই জানে কোন কাজটা করলে কি রকম ফল পাওয়া যাবে।তারপর কেন নীলের কথা শুনে আমার নামে বদনাম দিয়েছে?”এখন ও বলবি নীল বলেছে বলেই। ”
-” তোর বোন এতটা ছোট নয়, যে এসব বুঝে না।নীল যদি রোদের মাথায় এমন কিছু না ঢুকাতো তাহলে রোদ এই কাজ করার দুঃসাহস কখন দেখাতো না।”
-” তোকে আমি এর আগে নীলের আর রোদের ব্যাপারে বিষ দিয়ে ক্লিয়া করে দিয়েছি।আমার সম্মান নষ্ট করতে বলেছে বলে করছে,যদি আমার সম্মানে জায়গা নীল বিষের কথা বলতো তাহলে,,,,
-” তাহলে বিষ খেতে না।রোদ এই কাজ করেছে তোকে বিয়ে করার জন্য।সে তোকে ভালোবাসে। যেটা হয়ে গেছে সেটা ভুলে যা।রোদের সাথে খারাপ ব্যবহার করলে কি সেটা ফিরে পাবি।”
-” স্বপ্ন তুই এখন যা।আমার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে।”
স্বপ্ন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
দরজা নক করার আওয়াজ পেয়ে সোহার ঘুম ভেঙে যায়।এত রাতে কে দরজা এভাবে নক করছে সে বুঝতে পাচ্ছে না।দরজা খুলে দেয়।সাথে সাথে কেউ একজন তাকে পাজাকোলে তুলে নেয়।ঘটনায় আকস্মিক হয়। চিৎকার দিতে গেলে তামিম মুখ চেপে ধরে ফ্যাঁস ফ্যাঁস গলায় বলল,
-” আমি! ”
সোহা তামিমের হাত সরিয়ে ফেলে বলল,
-” আপনি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন।ছাড়ুন।”
-” ছেড়ে তো দুইরাত দিয়েছি।আজ কোনো ছাড়াছাড়ি নেই।”
-” ছাড়ুন বলছিস।মা জেগে গেলে খুঁজবে আমায়।”
-” শ্বাশুড়ি মা এখন গভীর ঘুমে । ঘুমের মধ্যে আমার শ্বশুড়কে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে।”
-” ছিঃ। কিসব কথাবার্তা। ”
কথা বলতে বলতে তারা রুমে চলে আসে।সোহাকে খাটের উপরে নামিয়ে দেয়।সোহা নেমে যেতে নিলে তামিম ধরে ফেলে।
-” সবার আগে আমি বিয়ে করছি! কিন্তু আমি এখন বাসরেই করতে পারলাম না।”
-” কিসের বিয়ে এই বিয়ে আমি মানি না।”
-” ৫ লক্ষ টাকার কাবিন দিয়ে বিয়ে করছি।আর তুই বলছিস মানিস না। বললে হলো।”
-” কেন বুঝতে পাচ্ছেন না আপনি? বাড়ির সবাই জানলে খুব খারাপ হয়ে যাবে।”
-” বাড়ি বাড়ি,,,
এটা বলে সামনে রাখা ফুলদানী টা আঁচাড় মারে। সোহা ভয়ে কাঁপতে থাকে।কয়েক মিনিট দম ধরে থাকে। সোহার কান্না কানে আসতে তামিম সোহার দিকে তাকায়।হ্যান্তত্যান্ত হয়ে ছুটে আসে।চোখের পানি মুচে দিয়ে সোহাকে বুকে চেপে ধরে।
-” কান্না করিস না প্লিজ।”
সোহা আর জোরে কান্না করে দেয়। তামিম জোরে ধমক দেয়।ভয় পেয়ে হেঁচকি উঠে যায় তার।
-” ভয় পাচ্ছিস কেন তুই? আমি তোর কান্না থামার জন্য ধমক দিয়েছি।সোহা আমার একটা কথা উত্তর দেয়।তুই কি আমায় ভালোবাসি না? ”
সোহা কোনো কথা বলল না। এখন ও তার মনে ভিতরে ভয় আঁচড়ে আছে।তামিমের কোনো কথাই তার কানে আসে না।তামিম আবার ডাক দেয়।এবার ও হেঁচকি তুলে তোতলিয়ে বলল,
-” কি?
-“তোকে আমি কিছু জিজ্ঞেস করেছি?
সোহা ভ্যাবলার মত উত্তর দেয়,
-” কি?”
তামিমের খুব রাগ উঠে।তার কথা সোহা শুনেনি।রাগ সংযত করে সে বলল,
-” সোজাসুজি একটা কথা উত্তর দে তুই।আমায় কি তুই ভালোবাসি না।”
কি উত্তর দিবে সোহা ভেবে পায় না।সে তামিম কে ভালোবাসে।কিন্তু এই সমাজ কি তাকে মেনে নেবে।আর সবচেয়ে বড় কথা দাদু জানলে কি হবে?সবাই যখন জানবে তাদের বিয়ে কথা।তখনই কি হবে? পরিস্থিতি কি সে সামলাতে পারবে?
তামিম অধৈয হয়ে বলল,
– আন্সার দিচ্ছিস না কেন?
-” আমার খুব ভয় লাগছে।এই বিয়ের পরিনিতি কি হবে?”
তামিম তার প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেছে।তাই সোহার কাছে এসে থুতনি ধরে মুখ উপরে তুলে বলল,
-“এখন বাড়িতে পরিস্থিতি ভালো নয়।না হলে সবাইকে জানিয়ে দিতাম।সব কিছু ঠিক হোক। সবাইকে জানিয়ে দিব পরে।”
সোহা উদাসিনী হয়ে বলল,
-” হুম”
তামিম লাইট অফ করে সোহাকে বিছানায় শুয়ে দেয়।সোহার খুব লজ্জা লাগছে।একই বিছানায় তামিমের সাথে থাকত।আর এখন যদি তামিম তার কাছে স্বামীর অধিকার চায়।তাকে কি মানা করে দেওয়া উচিত।দরজা নক করে এসে সোহাকে জড়িয়ে ধরে। সোহার ভিতরে অদ্ভুত একটা কাঁপুনি দিতে থাকে।সারা শরীর যেন অবশ হয়ে যায়।তামিমের হাত সরিয়ে সে বিছানায় বসে পড়ে।তামিম উঠে বসে।সোহা কাঁপা কাঁপা গলায় বলে,
-” কেউ যদি জানতে পারে আমি আপনার সাথে ছিলাম তাহলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।”
তামিম সোহাকে টেনে এনে এক হাত কোমরে দেয় আরেক হাত গলায় দিয়ে সোহার চুলে নাক ডুবিয়ে বলল,
-” কেউ কিছু জানতে পারবে না? ”
তামিমের স্পর্শ সে যেন শীতল হয়ে যাচ্ছে।সত্যি কি এখন তামিম তাকে চাইবে।না তামিম কে কিছু বলতে হবে? সাহস জুগিয়ে এক নিশ্বাসে বলল,
-” প্লিজ আমায় সময় দিন।”
তামিম সোহাকে ছাড়িয়ে দিয়ে বলল,
-” কিছুই করব না। শুধু জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে চাই।সেটা দিবি তো।”
সোহা কোনো কথা বলল না।তামিম বলল,
-” নিরবতা সম্মতি লক্ষণ। ”
সোহার খুব লজ্জা লাগছে। তামিমের দিকে ঘুরে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে।তামিম মুচকি হেসে সোহাকে জড়িয়ে ধরে।
কাউছার স্বর্ণা…
গল্প লেখতে এখন আর ভালো লাগে না।লেখার মধ্যে।মন বসাতে পাচ্ছি না।