স্বপ্নীল
৩৪
আজ মির্জা বাড়ি নানার রকমের আলো বাতি জ্বলছে।বাতির আলো ঝিকমিক করছে বাড়ির চারপাশ।মির্জা বাড়ির বড় মেয়ের বিয়ে বলে কথা।নীলের বিয়ে কি আয়োজন করেছে তার দ্বিগুণ আয়োজন করেছে সোলোমান মির্জা প্রাচ্য’র বিয়েতে।কোনো কিছুতে কমতি রাখেনি। তিনি যে তার নাতনীদের খুব ভালোবাসে।
লাল পাড়ের একটা কাঁচা হলুদ শাড়ি পড়েছে তার সাথে লাল হলুদ চুড়ি মিক্সড করে।
সিঁথি এক পাশে করে কিছু চুল পিঠ অব্ধি কিছু ডান পাশে সামনে এনেছে।চোখের উপরে আইলাইনার টেনে দেয়।নীল কাজল পড়া পছন্দ করে না তারপর হালকা ভাবে চোখের নিচে কাজলের রেখা টেনে দেয়।আয়নায় ভালো করে তাকিয়ে দেখে কাজলের রেখা বেশি বুঝা যাচ্ছে কি না!বুঝা যাচ্ছে না দেখে ড্রেসিং টেবিলের সামনে থেকে লাল লিপস্টিক নিয়ে ঠোঁট লাগাতে থাকে। উপর ঠোঁট দিয়ে নিচের ঠোঁট চেপে ভালো করে লিপস্টিক মিক্স করে।আয়নার দাঁড়িয়ে এই দিক ওইদিক নড়ে আয়নার ভিতরে নিজে দেখে সব ঠিক আছে কি না ।তার চুল গুলোতে আরো একবার হাত ভুলায় সে।তারপর রুম থেকে বের হওয়ার সময় স্বপ্ন সাথে দেখা হয়।কিছুক্ষণ তাদের চোখাচোখি প্রেম হয়।নীলের এই ব্রাউন কালার চোখের নেশায় সে পড়ে যায়।দিন দিন এই নেশা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।বুকের ভিতরে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে।কবে যে সেসে নীল নিজের করতে পারবে।নীল আঁড়চোখে স্বপ্ন একবার পরখ করে দেখে নেয়।নীল পাঞ্জাবী আর সাদা পায়জামা দারুণ লাগছে।হাতে কালো ব্যান্ডের ঘড়ি।এই ঘড়ি হাতের সৌন্দর্য যেন বাড়িয়ে তুলেছে।কপালে সিল্কি চুলগুলো লেপ্টে আছে।ইশ! এই ছেলেটা যদি তার সুরওয়ালা হতো।তবে খারাপ হতো না।ছেলেটা অত খারাপ না।শুধু শুধু সে নিজে এই ছেলেটা পিছনে লাগতে গেছে।কেন যে সে এত হ্যান্ডসাম ছেলে কে গোবরে চকলেট খাওয়াতে গেলো।গোবরের চকলেট হি হি হি! নীল তুই পারিস ও বটে । কি আজ গুবি কথা বার্তা বলছ তুই।তখনই স্বপ্ন কিছু না বলে নীলের পাশ কেটে চলে যায়। নীল মুখটা হা করে তাকিয়ে থাকে।এই ছেলে তাকে এ্যাটিটিড দেখিয়ে চলে গেলো।কত বড় সাহস তার? আমাকে? দেখে নেব তোকে হুম!
গায়ে হলুদের কনে সমুদ্র দেওয়া সেই শাড়িটা পড়েছে।হলুদ শাড়ির সাথে হলুদ- সাদার মধ্যে কাঠগোলাপের ফুলের গয়না দিয়ে প্রাচ্যকে সাজিয়ে দিয়েছে।অসম্ভব সুন্দর লাগছে প্রাচ্যকে। যেন কাঠগোলাপের রানি স্বয়ং এখানে বিচারণ করছে।
প্রাচ্যকে নিয়ে সবাই স্টেজে যাচ্ছে তখনই তৃণ সাথে তার দেখা হয়।প্রাচ্য তৃণর দিকে একবার তাকায়।নীল পাঞ্জাবী দারুন মানাচ্ছে। কিন্তু তৃণ তাকে দেখে ও না দেখার ভান করে মোবাইল টিপতে ব্যস্ত থাকে।প্রাচ্য জল যেন উপচে পড়বে।তখনই রোদ বলল,
-” কান্না করলে চোখের কাজল নষ্ট হয়ে যাবে!আর কান্না করলে সবাই ভাব্বে তোকে? চল! ”
প্রাচ্য যাওয়ার পর তৃণ মোবাইল থেকে নজর সরায়।প্রাচ্য দিকে তাকিয়ে সেই স্থান ত্যাগ করে সে।আজকে সব ছেলে রা নীল পাঞ্জাবী আর সাদা পায়জামা পরিধান করছে।প্রাচ্যকে সেই ফুলের সিংহাসন বসিয়ে রোদ কুচি ঠিক করতে করতে এ গুচ্ছিল তখনই সে সমুদ্র কে দেখে থমকে যায়। বুকের ভিতরে ঢিপ ঢিপ শব্দ করতে থাকে।কেউ যেন হাতুড়ি দিয়ে পিটাচ্ছে।কি মারাত্মক সুন্দর লাগছে।ইচ্ছা করছে ছুয়ে দিতে একটুখানি।
আজকে সে নীল জামদানী শাড়ি পড়েছে। কিন্তু তার সেই প্রিয় মানুষটা নীল পাঞ্জাবী পরিধান করেছে। না চাইতে দুজনে একই রঙ্গের জামা কাপড় পরিধান করেছে।এটা ভাবতে রোদের মন খুশির ঝিলিক দেয়।তার পাশ কেটে সমুদ্র চলে যার প্রাচ্য কাছে যায়।সমুদ্র তার দিকে একবার ফিরে তাকালো না তা দেখে তার খুবই খারাপ লাগে।সে কি দেখতে সুন্দর নয়।হ্যাঁ অবশ্যই সুন্দর! তাহলে কেন সমুদ্র চোখে পড়ে না সেই সৌন্দর্য। মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে তার সৌন্দর্য নিয়ে কেন কিছু বলে না?খুবই কান্না পাচ্ছে তার কিন্তু সে কাঁদবে না।কাঁদলে তার কাজল গেঁটে যাবে।এমনি সে কাজল লাগাতে পারে না সোহা লাগিয়ে দিয়েছে।এত সুন্দরী হয়ে যখন তার দিকে সমুদ্র ফিরে তাকালো না তখনই কাজল লেপ্টে যাওয়ার বান্দুরীকে তার চোখেই লাগবে না।আজকে তার ব্যবস্থা করমু! তারপর দেখিস!তামিম এতক্ষণ ধরে সোহার অপেক্ষা করছিল।কিন্তু সে বুঝতে যাচ্ছে না আজ কেন সোহার এত লেট! সবাই চলে এসেছে এখন তার দেখা যাচ্ছে না।সে বার বার না চাইতে ছাদের দরজার দিকে চোখ যাচ্ছে তার।কারো আসার শব্দ শুনে তামিম।একটু নড়ে চড়ে দাঁড়ায়।তখনই সোহা ছাঁদের দরজায় সামনে আসে।দুজনের চোখাচোখি হয়।সোহা চোখ নামিয়ে ফেলে।তারপর তামিমের চোখ যায় সোহার পড়ে থাকা শাড়িটার দিকে।এটা তো তার দেওয়া শাড়ি নয়।তাহলে সোহা আমার দেওয়া শাড়ি পড়েনি।তামিম এগিয়ে যেয়ে সোহার হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে ছাদের এক কোণে।রাগ কন্ট্রোল করে বলল,
-” আমার দেওয়া শাড়ি পড়িস নি কেন?”
সোহা তামিম রাগ কে ডোন্ট কেয়ার করে।নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে সে বলল,
-” আমি কি আপনার হুকুমের চাকর!যে যা করতে বলবেন তাই করতে হবে।এটা ভেবে থাকলে ভুলে যান।”
এটা বলে সোহা সামনে এগিয়ে যেতে ধূসরে দেখা হয়।ধূসর হেসে বলল,
-” হেই মায়াবতী। তোমাকে কিন্তু আজ দারুণ লাগছে।চোখ সরাতে পাচ্ছি না। ”
সোহা বিনিময় শুধু এসেছে।দূর থেকে তামিম এসব দেখে রাগে ফুসতে থাকে।আজ সে সোহার একটা বিহিত করে ছাড়বই। আমার সাথে কথা বলতে আসলই তার মুড খারাপ হয়।আর এই ধূসরের সাথে কিসের এত হাসাহাসি।
স্টেজে বসে প্রাচ্য এদিকে ওদিক তাকাচ্ছে তৃণকে দেখার জন্য।কিন্তু তৃণকে কিছুতে এখানে দেখা যাচ্ছে। আজকের পর থেকে সে তৃণ দেখতে পারবে না।কালকের পর সে অন্য কারো স্ত্রী হয়ে যাবে।এতটা ভেবে সে মনে মনে কান্না করতে থাকে।আজ নিজের দোষে তৃণকে হারিয়ে ফেলেছে।এত দিনে তৃণরর জন্য হৃদয়ের কৌঠোরে সব ভালোবাসা জমে রেখেছিল।কোনো দিন সেই ভালোবাসার রঙ্গে তৃণ কে রাঙ্গিয়ে দেবে।সে টা আর হলো না।
মির্জা বাড়ির সব সদস্য এসে এক এক করে স্টেজে যেয়ে প্রাচ্য গায়ে হলুদ ছোঁয়ায়।নতুন জীবনের জন্য দোয়া করে। মিষ্টিমুখ করে।প্রাচ্য দুই পাশে নীল আর সোহা উঠে।।দুজনে মিলে প্রাচ্য গালে,কপালে, হাতে হলুদ ছোঁয়ায়।সামনে রাখা মিষ্টির প্লেট কাঁটাচামচ করে একটা মিষ্টি নিয়ে প্রাচ্য মুখের সামনে ধরে।প্রাচ্য হা করে যখন মুখে নেবে তখনই নীল তার হাত সরিয়ে ফেলে নিজের মুখে মিষ্টি পুরে দেয়।তখনই হাসির হট্রগোল শোনা যায়। হি হি হি করে হেসে উঠে।প্রাচ্য কিছুটা লজ্জা পেয়ে মুচকি হাসে।স্বপ্ন হলুদের বাটি থেকে কিছু টা হলুদ হাতে নিয়ে নেয়।নীল স্ট্রেজ থেকে নামার সময় স্বপ্ন তার হাত ধরে নিয়ে যায়।নীল হাত ছাড়াতে চাইলে স্বপ্ন আরো জোড়ে চেপে ধরে।ছাঁদের এক কোণে নিয়ে রেলিঙ সাথে মিশে দাঁড় করায়।
-” একটুর জন্য হাত ছিঁড়ে যেত আমার!”
-” সমস্যা নেই।তোমার এক হাত কেন? দুই হাত না থাকলে আমার বউ করে নিব।”
-” ও হ্যালো! জেগে জেগে নি স্বপ্ন দেখেন!
-” নামটাই আমার স্বপ্ন! স্বপ্ন দেখা আমারই সাজে।”
এবার নীল রাগি সুরে বলল,
-” আপনাকে আমি বলেছি না, আমি অন্য একজন কে ভালোবাসি তারপর কেন পিছু ছাড়ছেন না।”
-” আমি তোমাকে জোর করিনি আমায় ভালোবাসতে।তুমি যাকে খুশি তাকে ভালো বাসতে পারো!কিন্তু বঊ তোমাকে আমার হতে হবে।”
-” ধ্যাত! পাগলে সাথে কথা বলে লাভ নেই! ”
এটা বলে চলে যেতে নিলে স্বপ্ন তার হাত ধরে আঁটকায়।তার কাছে নিয়ে এসে হাতের হলুদ গুলো নীলের গালে লাগিয়ে দেয়।
-” তোমার প্রেমে আমি শতবার পাগল হতে রাজি।”
নীল নিজের গালে হাত দিয়ে বলল,
-” হলুদ লাগানে কেন?
-” আমার ভালোবাসার হলুদ রঙ্গে তোমায় রাঙ্গিয়ে দিলাম।যাতে তোমার ওই সুরওয়ালা আমার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যেতে না পারে।”
এটা বলে স্বপ্ন সে জায়গা থেকে পদস্থান করে। নীল রাগ দেখিয়ে শাড়ির আঁচল দিয়ে গালে লেগে থাকা হলুদ মুচে ফেলে।
তামিম ধূসর, রোদ স্বপ্ন, এক কে সবাই প্রাচ্য গায়ে হলুদ ছোঁয়ায়।
এবার তৃণ পালায়।সেই স্টেজে উঠে হলুদের বাটি থেকে হলুদ নিয়ে আলত করে প্রাচ্য নাকে, হাতে হলুদ ছোঁয়ায়।প্রাচ্য তৃণ দেখতে থাকে।সত্যি কি তৃণ কষ্ট হচ্ছে না।নিজের ভালোবাসার মানুষ নিজের বিয়ে তে গায়ে হ্লুদ ছোঁয়ায়।এর চেয়ে কষ্টের কি আছে? মরে যাওয়া ভালো।চোখ বন্ধ করে শেষবারে মত তৃণ হাতের ছোঁয়া অনুভব করে।তৃণ ফিসফিস করে বলল,
-“আজকে শিহাবে তোকে দেখলে চোখ সরাতে পারত না।”
প্রাচ্য চোখ খুলে তৃণ দিকে তাকায়।প্রাচ্য চোখে পানি টলমল করতে থাকে।গাল গড়িয়ে চোখের পানি বেয়ে পড়ে।তৃণ বলল,
-” দেখ সমুদ্র!তোর বোন কান্না করছে!শ্বশুর বাড়ির যাওয়ার জন্য!
সবাই তৃণ কথায় হেসে দেয়। তৃণ প্রাচ্য র মাথা হাত দিয়ে বলল,
-“ওলে বাবু কাঁদে না!কালকে শ্বশুর বাড়িতে দিয়ে আসব।”
প্রাচ্য দু হাত দিয়ে তৃণ কে মারতে থাকে।
-” শয়তান ছ্যামড়া!সব কিছু নিয়ে মজা করিস!
নীল এসে প্রাচ্য দিকে মোবাইল বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
-” শিহাব ভাইয়া ফোন করেছে! তোমার সাথে কথা বলবে।”
প্রাচ্য তৃণ দিকে একবার তাকিয়ে মোবাইল নিতে যাবে তখনই তৃণ মোবাইল নিয়ে নেয়।ভিডিও কলের ওপাশে শিহাব থাকে।
-” এইটা আমাদের দুলাভাই! কেমন আছেন? ”
-” ভালো তুমি কেমন আছো। ”
-” আমি ভালো আছি! কিন্তু আপনার হবু বউ ভালো নেই! ”
-” কেন? কি হয়েছে প্রাচ্যর! ”
-” আপনার বিরহে কাতর!আর যে অপেক্ষা করতে পাচ্ছে না সে।”
-” হি হি হি! ”
প্রাচ্য তৃণর হাত থেকে মোবাইল কেঁড়ে নেয়।তৃণকে উদ্দেশ্য করে বলল,
-” যার সাথে বিবাহ! তার বিরহে কাতর না হয়ে কি তোর বিরহে কাতর হবো।যত্তসব! ”
তৃণ আর কিছু না বলে নেমে যায়।সবাই মেহমানদের অপ্যায়ণ করতে চলে যায়।মেহেদীর ডিজাইনের লোক আসে।তারা সবার হাতে মেহেদী ডিজাইন করতে থাকে।আর প্রাচ্যর এক হাতে ডিজাইন করছে অন্য হাতে ভিডিও কলে শিহাবের সাথে কথা বলছে।তৃণ এক কোণে দাঁড়িয়ে প্রাচ্য দিকে তাকিয়ে সিগারেট টানতে থাকে।মেহেদী ডিজাইন লোক বলল,
-” আপু আপনার বরের নামের প্রথম অক্ষর বলুন! ”
-” হুম!”
তখনই শিহাব ফোনের ওপাশ থেকে বলল,
-” আমার সাথে যে কথা বলেছে সে কি তোমার ফ্রেন্ড!”
-” হুম! ”
-” নাম কি তার? ”
মেহেদী ডিজাইন লোক বলল,
-” আপু নামটা বলুন!”
প্রাচ্য শিহাবকে উদ্দেশ্য করে বলল,
-” তৃণ! ”
মেহেদির ডিজাইন মেয়েটা মনে করেছে তাকে নামটা বলেছে সে।তাই সে প্রাচ্য’র হাতে T লেখে দেয়।নীল নিজের হাতের মেহেদি লাগানোর শেষ হয়ে যায়।তাই সে প্রাচ্য’র হাতে মেহেদির দেখতে যেয়ে টি দেখে আঁতকে উঠে।
-” এটা আপনি কি করছে?
নীলের কথা শুনে প্রাচ্য তার হাতের দিকে তাকায়।কি সুন্দর করে হাতে মধ্যে টি দিয়ে ডিজাইন করেছে। কিন্তু টি কেন? শিহাবের নামে প্রথম অক্ষর তো s।
নীল বলল,
-” আপু বরের নাম শিহাব। এস হবে আপনি টি দিলেন কেন?
-” আমাকে উনি বলছে তৃণ লেখতে! ”
-” আরে আমি আপনাকে বলি নি শিহাবকে বলছি।”
-” আই আ’ম সরি ম্যাম।আমার ভুল হয়ে গেছে।আমি এক্ষুনি মুচে দিচ্ছি।”
প্রাচ্য তার কথায় সায় জানায়।টিস্যু দিয়ে টি মুচে ফেলে।কিন্তু এতক্ষণ টি তাতে রঙ ধরে গেছে।টি লাল টুকটুক হয়ে গেছে।তা দেখে মেয়েটা বলে,
-” আই আ’ম সরি ম্যাডাম!”
-” সমস্যা নেই।তুমি এটা বাদ দিয়ে ডিজাইন আঁকো।”
-” তোমার কাজল কালো আঁখি প্রেমে পড়ে গেছি মায়াবতী! ”
সোহা মুচকি হেসে বলল,
-” থ্যাংকস! ”
-” হুম।
ছাঁদে দাঁড়িয়ে সোহা আর ধূসর অনেকক্ষণ যাবত কথা বলতে থাকে।ধূসর কথা বলার ফাঁকে নিজের অজান্তে সোহার হাত ধরে ফেলে।তখনই তামিম এসে ধূসর কে বলল,
-” তোমাকে সমুদ্র ডাকে?
-” কেন? ”
-” সেটা জানি না।তোমাকে যেতে বলেছে।”
-” সমুদ্র এখন কোথায়?
-” নিচে! ”
ধূসর সোহার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে চলে যায়।তামিম সোহার কাছে এসে বলল,
-” অনেকবার সাবধান করেছি শুনিস নি আমার কথা।আজকে তোকে মজা দেখাবো তামিম কথা না শুনার পরিণাম কি? চল! ”
সোহার হাত ধরে টেনে নিচে নিয়ে আসে।সোহা নিজের হাত তামিমের হাত ছাড়ার জন্য জোরে চিমটি কাটে।তামিম রাগী চোখে তাকিয়ে সোহার হাত ছেড়ে দিয়ে তাকে কাঁধে তুলে নেয়।সোহা দুহাত দিয়ে তামিমের পিঠে মারতে থাকে।
-” আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? ছাড়েন বলছি না হলে ভালো হবে না।”
-” কাজি অফিসে নিয়ে যাচ্ছি তোমায়। ”
-” কাজি অফিসে আমরা যাবো কেন?
-“বিয়ে করতে!আজ তোমার আর আমার বিয়ে হবে! ”
#চলবে
#কাউছার স্বর্ণা