স্বপ্নীল ৩২

0
1235

স্বপ্নীল
৩২
নীল সোহার হাতে কয়েকটা পলিথিন ধরিয়ে দিয়ে বলল,
-” আমার পিছু পিছু আয়।”
– ” কেন? ”
– বেশি কথা বলিস তুই সোহা।যা বলছি তাই কর।”
সোহা জানে এই মেয়ে কে কিছু বলে লাভ নাই।তাই কথা না বাড়িয়ে নীলের পিছু পিছু যায়।মির্জা বাড়ি পিছন কিছু দূরে একটা জঙ্গল আছে।এখানে সচরাচর মানুষ জন যায় না।ঘন জঙ্গল ভরপুর। নীলকে এখানে আসতে দেখে সোহার মাথায় কিছু ঢুকছে না।নীল কেন এই জায়গা আসছে?এখন আবার প্রশ্ন করলে হামকি ধামকি দিবে তার চেয়ে ভালো চুপচাপ হয়ে দেখে যাওয়া ভালো নীলের কার্যক্রম। নীল যেই গাছ পাতার জন্য আসছে সেই গাছটা কিছুতে খুজে পাচ্ছে না।কিছুদিন আগে এই জঙ্গলের সেই গাছটা সে দেখেছে।অনেক বনোজি নাম না জানা গাছ দেখে।হাঁটতে হাঁটতে আর ভিতরে চলে যায়।খুজে না পেয়ে হয়রান হয়ে যায়।তার চোখ যায় কোণার দিকে।কিছু গাছের জন্য দেখা যাচ্ছে না।দ্রুত পায়ে হেঁটে যায়।কাঙ্ক্ষিত গাছ পেয়ে মুখে হাসির ঝিলিক দেখা যায়।সোহার হাত থেকে পলিথিন নিয়ে নেয়।পলিথিন ভিতরে ডান হাত ঢুকিয়ে নেয়! বাম হাত দিয়ে ডান হাতে কব্জি তে বাঁধে দেয়।সোহা ভ্রু কুঁচকে নীলের কাণ্ড দেখছে।এবার নীল বাম হাত পলিথিন ভিতরে দিয়ে,পলিথিন সহ বাম হাতটা সোহার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,
-“ডান হাত যেভাবে বেঁধেছি এই হাত ও সেভাবে বাঁধবি।”
সোহা হাত বেঁধে দিয়ে বলল,
-” হাত বাঁধছিস কেন?
নীল কিছু না বলে সেই গাছে পাতা ছিঁড়তে নিলে সোহা চিৎকার করে বলল,
-” নীল কি করতে যাচ্ছিস তুই! ”
-” দেখতে ত পাচ্ছিস। ”
– “এটা বিছুটি পাতা।এটা সম্বন্ধ কিছু জানোছ তুই।”
-“হ্যাঁ জানি এটা বিছুটি পাতা।এটা জন্যই তো এখানে আসা।”
-” কি?
-” হুম!”
-” এটা গায়ে লাগলে ছুলকাবে!”
– ” ছুলকাবে বলে নিচ্ছি আমি! ”
– ” মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোর।”
– না।”
এটা বলে সে বিছুটি গাছ থেকে তিন চারটা পাতা নিয়ে সঙ্গে আনা বাড়তি পলিথিনে নেয়।তারপর বাড়ি ফিরে চলে আসে।সোহা নীলকে যতটুকু জেনে সে খুব ভালো করে বুঝতে পাচ্ছে নীল নির্ঘাত কাউকে শায়েস্তা করার জন্য এত রিস্ক নিয়েছে এই কাজ করছে
ডোকোরেটরে লোক এসেছে বাড়ির সাজানোর জন্য। স্বপ্ন তাদের সাথে কাজ করছে।তাদের দেখেয়ে দিচ্ছে কোথায় কোন জিনিস দিলে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগবে। দরজা সামনে ডোকোরেটের লোক দের কে যেভাবে বলছে সেভাবে হচ্ছে না দেখে সে একটা টুল নিয়ে দরজার সামনে দাঁড়ায়।লোকদের হাত থেকে ফুল নিয়ে নিজে সাজাচ্ছে।তখনই নীল বাড়ির দরজার সামনে আসে।স্বপ্নে দেখে তার মাথায় দুষ্টুমি মাথায় চেপে বসে।স্বপ্ন পিছনে যেয়ে দাঁড়ায়।স্বপ্ন ফুল গুলো লাগানোর জন্য পা একটু তুলে দাঁড়াতে নীল লাথি মারে।তখনই স্বপ্ন ধপাস করে পড়ে যায় নিচে। স্বপ্নকে এভাবে পড়তে দেখে নীল হেসে দেয়।হাসির শব্দ শুনে তাকায় সে, নীলকে দেখে।তার মানে এই কাজ এই মেয়ে করেছে।নীল ভেঙচি কেটে চলে যেতে যেতে হাসতে থাকে।স্বপ্ন তার বুকের বাম পাশে হাত দিয়ে বলে।তোমার এই হাসিটা আমার এই বুকে তিঁড়ে মত এসে লাগে।কবে যে বুঝবে আমার ভালোবসার। ধূসর এসে স্বপ্নকে তুলে,
-” দেখার অনেক সুযোগ পাবি।যে কাজটা করছিস সেটা আগে কর।”
এটা বলে ধূসর ভিতরে চলে যায়।ধপাস করে সোফায় বসে।ঘেমে একাকার হয়ে গেছে।বাড়ির চারদিকে সাজানোর দায়িত্ব সে ওও নিয়েছে। এই গরমে মধ্যে এক গ্লাস লেবুর শরবত হলে ভালো হয়।চারদিকে খুজতে থাকে কাউকে বলবে।কিন্তু কেউ নেই।তখনই সোহা উপরে যাচ্ছিল। ধূসর তাকে ঢেকে বলে,
-” মায়াবতী! ”
সোহা দাঁড়িয়ে যায়।পিছন ফিরে তাকায়।ধূসর বলল,
-” এক গ্লাস লেবু শরবত হবে!”
ধূসরের কথার কোনো জবাব না দিয়ে সোহা কিচেনে যায়।শরবত বানিয়ে এনে তার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়।ধূসর সোহার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে গ্লাস নেয়।তখনই সোহার হাতের সাথে ধূসরের হাতের ছোঁয়া লাগে। সোহা কেঁপে উঠে।বাম হাত দিয়ে ওড়না খামচে ধরে ডান হাত আস্তে সরিয়ে ফেলে চলে যায়।ধূসর বাম হাতে গ্লাস নিয়ে শরবত খাচ্ছে।চেয়ে আছে ডান হাতের দিকে।এখানে তার মায়াবতী ছোঁয়া লেগেছে।হাত নিজের বুকের বাম পাশের রেখে অজান্তে হেঁসে দেয়।গ্লাস রেখে চলে যায়।

রোদ বারান্দা দাঁড়িয়ে সমুদ্রকে দেখছিল।কি সুন্দর হাত নাঁড়িয়ে নাঁড়িয়ে সবাইকে কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছে। ইস! এই মানুষটার কথা বলার ভঙ্গী এত সুন্দর কেন? প্রেমে পড়ার মত। তখনই সমুদ্র সেখানে থেকে চলে আসে। রোদ বুঝতে পারে সমুদ্র বাসায় ঢুকছে তাই সে জায়গা থেকে চলে এসে সিঁড়ির উপর এসে আড়ালে দাঁড়ায়।সমুদ্র বাসায় ঢুকে আমেনা খালাকে বলে তার জন্য গ্লাস ঠান্ডা পানি উপরে যেন দিয়ে আসে। এটা বলে সে তার রুমে চলে যায়
রোদ তা দেখে নিচে যায়।আমেনা খালা পানির গ্লাস নিয়ে উপরে আসতে নিলে তাকে নানা কথা বুঝ দিয়ে নিজে পানির গ্লাস নিয়ে সমুদ্র রুমে ঢুকে।গরমে পুরো শার্ট ঘেমে ভিজে গেছে।তাই শার্টের কয়েকটা বোতাম খুলে পিছনের দিকে কলার টেনে দেয় যাতে একটু ঠান্ডা লাগে।রোদ দরজাটা আস্তে ঠেলে নিঃশব্দ রুমে ঢুকে।সমুদ্রে এভাবে দেখে আরো একদফা প্রেমে পড়ে সে। কি সুন্দর চোখ বুঝে আছে? ইস! এই মানুষ টা না ফেলে সে মরেই যাবে,মরেই যাবে। সমুদ্র চোখ খুলে দেখে তার সামনে রোদ দাঁড়িয়ে।ঠিক করে বসে বলল,
– ” তুই এখানে! ”
– ” পানি! ”
গ্লাস বাড়িয়ে দিয়ে বলল।সমুদ্রে গ্লাস নিয়ে এক ঢোকে পানি খেয়ে ফেলে বললো,
– ” তোকে কি আমি বলেছি পানি আনতে।”

রোদ কিছু না বলে হাতের গ্লাস ড্রেসিং রেখে দরজা আঁটকিয়ে দেয়।তা দেখে সমুদ্র ভ্রু কুঁচকে দাঁড়িয়ে যায়।রাগী সুরে বলল,
– ” দরজা আঁটকালি কেন?
ধীর পায়ে সমুদ্র দিকে এগিয়ে বলল,
-” কালকে আমার সাথে যা করেছেন তার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য! ”
-” আমি আবার কালকে তোর সাথে কি করলাম?”
-” ভুলে গেলেন নাকি! ভুলে গেলে সমস্যা নেই, মনে করিয়ে দিব আমি।”
সমুদ্রকে দুহাত দিয়ে ধাক্কা মেরে বিছায় ফেলে দিয়ে তার উপরে উঠে শার্টের কলার চেপে ধরে বলল,
– ” ভালোবাসেন আমায়। ”
সমুদ্র রাগী চোখে তাকায়।রোদ তা তক্কায় না করে বলল,
– ” এখন আর ভয় পাইনা আমি আপনাকে।এভাবে তাকিয়ে আমার কথার এড়িয়ে যেতে পারবেন না। আমায় ভালোবাসেন তাহলে কেন এরকম সবসময় বাজে বিহেভ করেন।”
সমুদ্রে রাগে কপালের রগগুলো ফুলে উঠে।চোখের দিয়ে আগুন ফুলকি যেন বের হবে। রোদের এই বেহায়া আদিখ্যেতা তার সহ্য হচ্ছে না। রোদের চুলের মুঠি ধরে নিজের উপর থেকে সরিয়ে সে নিজে উঠে দাঁড়ায়।এক টানে রোদকে নিজের সামনে টেনে আনে।
দাঁতে দাঁত চেপে সে রোদকে বলল,
-” বেহায়া তুই সেটা জানতাম।কিন্তু এরকম চরম লেভেল বেহায়া সেটা জানতাম না।”
কথা রোদের গায়ে লাগলে ও সেটা পাত্তা দেয় না।আজ এই সুযোগে সে সমুদ্র মনে কথা জেনে ছাড়বে।কোনো ভেবে আজকে পার পেতে দিবে না।
-” বেহায়া আমি আপনার প্রেমে।আপনার সাথে বেহায়া গিরি করতে আমার একটু লজ্জা করছে না।কারণ আমি আপনাকে ভালোবাসি।”
সমুদ্র কিছু না বলে চলে যেতে নিলে রোদ তা পথ আঁটকিয়ে দাঁড়িয়ে বলল,
– ” কোথায় যাচ্ছেন? আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যান।
– ” কি প্রশ্ন?
– ” সেটা আগেও করিছি।দরকার হলে এখন আবার বলল।ভালোবাসেন আমায় তারপর কেন এমন করেন আমার সাথে?
সমুদ্র রোদের চিবুক ধরে খুব জোরে।ব্যথা পেয়ে চোখে পানি চলে আসে তারপর কিছু বলেনি।সমুদ্র এবার দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
-” কে বলল? আমি তোকে ভালোবাসি।”
এটা বলে চিবুক ছেড়ে থাক্কা দেয়।রোদ বলল,
-” বলতে হয় না। আপনার আচরণ প্রকাশ পেয়েছে আপনি আমায় ভালোবাসেন।”
-” তাই বুঝি! কি করেছি আমি যার মাধ্যমে তোর মত বেহায়ার জন্য ভালোবাসা আমার প্রকাশ পেয়েছেন।”
-” কালকে আচরণ প্রাকাশ পেয়েছে।ধূসর আমার প্রশংসা করছিল বলে সেটা সহ্য করতে না পেরে আপনি সেই জায়গা জ্বলন্ত সিগারেট ছেঁকা দিলেন। ।তার মানে কি দাঁড়ায়। ”
-” এর মানে এটাই দাঁড়ায়।শরীর দেখিয়ে পুরুষমানুষ টানিস তাই তোর মত বেহায়া কে শাস্তি দিয়েছি।এটা যদি তুই ভালোবাসা ধরে নিস তাতে আমার কিছু করা নেই।আর সব চেয়ে বড় কথা আমি কখনো তোর মত মেয়েকে ভালোবাসব না। না জানি এই বেহায়া গিরি করে কয়জনের সাথে শুয়েছিস।”
রোদ সমুদ্র শার্টের কলার চেপে বলল,
-” চুপ করুন!”
-” কেন চুপ করবো? আমি তোর চরিত্রে গুনগান করছি।এত খুশি হওয়ার কথা।”
-” এত নিচু মন মানুসিকতা আপনার।একবার মুখে বাঁধল না এসব বলতে।
-” না বাঁধল না। তোর মত মেয়েদের কে এসব বলতে খারাপ লাগে না।বরং ভালো লাগে।”
-” এত মিথ্যে অপবাদ কেন দিলেন? কেন? কেন? আপনাকে ভালোবাসি বলে কি আজ আমি বেহায়া হলাম।তাই জন্য বলছেন আমি অন্যকারো সাথে শুতে পারি বেহায়া গিরি করে।এত বড় অপবাদ কেন দিলেন? ”
রোদ কলার ঝাঁকিয়ে কান্না করতে করতে বলল। সমুদ্রে রাগে গজগজ করতে থাকে।সে বলল,
-” কলার ছাড়! ”
– ” না ছাড়ব না।”
এরকম দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হতে থাকে।তখনই সমুদ্রে রাগের বশে রোদকে ধাক্কা দেয়। রোদ ধাক্কা সামলাতে না পেরে ড্রেসিও টেবিলের সাথে বাড়ি খায়।সমুদ্র রাগে গজগজ করতে বের হয়ে যায়।রোদ মাথা তুলে কপালে হাত দিয়ে দেখে রক্ত বের হচ্ছে।রক্ত মাখা হাত দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলে।ভালোবাসেন না আপনি আমাকে বিশ্বাস করিনা আমি। আমি জানি না কেন আপনি আমায় এত খারাপ কথা বলছেন।কেন আমি আপনার চোখে এত খারাপ? কিন্তু আমার মন বলছে আপনি আমাকে ভালোবাসে।।
নীল ভাইকে এইভাবে রেগে বের হতে দেখে রুমে এসে দেখে রোদকে। রোদের এই অবস্থা দেখে তার পাশে বসে সে বলল,
-” ভাইকে খুব ভালোবাসো তাই না আপু।
-” হুম।”
-” কিন্তু ভাইয়া তোমাকে পাত্তা দেয় না তাইনা।”
রোদ চুপ করে রয়।কি বলবে সে।এটা ত সত্যি।নীল বলল,
-” ভাইয়াকে তুমি বিয়ে করে ফেলো।”
নীলের এমন কথা শুনে রোদ তার দিকে তাকায়।চোখে পানি মুচে যে বলল,
-” সে তো আমায় ভালোই বাসে না।বিয়ে করবে কি করে?
-” আমার কাছে একটা ভালো আইডিয়া আছে।শুনবে তুমি।
-” বলো!”
-” বাংলা সিনেমাতে হয় যে,নায়ক নায়িকার থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য।নায়ক নিয়ে একা রুমে এসে নিজের জামা কাপড় ছিঁড়ে হেল্প হেল্প বলে চিৎকার করে মানুষ জড়
করে বলে। নায়ক তার ইজ্জত ছিনিয়ে নিতে চায়।এরকম করে শাস্তি দেয় নয়তো বা বিয়ে করতে বাধ্য করে।তুমি ও সেটা করবে ভাইয়ার সাথে।”

-” আমি!
-” হ্যাঁ তুমি।
-” এটা করলে তোমার ভাইয়া বিয়ে করা দূরে কথা আমায় মেরেই ফেলবে।তখন আর আমায় ভালোবাসবে না।”
-” বিয়ে করে ফেললে ঠিকি ভালোবাসবে।”
-” তুমি কি ভাবে সিউর হচ্ছে আমি এরকম করলে তোমার ভাই আমাকে বিয়ে করবে।”
-” এটার জন্য তোমাকে প্ল্যান করতে হবে।”
-” প্ল্যান! ”
-” হুম! ”
-” কি প্ল্যান? ”
-” ওই যে সিনেমার নায়িমার মত নায়কের নামে মিথ্যে অপবাদ দেওয়া।”
সমুদ্র নামে মিথ্যে অপবাদ দেওয়া এটা শুনে ভয়ে হাত কাঁপতে থাকে।নিজেকে শান্ত করে সে বলল।সমুদ্র যদি তার নামে মিথ্যে অপবাদ দিতে পারে তাহলে সে কেন পারবে না।।অবশ্যই পারবে।
-” এসব করে লাভ কি হবে!
-” এসব করলে ভাইয়া তোমাকে বিয়ে করবে।”
-” যদি না করে।
-” করবে করবে।আমি তোমাকে বুঝিয়ে বলছি।আজকে রাতে ভাইয়াকে তুমি তোমার রুমে নিয়ে যাবে।একটু জবরধস্তি করবে।তারপর আমি দাদুকে নিয়ে আসব।”
-” তোমার দাদুকে নিয়ে আসবে কেন?
-” দাদু তোমাদের বিয়ে দেবে।তার জন্য দাদুকে প্রয়োজন। ”
-” ও! ”
-” প্ল্যান মত ঠিক ঠাক করবে!তাহলে তোমার আর ভাইয়া বিয়ে ঠেকায় কে?
রোদ ভিতু ভিতু চোখে নীলের দিকে তাকিয়ে তার হাত ধরে বলে,
-” সত্যি আমায় বিয়ে করবে তো সমুদ্র!
নীল রোদের হাতের উপর দিয়ে হাত রেখে আশ্বাস দেয়।
#চলবে
ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন।
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/permalink/951737161923670/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে