স্বপ্নীল ২৩

0
1261

স্বপ্নীল
২৩
প্রাচ্য’র বিয়ের দিন গনিয়ে আসছে তাই সমুদ্র ঢাকার ব্যবসার কাজগুলো ম্যানেজার কে বুঝিয়ে এসেছে।সব ঠিক ঠাক ভাবে করার জন্য।কোনো প্রয়োজন পড়লে তাকে জানাতে।সমুদ্র মির্জাপ্যালেসে এসেছে পৌঁছেছে কালকে রাতে! তাই সঙ্গে করে আনা গিফট গুলো দিতে পারেনি কাউকে ।সবার সাথে একসঙ্গে নাস্তা খায় সকালে।নীল,আর প্রাচ্যকে বলে সবার জন্য আনা গিফট গুলো নিয়ে আসতে নিচে।দাদুকে পাঞ্জাবী দিয়ে সালাম করে দোয়া নেয়। নীলের হাতের থেকে শাড়ির প্যাকেট গুলো নিয়ে তাদের দিয়ে বলল,
-“বড় মা,ছোট মা এগুলো তোমাদের জন্য।”
এটা বলে রোকেয়া আর সোহাগী কে সালাম করতে নিলে।রোকেয়া ধরে বলল,
-“কি করছো বাবা!তোমার স্থান পায়ের নিচে না আমাদের বুকে।
এটা বলে রোকেয়া বেগম সমুদ্রের কপালে ভালোবাসার পরশ একেঁ দে।সমুদ্রে দুজনকে দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে।বড় আব্বু, কাকাই, সবাইকে দেওয়া হয়।তামিমের দিকে তার প্যাকেট এগিয়ে বলল,
-“পছন্দ হয়েছে কি’ না বলিস!”
তামিম বলল,
-“তুই এনেছিস!পছন্দ হবে না সেটা কি হয়।”
আমেনা বেগমের কাছে এসে সমুদ্র বলল,
-“আমেনা খালা এটা তোমার।
-“কি দরকার ছিলো বাবা! এসব করার।”
-“দরকার আছে!তুমি আমাদের পরিবারের একজন।আমি আমাদের পরিবারে সবার জন্য এনেছি।তাহলে তুমি বাদ যাবে কেন? ”
এই ফ্যামিলি সবাই কেউ তাকে বুঝতে দেয় না আমেনা এই বাড়ি কাজের লোক।প্রতিটা ঈদে বা যেকোনো উৎসবে সবার জন্য যা কেনা হয় জামা কাপড় তাদের মা -মেয়েকে সেটাই কিনে দেওয়া হয়।তাদের পছন্দের অনুযায়।সোহার পড়াশুনার খরচ এই ফ্যামিলির সবাই চালায় না হলে মা -মেয়ে না খাইয়ে মরতে হতো।
-“আমেনা খালা তুমি কাঁদছো কেন? ”
আমেনা চোখের পানি মুছে বলল,
-“নাহ!বাবা।এটা দুঃখের কান্না নয়।এটা সুখের কান্না।
আমেনা খালাকে জড়িয়ে ধরে সমুদ্র বলল,
-“আর কখনো কাঁদবে না তুমি। আমরা থাকতে কিসের কষ্ট তোমার।যখন কোনো কিছু প্রয়োজন হবে আমাদেরকে জানাবে।”
সমুদ্র সবার উদ্দেশ্য বলল,
-“এগুলো আমার তরফ থেকে প্রাচ্য’র বিয়ে উপলক্ষে গিফট।”
নীল তেড়ে এসে বলল,
-“সবার জন্য কিছু না কিছু এনেছে।কিন্তু আমার গিফট কোথায় ভাইয়া!”
-“তোর জন্য আনতে ভুলে গেছি।পরের বার আসতে আনবো।
-“দেখোছ তোমরা।তোমাদের ছেলে আমার জন্য কিছু আনে নাই।আমার কথা ভুলে গেছে।থাক! আমার জন্য আনার দরকার নাই।তোমার গিফট আমার লাগবে না।
এটা বলে রাগ করে চলে যেতে নিলেই সমুদ্র নীলের হাত ধরে বলল,
-“আমাদের কদমফুল যে হেব্বি রেখে গেছে!
এটা বলে নীলের দিকে একটা প্যাকেট এগিয়ে দিয়ে বলল,
-” দেখ তো পছন্দ হয়েছে কি’ না!”
সমুদ্রের হাত থেকে প্যাকেট নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে দেখে একটা মেরুন কালারে লেহেঙ্গা।তা দেখে খুশিতে সমুদ্রকে জড়িয়ে ধরে বলল,
-“Thank you ভাইয়া! তুমি এই পৃথিবীর চেষ্ট ভালো ভাইয়া।!
-“হ্যাঁ আমি চেষ্ট ভালো ভাইয়া!একটু আগে কেউ একজন আমার নামে সবার কাছে নালিশ করল!
অভিমান করে সমুদ্র পরের কথাটা বলল।নীল তাকে বলল,
-“আমি জানতাম আমার ভাইয়ের সবার জন্য কিছু না আনলে ও আমার জন্য তারা কিছু না কিছু আনবেই ।তুমি যেমন আমার জন্য গিফট এনে ও মজা করছিলে।তেমনি আমি মজা করেছি।সমান সমান হয়ে গেছে।”
গোল্ডের আর পিংক কালারের একটা লেহেঙ্গা সোহার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
-“এটা তোমার জন্য। পছন্দ হয়েছে কি’ না দেখো।”
সোহা ভালো করে নাড়িয়ে ছাড়িয়ে দেখে বলল,
-“আমার খুব পছন্দ হয়েছে।”
প্রাচ্য বলল,
-“সবার টা দেওয়া হয়ে গেছে।আমার কই।”
-“বিয়ের কনের তোমার জন্যই আনার হয়েছে।”
এটা বলে একটা প্যাকেট প্রাচ্য’র দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
-” এটা তোর।”
প্রাচ্য খুলে দেখে কাঁচা হলুদে রঙের একটা শাড়ি।সমুদ্র বলল,
-“শাড়ি এনেছি তোর গায়ে হলুদের জন্য।পছন্দ না হলে ফেরত দিয়ে আসব।”
-“আমার ভাইয়া আমার জন্য এনেছে তা পছন্দ না হয়ে থাকতে পারে।”
★★★
সোহা আয়নার সামনে লেহেঙ্গটা তার সামনে ধরে আয়না খুঁটিয়ে খুটিয়ে দেখছে।লেহেঙ্গাটা ভারী পছন্দ হয়েছে তার।কিন্তু তার গায়ের রঙ নীলের মতো ওতটা ফর্সা নয়।একটু চাপা।তাই বার বার আয়না দেখছে দ তাকে মানাবে কি না।হঠাৎ করে আয়নার ভিতরে চোখ যায় সোহার! তামিমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।সোহা ঘুরে দাঁড়ায়!ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে তামিম তার দিকে।তার চোখের দিকে তাকাতে তার অস্বস্তি লাগছে।তাই চোখ নামিয়ে হাতের লেহেঙ্গাটা ভাজ করে রেখে দিয়ে চলে যায় তামিমের পাশ কেটে।তামিম পিছু ডাকে!সোহা দাঁড়িয়ে যায়।তামিম বলল,
-“একগ্লাস লেবু শরবত দিয়ে যা আমায়।”
এটা বলে সোহার পাশে কেটে চলে যায়।সোহা শরবত নিয়ে তামিমের রুমে যেয়ে দেখে তামিম রুমে নেই।তাই খাটের পাশে রাখতে গেলেই ঠাস করে দরজা লাগানোর আওয়াজ কানে যায় তার!ঘুরে তাকিয়ে দেখে তামিম দরজা সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।সোহা তামিমের কাছে এসে দরজা খুলতে গেলেই তামিম তার হাত ধরে ফেলে তার সর্বাঙ্গ কেঁপে উঠে।যে বুঝতে পাচ্ছে না হঠাৎ করে তামিম এমন করছে কেন?খুব শান্ত গলায় সে বলল,
-“হাত ছাড়ুন আমি যাবো!”
সোহা বলল!কিন্তু তামিম হাত ছাড়া তো দূরে কথা হাত আরো শক্ত করে ধরে।সোহা বিরক্ত নিয়ে বলল,
-“একটা কাজের মেয়ের হাত ধরা এভাবে মানায় না।
এটা বলে হাত ছাড়িয়ে নেয়।তামিম এবার সোহার কোমর ধরে কাছে এনে বলল,
-“কালকে আমার কথায় তুমি অনেক কষ্ট পেয়েছো।আমি ওভাবে বলতে চাইনি। আই আম স্যরি সোহা”!
কোমরে থেকে তামিমের হাত সরিয়ে বলল,
-“ভুল কি বলেছেন? যা সত্যি চাই বলেছেন।এতে স্যরি বলার কিছু নেই।”
এটা বলে দরজা খুলে বের হয়ে যায় সোহা।তামিম অসহায় হয়ে তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।কেন কালকে সে সোহাকে এটা বলতে গেলো।সোহা খুব কষ্ট পেয়েছে।রাগে নিজের চুল গুলো টানতে থাকে তামিম।

★★★
প্রাচ্য, নীল,সোহা,তামিম টেন ষ্টেশনে বসে আছে। আজকে স্বপ্নরা আসবে।নীল মহাবিরক্ত নিয়ে বলল,
-“আপু আর কতক্ষন অপেক্ষা করতে হবে।”
-“এত দেরী হওয়ার কথা নয়!কেন যে দেরী হচ্ছে বুঝতে পাচ্ছি না! “প্রাচ্য বলল
-“তোরা বস!আমি একটু দেখে আসি তারা আসছে কি’ না।”
এটা বলে তামিম দাঁড়ায় যাওয়ার জন্য। তখনই সে জায়গা দাঁড়িয়ে যায়। প্রাচ্যকে বলল,
-“আর যেতে হবে না। তোর বন্ধুরা চলে এসেছে!
তামিমের কথা শুনে সবাই দাঁড়িয়ে যায়।তামিমের দৃষ্টি অনুসরণ করে সবাই তাকায়।নীল স্বপ্নের দিকে তাকিয়ে আছে।স্কাই কালার শার্ট, সাদা প্যান্ট, এক হাতে ভাজ করা ব্লু ব্লেজার আরেক হাতে লাগেজ। বাতাসে স্পাইক করা চুল গুলো উড়ছে। যেন সিনেমার হিরো হেঁটে আসছে তারর কাছে।চোখে সরছে না তার।তখনই স্বপ্ন তাদের কাছে এসে বলল,
-“কেমন আছো তামিম?”
এটা বলে জড়িয়ে ধরে তামিম কে?
-“ভালো আছি ব্রো! তোমাদের আসতে কোনো সমস্যা হয়নি তো!”
-“আরে না কোনো সমস্যা হয়নি।”
এটা বলে নীলের দিকে চোখ যায়। স্বপ্নের সাথে চোখাচোখি হতেই নীল চোখ নামিয়ে ফেলে লজ্জায়।নিজেই নিজেকে বলে সে,কেন নীল এত বেহায়া হয়ে প্রাচ্য’আপুর বন্ধুর দিকে তাকাতে গেলি!সে এখন কি ভাব্বে তোকে! বলবে এই মেয়ের লাজ শরম কিছু নেই, কি ভাবে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে ছিলি ছিঃ ছিঃ।তোর চোখ সংযত কর!তুই শুধু এই দুই চোখ দিয়ে সুরওয়ালা দেখবি।কার কাউকে দেখবি না।
-“কেমন আছো নীল!”
স্বপ্নর কোথায় ধ্যান ভাঙে নীলের।নীল মৃদু হেসে বলল,
-“জ্বী ভালো আছি।”
-“তোমার পাশের জন্য বোধ হয় সোহা! এম আই রাইট!”
নীল মাথা দুলিয়ে হ্যাঁ জানায়।রোদ দৌড়িয়ে এসে প্রাচ্যকে জড়িয়ে ধরে।
-“বিয়ের করার আগে আমাকে ভুলে গেলি!বিয়ে করার পর মনে হয় আমায় দেখলে তুই বলবি রোদ নামের কাউকে তুই চিনিস না।”
প্রাচ্য রোদের কথা শুনে শুধু মুচকি হেসেছে।ধূসর বলল,
-“হায়! হায়! প্রাচ্য তুই এটা কি করলি! রোদকে ভুলে যাওয়া তোর উচিত হয়নি।তোর ১০ না, ৫ না, একটা মাত্র বেষ্ট ফ্রেন্ড।ওকে তুই এভাবে ভুলে যাওয়া উচিত হয়নি।ঘোর অন্যায় করেছিস। ”
রোদ বলল,
-“ধূসর ঠিক বলেছে!তুই ঘোর অন্যায় করেছিস! ”
-“হ্যাঁ, আমি মেনে নিয়েছি আমি ঘোর অন্যায় করেছি।এখন আপনি আমায় যা শাস্তি দেবেন মাথা পেতে নেবো।”
-“নাহ থাক!আমার বেষ্টু কয়দিন পর চলে যাবে আমাকে ছেড়ে তাকে কি এখন শাস্তি দেওয়া যায়।”রোদ বলল।
প্রাচ্য সবাইকে দেখছে কিন্তু তৃণকে দেখছে না।সে কি আসেনি। এদিক ওদিক তাকায় তৃণকে দেখার জন্য। কিন্তু দেখতে পায় না। হুট করে তৃণ এসে বলল,
-“ভেবেছিস আমি আসবো না তোর বিয়ে তে তাই এদিকে ওদিক খোঁজা হচ্ছে আমাকে!”
হুট করে তৃণ কথাটা বলাতে প্রাচ্য ঘাপড়ে যায় কিছুটা।
-“একটা মাত্র বেষ্টুর বিয়ে বলে কথা না এসে পারি।”প্রাচ্য’র গাল দুটো টেনে বলল তৃণ।তৃণ এমন আচারণ আগে হলে তার কাছে স্বাভাবিক লাগত।কিন্তু এখন কি করে তৃণ এই স্বাভাবিক আচারণ করছে তার সাথে। তৃণ চোখের দিকে তাকায় সে,চোখে খুশির ঝিলিক।প্রাচ্য ভেবেছে হয়তো তার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে শুনে তৃণ খুব কষ্ট ভাবে। এটা ভেবে সে এতদিন প্রতিটা রাত কেঁদেছে।কিন্তু তৃণ কে দেখে বুঝায় যাচ্ছে না তার প্রিয় মানুষটার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।কি হাসি খুশি সে।উপর থেকে নীচ পর্যন্ত ভালো করে চোখ ভুলায় তৃনের উপরে প্রাচ্য।গ্যাবাডিন কালারে প্যান্টের সাথে কালো শার্ট পরেছে সাথে আছে ঝাঁকড়া চুল।সৌন্দর্য যেন তার উপচে পড়ছে।
-“এভাবে তাকিয়ে পর্যবেক্ষণ করছিস কেন? আমার খুব লজ্জা লাগছে! ”
তৃণ বলল।প্রাচ্য আবার তৃনের দিকে তাকায়।এখন হাসছে তৃণ।চোখ নামিয়ে ফেলে প্রাচ্য!তৃণ প্রাচ্যকে বলল,
-“আমাকে খুব হ্যান্ডসাম লাগছে তাই না প্রাচ্য।”
প্রাচ্য তৃণ দিকে তাকায়।তৃণ আবার বলল,
-“তোর বিয়েতে অনেক মেয়ে আসবে।ফ্লাটিং করতে হবে না। তাদের পছন্দ হতে হবে তো,,,,,
আর বলার আগে প্রাচ্য সেখান থেকে চলে আসে।সবাই গাড়িতে উঠে যায়।নীল বলল,
-“কি তৃণ ভাইয়া আসতে হলো তো আমাদের নোয়াখালীতে।”
-“হুম!
-“কালকে আপনাদের সবাইকে আমাদের এই নোয়াখালী জেলায় ঘুরাবো।”
সবাই রাজি হয়। রোদ বলল নীলকে,
-“নীল তুমি বলেছো প্রাচ্য’র সাথে ধূসরের বিয়ে দেবে।এখন তো প্রাচ্য’র অন্য কোথায় ও বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।!
নীল বলল,
-“সমস্যা নেই! ধূসর ভাইয়া সাথে আমার বেষ্টু সোহার বিয়ে দেবো।”
এটা বলার সাথে সাথে সোহা বিষম খায়। নীলের কথা বিষম খাওয়া মেয়েটাকে দিকে ধূসরের চোখ যায় শ্যামবর্ণের হৃদয় হৃরণ কারী ।আনমনে ধূসরব মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে ‘মায়াবতী ‘ কথাটা।ধূসরের এরকম বেহায়া চাউনি সোহার কিছুটা অস্বস্তিবোধ হচ্ছে!সোহা একটা চিমটি কেটে নীলকে বলল,
-“এসব কি বলছিস তুই!”
নীল ফিসফিস করে বলল,
-“আরে!তোকে বিয়ে দেবো আমার তামিম ভাইয়ের সাথে।এখানে আমি ড্রপ মারছি!”
রোদ বলল,
-“নীল তুমি কি ভুলে গেলে!”
নীল সন্দিহান গলায় বলল,
-“কি?
-“তুমি না সাজেকে যাওয়ার সময় বললে,তৃণ সাথে তোমার ফ্রেন্ড সোহার বিয়ে দেবে।এখন বলছো ধূসরের সাথে!”
নীল জিহ্বা কামড় দিয়ে বলল,
-“এই যে ভুলে গেলাম!সব দোষ প্রাচ্য আপুর!তার জন্য সব গণ্ডগোল হয়ে গেছে।প্রাচ্য আপু তোমার উচিত ছিলো ধূসর বা তৃণ ভাইয়াকে বিয়ে করার তাহলে আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ নিতে পারতাম আমাদের জেলাকে ব্যঙ্গ করার।”
প্রাচ্য তৃণ দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে বলল,
-“নীল তুই কোনো চিন্তা করিস না!আমাদের তৃণ মেয়ে পঠানোর খুব ওস্তাদ। দেখবি আমার বিয়েতে কাউকে না কাউকে ঠিক পটিয়ে ফেলবে।আমার বিয়েতে মেয়ে পঠানো মানে আমাদের গ্রামের।আর আমাদের গ্রামের মানে আমাদের নোয়াখালী জেলার।তাহলে তোর ইচ্ছা পূরণ হয়ে যাবে।”
তৃণ বলল,
-“শোন প্রাচ্য!এই তৃণকে মেয়ে পটাতে হয় না।মেয়েরা এমনিতে তাকে দেখলে পটে যায়।”
প্রাচ্য ঠোঁট বাকা করে অন্য দিকে তাকায়।সোহা নীলের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে!তা দেখে নীল বলল,
-“শোন উনারা আমাদের নোয়াখালী জেলাকে অনেক ব্যঙ্গ করে কথা বলেছে।তাই আমি অভিশাপ দিয়ে বলেছি তাদের যেন নোয়াখালী জেলাতে বিয়ে হয়।আর পাত্রী খুজে ও দিয়েছি।তোর সাথে তৃণ ভাইয়ার বিয়ে হবে।আমার না তখন খুব রাগ হয়েছিল তাই হুট করে তোর নাম বলে দিয়েছি।রাগ করিস না সোহামণি!

স্বপ্ন এতক্ষণ নীলের খামখেয়ালীপণা কথাগুলো মুগ্ধ হয়ে শুনছিল।আর মুখ টিপে টিপে হাসছিল।

কথা বলতে বলতে তারা পৌঁছে যায় মির্জা প্যালেসে।সবাই লাগেজ নিয়ে ভিতরে ঢুকে যায়।ধূসর যাওয়ার সময় সোহার কানে কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে সে বলল,
-“মায়াবতী! ”
সোহা সেখানে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। বার বার তার কানে বাজছে মায়াবতী কথাটা। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে সোহা তার দিকে।ধূসর মুচকি হেসে বাসার ঢুকে যায়। তামিম গাড়ি পার্ক করে এসে দেখলো সোহা আর ধূসরকে এই অবস্থা। হাতের আঙুল গুলো মুষ্টিবদ্ধ করে নেয়।রাগান্বিত হয়ে এগিয়ে আসে সোহার দিকে।

#চলবে
#kawsar_sorna
ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন।শুধরানো চেষ্টা করব।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে