স্বপ্নীল
১৯
-“আমি ভেবেছি স্বপ্ন ক্রাশ খেয়েছে নীলের উপরে।আর এখন আমি কি শুনছি।স্বপ্ন রীতিমত প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে।”
ধূসর বলল।তার সাথে তাল মিলিয়ে তৃণ বলল।
-“আমি আগে বুঝছি।স্বপ্ন এবার নীলের প্রেমে মার্ডার হবে।”
-“হ! তুই না জানলে কে জানবে আমায় বল! ”
ফোঁড়ন কেটে প্রাচ্য বলল।রোদ বলল,
-“আমাদের তৃণ হলো প্রেম বিষয়ক পি এইচ ডি প্রাপ্ত। ”
তৃণ গর্বকরে বলল,
-“ঠিক বলেছিস রোদ! এত দিনে আজকে একটা রাইট কথা বললি দোস্ত।তার জন্য তোকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আর হ্যাঁ!তোদের যদি প্রেম বিষয়ক কোনো পরামর্শ লাগে আমার সাথে যোগাযোগ করবি।তোদের এই পি এইচডি প্রাপ্ত বন্ধু থাকতে নো চিন্তা।
তার কথা শুনে প্রাচ্য ভেঙচি কাটল।তৃণ বলল,
-“শোন প্রাচ্য, তোকে আমি স্পেশাল ভাবে প্রেম বিষয় পরামর্শ দিব। আজ থেকে আমায় সময় দিবি তুই।পুরো পাক্কা প্রেমিকা বানিয়ে ছাড়বো।”
প্রাচ্য দুহাত জোর করে বলল,
-“ক্ষেমা করেন আমায়! আমায় প্রেমিকা হওয়ার দরকার নাই।”
-“আরে ভয় পাচ্ছি কেন তুই……
তার আগে তৃণকে কেউ এসে জড়িয়ে ধরে।হঠাৎ করে এরকম হওয়াতে তৃণ সাথে সবাই হতভম্ব।
-“আই মিস ইউ তৃণ বেবি।তুমি জানো আমি তোমাকে কত মিস করেছি।”
এই কথা শুনে তৃণ বুঝতে পারল তাকে জড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটি হলো টিনা।টিনার এই ন্যাকামি দেখে গা পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে প্রাচ্য’র।সহ্য হচ্ছে না তার।তৃণ প্রাচ্য’র দিকে তাকিয়ে দেখে রাগে ফুসছে সে। যেকোনো সময় বোম ব্রাস্ট হতে পারে। টিনাকে নিয়ে আর জামেলা চায় না।এবার নিজের মনে কথা প্রাচ্যকে বলে দেওয়ার সময় হয়ে এসেছে।
হুট করে টিনা তাকে ছেড়ে দিয়ে তার গালে কিস করে বসে সবার সামনে।তৃণ ভাবতে পারিনি টিনা এমন কিছু করবে।তৃণ ভয়ে ঢোক গিলছে প্রাচ্য এটা কি ভাবে নিবে।ভয়ে তাকাতে প্রাচ্য’র দিকে। প্রাচ্য’র চোখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে।প্রাচ্য এগিয়ে এসে টিনা বাহু ধরে তার দিকে ঘুরিয়ে ঠাস ঠাস করে চড় মারে।প্রাচ্য এমন কিছু করবে ভাবতে পারিনি তার বন্ধুরা।তৃণ এগিয়ে এসে বলল,
-“এ কি করেছিস তুই”
প্রাচ্য কান্না করতে করতে বলল,
-“খুব ভালো লাগে তোর এসব। তাই না!”
-“প্রাচ্য আমি,,,,
-“চুপ,একদম চুপ! কোনো কথা বলবি না তুই আমার সাথে! ”
কান্না করতে সেখান থেকে প্রস্থান করে।তার পিছন পিছন স্বপ্ন ছুটে যায় প্রাচ্যকে আটকানোর জন্য।রোদ আর ধূসর ছুটে যায়।
-“টিনা আমি তোমার কাছে প্রাচ্য হয়ে ক্ষমা যাচ্ছি। আই অ্যাম রিয়েলি সরি!
তৃণ এটা বলে চলে যায়।টিনা রাগে ফুঁসতে বলল,
-“তুমি এই টিনার গায়ে হাত তুলেছো।তার পরিণাম তোমাকে ভোগ করতেই হবে।ভালোবাসো না তুমি তৃণকে।
একটা শয়তানি হাসি দেয় সে।তৃণ স্বপ্ন কাঁধে হাত দিয়ে বলল,
-“প্রাচ্য কোথায়?”
– ধূসর বলল,
-“চলে গেছ”
-“আটকাতে পারলি না তোরা।”
-“আমরা আসার আগেই চলে গেছে।”
রাগে নিজের চুল ছিঁড়তে মন চাচ্ছে। বাম হাত দিয়ে চুল মুট করে ডান হাতে ফোন নিয়ে প্রাচ্যকে ফোন দিচ্ছি।বার বার কেটে দিচ্ছে প্রাচ্য।এবার ফোন বন্ধ বলছে। তৃণ রাগ করে মোবাইল সেখানে আঁচড়ে ভেঙে ফেলে।তৃণ কাঁধে স্বপ্ন হাত রেখে বলল,
-“চিন্তা করিস না।প্রাচ্য রাগ কমে গেলে ও নিজেই তোকে ফোন করবে।”
প্রাচ্যদের বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছে। বারান্দা দিকে বার বার তাকাছে একবার যদি প্রাচ্য দেখায় পায়।দুই ঘন্টা যাবত দাঁড়িয়ে আছে খবর নেই।আসার সময় মার্কেট থেকে নতুন মোবাইল, নতুন সিম কিনে প্রাচ্যকে ফোন করে।রিং হয়ে হওয়ার সাথে সাথে ফোন তুলে প্রাচ্য।সে বলল
-“হ্যালো!
-“হ্যালো!
-“তোর ফোন ধরছি না বলে নতুন সিম কিনে আমায় ফোন দিচ্ছি।কোন সাহস তুই আমায় ফোন দিচ্ছিস।”
-“প্লিজ প্রাচ্য ফোন কাটিস না।”
– – -” তোর সাথে আমার কোনো কথা নাই।”
প্রাচ্য ফোন কেটে দেয়।তৃণ মোবাইলে দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। প্রাচ্যকে ফোন করে বুঝানো যাবে না। যা বোঝাতে হবে সামনাসামনি। পাইপ বেয়ে প্রাচ্য’র বারান্দা আসে।সে জানে না প্রাচ্য এখন তাকে দেখে কি ভাবে রিয়েক্ট করবে।আর সমুদ্র যদি জানতে পারে তার বন্ধু মাঝরাতে পাইপ বেয়ে তার বোনের কাছে এসেছে।তাহলে কি ভাব্বে সমুদ্র ।
-“ভুত!”
খুব জোরে বলল প্রাচ্য।তৃণ তাড়াতাড়ি প্রাচ্য’র কাছে এসে তার মুখে হাত দিয়ে চেপে ধরে।
-“চুপ কর।এত জোরে চিৎকার দিচ্ছিস কেন? আমি তৃণ, ভুত নয়!”
প্রাচ্য ফোঁপাতে থাকে।তার ফোঁপাতে দেখে তৃণ হাত সরিয়ে বলল,
-“সরি”
প্রাচ্য জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে।দম যেন আটকে আসছিল! রাগি চোখে তৃণ দিকে তাকায়,
-“তুই আমার রুমে কোন সাহস আসছিস! বের হ্ও!
-“প্লিজ আমার কথা শুন…
-“বের হবি ।
-“না ”
-“আমি কিন্ত এখন সমুদ্র ভাইয়াকে ঢেকে আনব।তার বন্ধুর কৃতকর্ম দেখার জন্য।”
-“যা গিয়ে ঢেকে আন।আমি বলব তুই আমায় ঢেকে এনেছিস।”
এটা চলে ধপাস করে শুয়ে পড়ে।প্রাচ্য’র রাগ সপ্তম আকাশে। এই ছেলে কে একটু সহ্য হচ্ছে না তার।
-“এই উঠ!আমার বিছানা থেকে উঠ।”
-“এই বিছানা তো আমারে একদিন হবে।আজ থেকে না হয় শোয়া ধরলাম।”
-“তোর মত নোংরা মানুষ এই জীবনে দেখিনি।”
-“নোংরা মানুষ দেখছ নাই।তাহলে আমায় দেখে দুনয়ন ভরে নেয় ”
-“ছিঃ!”
এটা বলে চলেচযেতে নিলেই তৃণ হাত ধরে হেচকা টান দিয়ে তার বুকের উপরে প্রাচ্যকে ফেলে।তার একহাত প্রাচ্য’র কোমর জড়িয়ে ধরে, আরেক হাত প্রাচ্য’র মাথা নিচের দিয়ে প্রাচ্য’র মুখ তার উপরে ধরে।প্রাচ্য ছুটার জন্য অনেক চেষ্টা করে। তা দেখে তৃণ বলল,
-“যেতে যেন না পারিস তার জন্য এভাবে আকঁড়ে ধরেছি!তারপর এমন ছটপট করছিস কেন? ”
-“ছাড়! বলছি,”
-“এমন করছিস কেন? একটু দেখি না তোকে!”
-“আমায় দেখতে যাবি কেন? তুই দেখিবি টিনা কে?সর বলছি!”
-“এখানে আমার দোষ কোথায় প্রাচ্য?টিনা নিজেই আমায় কিস করেছে!আমি তো আর করি নাই।
-“ও তোকে কেন কিস করবে?ওর এত স্পর্ধা হত না, যদি তুই টিনাকে প্রশ্রয় না দিতি! ”
-“আমি কোথায় প্রশ্রয় দিয়েছি।ও হুট এরকম কিছু করবে আমি ভাবতে পারিনি।এতে আমার দোষ কোথায়?”
-“তুই প্রশ্রয় দেস নি? ”
-“না
-“তুই প্রশ্রয় দিয়েছিস বলে তোকে হুট করে কিস করতে পেরেছে। ওখানে তুই বাদে স্বপ্ন আর ধূসর ছিল।তাদের কেন করেনি! আনসার মি?
তৃণ চুপ করেছে আছে।সে কি বলবে! বলার কিছু রেখেছে।প্রাচ্যকে জ্বালানোর জন্য টিনার সাথে ফ্লাটিং করত।আর এভাবে টিনা এমন কিছু করবে ভাবতে পারিনি।এভাবে তৃণকে চুপ থাকতে দেখে রাগ উঠে যায় প্রাচ্য’র।যে ছুটে চলে যেতে নিলে তৃণ আর শক্ত করে আকঁড়ে ধরে।
-” শান্ত হো! এত হাইপার হচ্ছিস কেন? কিস করেছে তার বদলের থাপ্পড় মেরেছিস তো।শোধবোধ হয়ে গেছে!তাহলে কেন রাগ করছিস?
-“তোর গার্লফ্রেন্ড কে থাপ্পড় মেরেছি বলে গায়ে লাগছে নাকি তোর।
-“গায়ে লাগবে কেন? তুই না মারলে আমি মেরে দিতাম। গায়ে পরা মেয়ে, ন্যাকামিতে ভরপুর। ”
-” হায়! কি শুনি আমি।তৃণ শেখ তার স্মার্ট , সুন্দরী প্রেমিকাকে বলছে গায়ে পড়া, ন্যাকামোতে ভরপুর। ব্যাপার কি?
-“ব্যাপার কিছু একটা আছে?
হাসে সে।তার সাথে হেসে দে প্রাচ্য।
-“ছাড় না প্লিজ! অস্বস্তি লাগছে। ”
-“উহুম।”
-“কি”
তৃণ কোনো কিছু না বলে উলটে ঘুরিয়ে প্রাচ্যকে তার নিচে ফেলে দেয়।প্রাচ্য’র বুকে মাথা পেতে হৃদস্পন্দন শুনে।
-“কি করছিস?
মাথা তুলে প্রাচ্য’র ঠোঁটে তর্জনী আঙুলে রেখে ‘হুস ‘বলল।আমার সে আগের স্থানে ফিরে যায়।প্রাচ্য’র মধ্যে অস্থিরতা বেড়ে যায়।আজ পর্যন্ত কোনো পুরুষ এত কাছে আসেনি তার।হার্টবিট মিস হয়েছে। বড় বড় করে নিশ্বাস ফেলছে।তৃণ নিশ্বাস তার গলায় ঘাড়ে উপচে পড়ছে।বিছানার চাদর খামচে ধরে।এভাবে অনেক্ষন ধরে প্রাচ্য’ বুকে কান পেতে রয়েছে।বুকের হৃদস্পন্দন বলছে ‘ভালোবাসি ‘।
প্রাচ্য’র ফোনে টিং টাং আওয়াজ আসে।ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে হোয়াটস এ্যাপসে মেসেজ আসছে।মোবাইলের স্কিনে টিনা নাম ভেসে উঠছে।মোবাইলে হাতে নিয়ে একবার তৃণ দিকে তাকায়, এখন ওই ভাবে ঝাপটে ধরে আছে।তা দেখে মুচকি হাসে প্রাচ্য!আবার মোবাইল আসা মেসেজ আওয়াজে মোবাইলের দিকে নজর দেয়। টিনা তাকে মেসেজ করছে। কেন করছে?
টিনা এমন কিছু পাঠাবে প্রাচ্য ভাবতে পারেনি।টিনা কিছু ছবি সেন্ট করেছে। ছবি গুলোতে টিনা আর তৃণ অন্তরঙ্গ অবস্থায়।তা দেখে কয়েক ফোঁটা চোখে জল গড়িয়ে পড়ছে।তৃণ দিকে তাকায় সে। সে মনে করেছে তৃণ আর যাই করুক এমন কিছু করতেই পারবে না। তার বিশ্বাস ছিল।এভাবে ভেঙে দিল। আর এখন ভালোবাসা দেখাচ্ছে। ছিঃ, কি করে টিনার সাথে,,,,,,
আর কিছু ভাবার আগেই তৃণকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বুকের উপর থেকে।প্রাচ্য’ এহেম কান্ড তৃণ হতভম্ব হয়। হঠাৎ কি হয়েছে প্রাচ্য এমন করছে।প্রাচ্য’ দিকে তাকিয়ে দেখে তার চোখে জল। হ্যাঁ প্রাচ্য’র চোখে জল।কিন্তু কেন কাঁদছে প্রাচ্য? সে তো এমন কিছু করেনি যার জন্য প্রাচ্য কাঁদবে।তার মানে কি প্রাচ্য’র বুকে মাথা রেখেছি বলে কান্না করছে,,,
তৃণ উঠে যেয়ে প্রাচ্য’র গাল ছুতে নিলে,প্রাচ্য চেঁচিয়ে উঠে,
-“ছুবি না আমায় তুই, তোর নোংরা হাতে স্পর্শ করবি না আমায়।পাপ হবে আমার।”
কি বলছে প্রাচ্য।তৃণ মাথায় কিছু ঢুকছে না।খুব শান্ত গলায় বলল,
-” কি হয়েছে প্রাচ্য তোর।”
তৃণ’র শার্টের কলার চেপে ধরে চেঁচিয়ে বলল,
-“কি হয়েছে জানতি চাস! এই দেখ!”
এটা বলে মোবাইলের পিক গুলো দেখায়।তৃণ একবার প্রাচ্য’র দিকে তাকায় আবার ছবি গুলো দিকে।প্রাচ্য’র হাত থেকে মোবাইল নিয়ে ভালো করে দেখে বলল,
-” বিশ্বাস কর প্রাচ্য!এই ছেলেটা আমি না।
-“মিথ্যেবাদী , জানোয়ার।একটা কথা বলবি না।বের হও!
-“বিশ্বাস কর,,,
-“কি বিশ্বাস করব!হ্যাঁ কি বিশ্বাস করব।জলজ্যান্ত ছবি গুলো।এগুলো তো মিথ্যে হতে পারে না।
-“হ্যাঁ এগুলো মিথ্যে!আমার আর টিনার মধ্যে এমন কোনো সম্পর্ক ছিলো না যে আমি ওর সাথে অন্তরঙ্গ হব।”
-“ও রিয়েলি! তোদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিলো না।”
তাচ্ছিল্য হেসে বলল প্রাচ্য।প্রাচ্য’র গালে আলত ভাবে হাত ছুয়ে বলল,
-“ছিলো না। ওর সাথে থাকবে কি করে।আমার এই মন প্রাণ জুড়ে তুই ছিলি।ভালো যেয়ে আমি তোকে ভালোবাসি।”
স্বাভাবিক পরিস্থিতি যদি তৃণ এই কথা প্রাচ্যকে বলতো। তাহলে এখুনি প্রাচ্য, তৃণ বুকে ঝাঁকিয়ে পড়ত।এত দিন তৃণ মুখে এই কথা শুনার জন্য প্রাচ্য’র মন ব্যাকুল ছিল।এই দিনের অপেক্ষাই ছিল।কিন্তু আজ সে তৃণকে বিশ্বাস করবে না। কি ভাবে করবে। তার ভালোবাসার মানুষকে এভাবে অন্যএকজনের সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখিল কেই বা ঠিক থাকতে পারবে।
প্রাচ্য কান্না করতে করতে তৃণ বুকে ইচ্ছা মত আঘাত করতে থাকে।
-“ভালোবাসিস।ভালোবাসার নমুনা দেখতে পাচ্ছি আমি।”
-“তোর মনে হয় টিনার সাথে আমি এমন করব”
-“কেন মনে হবে না। আমায় যদি জোর করে কিস করতে পারিস। তাহলে টিনার সাথে এমন করতে পারবি!
ঠাস করে একটা চড় মারে প্রাচ্য’র গালে তৃণ।দেওয়ালে সাথে লাগিয়ে প্রাচ্য’র গলা টিপে ধরে বলল,
-“এত সাহস হয় কোথায় থেকে তোর।এই টিনার সাথে নিজেকে তুলনা করার।তুই জানিস, আমার কাছে কত দামি তুই।এই বাজের মেয়ের সাথে নিজের তুলনা করছিস।
গলা ছেড়ে দেয় সে।আর একটু হলে নিশ্বাসবন্ধ হয়ে যেত।জোরে জোরে হাঁফাতে থাকে।তৃণ প্রাচ্যকে জড়িয়ে ধরে।প্রাচ্য ফেরে উঠছে না।তৃণ বলল,
-“তোকে ভালোবাসি বলে নিজের সইচ্ছায় কিস করেছি।আর রইল টিনা।টিনার সাথে আমার এমন কোনো সম্পর্ক ছিলো না ।যার জন্য ওকে আমি কিস করব, আর এই সব।সব চেয়ে বড় কথা টিনা জানতো আমি তোকে ভালোবাসি।
ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বলল প্রাচ্য,
-” ভালোবাসা মাই ফুট।ভালোবাসতি তুই আমায়, তাই আমায় ফিরিয়ে দিয়েছিস।এটা তোর ভালোবাসার নমুনা ছিল।”
তৃণ প্রাচ্য দিকে এগিয়ে আসলে প্রাচ্য তাকে থামিয়ে বলল,
-“আমার কাছে আসবি না তুই”
-“আসবো না।তোর কথা আনসার শুন। তোকে আমি ফিরিয়ে দিয়েছি তার কারণ আমি চাইনি হই এই মুহুর্তে আমাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক হোক। সম্পর্ক করলে তোর পড়াশুনার ক্ষতি হত।তাই ফিরিয়ে দিয়েছি। তার মানে এই নয় আমি তোকে ভালোবাসতাম না।আমি তোকে ভালোবাসতাম। আমি তোকে বুঝতে দিতাম না।চেয়েছিলাম তোর পড়াশুনা শেষ হলেই একবারে বউ করে ঘরে তুলে আমার অনুভূতি কথা জানাবো।”
-“চুপ কর!তোর মুখ থেকে কিছু শুনতে চাই না।এই মুহুর্তে বের হয়ে যায়।না হলে আমি নিজেকে শেষ করে দিব।
-“কি বলছি এসব তুই”
-“বের হও।
-“হ্যাঁ যাচ্ছি।কিন্তু বিশ্বাস কর টিনার সাথে এমন কোনো কিছু হয়নি আমার।আর আমি জানি কেন? টিনা এই মিথ্যে ছবি গুলো পাঠিয়েছে।তার কৈফিয়ত টিনাকে দিতেই হবে।
চলে যায় তৃণ।প্রাচ্য কান্না করতে করতে বসে পড়ে। এরকম চায়নি সে। তাহলে কেন এমন হয়েছে।কেন হয়েছে?ভালোবেসেছিল বলেই!
#চলবে
@কাউছার স্বর্ণা