স্বপ্নীল
১৮
সারারাত ঘুমাতে পারিনি সে।চোখে সামনে নীলের ছবি ভেসে উঠছে।তাইই সকাল না হতে না হতেই নীলকে দেখার জন্য ছুটে আসে প্রাচ্যদের বাসায় সে।প্রাচ্যদের এখানে এসে উঁকিঝুঁকি মারছে সে। বুঝতে পাচ্ছে না কেন? দেখা মিলছে না নীলের। সে কি এখন উঠেনি। সমুদ্রকে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবো।
কিছু একটা ভেবে সে বলল,না থাক! সমুদ্রকে জিজ্ঞেস করলে আবার কি মিন করে বসে থাকে। সমুদ্র বোন যদি নীল না হত।তাহলে তার কথা বলতে পারত সমুদ্রকে।কিন্তু এখন নীলের ব্যপারে সমুদ্রর কাছে বলবে না কি, বলবে না।এটা নিয়ে স্বপ্ন দ্বিমতপোষণ করছে।
“-যাকে খুজছিস সে নেই।”
স্বপ্ন পিছননে দাঁড়িয়ে প্রাচ্য বলল,স্বপ্ন ভয়ে আছে প্রাচ্য কিছু বুঝে ফেলেনি তো।এখন সে কি জবাব দিবে।
-“আমি কাকে খুজবো।আমি তোকে খুজছিলাম।”
-“জানিস স্বপ্ন।তুই মিথ্যে বলা এখন পুরোপুরি শিখতে পারিস নি।আগে শিখে নে,তারপর না হয় মিথ্যে বলিস”
-“সত্যি বলছি আমি তোকে,,,
প্রাচ্য হাত দিয়ে ইশারা দিয়ে স্বপ্নর কথা মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে সে বলল,
-“আমি জানি তুই এভাবে উঁকিঝুঁকি দিয়ে নীলকে খুঁজছিস।”
স্বপ্ন আর কিছু বলল না।প্রাচ্য’র কথা বিনিময় সে শুধু হেসেছে।তার চুল হাতড়াতে হাতড়াতে বলল,
-” তাকে যে দেখছি না সে কোথায়।”
-“নীল চলে গেছে।”
স্বপ্ন আতঁকে উঠে বলল,
-“কোথায়? ”
-“মির্জাপুর। ”
যাকে দেখার মনটা তার ব্যাকুল ছিল।নীল একবার দেখে তার মনের ব্যাকুলতা দূর করবে ভেবেছে। ভেবেছে তার হাসি মাখা মুখটা দেখে পরাণ জুড়াবে।কিন্তু সে চলে গেছে,,,কেন নিজের মনের কথায় জানায়নি নীলকে সে।ভেবেছিল আরো কয়টা দিন যাক তারপর জানাবে।কিন্তু হুট করে চলে গেল কেন?
-“স্বপ্ন!”
স্বপ্নের কাঁধে হাত দিয়ে বলল প্রাচ্য।স্বপ্ন তার দিকে তাকিয়ে বলল,
-“কখন গেলো।”
-“কালকে বিকালে চলে গেছে।”
ছোট করে স্বপ্ন বলল,
-“ওহ!”
এটা বলে আর এক মিনিট আর দাঁড়ায় নি।স্বপ্ন এভাবে চলে যাওয়াতে প্রাচ্য কিছুটা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তার যাওয়ার পানে।
★★★
-“তোর জন্য সাজেকে সুন্দর সুন্দর মুহুর্ত গুলো ভিডিও করে এনেছি।”
-“কই দেখা।”
-“এই নে ধর।”
সোহার হাতে মোবাইলটা দিয়ে খাটের উপরে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ে।সুরওয়ালার সাথে দেখা হবে তো তার।আচ্ছা সুরওয়ালা দেখতে কেমন হবে। তার চেয়ে কি সুন্দর হবে।হয়ত হবে।আবার সুন্দর হতে না পারে।। যদি সুরওয়ালা ভুঁড়িওয়ালা পেট থাকে। আরে,, না,, না কি সব ভাবচি আমি।আমার সুরওয়ালা পেট থাকবে স্লিম। কোনো ভুঁড়ি টুড়ি থাকবে না।সব আজগুবি চিন্তা আমার।
-“এত সুন্দর জায়গা সত্যি মিস করে ফেলেছি আমি।জায়গা টা সত্যি খুব সুন্দর।”
আফসোস নিয়ে বলল সোহা।নীল শোয়া থেকে উঠে বলল,
-“আমার সাথে যাওয়ার জন্য বলেছি তোকে।তুই শুনিস নি।”
-“আমি কি জানতাম এত সুন্দর হবে জায়গাটা।”
-“নো টেনশন বেবি, তোমার আর ভাইয়ার হানিমুনের ব্যবস্থা করব ওই সাজেকে। আমার জানা মত এই জায়গা পার্ফেক্ট হানিমুন করার জন্য।”
লজ্জা মাথা নুয়ে ফেলল সোহা।তা দেখে নীল হেসে দিল।
-“বাব্বাহ!আমার সোহারানি দেখি লজ্জা আছে।”
-“কিসব বলছিস না তুই। ”
এটা বলে দৌড়ায় পালায় সে।দৌড়াতে দৌড়াতে ছাদে উঠে যায়। হাটুতে হাত ভর দিয়ে হাপাতে থাকে সে।এভাবে তাকে হাঁফাতে দেখে তামিম প্রশ্ন করে।
-“কুকুরে তাড়া দিল বুঝি তোকে।”
এইরাতে বেলা ছাদে কে থাকতে পারে।এইদিক ওইদিক তাকায়।সামনে তাকিয়ে দেখে তামিম।ছাদের রেলিঙ হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একহাত সিগারেট ধরে রেখেছে আর মুখ দিয়ে ধোঁয়া ছাড়ছে। এই সিগারেট দেখলে গা পিত্তি জ্বলে যায় তার। সিগারেট ধোয়া তার সহ্য হচ্ছে না।
-“আপনি সিগারেট খাচ্ছেন।”
-“দেখতেই পাচ্ছো।”
-“দাদু শুনলে কষ্ট পাবে।”
-“দাদু দেখলে তো কষ্ট পাবে।”
-” এইসব বাজে জিনিস খান কেন?ছেড়ে দিতে পারেন না।”
হাত থেকে সিগারেট ফেলে দিয়ে সোহার কোমর জড়িয়ে নিজের কাছে টেনে বলল,
-“তোর ভালোবাসা দিলে ছেড়ে দিব।”
সোহা ছাড়া জন্য চট পট করছে । বার বার নিজের কোমর থেকে তামিমের হাত ছুটাছে।
-“ছাড়ুন বলছি!
-“ছাড়বো না আমি।কেন ভালোবাসি না আমায় তুই।তোর ভালোবাসা পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে আমায়। তোর অবহেলা গুলো আমার বুকের এখানে লাগে।
-“ছাড়ুন বলছি।চিৎকার করব আমি।
-“হুমকি দিচ্ছি আমায়।
-“হুমকি দিব কেন? আপনাকে হুমকি দেওয়ার এত সাহস আমার নেই।”
আকুলতা নিয়ে তামিম বলল,
-“কেন বুঝিস আমার ভালোবাসা তুই।
-“কেন? সেই কারণ আপনি জানের।বাক্ষ্মণ হয়ে চাঁদে হাত দেওয়ার সেই দুঃসাহস আমার নেই।”
-“বার বার এক কথার দোহাই দিয়ে তুই আমায় ফিরি দিস তুই।”
-“ছাড়ুন বলছি এক্ষুনি আমায়, না হলে আমি এখন চিৎকার করে দাদুকে ডাকবো।”
নিজেকে ছাড়া জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে সোহা।তাকে আটকে রাখা জন্য সোহা তামিম মধ্যে ধস্তাধস্তি চলতে থাকে।সোহা নিজেকে ছুটাতে গিয়ে বেখেয়ালে তামিমের গালে থাপ্পড় পড়ে যায়।তখনই তামিম তাকে ছেড়ে দেয়।সোহা ভয় পেয়ে কান্না করে দে।সে নিজের হাত বাড়িয়ে তামিম গাল ছুতে নিলে তামিম দুইকদম পিছিয়ে যায়।কান্না করতে করতে বলল,
-“আমি ইচ্ছা করে থাপ্পড় দিয়নি বিশ্বাস করুন।কিভাবে যেন আপনার গালে আমার হাত লেগে গেছিল।”
উন্মাদের মত আচরণ করতে থাকে সে।তামিমের চোখে দিয়েআগুন বের হচ্ছে।সে আর এক মুহুর্ত দেরী না করে সেইস্থান প্রস্থান করে।পিছন থেকে অনেক বার সোহা তাকে ডাকে।কান্না করতে করতে সেখানে বসে পড়ে।
বিশ্বাস করুন আপনি।আমি সজ্ঞানে আপনাকে আঘাত করিনি। কিভাবে আমি আপনাকে আঘাত করব।ভালোবাসি যে আমি আপনাকে।আপনি আমার ভালোবাসার মানুষ, আপনাকে আঘাত করব সেটা স্বপ্নে ভাবতে পারি না। আপনি জানতে চান না কেন আপনাকে বার বার ফিরিয়ে দিয়।আজ আমি বলবো, আপনার ভালোবাসা গ্রহন করলে দুজন কষ্ট ছাড়া কিছু পাবো না।একটা কাজের মেয়ের সাথে আপনার সম্পর্ক কেউ মেনে নিবে না।এখন সম্পর্ক করলে ও একদিন না একদিন দুজনকে আলাদা হতেই হবে।তার চেয়ে ভালো সম্পর্ক না জড়ানোই।ভালোবেসে যদি আপনাকে হারিয়ে ফেলি সেই ভয়ে আপনাকে বার বার ফিরিয়ে দিয়েছি। আপনাকে আঘাত করার ইচ্ছা ছিল না।আপনাকে আঘাত করেই তার দ্বিগুন কষ্ট আমি পাচ্ছি।
★★★
দিন দিন কি আমার বুদ্ধি লোভ পাচ্ছে। মাথা কোনো কাজ করছে না। সকালে প্রাচ্য’র থেকে নীলের মোবাইল নাম্বারটা নিতে পারতাম।তা না করেই ওই ভাবে হুট করে চলে আসলাম।নাম্বার থাকলে হয়ত কথা বলে অস্থিরতা কিছু কাটাতে পারতাম।হায়! স্বপ্ন একটা মেয়ে তোকে পাগল বানিয়ে রেখেছে।কি সব পাগলামো করছিস তুই।তোর ২৬বছর জীবনে প্রেমে হাওয়া গায়ে কে মাখতে বলল।এবার ঠেলা সামলা। উফ! আর ভাবতে পাচ্ছি না।কি করে যোগাযোগ করব আমি। যোগাযোগ করতে না পারলে আজকে রাতটা নির্ঘুম কাটবে।
স্বপ্ন খাটের উপরে হাত পা চারটা ফেলে শুয়ে পড়ে চোখ বন্ধ করে।কিছু একটা মনে করে হুট করে বসে পড়ে।মোবাইল খুজতে থাকে। মোবাইল ড্রেসিং টেবিলের উপরে রাখা ছিল।সেখান থেকে মোবাইল নিয়ে খট খট করে টাইপিং করে প্রাচ্যকে টেক্সট দে।অপেক্ষা আছে প্রাচ্য’র টেক্সট । দুইমিনিট পর প্রাচ্য’র টেক্সট আসে।নাম্বার পেয়ে একটা বড় নিশ্বাস ফেলে সে।নাম্বার তুলে কল করে।
মুভি দেখছিল নীল।মোবাইল বাজছে তার খবর নেই।সোহা বলল,
-“নীল ফোন বাজছে তোর।”
মোবাইল হাতে নিয়ে দেখে আননোন নাম্বার। কে ফোন দিবে তাকে।ভাবতে ফোন কেটে গেলো।দ্বিতীয় বার ফোন আসতে ধরল সে।
-“হ্যালো!
-“………..
-“হ্যালো!”
কোনো কথা বলছে না স্বপ্ন।নীলের কন্ঠ শুনে তার হৃদয়ের আগুন নিভল।নীল ফোনের অপাশ থেকে নিশ্বাসের শব্দ ছাড়া কিছু শুনতে পাচ্ছে না। বিরক্ত সুরে বলল,
-“কথা যখন বলবেন না।তাহলে অযথা ফোন করে বিরক্ত করেন কেন? আজিব!”
খট করে ফোন কেটে দেয় সে।স্বপ্ন বুঝতে পারেনি এভাবে ফোন কেটে দিবে নীল। একটা দ্বীঘ নিশ্বাস ফেলে আবার কল করে।নীল আবার ফোন হাতে নিয়ে দেখে আগে নাম্বার থেকে ফোন আসছে। লোকটা ফোন করে কথা বলছে না।আবার বার বার ফোন দিচ্ছি তাই বিরক্ত হয়ে ফোন কেটে দেয় সে।অনেক সুন্দর একটা মুভি দেখিল সে। ফোন আসায় মুভি দেখায় মনোযোগ ব্যাঘাত ঘটছে তাই ফোন বন্ধ করে ফেলল। শান্তিতে মুভিটা অন্তত দেখতে পাচ্ছে সে।ফোন Switch of বলছে, যত বার স্বপ্ন ফোন দিচ্ছে তত বারেই।ফোন ফ্লোরে ছুয়ে ফেলে দিয়ে হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে শুয়ে পড়ে।আর ভাববে না ওই মেয়ের কথা সে।
সোহা অনেক্ষন ধরে দাঁড়িয়ে আছে তামিমের সাথে কথা বলার জন্য।কিন্তু তামিম তাকে পাত্তাই দিচ্ছে না।মনের সুখে মোবাইলে গেমস খেলে যাচ্ছে।তার রুমে যে কেউ দাঁড়িয়ে আছে তার খবর নেই।দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ধরে আসছিল সোহার।তাই আর নিরব না থেকে মুখ খুলল,
-“সরি!
-“…………
সোহা এবার তামিমের কাছে যেয়ে দাঁড়ায়।সাহস করে মোবাইল কেঁড়ে নিয়ে বলল,
-“অনেক্ষন ধরে আপনাকে কিছু বলছি আমি।
তামিম সোহার দিকে তাকায় একবার। আরেকবার তার হাতের মোবাইল দিকে।সোহা ভয়ে ঢোক গিলে বলল,
-“আম,,আম,,আপনি আপনার কথা শুনছেন তাই তো মোবাইল নিলাম।
তামিম মোবাইল কেঁড়ে নিয়ে বলল।
-“বের হও আমার রুম থেকে!”
ধমক শুনে ভয় পেয়ে যায় সে।আজ যতই ভয় পাক তামিমের রাগ না ভাঙিয়ে সে এখান থেকে এক পা নড়বে। সাহস জুগিয়ে বলল,
-“যাবো না আমি ”
তামিম কিছু না বলে সোহার বাহু ধরে টানতে টানতে রুমে দরজা বাহিরে দাঁড় করিয়ে দরজা আটকাতে নিলে সোহা দুহাত বাধা দেয়।
-“প্লিজ আমার কথাটা শুনন। একবার আমার কথা শুনন।”
হাত সরিয়ে ধুম করে দরজা আটকিয়ে দেয়। দরজা আঘাত করে সোহা বলল,
-“দরজা খুলুন! আপনার সাথে আমার কথা আছে।
-“……….
-“দরজা খুলুন
-“……
-“দরজা যতক্ষন পর্যন্ত খুলবেন না ততক্ষন পর্যন্ত আমি এক পা নড়বো না।প্লিজ দরজা খুলুন।”
কান্না করতে করতে দরজার সাথে ঘেঁষে বসে পড়ে।
-“আমি নড়বো এখান থেকে।দেখব কতক্ষন পর্যন্ত দরজা আটকিয়ে বসে থাকেন আপনি।”
রাত ২.০০ বাজে তখন নীল পানি খেয়ে উপরে আসতে নিলে সোহাকে তামিমের রুমের দরজা সামনে বসে থাকতে দেখে এগিয়ে বলল,
-“এই সোহা! তুই কি সজাগ আছিস, নাকি ঘুমে!
সোহা চোখ পিটপিট করে তাকায়।মাত্রই চোখ লেগে এসেছিল।
-“কি?
-“এখানে ভাইয়া রুমের সামনে পড়ে ঘুমাছ কেন?
এতক্ষণ মনে পড়ল সে দরজার সামনে বসে ঘুমিয়ে পড়েছে।বাড়ি অন্যকোনো সদস্যা দেখে ফেললে কি যে হত।আমতা আমতা করে বলল,
-“আমি…..
তাকে বলতে না দিয়ে নীল রসিকতা করে বলল,
-“হায়! কি প্রেম,,,প্রেমিকের রুমে সামনে বসে প্রেমিকা তাকে পাহার দিচ্ছে। কত কি দেখতে হবে।”
সোহা উঠে দাঁড়ায়।
-” তুই যা ভাবছিস তা নয়।ঘুম আসছিল না তাই বের হলাম।”
-“আমি ছোট খুকি নয়,আপনি যা বুঝ দেবেন তাই বুঝব।”
-“নীল…
-“থাম!আচ্ছা তোর ঘুম আসছে না।তাহলে চল আমার সাথে?
-“কোথায়!”
-“ডান্স করবো।
নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে সোহা বলল,
-“মাঝ রাতে মজা করছিস।”
-“সত্যি মজা করছি না।আমার ঘুম আসছে না।আর অনেকদিন হলো তুই আর আমি নাচানাচি করি না।মাঝরাতে লাউড বলিউড দিয়ে গান বাজাবো।আর দুজন মিলে ডান্স করব।হেব্বি মজা হবে।চল”
-“মাথা খারাপ হয়ে গেছে নীল।”
-“না। একদম ঠিক আছে! ”
-“সবাই ঘুমাচ্ছে।এত রাতে এরকম করলে লাটিঝাটা করবে সবাই তোকে।
-“কেউ কিছু করবে না।আমাদের দুজনে ঘুম আসছে না।কিন্তু মির্জাবাড়ি চাকর-বাকর থেকে পরিবারে সব সদস্য ঘুমে মগ্ন।আমাদের যখন ঘুম আসছে না তাদের কে ঘুমাতে দেওয়া হবে না।রাত একলা কেন আমরা জাগব।জাগলে সবাই এক সাথে জাগব। কাউ কে ঘুম যেতে দিব না।আরামের ঘুম হারাম করব সবার।”
-“লাইক সিরিয়াসলি! প্রেমে পড়ে তোর মাথা গেছে।”
এটা বলে সোহা হাঁটা ধরে তার রুমে দিকে।এই মেয়ে সাথে আর একমুহুর্ত থাকা যাবে না।না হলে এই মুহুর্ত সবার ঘুম হারাম করতে উঠে বসবে।মানে মানে কেটেই পড়াই ভালো।না হলে রক্ষা নেই।মাঝ রাতে গান ছেড়ে নাচা শুরু করবে।এই মেয়ের পক্ষে সবই সম্ভব।
#চলবে…
@কাউছার স্বর্ণা