স্বপ্নীল ০৭

0
1570

স্বপ্নীল
০৭
সাজেকের প্রথম এবং প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে মেঘের মধ্যে বসবাস।তুলার মতো মেঘের সঙ্গে খেলতে কেমন লাগবে তা অনুধাবন করার জন্য সাজেকে আপনাকে যেতেই হবে।পাহাড়, ঝর্ণা,নদী,গাছ-গাছালি,লতা-পাতা প্রভৃতি নিশ্চয়ইই ভালো লাগবে।অপ্রত্যাশিত ভাবে বৃষ্টি ভেজা কিংবা কুয়াশা চাদরে ঢাকা পরার অভিজ্ঞতা যোগ করবে ভিন্ন মাত্রা।

রুইলুইপাড়া শিবমন্দির দেখার জন্য সবাই বের হয়।রুইলুইপাড়া দুই পাশে সুন্দর লাল সবুজ রঙের বাড়ি।সবকিছু একদম ছবির মতো সাজানো গুছানো আর সুন্দর।পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে মেঘ জমে আছে,মেঘ আটকে আটকে আছে সব খানে।কিছু মেঘ ধীরে ধীরে উড়ে উড়ে চলে যাচ্ছে একপাহাড়ের উপর দিয়ে আরেক পাহাড়।দূর থেকে এসব দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যেতে চায়।চোখে আপনা আপনি পানি চলে আসে।

সাজেকে প্রবেশ মুখের ডান পাশে অবস্থিত সুপ্রাচীন এই শিবমন্দির। মূলত মন্দিরটি সকলের রুইলুইপাড়া শিব মন্দির নামে চিনে থাকে।প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন ও খুব আয়োজিত। দেখলেই মন ভরে যায়।এখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সব সময় হৈহুল্লোড় ও হট্রগোল লেগেই থাকে।সকলে মিলে শিব মন্দির টা দেখে।মন্দির পেরুলে সামনে দোকানিরা বেচাকেনার ভিড় জমে যায়।বিভিন্ন প্রকারে দেশি ও বিদেশি পন্য ক্রয় বিক্রয় হয়। এর শেষ প্রান্তে হচ্ছে মেঘ মাচাং কটেজ। সকালে মেঘ মাচাং কটেজের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখা যায় নীচের পাহাড় গুলো সাদা মেঘের ভিড়ে হারিয়ে যায়।দূরে উঁচু উঁচু পাহাড়ের চূড়া দ্বীপের মতো করে তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়।মূলত সে গুলো হলো ইন্ডিয়ান মিজোরাম পাহাড়!মাঝ খানে মেঘের বিশাল সমুদ্র।

নীল এগুলো খুঁটি খুঁটিয়ে দেখচ্ছে।তার ইচ্ছে করছে, দৌড়িয়ে যেয়ে এগুলো ছুঁয়ে দিয়ে আসতে।তার কাছে সব কিছু স্বপ্নমত লাগছে।তার যেন বিশ্বাস হচ্ছে না।এতো সুন্দর জায়গা এই বাংলাদেশের আছে।এসব দেখে নিজেকে মাতাল মনে হচ্ছে। তার মনে যাচ্ছে এখানে একটা বসতি করে সারাজীবনের জন্য এখানে থেকে যেতে।এই আদিবাসীদের সাথে জীবন যাপন করতে।

সবাই শিব মন্দির দেখে ফিরে যাচ্ছে।তখনই রোদ প্রশ্ন করে
– “এখন আমরা কোথায় যাবো।
রোদের কথা উত্তর স্বপ্ন দেয়,
– “এখন যাবো পশ্চিমের গ্রামে,তারপর বিকেলের হেলিপ্যাডে সূযাস্ত দেখবো।
ধূসর বলল,
-” হেলিপ্যাডের সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দুটো অনেক সুন্দর।মনে গেঁথে যাওয়ার মত।আর এই সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত খুব কাছ থেকে দেখায় যায়।
প্রাচ্য বলে,
-“তুই আর আমাদের কে লোভ দেখানো লাগবে না। কিছুক্ষন পর আমরা নিজের স্বচক্ষে দেখে নিব।”
-” এই জন্য তোদের মত কিছু শয়তান মেয়েদের ভালো করতে নেই।ভালো জন্য বলেছিলাম।”
রোদ বলে,
– ” আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, তুই আর তৃণ কি আদৌ আমাদের বেস্টু।সব সময় তোরা দুজন আমাদের লেকফুল করিস।
তৃণ বলে,
– ” তোরা কি করিস আমাদের বেলায়,চাইয়া চাইয়া দেখিস আমাদের কে,একটা সুযোগ ফেলেই পিঞ্চ মেরে কথা বলতে ছাড় দেস আমাদের, তাহলে আমরা কেন ছাড় দিবো।শোধবোধ করে দি।
রোদ আর কিছু না বলে মুখ ভেংচি কেটে দিয়ে স্বপ্নর পাশে দিয়ে হেঁটে যায় আর বলে,
– ” বন্ধু হলে স্বপ্নই আমাদের বন্ধু।ওর মতো হতে পারিস না তোরা।
তৃণ বলে,
-“সবাই যদি স্বপ্ন মতো ভদ্র সভ্য হয়।তাহলে এই সমাজে অভদ্র লোকের অভাব পড়ে যাবে।যাতে এই সমাজে অভদ্র লোকের অভাব না পড়ে তাই আমি আর ধূসর অভদ্র লোকের খাতায় নাম লিখেছি।কি বলেছিস ধূসর।
-“হ্যাঁ একদম রাইট বললি।
স্বপ্ন এসে দুজনের পাশে দাঁড়িয়ে রোদ আর প্রাচ্য উদ্দেশ্য করে বলে,
-“তোরা যাই বলিস। ওরা আছে বলেই আমাদের বন্ধমহল এখন জমজমাট ও সতেজ আছে। না হলে ফানসে ফানসে হয়ে যেত কবেই।এই জন্য তোদের উচিত তাদের কে ধন্যবাদ দেওয়া।
প্রাচ্য মুখ ভেংচি কেটে বলে,
-“ধন্যবাদ দিতে বয়ে গেছে আমাদের।
ত্ৃন বলে,

– ” তুই যে কিপ্টুস সেটা আমাদের জানা আছে।সামান্য ধন্যবাদ মুখে দিয়ে বের হয় না।সব সময় মুখে দিতে তেতো তেতো কথা বের হয়।এবার বাসায় ফিরে সমুদ্র সাথে দেখা হলে জিজ্ঞেস করবো। কেন প্রাচ্য জন্ম হওয়ার পর তারা ওর মুখে মিষ্টি বদলে নিমপাতার রস ঢেলে দিয়েছে।।”

– “মোটে না,, তোদের মতো বদের হাড্ডিদের সাথে এভাবে তেতো তেতো হয়ে কথা বলা উচিত।আর আমার কাছে কেন? বা তুই মিষ্টি কথা আশা করিস।এই মিষ্টি কথা গুলো তোর ওই শাঁকচুন্নি গার্লফেন্ড গুলো থেকে শুনবি।

ধূসর এবার বলে উঠে,
– ” তোরা সব সময় কেন, তৃণ পিছনে লাগছ ওর গার্লফেন্ড নিয়ে।
– “আরে বুঝিস না ওদের হিংসা হয়।এখন পর্যন্ত কাউকে জুটাতে পারেনি বলে”

তৃণ কথা শুনে প্রাচ্য মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যায়।তাই আর কিছু না বলে সবার আগে গদগদ করে হেঁটে চলে যায়।প্রাচ্য এভাবে মেজাজ গরম করে যাওয়া দেখে তৃণ মুচকি হাসে।রোদ এসে বলে,
-“আমরা ওকে হিংসা করতে যাবো কেন?? “কেমন একটা চেহার নাম রাখছে পেয়ারা” তোদের চেয়ে ভালো ছেলেদের কে বিয়ে করে দেখাবো আমরা”

ধূসর বলে,
-“বুঝলাম আমাদের চেয়ে ভালো ছেলেদের বিয়ে করবি, আমাদের কথা না হয় বাদ দিলাম,, সমুদ্র থেকে ভালো ছেলে কে বিয়ে করবি।
রোদ রাগি চোখে তাকায়। ধূসর দিকে,সবাই তার ভালোবাসা নিয়ে ঠাট্টা করে, যে মন প্রান উজার করে যাকে ভালোবাসে।সেই সব সময় তাকে অপমান করে।কেন সে এমন করে।আমায় একটু ভালোবাসলে তার ক্ষতি কিসের।

প্রায় ঘন্টা খানের হাঁটার পর তারা ভারতে লুসাই পাহাড়ের উপরে একটা গ্রামে এসে পৌঁছায়। সেই গ্রামের নাম কংলাক।তিনটি লুসাই জনগোষ্ঠী দ্বারা গঠিত এই কংলাক পাড়া। এর হেড ম্যান চৌমিংখাই লুসাই। কংলাক পাড়া থেকে ভারতের লুসাই পাড়া দেখা দেয়।। যেখান থেকে উৎপন্ন হয়েছে কর্ণফুলী নদী।

পাহাড়ের উপরে অসাধারণ একটা জনবসতি। চমৎকার সুন্দর ও অতি সাধারণ একটি গ্রাম এই কংলাক।গ্রামের মানুষ গুলো অসাধারণ ও অতি মিশুক প্রকৃতির।তারা খুব আপন প্রকৃতি ও অনেক অতিথি পরায়ণ ও বটে

কংলাক গ্রাম থেকে সাজেকের রুইলুই পাড়ার দৃশ্য অতি মনোরম, দূর থেকে লাল। নীল ঘর গুলো পোস্টারে মতে লাগছিল!আসলে সাজেকের এর অপরুপ এই সৌন্দর্য শুধু
মাত্র কংলাকে আসলেই দেখা যায়।।মূলত সাজেক আসার মূল্য রহস্য এই কংলাক গ্রামটি।

হেলিপ্যাডে ঢোকার আগেই ছোট একটা পার্ক সামনে পড়ে।পার্কের ভিতরে একটা দোলনা আছে।চারদিকে যত দূর যায় শুধু সবুজ আর সবুজ।সামনে বিশাল আকাশ।পাহাড়,আকাশ, সবুজের মিশ্রনে এক অপূর্ব শোভা তৈরী হয়েছে।দোলনা দেখে আর একমুহুর্ত দাঁড়ালো না নীল,ছুটে গিয়ে দোলনা বসে পা দোলাতে লাগলো।তার এহেম কান্ড সবাই অবাক হয়। ছেলে মানুষী সব স্বভাব এই মেয়ের ভিতরে।না হলে কি এই মেয়ে বিয়ের আসর থেকে পালাতে পারে,কারো মান সম্মানের কথা না ভেবে।
সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে।কি যে অপরুপ লাগছে এই প্রকৃতিটাকে!দূর থেকে রুনময় রিসোর্ট দেখতে ভালো লাগছে।রুনময় রিসোর্ট কাছে হেলিপ্যাড।রিসোর্ট সামনের রাস্তা গুলো খুব সুন্দর।রাস্তা গুলো এতো সুন্দর কেন??পুরো ছবির মতো সুন্দর।নিজের দেশ ছেড়ে সবাই কেন অন্যাদের দেশে যায় ঘুরতে।

সবাই যায় হেলিপ্যাডের দিকে। নীল দোলনা বসে দোল খায়। তারা চারজন মিলে আবার সেই ঝগড়ার লেগে যায়।এই ঝগড়া লাগে এই আবার সবার মধ্যে কতভাব। স্বপ্ন তার।বন্ধুদের কান্ড দেখে অবাক হয়।তারা কিভাবে পার এই ভাবে প্রাচ্য আর রোদের পিছনে লাগত।
নীল উঠে দাঁড়ায় স্বপ্নকে বলে,
– ” এতবড় আকাশ আমি কখনো দেখিনি।সামনে যত দূর চোখ যায় শুধু পাহাড়ের চূড়া আর আকাশ।আমরা সব পাহাড়ের উপরে দাঁড়িয়ে আছি তাইনা।”
– “এখানে তিনবেলা এলে তিনরকম সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সকালের সূর্যোদয় এক রকম, বিকেল বেলা অন্যরকম,আর সূর্যাস্ত ভিউ আবার অন্যরকম।

– ” আপনি এখানে আগে ও এসেছেন তাই না
-” হুম।আমরা সবাই লম্বা লম্বা ছুটির দিন গুলো এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ায়।আর সাজেকে আরো একবার এসেছি

সবাই মিলে চলে আসে হেলিপ্যাডের সূর্যাস্ত দেখার জন্য। হেলিপ্যাডে আরো অনেক লোক জন ছিলো সবাই অপেক্ষা করছিল সূর্য কখন অস্ত যাবে। হেলিপ্যাডের সূর্যাস্ত একদম অন্যান।বিশালা প্রান্তরে সূর্য ধীরে ধীরে ডুবে যায়।মাথার উপরে শুধুই মহাশূন্য। সামনে পাহাড়, আর গাঢ় সবুজ।চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য। সামনে ছোট ছোট ঘর চোখে পড়ে।লাল সবুজের ঘরের চালা।প্রকৃতি নিস্তব্ধ হয়ে রুপের ডালা সাজিয়ে রেখেছে এখানে।এই মুহুর্তটা আর দেরী করল না নীল,তার ক্যামেরা বন্ধী করার জন্য,তার প্রান প্রিয়া বান্ধবী কে দেখাতে হবে। তাকে সে কত বার বলেছে তার সাথে সাজেকে আসার জন্য।কিন্ত সোহা কিছু আসবে না,না এসে কি মিস করেছে। তাকে সেটা দেখাতে হবে না, তাই সে প্রতি মুহুর্ত ক্যামেরা বন্ধী করে রাখে তার জন্য।

স্বপ্ন বুঝতে পাচ্ছে কেন তার বার বার চোখ যায় এই মেয়েটার দিকে। আজ পর্যন্ত কোনো মেয়েদিকে এভাবে নজর দিয়ে তাকানি। কিন্তু এইমেয়ের ক্ষেতে না চাইলে তাকাতে হয়। তার দৃষ্টি বার বার আকর্ষণ করে কেন এই মেয়ের প্রতি।
স্বপ্ন নীলের পাশে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ নয়নে চেয়ে আছে।নীল ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে স্বপ্ন নামের ছেলেটা তার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে।এভাবে তাকাতে দেখে বলে,
– ” কি দেখছেন এভাবে?”

স্বপ্ন থতমত খেয়ে অন্যদিকে তাকালো।এই প্রথম যে কোনো মেয়ের দিকে এভাবে তাকিয়ে ছিলো আর সে এমন ভাবে কথা গুলো বলেছে তার খানিকটা লজ্জা পড়ে।কেন সে বেহায়া পুরুষের মত এই মেয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল।কত মেয়ে তো তাকে প্রোপোজ করেছে কিন্তু সেকোনো দিন ফিরে তাকায় নি।তাহলে কেন বার বার এই মেয়ের দিকে তাকিয়ে হাজার বছর কাটিয়ে দিতে মন চাচ্ছে।

গোধূলি বিকেল দেখতে খুবই আনন্দ লাগছে নীলের। প্রাচ্য আর রোদ এসে হেলিপ্যাডের সুর্যাস্ত দেখছে।গাঢ় সবুজ ঘাসের উপরে বসে খুনসুটি করছে আর খিলখিল করে হাসছে নীল। স্বপ্ন’রও ইচ্ছে করছে এভাবেই খুনসুটি করতে।কিন্তু কার সাথে। কোনো উত্তর খুজে পাচ্ছে না সে।সে খুব ভালো করে বুঝতে পাচ্ছে নীলের প্রতি তার ভালোলাগা তৈরী হচ্ছে।ভালোলাগা থেকেই তো ভালোবাসা হয়।তার মানে কি সে নীল কে…….না,, না সে কি করে হয়।কিসব উলটা পাল্টা চিন্তা ভাবনা তার।কিসব বাজে চিন্তা করছে।

প্রাচ্য তাকিয়ে তৃণ দেখে,ধূসর আর রোদের সাথে দাঁড়িয়ে কি সুন্দর করে হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কথা বলছে। সবার সাথে খুব সৌহার্দ পূর্ণ কথা বার্তা বলে একমাত্র সে ছাড়া।তার সাথে কথা বলতে আসলে পিঞ্চ মেরে কথা বলে।কেন সে কি আমার সাথে একটু সুন্দর ভাবে কথা বলতে পারে না।কেন সব সময় আমার সাথে এরকম করে। আমার এখন খুব ইচ্ছা করছে দোলনা বসে তোর কাঁধে মাথা রেখে এই রকম সুন্দর মুহুর্ত উপভোগ করতে। সে চাইলে সব সম্ভব হত।

তৃণ এতক্ষন সবার সাথে কথা বলছিল হঠাৎ করে চোখ আঁটকে যায়, তার দিকে কেউ একজন পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে। বুঝা যাচ্ছে এই পলকহীন ভাবে তাকিয়ে তাকে তার ধ্যানে নিয়ে কল্পনার জগৎ পাড়ি দেওয়া হচ্ছে। তৃণ আস্তে আস্তে হেঁটে এসে প্রাচ্য পাশে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বর বলে,
-“কাকে নিয়ে কল্পনার সমুদ্র পাড়ি দেওয়া হচ্ছে।
তৃণ কথা তার ধ্যান ভাঙে এবার তার পাশে তাকায় এবার সামনে রোদের দিকে তাকায়,
– “তুই এখানে কখন এসেছিস।তুই না ওখানে,,,,
প্রাচ্য কথা বাজ পাখির মতো ছোঁ মেরে নিয়ে যায় তৃণ,
-“আপনি যখন অন্য কাউকে নিয়ে কল্পানার জগৎ পাড়ি দিচ্ছেন তখন এসেছিলাম।তাই আর কি, আপনি বলতে পারেন নি
প্রাচ্য কিছুটা লজ্জা পায়।কিন্তু বুঝতে দেয় না তৃণকে।তৃণ বলে,
– ” তো কাকে নিয়ে ধ্যানে নিয়ে ভাবা হচ্ছিল।

প্রাচ্য খুব ইচ্ছে করছে বলতে ‘ আমি তোকে নিয়ে দিনে রাতে যখন তখন স্বপ্নের জগৎ পাড়ি দিয়।আমার স্বপ্নে, আমার কল্পানায় তুই ছাড়া আর কে থাকবে,, তোকে তো আমি হৃদয় নামক স্থান জায়গা দিয়েছি’ কিন্তু সেটা না বলে রাগি ভাষার বলে,
– ” তোকে বলতে যাবো কেন?? কে হোস তুই আমার?

#চলবে…
কাউছার স্বর্ণা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে