স্বপ্নীল ০৫

0
1669

স্বপ্নীল
০৫
পুরোটা পথজুড়ে সবুজ পাহাড় যেন নিজেকে ঢেকে রেখেছে কুয়শার নরম চাদরে। সাজেক যাওয়ার পথে কয়েকবার যাত্রাবিরতি।পথে প্রথম বিরতি বাঘাইহাট বাজার।পাহাড় কোল ঘেঁষে এই পাহাড়ি বাজারে পাশ দিয়ে চলে গেছে কাচালং নদী।

,,

গাড়ি গুলো সিরিয়াল ভাবে দাঁড় করানো হয়েছে মাঠে।রাস্তায় যেন জ্যাম না লাগে সে জন্য সব গুলো গাড়ি মাঠের একত্রিত করা হয়েছে।বাঘাইহাট আর্মি ক্যান্টনমেন্ট থেকে প্রত্যকেটি গাড়িকে আলাদা ভাবে টোকেন নিতে হবে এবং সেই টোকেনটি সাজেক থেকে ফেরার সময় বাঘাইহাট আর্মি ক্যান্টনমেন্ট জমা দিয়ে যেতে হবে।

স্বপ্ন গাড়ি থেকে নেমে ক্যাম্প দিকে এগিয়ে যায়।সেখানে গিয়ে নাম, ঠিকানা এবং কোন রিসোর্ট উঠবো সব কিছু বলে টোকেন নিয়ে এসে দেখে।নীল এই বাঘাইহাঁট ভিউ ভিডিও করছে।তা দেখে নীলের কাছে দ্রুত হেঁটে যায়।
-“আর্মিদের অনুমিত ছাড়া এই জায়গাটা ভিডিও করা যায় না।।
-“অনুমিত না, নিলেই তারা কি শাস্তি দিবে আমায়।
স্বপ্ন ভয় দেখানো জন্য বলে,
-“একবছর জেলা খাটতে হবে।
স্বপ্ন কথা শুনে নীল মোবাইল থেকে চোখে সরিয়ে স্বপ্ন সামনে এসে খুশিতে গদগদ করে বলে
-“সত্যিইইইইইইই!আমার তো অনেক ইচ্ছা ছিল একটা রাত জেলে কাটানোর। আমি বুঝতে পারেনি এই ভাবে আমার জেলে কাটানোর স্বপ্নটা পুরন হয়ে যাবে।
এই বলে আমার খুশিতে লাফিয়ে আবার ভিডিও করে।

স্বপ্ন ভেবেছে গ্রামে মেয়ে হয়ত জেলে কথা শুনে ভয়ে হাত পা কাঁপাকাঁপি করে দিবে।কথা বলতে গিয়ে তোতলাতে থাকবে। কিন্তু এই মেয়ে দেখে সব উল্ট। ভয় পাওয়া তো দূরে কথা। জেলে কাটানো নাকি তার একটা স্বপ্ন।এসব ভেবে স্বপ্ন মনে মনে কিছুটা হেসে দেয়।তারপর নীলের থেকে ফোন কেঁড়ে নিয়ে বলে
-“জেলে যাওয়া সেটা তোমার স্বপ্ন হলেই।আমাদের কিন্তু তা নয়।১০টা বেজে গেছে এখন গাড়ি গুলো ছেড়ে দিবে।”
এটা বলে চলে যায়।

স্বপ্ন কান্ড দেখে নীল অবাক।সে সোহার জন্য ভিডিও করছিল।আর ওই ছেলে
তার হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়েছে।এখন তার এই ছেলে উপরে রাগ হচ্ছে।ইচ্ছে করছে।নাক বরাবর ঘুষি দিয়ে নাক ফাটিয়ে দিতে। রাগ কে নিয়ন্ত্রন করে হাঁটা দেয়।

এখানে কিছুক্ষন বিরতি শেষ করে আবার চলা শুরু হয়।মূলত সাজেকের ভ্রমণার্থীদের নিরাপত্তা কথা বিবেচনায় রেখেই বাঘাইহাট বাজার থেকে সাজেক পর্যন্ত সবগুলো জিপ কে নিরাপত্তা পৌঁছে দেন নিরাপত্তাবাহিনী কর্মীরা।বাঘাইহাট বাজারের পর গঙ্গারাম মুখ।দু’পাশ থেকে বয়ে আসা দু’টি নদী এক হয়েছে এখানে।পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে যাওয়া সর্পিল নদী বয়ে গেছে বহুদূরে

তাদের জিপ মাচালং আর্মি ক্যাম্প সামনে।রাস্তা একপাশে অসংখ্যা জিপ সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।তা দেখে নীলের মনে হাজার প্রশ্ন উঁকিঝুকি দিচ্ছে।পেটের ভিতরে হাত জমে রাখতে না পেরে জিজ্ঞেস করে,
-“রাস্তা একপাশে কেন গাড়ি গুলো দাঁড়িয়ে আছে সারিবদ্ধভাবে।
ধূসর বলে
-“এখানে গাড়ি গুলো সকাল ১০টায় সাজেক থেকে ছেড়েছে এসেছে।এখানে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ হচ্ছে আমাদের যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।কারণ হচ্ছে এখানে পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তায় ডাবল লাইনে গাড়ি চালানো সুযোগ নাই।ডাবল লাইনে গাড়ি চালালে বিপদ হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

মুখ ছোট করে -“ওহ বলে

নিজে কে নিজেই হাজার গালমন্দ দিচ্ছে। কেন সে এই সহজ জিনিস জানতে চেয়েছে।এখন তারা ভাব্বে,আমি কিছু জানি না।নীল তুই আস্তো একটা গাধী।সামান্য কথা পেটে চেপে রাখতে পারলি না।সব কিছু তোকে জানতেই হবে।কিছু কথা পেটের ভিতরে রাখলে তোর কি হয় নীল।

উড়োবাজার, গঙ্গারাম মুথ,নন্দরাম এসব পাহাড়ি পাড়া পেরিয়ে তাদের দ্বিতীয় যাত্রাবিরতি মাচালং বাজার।পাশের সিমান্তঘেঁষা ভারত থেকে আসা মাচালং নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছে এই ছোটখাটো মাচালং বাজার।এই এলাকা সাজেক ইউনিয়নের প্রধান কেন্দ্রস্থল। পাহাড়ে জুমের ফসল বিক্রি আর্দশ স্থান হলো মাচালং বাজার।

সবাই মিলে নামে মাচালংবাজারে নাস্তা করার জন্য। নাস্তা সেরে সবাই কিছুক্ষন উপজাতি বাজারে হেঁটে দেখে।মাচালং বাজার খুবই দুর্গম একটি বাজার।এখানে বাঙালিদের কোনো বসবাস নেই। এখানে একমাত্র পাহাড়িরাই বসবাস করেন।দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখানে বিদ্যুৎ কোনো সংযোগ নেই।।শুধু মাত্র সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎতে ব্যবস্থা করেছে।পাহাড়ি এলাকায় একজায়গা থেকে আরেক জায়গার ব্যবস্থা হচ্ছে মোটর সাইকেল।

চান্দের গাড়ি চলতে থাকে আবার নিজ গতিতে।স্বপ্ন সোনাবাহিনির গেস্ট হাউজ দেখিয়ে বলে
-“এটা হলো সেনাবাহিনীদের গেস্ট হাউজ।।
সবাই ভালো করে তাকিয়ে দেখে বিশেষ করে নীল।সে সেনাবাহিনীদের গেস্ট হাউজে ক্লিক করে একটা ছবি তুলে নেয়। বাসায় গিয়ে সবাইকে দেখাতে হবে না সাজকে গিয়ে কি কি দেখেছে।আরেকটু সামনে আসতেই। রোদ বলে
-” গাড়িতে করে পানি টাঙ্কি এগুলো কোথায় নিয়ে যাচ্ছে।
রোদের এই প্রশ্ন শুনে তৃণ বলে
-“যারা এরকম গাধা গাধা প্রশ্ন করে তাদের কে সাজেকে নিয়ে এই টাঙ্কিগুলোতে ডুবিয়ে মারা হবে।
রোদ চোখ গরম করে তাকায়।নীল বলে
-“আচ্ছা ভাইয়া আপনারা কি সোজা কথা সোজা উত্তর দিতে পারেন না।
ভাইয়া ডাক শুনে তৃন আর ধূসর একজন আরেকজনের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে। স্বপ্ন তাদের দেখে মনে মনে হাসে।ধূসর বলে
-” কোন এঙ্গেলে আমাদের কে তোমার কাছে ভাইয়া মনে হয়।
-“কেন??আপনার তিনজন আমার সমুদ্র ভাইয়া,তামিম ভাইয়া সমবয়সী হবেন।আমি তো তাদের কে ও ভাইয়া বলে ডাকি।সেই হিসাবে আপনার আমার ভাইয়া।

-“তুমি আমদের কে ভাইয়া বলবে না। আমাদের সবার বোন আছে।তারা আমাদের কে ভাইয়া বলে ডাকে।আর কারো ভাইয়া হওয়ার সখ নেই।

নীল এদের কথা শুনে অবাক হয়।ভাইয়া বললে আমাদের গ্রামের সবাই কতো খুশি হয়।আর এরা বলছে ভাইয়া বলে ডাকতে না।কি আজব!ব্যপার সেপার
তৃণ অসহায় মুখ করে বলে
-“পৃথিবী সব মেয়ে যদি আমাদের ভাইয়া বলে ডাকে। আর তারা যদি আমাদের বোন হয়।তাহলে বউ হবে কে???
-“তাহলে আমি আপনাদের কি বলে ডাকবো???
-“নাম বলে ডাকবে
-“আপনাদের মতো হাতিদের কে আমি নাম ধরে ডাকবো।ছি: ছি:আমি এতো খারাপ না যে বড় দের কে নাম ধরে ডাকবো।আমি আপনাদের ভাইয়া বলেই ডাকবো এটাই আমার শেষ কথা!
-“না, না
-“হ্যাঁ
-“না,না না
-“হ্যাঁ
এদের দুজনকে এভাবে চিল্লাতে দেখে সবাই অবাক।ভাইয়া নিয়ে তৃণ এতো ঝগড়া করছে।তার এই ভাইয়া ডাকাতে কি এতো এলার্জি। কেঊ তাকে ভাইয়া ডাকলে তার সাথে পায়ে পা লেগে ঝগড়া করবে।আজ সেইম কাজ করছে সে।
স্বপ্ন জোরে ধমক দিয়ে বলে,
-“চুপ করবি তৃণ। ছোট বাচ্চা নাকি তুই।

স্বপ্ন ধমক শুনে নীল ঘাপড়ে যায়। স্বপ্ন রোদের উদ্দেশ্য করে বলে।
-“সাজেক যেহেতু উঁচু উপত্যকা তাই সেখানে কোনো পানি ব্যবস্থা নেই।পাহাড়ে সাধারণত পানি ব্যবস্থা বলতেই ঝরণা কে বুঝানো হয়।।সাজেকের উপরে কোনো ঝরণা নেই।সেজন্য সাজেকের থেকে তিন কিলোমিটার নিচে মানে এখানে একটা ঝরণা থেকে পানি সংগ্রহ করে সাজেকে নিয়ে যাওয়া হয়।এখানে যে পানি ট্যাঙ্কি গুলো দেখতে পাচ্ছিস।এগুলো কিছুক্ষন মধ্যে উপরে নিয়ে যাওয়া হবে।প্রতিটি হোটেল এবং প্রতিটা ঘরেই এই পানি ব্যবহার করা হয়।তবে এখানে স্থানী যারা বসবাস করে তারা নিজের পানি নিজেরাই সংগ্রহ করে।তারা এই পানি সংগ্রহ করার জন্য দুই -তিন কিলোমিটার নিচে পানি সংগ্রহ করে আমায় উপরে আসে।
-“বাবাগো বাবা দুই তিন কিলোমিটার নিচে যেয়ে পানি সংগ্রহ করে।আমি হলে মারাই যেতাম।নীল বলে
রোদ বলে উঠে
-“নোয়াখাইল্লা আবার কবে থেকে হানি কে পানি বলে???
-“ঠিকই বলেছিস রোদ। নোয়াখাইল্লারা প উচ্চারণ হ করে।যেমন:পেঁপে তারা বলে হাবিয়া।পানি বলে হানি। খুব সুন্দর না রোদ।এটা বলে ধূসর হো হো হো করে হেসে দেয়।তার সাথে তৃণ যোগ দেয়।তৃন স্বপ্ন কে বলে
-“কিরে স্বপ্ন তোদের নোয়াখাইল্লারা এসব বলে নাকি।প রে হ

-“প্রথমত,আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলাতে হলে আমি কখনো যাইনি এবং আব্বু আম্মু কখন যায়নি। ছোট থেকে ঢাকাই বড় হয়েছি।তাই আমি জানি না এগুলো আদৌ কি নোয়াখালীর ভাষা।

নীলের এবার খুব রাগ হচ্ছে। তাকে নিয়ে এরা সবাই ব্যাঙ্গ করছে।ইইচ্ছে করছে তাদের সবার মাথা পাঠিয়ে দিতে।শুধু প্রাচ্য আপু সম্মানে কথা ভেবে নীল কিছু বলছে না।।ঠোঁট কামড়িয়ে বলে
-“রোদ আপু।তোমার না সমুদ্রভাইয়াকে বিয়ে করা ইচ্ছে।সমুদ্রভাইয়া বাড়ি ও কিন্তু নোয়াখালীতে। ভাইয়া কিন্তু বিয়ে করে বৌকে নিয়ে নোয়াখালীর মির্জা বাড়িতে বসবাস করবে।তোমার কি উচিত নিজের হবু শুশড় বাড়ি জেলা নিয়ে এভাবে ব্যাঙ্গ করা।আর সমুদ্রভাইয়া যদি জানে তুমি তাদের নোয়াখালী নিয়ে এই ভাবে ব্যাঙ্গ করেছো তাহলে ভাইয়া তোমার কি অবস্থা করবে আল্লাহই ভালো জানে।

নীলের কথা শুনে রোদ ভয়ে ঢোক গিলে।নীল যা বলেছে সবই তো সত্যি। আর সমুদ্র যদি জানতে পারে।তাহলে কি অবস্থা করবে তার ভাবলেই তার গা কাঁটা দিয়ে শিহরিত হয়।
রোদের ফানসে যাওয়া চেহারা দেখে নীল মনে মনে বলছে,”ইয়েস, ইয়েস, ফেরেছি, রোদ আপুকে জব্দ করতে পেরেছি।হেতেরা আমার জেলা নিয়ে ব্যাঙ্গ করবে আর আমি চাইয়া চাইয়া তাদের মুখখানা দেখবো তাই কি হয়।”এবার নীল ধুসর করে বলে
-“ধুসর ভাইয়া আপনি কি জানে এই নোয়াখাইল্লা যে পানিকে যে হানি বলে এটা তাদের একটা আর্ট।যা সবাই পারে না।যেমন আপনাদের মতো ঢাকাইয়ারা পারবে না।এটা শুধু নোয়াখাইল্লা পারে।হহু
-“আমার এই নোয়াখাইল্লাদের ভাষা শেখার ইচ্ছে নেই।প উচ্চারণ হ করে। এটাকে নাকি আর্ট বলে।
নীলের এবার রাগ উঠে যায়।চিল্লিয়ে বলতে থাকে
-“এই সাদা বিলাইর দল। তোদের তিনজনে দেখবি নোয়াখালীতে বিয়ে হবে।আমাদের নোয়াখালীকে ঘৃনা করিস।তাই দোয়া করেই দিলাম তোদের তিনজনের যেন পাগলাকুকুর মতো নোয়াখাইল্লা মাইয়াদের পিছন ছুটতে হয়।
-“আমাদের জন্য কি বাংলাদের আর ৬৩ জেলার মেয়ের অভাব পড়ছে।তাই তোমাদের এই নোয়াখালী জেলাতেই বিয়ে করতে যেতেই হবে।
-“আমি যখন বলেছি হবে।তার মানে হবে।
-“তুমি কি আল্লাহ পীর নাকি,যে তুমি যেটা বলবে সেটাই হবে।

নীল এবার মহাভাবনাই পড়েছে।সত্যি তো সে পীর নয়।কিন্তু এখন তার কথা ফলাবে কি করে।কিছুক্ষন ভেবে বলে
-“পাইছি
সবাই ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে কি পাইছে
-“হ্যাঁ পেয়েছি।।ধুসর ভাইয়া সাথে যদি প্রাচ্য আপু বিয়ে হয়। তাহলে তো আমার কথা ঠিকই হবে।
একথা শুনে প্রাচ্য বর বড় চোখে করে তাকায় তৃণ দিকে।তার রিয়েক্সশন দেখার জন্য।কিন্ত তৃণ খুব স্বাভাবিক দেখে।প্রাচ্য খুবখারাপ হয়।বাহিরে দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। যাতেই সবাই বুঝতে পারে তাদের কথা দিকে প্রাচ্য মন নেইই।নীল আবার বলে
-“তৃণ ভাইয়ার সাথে সোহার বিয়ে হলে ভালো হবে আর সমুদ্রভাইয়া সাথে তো রোদ আপু আছে।
তৃণ ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে বলে
-“সোহা কে
-“সোহা হলো আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড।এবার দেখলেন তো কি ভাবে আপনাদের মিল হবে নোয়াখালীতে।আর নোয়াখালী কার কার সাথে আপনাদের বিয়ে হবে।

রোদ বলে,
-“এখন তো একজন বাকি আছে।স্বপ্নর কার সাথে বিয়ে হবে

রোদের কথা শুনে নীল আবার ভাবতে বসে।সত্যি তো সে এই সুন্দর ছেলে টা কথা কেন ভাবেনি।এখন এই সুন্দর আরে এই ভালো ছেলে সাথে কার মিল দেওয়া যায়।কার মিল দেওয়া যায়।আর কেউ তো নেই তার জানা।তাহলে এই সুন্দর ছেলে বিয়ে কার সাথে দিবে।না সে আর ভাবতে পারছে না

রোদ আবার বলে,
-“কি হলো বলো স্বপ্নরটা।

নীল আর ভাবতে পারছেনা। ছট জলদি বলে ফেলে
-“উনার সাথে আমার হবে বিয়ে।
স্বপ্ন এই কথা শুনে সে কাশতে থাকে।এই মেয়ে জানে না কোথায় কি বলতে হয়।
সবাই স্বপ্ন কে দেখছে।স্বপ্ন ভ্র কুচকে জিজ্ঞেস করে
-“এভাবে তাকিয়ে আসিস কেন???
-“মেয়েটা কি বলেছিস। শুনেছিস।
-“আরে পিচ্ছি একটা মেয়ে কি থেকে কি বলেছে।আর তোরা এমন ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছিস যেন আমি এই মেয়েকে বিয়ে করে ফেলছি তোদের না জানিয়ে।
প্রাচ্য নীলের কথা শুনে একবার স্বপ্ন দিকে তাকায় একবার নীলের দিকে তাকায়।কিছু মনে কথা বলেছে তার যেন আনন্দ হচ্ছে।প্রাচ্য মনে মনে বলে
নীলের জন্য পুরো পারফেক্ট হলো স্বপ্ন।স্বপ্নই পারবেই নীলের এই ছেলে মানুষী গুলো দূর করতে।স্বপ্ন মতো ম্যাচিউর কেউ নীলের জীবনে দরকার।
তৃণ স্বপ্ন কাছে ফিসফিস করে বলে
-“মেয়েটা কিন্ত হেব্বি।তোর সাথে ভালোই মানাবে।কিন্তু একটু পাগল টাইপের । এটাই সমস্যা।
স্বপ্ন এবার নীলের দিকে তাকায়। এই মেয়ে কোনো ব্যাপার সিরিয়াস না।যে কোনো কিছু ছেলেমানুষি ভেবেই করে ফেলে।এই মেয়ের বুঝা উচিত এই সব করার বয়স এখন না।কিন্তু এই মেয়েটা হলো উড়নচণ্ডী স্বভাবের।

মাচালং বাজার থেকে সাজেকের দূরুত্ব ১৮ কিলোমিটার । বন্ধুর পথেই দু’পাশেই আকাশচুম্বী পাহাড়ের বুকে দেখা মিলবে বৃক্ষরাজির।মাঝে মাঝে বিচ্ছিন্ন বসতি।নীল আকাশ আর পাহাড়ে মেঘের গড়াগড়িতে দেখতে দেখতেই পৌঁছে যাবেন মেঘের রাজ্য সাজেকে।

#চলবে
#কাউছার সুলতানা স্বর্ণা
(ভুল -ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।সাজেকের কোনো তথ্য যদি ভুল হয়ে থাকে।তাহলে কমেন্ট ভুলটা ধরিয়ে দিবেন।আসলে আমি কখন সাজেক যাইনি।সাজেক কেনো জীবন এখন কোথাও ঘুরতে চাইনি।আর একটা কথা, কষ্ট করে যখন কমেন্ট করেন তাহলে দয়া করে নেক্সট, নাইছ কমেন্ট করবেন।গল্প যখন দিয়েছি নেক্সট তো দিবোই।আমি দুই তিন ঘন্টা কষ্ট করে আপনাদের জন্য লেখি।আর আপনা একটু গঠনমূলক কমেন্ট করতে পারেন না।। অবশেষে এটাই বলবো ভুল হলে ক্ষমা চোখে দেখবেন।নতুন লেখিকা তো তাই)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে