স্বপ্নীল ০৪

0
1744

স্বপ্নীল
০৪
পরেদিন সকাল সাড়ে ছয়টা সবার ঘুম ভেঙে যায়।তাদের গাড়ি খাগড়াছড়ি আঁকাবাঁকা পাহাড়ের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে।সমতল থেকে কতটুকু উপরে যা কেউ নিদিষ্ট করে বলতে পারবে না।বেশ উপর দিয়ে যাচ্ছে এইটুকু বলতে পারবে সবাই।নিচে তাকালে ছোটবড় অনেক পাহাড় দেখা যায়।

খাগড়াছড়ি যাওয়া পথে এমন রাস্তা দেখলে মনে হবে।শত শত বছর ধরে যেন কেউ পাহাড় কেটে রাস্তা ব্যবস্থা করে রেখেছে।সত্যি এক কথা অসাধারণ। এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মনে হবে,নৌকা যেমন দুই দিকে দুলে তেমন গাড়ি যেন দুই দিকে দুলছে।কারন রাস্তা কন্ডিশন হচ্ছে আঁকাবাঁকা।কিন্তু কোয়ালিটি ছিলো অনেক ভালো। কোথায় ও রাস্তা ভাঙাচুরা নেই।

-“এই মাইয়াদের ফাঁন্দের পড়ে কেন যে এসি বাস নিলাম না।তাহলে কালকে রাত বরফে মতো আমার শরীর জমে যেত না” ধূসর বলে।
প্রাচ্য আর রোদ কিছু বলে না।কি আর বলবে কালকে রাতে ঠাণ্ডা তাদের হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে আছে। নীল, সবুজ ছোট বড় পাহাড় দেখে মনোমুগ্ধকর ভাবে তাকিয়ে আছে।তার এখন’ই ছূটে যেতেই মন চাচ্ছে। নীল খেয়াল করে তার গায়ে উপরে একটা জ্যাকেট দেওয়া।একবার স্বপ্ন দিকে তাকায় এবার জ্যাকেট দিকে তাকায়। তা দেখে স্বপ্ন বলে
-“কালকে রাতে তোমার ঠান্ডা লাগছিল তাই দিয়েছিলাম
নীল ছোট করে বলে,
-“ওহ”
-“জ্যাকেট পড়ে নাও।তাহলে ঠান্ডা কম লাগবে।
নীল জ্যাকেট পড়ে নেয়।প্রাচ্য কে বলে
-“আপু আর কতো সময় লাগবে সাজেক যেতেই। আমার যে বসতে বসতে কোমর ব্যাথা হয়ে গেছে।
তখনই তৃণ বলে
-“তুমি কুমিল্লা থেকে উঠেছো তারপর বলছো কোমর ব্যথা হয়ে গেছে। আর ঢাকা থেকে উঠলেই তোমাকে খুজে পাওয়া যেত না।
নীল কিছু বলতে গেলেই স্বপ্ন বলে
-“কিছুক্ষন পর আমরা খাগড়াছড়ি বাস স্ট্যান্ড নেমে যাবো। শাপলা চত্বর থেকে চান্দের গাড়ি নিয়ে দিঘিনাল।দিঘিনাল থেকেই বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্প। তারপর মাচালং বাজার থেকে সাজেক ভ্যালি।
-“এখন অনেক পথ।আচ্ছা আপনি এখানে আর এসেছেন।
-“আমি, ধূসর,সমুদ্র এসেছিলাম।
-“সমুদ্র ভাইয়া এসেছিল।
-“হুম
রোদ বলে,
-“এবার কেন সমুদ্র আসলো না। আসলে তো অনেক মজা হতো।
তৃণ বলে উঠে,
-“সমুদ্র কেন আসেনি জানিস??
-“কেন???
-“সমুদ্র এবারব ট্যুরে আসতে চেয়েছে যখন শুনেছে রোদ, বৃষ্টি, ঝড়, এবার আমাদের সাথে ট্যুরে যাবে।তাই আসে নি।
-“কি বললি ও আমার জন্য ট্যুরে আসেনি।এই খাটাশ বুঝি আমার জন্য ট্যুরে আসে নাই। ও গতবার সাজেক ট্যুরে কি করেছে।আমায় বাদ দিয়ে সবাই কে নিয়ে ট্যুর প্ল্যান করেছে।আমি কতো কান্না করেছি যেন আমায় নেয়। কিন্তু নেয়নি।আমার বদল হয়ে স্বপ্ন, তাকে request করেছে তারপর আমায় নেয় নি। আমাকে ট্যুরে নেয়নি বলে প্রাচ্য আর সেই ট্যুরে যায়নি।স্বপ্ন, ধূসর, সমুদ্র গেছে।।আমার ইচ্ছা করছিল খাটাশটারে আলুভর্তা বানিয়ে খেয়ে ফেলি।।
ধূসর বলে,
-” সমুদ্র কে খাটাশ বলেছিস আমি এতক্ষন তোর কথা গুলো রেকর্ড করেছি। এখন রেকর্ডটা সেন্ট করে দিবো সমুদ্র কাছে।
– রোদ এবার নিজের সিটে উঠে পিছন ফিরে ধূসরে চুল টেনে ধরে বলে,
-“কি বললি??? তুই সমুদ্র কাছে রেকর্ড পাঠাবি । আজ আমি তোর চুল একটা রাখবো না।বন্ধু হয়ে বন্ধু ভালোবাসায় কাঁটা হয়ে দাঁড়ালি।সমুদ্র যদি শুনতে পায়।আমি তাকে খাটাশ বলেছি সে কি আমায় আস্ত রাখবে।
স্বপ্ন আর প্রাচ্য মিলেই রোদ কে ছুটায়।ধুসর নিজের মাথার চুলে হাত দিয়ে। বলে
-“গুন্ডি মেয়ে।আমার এতো সুন্দর চুলগুলো ছিঁড়ে ফেলত আর একটু হলেই।আমি তোকে অভিশাপ দিলাম। সমুদ্র যেন তোর ভালোবাসা কোনোদিন বুঝতে না পারে।সারাজীবন যেন সমুদ্র পিছন পিছন ঘুরিস।
-“সমুদ্র গলায় ঝুলতে না পারলে তোর গলাই ঝুলবো।
-“এ্যাঁ,শখ কতো।আমার জন্য দুনিয়াতে মেয়ের অভাব পড়ছে। আমি তোর মতো গুন্ডি মেয়েকে আমার গলায় ঝুলাবো।
-“তোর কপাল ভালো বলেই আমার মতো সুন্দরী মেয়ে তোর কপালই ঝুটবে।

তৃণ বলে,
– তোদের কে সুন্দরী বলে না।তোদেক বলে মেকাপ সুন্দরী। আটা ময়দা মেখে সুন্দরী হোস।আটা আর ময়দার দাম যে হারেবেড়ে গেছে।
রোদ বলে,
-“তোর গার্ল ফ্রেন্ড টিনা, মিনা রিনা তারা কি মাখে।তারা তো আমাদের চেয়ে দ্বিগুন মেকাপ করে।আর ঠোঁটে কি বিশ্রি লাল টুকটুক লিপস্টিক দেয়।নির্ঘাত গার্ল ফ্রেন্ড কে কিস করতে গেলেই। ওই পঁচা লিপস্টিক খেয়ে তোর পেট খারাপ হবে।

রোদের মুখে এই কথা শুনে নীল খিলখিল করে হেসে দেয়।।হাসি থামিয়ে বলে
-“লিপস্টিক খেলে বুঝি পেট খারাপ হয়।তাহলে মুভিতে নায়ক নায়িকাকে কিস করতো না।
প্রাচ্য ধমকের সুরে বলে
-“চুপ কর নীল।আর শোন রোদ,কারো কথা কান দিবি না। মেজো ভাইয়া বিদেশ গেছে । তাই সমুদ্র ভাইয়াকে অফিসে নিয়মিত এখন যেত হবে। তাই আসেনি।এই ধূসরে কথায় কান দিবি না।

সবাই আর কোনো কথা বলেনি।৮.৩০তাদের গাড়ি খাগড়াছড়ি পৌঁছে।তাদের গাড়ি ট্রাফিকজ্যাম আটকে, তাই তাদের এক ঘন্টা লেট হয়।তাই ৭.০০পৌঁছানোর কথা সেই জায়গা ৮.৩০পৌঁছায়।সাজেক আশার ক্ষেতে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ।

খাগড়াছড়ি থেকে বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্প পৌঁছাতেই হবে। কারণ বাঘাইহাট থেকে সাজেক যেতেই বাকিটুকু রাস্তায় সেনাবাহিনির এসকর্টে করে যেতে হবে। সেনাবাহিনী এসকর্ট দিনে দুইবার পাওয়া যায়।সকাল ১০.০০টায় একবার, বিকাল ৩.০০টা একবার।
কোনো ভাবেই যদি সকালের এসকর্ট মিস করেন।তাহলে বিকাল তিনটার এসকর্টে জন্য অপেক্ষা করতে হবে।সেনাবাহিনী এসকর্ট ছাড়া কোনো ভাবেই সাজেক যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হবেনা।সেনাবাহিনী এসকর্ট ঘাট দিতে দিতে নিয়ে যাবেই।যাতে পর্যটকদের কোনো সমস্যা না হয়। পাহাড়ি উপজাতি দের কোনো সমস্যা না হয়। তাই সাজেক আসার ক্ষেতে সময় ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে।

নিজের সব জিনিস পত্র নিয়ে সবাই নেমে যায় খাগড়াছড়ি। স্বপ্ন বলে
-“প্রাচ্য এখানে একটা ওয়াশরুম আছে।তোরা সবাই যা ফ্রেশ হয়ে আয়।আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছে।

নীল,রোদ, প্রাচ্য চলে যায়।
তৃন বলে,
-“স্বপ্ন চান্দের গাড়ি কই আসছে না যে।

ধুসর বলে
-“আগেই থেকে কি চান্দের গাড়ি খবর দিয়ে রেখেছি।
-“আগের বার যার চান্দের গাড়ি দিয়ে গেলাম।যাওয়ার সময় তার ফোন নাম্বার নিয়ে গেলাম। তাই এবার যখন সবাই মিলে আসছি।ওদের যাতে সমস্যা না হয়। তাই আগেই ফোন দিয়ে জানিয়ে রেখেছি তাকে, সে যেন শাপলা চত্বর এসে দাঁড়ায়।
-“ভালো করেছিস।
-“ওই দোকানটায় চল।ওরা আসতে আসতে আমরা এক কাপ চা খাই। তাহলে শরীর গরম থাকবে।
-“চল

প্রাচ্য এসে বলে
-“তোরা আমাদের কে রেখে চা খেয়ে ফেললি কেন???
স্বপ্ন বলে
-“তোরা কি চা খাবি নাকি??

-“টঙের দোকানের চা খাওয়ার মজাই আলাদা।কলেজে যাওয়ার সময় করিমচাচার দোকানে কতোবার যে রং চা খেয়েছি। আদা দেওয়া চা শীত কালে খেলে শরীর গরম হয়ে যায়।
নীল একথা বলে প্রাচ্যর পাশ কেটে গিয়ে দোকানদার কে বলে
-“মামা এক কাপ চা দেন তো।
নীল এবার রোদে দিকে তাকিয়ে বলে
-“আপনি খাবেন
-“হুম
ছয়জন মিলে চা খায়।খাওয়া শেষ সবাই শাপলা চত্বরে যায়।সেই খানে অনেক অনেক চান্দের গাড়ি থেকে। ফুল প্যাকেজ আটহাজার বা নয় হাজার করে নেয় ।অফ সিজনে ১০০০টাকা মত কম রাখে। চান্দের গাড়ি সবোর্চ্চ ১০-১২জন বসতে পারে। যাদের ট্যুরে সদস্য সংখ্যা কম থাকবে তারা শাপলাচত্বর থেকে শেয়ারে চান্দের গাড়ি নিতে পারে।।

-“তোরা সবাই এখানে দাঁড়া আমি আসছি।এটা বলে স্বপ্ন চলে যায়। চান্দের গাড়ি ড্রাইভার কে ফোন করে।
-“তুমি কোথায়।
-“সাহেব আমি আপনার পিছন
স্বপ্ন পিছন ঘুরে তাকে দেখে।ফোন কেটে তার সামনে এসে দাঁড়ায়।”তোমার গাড়ি কোথায়???
-“ওইতো সাহেব।
-“তুমি গাড়িতে যাও।আমি সবাইকে নিয়ে আসছি।
-“জ্বী

স্বপ্ন সবার কাছে গিয়ে বলে,
-“চল সবাই।চান্দের গাড়ী ওইদিকে
নীল অনেকবার শুনেছে চান্দের গাড়ি কথা।সে জানে চান্দের গাড়ি করে সাজেকে যেতেই হয়।। চান্দের গাড়ী নিয়ে অনেক কল্পনা জল্পনা করে ফেলে। কি রকম দেখতে চান্দের গাড়ি। আবার তার নাম কেন রেখেছে চান্দের গাড়ি।হয়তো চাঁদের মত দেখতে।
সবার আগে আগে হেঁটে যায় নীল।সবাই এক এক করে গাড়ি উঠে যায়।নীল এইদিক ওইদিক খুজতে থাকে কোথায় চান্দের গাড়ি। আর সবাই কেন জিপে উঠছে কেন??প্রাচ্য আপু বন্ধু বলেছে চান্দের গাড়ি করে যাবে।তাহলে জিপ কেন??
নীলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্বপ্ন বলে
-“তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেন উঠো
রোদ গাড়ি ভিতর থেকে বলে,
-“কদমফুল উঠে আসো।????

-“আমি এই গাড়ি করে যাবো না।আমি চান্দের গাড়ি করে যাবো।
নীল কথা শুনে সবাই হাসে।স্বপ্ন মুচকি হেসে বলে
-“এটাই চান্দের গাড়ি।
নীল কিছু লজ্জা ফেলো। কিন্তু কাউকে তার লজ্জা বুঝতে না দিয়ে আমার প্রশ্ন করে।
-“এটা কি করে চান্দের গাড়ি হয়।এটা তো একটা জিপ গাড়ি।
আরেকদফা সবাই হেসে দেয়।এবার নীলের রাগ হচ্ছে।তাই জোরে বলে
-“এতো হাসি কি বলছি।
স্বপ্ন নীলের কাছে এসে বলে।
-“এখানে উপজাতি কাছে এই গাড়ি চান্দের গাড়ি নামে পরিচিত। আমরা এটাকে জিপ গাড়ি বলে থাকি।
এটা কথা শুনে নীলের মুখ ফানসে যায়।
সেই কতো কি ভেবেছে চান্দের গাড়ি নিয়ে।আর তার ভাবনা ঠিক উল্টো হয়েছে।এই সব ভাবতে ভাবতে নীল গাড়িতে উঠে। চান্দের গাড়ি নিজ গতি চলতে থাকে।

শাপলা চত্বর থেকে সাজেক যাওয়ার জন্য মাহেন্দ্র, সি এন জি, চান্দের গাড়ি ব্যবহার করে। সি এন জি করে গেলে পাহাড়ি প্রকৃতি ভালো ভাবে দেখা যায় না।তাই সবাই চান্দের গাড়ি ব্যবহার করে যাতে পাহাড়ি পরিবেশ উপভোগ করতে পারে।খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের রাস্তাটা দেশের সবচেয়ে সুন্দর রাস্তা গুলো মধ্যে অন্যতম। পুরো রাস্তা অপরুপ পাহাড়ি সাজে সজ্জিত। দুইপাশে মাঝে মাঝেই পাহাড়িদের মাচাং।আর এমন অপরুপ রাস্তায় চান্দের গাড়ি করে যাতায়াত এক রোমাঞ্চকর যাতায়াত।

তাদের চান্দের গাড়ি যখন দিঘিনাল আর্মি ক্যাম্প দিয়ে যায় তখন স্বপ্ন সবাইকে বলে
-“এটা হলো দিঘীনাল আর্মি ক্যাম্প। আগের বার যখন আমরা সাজেক গিয়েছিলাম তখন, এখান থেকে অনুমিত নিয়ে যেতে হতো।এখন সব কাজ বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্পে।

স্বপ্ন কথা শুনে সবাই জায়গাটা ভিউ ভালো করে দেখে।নীল বলে
-“প্রাচ্য আপু আমার না খুব খিদে পেয়েছে।
ধূসর খোঁচা মেরে বলে,
-“কিরে প্রাচ্য নোয়াখালী থেকে কি খাদক নিয়ে আসলি তুই। সে যে সুধু খাই খাই করে।

-“আপনি খাদক,,বিলাই শাকচুন্না, রাক্ষসের নানা, হনুমানের শ্বশুড়, বানরের বাপ।এই শাকচুন্না তুই খাদক। আমি কতোক্ষন খাই খাই করেছি।।কালকে রাত ধরে না খাই আছি।তারপর আমায় বলিস আমি খাদক।
নীলের এই ভাষা শুনে প্রাচ্য বাদে সবাই শোকাহত।কি বলবে বুঝতে পারছেনা।প্রাচ্য সবার চেহারার এই অবস্থা দেখে অট্রহাসিতে ফেটে পড়ে
ধুসর প্রাচ্য কানে কাছে এসে ফিসফিস করে বলে
-“তোর বোন এই সব ভাষা কোথায় থেকে শিখেছে।
-“ওরে চেতাইস না।না হলে আরো আফ্রিকান ভাষা শুনতে হবে তোকে। তার চেয়ে ভালো চুপ হয়ে যায়।
প্রাচ্য, স্বপ্নকে বলে
-“আমার ও খুব খিদা পেয়েছে।
–“মাচালং বাজারে একটা হোটেল আছে ওই খানে সকালে নাস্তা খাবো।
তৃণ বলে
-“স্বপ্ন বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্প তো ১০টার আগে পৌঁছাতে হবে।
স্বপ্ন ঘড়ি দিকে তাকিয়ে বলে,
-“হুম।খাগড়াছড়ি থেকে বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্প যেতেই প্রায় দেড় ঘন্টা লাগে। এখন বাজে নয়টা। আমাদের হাতে আরো একঘন্টা সময় আছে। সময় মতো পৌঁছে যেতেই পারবো। কোনো সমস্যা হবে না।

#চলবে
#kawsar_sorna

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে