সোনার কন্যা পর্ব-১০

0
464

#সোনার_কন্যা
#পর্ব১০
#রাউফুন

রাত বাজে তিনটার কাছাকাছি। তাজফি আর নুরিশা পাশাপাশি বসে আছে। ব্রেঞ্চের এক প্রান্তে তাজফি আর আরেক প্রান্তে নুরিশা। অন্ধকারেও গভীর দৃষ্টিতে নুরিশা তাজফির দিকে তাকিয়ে তাকে পর্যবেক্ষণ করছে। তাজফি নির্নিমেষ দৃষ্টিতে আকাশপানে তাকিয়ে আছে। রাতের নিস্তব্ধতা ভেদ করে নুরিশা প্রশ্ন করলো,

‘আপনার আর আমার দূরত্ব কত খানি তাজফি ভাই?’

‘ঐ যে আকাশ দেখছো, ঐ আকাশসম দূরত্ব!’

‘দূরত্বে আপনি সুখী হবেন?’

তাজফির ভেতরটা কেঁপে উঠলো। বললো,’হ্যাঁ!’

‘তবে তাই হবে, আমার কিছু প্রশ্ন আছে সেগুলোর উত্তর দিন!’

‘কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না। আমার সঙ্গে থাকলে তুমি জীবনেও সুখী হবে না এটা মানো? তোমার দাদি আমায় তোমাকে ভালো রাখার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন, আমি তোমাকে আমার নিজের কাছে রেখে অসুখী কি করে করি?’

‘সুখটা আসে ভেতর থেকে। আপনি যদি মনে করেন, টাকা আছে মানেই আমি সুখী হবো তবে আপনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। টাকা দিয়ে আর যাই হোক সুখ কেনা যায় না। যেখানে ভালোবাসা বিদ্যমান সেখানে সুখ আপনা ধরা দেই। টাকা দিয়ে ভালোবাসা বিচার করা যায় না!’

‘আমার কাছে তোমার জন্য এক বুক ভালোবাসা আছে, কিন্তু রাজরানীকে এক নিমিষেই পথের ভিখারি বানানোর সাহস নেই৷’

‘আপনি একটা কাপুরষ! কাপুরষরা দূর্বল হয়। আপনি কোনো দিন আমার ভালোবাসার যোগ্য ছিলেন না আর না ভবিষ্যতে হবেন!’

‘অযোগ্য মানুষকে ভালোবাসলে মৃ’ত্যু যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়৷ আর তুমি সেই যন্ত্রণা ভোগ করছো সেচ্ছাই। কিন্তু এই যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে যেতে পারো , নতুনে মজো। আর সেটা এক মাত্র আমার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ালেই তা সম্ভব হবে! তোমার বাবা মা যার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছেন তাকেই বিয়ে করো!’

নুরিশা তাজফির দিকে এগিয়ে এলো। রাগে দুঃখে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তাজফিকে থাপ্পড় দিলো। তাজফি নির্বিকার ভঙ্গিতে বসে রইলো। যেনো কিছুই হয়নি। তাজফি নড়লোও না। নুরিশা দু চোখের পানি ছেড়ে দিলো। কন্ঠ রোধ হয়ে আসছে তার। চাপা ক্ষোভের সহিত বললো,

‘লজ্জা করে না আপনার? নিজের ভালোবাসার মানুষকে বলছেন অন্য কাউকে বিয়ে করতে! বলছেন নতুনে মজতে? ছিঃ মানছি সেদিন একটা দূর্ঘটনা ঘটেছিলো। কিন্তু যা হয়েছিলো তা কি বদলাতে পারবেন? পারবেন না। আমাকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিলে আমি সুখী হবো? সেই মানুষ টাকে ঠকানো হবে না? বলুন?

তাজফি নিশ্চুপ, একটি বাক্যও সে উচ্চারণ করলো না। নুরিশার দিকে তাকালো না একটিবার ও। নুরিশা আরও কিছুটা দূরত্ব কমালো। তাজফির দুই চিবুকে হাত রেখে তার দিকে ফেরালো। বৃদ্ধা আঙুল দিয়ে গালে হাত বোলাতে বোলাতে ধরা গলায় বললো, ‘সেদিন আপনার আর আমার মাঝে যা কিছু হয়েছে সেটার কি কোনো মূল্য নেই? আমি জানি, সেদিন আপনার কোনো দোষ ছিলো না, আমিই জোর করে…! বাদ দিন সেসব কথা। আমি আপনাকে পাওয়ার জন্য মৃ’ত্যুর চাইতেও অধিক যন্ত্রণাকে বরণ করে নিতে রাজি। কিন্তু আমাকে নতুনে মজতে বলবেন না। সেটা আরও ভয়ংকর হবে। আমাকে আপনার থেকে আলাদা করবেন না তাজফি ভাই! আপনার পায়ে পড়ি আমি! আমি আপনাকে ছাড়া অন্য কাউকে গ্রহণ করার আগে ম’রে যাবো। বুঝেছেন আপনি?’

‘তুমি এই মুহুর্তে আমার হাত ধরে চলে যেতে পারবে? আমি জানি পারবে না। আমি নিজেও চাই না এরকম কিছু। আমি যে বড্ড নিরুপায় বালিকা!’

‘আমি আমার বাড়ির মান সম্মান এভাবে ধুলোই মিশিয়ে দিতে পারবো না। আমি যেমন আপনাকে ভালোবাসি, তেমনই আমার পরিবারের সবাইকেও ভালোবাসি। তাই এমন কাজ করতে পারবো না। আপনি আমার আব্বার কাছে প্রস্তাব রাখুন।’

‘আমি পারবো না৷ তোমার এবার ঘরে যাওয়া উচিত বালিকা, যাও!’

‘নাহ যাবো না৷’

‘যাও, আমরা অন্য সময় কথা বলবো!’

‘আপনি এমন কেন?’

‘কেমন?’

‘আপনি খুব ইনসেনসেটিভ, দয়া মায়া নেই। আপনি একটা দয়া মায়া হীন পুরুষ!’

‘পুরুষ মানুষের দয়া মায়া কম থাকে! জানো না?’

‘নাহ, পুরুষ মানুষের দয়া মায়া থাকে না কথাটা শুধুই আপনার জন্য প্রযোজ্য! আমার বাবা, ভাই তারা তো আপনার মতো না।’

‘বালিকা, শান্ত হোও। ঘরে যাও। আর থেকো না। চারিদিকে আলো ছডাচ্ছে। প্রায় চারটে বাজে, লোকে দেখলে তোমায় বদনাম দেবে!’

‘আমি আমার উত্তর চাই!’

‘কি জানতে চাও?’

নুরিশা তাজফির হাত ধরলো মুঠো করে। নিজের মাথায় হাত রেখে বললো,’আমার কসম তাজফি ভাই। আপনি কেন আমার থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন? কেন এই দুরত্ব? কোন নিষেধাজ্ঞার জের ধরে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন?’

‘তোমরা বাপ- মেয়েতে আমাকে কি পেয়েছো? আমাকে কি খেলার পুতুল পাইছো? তোমার বাপ দাদির কবর ছু্ইয়ে প্রতিজ্ঞা করাবে, বলবে তোমার থেকে দূরত্ব বাড়াতে। আর তুমি আমার কাছে আসার জন্য মরিয়া হয়ে যাচ্ছো? আমাকে কি শান্তি দেবে তোমরা? তুমি কি জানো, দাদির মৃত্যুর দিন আমি এসেছিলাম? রেহান আর আমি দাদির খাটিয়ার পেছনের অংশ ধরেছিলাম? দাদির কবর দেওয়ার পর যখন ফিরে যাচ্ছিলাম তখন তোমার বাবা আমাকে কাছে ডাকেন। অত্যন্ত সন্তর্পণে, ঠান্ডা মেজাজে আমাকে কলিজা ছিদ্র করা অপমান করেছেন? জানো কি বলেছেন তিনি? বলেছেন, “তাজফি বাবা, তুমি নিঃসন্দেহে ভালো মানুষ। কিন্তু তোমার মতো বেজম্মার ঘরে আমি আমার মেয়েকে দিবো কিভাবে? হ্যাঁ আমি জানি তুমি আমার মেয়েকে পছন্দ করো, আমাদের নুরিও হইতো তোমাকে পছন্দ করে। সেদিন আম্মা আর তোমার কথা আমি শুনে নিয়েছিলাম। আম্মার ইচ্ছে ছিলো তোমাকে আমার মেয়েকে দেবেন। কিন্তু আম্মার ইচ্ছে হলেও এখন আম্মা নাই। তাই আম্মার ইচ্ছেরও কোনো মূল্য আমার কাছে নাই। আমি আমার মেয়ের বিয়ে একটা ভালো ছেলের সাথে ঠিক করেছি। তুমি যদি আমার মেয়ের ভালো চাও তাহলে ওর সামনে আর আসবে না। আমার মৃত মায়ের কিড়া দিলাম তোমাকে। আর আমার মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবা না। মনে রেখো আমি আমার মেয়েকে কোনো বেজম্মার ঘরে দিবো না।’

“অনেক বলেছেন আংকেল, আপনার ভাগ্য ভালো আপনি নুরিশার বাপ। সেজন্যই আপনি এখনো আস্তো আছে। গায়ে হাত উঠে যেতো আজ আপনার জায়গায় অন্য কেউ হলে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আজ যদি এটা শোকের বাড়ি না হতো তবে আমাকে বেজম্মা বলার সাধ ঘুঁচিয়ে দিতাম এখানেই। আমার আব্বা, আম্মা তুলে কথা বললে আমার মাথা নষ্ট হয়ে যাই। আমি ছোট বড় কাউকে ছাড়ি না। আমি সম্পর্কে ভুলে যাই। জায়গা ভুলে যাই। কিন্তু আজকে আমি যে মানুষটাকে অধিক পরিমাণে সম্মান করি, ভালোবাসি, সেই মানুষটার ছেলে বলে গায়ে হাত তুলতে পারলাম না। আমি যাকে ভীষণ ভীষণ ভালোবাসি, যাকে ছাড়া প্রতিটি মুহুর্ত উপলব্ধি করি আমি নিঃস্ব, আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে যাকে ছাড়া, তাকে ছেড়ে দিলাম। আমি কথা দিচ্ছি আপনার মেয়ের ত্রিসীমানায় আসবো না। আসি।” সেদিন প্রথমবারের মতো তোমার বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছি। আর তোমাদের এই কিড়া, কসমের মধ্যে পড়ে আমি আমার জীবন শেষ করতে বসেছি।’

নুরিশার দু চোখের পানি যেনো বাঁধ মানছে না। তার বাবা এমন মানুষ? তার বাবা, বাবা হিসেবে ভালো হলেও একজন মানুষ হিসেবে জঘন্য! সে অত্যন্ত আবেগী হয়ে দুই হাতে তাজফির গলা জাপ্টে ধরলো। সে হুহু করে কেঁদে উঠলো। ঘাড়ে নাক ডুবিয়ে দিয়ে নাক ঘষতে ঘষতে কান্নারত কন্ঠে বললো,

‘আপনি আমায় নিয়ে পালাবেন এক্ষুনি? এখন আমি বলছি, আমি আপনার হাত ধরে এক কাপড়ে এই ঘর ছাড়বো। আর কিচ্ছু চাই না। আমি শুধুই আপনাকে চাই। আপনি হলে আমার আর কিছু চাওয়ার থাকবে না।’

তাজফি নুরিশাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। নিজেকে কঠোর করে বললো,’নুরিশা ঘরে যাও! এক্ষুনি!’

‘আমি কিন্তু মরে যাবো। নিজের জান শেষ করে দিবো এই মুহুর্তে! আমাকে আপনার সঙ্গে না নিয়ে গেলে!’

‘এসব পাগলামি করো না। শান্ত হও!’

‘আমি আর সতী নেই। আপনার দ্বারা আমার সতীত্ব
ভেঙেছে তাই আপনার আমাকে বিয়ে করতেই হবে। আপনি বাধ্য! আমাকে এভাবে এড়িয়ে যেতে পারবেন না কিছুতেই।’

তাজফি আর নুরিশার মাঝে যখন এসব কথা হচ্ছিলো সেসময় মতিউর রহমান আর শফিউল্লাহ নামাজের জন্য বের হচ্ছিলো। বাগানের দিকটাই দুটি ছাঁয়া মূর্তি দেখে এগিয়ে আসে তারা আর নুরিশার শেষ কথা শুনে ফেলে। মতিউর রহমান মেয়ের সতীত্ব সম্বন্ধে সব কথাটুকু শুনে ফেলার পর দিশাহারা হয়ে পড়লেন। তিনি ধারণা করে নিলেন, এই রাতের বেলাতেই এই অঘটন ঘটেছে। নিজের সোনার কন্যার এই হাল শুনে মেজাজ এমন ভাবে চটে গেলো তার যে হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়লেন। মুহুর্তের মধ্যে চাপা গুঞ্জন শুরু হলো, শফিউল্লাহও মাথা ঠিক রাখতে পারছে না। রাতের নিম্ন স্বরের কথাও অনেক ভারী শোনাচ্ছিলো সে সময়। এলাকার কিছু লোকজন জড়ো হলো। নুরিশা ভয়ে নিজেকে লুকিয়ে ফেললো তাজফির আড়ালে। এটা দেখে মতিউর রহমান এর মাথায় যেনো বাজ পড়লো।

শফিউল্লাহ এক ফাঁকে গিয়ে একটা লাঠি নিয়ে এলো। কোনো রকম কথা না বলেই তাজফির পায়ে আঘাত করলো। তাজফি কুঁকিয়ে উঠলো। পরবর্তী আঘাত করতে গেলে নুরিশা রুখে দাঁড়ালো। কন্ঠে কোপ নিয়ে বললো, ‘খবরদার চাচা, উনার গায়ে আর একটাও আঘাত যেনো না পড়ে। তাহলে খুব খারাপ হবে!’

এই গুঞ্জনে আশেপাশের বাড়ি ঘর থেকে লোকজন বেরিয়ে এলো। মানুষ জনকে দেখে পরিস্থিতি সামলাতে তাজফির উপর অনেক রকম অপবাদ দিলো শফিউল্লাহ। সবাইকে ক্ষেপিয়ে তুললো মুহুর্তের মধ্যে।

তাজফি মাটিতে বসে পড়েছে। নুরিশা তাকে আগলাচ্ছে। তাজফি এবারে সরাসরি বললো, ‘আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই আংকেল। আপনি রাজি থাকলে সেটা এক্ষুনি করতে চাই! আপনাকে দেওয়া কথা রাখবো না আমি। আমি আমার ভালোবাসার জন্য এমন হাজারটা কথার খেলাফ করতে পারি। আমি আপনাকে দেওয়া কথা ফিরিয়ে নিলাম!’

‘তোর মতো একটা জাড়জের সঙ্গে আমাদের বাড়ির মেয়েকে বিয়ে দেবো ভাবলি কিভাবে? বাপ মায়ের ঠিক নেই, জন্মের ঠিক নেই তুই আমার ভাতিজিকে বিয়ে করবি? সাহস তো কম না। এই তোমরা কু****বা** কে শায়েস্তা করো আমাদের বাড়ির মেয়েকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।’

কথাটা বলতে দেরি কিন্তু এলোপাথাড়ি ছুটোছুটি করে আঘাত করতে দেরি হয়নি। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে নুরিশা পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইলো। সে আটকানোর চেষ্টা করলে তার বাবা তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলো। নুরিশা বাবার পায়ের নিচে বসে পরলো।

‘আব্বা আমাকে যেতে দিন। ওরা বিনা দোষে তাজফি ভাইকে মা’র’তেছে। তাজফি ভাই কিছু করে নাই। আমাকে যেতে দাও!’

মেয়ের আহাজারি শুনে ততক্ষণে রিক্তা বেগম নিচে নেমে এসেছেন। মেয়েকে এভাবে বাবার পায়ে পড়ে কাঁদতে দেখে হতবাক হয়ে শুধালেন, ‘কি হইছে আপনি এমন করেন কেন?’

‘নিয়ে যাও তোমার মেয়েকে। ওকে ঘর বন্দি করো। আমি কাল ই ওর বিয়ে দেবো। সর্বনাশা মেয়েকে আমি একদিনও ঘরে রাখবো না।’

রিক্তা বেগম পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কথা বলার সাহস করলেন না। যা বুঝার তিনি বুঝে গেছেন। তার ঘুম এতো ভারী হলো কখন? রেহান আর আনিকা সন্ধ্যা বেলায় শ্বশুর বাড়িতে গেছে। হুট করেই যাওয়া হয়েছে রেহানের আনিকাদের বাড়িতে। সে থাকলে তাজফির গায়ে হইতো ফুলের টোকাও পড়তে দিতো না।

এদিকে তাজফিকে আঘাতে আঘাতে দগ্ধ করা হচ্ছে। তার নাকে মুখে র’ক্ত বমি চলে আসে। চোখ উলটে শেষ বার দেখার চেষ্টা করলো নুরিশার সুন্দর মুখ খানি। নুরিশা কি বলছে তার কোন কথায় তার কানে আসছে না। এক পর্যায়ে যখন তাজফির জ্ঞান হারালো তখন তাকে ধরাধরি করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হলো। তাজফির শরীর পড়লো রকির সামনে। রকি হতবাক হয়ে অন্ধকারে তাজফিকে চেনার চেষ্টা করলো। লাইটের আলোই সে তাজফির ভয়াবহ অবস্থায় চিৎকার করে উঠলো। চিনতে পেরে দ্রুত তাজফিকে কাঁধে তুলে নিয়ে দৌঁড়ানোর চেষ্টা করলো।

‘আমার দম থাকতে আপনার কিছু হতে দেবো না ভাই। আমি সেদিনের মতোই আজও আপনাকে বাঁচাবো।’

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে