সোনার কন্যা পর্ব-০৭

0
400

#সোনার_কন্যা
#পর্ব৭
#রাউফুন

নুরিশার জন্য সম্বন্ধ এসেছে। নুরিশার ছোট চাচা অনেক দিন পর তাদের বাড়িতে এসেছে। তিনিই এই সম্বন্ধের ঘটকালি করছেন। ড্রয়িংরুমে তখন ছোট খাটো চাপা কথোপকথনের গুঞ্জন। মতিউর রহমান ছোট ভাই শফিউল্লাহর দিকে ভ্রু কুঞ্চিত করে তাকিয়ে আছেন। শফিউল্লাহ গলা ঝেড়ে বললেন,

‘ছেলেটা খুব ভালো ভাইজান। আর আম্মাও তো আমাদের নুরিশার বিয়ে দেখে যেতে চান। আম্মার তো শরীর টাও ভালো না। বুড়ো মানুষ, তার কথা কি ফেলে দেবেন? তার শেষ ইচ্ছে তো আমাদের পূরণ করা উচিত তাই না?’

‘সবই ঠিক আছে, কিন্তু ছেলেরা অনেক বড়লোক। বড়লোকদের আমার পছন্দ না। ভয় হয়! আমার ধারণা, এরা মানুষ খুব একটা সুবিধার না!’

‘ভয় কিসের ভাইজান? আমাদের নুরিশার কপাল অনেক ভালো যে এমন একটা সম্বন্ধ এসেছে। ওর কোনো কিছুর অভাব থাকবো না। আমি সব ভাবে খোঁজ নিয়ে দেখেছি ছেলের পরিবার বা ছেলের কোনো খারাপ রেকর্ড নেই। আমার যদি মেয়ে থাকতো তবে আমিই আমার মেয়েরে দিয়ে বিয়ে দিতাম।’

‘তবুও আমার মন সাই দিচ্ছে না। বড়লোকদের সঙ্গে সম্পর্ক করতে আমার হৃদয়ে শঙ্কায় কেমন যেনো আঁতকে উঠছে।’

‘বড়লোকরা কি মানুষ না? সবাই তো খারাপ হয় না। ওদের সম্পর্কে এলাকায় শুনেছি, ছেলে একদম হীরের টুকরো ছেলে! মাসে দুই লাখ টাকা সেলারি পায়। বড় ইঞ্জিনিয়ার। দেশের বাইরে থাকে, আমাদের নুরিশাকেও নিয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে। ওর কোনো কষ্টই হবে না। ওর তো আর শ্বশুর শাশুড়ীর সঙ্গে থাকতে হচ্ছে না যে, শ্বশুর বাড়ির মানুষ জ্বালাবে। জামাই যেখানে যেখানে থাকবে আমাদের নুরিশাও তার সঙ্গে থাকবে।’

‘আচ্ছা দেখি ভেবে। আমাকে ঠিকানা দিয়ে যাবি, আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো!’

‘আচ্ছা ভাইজান। আমি কাল আবার আসবো। ওদের সবাইকে সঙ্গে করেই আনবো।’

‘আচ্ছা! চা খাবি?’

‘এই সবেই এক কাপ শেষ করেছি আর খাবো না ভাইজান। এখন আসি আমার তাড়া আছে। আম্মার সঙ্গে তো দেখা করেইছি।’

‘এই দাঁড়াও শফি, আম্মার সঙ্গে দেখা যাবে না যাওয়ার আগে?’

‘হ্যাঁ ভাবি দেখা তো করতে ইচ্ছে হয়। সত্যি কথা বলতে আম্মার এই অবস্থা দেখতে আমার ভালো লাগছে না। আমি সহ্য করতে পারছি না তাই আর যাবো না। আম্মাকে বলে দিয়েন, আমি চলে গেছি!’

‘তোমার বউ, বিভাকে নিয়ে এসো। তোমার ছেলে মেয়েদের তো মাঝে মধ্যে পাঠাতে পারো।’

‘ভাবি আমার ছেলে মেয়েদের কোথায় নিয়ে যাই না। ওদের নিয়ে আমাকে কম ঝামেলা পোহাতে হয় না। এতো দুষ্টু হয়েছে। ওদের দুষ্টুমির জন্য বিভা কোথাও গিয়ে শান্তিতে দুদন্ড বসতে পারে না। একেবারে বিচ্ছু বুঝলেন? ওদের সামলানোই মুশকিল।’

‘আহা, বাচ্চা পোলাপান একটু তো জ্বালাবেই। ওদেরকে আম্মা দেখতে চান। কাল একবার বিভা সহ ছেলে মেয়েকে এনো সাথে করে।’

‘ঠিক আছে আনবো ভাবি!’

রিক্তা বিদায় দিলো শফিউল্লাহকে। শফিউল্লাহ্ যেতেই, মতিউর রহমান সবটা শেয়ার করলেন ভাইয়ের বলা সব কথা। রিক্তা কোনো কথা না বলে চলে গেলেন। স্ত্রীর অভিব্যাক্তি বুঝতে পারলো না মতিউর রহমান। তবে তিনি কিছুতেই মেয়েকে এখন বিয়ে দিতে চান না। কিন্তু তার বৃদ্ধ মায়ের ইচ্ছে টাও তিনি অগ্রাহ্য করতে পারবেন না।

নুরিশা পরীক্ষা শেষে মার্কেট গিয়ে একটা মাস্টার কালার শার্ট কিনে নিলো। সকালে তার ভুলের জন্য মানুষটার শার্ট ছিড়ে গেছে। এখন চারটে বাজে। এইচএসসির ফাইনাল পরীক্ষায় সে গোল্ডেন এ প্লাস পাবেই এভাবে বাকি পরীক্ষা ভালো হলে। ফিজিক্স নিয়ে টেনশান ছিলো তা এখন আর নেই। নুরিশা তাজফির বাড়ির সামনে রিকশা থামালো। চড়া রোদে মাথা ফেঁটে যাওয়ার জোগার। গরমে মনে হচ্ছে মাথার মগজ গলে যাবে।

বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে দেখলো বাড়ি থেকে ডক্টর বেরিয়ে যাচ্ছে। ডক্টর কেন তাজফি ভাইয়ের বাড়িতে? প্রশ্নটা মাথায় আসতেই সে আঁতকে উঠলো। সকালেই তো সে দেখলো তাজফি সুস্থ। তাজফি ছাড়া তো আর কেউ নেই এই বাড়িতে! তার মানে তাজফির ই কিছু হয়েছে।

রকি ডক্টরকে এগিয়ে দিয়ে আসার সময় দেখলো নুরিশা দাঁড়িয়ে আছে।

‘আপা, আপনে কেডা?’

নুরিশা চমকে উঠে তাকালো রকির দিকে। শুষ্ক ঠোঁট জোড়া ভিজিয়ে বললো,’আপনি কে? তাজফি ভাইয়ার বাসায় কি করছেন?’

‘ওও আপনে তাজফি ভাইয়ের লগে দেখা করবার আইছেন? ভাইয়ের তো ম্যালা জ্বর। জ্বরে কাহিল হয়ে বিছানায় পড়ছে।’

নুরিশা অপেক্ষা করেনি। কথাটা কর্ণপাত হতেই সে দৌঁড়ে তাজফির রুমে ঢুকলো। রকি নুরিশার উৎকন্ঠা দেখেই বুঝে নিলো সবটা। তার আর এখন এখানে কাজ নেই। খানিক পর আসা যাবে না হয়। আপাতত ডক্টর এর প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ আনতে যাওয়া যায়। সে চলে গেলো।

নুরিশার পদধ্বনিতে তাজফি চোখ পিটপিটিয়ে চাইলো। তাজফি ঝাঁপসা চোখে দেখলো নুরিশা দাঁড়িয়ে আছে তার সামনে। সে কাঁদছে। তার ফর্সা টসটসে গাল বেয়ে টপটপ করে অশ্রুকনারা ঝড়ে পড়ছে। নুরিশা তার জন্য কাঁদছে? এটাও হয় নাকি? সে ধরেই নিলো প্রথমবারের মতো এবারেও সে স্বপ্ন দেখছে। সে বিড়বিড়িয়ে আওড়ালো,

‘আমি আর নিজেকে ধোঁকা দেবো না। তুমি চলে যাও বালিকা। কেন বার বার আমার কল্পনায় এসে আমাকে পোঁড়াচ্ছো? ধরা দিয়েও ধরা দাও না। এই যাতনা যে সহে না। ছুঁতে চাইছি, পারছি না। তুমি তো বাস্তবে কখনোই আমার কাছে ধরা দেবে না! তবে কল্পনায় কেন জ্বালাচ্ছো?’

‘কি বলছেন তাজফি ভাই? বুঝতে পারছি না। এতো কথা বলবেন না। চুপ করে শুয়ে থাকুন। আপনি অসুস্থ!’

তাজফি চোখ বন্ধ করলো। নুরিশার চোখে পানি। সে ঘোলাটে চোখে অস্পষ্ট দেখছে। ব্যাগ রেখে তাজফির ঘর থেকে একটা স্টিলের বাটি পেলো। ঘরে তেমন আসবাবপত্র নেই৷ একটা কড়াই আর একটা হাড়ি। পাশেই গ্যাসের সিলিন্ডার। একটা জগ আর একটা গ্লাস। দুটো প্লেট আর একটা স্টিলের বাটি। সে বাটি ভর্তি করে পানি নিয়ে এলো বাইরের কল থেকে। ততক্ষণে আকাশ মেঘলা হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ আগেও কাঠফাটা রোদের দরুণ বাইরে বেরোনো দায় হয়ে যাচ্ছিলো। তাজফিকে এই অবস্থায় রেখে যেতেও মন সাই দিচ্ছে না। মানুষটার জ্বরে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। এমন জ্বরাক্রান্ত মানুষকে রেখে সে কিভাবে যাবে? যা হবার হবে। এখনো তো বৃষ্টি আসেনি। আগে বৃষ্টি আসুক। পরের টা পরে দেখা যাবে।

নুরিশা পানি রেখে তার ব্যাগ থেকে রুমাল বের করে ভিজিয়ে জল পট্টি দিতে লাগলো। ঘন্টা খানেক জলপট্টি দেওয়ার পর তাজফির জ্বর কমছে না। সে বার বার চেক করছিলো। তখনও তাজফি গোঙাচ্ছে। এই গরমেও থরথর করে কাঁপছে তার শরীর। এতো সহজে জ্বর নামবে বলে মনে হচ্ছে না। আশেপাশে চোখ বুলিয়ে কাথা খুঁজলো নুরিশা। রুমে একটা আলনা ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়লো না।

‘এই যে শুনছেন? আপনার ঘরে কি কোনো কাথা নেই?’

‘কে?’ তাজফির কাতর কন্ঠঃস্বর।

‘আমি নুরিশা! বলুন কাথা কোথায় রেখেছেন!’

‘তুমি কল্পনায় কাথা চাইছো? আজব তো!’

‘কল্পনা মানে? আপনি কল্পনায় আমাকে দেখেন?’

‘ও কি কথা, কল্পনায় দেখি কল্পনার কথা বলছো তুমি!’

‘এটা কল্পনা না তাজফি ভাই। আমি সত্যিই এসেছি। সকালে আমার জন্য আপনার শার্টটা ছিড়ে গেছিলো। তাই একটা শার্ট কিনে এনেছি আপনাকে দেবো বলে!’

‘তুমি সত্যিই এসেছো?’ জ্বরের শরীরেও খানিকটা ঝাঁপিয়ে উঠলো তাজফি। তার চোখ বন্ধ ছিলো। আলতো করে খুলে দেখলো নুরিশা বসে আছে তার সামনে। তাজফি স্বপ্ন না বাস্তব পরখ করতে বললো,

‘তোমায় একটু ছোঁবো বালিকা?’

নুরিশা তাকালো তাজফির দিকে। মানুষটার এলোমেলো, উস্কোখুশকো চুল। শুষ্ক লাল খয়েরি ঠোঁট, অসুস্থতায় পুরো মুখ জুড়ে মলিনতা ছেঁয়ে আছে।

বিশ্বাস করাতে নুরিশা নিজেই তাজফির হাত নিয়ে নিজের গাল ছোঁয়ালো। তাজফি চমকে উঠলো আবারও। সে এবারে বিশ্বাস করলো সত্যিই নুরিশা এসেছে। বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর তাজফির নিঃশ্বাসের গতি বেড়ে যাচ্ছে। সে উঠে দাঁড়ালো। জ্বর থাকলেও এখন তার শরীর টা একটু হলেও ভালো। সে অন্য দিকে ফিরে বললো,

‘বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। এখন কইটা বাজে? তুমি বাসায় যাও বালিকা। এখন মনে হচ্ছে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। বাড়ির সবাই চিন্তা করবে। কাল তোমার পরীক্ষা!’

‘কাল আমার পরীক্ষা নেই, কাল শুক্রবার। ‘

‘ওও মনে ছিলো না। তুমি এখন আর থেকো না চলে যাও। আমি ঠিক আছি।’

তাজফি দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললো, ‘তুমি আসো, আমি তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসি। এখানে তোমাকে কেউ দেখলে লোকে খারাপ বলবে। এটা তুমি কি করেছো হ্যাঁ? সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে বাড়ি যাওনি। তোমার আর একটা সেকেন্ডও থাকা ঠিক হবে না!’

‘আপনার জ্বর তাজফি ভাই, কি বলছেন এসব? এই অবস্থায় আমি আপনাকে ফেলে চলে যাবো?’

‘যাবে না কেন? এর আগেও আমার এমন অনেকবার জ্বর হয়েছে। বাবা মা নেই, একা মানুষ। নিজের অসুস্থতা নিজেকেই ছাড়াতে হয়। এসব কিছু হয় না আমাদের। তোমার মতো ননীর পুতুল না আমি বালিকা!’

নুরিশার কাঁন্না পেলো। এইভাবে কথা কেন বলছে লোকটা? কোথায় তার সেবা করার জন্য ধন্যবাদ দেবে তা না উল্টো চড়া গলায় কথা বলছে?

‘যাও বালিকা। আর এক মুহুর্তও না।’

নুরিশা তাজফির সামনে গিয়ে দরজা আগলে দাঁড়িয়ে পড়লো। তাজফি নুরিশার কর্মকান্ডে তাজ্জব হয়ে গেলো।

‘এই মেয়ে এই, কি করছো তুমি? দরজা আগলে দাঁড়ালে কেন?’

নুরিশা মুচকি হেসে গেয়ে উঠলো,

”টিপ বোঝে না কেমন পাগল লোক,
তাকে রাত পাহারা দেই যে
আমার চৌকিদারের চোখ
ওহোহো টিপ বোঝে না কেমন বাপু লোক,

হায় সয়না সয়না সয়না ওগো
সয়না এতো জ্বালা
ঘরেতে রয়না আমার এ মন
রয়না কেন রয়না রয়না

ময়না বলো তুমি কৃষ্ণ রাধে
তাকে মন দিতে যে চায়
কেমন বাঁধে….”

নুরিশার গান থামতেই ঠাস করে চড় বসিয়ে দিলো তাজফি। নুরিশা গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে রইলো। কাঁদো কাঁদো স্বরে বললো,

‘আমি যাবো না এখন। আপনি অসুস্থ যান শুয়ে পড়ুন! আমি আপনার মাথায় পানি ঢালবো।’

‘আরেকটা থাপ্পড় খাবে তুমি? ভালো ভাবে বলছি জেদ করো না। তুমি না গেলে অনেক বড় অঘটন ঘটবে। আমি নিজের যত্ন নিজেই করতে পারবো। যাও এক্ষুনি!’

নুরিশাকে অনড় দেখে তাজফি গায়ের শক্তি দিয়ে নুরিশাকে বাইরে বের করে দিলো। দরজা আটকে দিতেই নুরিশা দরজায় ঠকঠক করলো। বৃষ্টির পানিতে নুরিশা ভিজে যাচ্ছে।

‘তাজফি ভাই, আমার ব্যাগ আপনার রুমে। ব্যাগটা দিন!’

নুরিশার কথা শুনে তাজফি ব্যাগ হাতে দরজা খুললো। কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে দরজা আটকে দিলো নুরিশা। তাজফি কিছু বুঝে উঠার আগেই নুরিশা ঝাঁপিয়ে পড়লো তার বুকে৷ এরপর যা ঘটলো তা ছিলো কল্পনাতীত,অভাবনীয়।

তখনো বৃষ্টি হচ্ছে, মাঝে মধ্যে মেঘ গর্জে উঠছে আকাশ চিড়ে। নুরিশার হাসি, হাসি, লজ্জারাঙা মুখ। সাতটার দিকে নুরিশাকে বাড়ি নামিয়ে দিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই চলে গেলো তাজফি। তখনো ধুম বৃষ্টি। বৃষ্টি থামার নাম নেই। আজ সে বিশাল একটা ভুল করে বসেছে। সে কি করে করলো এই নোংরা কাজ? নুরিশা তো বাচ্চা একটা মেয়ে। বোঝে না। সবে কিশোরীতে পরিণত হয়েছে সে। আর সে সবটা বুঝেও এমন ভুল কিভাবে করতে পারলো? বাসায় পৌঁছে দেখলো কারেন্ট নেই। সে মোমবাতি জ্বালালো। মোমবাতির আলোয় স্পষ্ট দেখলো বিছানায় র’ক্তে’র দাগ! ধপ করে বসে পড়লো তাজফি। রাগের বশবর্তী হয়ে হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হারিয়ে সে ব্লেড দিয়ে, হাতে জোরে জোরে ফেসাতে লাগলো। এই ভুলের ক্ষমা হয় না। কোনো ভাবেই এই ভুলের ক্ষমা হয় না৷ কি করে করলো সে এইরকমটা? কি করে সাই দিলো এই বাচ্চা মেয়েটার সঙ্গে? সে কেন বাঁধা দিলো না! এসব ভাবতে ভাবতে হাতের অতিরক্তি রক্তক্ষরণে সে জ্ঞান হারালো। হাত চুইয়ে চুইয়ে র’ক্তে’র ফোঁটা পরতে লাগলো মাটিতে।

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে