#সুপ্ত_অনুভূতি🍂♥️
#পর্ব_১২
#Writer_Nusrat_Jahan_Sara
আদিল ভাইয়া শপিংয়ে না গিয়ে আমাকে নিয়ে সোজা বাসায় চলে এলো৷আমি গাড়ি থেকে নেমে ভাইয়ার দিকে না তাকিয়েই দৌড়ে নিজের রুমে চলে এলাম৷ এরপর ভাইয়ার দিকে তাকালেও আমার লজ্জা লাগবে৷ আজকের কথা যতবারই মনে হচ্ছে ততবারই ব্লাশিং হচ্ছি৷ দরজা বন্ধ করে শুয়ে পরলাম৷ আজ আর ওত সহজে ভাইয়ার সামনে যাবোনা বাবা৷
🍁🍁🍁
আদিল নিজেকে আয়নায় দেখছে আর মিটিয়েমিটিয়ে হাসছে৷ সে ভাবতেই পারছেনা আরুহি ওকে এতো তারাতাড়ি মনের কথা বলে দিবে৷
মনের সুখে শাওয়ার সেরে ছাঁদে গেলো৷ আজ সে তার অনুভূতি প্রকৃতির সাথে শেয়ার করবে৷
ছাঁদের রেলিঙে পিঠ টেকিয়ে চারপাশ দেখছে আদিল৷ আর আজকের কথা মনে হলেই মাঝেমধ্যে মুচকি হাসছে৷
🍁🍁🍁🍁
রাতে বসে বসে কাসেম বিন আবুবাকারের প্রেম ও বিরহ উপন্যাসটা পড়ছিলাম৷ কোথা থেকে আদিব ভাইয়া দৌড়ে এসে বললো,বিনোদন দেখবি চল৷
“বিনোদন, কিসের বিনোদন?
.
চল গেলেই দেখতে পাড়বি৷
.
আমি উপন্যাসটা রেখে আদিব ভাইয়ার পিছু পিছু গেলাম৷ ভাইয়া সোজা আদনান ভাইয়ার রুমে ঢুকলো৷ আমি গিয়ে যা দেখলাম তাতে ৪৪০ ভোল্টের শক না খেয়ে পাড়লাম না৷ আদনান ভাইয়া আর আহিল ভাইয়া আয়েশা আপু আর অদ্রিতা আপুর থ্রি_পিস পড়ে নাচতেছে৷
আদনানঃওহো ইস্কমে দিলবার দেদিনা,দেদিনা মাই দেদিনা৷
.
আদিবঃও আল্লাগো এই পাগল দুইটায় এসব কী উল্টা পাল্টা গান গাইছে৷
.
আহিলঃজানে মন দুই জীবন
.
আরুহিঃ হিন্দির মাঝে বাংলা কোথা থেকে আসলো৷ তাও তুই জীবন না দুই জীবন হাহাহা৷
.
আদনানঃমে ইতনি সুন্দর হুমে কিয়া কারু কারু কারু কারু৷
সামান্তার হাসির আওয়াজ পেয়ে পাশে তাকাতেই দেখলাম সে দরজার চিপায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিডিও করছে আর হাসছে৷ সে ভিডিওগুলো রিংকিকে দিবে৷
ভাইয়ারা ইচ্ছামতো নেচে তারপর থামল৷ তারাতাড়ি করে ড্রেস খুলে ফেললো৷ আহিলের চোখ গেলো আদনানের ড্রেসের দিকে৷ বেচারা নাচতে নাচতে ড্রেসের সেলাই ছুটিয়ে ফেলসে৷
আহিলঃভাইয়া ড্রেসের সেলাইতো ছুটে গেসে এখন কী করবা৷ অদ্রিতা আপুর যে রাগ তোমাকে বিনা মশলাতেই কাচা চিবিয়ে খাবে৷
.
আদনানঃপ্লিজ ভয় দেখাস না৷ রুহি প্লিজ বোন আমার ড্রেসটা সেলাই করে দে৷
.
আরুহিঃআমি কেনো দিবো তোমার উড বি ওয়াইফাই আছেতো তাকে বলো৷
.
সামান্তাঃআমি পারবোনা আমি গেলাম৷ নাচার সময় খেয়াল ছিলোনা হুহ৷
.
আরুহিঃআমিও গেলাম৷
.
আদনান না পেড়ে শেষে একটা সুই সুতা নিয়ে বসলো৷ তারমধ্যে আবার গোল্ডেন কালার ড্রেসের সাথে কালো সুতা দিয়ে সেলাই করছে৷ ইয়া বড় বড় সেলাই৷
সেলাই করে আবার আগের জায়গায় রেখে দিয়েছে৷
🍁🍁🍁
আদনান ভাইয়ার রুম থেকে আসার সময় আদিল ভাইয়ার সাথে চোখাচোখি হয়ে গেলো আমার৷ আমি ভাইয়ার পাশ কেটে যেতেই ভাইয়া আমার হাত ধরে টেনে উনার সামনে দাঁড় করালেন৷
“কী সমস্যা তোর৷
.
কোনো সমস্যা নেই৷
.
তাহলে কেনো ইগনোর করছিস আমায়৷
.
কই ইগনোর করছি৷
.
চল আমার সাথে৷
আদিল ভাইয়া আমাকে নিয়ে ছাঁদে গেলেন৷ আকাশে আজ খুব বড় চাঁদ উঠেছে৷
রুহি দেখ কী সুন্দর চাঁদ৷ আমার খুব শখ ছিলো তোকে নিয়ে ছাঁদে বসে চাঁদ দেখবো আর গল্প করবো৷আজ আমার নিজেকে খুব হাল্কা লাগছে৷
.
কেনো??
.
কারন আমি এখন তোর মনের খবর জানি৷
.
কিন্তু আমিতো জানিনা৷
.
কথাটা বলার সাথে সাথেই আদিল ভাইয়া আমার সামনে হাটু ভেঙে বসে পরলো৷ তারপর আমার একটা হাত ধরে বলতে শুরু করলো,,
আজ এই চাঁদ এই প্রকৃতি শাক্ষী থাকবে তোর আমার ভালোবাসার৷ সমস্ত কিছুকে শাক্ষী রেখে আজ আমি বলছি আমি তোকে ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি৷ হৃদয়ের সমস্তটুকু দিয়ে ভালোবেসে যাবো তোকে যতদিন বাঁচবো৷ সবসময় ছায়ার মতো পাশে থাকবে৷ কিন্তু আমি একা থাকলেইতো আর হবেনা তোকে ওতো আমার পাশে থাকতে হবে৷ কী থাকবি তো৷
আমি ভাইয়ার কথা শুনে মাথা নাড়ালাম যে আমি উনার পাশে থাকবো৷
ভাইয়া আমার হাতে একটা চুমো দিয়ে উঠে দাঁড়ালো৷ ছাঁদের কোনায় টবে রাখা ফুল গাছ থেকে একটা কাঠ গোলাপ এনে আমার কানের পাশে গুজে দিলো৷ তারপর মুচকি হেসে আমাকে ইশারা করলেন আমি যাতে চাঁদের দিকে তাকাই৷আমিও ভাইয়ার ইশারা অনুসরন করে চাঁদের দিকে তাকালাম৷ আসলেই খুব সুন্দর লাগছে আজকের চাঁদটা৷ মনে হচ্ছে আজকে আমাদের দুজনকে আলোকিত করার জন্যই চাঁদটা উদিত হয়েছে৷ আমি আর ভাইয়া আরও কিছুক্ষণ ছাদে থেকে রুমে চলে এলাম৷ কাল থেকে আবার মেহমান আসা শুরু হবে৷
🍁🍁🍁🍁
সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি আদিব ভাইয়া আর সামু বসে বসে টিভি দেখছি৷ টিভিতে তখন জীবন সাথী সিরিয়াল চলছে৷
আদিবঃট্রাস্ট মি৷ আমার কপালে যে থাকবে আমি থাকেই বিয়ে করবো৷
.
আদিব ভাইয়ার কথা শুনে আমি আর সামু ফিক করে হেসে ফেললাম৷
আরুহিঃভাইয়া তোমার কপালে যে আছে থাকেইতো তোমায় বিয়ে করতে হবে৷ মানে কোন না কোন ভাবে বিয়ে হবেই হবে৷
.
সামান্তাঃএক্সাক্টলি৷ আর তোমার বাম পাঁজরের হাড় দিয়েই আল্লাহ্ তায়ালা তোমার জীবন সাথীকে সৃষ্টি করেছে৷
.
আদিবঃহয়েছে হয়েছে জানি আমি৷
হঠাৎই আদিবের চোখ পড়লো একটা মেয়ের দিকে৷ মেয়েটি বাসার চারিদিক দেখছে আর হাঁটছে৷ হাতে আাবার বড় ব্যাগও রয়েছে৷
“স্টপ৷”
আদিব ভাইয়ার কথা শুনে আমি আর সামু দুজনেই তাকালাম৷ একি এটাতো শপিংয়ের মেয়েটা যে ভাইয়ার সাথে ঝগড়া করছিলো৷ এ এখানে কী করছে৷
আদিবঃএক্সকিউজ মি৷ এখানে কী চাই৷ এটা আমার বাসা পাবনার পাগলাগারদ নয়৷
.
আদিব ও আমার বন্ধুর মেয়ে৷ ভদ্র ভাবে কথা বলো৷
.
শুনলেন আপনি কী যেনো নাম আপনার ওহ হ্যাঁ মনে পরেছে আদিব৷ মিষ্টার আদিব ভদ্র ভাবে কথা বলবেন আমার সাথে৷ বাই দ্যা ওয়ে আমার রুমটা কোনদিকে একটু বলবেন প্লিজ৷ আমি অনেক টায়ার্ড৷
.
হ্যাঁ নিশ্চয়৷ কিচেনের পাশের রুমটা আপনার জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে মিস ফারিহা৷
.
ওয়াও কি কিউট আমার নামটাও আপনার মনে আছে দেখছি৷ প্লিজ হ্যান্ডসাম আমার অরিজিনাল রুমটা দেখিয়ে দিন৷
.
ফারিহার কথা শুনে আদিব ভাইয়া আগুন ছাড়াই মমের মতো গলে গেছে৷
.
হ্যাঁ হ্যাঁ নিশ্চয় আসুন আসুন আমি দেখিয়ে দিচ্ছি আপনার রুম৷ আপনার মতো মেহমান আসাতো আমার জন্য ভাগ্যের ব্যাপার৷ দিন আপনার ব্যাগটা দিন আমি রুমে দিয়ে আসি৷
চলবে♥️
#সুপ্ত_অনুভূতি🍂♥️
#পর্ব_১৩
#Writer_Nusrat_Jahan_Sara
আদিব ভাইয়া ফারিহাকে নিয়ে উপরে চলে গেলো রুম দেখাবে বলে৷ আমি আর সামু এদের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে টিভি দেখায় মনোযোগ দিলাম৷ আদনান ভাইয়াও কোথা থেকে ড্যাংড্যাং করে বাসায় ঢুকছে৷
৮ম সিড়ি বা ৯ম সিড়িতে পা দিয়েছে কী না সন্দেহ ঠিক তখুুনি অদ্রি আপুর বাড়ি কাঁপানো চিৎকার কানে এলো৷ আদনান ভাইয়া আর উপরের সিড়িতে পা না রেখে আরও দুই সিড়ি নিচে নেমে এলো৷
আরুহিঃকাম সারছে রে৷
.
আদনান ভাইয়া আমার আর সামুর দিকে অসহায় দৃষ্টি নিয়ে তাকালো৷ আমি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে ভাইয়ার পাশ কেটে উপরে চলে গেলাম৷
অদ্রি আপু সাপের মতো ফুসফুস করে আমার দিকেই এগিয়ে আসছে৷ হাতে আবার ড্রেসটাও আছে৷ ড্রেসটা দেখেই আমার হাসি উঠে গেলো৷
অদ্রিতাঃরুহি আমার ড্রেসের এই অবস্থা কী করে হলো৷ কাল খালি ড্রেসটা কিনে এনেছি৷
.
আরুহিঃআমি কী করে জানবো আপু৷ আমি বা সামু কেউ ওইতো তোমাদের ড্রেস পড়িনা৷
.
অদ্রিতাঃদেখ আমার ড্রেসের কী অবস্থা৷ সেলাই ছুটে গেসে আবার কালো সুতা দিয়ে সেলাইও করা আছে৷
.
আরুহিঃএকি আপু তোমার ড্রেস থেকেতো ছেলেদের শরীরের স্মেল আসছে৷
.
অদ্রিতাঃকী তার মানে আমার ড্রেস কোনো ছেলে পড়েছে৷ কিন্তু কে সে??
.
সামান্তাঃআমি জানি সে কে৷
সামান্তা তার ফোন থেকে আহিল আর আদনান ভাইয়ার পাগলের মতো নাচাটা প্লে করলো৷
আপু ভিডিওটা দেখে আধা পাগলের মতো আদনান ভাইয়ার দিকে এগিয়ে গিয়ে তার মুখের উপরে ড্রেসটা ছুঁড়ে মারলো৷
অদ্রিতাঃআদনান!!!!!!কালকের মধ্যে সেম ড্রেস চাই আমার৷ আর যদি না পাই তাহলে তোর সব শার্ট প্যান্টে আগুন ধরিয়ে দিবো বলে দিলাম৷
.
আদনানঃআচ্ছা৷ যাইহোক ড্রেসটা যখন আমারই এখন তাহলে আরেকটু ইচ্ছে মতো নেচে নেই৷ আদনান টি-শার্টের উপরেই ড্রেসটা পড়ে নিলো৷গলায় আবার রেলিঙে রাখা ওরনাও লাগিয়েছে৷ ৷
আদনানঃওহো ডিংকা চিকা, ডুংকা চিকা,ডোংকো চিকা রে লা লা লাা
“ওহো দিদি তেরা ননদ দিবানা৷ ইন্নি সনি কিউ, লাগ্গে তু মেনু, মে তেরি হগায়ি হজা মেরি তো৷ সারি সারি রাত কারদিয়া ফারিয়া লাগদিয়া কুরিয়াবে হটি৷
আদনান ভাইয়ার আবুল মার্কা গান শুনে অদ্রি আপু যা রাগ করেছিলো সেটা এক নিমিষেই উধাও৷
আদনানঃদিলবার দিলবার হো দুলবার দুলবার৷ সাকি সাকু রে সাকি সাকু৷ ও সারাপি কে সারাপি
.
সবাইঃহাহাহাহা৷
.
“আদনান৷”
হঠাৎ বড় আব্বুর কন্ঠ শুনে চমকে উঠলাম আমরা৷ তিনি ভ্রু কুচকে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছেন৷ কিন্তু ভাইয়ার সেদিকে মন নেই সে-তো নাচতে আর গাইতে মন দিয়েছে৷
আনানঃওহ জারা জারা টাচ মি,টাচ মি৷
.
বড় আব্বু ভাইয়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে মাথা নাড়িয়ে চলে গেলেন৷
ফারিহা নিজের রুম থেকে বেড়িয়ে এসে আদনানের অবস্থা দেখে ফিক করে হেসে দিলো৷ সে আদিব ভাইয়ার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো৷
ফারিহাঃআমার কী মনে হয় মিষ্টার আদিব,পাবনায় পাগলাগারদ না হয়ে আপনাদের বাড়িতে হলে খুব ভালো হতো৷ আমাকে তে পাগল বলেছিলেন তাহলে আপনার ভাইয়ের এই অবস্থা কেনো৷ হাহাহাহাহাা
.
আদিবঃএই যে আমার ভাই ড্যান্স করছে বুঝেছেন৷ এটা আনকমন ড্যান্স যা সবাই পাড়েনা৷ আমার ভাইয়া যদি ইন্ডিয়া বেষ্ট ড্যান্সারে নাম দিতোনা তাহলে সেখানের বিচারক নোরা ফাতেহিকেও হার মানিয়ে আসতো৷
.
ফারিহাঃঠিক বলেছেন আপনার ভাইয়া তো নোরা ফাতেহির আল্ট্রা প্রো ম্যাক্স৷
.
আদিবঃহুম আমিও ড্যান্স জানি মাধুরীও আমার সাথে ড্যান্সে পারবেনা৷
.
ফারিহাঃরাইট পারবে নাইতো৷ আপনারা যে পাগলের মতো ড্যান্স করেন সেভাবে যদি ওরা ড্যান্স করে তাহলে এদের প্রেস্টিজের বারোটা বাজবে৷
.
আদিবঃহুহ
.
আদনানঃবরবাদ হয়েছি আমি তর অপেক্ষায়
.
সামান্তাঃআচ্ছা৷
.
ভাইয়া আরও কতোক্ষন নেচে তারপর থামল৷
আদনানঃএকি আমি এতো সুন্দর ফ্রিতে পারফরম্যান্স দেখালাম অথচ তোমরা কেউ হাত তালি দিচ্ছোনা কেনো৷
.
অদ্রিতাঃভাই তোর নাচ দেখে যে আমরা অজ্ঞান হইনি সেটাই অনেক৷
🍁🍁🍁🍁🍁
ডিনারে সবাই উপস্থিত আছে শুধু আদিল ভাইয়া ছাড়া৷ রুমে দেখছিলাম তেখন ল্যাপটপে কী করছে হয়তো কাজ করছে৷ আমার পাশে তাকাতেই দেখলাম আদিল ভাইয়া আমার পাশে রাখা চেয়ারে বসে আছে৷ এটাই ফাকা ছিলো৷
“একি ভাইয়া কখন এলো৷”
আদিলঃযখন তুই ভাবনার রাজ্যে হারিয়ে গেছিলিস ঠিক তখন(ফিসফিসিয়ে)
.
আমি ভাইয়ার দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিলাম৷ আমি তো কথাটা মনে মনে বলেছিলাম ভাইয়া কীভাবে জানলো৷
বড় আব্বুঃঅদ্রিতার বিয়ে দিয়ে আমরা ঠিক করেছি আয়েশার বিয়েও দিয়ে দিবো৷ যেহেতু আমাদের বাসায় ছেলে মেয়েরা সব জোড়া জোড়া তাই ভাবছিলাম অদ্রিতার সাথে আয়েশার বিয়েও দিয়ে দিবো৷ কিন্তু আমাদের আয়েশার জন্য পছন্দ করে রাখা ছেলেটি এখনো বাহিরের কান্ট্রিতে আছে তাই ওদের একসাথে বিয়ে দিতে পারবোনা৷ তাতে কী আমাদের বাসায় তো আরও তিন জোড়া ছেলে মেয়ে৷ ওদের দু বোনের বিয়ে দিয়ে আমরা আদিল আর আদনানের একসাথে বিয়ে দিবো৷ আর আদিব আহিলের একসাথে সামান্তা,আরুহির একসাথে৷ আহিলের জন্য আমি মেয়ে দেখেছি৷ আই হোপ আহিলের মেয়েটাকে বিয়ে করতে কোনো আপত্তি হবেনা৷
.
কথাটা শুনে আহিল তার সামনে রাখা প্লেট হাত দিয়ে টেলে দূরে সরিয়ে দিলো৷
আহিলঃএসব কথা উঠছে কোথা থেকে আর আদিল ভাইয়া আর আদনান ভাইয়া ওরা আমার বড় ভাই এদের এখনো বিয়ে হয়নি৷আর তুমি আমার জন্য মেয়ে দেখছো৷ আমি করতে পারবো না বিয়ে৷
কথাটা বলে আহিল খাবার না খেয়ে চলে গেলো৷
বড় মাঃছেলেটার কী হলো বলতো না খেয়ে চলে গেলো৷ আর এমন রিয়েক্টই বা কেনো করছে৷
.
বাবাঃআর এইযে বাকি তিনজন তোমাদের আপত্তি নেইতো৷
.
আদিলঃআসলে বাবা আমরা বিয়ে করতে পারবোনা আমরা চারজনেরই মেয়ে পছন্দ করে রাখা আছে৷
.
ফারিহার দিকে তাকিয়ে দেখলাম সে অবাক দৃষ্টি নিয়ে আদিব ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছে৷
.
বড় আব্বুঃতোমরাতো দেখছি খুব শেয়ানা হয়ে গেছো৷ তোমাদের যা ইচ্ছা তাই করো৷ এখন আবার কিছু বললে সবাই খাবার রেখে চলে যাবে৷
🍁🍁🍁🍁
এক্সকিউজ মি, মিস্টার আদিব আপনি না বলেছিলেন আপনি সিংগেল৷ তাহলে আপনার ভাইযে ডাইনিংয়ে বসে বললো আপনাদের চারজনেরই পছন্দ করে রাখা মেয়ে আছে৷
আদিব নিজের রুমে যাচ্ছিলো পথে ফারিহার কথা শুনে থমকে গেলো সে৷
হ্যাঁ ঠিকইতো বলেছে৷
.
তাঁর মানে আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে৷
.
হ্যাঁ থাকাটাই স্বাভাবিক নয় কী??
.
তাহলে আমায় কেনো মিথ্যা বললেন৷
.
এমনি৷
.
“মিথ্যুক চুরেল কোথাকার৷ ”
ফারিহা ঝাড়া দিয়ে চলে গেলো৷
.
এ মেয়ের আবার কী হলো৷
🍁🍁🍁🍁
এদিকে ফারিহা এসে রুমে বসে কাঁদছে৷
ও আল্লাহ গো এ আমার কী সর্বনাশ হলো গো৷ এই আদিব বেটার ছবি আব্বুর ফোনে প্রথম দেখেই ক্রাশ খাইসিলাম৷ তারপর কাল শপিংয়ে দেখে ইচ্ছে করে বেটার সামনে গেলাম৷ এতো এতো কিছু করলাম কিন্তু এখন কী শুনছি আমি এই খবিশটার নাকি গার্লফ্রেন্ড আছে৷
চলবে♥️