#সাদা_মেঘের_আকাশ
(৩)
লেখক: হানিফ আহমেদ
পা’গলী মেয়েটা বুঝেছিল, সে পালিয়ে বেঁচে যাবে আমাদের থেকে। বলেছিল, আমরা যেন তাকে না খুঁজি। এখন তো পুলিশ খুঁজবে থাকে।
সাজেদা বেগম কথাটি বলে বিশ্রী হাসিতে মেতে উঠলেন।
আনিছুর রহমান সেই হাসি দেখছেন আর মনে মনে হাসছেন। তিনি নিজের স্ত্রীকে নিজের মতোই পাষাণ করতে পেরেছেন।
সাজেদার চোখে একটুও পানি নেই। আপন ছোট ভাইয়ের মৃ’ত্যুতে তার অন্তর একটুও ব্যথিত হয় নি।
পুলিশ যখন উনাকে প্রশ্ন করেছিল,
আপনার ভাইয়ের খু’ন কে করতে পারে? কাউকে কি সন্দেহ হয় আপনার?
পুলিশের এই প্রশ্নে কান্নার অভিনয় করে খুব সুন্দর ভাবে নিজের মেয়েকে খু’নী বানিয়ে দিয়েছেন। পুলিশ অফিসার তখন খুব অবাক হয়েছিল। মা হয়ে সন্তানকেই খু’নী বলে দাবি করে নিলো।
পুলিশ অফিসার হামিদুর রহমান। ১মাসও হয় নি এই থানায় এসেছেন। তিনি একজন সৎ অফিসার।
নাওশিন নিজেকে অনেকটাই স্বাভাবিক করে নিয়েছে। অনেক দিন ধরেই তো নিজের মামার সাথে সাক্ষাৎ বা দেখা নেই। এসব ভেবেই নিজেকে স্বাভাবিক করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে সে। নাওশিন ড্রয়িং রুমে যায়, সেখানে আদিব কে বসে থাকতে দেখে। সবাই হয়তো ঘুমিয়ে গিয়েছে। রাত প্রায় ১টা ছুঁই ছুঁই।
নাওশিন এসে আদিবের সামনে দাঁড়ায়। আদিবের চোখে এখনও পানি। নাওশিন কিছুতেই একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না। এরা তার মামাকে কেন বাবা বলল৷ কিছুতেই বিষয়টা বুঝতে পারছে না সে।
আদিব নাওশিনকে দেখে বসতে বলে পাশে, কিন্তু নাওশিন দাঁড়িয়ে থেকেই প্রশ্ন করল।
আপনি আমার একটি প্রশ্নের উত্তর দিবেন?
আদিব হুম বলল।
আমার মামা আপনাদের বাবা হন কীভাবে? আমার মামার তো দুই মেয়ে। তাহলে আপনারা আমার মামাকে তখন বাবা বললেন কেন?
নাওশিনের প্রশ্নে আদিব চুপ থাকলো। সে এখন কোনোভাবেই অতীত মনে করতে চাচ্ছে না। কষ্টে ভরা অতীত মনে করে কষ্টটা দিগুণ করতে কোনো ভাবেই চাচ্ছে না সে।
নাওশিন আবারও প্রশ্ন করে,
বলুন তো কিছু!
তোমার কী এখনই শোনা লাগবে নাওশিন?
নাওশিন মাথা নাড়িয়ে হুম বুঝায়।
আদিব দীর্ঘশ্বাস নেয়।
তোমার মামা খালেদ আহমেদ কীভাবে আমাদের বাবা হন সেটাই তো জানতে চাচ্ছো? তার আগে আরো কিছু কথা মন দিয়ে শুনতে হবে তোমায়। পারবে?
হুম খুব পারবো।
আদিব বলতে শুরু করে।
এই যে আমাদের সাত ভাইকে দেখছো তুমি। আসলে আমরা আপন ভাই না। আমার আপন ভাই হলো নিয়াজ নাবীল। বাকি পাঁচজন হলো আমার তিন চাচার সন্তান। আমার বাবা তাঁরা চার ভাই ছিলেন।
নাওশিন কথার মধ্যেই প্রশ্ন করে বসল,
তাহলে আমার মামাকে কেন বাবা ডাকলেন, বললেন আমার মামা আপনাদের বাবা।
আদিবের রাগ হলো কথার মাঝখানে কথা বলা দেখে। তবুও শান্ত ভাবেই বলল,
ধৈর্য নিয়ে শুনবে তো সব। তারপর না হয় কথা বলবে।
নাওশিন চুপ থাকলো।
চারজনের ঘরে আমরা অনেকগুলো ভাইবোন ছিলাম। কিন্তু এখন আমরা বেঁচে আছি মাত্র ৭জন। প্রশ্ন মনে জন্মেছে নিশ্চয়ই! মন দিয়ে শুনো।
এখন দিনগুলো কতো রঙিন তাই না? এখন ক্যালেন্ডার এর পাতায় ২০১৫ চলছে। কিন্তু আমি তোমায় যা বলবো, তা ঘটেছে ১৯৯৩সালে।
১৯৯৩ সালে আমার বয়স ছিলো ১০বছর। আমরা বেঁচে থাকা সাত ভাইয়ের মধ্যে একমাত্র আমারই মনে আছে বাবা মা, চাচা চাচীদের চেহারাটা। অন্যদের কিছু কিছু, ওরা সবাই তো আমার থেকেও ছোট।
আমি ১৯৯৩সালের সেই রাতটির কথা কোনোভাবেই ভুলতে পারি না। যেই রাত কেড়ে নিয়েছে আমার সব প্রিয় মানুষকে, সেই রাত আমি কেমনে ভুলিতে পারি।
গভীর রাতে যখন ১৫জন মানুষের একটি দল আমাদের চোখের সামনে এক এক করে আমাদের পরিবারের প্রতিটা সদস্যের শরীর থেকে মাথা আলাদা করছিল, সেই সব কথা আমি কীভাবে ভুলতে পারি।
আদিব কথাগুলো বলে চোখের পানি মুছে নিলো। নাওশিন মন দিয়ে শুনছে সব কথা। তার আগ্রহ বেড়েই যাচ্ছে। সাথে মনে একের পর এক প্রশ্ন আসা যাওয়া করছে।
আদিব আবারও বলতে শুরু করে।
ওরা ১৫জন আমার পরিবারের কাউকেই বাঁচিয়ে রাখেনি। আমার বড় চাচা যখন চিৎকার করে বলছিলেন। খালেদ তুই আমার বংশের একজন সন্তানকেও হলে বাঁচা। আমাদের বংশ যেন এভাবে থেমে না যায়। জানো নাওশিন আমার চাচার সেই কথাটি আজো আমার কানে বাজে। তোমার মামা আমাদের গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন। ছোট চাচার বন্ধু ছিলেন তোমার মামা। পড়ালেখা শেষ করে যখন কোনো চাকরি পাচ্ছিলেন না, তখন তোমার মামা চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত কোনো ছোট কাজ হলেও করবেন, তখন ছোট চাচা গাড়ির চালানোর কাজ দেন। তোমার মামা আমাদের পরিবারের একজন ছিলেন। সব সময় আমাদের বাসায় থাকতেন। আমরা তো তোমার মামার সাথে খেলতাম। হাসিখুশি একটি বিশাল পরিবারকে আমি সেই রাতে থেমে যেতে দেখেছি। ওই অন্ধকার রাত আসলে এখনো আমি ভয় পাই নাওশিন।
আমার বড় চাচার কথায় যখন তোমার মামা প্রথমে আমার হাত ধরেছিলেন, তখন দেখেছি আমার বাবা আমার মাকে ওদের হাত থেকে বাচাতে ঝাপিয়ে পড়তে ওদের উপর। তোমার মামা আমাকে গাড়িতে তোলার পূর্ব পর্যন্ত আমি দেখেছি আমার বাবার শরীর থেকে ঘা’তকের দলেরা খুব হিং’স্র ভাবে মাথা আলাদা করতে। সেদিন চিৎকার করেছি খুব। কিন্তু একটা মানুষও সাহায্য করতে আসে নি। কোনো মানুষ তাদের বাড়ির দরজা কেন, জানালাটা পর্যন্ত খুলেনি।
তোমার মামা আমাকে নিয়ে বাড়ির পিছনে একটি বাগানে লুকিয়েছিল, কারণ গাড়ির চাবি ছিলো না উনার কাছে। তোমার মামাকে ওরা আহত করেছিল খুব খা’রাপ ভাবে। আমার মুখ চেপে ধরে বসেছিলেন তিনি।
আদিবের কণ্ঠ বারবার ভেঙে আসছিল কথাগুলো বলার সময়। কিন্তু তবুও সে বলে যাচ্ছে।
নাওশিন কিছুটা প্রশ্নের উত্তর পেয়েছে। তবুও শেষ পর্যন্ত শোনার অপেক্ষা তার। নিজেকেই সবচে দুঃখী ভাবতো৷ চার দেয়াল থেকে মুক্ত হওয়ার পর তার থেকেও দুঃখী মানুষ আজ সে দেখতে পারছে।
আদিব অতীত মনে করে ক্লান্ত আজ। তবুও বলতে শুরু করে সে,
ফজরের আজান যখন পড়ে তখন ওরা এক এক করে সবাই নিজেদের ধারালো অ’স্ত্র হাতে নিয়ে বের হয়ে চলে যায়। তবে আমার বাবা চাচারাও ওদের র’ক্তাক্ত করেছিলেন। হয়তো লড়াই করে করেই একেকজন মৃ’ত্যুর বরণ করেছেন।
আমরা যখন বাসায় ঢুকলাম, তখন ভিতরে শুধু র’ক্ত আর র’ক্ত ছিলো৷ তোমার মামাকে দেখেছি পা’গলের মতো একটি লা’শের পর অন্য লা’শ দেখতে। কিন্তু কাউকেই বেঁচে থাকতে দেখিনি। কারো শরীর থেকে মাথা আলাদা, কারো শরীর ক্ষ’তবিক্ষত। তবে আমার চাচাদের রুমে বিছানার নিচে এক এক করে পিচ্চি মিফতা, জাহেদ, সামিন, রবিন এবং ৯মাসের সাইফকে পাই আমি আর তোমার মামা। নিয়াজ আমার বড় আপুর সাথে থাকতো, আপুকে ছাড়া কিছুই বুঝতো না। তাকেও আমার আপু বিছানার নিচে রেখে দেয়। তাকেও বিছানার নিচে পাই। কিন্তু আমার আপুকে ক্ষ’তবিক্ষত লাশ হিসেবে পাই।
এই আমরা সাত ভাই আজো বেঁচে আছি। আমার চাচিগুলো এবং আমার আপুর মনের কেমন মিল দেখো। ওরা একই কাজ করেছে তাই আমার এই ছয় ভাই বেঁচে আছে এখনও।
একটি নির্মম গণহ’ত্যা করে ঘা’তকের দল। যেই রাতে রাতের প্রথম ভাগে আমরা সবাই কতো হাসিখুশিই না ছিলাম। সেই রাতের শেষের অংশে পরিবারের ১৭জন মানুষকে হারালাম আমরা। বড় চাচার ৫ছেলের মধ্যে শুধু মিফতাই বেঁচে আছে। এভাবে আমরা হারাই আমাদের বাবা মা সহ ৯ভাই বোনকে।
মানুষ কতোটা নি’ষ্ঠুর হলে একটি পরিবারের সবাইকে মে’রে ফেলে। সেই প্রশ্ন উত্তর আমি আজো পাইনি। আমি এখনও মাঝেমধ্যে রাতে স্বপ্নে দেখি সেই রাত। ঘুম ভেঙে যায়, সারা রাত কাটাতে হয় তখন নির্ঘুমে।
আদিব কথা বলে থামে। গাল গড়িয়ে পানি পড়ছে। ঠোঁট কাঁপছে তার। হয়তো শব্দ করে কান্না করতে চাচ্ছে সে। কিন্তু কান্না থামানোর শত চেষ্টা করে যাচ্ছে আদিব।
নাওশিন নিজের কষ্টের কথা ভাবলো। উঁহু তার কষ্ট তো কিছুই না। এই কষ্ট একবারেই তুচ্ছ। মানুষ কতো কষ্ট নিয়েই বেঁচে আছে। একটি পরিবারের ১৭জন মানুষকে একই রাতে খু’ন করা হয়েছে। এই কষ্ট তো পাহাড় সমান। পরিবারটা কতোই না সুখে ছিলো। সবাই যৌথ ভাবে থাকতো। তাদের মধ্যে কতোই না ভালোবাসা ছিলো।
পৃথিবী আজ ভালো থাকতো, যদি কিছু জঘ’ণ্য মানুষ না থাকতো।
নাওশিন এখন আর কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস পাচ্ছে না। সে তার মামার মৃ’ত্যুতে যে কষ্ট পেয়েছে, তা এখন অতি সামান্য লাগছে তার কাছে।
নাওশিন চুপ করে আছে। আদিব আবারও বলতে শুরু করে।
তোমার মামা আমাদের সাতজনকে নিজের সন্তানের মতো মানুষ করবেন। কিন্তু আমার পরিবারের সবাইকে মাটি দেওয়ার পর, পুলিশ আমাদের অনাথ আশ্রমে পাঠাবে, আমাদের কেউ নাই। এটাই তাদের বক্তব্য ছিলো। নয় মাসের সাইফ যে ছোট চাচার একমাত্র সন্তান, তাকে এক পুলিশ কনস্টেবল নিবে। অথচ আমাদের পরিবারের সবার মৃত্যুর দুইদিন হয়েছিল। আমাদের পরিবারের লা’শ কাঁধে নেওয়ার মতো আপন কেউ ছিলো না। এতোটাই গণহ’ত্যা চালিয়েছিল ওরা।
কিন্তু তোমার মামা আমাদের নিজের কাছেই রাখবেন। এই সেই বাড়ি, যে বাড়িতে আমরা আমাদের সবাইকে হারিয়েছি। পিচ্চি ভাইগুলো মা বাবাকে না পেয়ে দিনের পর দিন কান্না করতো। তোমার মামা বিয়ে করেন। তোমার মামা আর মামি মিলে আমাদের সাত ভাইকে বড় করেন। বাচ্চা নিতে দেরি করেন তিনি, শুধু আমাদের বড় করতে, লালন পালন করতে অনিয়ম হবে, তাই। সাইফ যখন তোমার মামাকে আব্বা শব্দটি ডাকে, তারপর থেকে আমরাও তোমার মামাকে বাবা ডাকতে শুরু করি। সাইফ তার ১৩বছর বয়সে জানতে পেরেছিল তোমার মামা তার বাবা না আর তোমার মামি তার মা না। সেদিন থেকে তোমার মামিকে আন্টি ডাকলেও মামাকে আব্বা ডাক ছাড়তে পারেনি। এভাবেই তোমার মামা ছিলেন আমাদের বাবা।
তোমার মা’ও আমাদের ভালোবাসতেন৷ কিন্তু,,
আদিব থেমে যায়।
নাওশিন এখন বুঝতে পারে, তাকে কীভাবে সবাই চিনে। কিন্তু সে তো এদের এই প্রথম দেখেছে। এর পূর্বেও কখনো দেখেনি। দিনের পর দিন ছোটবেলায় মামার বাড়ি থেকেছে সে। কিন্তু এদের কাউকেই তো সেখানে দেখেনি। কোনো ভাবেই মনে করতে পারলো না। সে কোথায় এদের কাউকেই দেখেনি। কিন্তু ওরা তাকে কতো ভালোভাবেই না চিনে।
নাওশিন সব শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে আছে। কিছুই বলতে পারছে না সে।
এই পৃথিবী কতোই না সুন্দর। কিন্তু কিছু কারণে পৃথিবী হয়ে উঠে কারো কাছে খুবই অসহ্যকর।
নাওশিনের জানতে ইচ্ছে হয় এতোটা মানুষকে কেন মে’রেছে। নিশ্চয় কোনো কারণ তো আছে।
যারা আপনাদের বাবা মাকে মে’রেছে। তারা কেন মে’রেছিল? নাকি তারা ডা’কাতের দল ছিলো?
নাওশিনের প্রশ্ন শুনে কিছুক্ষণ চুপ থাকে আদিব। তারপর বলল,
আমার বাবার গ্রাম সম্পর্কের চাচাতো ভাই ছিলো ওরা। খুব প্রভাবশালী ছিলো ওরা। ওদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে। বছরের পর বছর জমি নিয়ে মামলা, জোরপূর্বক ভাবে আমাদের জমি নিজেদের নামে করে নিতে চেয়েছিল। ওই জমি আমার দাদা ওদের বাবার থেকে কিনেছিলেন। কিন্তু ওরা সেটা নিজেদের বলেই দাবি করে, কাগজ সব ঠিক হওয়ার পরেও ওরা একই কাজ করে।
এই যে এখন দেখতে পারছো, একের পর এক বাসা আর বাসা। সেই সময় এইসব কিছু ছিলো জমি, এভাবে ঘনবসতি ছিলো না। যেই জমি নিয়ে ভেজাল চলছিল, সেই জমিতেই আমাদের পরিবারের ১৭জনকে কবর দেওয়া হয়। ওরা সেই জমি পায় নি, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আমাদের সবাইকে। হয়তো ভেবেছিল ওরা কোনো হ’ত্যাকাণ্ড চালালেই পেয়ে যাবে জমি। চালিয়েওছে। কিন্তু জমি পায়নি, সেই জমিতে ঠাঁই পেয়েছে কিছু লা’শ, আর তারাই হলো আমাদের প্রিয়জন।
ওদের কোনো শাস্তি হয় নি?
নাওশিনের প্রশ্ন শুনে হাসলো আদিব।
হ্যাঁ হয়েছে, তবে ২০০১ সালে ওদের দুইজনের ফাঁ’সি দিয়ে বুঝিয়েছে দেশে আইন আছে। কিন্তু অন্য সবাই খোলা আকাশের নিচে এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এইযে কালকে তোমার মামার পরিবারকে হ’ত্যা করা হয়েছে সেটা ওরাই করেছে। ওরা আরো একটি হ’ত্যা করেছে, সেটি তো,,
আদিব থেমে যায়। নাওশিন বুঝে উঠতে পারছে না। কি বলতে চাচ্ছিল মানুষটি। নাওশিন আর প্রশ্ন করেনি।
নাওশিনের খুব ঘুম পেয়েছে। নাওশিন ঘুমাবে।
আদিবকে ঘুমাবে বলে নিজের রুমে চলে যায়। তাকে একটি রুম দিয়েছে ওরা। সেই রুমে ঘুমাবে সে। কিছু রহস্যের সমাপ্তি হয়েছে। কিন্তু আসলেই কী রহস্যের সমাপ্তি হয়েছে? নাওশিন প্রশ্নের সাগরে ভেসে না যেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করল।
আদিব রুমে যায়, তারও ঘুম প্রয়োজন।
চলবে,,