সত্য ঘটনা অবলম্বনে | আমার অধিকার তুমি পর্ব :৬

0
3430

সত্য ঘটনা অবলম্বনে
আমার অধিকার তুমি
পর্ব :৬
লেখিকা: সুরভী শেখ

আপনিও ভালো থাকবেন ভাইয়া আল্লাহ হাফেজ।( মিতু)

এই শোন আমিও আসি রে দেরি হয়ে যাচ্ছে ভালো থাকিস কালকে দেখা হচ্ছে ।(শ্রাবণী)

ঠিক আছে ভালো মতো যাস।(মিতু)

সবাই সবার মত চলে গেল।

এই শ্রাবণী শোনো কোথায় গিয়েছিলে । আজকে নাকি তুমি কলেজ যাওনি?তা কোথায় যাওয়া হয়েছিল শুনি?(মামি)

আসলে মামি মিতুর বিয়ে ঠিক হয়েছে তো। ওই ওদের বাসায় ছিলাম কালকে দেখতে আসবে এবং কালকে বিয়ের ডেট দিয়ে যাবে তাই দেরি হয়ে গেল ।আমি ঘরে যাচ্ছি নামাজ পড়তে হবে।(শ্রাবণী)

তা সামনের সপ্তাহে তোমাকেও তো দেখতে আসছে। সেই দিকে কি খেয়াল আছে তোমার। এভাবে ধেই ধেই করে ঘুরে বেড়ালে চলবে কি। মানুষ কি বলবে হ্যাঁ (মামি)

ঠিক আছে মামী আর ঘুরে বেড়াবো না কালকে শুধু মিতুর বাসায় একটু যাব আর যাব না কোথাও এই সপ্তাহে দরকার হয় কলেজেও যাব না। (শ্রাবণী)

কালকে কোথাও যাওয়ার দরকার নেই আর 4-5 দিন আছে এই কয়দিন বাসায় থাকবে বুঝতে পেরেছ কি বলেছি (মামি)

আসলে মামি ও তো আমার একটা বান্ধবী ওর বিয়েতে যদি না থাকি কেমন দেখায় না? প্লিজ কালকের দিনটাই যাব আর পুরো সপ্তাহ বাড়ীতেই থাকব কথা দিচ্ছি। (শ্রাবণী)

আমি যা বলছি সেটাই হবে এর উপরে আর কোন কথা শুনতে চাচ্ছি না আমি। (মামি)

মামী প্লিজ আমার কথাটা তো শুনো ( শ্রাবণী অনুনয়ের সুরে)

আমার মুখে মুখে তর্ক করছো আর যে কয়দিন আছে আমি চাইনা তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে ।যা বলছি তাই শুনতে হবে তোমাকে কাল সকালে যেয়ে কলেজ থেকে ছুটি নিয়ে আসবে মনে থাকে যেন ।এর বাইরে যেন আর কোন কথা না শুনি আমি। আর তোমার মামাকে ওই ব্যাপারে কোনো কথা যেন না জানে।(মামি)

ঠিক আছে মামী।(শ্রাবণী কান্নাজড়িত কণ্ঠে)

পরের দিন সকালে
স্যার আমার সাত দিনের ছুটি চাই।(শ্রাবণী)

তা হঠাৎ ছুটি চাচ্ছ যে কোন বিষয় আছে কি (স্যার)

স্যার কিছু পার্সোনাল ব্যাপারের জন্য ছুটি লাগবে প্লিজ স্যার দরখাস্ত টি মঞ্জুর করুন। (শ্রাবণী)

ঠিক আছে যাও দরখাস্ত টা ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে দিয়ে যেও (স্যার)

আচ্ছা স্যার আসসালামু আলাইকুম (শ্রাবণী)

৫ দিন পর
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আজকে আমাকে দেখতে আসছে মামা বলল সে নাকি খুবই সুন্দর দেখতে ,আর অনেক ভদ্র নাকি খুব প্রতিষ্ঠিত সে ।ঐদিন আর মামীর কথায় মিতুর দেখতে আসায় যেতে পারিনি মিতুও এই 5 দিন আর আসেনি আমার সাথে দেখা করতে হয়তো রাগ করেছে! খুবই খারাপ লাগছে খুব কাছের বান্ধবী কিনা।হয়ত নিলয় ভাইয়ের সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে ।আচ্ছা আমি কি ওর বিয়েটা খেতে পারব আমার মনটা এত খারাপ লাগছে কেন ?আর ওই ছেলেটা কেমন আছে ?ধুর কি ভাবছি আমার যে আজকে দেখতে আসছে আমার যেসব ভাবা বারণ!(শ্রাবণী মন খারাপ করে)

এখন বাজে দুপুর 11 টা তারা নাকি চলে আসছে বোনু আমাকে রেডি করতে আসছে। আমার কেন যেন মনটা ভালো লাগছে না। চাচ্চুরা পরশু চলে আসছে ইটালি থেকে।তারও কালকে চলে এসেছে এই বাড়িতে কালকে সারাদিন খুবই ভালো লেগেছে কিন্তু আজকে মনটা এত খারাপ কেন লাগছে বুঝতে পারছি না আল্লাহ মালুম কি হবে আজকে। চাচ্চু চাচি মা আর আমার চাচাতো বোন রিংকি বয়স 5 বছর কি যে মিষ্টি মেয়ে ওকে আমি আর দেখিনি এই প্রথম দেখলাম খুবই মিশুক ও আমার ভালো লেগেছে ওর সাথে খেলা করতে ।আচ্ছা রেডি হয়ে নেই তোমাদের সাথে পরে গল্প করা যাবে। (শ্রাবণী)

এই আপু শোন না জেই ভাইয়া তোকে দেখতে আসছে সে এখনো এসে পৌঁছায়নি কেমন লাগে বলতো আমার তো তাকে দেখার জন্য মনটা কেমন উসখুশ উসখুস করছে রে তোর কেমন লাগছে আমায় বলোনা (প্রিয়া)

কি বলবো তোকে আর তুই সব সময় এত পাকা পাকা কথা বলিস কেন তো মামি‌ কে বলব তোর বিয়ের ব্যবস্থা করতে ?(শ্রাবণী রাগ দেখিয়ে)

বল না প্লিজ বল বল তোর কথায় যদি কোনো ব্যবস্থা করে আর তোর যদি কোন দেবর থাকে আমাকে তোর দেবর এর বউ করে নিয়ে যাবি ঠিক আছে(প্রিয়া মজা করে)

দেব না কানের নিচে একটা থাপ্পর ফাজিল মেয়ে মাত্র পড়ে ক্লাস নাইনে এখন আসছে বিয়ে করতে (শ্রাবণী দাঁতে দাঁত চেপে)

আরে আমি তো মজা করছিলাম চল চল জলদি রেডি হয়ে তারা চলে আসছে দেখে আবার পছন্দ হলে আজকে মনে হয় আকদ/কাবিন করে যাবে।(প্রিয়া খুশি হয়ে)

কিইইইইইইইইইই(শ্রাবণী অবাক হয়ে)

আস্তে আস্তে এত জোরে চিল্লায় কেন তোর কি কোন সমস্যা আছে (প্রিয়া অবাক হয়ে)

এত তাড়াতাড়ি করার কি আছে বলতো আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা (শ্রাবণী মন খারাপ করে)

আমি কি জানি বল যা জানে আব্বু জানে এখন জলদি রেডি হওতো (প্রিয়া তাড়াহুড়া করে)

আম্মুনি চলো বাহ আমার আম্মুনি টাকেত আজকে খুব সুন্দর লাগছে চলো চলো কারো নজর যাতে না লাগে প্রিয়া তোর আপুকে একটা কালা টিকা দিয়ে দিস (মামা মজা করে)

উফ মামা তুমিও না (শ্রাবণী লজ্জা পেয়ে)

ঠিক আছে আর লজ্জা পেতে হবে না চলো। জেসমিন ওকে নিয়ে আস(মামা)

জি ভাইয়া নিয়ে আসছি (জেসমিন শ্রাবণির চাচি)

চাচিমা আর বোনু মিলে আমাকে নিয়ে যাচ্ছে আমার যে কি ভয় লাগছে আচ্ছা সবার কি দেখতে আসলে এমন লাগে হয়তো হয়তবা না আর কিছু ভাবতে পারছিনা (শ্রাবণী মনে মনে)

আমি যেয়ে চাচ্চু আর মামার পাশে দাড়ালাম। আসসালামু আলাইকুম(শ্রাবণী)
ওয়ালাইকুম আসসালাম আরে মা আমাদের এইখানে এসে বসো কথা বলি তোমার সাথে একটু (উৎসবের আম্মু)

জি আন্টি (শ্রাবণী)

তারপরে তাদের মাঝে কিছু টুকটাক কথা বলল যাদের দেখতে আসছে তারা জানো কি কথা হয় ফরমাল কথাবার্তা হল।

তা রাশেদ ছেলে কই ও আসল না এখনো কোন কি সমস্যা হয়েছে (চাচ্চু)

আরে না ও এই বাচ্চাদের জন্য চিপস আর আইসক্রিম কিনতে গেছে আমরা তো মিষ্টি নিয়ে চলে আসলাম ও বলল বাচ্চারা আছে বাড়িতে তাই এগুলো কিনতে গেছে আসছে নিলয়ের সাথে। (রাশেদ শেখ)

ও আচ্ছা (চাচ্চু)

নিলয়ের সাথে আসছে মানে কোন নিলয় (শ্রাবণী মনে মনে)

আরে আপনি সেই ভাইয়াটা না আপনি এখানে (পিয়া অবাক হয়ে)

আসসালামুয়ালাইকুম। সবাইকে সালাম দিয়ে। আপনারা সবাই কেমন আছেন ।(উৎসব)

ওয়ালাইকুম আসসালাম আলহামদুলিল্লাহ বাবা ভালো আছি (সবাই একসাথে)

এ আমি কাকে দেখছি এ ব্যাটা এখানে কি করে?। ও মাই আল্লাহ তুমি কই দড়ি ফালাও আমি আসতাছি?? উনি কি আমাকে দেখতে আসছে নাকি! এখন আমি কি করি তাহলে ঐ২ দিন আমার পিসে এভাবে ঘোড়ার মানে কি? উনি কি আমাকে পরীক্ষা করতে চাইছিল আমি যেভাবে ঝগড়া করছি ।এখন আমি কি করি যদি মামা আর চাচ্চুকে বলে দেয় আমাকে তো তারা বকবে। (শ্রাবণী মনে মনে)

আরে উৎসব বাবা এসো বস এখানে (মামা)

জি মামা আসছি। এইগুলা একটু নিলে ভালো হতো। নিলয় চল যেয়ে বস।(উৎসব)
পাঁচ দিন পুরো 5 দিন তুমি আমার চোখের সামনে আসো নি এর শোধ তোমার থেকে নিয়ে ছারব। আজকেই তোমাকে আমি বিয়ে করবো । আমাকে কষ্টে রাখা তোমাকে দেখাচ্ছি মজা কিভাবে পারলে তুমি পরী (উৎসব মনে মনে)

কিন্তু আমার পরীটাকে যে সুন্দর লাগছে আমিতো নিজে ঘায়েল হয়ে যাচ্ছি ওকে কি শাস্তি দিব। লাল কালার জামদানি শাড়ি ,ঠোটে হালকা লিপস্টিক ,চোখে আইলাইনার ও কাজল, মাথায় কাপড় দিয়ে ঘোমটা দেওয়া ,কানের ঝুমকো এবং হাতে চুড়ি কি যে সুন্দর লাগছে তা বলে বুঝানোর মতো না তা পরি তুমি কি আমার মারার প্লান করছ নাকি। তোমার জন্য আমি হাজার বার মরতেও রাজি আছি। (উৎসব মনে মনে)

সবার কথা হয়ে গেছে তা তোমরা কি একটু আলাদাভাবে কথা বলতে চাও (রাশেদ ও চাচ্চু)

টিয়া এবং পিয়া ২জনে ওদের পাশের রুমে নিয়ে যাও (মামা)

জ্বি আব্বু(প্রিয়া)
আচ্ছা আঙ্কেল (টিয়া)

এই লোকটার সাথে আলাদা ভাবে কথা বলব আমার তো খুবই ভয় করছে কি যে করি সবার প্রথমে আমাকে জিজ্ঞেস করতে হবে উনি আমার পেছনে কেন পরেছিল। উনিতো জানতেন আমি কে নিশ্চয়ই আমার ছবি দেখেছেন তারপরে এখানে এসেছেন (শ্রাবণী মনে মনে)

এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই খেয়ে ফেলবো না আমি বাঘ ওনা ভাল্লুক কিছুই না বুঝছো (উৎসব ফিসফিসিয়ে)

এদেখি আমার মনের কথা বুঝে যায় (শ্রাবণী মনে মনে)

তোমার মনের কথা আমি কিছুই শুনি নি জাস্ট ধারণা করে বললাম আর তোমার মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে তুমি আমাকে ভয় পাচ্ছো please cool down.(উৎসব ফিসফিসিয়ে)

এই তোমরা তো ফিসফিস করে কি বলছ বলবে আমাদের। আর ভাইয়া আপনার সাথে আমার পরে কথা আছে।আর আপনি ওই দিনের সেই ভাইয়াটা না?(প্রিয়া প্রশ্ন করে)

পরে যখন তোমার সাথে কথা বলব তখন বলব এখন না ।যাও তোমার ফেভারিট চকলেট আইসক্রিম নিয়ে এসেছি ওগুলো খাও গিয়ে আর টিয়া মনি তুই ও ওর সাথে যা(উৎসব)

ঠিক আছে ভাইয়া (টিয়া)
কিন্তু ভাইয়া আব্বু যে বলল আপনাদের সাথে থাকতে (প্রিয়া)

ভরসা করতে পারো প্লিজ কিছু সময় দাও আমাকে(উৎসব অনুনয়ের সুরে)

ঠিক আছে ভাইয়া (প্রিয়া)

ওরা চলে গেল আমি এখনো ভেবেই যাচ্ছি ওনার সাথে আমি কি বলবো আমার ভয় প্লাস লজ্জা দুইটাই লাগছে ।এই প্রথম কোন ছেলের সাথে একা কথা বলছি যদি ওনার আমাকে পছন্দ হয় আজকে হয়তোবা আকদ/কাবিন করে যাবে।(শ্রাবণী মনে মনে)

বস। তা এই কয়দিন কলেজ যাওনি কেন? তোমার জন্য শুধুমাত্র তোমার জন্য আমি ঢাকার সব কাজ ফেলে এখানে এসে পড়ে রয়েছি আর সেই তুমি না কলেজ যাচ্ছো আর আমরা মিতু কে ঐদিন দেখতে আসলাম নাঐদিন গেছো কি হয়েছে বলবে আমাকে (উৎসব শান্তকণ্ঠে)

আপনি কি বলছেন আমার জন্য আসছেন মানে আমি কিছু বুঝতে পারছিনা (শ্রাবণী অবাক হয়ে)

আগে যেটা বলছি সেইটার Ans দাও তারপরে তোমার কথার উত্তর আমি দিচ্ছি(উৎসব দাঁতে দাঁত চেপে)

ভয় পেয়ে আসলে মামি যেতে বারণ করেছিল (শ্রাবণী)

সত্যি কি তাই নাকি আমাকে মিথ্যে বলছো।তুমি কি আমার ভয়ে কয়দিনে কলেজ বন্ধ দিয়েছো?(উৎসব)

মোটেও না আর আমি মিতুর এইখানে ঐদিন যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু মামী যেতে দেয়নি আর বলল আজকে দেখতে আসবে তাই কলেজ ছুটি নিয়ে কয়দিন বাড়িতেই ছিলাম। (শ্রাবণী মাথা নিচু করে আস্তে আস্তে)

মাথা উঁচু করে কথা বলো কোনোদিন কারো সামনে মাথা নিচু করে কথা বলবা না মনে থাকবে (উৎসব)

হু (শ্রাবণী)
হুহা বাদ দাও আমাকে একটু দেখতে দাও তোমাকে ।অনেকদিন দেখিনা তোমায় ।তোমার ছবির সাথে প্রেম করতে করতে বোর হয়ে গেছি। আমার প্রেমের ভিলেন তোমার মামী হয়ে গেল এইটা আমি মেনে নিতে পারছিনা (উৎসব মন খারাপ করে)

What(শ্রাবণী)

আচ্ছা তোমার উত্তর শোন। আসলে আমি চাচ্ছিলাম আমি যাকে বিয়ে করবো তার সাথে বিয়ের আগে প্রেম করতে। আর সে দিক দিয়ে তোমার ছবি দেখে আমি তোমার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম ।তাই ভাবলাম তোমাদের এখানে এসে আমার পরিচয় গোপন করে তোমার সাথে প্রেম করবো ।কিন্তু তোমার মামী আর তুমি আমার প্রেমের ভিলেন হয়ে গেলে ।এই পাঁচ দিন আমার কিভাবে কেটেছে তা যদি তোমাকে একটু বুঝাতে পারতাম (উৎসব কান্নাজড়িত কণ্ঠে)

আমি বাকরুদ্ধ হয়ে ওনার দিকে তাকিয়ে রয়েছি উনার চোখে পানি চিকচিক করছে আমার এতে খুবই খারাপ লাগছে আমি কি আর জানতাম আর জানলেই বা কি করার ছিলো (শ্রাবণী)

এত নড়াচড়া করছো কেন একটু দেখতে দাও না প্লিজ (উৎসব অনুনয়ের সুরে)

আমি প্রথম মানুষটার দিকে ভাল করে তাকালাম। 5 ফুট 8 ইঞ্চি মতো লম্বা হবে ,ফর্সা চেহারা নায়কদের মত সিক্স প্যাক না হলেও পারফেক্ট বডি শেপ ,ফর্সা গালে চাপ দাড়ি আর আজকে পড়ে এসেছে একটা আকাশী কালার শার্ট আর ব্ল্যাক জিন্সের প্যান্ট। এই look যে কোন মেয়ের কে ঘায়েল করার জন্য পারফেক্ট(শ্রাবণী মনে মনে)

আমার সম্পর্কে কিছু জানতে চাও না তুমি। যদিও বা লজ্জার কারনে তুমি জানতে চাইবে না। আমি নিজেই বলছি। আমার নাম তো জানোই তাও বলছি। আমি উৎসব শেখ, ঢাকার মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির হেড ,আমি লন্ডন থেকে পড়াশোনা শেষ করে এসে দু’বছর আগে বিজনেস শুরু করেছি আর এই দুই বছরে যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছি। স্মোকিং করি মাঝেমধ্যে আর মদ/বিয়ার কোন বিয়ে বাড়িতে খাই। লন্ডনে থাকাকালীন একটা মেয়ে ফ্রেন্ড ছিল তার সাথে আমার দুই মাসের রিলেশনশিপ ছিলো কিন্তু তার অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যায় সেজন্য রিলেশনশিপ আর কন্টিনিউ করা হয়নি আমাদের। আমার বাবা ছোটবেলায় মারা গেছে ছোট বাবার কাছে থেকে বাবার আদর ও ভালোবাসা পেয়েছি আম্মু তো আছেই আর ছোট আম্মু যথেষ্ট ভালবাসেন আমাকে। ছোট বাবা আর ছোট আম্মুর একটা ছেলে আছে নাম উদয় বয়স ১৮ বছর । আর নিলয় এর পরিবারের কথা তো জানাই। এইতো আমার লাইফ স্টোরি তোমার ব্যাপারে বল শুনি একটু (উৎসব)

আমার সম্পর্কে সব বললাম (শ্রাবণী)

তোমাকে একটা প্রশ্ন করব প্লিজ সঠিক উত্তর দিও কারো ভয়ে নিজের কষ্ট লুকিয়ে বিয়েতে রাজি হবে না। আচ্ছা তোমার কি কেউ আছে (উৎসব কান্নাজড়িত কণ্ঠে)

কেউ আছে বলতে ও আপনি আমার বয়ফ্রেন্ডের কথা জিজ্ঞেস করছেন ?আপনি কি পাগল নাকি আপনি জানেন না আমার একটাই মেয়ে বান্ধবী তাও ক্লাস সিক্স থেকে মিতু ছাড়া আর কোনো ফ্রেন্ড নেই আমার সে জায়গায় আপনি বয়ফ্রেন্ডের কথা কিভাবে জিজ্ঞেস করেন (শ্রাবণী রাগ মিশ্রিত কন্ঠে)

সরি সরি এত হাইপার হওয়ার কিছু নাই জাস্ট জিজ্ঞেস করলাম কারন একটু পরে আমি তোমাকে বিয়ে করতে যাচ্ছি সেজন্য। আর যদিও বা কেউ থেকেও থাকতো তাকে সরিয়ে আমি তোমাকে বিয়ে করতাম বুঝতে পেরেছ আমার তোমাকে চাই #আমার_অধিকার _তুমি(উৎসব ভাব নিয়ে)

এ আসছে (শ্রাবণী)

আসছে মানে তুমি বিয়েতে রাজি না? (উৎসব অবাক হয়ে)

আসলে আমি এই বিয়েটা করতে পারবোনা……… (শ্রাবণী)
………………চলবে…………….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে