সত্য ঘটনা অবলম্বনে
আমার অধিকার তুমি
পর্ব:৪
লেখিকা: সুরভী শেখ
এই…………(ফোনে কল আসল)আম্মু কল দিয়েছে কথা বলে নেই।
আচ্ছা।তর কথা হোলে আমাকে ও দিস কথা বলবো।
ওকে।
…………….
আলহামদুলিল্লাহ। তুমি কেমন আছো। বাবা কেমন আছেন।আর টিয়া কই ও কেমন আছে।
……….……..……
হুম খাবো একটু পরে। ওকে নেউ। ভাইয়া আম্মু কথা বলবে নেউ।
দে। আসসালামুয়ালাইকুম। কেমন আছো ফুপ্পি। ফুফা জান কেমন আছে আর টিয়া কেমন আছে।
….………………
আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি ।তা ফুপা জান আর তুমি কবে আসছো।
……………
ঠিক আছে বৃহস্পতিবার চলে এসো শুক্রবার দেখতে যাব। আচ্ছা তাহলে রাখি ভালো থেকো।
চলো ভাই রাতের ডিনার করি সকালে ডিউটি আছে আমার।
ঠিক আছে চল।
খেয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম ।ঘুম তো আসছে না আমার পরীটার কথাই ভাবছি। কি সুন্দর দেখতে আমার পরী টা। কবে আমার সাথে থাকবে ও কবে আমি ওকে আমার কাছে পাবো।সেদিন টা কবে আসবে আমার জীবনে যেদিন আমি আমার পরীটাকে মন ভরে দেখতে পারবো খুব কাছ থেকে। উফফ আর ভাবতে পারছি না ঘুমিয়ে পড়ি কাল সকালে আবার চলে যাবো আমার পরীটাকে দেখতে।
আম্মু নি রাতে খেয়েছ ঘুমাতে চলে যাচ্ছ না খেয়ে।
আসলে মামা সন্ধ্যায় চা-বিস্কিট খেয়েছি তো এখন আর কি খিদে নেই।তাই খাব না রাত্রে পড়ে খেয়ে ঘুমাবো ঠিক আছে মামা তুমি টেনশন করো না যেয়ে ঘুমিয়ে থাকো। মামা চাচ্চু কি কল করেছিল আর।
হ্যাঁ আম্মুনি করেছিল আমি বাইরে ছিলাম। বলল সামনের বুধবার আসবে আর শুক্রবার ওরা তোকে দেখতে আসতে চাইছে আমিও হ্যাঁ বলে দিয়েছি একেবারে না হয় দেখে যাবে আর বিয়ের কথাও বলে যাবে।
চাচ্চু না বললো 15 দিন পরে আসবে।
হুম বলেছিল কিন্তু আজকে বলতো সামনের বুধবার আসবে ভালোই হলো তাইনারে আম্মু নি।
হুম মামা আচ্ছা তাহলে ঘুমাতে যাও আমি একটু পড়ে দেন খেয়ে ঘুমিয়ে পড়বো টেনশন করো না।
আচ্ছা ঘুমিয়ে পড়ো তাড়াতাড়ি সকালে আবার কলেজ যাবি তো। গুড নাইট।
গুড নাইট মামা।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
পড়তে বসলাম কলেজের কিছু এসাইনমেন্ট বাকি ছিল সেগুলোই করছি এমন সময়।
এই আপু আজকে একটা জিনিস খেয়াল করেছিস ?আমরা যখন ফুচকা খাচ্ছিলাম ওইখানে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে ছিল ছেলেটা না তোকে দেখছিল জানিস।
কখন কোথায়!
মিথ্যে বলবি না তুইও দেখেছিস কিন্তু। একটা জিনিস খেয়াল করেছিস ছেলেটা কিন্তু হেব্বি দেখতে আমার না ছেলেটাকে খুবই পছন্দ হয়েছে যদি প্রেম করতে পারতাম।(মন খারাপ করে)
দেব না একটা কানের নিচে ফাজিল মেয়ে যাও পড়তে বসো দেন ঘুমাও সকালে প্রাইভেট আছে ক্লাস নাইনে পড়ে প্রেমের চিন্তা চেপেছে মাথায় প্রেমের ভূত মেরে বের করে দেবো।
মজা করলাম। ভাইয়া টা আমার অনেক বড়ো হবে। কিন্তু অনেক সুন্দর।
বনু যাতো পড়তে।
পড়ার পরে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্না করে মামা মামী কে চা দিলাম। তারপর সকালের নাস্তা খেয়ে মিতু কে নিয়ে কলেজে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ..
এই দোস্ত আমি মরেই যাবো।(কান্না করতে করতে)
কি বলিস এগুলো কি হয়েছে.(উদ্বিগ্ন হয়ে)
চল বটতলায় বসে বলি।
ঠিক আছে চল।
কালকে নানুর বাড়িতে গেলাম আন্টি দের সাথে দেখা করতে। কিন্তু তারা আমাকে ছেলে দেখাতে নিয়ে গেছিলো। আমি কি করব বল।তুইতো সব জানিসই।(কান্না করতে করতে)
তার মধ্যে মরার কথা বললি কেন। একটা থাপ্পর মারব এই মেয়ে এ ধরনের চিন্তা আসে কোথা থেকে তোর মাথায়। আন্টিকে এ ব্যাপারে না জানিএ উল্টাপাল্টা কেন ভাবিস তুই। দেখতে আসলেই তো বিয়ে হয়ে জায়না আগে জানা তারপর না হয় দেখা যাবে কি হয়।
তারা কি আমার কথা মানবে। এখন তুই পথ বের কর কি করবো আমি (ভাব মিশ্রিত কন্ঠে)
চল আমার সাথে।
কোথায় যাব আরে টানছিস কেন বলতো কোথায় যাব।
চল চল দেখলে বুঝতে পারবি।
আরে বাবা….
এই রিসকা মামা যাবেন।
কোথায় যাইবেন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টারে।
হ্যাঁ যাবো আসেন।
এই তুই হেডকোয়ার্টারে যাবি কেন।
নাচতে যাব চল বেশি কথা বলিস না তো।
আইনেন মামা ভাড়া চল চল চল।
দেখ শ্রাবণী এমন করিস না।
চুপ করবি তুই চল । কোন কথা বলবি না একদম চুপচাপ থাক আমি কি করি দেখ।
এত কে কলিং বেল বাজাচ্ছে কেমনটা লাগে একটু থামার নাম নিচ্ছে না বাজিয়ে যাচ্ছে বাজিয়ে যাচ্ছে আসছি তো আ আ আ তুমি এইখানে?
আপনি এখানে কি করছেন নিলয় ভাইয়া কোথায়।
নিলয় কে তুমি চেনো।
চিনবো না কেন খুব ভালো করে চিনি।জলদি ডাকেন তাকে আমি খুব বড় বিপদে পড়েছি আমার এখোনি তাকে চাই। এদিক দিয়ে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে আর তার কোন খবর নেই। কি যে ঝামেলা ভালো লাগেনা আর।
আচ্ছা নিলয় শ্রাবণী কে ভালোবাসে না তো ওতো বললো ও যাকে ভালবাসে সেও অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে আবার ধার্মিক ও তাহলে আমার কি হবে (মনে মনে)
এক্ষুনি নিলয়কে আসতে বলুন ওর সাথে আমার কথা আছে। আর আপনি নিলয়ের কে হন আগে তো কোনদিন দেখিনি।
তুমি কি নিলয়ের সেই……
আরে শ্রাবণী তুমি এখানে কি মনে করে (আড় চোখে মিতুর দিকে তাকিয়ে)ও ও তো এইখানে কিছু কি হয়েছে।
এই দিক দিয়ে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে তোমার কোনো খবরই নেই দেখছি এতই যখন ভালোবাসো তোমার প্রেমিকার যে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে সেদিকে কোনো খোঁজ রেখেছ কি????
কি বলছো এসব আমি কিছু বুঝতে পারছি না খুলে বল।
ওরা এসব কি বলছে সত্যিই কি নিলয় শ্রাবনীকে ভালোবাসে তাহলে আমি আমার পরীকে হারিয়ে ফেললাম (মনে মনে) ছোট ভাইয়ের ভালোবাসা কে আমি তো আমার বউ করতে পারিনা(মনে মনে)
কি হয়েছে আগে বলতো তারপরে না হয়…
কি প্রেমিক ভাই এত ভালোবাসা সব কথাই শুনলাম এখন যে তার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে সেদিকে কি আপনার খেয়াল আছে ।ওর ফ্যামিলিতে ওর জন্য বিয়ে ঠিক করছে তা আপনি কি কিছু করবেন নাকি পরে ওর বাচ্চার মামা ডাক শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন।
এই ওয়েট ওয়েট কে কাকে ভালোবাসে একটু খুলে বলবা আমি আর নিতে পারছি না প্লিজ!!
আপনি কে ভাই কথার মাঝখানে কেন কথা বলছেন আর কে কাকে ভালোবাসে সেটা আপনি নিতে পারছেন না এইটা আসে কৈ থেকে??(ভুরু কুঁচকে)
আরে শ্রাবণী উনি আমার ভাই উৎসব শেষ। ঢাকা থেকে আসছে ওই একটা মেয়ের..
আরে ভাই থাম থাম এইসব বাদ দে এইখানে কি হয়েছে সেটা আগে বল(আমার প্লানের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছিল এক্ষুনি তোকে তো আমি পড়ে দেখে নেব বেটা)
নামটা কেমন শোনা শোনা লাগছে এই নামটা যেন কোথায় শুনেছিলাম (মনে মনে)
ভাইয়া কালকে যেই মেয়েটার কথা বললাম না এই সেই মেয়ে একটু খুলে বলবা কি হয়েছে সেইখানে। মিতু তুমি কি কিছু বলবা নাকি শ্রাবণী এই সব কিছু বলবে।
আসলে (তারপরে সবকিছু খুলে বলে)
ও এই ব্যাপার।ছেলেপক্ষ কি কিছু বলেছে।
মাথা নাড়িয়ে না কিছু বলে নি।
আমি আজকেই যাব তোমার বাড়িতে। এখন তুমি না বললে একটা আছাড় মারব। দুইটা বছর পাক্কা দুইটা বছর তোমার পিছনে ঘুরেছি তোমাকে এখন অন্য কেউ নিয়ে যাবে সেটা তো আমি দেখতে পারিনা।
আসলে..
চুপ একদম চুপ ভালোবাসি তোমায় আমি। তোমায় আমার চাই বুঝতে পারছ At any cost(চোখ পুরাই লাল হয়ে গেছে)। তোমার সাহস কি করে হয় অন্য ছেলের সামনে সেজেগুজে নিজেকে পরিবেশন করার। কি ভাবো নিজেকে তুমি আমাকে ধর্মের দোহাই দিয়ে এতদিন দূরে রেখেছ ।তাহলে কালকে কেন ওদের সামনে কিছু না করে দিতে পারোনি ।এতদিন যেমন আমাকে না করে এসেছ সেভাবে তাদেরও না করে দিতে কেন গেছো তুমি ?তুমি জানো না আমি তোমাকে অন্য কারো সঙ্গে সহ্য করতে পারিনা। তোমার বিয়ে করা আমি ছুটাচ্ছি এক্ষুনি তোমার বাড়ি আমি যাব।
নিলয় ভাইয়া cool down please রাগ করবেন না। ও জানতো না এই বিষয়ে।আর একটা কথা ও কিন্তু আপনাকে খুব ভালোবাসে। আল্লাহ,মা -বাবা এর পর যদি ও কাউকে ভালোবাসে সেইটা আপনি জেনে রাখুন রাগ করবেন না please.
সত্যি (অবাক হয়ে) মিতু please এবার তো কিছু বলো?আর কত অপেক্ষা করাবে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
Wait Wait
এই আপনার সমস্যা কি কথার মাঝে কেন কথা বলছেন।?(বিরক্ত হয়ে).
এখন তুমি বেশি বললে সব কয়টা কে আছার মারব।(রাগদেখিয়ে)
শ্রাবণী চুপ থাকো ভাইয়া রেগে যাচ্ছে।আচ্ছা শোন না ভাইয়া আমার একটু প্রেমটা করতে দেবে ব্যাঘাত কেন দিচ্ছিস।
Shut up নিলয়। এই যে মিতু এইখানে বসো কথা আছে তোমার সাথে আমার।
আপনার সাথে কি কথা থাকবে?
নিলয় ওকে চুপ থাকতে বলো না হলে আমি ওকে এক্ষুনি একটা আছাড় মারব।
চুপ করো না শ্রাবণী।
ঠিক আছে ঠিক আছে (মুখ গোমরা করে)
তো মিতু তুমি কি সত্যিই নিলয় কে ভালোবাসো?
জি ভাইয়া (মাথা নিচু করে)।
নিলয় ফুফাজান কে ফোন কর। কথা বলব।
ঠিক আছে ভাইয়া।
হ্যালো বাবা ভাইয়া তোমার সাথে কথা বলবে।
হ্যালো ফুপা জান আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন।
..……..
জ্বি ভালো আছি আপনার সাথে একটা কথা ছিল।
……….……..
সব খুলে বললাম।
১০ মিনিট পর
মিতু আর শ্রাবণী তোমরা বসো। কি খাবে বলো।
কিছু না ভাইয়া।
আপনার মাথা খাবো ফাজিল ব্যাটা (মনে মনে) তওবা তওবা এসব কি বলছি আমি আল্লাহ মাফ করো।
তা ম্যাডাম কি খাবেন আপনি।
কিছু না ভাইয়া।
আমি তোমার ভাইয়া লাগি কবে থেকে?
অপরিচিত কাউকে কি আমি জামাই বলে ডাকবো নাকি আজিব।
অন্য কাউকে না আমাকে ডাকতে পারো(আস্তে আস্তে)।
কিছু কি বললেন।
না না কিছু না।
ভাইয়া আব্বু কি বলছে সেটা তো বল?
যার রেডি হও তোর হবু শ্বশুর বাড়ি যেতে হবে না।
Wowwwwww সত্যি এক্ষুনি রেডি হয়ে আসছি তুই ওদের সাথে বসে গল্প কর।
ঠিক আছে যা। তা মিতু পড়াশোনা কেমন চলছে?
আলহামদুলিল্লাহ ভালো দোয়া করবেন ভাইয়া ।
তা তো করবোই ।তো তোমার সাথে কে আসছে শুনি কি হয় তোমার।
আমার প্রিয় বান্ধবী ।ওর নাম শ্রাবণী আমরা একসাথে পড়াশোনা করি।
খুবই ভালো আচ্ছা আমি নিলয় কে ডেকে নিয়ে আসছি তোমরা বস।
ঠিক আছে ভাইয়া।
….……..(চলবে)……….