শ্রাবণের মেঘ পর্ব_১৮

0
1197

#শ্রাবণের_মেঘ?
#পর্ব_১৮
#Tabassum_Kotha

কাজী অফিসের সামনে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে কথা। আর তার সামনেই কাব্য অগ্নিমূর্তি ধারণ করে আছে। তাদের সাথে নিতুও উপস্থিত আছে আর বোঝার চেষ্টা করছে যে এখানে হচ্ছে টা কি!

কিছুক্ষণ আগে কথা শপিং করার নাম করে নিতুকে খান বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছে এখানে। আর কাব্যকে এক্সিডেন্টের মিথ্যা কথা বলেছিল আগেই যার জন্য কাব্য এখানে এসেছে। অবশ্য আসার পর কথার উদ্দেশ্যটা কাব্য ভালোই বুঝতে পেরেছে।

কথা অপরাধীর ন্যায় মাথা নিচু করে ভয়ে কাচুমাচু করতে করতে বললো,
— আমি সব কিছু রেডি করে ফেলেছি ভাইয়া, আর নিতুরও কোনো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। তোরা বিয়েটা করে নে।

রাগে কাব্য এর চোখে মুখে আগুন জ্বলছে। দাঁতে দাঁত চেপে ধরে কথাকে বললো,
— তুই একবার বাড়িতে চল তোকে মিথ্যা বলার মজা আমি বোঝাবো। পাবলিক প্লেসে সিনক্রিয়েট করতে চাচ্ছি না। ভালো মতো বলছি এখান থেকে চল।

কাব্য এর রাগ কথা ভালোই বুঝতে পারছে। বাড়িতে যাওয়ার পর যে তার কপালে দুঃখ আছে এটাও সে ভালো করেই জানে। কিন্তু এই মুহূর্তে ভয় পেলে চলবে না। নিতু আর কাব্য এর বিয়ে টা একদম ঠিক আছে। এই বিয়ের মাধ্যমে নিতু আর কাব্য দুজনেরই সুখ আছে।

নিজের ভিতর কিছু টা সাহস সঞ্চার করে কথা বলতে শুরু করলো,
— ভাইয়া বিশ্বাস কর, এই বিয়েটা তোদের দুজনের জীবনেই সুখ এনে দেবে।

কথার দিকে কাব্য চোখ গরম করে তাকালে কথা মুখ বন্ধ করে মাথা নিচু করে ফেললো।

কথার অবস্থা বুঝতে পেরে নিতু এবার বলতে শুরু করলো,
— কেনো কাব্য, আমাকে কেনো বিয়ে করতে পারবে না? আমি কি দেখতে খারাপ নাকি খারাপ মেয়ে? নাকি আমার সাথে তোমার শত্রুতা? কোনটা? নাকি অন্য কোনো মেয়ে কে ভালোবাসো?

নিতুর এতোগুলো প্রশ্নে থতমত খেয়ে যায় কাব্য।

— মনে অন্য কেউ থাকলেও তোমার জীবনে অন্য কোনো মেয়ে নেই এটা আমি খুব ভালো করেই জানি। তাই আমাকে রিজেক্ট করার কোনো কারণ তোমার কাছে নেই। আর সত্যি বলতে যতোটা আমি তোমাকে ভালোবাসি, অন্য কোনো মেয়ে তোমাকে এতোটা ভালোবাসতে পারবে না। যদিও আমি জানতাম না কথা আমাদের এভাবে বিয়ের প্ল্যানিং করছে, কিন্তু এখন আমি জানি আর এখন আমি প্রস্তুত। সো তুমিও রাজি হয়ে যাও।

.
নিতুর অ্যাটিটিউডে কাব্য বাকরুদ্ধ! কথা আর নিতু দুইটাই যে মহা পাগল এ ব্যাপারে কাব্য এর আর কোনো সন্দেহ নেই। এখন কাব্য এর ভীষণ টেনশন হচ্ছে এই জান যায় যায় পরিস্থিতি থেকে সে কিভাবে মুক্তি পাবে! কাব্য কিছুক্ষণ কৌশলে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো কথা আর নিতুর ইমোশনাল যুক্তির সামনে। অনেক চেষ্টা করেও কাব্য নিতু আর কথাকে বোঝাতে সফল হলো না। কাব্য নিজেকে যথাসম্ভব শক্ত করে বিয়ে করার জন্য মানা করে দেয়।

কাব্য এর মানা করায় মুহূর্তেই নিতুর চোখ পানিতে ভরে উঠে। শেষ আশার আলো টাও যেনো নিভে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। কাব্য ছাড়া অন্য কাউকে কিভাবে সে স্বামী হিসেবে মেনে নেবে।

— এমন করো না কাব্য ভাইয়া। আমি নির্ঘাত মরে যাবো। ভালোবাসা ছেড়ে বেঁচৈ থাকা গেলেও সেই ভালোবাসা কে মাটি চাপা দিয়ে অন্যকারো সাথে সংসার করা অসম্ভব। আমাকে এতোবড় শাস্তি দিও না কাব্য ভাইয়া। আমি সত্যি তোমাকে ছাড়া পারবো না। আজ এখন যদি তুমি আমাকে আপন করে না নেও, তবে আদনান কে বিয়ে করার আগেই আমার মরা মুখ দেখবে সবাই। এই আমি বলে দিলাম। তোমাকে ভালোবাসি মানে শুধু তোমাকেই ভালোবাসি। তোমাকে ভুলে অন্য কারো সাথে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। হয় আজ আমি তোমার বউ হয়ে খান বাড়িতে প্রবেশ করবো নয়তো কাল আমার লাশ খান বাড়ির সদর দরজা দিয়ে বেরুবে!

নিতুর কথায় কাব্য কেমন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছে, কিছু চিন্তা করার মতো শক্তি আর খুঁজে পাচ্ছে না সে। ভালোবাসার মানুষটাকে হারিয়ে বাঁচার শান্তি যে কি সেটা সে ভালোভাবেই জানে। প্রতিমুহূর্তে মুখে মিথ্যে হাসি ফুটিয়ে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ লুকানোর বিদ্যাটা কাব্য এর আয়ত্ত হয়ে গেছে এতোদিনে। যেই কষ্ট সে সহ্য করছে, সেই একই কষ্ট অন্য কেউ সহ্য করবে ভাবতেই ভিতর টা নাড়া দিয়ে উঠছে তার।

কাব্য কিছুক্ষণ স্থির দৃষ্টিতে নিচে তাকিয়ে থেকে কিছু একটা চিন্তা করে। কথা চুপচাপ দাড়িয়ে আছে কিন্তু টেনশন কাজ করছে তার মাথায়। কাব্য যদি বিয়ে টা না করে তাহলে নিতু আর কাব্য কে এক করার তার প্ল্যান টা জলে যাবে। পালিয়ে নিতু আর কাব্য এর বিয়ে করানোর প্ল্যান টা নীল এর থেকেই ধার করা কথার। কারণ নীলও কথাকে এভাবেই বিয়ে করেছে। এদিকে নিতু কান্না করছে। নাকের পানি আর চোখের পানি এক করে ফেলেছে। কি যে হবে কে জানে। ওদিকে কাজী অফিসে কাব্য আর নিতুর বিয়ের সিরিয়াল এসে পরেছে। কথার কপাল বেয়ে ঘাম ঝরছে টেনশনে!

?

?

?

দুপুর পেরিয়ে গোধূলী লগ্ন শুরু হয়ে গেছে। সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পরায় সোনালী রোদের ঝলক তির্যক ভাবে চোখে মুখে এসে পরছে কিশোর সাহেবের বাড়ির উঠানে। উঠানের একটু ভিতর দিকে সদর দরজার সামনে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে কথা। রোজকারের মতো আজও সে দুই বেণী করেছে আর সামনের চুলগুলো চোখে মুখে এসে পরছে। কথার ঠিক পিছনে দাড়িয়ে আছে কাব্য আর তার সাথে নিতু। একটু আগেই কাজী অফিস থেকে বিয়ের পাঠ চুকিয়ে কিশোর সাহেবের বাড়িতে এসে উঠেছে তারা। বাড়িতে এসে অবশ্য বিয়ের ব্যাপার টা খোলাসা করা হয়ে গেছে। এজন্যই অপরাধীর ন্যায় মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে তিনজনই।

সবকিছু জেনে হতভম্ব হয়ে আছেন কিশোর সাহেব আর কলি বেগম। ছেলের বিয়ে আর বউ নিয়ে কলি বেগমের শখের অন্ত ছিল না, আর সেই ছেলে কি না বিয়ে করে বউ নিয়ে বাড়ির দরজায় দাড়িয়ে আছে। একা একা বিয়ে করার ব্যাপার টা একবার মেনে নিলেও ফুফাতো ভাইয়ের হবু বউ কে বিয়ে করে নিয়ে আসা টা হজম করতে পারছেন না কলি বেগম। ভীত দৃষ্টিতে একবার স্বামীর দিকে দেখছেন আরেকবার ছেলের দিকে। কি কাজ টা করলো তার কাব্য! ভাবতেই মাথা ঘুরে উঠছে কলি বেগমের।
কিশোর সাহেব বেশকিছুক্ষণ চিন্তিত মুখে বসে থেকে হাতে থাকা মোবাইল টা ঘেটে নজরুল খানের নাম্বার বের করে ফোন করলেন। অপর পাশ থেকে ফোন তুলতেই আংশিক কিছু ঘটনা প্রকাশ করে নজরুল সাহেব কে তার পরিবারসহ তাদের বাড়িতে আসতে বললেন।

কিশোর সাহেবের মতো রাগী একজন মানুষের এমন শান্ত ব্যবহার কিছুতেই হজম করতে পারছে না কথা আর কাব্য। ঝড়ের পূর্বের নীরবতার মনে হচ্ছে পরিবেশটা তাদের কাছে। কিশোর সাহেবের চোখে ইশারায় কলি বেগম নিতুকে কাব্য এর ঘরে নিয়ে গেলেন।

— কথা! তুমি তোমার ঘরে যাও। (গম্ভীর কন্ঠে বললেন কিশোর সাহেব)

কিশোর সাহেবের কন্ঠের গাম্ভীর্য বলে দিচ্ছে সে কতোটা রেগে আছেন। কথা ভয়ে বড়সড় একটা ঢোক গিলে তার ঘরের দিকে পা বাড়ালো।

পিছনে কাব্য আর কিশোর সাহেব একা দাড়িয়ে আছে ড্রয়িং রুমে। আতিকা বেগম তার নিজের বাসায় গেছেন জরুরি কিছু কাজে। তিনি এখানে উপস্থিত থাকলে হয়তো বোম টা আরও জোরে বিস্ফোরণ ঘটাতো। কিশোর সাহেব সোফা ছেড়ে উঠে কাব্য এর দিকে এগিয়ে গেলেন।

কাব্য আগের মতোই মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। হয়তো অনুশোচনা হচ্ছে তার এভাবে বিয়ে করে বাবা মা আর বাকি সবাইকে কষ্ট দেওয়াতে!

কিশোর সাহেব কাব্য এর মুখোমুখি হয়ে হাত দিয়ে কাব্য এর নত হওয়া মাথা টা উঁচু করিয়ে কাব্য এর চোখে চোখ রেখে বলতে শুরু করলেন,
— তুমি আমার গর্ব ছিলে কাব্য! কথা আমার সম্মাণে যেদিন আঘাত করেছিল সেদিন আমি আমার মনকে সান্ত্বনা দিয়েছিলাম এটা ভেবে যে তুমি আমাকে কখনও কারো সামনে ছোট করবে না। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম। তুমি যে এতো বড় হয়ে গেছো সেটা আমার ধারণার বাইরে ছিল। আতিকা আপা নিতুকে আদনানের জন্য পছন্দ করেছেন যেনে আমি একদমই খুশি হই নি। কারণ আমি কথা আর আদনানের বিয়ের কথা চিন্তা করছিলাম। কিন্তু তাই বলে আমি এটা চাই নি যে তুমি নিতুকে বিয়ে করে নেবে তাও আবার এভাবে!

সত্যি তুমি আমাকে অনেক হতাশ করেছো কাব্য। নজরুল সাহেব কে আমি একদমই পছন্দ করি না। কারণ সে দুই বিয়ে করেছে। তাও আবার ছেলের লোভে। আর তুমি কিনা সেই নজরুল সাহেব কে আমার আত্মীয় বানিয়ে দিলে! আমি ভেবেছিলাম বাবা মা সন্তানের ভালো মন্দ দেখার দায়িত্ব পালন করে। কিন্তু তোমরা দুই ভাই-বোন আমার সেই ধারণা সম্পূর্ণরূপে পাল্টে দিয়েছো। যাক তোমরা যদি সুখে থাকতে পারো আমার অসুবিধা কি! তবে আজ থেকে মনে রাখবো তোমাদের জীবনে আমাদের কোনো মূল্য নেই।

কিশোর সাহেবের কথায় কাব্য এর দুচোখ ভরে গেছে। কাব্য কখনও তার বাবাকে ছোট করতে চায় নি। তবুও কি থেকে কি হয়ে গেলো। একজনের ভালো করতে গিয়ে বাকি সবার সাথে অন্যায় করে ফেললো সে!
.
.
.
.
.
.
কিশোর সাহেবের বাড়ির ড্রয়িং রুমে বসে আছেন নজরুল খান আর কিশোর সাহেব নিজে। সাথে বসে আছে নীল আর নীরব। নজরুল সাহেব একা আসেন নি, সাথে তার দুই স্ত্রী, ছেলেরা আর মেয়ে তানিয়াও এসেছে। থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে পুরো বাড়িতে। কাব্য আর নিতুর এমন একটা কাজে কিভাবে প্রতিক্রিয়া করা উচিত সবার কেউই ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না।


কলি বেগমের ঘরে নিতু আর নিতুর মা, বড় মা, কলি বেগম, তানিয়া সবাই উপস্থিত আছে। তাহেরা বেগম আর কলি বেগম মাঝে মধ্যে টুকটাক কথা বলছেন।

নয়নতারা বেগম নিতুর হাত ধরে সবার সামনে থেকে একটু আড়ালে নিয়ে গেলেন।

ব্যালকোনিতে নিয়ে গিয়ে দাড় করালেন নিতুকে। নিতু মাথা নিচু করে আছে। যা দেখে নয়নতারা বেগমের রাগ আরও বেড়ে যাচ্ছে। তবুও গলার শব্দ যথেষ্ট নিচু রেখে বললেন,
— তুই এই কাজ টা করার আগে গলায় দড়ি দিলি না কেনো? আমার মেয়ে যে এই ধরনের একটা কাজ করবে এটা ভাবতেই গা ঘিনঘিন করছে। নিজের উপর ধিক্কার আসছে আমার যে আমি তোর মতো একটা কুলাঙ্গার সন্তানকে পেটে ধরেছি। এই দিনই যদি দেখাবি তাহলে জন্মের পরপরই কেনো মরে গেলি না। আগে জানলে আমিই তোকে মেরে ফেলতাম।

— মা আমি যা করেছি তাতে তোমরা কষ্ট পেয়েছো জানি। কিন্তু বিশ্বাস করো আমি যদি আজ স্বার্থপর না হতাম তাহলে হয়তো সারা জীবন জীবিত লাশ হয়ে থাকতে হতো। আমি আমার সুখটুকু সন্ধান করতে গিয়ে অনেক স্বার্থপর হয়েছি। আমাকে ক্ষমা করে দাও।

— ক্ষমা আর তোকে? কখনই না। তোর জন্য তোর বাবার সামনে সারা জীবনের জন্য আমি ছোট হয়ে গেলাম। কখনও মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারবো না আর।

নয়নতারা বেগম আর নিতুর কথোপকথনে বাঁধার সৃষ্টি করে কলি বেগম নিতুকে সেখান থেকে নিয়ে যায়। কলি বেগম নিতুকে কাব্য এর ঘরে নিয়ে যেতে থাকলে তানিয়াও পিছন পিছন যায়।
.
.
.
.
কাব্য তার ঘরের ব্যালকোনিতে দাড়িয়ে স্মোক করছিল। একদিনে এতো কিছু হয়ে গেছে যে সে বুঝতে পারছে না কিভাবে কি হয়ে গেলো। দরজার টোকা পরার শব্দে কাব্য দ্রুত হাতের সিগারেট টা ফেলে দিয়ে স্বাভাবিক হয়ে দাড়ালো। দরজা ঠেলে কলি বেগম, নিতু আর তানিয়া ঘরে প্রবেশ করলো। কলি বেগম নিতুকে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে ঘরের বাইরে চলে গেলেও তানিয়া নিতুর পাশেই বসে রইলো।

কাব্য ঘরের ভিতর ঢুকতেই সবার আগে তার চোখ তানিয়ার ওপর পরে। কারণ তানিয়া আগে থেকেই কাব্য এর দিকে তাকিয়ে ছিল। তানিয়ার বিয়ের পর এই প্রথম কাব্য তানিয়া কে দেখলো। আজ সারাদিন নিতুর কথা চিন্তা করতে করতে কাব্য এর মাথায় একবারের জন্যও তানিয়ার কথা আসে নি। হঠাত করে আবার তানিয়ার মুখোমুখি পরতেই বুকের বা পাশের চিনচিনে ব্যথাটা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো।

তানিয়া তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে কাব্য এর দিকে তাকিয়ে আছে। তানিয়ার এই দৃষ্টির মানে কাব্য খুব ভালোই বুঝতে পারছে। তানিয়ার অভিমান ভরা দৃষ্টি উপেক্ষা করার সামর্থ কাব্য এর নেই। নিতুকে বিয়ে করায় যে তানিয়া কষ্ট পেয়েছে এবং কাব্য এর সাথে অভিমান করে আছে সেটা কাব্য খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে।

তানিয়া নিজে যেখানে বিয়ে করে সংসার করছে, সেখানে কাব্য এর বিয়ে করাতে তার কষ্ট পাওয়া কি আদৌ যুক্তিসংগত! কারো ভালোবাসা একবার সমাজের জাতাকলে পিষে গেলে কি দ্বিতীয়বার তার ভালোবাসার অধিকার নেই!!

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে