শোভা পর্ব-১৬

0
489

#শোভা
#পর্ব_১৬

সকাল থেকে কণা তার মাকে খুঁজছে জামিলের ব্যাপারে গরম গরম খবর জানাবে বলে, কিন্তু সারাবাড়ি সে মাকে কোথাও পাচ্ছেনা। রিনা বললো, মা সকাল সকাল কোথায় যেন গেলো দেখলাম। কিছু বলে গেলোনা। মুখ অনেক ভারী দেখলাম। আমি জিজ্ঞেস করাতে বললো, আসছি একটু পরই। একটা জরুরি কাজ আছে। আর কিছু বললো না।

– আচ্ছা, বড় আপা ওই জামিল শয়তান টা কি ঘরে আছে? ডাক তো!

– না! কিন্তু ওই টারে আবার খুঁজিস কেনো? মা বের হওয়ার কিছু পরপরই বের হয়েছে দেখলাম।

– আপা, গরম খবর যোগাড় করছি। ওই আপদ বিদেয় করার আর কোনো বাধাই নাই আর!

– কি বলিস? তাই নাকি! কি খবর? তারাতারি বল।

– এজন্য তো মাকে ডাকছি। আচ্ছা তোমাকেই আগে বলি। বীনা আপা তো আজ আসবেনা আর তাইনা! ওর মেয়ের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ও থাকলে আরো মজা হতো।

– না ও আসবেনা। ওকে ফোনে জানানো যাবে।

– তাহলে শোন! তোমার স্বামীর আরেকটা বউ আছে। সে ঘরে একটা বাচ্চাও আছে। আর ও কোনো জেল টেল খাটেনি আর কাউরে খুন ও করেনি। নিজের ফ্লাট আছে। বেশ ভালো ব্যবসাও আছে। টাকা পয়সার অভাব নেই। কয়েকবছর বিদেশেও ছিলো। মোটামুটি ভালো টাকার মালিক।
এখন বরং ওকেই আমরা হেনস্তা করবো। তুমি কোনো চিন্তা করোনা।

– কি বলিস! ওর বউ বাচ্চা আছে? নিজের ফ্লাট আর ব্যবসাও আছে?

– বউ বাচ্চার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপসেট হয়ে গেলা? তোমার জন্য তো ভালোই হলো।

– ওর ব্যবসা বাণিজ্য আছে, ফ্লাট আছে তাইলে তো আমার ওর সাথে থাকায় কোনো প্রোব্লেম নেই। আমি তো ও খুনি আসামি ভেবে ওর থেকে দূরে দূরে থাকি! কিন্তু আমার কথা হলো ও তাইলে মিথ্যে বললো কেনো?

– কি জানি?

– কিন্তু সমস্যা হলো ও বিয়ে করছে।

– তাতে কি? তুমি ওর বড় বউ! কিন্তু, ওর বউ আছে তারপরে ও এইখানে আসছে কেনো তোমাকে নিতে?

– হয়তো আমাকে আর মুহিবকে মিস করছে!

– আরে গাধা! কিছু তো ঝামেলা আছে! নইলে হঠাৎ করে তোদের জন্য অমনি দরদ উথলে উঠবে কেনো? আর ওর বউয়ের সাথেও কোনো ঝামেলা নেই। বুঝতে পারছিনা। এখন তুমি কি চাও তাই বল? আমাদের জন্য এখন সব সাইড দিয়েই পথ ফাঁকা। আর যে পথেই যাবো সেই পথেই লাভ! আহ! ভাবতে ভালোই লাগছে। ওর অত্যাচার আর সহ্য করতে হবেনা!

– কিন্তু, তুই এইসব খবর কই পেলি?

– আরে আমার তো প্রথম থেকেই ওই ব্যাটারে সন্দেহ ছিলো। প্রথমে বুদ্ধিটা মাথায় আসেনি। পরে আমাদের গার্মেন্টেসের জি এম আছেনা, হেলাল! ওই বুদ্ধি দিলো। ওর গতিবিধি খেয়াল করার জন্য। কোথায় যায় না যায়? কার সাথে কথা বলে এসব জানার জন্য আমাকে একজন লোক ঠিক করে দিয়েছিলো ওই হেলালই। এতদিনে সে সাক্সেস হয়েছে। ওর বউয়ের সাথে কথাও বলেছে। লোকটা বড্ড চালাক।

– আসলেই কি সব ঘটনা সত্যি? তাই যদি হয় তাইলে ওকে আমি ছাড়ছিনা! আমি কালই কোর্ট থেকে ডিভোর্সের মামলা তুলে নিবো। আমি ওর সাথে সংসার করবো। ওর বিয়ে হয়েছে কি না হয়েছে তাতে আমার কিছু যায় আসেনা। আমি রাস্তার জঞ্জাল কিভাবে দূর করতে হয় তা ভালোভাবেই জানি। শোভার কথা মনে নাই? ওই হারামজাদীর মতো জামিলের ছোট বউরে কেমনে তাড়াই তে হয় আমার জানা আছে। দেখিস মাত্র এক দেড় মাসের মধ্যেই ও বাপ বাপ করে ভাগবে। যাক একটা ভালো খবর যোগাড় করেছিস। ছেলেটা ও খুশি হবে। বীনা আর মা দেখিস শুনে কি খুশিই না হবে!

– হুম, বুদ্ধি মন্দ করোনি! ওই মহিলাকে ভাগানো আমাদের জন্য জাস্ট ওয়ান টুর ব্যাপার! আর ওই মহিলাও নাকি শোভার মত গাইয়া! আমাদের জন্য কাজটা খুব বেশি কঠিন হবেনা। ওকে! মিশন তোমার সতীন। অনেক দিন পরে আবার জমবে খেলা! হু হু!! তুমি আজকে জামিল ভাই বাসায় ফিরলে ভালো ব্যবহার করবে, যাতে তোমাকে দেখে সে ইমপ্রেস ফিল করে। তুমি ধীরে ধীরে তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবে। একটু সাজগোজ করে থাকবে তার সামনে।

বিকেল তিনটা সাড়ে তিনটার দিকে জহির এর মা বাসায় ফিরলো। দেখতে কেমন যেন বিধ্বস্ত মনে হচ্ছে।
চেহারা একদম মলিন! তাকে দেখেই কণা আর রিনা দুইজনেই দৌড়ে আসলো।

– মা জানো তোমার জন্য একটা মজার এবং দারুণ হট সংবাদ অপেক্ষা করছে! সারাদিন কই ছিলা? ফোনটাও নাওনি সাথে!

– এই তো ছিলাম! আশেপাশেই ছিলাম। এখন আর কথা বলতে ইচ্ছা করতেছেনা। মাথা ধরছে। পরে কথা বলবো। আমি এখন একটু বিশ্রাম নেবো। কেউ ডাকাডাকি করবিনা।

– কিন্তু, মা তুমি খাবানা? আর কণা কি বলে শুনোই না! তোমার মাথা ব্যাথা নিমিষেই দূর হয়ে যাবে।

– আহারে! আমার কথা বলতে মন চাইতেছে না। তোরা বিরক্ত করিস না তো! সারাদিন যত সব ফালতু গল্প মারা ছাড়া আর কোনো কাম নাই কয় বোনের! যত্তসব!

ওদের আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই এ কথা বলতে বলতে ওদের মা রুমে যেয়ে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিলো।

ওরা দুইবোন ওদের মায়ের ব্যবহারে অবাক হয়ে গেলো।

– কি ব্যাপার, বড় আপা! মা এমন করলো কেনো? আর সে তো কোনোদিনই রুমের দরজা লাগায় না। তাও আবার দিনের বেলা। কিছুতো হয়েছে!

– আচ্ছা! রেস্ট নিক। পরে দেখা যাবে! কিন্তু, মুহিবের বাবা তো এখনও আসছেনা!

– আসবে! আসবে! এত অস্থির হয়ো না!

এদিকে জামিল তার শাশুড়ির কাছ থেকে তার ফ্ল্যাট টি তার নামে পাওয়ার দলিল করে নিয়েছে। তার শাশুড়ি তাকে পাওয়ার দলিল করার কারণ জিজ্ঞেস করলে জামিল বললো, আমার টাকার দরকার তাই আমি অন্য পার্টির কাছে ফ্লাটটি বিক্রি করে দিবো। পার্টিও রেডি। তাই অযথা ফ্লাট রেজিস্ট্রেশনের জন্য খরচ করার কি দরকার! আর আমার কাছে অত টাকাও নেই। তাই আপনার হয়েই আমি ওদের কাছে ফ্লাট বিক্রি করার পাওয়ার দলিল নিচ্ছি। আর পাওয়ার দলিলে খরচও কম। আমার কোনো সমস্যাও হলোনা। এরকম অহরহ হচ্ছে। আপনার আর কোনো ঝামেলায় পড়তে হবেনা। যা করার আমিই করবো। আপনার ফ্লাটটি বিক্রি করার পাওয়ার এখন আমার নামে। আপনার আর এর উপর কোনো অধিকার নেই। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি আমি বিক্রি করতে না পারি তাহলেই আপনি এর অধিকার ফিরে পাবেন। তবে সেই পর্যন্ত মনে হয় পৌছাবেনা। আমি কাল পরশুর মধ্যে ফ্লাটটি অন্য পার্টির কাছে বিক্রি করে দিচ্ছি।
জামিল তার শর্ত মোতাবেক তালাকনামায় আর মুহিবের অধিকার ছেড়ে দেয়ার শর্তনামায় নির্দ্বিধায় সাইন করে দিলো।

রাত অনেক হলো। জামিল ফিরছেনা দেখে সবাই চিন্তা করছে। মুহিব তাকে ফোনে চেষ্টা করছে কিন্তু তার ফোন বন্ধ বলছে। কণা আর রিনা বুঝতে পারলো যে সে নিশ্চয়ই তার ছোট বউয়ের কাছে গেছে। এদিকে তাদের মা রুম থেকে বেরই হচ্ছেনা।
ওরা কয়েকবার ডাকাডাকি করলো। কিন্তু সে বলে দিলো যে ক্ষুধা নাই। ক্ষুধা লাগলে নিজেই খেয়ে নিবে। ওরা তার ব্যবহারে চিন্তায় পরে গেলো।

জহিরের মা কি করবে বুঝতে পারছেনা। কিভাবে মেয়েদের কাছে বলবে সেই চিন্তায় ভিতরে বসে অস্থির হয়ে উঠছে। সে তার আদরের নাতি আর মেয়ের জন্য এতকিছু বিসর্জন দিয়েছে একথা শুনলে বীনা আর কণা অনেক ঝামেলা করবে সে জানে। যতই বোনদের মধ্যে মিলমহব্বত থাকুক সে তো জানে যে ভাগের বেলায় কেউ কাউকে ছাড় দিবেনা। তাই কিছুই বলতে পারছেনা। ভিতরে বসে গুমড়ে কাঁদছে আর নামাজে বসে জামিলের চৌদ্দ গুষ্ঠিসহ গালাগালি করছে। সে জানে এই খবর শুনলে বাকিদের কাছে রিনা আর তার ছেলে দুইচোখের বিষ হয়ে যাবে। কি করবে বুঝতে পারছেনা। কিন্তু, বলতে তো হবে। একমাসের মধ্যে বাসা ছাড়তে হবে। বাসায় ফেরার আগে তার অন্য বাড়ির দোতলার ভাড়াটেকে একমাসের মধ্যে বাসা ছাড়ার নোটিশ দিয়ে আসছে।

পরেরদিন সকালে বীনার ডাকে তার ঘুম ভাঙলো। বীনা তার মাকে বললো, মা তুমি দোতলার ভাড়াটিয়া উঠতে বলছো কেনো? দোতলায় নাকি তোমরা শিফট হবা? কি ব্যাপার! হঠাৎ করে বলা নেই কওয়া নেই! এখানে কি সমস্যা? আর দোতলায়ই কেনো? দোতলার ভাড়া তো আমি নিতাম। ওটা বাবুদের লেখাপড়ায় খরচ করার জন্য তুমিই তো আমাকে দিলা! এখন কি হবে?

– যা হওয়ার হবে! তুই তিনতলার ভাড়া নিস। এই কালই প্লান করছি। এখানে কিছু সমস্যা আছে! তুই বুঝবিনা। ওদের কারো কাছেও বলিনাই।

– মা, এইটা কিন্তু ঠিক না। তুমি কি এমন ঘটছে যে আমাদের কাছে বলতে পারবা না। কি হইছে? আমার কাছে তোমার বলতেই হবে?

– বললাম তো পরে বলবো।

কণা, রিনা সবাই তার মায়ের সিদ্ধান্তে অবাক না হয়ে পারলোনা। প্রশের পর প্রশ্ন করছে তার মাকে কিন্তু সে কোনো উত্তরই দিচ্ছেনা। বেলা এগারোটার দিকে রিনার নাম্বারে কোর্ট থেকে ফোন এলো। রিনা কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফ্লাটের কাহিনীর কারণে তার মায়ের কাছে জামিলের ব্যাপারে কোনো খবর বলতে মনেই নেই।

এদিকে জামিল পরেরদিনই শোভার নামে ফ্লাটটি রেজিষ্ট্রি করে দিলো। ফ্লাটের রেজিষ্ট্রি খরচ অবশ্য শোভাই দিলো। শোভা জামিলের এই ধরণের মহানুভবতা দেখে আনন্দে চোখ ভিজিয়ে ফেললো।

– জামিল ভাই, আপনি কি মানুষ নাকি ফেরেশতা? এতো ভালো মানুষও পৃথিবীপৃষ্ঠে আছে আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছিনা। আপনার এই ঋণ আমি কি করে শোধ করবো? একজন অপরিচিত মানুষের জন্য এত বড় ত্যাগ কেউই করবেনা। আপনি যেটা করলেন এটা আমার আপন ভাই ও করবেনা। বলে কাঁদতে কাঁদতে শোভা বারবার আঁচলে তার চোখ মুছছে।

– আরে বোকা! আমি কি কোনো পর মানুষের জন্য কি ত্যাগ স্বীকার করছি। তুমি তো আমার বোনই। আমি কি তোমার পর? তোমার বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকালে আমি আমার দুইচোখের পানি আটকাতে পারিনা। কোথাও না কোথাও এর জন্য আমিও দায়ি। আমি যদি রিনাকে প্রথম থেকে এরকমভাবে বেপরোয়া চলাফেরা আটকাতে পারতাম তাহলে হয়তো সে তোমার সাথে এত অন্যায় করতে পারতোনা।

– যাক! বাদ দিন ওইসব কথা। আপনাকে সারাজীবন এভাবে আমার বড় ভাইরূপে যেন পাশে পাই। আমার আর জান্নাত জিনাতের জন্য আর কোনো চিন্তা নেই। আমি ওদের জন্য একজন অভিভাবক পেলাম।

– আমি আমার মায়েদের জন্য একটা উপহার রেখেছি। ওটা বাসায়। চলো, বাবুরা বাসায় তোমার অপেক্ষায় আছে। আর তুমি পারভিনকে একটু সবকিছু বুঝিয়ে বলো। সবকিছু শুনে ও আমার উপর একটু রেগে আছে।

– আর আবার কি গিফট? আর ভাবির রাগার ই তো কথা। এতবড় একটা মিশনে গেলেন কিন্তু ভাবিকে বলেন নি। আপনার জন্য তো তার চিন্তা হয় নাকি! আমি আপনাকে বারবার বলতে বললাম আর আপনি তো আমাকে থামিয়ে দিলেন। আমি ভাবিকে বুঝিয়ে দিবো। টেনশন করেন না।

বাসায় এসে জামিল আলমারি থেকে গয়নার বাক্স এনে শোভার হাতে দিলো। শোভা বক্স খুলে একদৃষ্টিতে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকলো। তার চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পরে গয়না ভিজে যাচ্ছে। শোভা যেন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লো।

– কি ব্যাপার, শোভা? কাঁদছ কেনো? এটা শাশুড়ি আম্মার থেকে বের হয়েছে! বুড়ি এত ভারি গহনা দিয়ে করতো কি?

– জামিল ভাই, এই গহনা নিয়ে ঘটেছিল এক বিশাল ইতিহাস! গহনা গুলি আমার শাশুড়ির না। এগুলি জহির আমাকে দিয়েছিল মারা যাবার মাসখানেক আগে! এগুলি ওরা আমার কাছ থেকে জোর করে ছিনিয়ে নিয়েছিল! পরে আরেকদিন বলব! তবেই গহনাগুলো আমি নিতে পারছি না। আপনি আমার জন্য অনেক করেছেন আর কত করবেন বলেন?
আমার নিজেরই এখন লজ্জা করছে। আপনি আমাকে গিফট দিয়েছেন, আমি পেয়েছি। এটা আমি আমার তরফ থেকে পারভিন ভাবিকে গিফট দিয়ে দিলাম।
বলেই শোভা গয়নার বাক্সটি আরেকবার ভালো করে দেখে নিয়ে পারভীনের হাতে দিতে গেল।

পারভিন একটু হেসে বললো, শোভা আপা, আমি গরিব ঘরের মেয়ে। যতটুকু পেয়েছি ততটুকু যে কোনোদিন পাব চিন্তাই করিনি। আপনাদের দোয়া আর আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার কাছে অনেক কিছুই আছে। আপনার জামিল ভাই অনেক কিছুই দিয়েছে। এটা আপনার আমানত। আপনার কাছেই থাকুক। আপনার স্বামী আপনাকে দিয়েছে। এই গহনার একমাত্র হকদার আপনিই।

– সেই স্বামীই তো নেই। পরে দেখাবো কাকে বলেন? এটা আপনিই রাখেন। আমার পক্ষ থেকে ছোট্ট একটা উপহার মনে করে।

– তাতে কি? পরবেন, মেয়েরা দেখবে। আর এগুলি বড় হলে ওদের কাজে লাগবে। দুই মেয়েকে বাবার স্মৃতিস্বরূপ দিবেন। ওদের ভালো লাগবে।

শোভা আবেগাপ্লুত হয়ে পারভিনকে জড়িয়ে ধরলো।

– আমার শশুরবাড়ির দিক থেকে কোনো আত্মীয়ই পাইনি। এজন্য অনেক খারাপ লাগতো। এখন ভালো লাগছে যে একটা ননদ পেয়েছি। পুতুলের মতো দুটি ভাগ্নি পেয়েছি। কখনোই আমাদের পর করে দিবেন না, শোভা আপা। যাক আমার ছেলে টা একজন ফুপু পেয়েছে। আপনার কাছে আমার দাবি আমাদের কোনোদিন পর করে দিবেন না।

– সেই দিন আসার আগে যেন আমার মৃত্যু হয়, ভাবি। আর আমাকে ননদই যদি ডাকলে তবে আর আপনি নই। এখন থেকে তুই!

পারভিন শোভাকে তার বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।

– আজ থেকে তুই আমার শুধু ননদই না! আমার ছোট বোন।

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে