#শুধু তুই #
#Part_08
Writer_ Raidah Islam Nova
বেশ কিছুদিন কেটে গেছে।১০-১২ দিনের মতো হবে।এর মধ্যে আইভি বা এশা কারো সাথে জন ও ফারিশের কথা হয় নি।ওরা দুজন এতিমখানা নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। কিন্তু দুজনি আড়াল থেকে প্রতি দিন এশা ও আইভিকে দেখে যেত।আইভি, এশা ও রিনির মাঝে বন্ধুত্বটা আরো গভীর হয়েছে।কেউ কাউকে ছারা এক মুহূর্ত ও থাকতে পারে না।
আমি এখন ধুমছে পড়াশোনা মনোযোগ দিয়েছি।অন্যদিকে তাকানোর কোন সময় নেই। আমি ও এশা কোচিং সেন্টার ভর্তি হয়েছি।রিনি পড়বে না।ওর টিউশনির টাকায় কোচিং, পড়ালেখা, ভার্সিটির খরচে হবে না।আমরা বলেছিলাম ম্যানেজ করে দিবো কিন্তু মানে নি।আজ বিকেলে কোচিং শেষ করে ফিরছিলাম।বাসা থেকে ২০ মিনিট লাগে যেতে।আমি হেঁটে ফিরছি।আজ এশু আসে নি।ওর নাকি মাথা ব্যাথা করছে।যত্তসব ন্যাকামী,আজ কোচিং – এর পড়া শিখেনি তাই আসেনি।সেটাতো চাচিকে বলতে পারে না তাই ভনিতা করে বলছে মাথা ব্যাথা করছে।রাস্তাটা বেশ নির্জন।রাস্তার কিনারা দিয়ে কিছু ভাবতে ভাবতে হাটঁছি।
অনেকক্ষন ধরে মনে হচ্ছে কেউ আমাকে ফলো করছে।পেছনে তাকিয়ে কাউকে দেখছি না।৪ দিন আগে একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে। মেহেদী ভার্সিটির সবার কাছ থেকে মাফ চেয়েছে।রিনির কাছেও এসে সুন্দর করে মাফ চেয়েছে। এর পেছনে যে নাহানের অন্যতম ভুমিকা আছে।সেটা আমি জানি।মেহেদীর এহোম ব্যবহারে আমরা সবাই অবাক।বেচারা রিনিতো ভয়েই শেষ। যাওয়ার আগে মেহেদী রিনিকে একটা চোখ মেরে সেখান থেকে চলে গেল। ওর কান্ড দেখে আমাদের তিনজনের মুখ বাংলা ৫ এর মতো হয়ে গেছে। মেহেদীর মুখ, চোখ জায়গায় জায়গায় কালো হয়ে আছে।ডান পা খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটছিলো।আমি তখন ভাবছিলাম মেহেদীর এই অবস্থা কে করলো? নাহান তো মারামারিতে নেই। তাহলে করলোটা কে?
এসব ভাবতে ভাবতে রাস্তা দিয়ে হাঁটছি। হঠাৎ কেউ আমার হাত ধরে হেচকা টান দিলো।আমি টাল সামলাতে না পেরে তার বুকের ওপর হুমড়ি খেয়ে পরলাম।আচমকা এমন হওয়ায় ভয়ে সামনে থাকা ব্যাক্তিটাকে জড়িয়ে ধরলাম।ঠিক তখনি একটা বাস আমাদের ক্রস করে চলে গেল।আমি তার মুখের দিকে তাকিয়ে তারাতাড়ি করে ছেড়ে দিলাম।এই সবকিছু একজন গাছের আড়াল থেকে দেখছেিলো।রাগে সামনে থাকা গাছটাকে জোরে জোরে পরপর কয়েকটা ঘুষি মারলো।
আমিঃ মি. নাহান আপনি?
নাহানঃ কোন ধ্যানে রাস্তা দিয়ে চলো?নিজের জীবনের মায়া নেই। আমি যদি ১ মিনিট দেরি করতাম তাহলে এখন লাশ হয়ে পরে থকতে।( রেগে+ধমক দিয়ে)
আমিঃ স স স স রি। আ আ আ মি বুঝতে পারি নি।
( ভয়ে ভয়ে)
নাহানের মুখে রাগ বিদ্যমান।যা দেখে আমার হাত- পা কাঁপছে।
নাহানঃ গাড়িতে উঠো, তোমাকে বাড়িতে পৌছে দিয়ে আসি।একা ছারলে আবার কোন অঘটন ঘটিয়ে ফেলবে।
আমিঃ আমি চলে যেতে পারবো।
নাহানঃ গাড়িতে উঠতে বলেছি।২য় বার বলতে না হয়।( রেগে)
আমি কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ গাড়িতে উঠে পরলাম।ড্রাইভারের সিটে নাহান বসলো।পােছনের সিটে আমাকে বসতে হলো।গাড়ি চলছে আপন গতিতে চলছে।
নাহানঃ যদি কিছু মনে না করো একটা আবদার করবো রাখবে।
আমি কপাল কুঁচকে ওনার দিকে তাকিয়ে আছি।কি এমন আবদার করবে?নাহান আয়নায় আমার দিকে তাকিয়ে আমার মনের ভাব বুঝতে পারলো।
নাহানঃ এতো চিন্তা করতে হবে না।আমি এমন কিছু চাইবো না যা তোমার সাধ্যের বাইরে।
আমিঃ কি এমন কিছু চাইছেন? যাতে আমি টেনশনে পরে গেছি।
নাহান মুচকি হাসলো।
নাহানঃ তেমন কিছু না।তোমার যদি আপত্তি না থাকে আমরা এক সাথে এক কাপ কফি খেতে পারি।সামনেই একটা কফি হাউস আছে।সেখানকার কফি অনেক ভালো।
আমিঃ ওহ্ এই ব্যাপার।আমি ভাবলাম কি না কি?
নাহানঃ তোমার যেতে ইচ্ছে না থাকলে যেতে হবে না।
আমিঃ ঠিক আছে চলেন।আমার জীবন বাঁচিয়েছেন এতটুকুতো করতেই পারি
নাহান ও আমি কফি হাউসে গেলাম।একটা টেবিলে বসলাম।মুখোমুখি বসেছি।নাহান দুই কাপ চকলেট কফি অর্ডার করলো।আমি নিজের কাছে ইতস্ততায় পরে গেলাম।নাহান ফোনে মনোযোগ দিয়ে কি যেনো করছে? আমি এদিক সেদিক তাকাচ্ছি।কফি হাউস অনেক সুন্দর করে সাজানো।
আইভিদের দুই টেবিল পেছনে দুই হাত মুঠো করে রাগ কন্ট্রোল করছে ফারিশ।রাস্তায় আইভিকে ফলো করছিলো।পুরো রাস্তায় ওদের গাড়ির পেছনে রিকশা করে ওদের ফলো করতে করতে এসেছে।কফি হাউসের সামনে গাড়ি থামতেই বুঝতে বাকি রইলো না ওরা এখানে কেন এসেছে?নাহান গাড়ি পার্ক করতে গেলে তার আগেই কফি হাউসে ফারিশ ঢুকে পরলো।নাহানের সাথে আইভিকে দেখে মাথাটা গরম হয়ে গেছে।কফি হাউসে একসাথে দেখে এই মুহূর্তে কি করতে মন চাইছে ও নিজেও জানে না।কালকে ভার্সিটিতে গিয়ে এর উসুল আইভির ওপর কিভাবে উঠাবে তাই ভাবছে।ইচ্ছে তো করছে নাহানকে মেরে আইভির গালে দুটো চড় মেরে কোলে করে উঠিয়ে নিয়ে যেতে।
কফি চলে এলো।নাহান আমার দিকে একটা কাপ এগিয়ে দিয়ে নিজেও আরেকটাতে চুমুক দিলো।হঠাৎ একটা ওয়েটারের আমাদের টেবিল ক্রস করে যাওয়ার সময় হাত থেকে কিছুটা কফি আমার বোরকায় পরে গেলো।
ওয়েটারঃ আই এম সরি ম্যাম।আমি খেয়াল করি নি।( ভয়ে ভয়ে)
আমিঃ ইটস্ ওকে।
নাহানঃ আর ইউ ওকে আইভি?
আমিঃ হ্যাঁ, আমি ঠিক আছি।
নাহানঃ দেখে শুনে চলতে পারেন না।পরেরবার থেকে ভালো মতো কাজ করবেন।
( ওয়াটারের দিকে তাকিয়ে কিছুটা বিরক্ত হয়ে)
আমিঃ ওনাকে শুধু শুধু বকছেন কেন? উনিতো দেখতে পায় নি।
ওয়াটারঃ আমি সত্যি দেখি নি ম্যাম।
আমিঃ কোনো সমস্যা নেই। আপনি আসতে পারেন।আমি ওয়াশরুম থেকে আসছি।
( নাহানের দিকে তাকিয়ে)
নাহানঃ আচ্ছা যাও।তাড়াতাড়ি এসো।
ওয়েটারটা ফারিশের টেবিলের সামনে গিয়ে একটা রহস্যময় হাসি দিলো।হাতের বুড়ো আংগুল উঁচু করে বুঝালো সব ঠিকমতো আপনার প্লান মতো হয়েছে।
ফারিশ মাথা নারিয়ে মুচকি হাসলো।ফারিশ ওয়েটারকে কিছু টাকা দিয়ে আইভির গায়ে কফি ফেলে দিতে বলেছে।হঠাৎ করে আইডিয়াটা মাথায় এলো। কাজে লাগিয়ে দিলো।
আমি ওয়াসরুমে চলে এলাম। ভেসিন থেকে পানি নিয়ে বোরকা হালকা করে মোছা দিচ্ছি ।আচমকা কেউ আমাকে টান দিয়ে দেয়ালের সাথে হাত চেপে ধরলো। আমি চিৎকার করতে নিলে একহাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলো। সামনে তাকিয়ে দেখি ফারিশ।
ফারিশঃ এই দুই হাত দিয়ে নাহানকে জড়িয়ে ধরেছিলে তাই না।( রেগে)
কথাটা বলে আরো জোরে আমার হাত দুটোকে চেপে ধরলো। আমার মনে হচ্ছে হাতের হাড় গুলো ভেংগে যাচ্ছে।আরেক হাত দিয়ে মুখ ছেরে দুই গাল জোরে চাপ দিয়ে ধরলো।ব্যাথায় আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরছে। ফারিশের ফর্সা মুখটা রাগে টকটকে লাল হয়ে আছে।
ফারিশঃ কষ্ট হচ্ছে।অনেক কষ্ট হচ্ছে।আমার ও হচ্ছিলো যখন ঐ নাহানকে জড়িয়ে ধরেছিলে।কি এমন আছে ওর মাঝে যার কারণে আমার থেকে ওকে ভালো লেগে গেলো।একবার বলতে না বলতে ওর সাথে কফি হাউসে চলে আসতে হলো।ও বুঝেছি ওর তো অনেক টাকা আছে।যা আমার নেই। তাই নাহানকে ভালো লাগে।( রেগে দাঁতে দাঁত চেপে)
আমিঃ আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন?
ফারিশঃ হুম,আমি তোর জন্য পাগল হয়ে গেছি।আমার সবকিছু #শুধু তুই #। আমার জীবন,মরণ, স্বপ্ন, বাস্তব সব #শুধু তুই #।আমি তোকে ছারা বাঁচবো না।তুই আমাকে কেন বুঝিস না।নাহানকে অনেক ভালো লাগে।কারণ ওর টাকা আছে যা আমার তো নেই।আমি এতিম,আমি খ্রিস্টান তার জন্য।
আমিঃ কি যা তা বলছেন?
ফারিশঃ কি বললাম শুনতে পাও নি? নাহানের সাথে থেকে কি কানেও কালা হয়ে গেছো?
আমিঃ কি নাহান, নাহান শুরু করেছেন?
ফারিশঃ সত্যি কথা শুনতে কারোর ভালো লাগে না।
আমি হা করে ফারিশের দিকে তাকিয়ে আছি। কি বলছে এসব? মাথাটা গেলো নাকি।মুখটা চেপে ধরার কারণে কথাও বলতে পারছি না।ফারিশকে দেখে অনেক ভয় করছে।চোখ দুটো রক্তবর্ণ ধারণ করছে।
ফারিশ আইভিকে ছেরে দিয়ে পেছন দিকে ঘুরে নিজেই নিজের মাথার চুল খামচি দিয়ে ধরলো।আইভি বড় করে নিশ্বাস নিচ্ছে।গাল, হাত দুটো অনেক ব্যাথা করছে।
ফারিশঃ ও মাই গড আমি কি ছেরে কি বলে ফেললাম।ফারিশ কুল ডাউন।মাথা ঠান্ডা রাখ।তুই এমন করলে আইভি তোকে আরো ভয় পাবে।ভয় পেলে তোর থেকে দূরে দূরে থাকবে।আর ও দূরে থাকলে তুই তো বাঁচবি না।অনেক কষ্ট করেছিস জীবনে। আরেকটু কর।নইলে তোর রাণী কে সারাজীবনের জন্য হারিয়ে ফেলবি।নিজের প্রতি কন্ট্রোল রাখ।আইভির সাথে এমন ব্যবহার করিস না।রাগটাকে কন্ট্রোল করা শিখে নে।নয়তো তোর শুধু তুই টা তোকে ছেরে অন্য কারো হয়ে যাবে।সেটা নিশ্চয় তুই তা হতে দিবি না।তাই নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা কর।( বির বির করে)
আমি প্রশ্নবোধক চিহ্ন নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছি।দুই আংগুল দিয়ে কপালে স্লাইড করছে।আর কি জানি বির বির করে বলছে।
???
এশা খাটের ওপর বসে বালিশে হেলান দিয়ে ফেসবুক চালাচ্ছে।কিছু সময় পর পর ওর মনে হচ্ছে কেউ জানালায় ঢিল মারছে।১মে মনে করেছে পাশের বাসায় কাজ করছে।আবারও ঢিল মারার শব্দ কানে এলো।ওদের ফ্ল্যাটটা দুই তালায়।চার রোম ও একটা ড্রয়িং রুম। ওর রুমে শুধু বারান্দা আছে।ইশা আপু চলে গেছে ৬ দিন আগে।এশা উঠে বারান্দায় গেলো।কাউকে দেখতে পেলো না।রুমে ঢোকার জন্য পেছনে ঘুরলেই কেউ ওর নাম ধরে ডাকলো।
এশাঃ কে ডাকে? কাউকে তো দেখতে পাচ্ছি না।আরেককবার ডাকলে মুখ সেলাই করে দিবো।
আবারও ওর নাম ধরে কেউ ডাকলো।এশা বিরক্ত নিয়ে জোরে জোরে বললো।
এশাঃ এবার যদি নিচে এসে খুঁজে পাই না তাহলে রান্নাঘর থেকে রুটি বানানোর বেলুন নিয়ে দৌড়ানি দিবো।ফাজলামির একটা লিমিট আছে।দূরের থেকে ডাকছেন কেন? সামনে আসতে পারেন না।ভিতু কোথাকার?
যাকে এতক্ষন বকলো তার কানে বোধহয় কথাগুলো যায়নি।তাই আবারও এশা বলে কেউ ডাকলো।এবার নিচের দিকে তাকিয়ে জনকে দেখতে পেল।
এশাঃ বলি আমি কি কানে কালা? ( চেঁচিয়ে)
জনঃ আমারতো তাই মনে হয়।
এশাঃ কি বললেন আপনি? ( রেগে)
জনঃ যা বললাম তা তো শুনতেই পেরেছো।নিচে এসো।
এশাঃ আসবো না।
জনঃ না আসলে আর কি করার আমিই চলে আসি।
এশাঃ একদম না।যেখানে আছেন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকুন।আমি আসছি।
জনঃ আমার ডোজটা তাহলে কাজে দিয়েছে।মহারাণী নিজেই নিচে নামতে রাজী হয়ে গেছে।
এশা বারান্দা থেকে এসে দরজা আটকালো।বির বির করে জনকে বকতে বকতে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলো।
জন এক হাত পেছনে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এশা, জনকে নিয়ে বাড়ির পেছন দিকটায় চলে এলো।কেউ দেখলে সমস্যা হতে পারে।
এশাঃ কি হয়েছে? ডাকছেন কেন? জলদী বলুন।কেউ দেখে ফেললে সমস্যা হবে।
জনঃ তুমি একদমে এতগুলো প্রশ্ন করো কি করে?
এশাঃ কথা কম বলুন।কেন নিচে ডেকেছেন সেটা বলুন।আপনি এখানে কি করছেন? ( ভ্রু কুঁচকে)
জনঃ তোমাকে দেখতে মন চাইছিলো তাই চলে এলাম।
এশাঃ আমাকে আপনার দেখতে মন চাইবে কেন?
জনঃ ভালবাসি তাই।
এশাঃ এই মিয়া আপনার মাথার দুই একটা স্ক্র কি ঢিলা হয়ে গেছে।নাকি দিন দুপুরে নেশা করে আসছেন।গাঁজা – টাজা খান নাই তো আবার।
জনঃ কি বলো এসব?
এশাঃ যা সত্যি তাই বলি।
জন হাঁটু গেড়ে বসে পরলো। পেছন থেকে হাত বের করলো।হাতে একগুচ্ছ লাল গোলাপ।
জনঃআই লাভ ইউ সো মাচ।ডু ইউ লাভ মি?প্লিজ এনসার মি।ডু ইউ লাভ মি? ইউ কিপ সাইলেন্ট আই আন্ডারস্টেন্ড ইয়েস।সো এনসার মি?ইয়েস অর নো।
এশা মূর্তীর মতো দাঁড়িয়ে আছে।নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না।ওর মন বার বার বলছে এশা তুই ভুল শুনেছিস।জন কেন তোকে ভালবাসবে?
জনঃ আই লাভ ইউ। প্লিজ এনসার মি।
এশা এবার নিজের হাতে চিমটি কাটলো।ও স্বপ্ন দেখছে না তো।চিমটিতে ব্যাথা পেয়ে আহ্ শব্দ করলো।তার মানে সে স্বপ্ন দেখছে না।
জনঃ উত্তর টা কি দেবে?
এশাঃ এখান থেকে চলে যান। কেউ দেখে ফেললে সমস্যা হয়ে যাবে।
জনঃ আমার উত্তর না দিলে আমি কোথাও যাবো না।
এশাঃ আপনি এখান থেকে যাবেন।
জনঃ না।আগে আমার উত্তর দেও।
এশাঃ আপনার উত্তর “না”।
জনঃ সত্যি। ( কাঁদো কাঁদো সুরে)
এশাঃ হুম।
এশা কথা না বলে সেখান থেকে দৌড়ে চলে এলো।রুমে এসে দরজা আটকে খাটে থ মেরে বসে রইলো।
এশাঃ আমার খারাপ লাগছে কেন? আমিতো জনকে ভালবাসি না।তাহলে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল কেন? ওকে ফিরিয়ে দিয়ে আমার কষ্ট হচ্ছে কেন? তাহলে কি আমিও –না না আমি কি ভাবছি এসব।আমার ফ্যামেলি কখনো জনকে মেনে নিবে না।আমি চাই না আমার জন্য পরে জন কষ্ট পাক।তারচেয়ে এখন আমাকে ভুলে যাক সেটাই ভালো হবে।
জন ছলছল চোখে এশার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলো।হাতে থাকা গোলাপ ফুল গুলো সজোরে মাটিতে ছু্ঁড়ে মারলো।রাগে, ক্ষোভে ইচ্ছে করছে নিজেকে শেষ করে দিতে।নিচের দিকে তাকিয়ে গুটি গুটি পায়ে গেইট দিয়ে বের হয়ে গেল।
( চলবে)
#