শুধু তুই Part-06

0
2771

#শুধু তুই
#Part_06
Writer- Raidah Islam Nova

আমি চিৎকার করতে নিলে সামনে থাকা ব্যাক্তিটা
আমার মুখ চেপে ধরলো। আচমকা এমন হওয়ায় আমি কিছুটা ঘাবড়ে গেলাম।সামনে থাকা মানুষটাকে দেখে অনেক অবাক হয়ে গেলাম।মিষ্টি দেখতে একটা মেয়ে আমার মুখ চেপে রেখেছে। আমি ওকে চিনি না। মেয়েটা চোখ মুখে আতংক নিয়ে আমার মুখের থেকে ওর হাতটা সরালো।আমি হা করে ওর দিকে তাকিয়ে আছি ।

আমিঃ কে তুমি?

— আমি এক্সট্রেমলি সরি।আমি তোমার মুখ চেপে ধরতে চায়নি।এছারা আমার কিছু করার ছিলো না।তুমিতো জোরে চিৎকার করে আমাকে গণ ধোলাই খাওয়াতে।তাই না পেরে আমাকে এই কাজটা করতে হয়েছে। তুমি প্লিজ কিছু মনে করো না।

আমিঃ আমিতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।তুমিতো বললে না তুমি কে? এরকম একটা নির্জন জায়গায় তুমি একা একটা মেয়ে কি করছো?এভাবেই চারিদিকে বাজে ছেলে মেয়ের অভাব নেই।

—- আমি রিনি আক্তার।এই দুদিন ভার্সিটিতে আসিনি।
সব কিছু নতুন। কিছু চিনি না।তার মধ্যে পরেছি বিপদে।প্লিজ তুমি আমায় একটা হেল্প করবে।

রিনির কথা বলার ধরণ, ব্যবহারটা আময়িক।দেখে মনে হচ্ছে খুব সহজ- সরল।আমার খুব ভালো লাগলো।

আমিঃ হুম বলো।

রিনিঃ দেখো না পেছন দিয়ে আমার জামার অনেকটা অংশ ছিঁড়ে গেছে।আমি এখন কি করবো?আমি আমার ডিপার্টমেন্টের ক্লাস টাও খুঁজে পাচ্ছি না।এই অবস্থায় আমি এখান দিয়ে গেলে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে হাসবে

আমিঃ কোথায় ছিঁড়ে গেছে দেখি?
রিনিঃ এই যে দেখো।

রিনি পেছন দিকে ঘুরলো।পেছনে কোমড় দিকটা অনেক খানি ছিঁড়ে গেছে। আমি ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছি ওর চেহারার দিকে।এভাবে তো ছেড়ার কথা নয়।আমি আমার হিজাব থেকে পিন ও সেফটিপিন খুলে রিনি জামার ছেঁড়া অংশটাকে আটকাতে লাগলাম।এমনভাবে ছিঁড়েছে যে কিছুতেই আটকাতে পারছিলাম না।

আমিঃ রিনি সত্যি করে বল তো কি করে ছিঁড়ে গেছে জামাটা।
রিনিঃ গাছের ডালের সাথে বেজে।
( আমতা আমতা করে)
আমিঃ আমি সত্যি করে বলতে বলেছি।তুমি আমায় মিথ্যে বলছো কেন?

আমার কথা শুনে রিনি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো। ওকে আমি কাঁদতে দেখে আমি কিছুটা বিব্রত হয়ে যায়।

আমিঃ কি হয়েছে রিনি? বল আমায়। কে করলো এসব? তুমি আমায় বলো।আমি নিশ্চয় কোনো রিয়েকশন নিবো।( উৎকন্ঠ হয়ে)

রিনি কান্না থামিয়ে কৃতজ্ঞতার চোখে তাকিয়ে সব কিছু বললো।সব কথা শুনে রাগে আইভির কান দিয়ে মনে হচ্ছে ধূয়া বের হচ্ছে। মানুষ এতটা তিতা বেহায়া কি করে হতে পারে? সেদিন এতো মার খেলো,বকা শুনলো তারপরও এসব ছিঃ। ভাবতেই গা গুলিয়ে আসছে ওর।রিনির জামার পেছনের অংশটা অনেক কষ্ট করে কিছুটা ঠিক করে ওরনা দিয়ে ঢেকে দিলো।তারপর হাত ধরে প্রায় টানতে টানতে রিনিকে নিয়ে যেতে লাগলো প্রিন্সিপালের রোমের দিকে।আজ এর শেষ দেখেই ছারবে।মানুষের ধৈর্য্যর একটা সীমা আছে।

রিনিঃ কোথায় নিয়ে যাচ্ছো আমাকে?কথা বলছো না কেন?

আইভির কানে কথাটা পৌঁছালো না।ও রেগে বোম হয়ে আছে।দেখে মনে হচ্ছে একটু পরেই ফেটে যাবে।

???

ফাদার,জন,ফারিশ তিনজন খুব ভোরে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেছে। সেখানকার একটা চার্চে বাংলাদেশের সব নামি দামি ফাদারদের তিনদিন ব্যাপী এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ফারিশের আসতে মোটেও ইচ্ছে করে নি।কিন্তু ফাদারের মুখের ওপর কখনো না বলতে পারে না।তাই
না চাইতেও আজ এখানে আসতে হলো।

আইভিকে না দেখে তিন দিন কাটাতে হবে।কে জানে ও ফারিশকে মিস করবে কি না? পরক্ষণেই মনে হলো আইভি ওকে মনে কেন করবে? ফারিশ তো এখনো ওর কাছে আননোন পার্সন।মনটা আবারও বিষিয়ে গেল।বাসের জানালায় হেলান দিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করলো।জন পাশের সিটে বসে কানে হেড ফোন গুঁজে গান শুনছে।

মাথাটা হেলান দিয়ে রাখায় কখন যে ঘুমিয়ে পরেছে ফারিশ সেটা নিজেও জানে না।হালকা বাতাসে বেশ ভালো লাগছে।কপালে পরে থাকা সিল্কি চুলগুলো বাতাসের তালে তালে উড়ছে।ওর চুলের কালারটা বাদামি ও হালকা কফি কালারে মিশ্রিত ছিলো।বাংলাদেশে আসার পর এ দেশের মানুষের সাথে নিজেকে মানাতে চুলের কালার চেঞ্জ করে কালো করো ফেললো।সবকিছু যখন বদলে ফেলেছে তাহলে চুলের কালারটা বাকি থাকবে কেন । কিছু সময় পর জনের ডাকে ঘুম ভাংগলো।

জনঃ ফারিশ ওঠ।কি রে কত ঘুমাবি? ঐ খানে গিয়ে ঘুমাস।এখন ওঠ।আমরা চলে এসেছি।

ফারিশঃ কি হয়েছে? ষাঁড়ের মতো চেচাচ্ছিস কেন? মাত্র চোখটা লেগে এসেছিলো। দিলিতো ঘুমের বারোটা বাজিয়ে।( বিরুক্তি হয়ে)

জনঃ আমরা চলে এসেছি। বাস থেকে নামবো।
ফারিশঃ এসে যখন পরেছি। চল তাহলে।

বাসের সবাই ওদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। বিদেশি ছেলেদের মুখে এতো সুন্দর করে বাংলায় কথা বলতে দেখে কেউর চোখের পলক পরছে না।সবাই একটা ঘোরের মধ্যে আছে।ওরা তিন জন ল্যাগেজ নিয়ে বাস থেকে নেমে গেল।এটা নতুন কিছু নয়।বেশিরভাগ সময় ওরা এরকম পরিস্থিতিতে পরেছে তাই এসব কে কিছু মনে করে না ওরা।

বাস থেকে নেমে একটা ভ্যান গাড়ি ডেকে তাতে চড়ে বসলো।গ্রামের আঁকাবাঁকা মাটির রাস্তা।পরিবেশটা শান্ত, চারিদিকে পাখির কিচিরমিচির শব্দ,মিষ্টি বাতাস বইছে দক্ষিণ দিক থেকে।এখানকার মানুষের জীবন – যাপন অনেক সহজ সরল।চারিদিকে টিনের ঘর।দালানকোঠা খুব কম।রাস্তার পাশে সারি করে কলাগাছ লাগানো।পরিবেশটা খুব ভালো লাগছে ফারিশ ও জনের কাছে।অনেকদিন পর এরকম জায়গায় এলো।দীর্ঘ ৩ ঘন্টা জার্নি করার পর গন্তব্যে পৌঁছাল।চার্চের থেকে কিছুটা দূরে একটা টিনের ঘরে ওদের থাকার ব্যবস্থা হলো।সেখানে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নিলো।

???

কোনো কথা না বলে আমি রিনিকে নিয়ে সোজা প্রিন্সিপালের রুমে চলে এলাম।

আমিঃ মে আই কাম ইন, স্যার।

আজকে প্রিন্সিপালের রুমে সকল স্যার -ম্যামকে নিয়ে মিটিং হচ্ছে।যার কারণে নাহান এসেছে।প্রিন্সিপালের চেয়ারে দু হাত সামনের টেবিলে রেখে বসে আছে নাহান।গায়ে চকলেট কালারের
কোর্ট- প্যান্ট। স্যার- ম্যাডামরা তাদের মতামত জানাচ্ছে।নাহান গভীর মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শুনছে।আমি পারমিশন চাইতেই সবাই আমার দিকে রেগে তাকালো।মিটিংয়ের সময় কোনো ডিস্টার্ব করা ভার্সিটিতে এলাউ না।ভাইস প্রিন্সিপাল স্যার আমায় ধমক দিয়ে বললেন……

এখানে কি দরকার তোমাদের? একটু পরে এসো।দেখছো না আমরা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং – এ বসেছি।যাও এখান থেকে।পরের বার যদি এরকম করো তাহলে তোমাকে ভার্সিটি থেকে টি.সি দিয়ে দিবো।

আমিঃ সরি, স্যার আপনাদের ডিস্টার্ব করার জন্য।আমি জানতাম না আপনারা এখন মিটিং – এ আছেন।কিন্তু আমার কথাগুলো এই মিটিং – এর থেকেও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

অর্থনৈতিক বিভাগের একজন স্যার আমাকে ধমকে বললেন….
তুমি এখন আসতে পারো।তোমার কথা আমরা পরে শুনবো।

আমিঃ প্লিজ স্যার, আমার কথাটা একবার শুনুন।
প্রিন্সিপালঃ তুমি দেখছি ভারী বেয়াদব মেয়ে।আমরা বারবার করে চলে যেতে বলছি আর তুমি ত্যারামি করছো।
আমিঃ স্যার…

প্রিন্সিপাল স্যার আমাকে কিছু বলতে চাইলে নাহান হাত উঠিয়ে তাকে থামিয়ে দিলো।আমাকে হাতের ইশারায় ভেতরে আসতে বললো।আমি ও রিনি ভেতরে ঢুকলাম।

নাহানঃ কি সমস্যা তোমাদের?
প্রিন্সিপালঃ নাহান আমরা একটা ইম্পর্টেন্ট সাবজেক্ট
নিয়ে কথা বলছিলাম।আর এখন তুমি বিচার করতে বসবে।

নাহানঃ আপনারা এতোটা নির্বোধ কি করে হতে পারেন? একটা মেয়ে আপনাদের কে বারবার করে অনুরোধ করছে তার কথাটা শুনতে।আর আপনারা তার কথা না শুনে বরং ওকে সবাই মিলে বকতে লাগলেন।নিশ্চয় ওর এখানে আসার পেছনে কোনো বড় কারণ আছে।সেটা না জানতে চেয়ে আরেক দফা বকলেন।( কিছুটা রেগে )

প্রিন্সিপালঃ আমরা ব্যাপারটা সেভাবে ভাবে নি যেভাবে তুমি ভেবেছো।

নাহানঃ রোমে শুধু প্রিন্সিপাল স্যার থাকবে।বাকি সবাই বের হয়ে যান।

একজন স্যার বলে উঠলো…..
আমাদেরতো মিটিং এখনো শেষ হয়নি।

নাহানঃ আমি কোনো অজুহাত শুনতে চাই নি।আপনাদের যেতে বলেছি যাবেন।২য় বার বলতে না হয়।রোমে শুধু আমি,প্রিন্সিপাল স্যার ও এই মেয়ে দুজন থাকবো।আর কাউকে আমি দেখতে চাই না।২ মিনিটের মধ্যে রোম খালি করবেন।কুইক এন্ড ফার্স্ট।
( চিৎকার করে)

রুমে থাকা সকল স্যার- ম্যাম নাহানের কথামতো ২ মিনিটের মধ্যে খালি করে চলে গেলো।তারা চলে যেতেই নাহান আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললো।

নাহানঃ তোমরা কি বলতে এসেছিলে? বলতে পারো।

আমি চোখের ইশারায় রিনিকে পুরো ঘটনা বলতে বললাম।রিনি ভীষণ ভয় পাচ্ছে।আমি ওর একহাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে ওকে অভয় দিলাম।রিনি আমার হাত শক্ত করে ধরে অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলো।তারপর বলতে শুরু করলো।

রিনিঃ আমি নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে। আমার বাবা মারা গেছেন।আমার মা মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে।আমার ছোট একটা ভাই আছে।ও ক্লাস সিক্স পরে।আমি টিউশনি করে আমার পড়ার খরচ চালাই।গত দুইদিন অসুস্থ থাকায় আমি ভার্সিটিতে আসতে পারি নি।আজ যখন ভার্সিটিতে এলাম তখন গেইট দিয়ে ঢোকার সাথে সাথে কিছু ছেলে আমার রাস্তা আটকে দাঁড়ালো। আমাকে খুব বাজে বাজে কথা বলছিলো।আমি তাদের দেখে ভয় পেয়ে গেলাম।হঠাৎ তাদের মধ্যে থেকে একটা ছেলে যার নাম সম্ভবত মেহেদী। ওর বন্ধুরা যখন নাম ধরে ডেকেছে তখন শুনতে পেয়েছি নামটা।মেহেদী আমাকে খুব বাজে ভাবে টার্চ করলো।আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যেতে নিলে পেছন থেকে আমার জামাটাকে খামচি দিয়ে ধরলো।যাতে করে জামার কোমরের দিকটাতে ছিঁড়ে গেলো।আমি কোনোমতে ওকে সরিয়ে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে এসেছি।

রিনি পেছনে ঘুরে জামার ছেড়া অংশটা দেখালো।নাহান এক পলক তাকিয়ে সাথে সাথে চোখ নামিয়ে নিলো।রিনি নিঃশব্দে কাঁদতে লাগলো।নাহানের চোখ দুটো ইতিমধ্যে রক্তবর্ণ ধারণ করেছে। নিজেকে যথেষ্ট শান্ত করে আমার ও রিনির দিকে তাকালো।

নাহানঃ তোমরা এখন যাও।আমরা ওকে অবশ্যই শাস্তি দিবো।
আমিঃ প্লিজ মেহেদী এই কথাটা যেনো না জানে।( অনুরোধ করে)
নাহানঃ কোন কথাটা??

আমিঃ মানে আমি বলতে চাইছিলাম আমরা দুজন যে আপনাদেরকে কথাটা বলেছি সেটা মেহেদী না জানতে পারে।বুঝতেই তো পারছেন তাহলে আমাদের ওপর এর প্রতিশোধ নিবে।
নাহানঃ তোমরা কোনো চিন্তা করো না। আমি কিছুতেই তোমাদের কথা জানতে দিবো না।কৌশলে ওকে শাস্তি দিবো।

???

আইভি ও রিনি রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।রিনি এখনো কান্না করছে।আইভি বড় করে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছারলো।গতকাল থেকে ও ভালো করেই বুঝে গেছে নাহান, মেহেদী ও রিটার মতো নয়। নাহান এই অন্যায়ের শাস্তি মেহেদীকে নিশ্চই দিবে।ওর চোখ, মুখ যা লাল হয়ে আছে। মেহেদীকে সামনে পেলে বোধহয় মেরেই ফেলবে।রিনিকে একহাত দিয়ে জড়িয়ে আইভি ক্লাসের দিকে রওনা দিলো।

ওরা দুজন চলে যেতেই নাহান সামনে থাকা ফুলদানিটাকে ফ্লোরে আছাড় মারলো।ফুলদানিটা টুকরো টুকরো হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পরলো।রাগে নাহানের মাথা আগুন হয়ে আছে।ওর কান্ডে প্রিন্সিপাল ভয় পেয়ে যায়।নাহান হুটহাট করে রেগে যাওয়া ছেলে নয়।ও ছোটবেলা থেকে কোনো নারীর অপমান সহ্য করতে পারে না।সেখানে ওদের নিজের ভার্সিটিতে এসব হচ্ছে।তাও মেহেদী করছে।আর ভাবতে পারছে না নাহান।

নাহানঃ কুকুরের লেজ হাজার টানলেও সোজা হয় না।তোকে অনেকবার মানা করছি তারপরও মানলি না।তোর কলিজাটা খুব বড় হয়ে গেছে।চিন্তা করিস না ছোট করার ব্যবস্থা করছি।তুই শুধু দেখতে থাক আমি কি করি? অনেক ছাড় দিয়েছি আর না।তোর বিপদ ঘনিয়ে এসেছে। একটা প্রবাদ আছে পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে।তোর পাখাও কাটছি আমি।

এক মুহূর্তে দেরী না করে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেল নাহান।শান্ত শিষ্ট মানুষগুলোর রাগ অনেক ভয়াবহ হয়।তারা সহজে রাগে না কিন্তু রাগলে নিজের মধ্যে থাকে না।প্রিন্সিপাল আর কিছু না বুঝলেও এতটুকু বুঝলো মেহেদীর কপালে আজ বিপদ আছে।

(চলবে)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে