লুকোচুড়ি_ভালোবাসা? পর্বঃ- ২১

0
2240

লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?
পর্বঃ- ২১
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি(Tanjina Akter Misti)

–এই আপু তারাতারি রেডি হ না রে।

–আমি যাবো না।

–কেন তোকেও তো বলে ইনভাইট করেছে তাহলে যাবি না কেন?

–আমি যাবো না আর ইনভাইট করলেই কি আমাকে যেতে হবে নাকি। তার ইচ্ছে করছে আমার ইচ্ছে আমি যাবো না। তোর এতো আমাকে পাঠানোর ইচ্ছে কেন রে আমার বদলি তুই চলে যা।

–দূর আমি পাগল নাকি। আমি ওইসব পার্টি ফাটি তে যাবো না তুই যা না রে রেডি হ না ভাইয়া তোর জন্য নিচে বসে আছে।

–মানে আমার জন্য বসে আছে কেন?

–এক সাথে যাবে তাই।

–আমি যাবো না খবরটা দিয়ে আয়। আর তার উডবির জম্মদিন সে আগে না গিয়ে আমার জন্য বসে আছে কেন?

–আপু কি বললি?[ জোর ]

–ওফ মিনা এতো জোরে কেউ চেচায়। কান ফাটিয়ে দিলি তো। [ বলেই কান চেপে ধরলো]

–তুই কি বললি আপু উডবি মানে কার উডবি?

–সেটা তোর ভাইয়াকে জিগ্গেস কর আমাকে না। আর একটা কথা তোকে কিছু বলে নি এতো না সারা দিন গুজুর ফুজুর করিস।

–বলেছে তো সব বলেছে।

–সব বলেছে না ছায় সব বললে এটা কেন বলেনি?

–জানি না তুই বল না আমি বুঝেনি প্লিজ আপু।

–এই তুই যা তো আমার রুমে থেকে।

বলেই মিষ্টি উঠে দাড়ালো মিনাকে রুমে থেকে বের করতে এই মেয়ে এখানে থাকলে আমাকে রাজি করিয়েই ছাড়াবে মাথাটাও খাবে।একে রাখা যাবে না মিষ্টি মিনা হাত শক্ত করে ধরে রুমের বাইরে নিয়ে এলো।

–আপু কি করছিস?

–যা তো আর একবার রুমে এলে তোর খবর আছে আমি ঘুমাবো একদম ডিসটার্ব করবি না।

মিনা আর ও কিছু বলছিলো আমি দরজা লাগিয়ে রুমে এসে খাটে বসে রইলাম।

খুব কষ্ট হচ্ছে কি করে যাব আমি চোখের সামনে অন্য একজনের সাথে রাজকে আমি কিছুতেই সহ্য করতে পারবো না। নিজেকে সামলাতে পারব না। যাই হয়ে যাক আমি কিছুতেই যাবো না।
মিষ্টি খাটে শুয়ে পরলো।
এদিকে
মিনা অবাক হয়ে দরজায় কাছে দাড়িয়ে আছে। মাথায় কিছু ঢুকছে না আপু এমন বিহেভ করলো কেন?
দূর ভাইয়াকে এখন কি বলবো ভাইয়াতো বলেছিলো আপো কে রাজি করানো যাবে না ঠিক ই হলো এখন আমাদের প্রিলাণ সফল হবে কি ভাবে। ভাইয়া ঠিকই বলেছে যত বার ই মনের কথা বলার জন্য কিছু পিলান করে সব বেস্তে যায় আজ বুঝলাম। আপু তুই এমন কেন রে একটু যেয়ে দেখ না কতো সুন্দর সময় তোর জন্য অপেক্ষা করছে তা না উনি যাবেন না। আর কি সব উডবি ফটবি বললো। নিজের চিন্তা একটু ও নাকি কার না কি তা নিয়ে বসে আছে যতসব। দূর বাবা এতত মশা খাচ্ছিস কেন একটু চিন্তা ভাবনা ত করতে দে কি করে রাজি করানো যায় আপু কে কতো বড় মুখ খুব ভাইয়া কে বললাম আমার আপু কে আমি রাজি করাবো তোমার সাথে পাঠানোর দায়িত্ব আমার এখন সব এলোমেলো হয়ে গেলে আপুকে যে করেই হোক পাঠাতেই হবে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আপু তো আর জানেনা আমাদের পিলান। আজ ভাইয়া আপুকে প্রপোজ করবে আইডিয়াটা অবশ্যই আমার ই। এই দুইদিন আমি এসব রাজি করিয়েছি ভাইয়ার থেকে জানতে পেরেছি সে ও আপু কে খুব ভালোবাসে। কিন্তু এখন পযর্ন্ত যা না জানা আমার বোকা বোন টা সে যে ভালোবাসে তা ও বলে দিয়েছি। ভাইয়া তো বিশ্বাস ই করে নাই বলেছে আমি মিথ্যে তাই তো এই প্রিলান ভাইয়াকে প্রপোজ করে দেখতে বলেছি রাজি না হলে আমি ভুল। ভাইয়া বলে আগে ও নাকি এই কথা ভেবেছে অনেক কিন্তু কিছুনা কিছু গন্ডগোল করে বেস্তে গেছে। এবার আর বেস্ত যাবে না বলে কথা ও দিয়েছি এখন সব মাটি হলে আমার মান ইজ্জত সব যাবে। না মিনা তো এটা হতে দেবে না কিছু তেই।

মিষ্টির দরজার কাছে দাড়িয়ে মিনা আকাশ পাতাল ভাবছে হঠাৎ রাজের কণ্ঠ শুনে চমকে উঠলো,,,

–কি ব্যাপার তুমি বন্ধ দরজায় দাড়িয়ে আছো কেন?[ ভ্রু কুচকে] বের করে দিয়েছে রুমে থেকে আহা রে বেচারি কি বলেছিলে তোমার কথা শুনে এখন বাইরে দাড়িয়ে নখ কামরাচ্ছো কেন?

–এর জন্য কারো ভালো করতে নেই হূ। যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর থ্যাত ভাল্লাগেনা। একটা বুদ্ধি দেন না ভাই আপনি একটু ট্রাই করেন।

–সরি জানেমান আমি কিছু করতে পারবো না আমার কথা শুনবেই না তখন একটা ধমক দিয়ে বসবো আমার প্রেমের আগেই ব্রেকআপ হয়ে যাবে।

–এতো রাগ কেন আপনার দূর।যান তো আমাকে ভাবতে দিন আমি রাজি করিয়েই ছারবো আজকেই আপনাদের মিল করিয়ে তবে আমি গ্রামে যাব হু।

কথা টা শুনেই রাজ মিনার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে সাথে কিছু টা আনন্দ কিছুটা আতঙ্ক যাজি হবে তো। কিল থেকে এটাই ভেবেছি মিনা অবশ্যই আইডিয়া টা দিয়েছে আর তাছাড়া আমার মারিয়ার পার্টিতে যাওয়ায় ইচ্ছে ও ছিলো না।
ফোনের উপর ফোন দিয়ে যাচ্ছে বিরক্তের ফলে ফোন অফ করে রেখেছি।

রাজ ঘড়ির দিকে তাকালো ছয়টা ছুয় ছুয় মিনার কোন খবর নেই। ও যে কিছু করতে পারে নি তা সিউর সন্ধ্যায় হয়ে এলো। ভালোবাসে তবুও মুখে কেন শিকার করে না আমি কি কখনো জিগ্গেস করছি। করিনি তাহলে বলবে কেন আমি পাগল হয়েছি। ওর কি একটু ও বুদ্ধি নেই অন্যের বার্থডে পার্টি তে যাওয়ার জন্য এতো রিকোয়েস্ট কেউ করে করে না তাহলে কেন স্পেশাল কিছু ভাবতে পারছে না। মারিয়া না বলে ওকে বলেছে আমি ভালোবাসি আর অনূভুতি কিন্তু মারিয়া জানলো কিভাবে?

–আমরা এসে গেছি।

হঠাৎ মিনার কথায় তাকিয়ে আমার চোখ আটকে গেল দরজায় কাছে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকা মিষ্টির দিকে শাড়ি পরেছে। মিষ্টি মাথা নিচু করে আছে আর বারবার চুল ঠিক করছে চুল আজকে গ।খোর্ল আমার খুলা চুল পছন্দের কিন্তু মিষ্টি কখনো চুল খোলা রাখে না আজকে মিনা নিশ্চয়ই জোর করে। লাল শাড়ি পরেছে হালকা সাজ মায়াবতী লাগছে আমি চোখ সরিতে পারছি না। দুষ্টু মিনার কাশিতে আর কথায় রেগে তাকালাম,,

–খালি ওইদিকে দেখলেই হবে এদিকে ও একটু নজর দাও হ্যান্ডসাম।[ বলেই চোখ টিপলো মিনা ]

–আমি তো তোমাকেই দেখছি কি না লাগছে তোমাকে।

কিন্তু রাজের মাথায় ঢুকছে না এগুলো কিভাবে আর মিনা ও কি যাবে নাকি? চোখের ইশারা জিগ্গেস করলো,,

–আপু তুই মামুনি আর আম্মুকে বলে আয় কেমন?

–উনি তো রেডি হয় নি তাহলে চল আমরাই চলে যাই।

–আরে এই রাতে একা যাবো নাকি কী যে বলিস? ভাইয়ার রেডি হতে পাচ মিনিট ও লাগে না তাই না ভাইয়া। [ কথার তালে তালে মিষ্টির সামনে ভাইয়া বলে জ্বিবে কামর দিলে মিনা। ]

–কি বললি?

–কিছু না যা না বলে আয় প্লিজ।

মিষ্টি কথা না বাড়িয়ে বেরিয়ে এলো কিছু বুঝতে পারছে না ও। রাজ সাথে যাওয়ার ইভেন্ট যাওয়ার কোন ইচ্ছে নেই খুব খারাপ লাগবে নিজেকে সামলাতে পারবো তো এতো বুঝালাম তবুও মিনা বুঝলো না নিজের বোন ও জানে আমি রাজকে ভালোবাসি তবুও এমন জিদ। শেষে কিনা যাওয়াইয়া ছারলো। কতো ইমোশনাল কথা সে জীবনে শহরের জম্মদিন দেখে নে তার খুব ইচ্ছে দেখার তো যানা আমাকে কেন টানিস। আমাকে ছারা যাবে না সেখানে চেনা কেউ নেই আমি না গেলে সে বোর হবে আমাকে বোর হওয়া থেকে বাচার জন্য নিচ্ছে।

আবার সাজা সাজবো না বললাম যাই থ্রীপীর্জ পরে না শাড়ি পর না আমার খুব তোকে শাড়ি পরা দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে। কাল বাদে পরশু তো চলেই যাবো গ্রামে একটু ইচ্ছে পূরণ করতে দে। যেন আমি মরে যাব আর জীবনৈ দেখতে পাবে না।

যতোই বলি একটাই আদরের বোন আমার ওর ইচ্ছে না শুনে থাকতে পারি নি তাই রাজি হয়েছি। রাজের সামনে দাড়িয়ে এতো আনইজি লাগছিলো ফাস্ট টাইম এমন সেজে তার সামনে গেছি।

এদিকে

–এটা আমার কেরামতি বুঝেছেন ভাইয়া বলেছিলাম না আপুকে রাজি করিয়েই ছারবো। আমি আমার কথা রেখেছি কিন্তু একটা সমস্যা হয়ে গেছে।

সমস্যার কথা শুনেই আবার অসহায় মুখ করে তাকালাম ওর দিকে আবার কি সমস্যা। দূরে আমার জীবনের কি কিছু সমস্যা ছাড়া হবে না। এতো সব সময় এখানেই আসতে হচ্ছে কেন?
চলবে❤

[ছোট হয়েছে বলে সরি নেক্মট পার্ট বড় করার টাই করবো। সারা দিন লিখে ও আর বড় করতে পারলাম না। আর ও বড় চাইলে প্রতিদিন দেওয়া হবে না একদিন পর পর বড় করে দেবো। সিদ্ধান্ত কমেন্ট এ জানাবে প্লিজ ধন্যবাদ ]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে