লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্বঃ- ২৫
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি
রাজ মিষ্টি কে খাইয়ে দিচ্ছে আর মিষ্টি মুচকি হাসি মুখে রেখে খাবার মুখ নিচ্ছে। খুব আনন্দ আজ ওর মনে রাজ ওর হয়েছে ওকে ভালোবাসি বলেছে ভাবতেই মন টা নেচে উঠছে। আনন্দে ওর চোখ চিকচিক করছে।
–একি তুমি কাদছো কেন?
বলেই রাজ মিষ্টি গাল স্পর্শ করলো। মিষ্টি মুখে হাসি কিন্তু চোখে জল যা দেখে রাজ ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে বুঝতে চাইছে।
–কি হলো বলো কি হয়েছে? কেউ কিছু বলেছে বলো মারিয়া ও কিছু বলেছে।
–না কেউ কিছু বলে নি।
–তাহলে কাদছো কেন?
–আনন্দে
রাজ কপাল কুচকে তাকিয়ে আছে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
— আনন্দে আবার কেউ কাদে নাকি। কি সব বলো তুমি মিষ্টি তোমার মাথাটা গেছে?
বলেই আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে নিজে খেতে লাগলো।
–আমার সামনে আর কাদবে না তোমার কান্না আমার সহ্য হয় না। জানো তো এখন চুপচাপ খেতে থাকো।
–মাথা নেড়ে সম্মতি দিলাম।
রাতে রুমে শুয়ে আছে। এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেছী কখন বুঝি নি হঠাৎ কানে কারো আওয়াজ যাওয়াতে ধরফরিয়ে উঠে বসলাম। রাতের বেলা কে এলো রুমে। অন্ধকারে দেখতে ও পারছি না।
চিৎকার করতে যাবো আমার মুখ সেপে ধরলো,,
–আমি চিৎকার করো না আম্মু আববু জেগে যাবে। তখন আমাকে চোর ভেবে গন ধূলায় দিবে।
রাজের কণ্ঠ পেয়ে নিজেকে শান্ত করলাম। গলার আওয়াজ ধীর করে বলতে লাগলাম,,
–আপনি এখানে কেন এতো রাতে?
–বাইরে এসো।
–কেন।
–আরে আসো তো এতো কেন কেন করো কেন সব সময়।
বলেই আমার হাত ধরে টানতে লাগলো বের হতে।
–আমি এখন বাইরে যাবো না হাত ছারুন ঘুম আসবো। এতো রাতে ঘুম বাদ দিয়ে এখানে কি করেন আপনি।
–কি বললে যাবে না।
–না বললাম তো ছারুন হাত মামুনি রা জেগে গেলে আমাদের এতো রাতৃ একসাথে দেখলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে। রুমে জান আপনি ঘুমিয়ে পরুন কাল কথা বলে।
বলেই হাত ছারিয়ে নিলাম জোর করে খাটের কাছে গিয়ে শুতে যাবো জোরে হাতে টান পরলো। আচমকা এমন হওয়ায় নিজেকে সামলাতে পারলাম না রাজের বুকে গিয়ে পরলাম।
সঙ্গে সঙ্গে আমার হার্টবিট ফাস্ট হ য়ে গেল রাজ কাছে আসলেই এমন হয়। সরে আসতে গেলে সরতে পারলাম না শক্ত করে চেপে ধরে আছে।
–যাবে না।
–না
–সত্যি [ দাতে দাত চেপে বলল,,] যাবে না।
–ছারুন
–আগে বলো যাবে কিনা।
–আচ্ছা যাবো ছারুন।
–গুড গার্ল।
বলেই হাতের বাধন হালকা করে দেয়। এতোক্ষনে আমার জান ফিরে পেলাম মনে হয়। সরে এসে অন্য দিকে ফিরে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগে মিষ্টি চোখ বন্ধ করে নিজেকে স্বাভাবিক করে চোখ মেলে ভয়ে পিছিয়ে যায় রাজ একদম মুখের কাছে এসে তাকিয়ে আছে।চোখ খুলে এমন কিছু আসা করে নি এতো কাছ আসে কেন বুঝি না।রাজ কে ফেলে আগে আগি পা ফেলে বেরিয়ে এলো রুমে থেকে।
–কই যাও,,
হঠাৎ পেছনে থেকে কথা শুনে পেছনে ফিরে মিষ্টি। এবার নিজে কোথায় যাচ্ছিল দেখলো নিচে নামছিলো।
–নিচে যাচ্ছিলাম।
–কেন আমি কি তোমায় নিচে যেতে বলেছি।
–না মানে আসলে।
আমাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে হাত ধরে টেনে ছাদে নিয়ে এলো।
–এতো রাতে ছাদে এলেন কেন?
বলেই মিষ্টি আশেপাশে তাকালো চারদিকে অন্ধকার। ও অন্ধকার এ ভয় পায় আবার শুনেছে রাতে ভূত প্রেত এসব থাকে এখন ছাদে যদি ভূতথাকে ভেবে ভয়ে জরোসরো হয়ে গেল মিষ্টি। রাজ হাত ছেড়ে সামনে এগিয়ে যাবে মিষ্টি রাজের হাত খামচে ধরলো।
হঠাৎ কেউ হাত ধরায় রাজ পেছনে ফিরলো কি হয়েছে দেখতে মিষ্টি নিজে থেকে হাত ধরেছে কেন?
–কি হয়েছে মিষ্টি তুমি এতো চেপে আছো কেন আমার সাথে ছার।
রাজ বুঝতে পেরেছে মিষ্টি ভয় পাচ্ছে তাঈ ইচ্ছে করেই এগুলো বলছে। মিষ্টি ছারছে না বরং আর ও বেশি শক্ত করে হাত ধরে গা ঘেষে দাড়ালো।
–এখানে এসেছেন কেন চলুন রুমে যাই আমার ঘুম আসছে। আর সাথে ভয় ও করছে রাতের বেলাছাদে এসেছেন এখন যদি আমাদের ভূতে ধরলে কি হবে?
বলেই মিষ্টি ভীতু মুখ করলো চেহারায়। রাজ যেন পেয়ে বসলো আরও।
–কি আর হবে তোমার গার মটকাবে। আমার কি তাতে আমাকে তো কিছু করবে না।
–মানে আপনাকে কিছু করবে না কেন?
–এখানে আছে ছেলে ভূত সে তোমাকে ধরবে। আমাকে ধরে কি করবে মেয়ে ভূত থাকলে না আমাকে ধরবে।
–আপনি জানলেন কি করে এখানে মেয়ে না ছেলে ভূত আছে।
–জানি জানি সব জানি মেডাম এবার ভ য় পাওয়া বাদ দিয়ে চলো তো।
–না আমি ওই দিকে যাবো না ছারুন নিচে যাবো আমার ভয় করছে।
–আমি আছি তো এতো ভয় কিসের। আমি থাকতে কে আসতে পারবে তোমার কাছে।
বলেই রাজ মিষ্টি কে নিয়ে ছাদের মাঝখানে বসে পরলো। মিষ্টি নিচের দিকে তাকিয়ে আছে ও যে লজ্জা পাচ্ছে বুঝা যাচ্ছে।
–হাত সরাও
আচমকা হাত সরাও বলাতে মিষ্টি নিজের হাতের দিকে তাকালো হাত কি কিছু ভুল করেছে কিনা। কিন্তু কই আমার হাত তো আমার হাটুতেই আছে তাহলে এই কথা বলল কেন?
ভ্রু কুচকে রাজের দিকে তাকিয়ে আছে।
–কি হলো হাত সরাযে বললাম না।
–মানে হাত সরাবো মানে কি?
রাজ আর কিছু না বলে হাত উপরেই মাথা দিয়ে শুয়ে পরলো। ঘটনা এতো দ্রুত ঘটলো যে মিষ্টি কিছু বলতেও পারলো না হা করে তাকিয়ে আছে। হাতেমাথার চাপ লেগে ব্যাথা করবে তাই হাত সরালো তারাতারি।
–এভাবে হা করে তাকিয়ে আছো কেন?
–আপনি এখানে শুলেন কেন।
–মন চাইছে তাই। এবার মাথায় হাত বুলিয়ে দাও তো।
বলেই চোখ বন্ধ করে ফেলল,
–কি হলো দাও।
মিষ্টির মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। হাত ও দিচ্ছে না রাগ হচ্ছে কিন্তু কিছু বলতে ও পারছে না রাজ হাত টেনে মাথায় রাখলো।
❤
এদিকে
মারিয়া ডিংক্ম করছে একাধারে চোখে ওর আগুন হয়ে কিছুতেই মানতে পারছে না রাজ আমাকে এভাবেধোকা দিলো। ওই মেয়েটার জন্য আমার সাথে এই বিহেভ করলো ওই মেয়েকে আমি ছারবো না কিছুতেই না।
ক্লাবে বসে ডিংক্ম করেই যাচ্ছে থামছে না।
–এবার চল আর কতো খাবি।
–জানি না যতক্ষণ না ওই মেয়েকে উচিত শিক্ষা দিতে পারছি আমি শান্ত হবো না।
–সে না হয় দিবি এখন বাসায় চল আন্কেল চিন্তা করছে নিশ্চয়ই।
–করুক
সঙ্গে সঙ্গে ফোন বেজে উঠলো মারিয়ার,
–তোর ফোন বাজছে রিসিভ কর।
মারিয়ার সেদিকে খেয়াল নেই। ও মাতাল হয়ে গেছে নিরুপায় হয়ে তরি ফোন রিসিভ করলো [ মারিয়ার ফ্রেন্ড ]
–মারু তোর পাপ্পা হাট এ্যাটাক করেছে।
চলবে❤