লুকোচুড়ি_ভালোবাসা?পর্ব- ৩
#লেখিকা:তানজিনা আক্তার মিষ্টি( Tanjina Akter Misti)
ভার্সিটিতে
ক্লাস রুমে বসে আছি আমি আর তিথি। কানের কাছে বকবক করেই চলেছে অনবরত থামার নাম গন্ধ ও নেই এমনিতেই আমি রেগে আছি আর ও আমার সেটা নিয়ে মজা নিচ্ছে। কালকে রাতের কথা বলেছি রাজ আমাকে জোর করে খাইয়ে দিয়েছে। সেটা বলার পর থেকেই এভাবে কানের কাছে বকবক করে চলেছে। মেইন টপিক্ম হলো রাজ নাকি আমাকে ভালোবাসে এইটা কোন কথা। এমন অদ্ভুত কথা ও কি করে বলে আমি বুঝে উঠতে পারি না। রাজকে কখনো আমি এমন ভাবে আমার দিকে তাকাতে ও দেখি নি। আর যা করে তাতে মনে হয় আমি তার চরম শত্রু। একটা সময় রাজের সাথে খুব ফ্রেন্ডলি সম্পর্কে ছিলো কিন্তু এখন কি যেন হয়ছে সব সময় রাগী মুড নিয়ে থাকে। কি করে এতোটা পাল্টে গেল কে জানে। আগে হলে না হয় বিশ্বাস করা যেত এখন কি করে তিথি এসব ভাবতে পারছে।
— দোস্ত আমি সিউর রাজ ভাইয়া তোকে ভালোবাসে দেখিস না কোন ছেলে তোকে কিছু বললেই কেমন রেগে যায়!
— চুপপপপ…… আর একটা বাজে কথা বললে তোকে আমি মেরে ফেলবো?
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
— এতো রাগছিস কেন? তুই ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখ ভালো না বাসলে এভাবে কেউ কারো কেয়ার করে?
— তুই কেয়ার কোথায় দেখছিস? ( ভ্রু কুচকে অবাক হয়ে )
— তুই আসলেই বোকা!
— একদম আমাকে বোকা বলবি না তুই যত সব আজাইরা কথা বলছিস? ভালোবাসে তাও আমাকে তোর মাথাটা না একে বারে গেছে। রাজ আমাকে সহ্যই করতে পারে না। দেখিস না সব সময় মারে আর কতো কথা শুনায় ভালোবাসলে এসব কিছু কখনো করতে পারতো না। আর তুই দেখিস না কিছু চোখ কি কানা তোর?
— মানে কানা হতে যাব কোন দুঃখে… কি দেখবো আমি কি দেখার কথা বলছিস( সন্দেহ চোখে তাকিয়ে )
— ( তিথির মাথায় ঠোকা দিয়ে ) কি গাদা তুই দেখছিস? চোখের সামনে এতো সুন্দর একটা জুপি আছে তাদের কে রেখে আমাকে নিয়ে জরাচ্ছিস?
— হেয়ালি না করে ঠিক করে বল?
— মারিয়া আপুকে দেখিস না ওনি তো আমাদের ভাবি। মানে আমাদের রাজের গার্লফ্রেন্ড?
— কিহহহহ;
— মুখে মশা ঢুকবে মুখটা বন্ধ কর?
সারা ক্লাস তিথি কেমন চুপ হয়ে রইল কথা বলল না। ভার্সিটি শেষে……
— কি রে কথা বলছিস না কেন?
— দোস্ত আমি সত্যি অবাক এতো অবাক যে বলে বুঝাতে পারবো। কোথায় আশা নিয়ে ছিলাম ভাইয়া তোকে ভালোবাসে কিন্তু আমার সব আশায় জল ঢেলে দিল ওই মারিয়া। মুখ ছোট করে বলল…
— আজে বাজে চিন্তা বাদ দে। তুই এমন অদ্ভুত কথা মাথায় কি করে আনলি সেটাই আমার মাথায় ঢুকছে না। আমার মতো একটা গ্রামের আনস্মার্ট মেয়েকে ভালোবাসবে কিনা রাজ? যার জন্য সারা ভার্সিটির সব মেরেরা পাগল পারিস ও তুই এমন কথা ভাবলি কেমনে? তার জন্য মারিয়া আপুর মতো শহরের ইস্মার্ট সুন্দর মেয়েকেই মানায় বুঝছিস গাধী?
— একদভ নিজেকে ছোট করবি না। তুই ওই মারিয়ার থেকে অনেক বেশি সুন্দর বুঝছিস। ওটার কি ছোট ড্রেস পরা ওটাকে কি ইস্মাট বলে নাকি?
— তোকে বুঝানো আমার র্কম না চুপ থাক।
কথা গুলো বলে সিড়ি দিয়ে নেমে এলাম। তিথি কমন রুমের কথা বলে গেল ওইদিকে আমি একা নেমে দাড়ালাম ওর জন্য হঠাৎ কেউ পাশে থেকে কথা বলে উঠলো তাকিয়ে শক হয়ে গেলাম। কারণ আর কেউ না ইনি তো মারিয়া আপু আমি মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছি চুপ করে। উনি বলে উঠলো…..
— হাই মিষ্টি,, কেমন আছো তুমি?
হঠাৎ ওনার মিষ্টি কথায় অবাক হয়ে তাকালাম….
এতো ভালো ভাবে কখনো কথা বলেছে বলে আমার মনে পরছে না আমি চোখ ছোট ছোট করে ওনার দিকে তাকিয়ে আছি। ওনি আমাকে কথার উওর না দেওয়ায় আবার বলল…
— হে মিষ্টি তোমাকে কিছু বলছি?
–হু আপু ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?
— আমি তো ভালো আছি বললে ও কম হবে। তুমি জানো আমি আজ কতো খুশি?
— না
কতো বড় বেকুব নিজে খুশি সেটা আমি জানি কিনা জিগ্গেস করছে। পাগল একটা বল না বললে জানবো কি করে মাথা মোটা একটা। মুখে বলার সাহস নাই চুপ করে থাকাটাই হয় সব সময়।
— রাজ বলেছে ও আমাকে…..
গেল আমার কথা শুনা ও হলো এখনই ফোনটা আসতে হলো। ফোন কানে নিয়ে চলে গেল দূর কি বলতে চেয়েছিল রাজ ওকে কি বলতো। এতো খুশি তাহলে নিশ্চয়ই ভালোবাসি বলেছে। কথা টা নিজের মনে বলল মিষ্টি কিন্তু বলতে গিয়ে একটা কষ্ট অনুভব করলো বুকে। এই কষ্ট পেয়ে কি হবে এটা মরিচীকার জন্য কষ্ট যা কখনো পাবে না। নিজের মনে একটা দীর্ঘ শ্বাস বেরিয়ে এলো।
পেছনে থেকে তিথি ডেকে উঠলো ও আসায় ওর সাথে বেরিয়ে এলাম মাঠ পেরিয়ে যাচ্ছি না চাইতেও একবার ডানে ফিরে তাকালাম।
রাজ কে ঘিরে সবাই বসে আছে মারিয়া ও ওখানেই আছে রাজের পাশে বসে আছে সবাই কিছু নিয়ে হাসাহাসি করছে।
হঠাৎ ওখানে থেকে জয় আমাদের দিকে হাতের ইশারা করলো ওখানে যাওয়ার জন্য। আমি আর তিথি মাঠের মাঝে আছি তিথি অন্য দিকে ফিরে যাচ্ছে। দেখে নি আমি দ্রুত চোখ সরিয়ে তারাতারি হার্ট দিলাম আবার না জানি কি নিয়ে অপমান করে।
কিন্তু এগুতে পারলাম না রাজের চিৎকার কানে এলো এবার তিথি তাকালো আর আমার দিকে ভ্রু কুচকে।
— কি রে শুনছি ডাক তোকে ডাকছে রাজ ভাইয়া?
— হুম শুনছি।
— চল তাহলে?
— নাহ কথা কানে নিচ্ছ না। আবার নিশ্চয়ই কিছু নিয়ে আমাকে কথা শুনাবে তার থেকে বরং না শুনার ভান করে তারাতারি চল।
— আরে শুনে তো নেই কি বলছে ডাকছে কেন? না শুনলে আর ও বেশি রেগে যাবে।
— তুই যা আমি যাব না।
বলেই হাটা দিলাম। তিথি ও এলো আমার পেছনে যায় নি। বাইরে এসেই গাড়ি পেলাম আর সঙ্গে সঙ্গে উঠেই চলে এলাম।
.
.
ছাদে দাড়িয়ে আছে এখন পাচটা বাজে রাজ এখন ও বাড়ি আসে নাই। আমি ছাদে এসেছি অনেক ক্ষণ কে জানে বাড়ি এসে আমার কি অবস্থা কলবে তখন জেদ দেখিয়ে তো চলে এলাম। দোলনায় বসে কথা গুলো আউরাচ্ছছিলাম হঠাৎ কেউ ঝড়ের গতিতে এসে আমাকে টান মেরে দোলনা থেকে ফেলে দিল। আচমকা এমন করার আমি হাথে ব্যাথা পেয়ে আহ করে উঠলাম….
মাথা উচু করে দেখি রাজ চোখ মুখ লাল করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি উঠে দাড়ালাম কিছু বলবো কিন্তু রাজ বলতে লাগল….
— খুব বার বেরেছিস তাই না। খুব পাখনা গজিয়েছে তোর আমার কথা অমান্য করিস? এতো তেজ কিসের তোর হ্যা কিসের এতো অহংকার বল।
আমার কাধে ঝাকুনি দিয়ে বলতে লাগল…
সব সময় কেমন যেন রেগে কথা বলে যখন তাকে হিংস্র লাগে কিন্তু আজকে চোখে মুখে অভিমান দেখতে পারছি আমি।
— কি হয়েছে আপনার?
–কিছু হয় নি কিছু না।
বলেই ধাক্কা দিয়ে নেমে গেল। আমি অবাক হয়ে তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।
প্রথম যেদিন এ ঢাকা আসছিলাম তখন রাজকে যেমন লাখতো আজ ও আমি সেই রাজকে দেখলাম।
সেই সব আবার মনে পরছে…..?
চলবে❤
[ গল্প টা নিয়ে অনেক অভিযোগ শুনতে হয়েছে। যার জন্য গল্প টা আর লিখতে চাইছিলাম না কিন্তু কিছু পাঠক যারা গল্প টা দিতে অনুরোধ করেছেন তাদের কথা ভেবে আবার দিলাম। আর এটাও ভেবেছি যত সমালোচনাই হোক যত খারাপ ই বলুক এই গল্প আমি আমার মতো করেই শেষ করে। কোন চেন্জ আনবো না এতে যত খারাপ বলার বলেন আই ডোন্ট কেয়ার। ঠাসস নিয়ে এতো প্রবলেন আপনাদের আমি গল্প আর ও বেশি ঠাস দেব যাতে আপনারা ভালো মতো সমালোচনা করতে পারেন। আমার কিন্তু ভালোই লাগছে এটা ভেবে যে আপনারা আমার গল্প আর আমাকে নিয়ে এতো ভাবেন না ভাবলে তো আমার সমালোচনা করতে পারতেন না। খারাপ রাইটার আমি খারাপ হয়েই থাকতে চাই ]