লুকোচুড়ি ভালোবাসা ?পর্বঃ- ২৮

0
1952

লুকোচুড়ি ভালোবাসা ?পর্বঃ- ২৮
#লেখিকাঃ-তানজিনা আক্তার মিষ্টি

মিষ্টি রাজের মলিন মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। রাজ মুখটা মলিন করে রেখেছে ওর জন্য আচ্ছা বিয়ে টা হলে কি এমন হবে আমি কেন রাজি হচ্ছি না। যাকে ভালোবাসি তার কথাটা কেন রাখতে পারছিনা। কেন রাজকে খুশি করতে পারছি না আমি তো ওকে ছাড়া বাঁচতে ও পারবো না তাহলে কেন ওর কথা শুনছি না। মনের মধ্যে নানা কথা আসছে সব ফেলে রেখে মিষ্টি রাজের হাত চেপে ধরলো।
রাজ গাড়ি ঘুরিয়ে নিতে যাচ্ছিলো হঠাৎ মিষ্টি হাত চেপে ধরায় রাজ তীক্ষ্ণ চোখে তাকালো তার দিকে। মিষ্টি চোখে পানি নিয়ে তাকিয়ে আছে যা দেখে রাজ রেগে ছিলো তাও নিমিষেই শেষ গেলো জানতে চাইলো কি হয়েছে? আমার জন্য এতো চিন্তা করে আর আমি কিছু করবো না কেন?

–গাড়ি ঘুরানোর দরকার নেই।

রাজ ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে মিষ্টির দিকে ওর মাথায় কিছু ঢুকছে না। বিয়েটাই যেহেতু হবে না তাহলে গাড়ি ঘুরাবো না কেন?

–কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?

–কি বলছো গাড়ি ঘুরাবো না কেন বাসায় যাবে না?

–না বাসায় যাবো কেন বিয়ে না করেই।

–হোয়াট বিয়ে না করে বাসায় যাব না তুমি কি চাইছো বলো তো। এই তো এখন বিয়ে করবে না বললে এখন আবার বিয়ে না করে যাবে না বলছো।

–হুম ঠিকই বলেছি। আপনাকে কষ্ট দিয়ে আমি শান্তিতে থাকতে পারছিনা। ভেতরে ভেতরে কষ্ট মরে যাচ্ছি। বিয়েটা হবে কিন্তু কথা দিন বাড়িতে জানাবেন না আমরা একা বিয়ে করেছি সবাইকে অন্য ভাবে রাজি করাবেন। বিয়ের ব্যাপার টা লুকানো থাকবে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
–এখন লুকানো থাকবে কিন্তু যদি রাজি না হয় তখন বলে দিলে তো সবাই রাজি হয়ে যাবে। যদি….

মিষ্টি রাজ কে মাঝ পথে থামিয়ে দিয়ে।

–তার মানে আপনি বলে দেবেন বলছেন।

–না তেমন না যদি মানতে না চায় তখন তো বলবো।

–না কখনোই না বিয়ের কথা না বলে মানাবে জানি না। না হলে বিয়ে হবে না।

রাজ মুখটা ছোট্ট করে শিকার হলো, আচ্ছা।

মিষ্টি রাজের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে কতো খুশি দেখাচ্ছে তাকে। মুখে তৃপ্তীর হাসি মনে থেকে যে খুশি তা রাজের মুখের হাসি বলে দিচ্ছে। মিষ্টি ও অজান্তেই হেসে উঠে রাজের খুশি দেখে। রাজ এটা ওটা বলেই যাচ্ছে। আর হাত দিয়ে আমার হাত ধরে হেটে যাচ্ছে শপিং মলের দিকে। একটু আগেও ও এই ছোঁয়া আমার অন্য অনুভূতি হয়ে এখন যেন কারেন্টে শক দিচ্ছে। যত বার হাত ধরছে আমার শরীরের কাটা দিয়ে উঠছে। এই ছোঁয়া ভালো লাগছে। এটাই স্বামীর ছোঁয়া কিছু ক্ষন আগেই আমাদের বিয়ে হলো ভাবতেই অদ্ভুত লাগছে। মনের মধ্যে হাজারো ভ য় ছিলো বিয়েটা নিয়ে কোন ভুল হবে না তো। সবাইকে ঠকানো হবে না তো না না দ্বিধায় ভুগতে হয়েছে কিন্তু রাজের ভালোবাসার কিছে হার মেনে বিয়ে করলাম। ভয় মনে থাকলে ও ভালো লাগছে খুফ ভালো লাগছে। আজ থেকে রাজ শুধুই আমার এটা ভাবতে শরীর কাটাঁ দিয়ে উঠছে।

–কী হলো কখন থেকে ডাকছি শুনতে পাচ্ছো না।

হঠাৎ রাজের চিৎকার করে কথা কানে আসতেই নিজের ভাবনা থেকে ফিরলাম তাকিয়ে দেখি জুয়েলারি দোকানে দাঁড়িয়ে আছি। রাজ অনেক গুলো ডায়মন্ডের রিং বের করে রেখেছে আমার সামনে। আমি কী বলতেই বলল অনেকক্ষন ধরে নাকি ডাকছিলো আমাকে রিং চয়েজ করতে। আমি ভ্রু কুচকে তাকালাম রিং দিয়ে আবার কি হবে কার জন্য এসব মুখে বললাম না। রাজ হয়তো আমার তাকানো দেখেই বুঝেছে কি বলতে চাইছি। তাই একটা কথা বলল,,

–এভাবে তাকিয়ে না থেকে একটা রিং চুজ করে নাও। এটা তোমার আগে পাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু আমি তো তা করতে পারলাম না তাই পরেই দিচ্ছি।

এবার বুঝলাম আমার জন্য এখানে এসেছে।

–এসবের দরকার নেই চলেন তো।

–দরকার আছে কিনা আমি দেখবো তারাতারি চয়েজ করো।

–আমার লাগবে না চলেন।

–আমার কথা কানে যায় না দেখো তারাতারি কোন ভালোলাগে।

বলেই রিং আমার হাতে দিতে লাগলো একটা রাখে একটা দিচ্ছে।

–আমার কোন রিং এর দরকার নেই চলেন তো বাসায় আমার ক্ষিদে পেয়েছে।

খাওয়ার কথা ইচ্ছে করে বললাম যাতে এসব বাদ দিয়ে বাসায় ফিরে আসে। আমি যে ক্ষিদে সহ্য করতে পারি না তা রাজ খুব ভালো করে জানে খাওয়ার কথা বললে।

কিন্তু সেগুরে বালি রাজ ছারলো না খেতে ও দেবে না বাসায় ও যাবে না কি বিপদে পরলাম। রাজের জরাজরি তে আর পারলাম না তাই নিতে রাজি হলাম কিন্তু আমি পছন্দ করলাম না রাজকে পছন্দ মতো কিনতে বললাম।

তারপর রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে রাত দশটার দিকে বাসায় পৌঁছালাম।

আমি আমার রুমে আর রাজ রাজের রুমে চলে গেল। রুমে এসেই পেচানো শাড়ি খুলে ফেললাম। কি ঝামেলায়ই যে ছিলাম খুলুম খুলুম অবস্থা। কী ভাবে যে এটা গায়ে রেখেছি আমি জানি শুধু। জামা কাপড় নিয়ে বাথরুমে চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে এসেই ঠাস করে খাটে শুয়ে পরলো প্রচুর ক্লান্ত লাগছে এখন ঘুম আসবো।

চিন্তা এই কয়দিন একটু ও ঘুম আসতে পারি নি। আজ একটু শান্তিতে ঘুম আসবো ভেবেই চোখ বুজে ফেললাম।কখন ঘুমিয়ে পরেছি জানি না। তীব্র আওয়াজ কানে আসতেই ধরফরীয়ে উঠে বসলাম। মিটিমিটি করে তাকিয়ে দেখি আমার সামনে রাজ বসে আছে আর চিৎকার করে ডেকে যাচ্ছে। রাগে আমার মন চাইছে রাজের মাথা ফাটিয়ে দিতে আমি ভয় পেয়ে গেছীলাম এতো জোরে আওয়াজ শুনে না জানি কি হয়েছে ভেবে কিন্তু কিছুই না রাজ ইচ্ছে করে আমার ঘুম নষ্ট করেছে।

–এমন ষাড়ের মতো চেচামেচি করছেন কেন এতত রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাতেও কিপারবো না?

–না পারবে না। কেন ঘুমাবে?

–মানে কি বলছেন কেন ঘুমাবো এটা কেমন প্রশ্ন। ঘুম মানুষ কেন আসে?

দাতে দাত চেপে কথা গুলো বলল মিষ্টি ঘুমের ডিসটার্ব একদম পছন্দ না ওর। আর রাজ ওর অপছন্দের কাজ বেশি করে এই লোকটা কি একে একটু ভালোবাসে না। ভালোবাসে কি এতো কষ্ট দিতো শান্তি তে একটু গুম ও কিআসতে পারবে না।

–জানি না কে কি করে জানতে ও চাইনা। আর আজ এমন একটা স্পেশাল দিনে ঘুম পারছো।

মিষ্টির মাথায় কিছুই ঢুকছে না ও অবুঝের মতো তাকিয়ে আছে কি বলছে বুঝার জন্য রাজের মুখের দিকে।

–কি হলো এভাবে তাকিয়ে থাকো কেন কিছু বললেই?

–আপনার কথা আমি কিছু বুঝতে পারছি না স্পেশাল দিন মানে কি?

–আমাদের বাসর রাত এটা কি স্পেশাল না বলো। আমাকে রেখেই তুমি এভাবে ঘুমাতে পারলে।

–হুয়াট

–আবার কি বলছো তুমি কি ভুলে গেলে যে আজ আমরা বিয়ে করেছি। আর সেই মতে আজকে আমাদের বাসর রাত তো আজকে নো ঘুম ওকে।

–কিসের বাসর রাত এসব কিছু হবে না। যান রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরুন এটা জাস্ট এমনিই বিয়ে সবার মত নিয়ে না হওয়া পযর্ন্ত কিছু করবেন না।

চলবে❤

[ অনেক অনেক সরি অনেক দিন পর গল্প দিলাম। খুব তারাতারি গল্প টা শেষ করে দেব সবাই শেষ কবে হবে তা নিয়ে চিন্তিত। তার মানে গল্প টা আর চাইছেন না বড় করতে চাইছিলাম কিন্তু আপনারা যখন চাইছেন না আর বড় করবো না। যারা অপেক্ষা করেছেন তাদের কে এতো গুলো ভালোবাসা বিজি না থাকলে লেট করতাম না। ধন্যবাদ সবাইকে?]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে