#লীলা_বোর্ডিং_১২১৫
খন্ডঃ০৫
মেরুন রঙা শাড়ির পাড় ফ্লোর ছুঁয়েছে, ফুল হাতা ব্লাউজের দায়ে গরমটা বেশ বোধ হলেও শিরিন আপা তা প্রকাশ করেন না হাবভাবেও। কলেজের ছেলেগুলোর দুয়েকটা যে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ম্যাডামদের দেখে সে কথা শিরিন আপা তার কলেজ পড়া জীবনেই টের পেয়েছিলেন বলে কোনো ছাত্রকে সে সুযোগ দিতে নারাজ তিনি। প্রায় দেড়শো ছাত্র-ছাত্রীতে ঠাসা ক্লাসরুমটা কবরের মতো নিশ্চুপ মেরে আছে, বাংলার এই ম্যাডামকে কলেজের সবাই বেশ ভয় পায়।
আধঘন্টা ধরে সাম্যবাদী কবিতা নিয়ে আলোচনা করছিলেন শিরিন আপা। নজরুল কেন পুঁথি ও কিতাব পিঠে-পেটে, মগজে ও কাঁধে বহন করতে বলেছিলেন তাই বোঝাচ্ছিলেন স্টুডেন্টদের৷ পড়ানোতে ইস্তফা দিতে হয় দপ্তরির ডাকে। নিচে তার এক আত্নীয় তাকে এক্ষুনি ডাকছে এমন জরুরি খবরে শিরিন আপা ক্লাস থেকে বেরিয়ে সোজা অভ্যর্থনা রুমের দিক হাঁটা দিলেন। বারবার মনে প্রশ্ন জাগছে, আমার আত্নীয় কে? আব্বা-আম্মা তো কলেজই চেনেন না। কে? শিরিন আপা নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করেন।
অভ্যর্থনা রুমে ঢুকতেই শিরিন আপা থমকে দাঁড়ান, দু কদম সামনে ফেলার সাহস পান না। সাজু যে! পাক্কা সাতটা বছর পর। সাজু শিরিন আপাকে দেখামাত্রই উঠে দাঁড়ায়। শিরিন আপা আর সামনে এগোন না, পেছন ফিরে সোজা শিক্ষক রুমের দিকে দ্রুত কদমে হাঁটা শুরু করেন। সাজু পেছন থেকে ডাকার সাহস পায় না, শিরিন আপাকে আটকাতে দৌঁড়ানোর ভঙ্গিতে হাটতে শুরু করে। শিরিন আপার থামবার ভাবগতি না দেখে সাজু নিচু গলায় বলে, শিরিন দাঁড়াও। একটা মিনিটের জন্য দাঁড়াও, প্লিজ। না, শিরিন আপা দাঁড়ান না। সাজু অগত্যা কলেজের বাইরে এসে শিরিন আপার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
দুপুর দুইটা পঞ্চাশ। কলেজ ছুটি হয়েছে, সবাই বেরিয়ে যাচ্ছে, শিরিন আপার কোনো খোঁজ নেই। মোনা কলেজের গেটের বাইরে রিক্সা নিয়ে শিরিন আপার জন্য অপেক্ষা করছে, শিরিন আপা তাকে ফোন দিয়ে আসতে বলেছে বলেই তার আসা। অন্য কেউ ডাকলে মোনা তার ক্লাস ফেলে চলে আসত না, শিরিন আপা বলেই মোনার ছুটে আসা।
শিরিন আপা কলেজ থেকে বেরোতেই সাজু পথ আগলে দাঁড়িয়ে বলল, শিরিন, আমার সাথে একটা মিনিট কথা বলো প্লিজ। শিরিন আপা সাজুর চোখে চোখ রেখে শান্ত গলায় বললেন, আপনাকে আমি চিনি না, বিরক্ত করবেন না। মোনা রিক্সা থেকে তড়িৎ বেগে নেমে এসে বলল, আপু! কোনো সমস্যা? শিরিন আপা উত্তর না দিয়ে রিক্সায় উঠে পড়লেন, সঙ্গে মোনাও। সাজু রিক্সার সামানে দাঁড়িয়ে বলল, একটা মিনিট দাও প্লিজ। মোনা কিছু বুঝতে পারছে না, একবার শিরিন আপার দিকে তাকাচ্ছে আরেকবার সাজুর দিকে তাকাচ্ছে। শিরিন আপা চোয়াল শক্ত করে বললেন, এটা আমার কলেজ কিন্তু, একটু চিৎকার করলেই আমার একশোটা ছাত্র ছুটে আসবে, ইজ্জত নিয়ে ফিরতে পারবেন না। রাস্তা ছাড়ুন, নাহলে খুব খারাপ হবে।
শিরিন আপার এই রূপটাকে খুব ভালো করেই চেনে সাজু, শিরিন আপা খামাখা কোনো কথা বলেন না সেটা সাজুর বেশ জানা বলেই রাস্তা ছেড়ে দাঁড়ায়।
রিক্সা চলছে তেজগাঁওয়ের লীলা বোর্ডিং এর দিকে। শিরিন আপা মুখ ভার করে থাকায় মোনা কোনো কথা জিজ্ঞেস করার সাহস দেখায় না। রিক্সার প্যাডেল ঘোরার সাথে সাথে শিরিন আপার গা গরম হচ্ছে, মোনা তা টের পায়। শিরিন আপার চোখ বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ে মেরুন রঙের শাড়িটা ভিজে চলেছে। মোনা কোনো কথা না বলে শিরিন আপার চোখের পানি মুছে দিতেই শিরিন আপা ফুপিয়ে কেঁদে উঠে মোনার কাঁধে মাথাটা এলিয়ে দেন। মোনা ধীরে ধীরে কেবল শিরিন আপার মাথায় হাত বোলাতে থাকে। শোকের এই হলো শক্তি, দূরে দূরে থাকা মানুষটাকে সে সহজে কাছে নিয়ে আসে। যে শিরিন আপা কখনো কাঁদতে পারে এটা কল্পনা করেনি লীলা বোর্ডিং এর কেউ, সেই শিরিন আপা আজ বিরামহীন কেঁদে চলেছেন ডাস্টবিনের বুড়ো কাক, ক্লান্ত ট্রাফিক পুলিশ আর শহুরে বাতাসকে সাক্ষী রেখে।
বোর্ডিং এর গেস্টরুমে সবাই গোল হয়ে বসে বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের এশিয়া কাপের সেমি ফাইনাল ম্যাচ দেখছে প্রবল উত্তেজনা নিয়ে। কেয়াকে আজ এক ছেলে প্রোপোজ করতে এসেছিল ফুল দিয়ে, কেয়া প্রোপোজ একসেপ্ট করার শর্ত দিয়ে বলেছিল, তাকে যদি এক ভ্যান তরমুজ দিয়ে প্রোপোজ করা হয় তাহলে সে ভেবে দেখবে। ছেলে সঙ্গে সঙ্গে এক ভ্যান তরমুজ নিয়ে হাজির! কেয়া নানা ভং ধরে, এটা সেটা বলে, পরে জানাবে বলে ভ্যান সুদ্ধ তরমুজ বোর্ডিং এ নিয়ে হাজির। সেই তরমুজ খেতে খেতে সবাই ফ্লোর পানি পানি করে ফেলেছে।
খেলা দেখার মাঝেই রাঁধুনি মিনু আপা এসে জুঁই আর মোনাকে ডেকে নিয়ে গেছে, শিরিন আপা ওদের ডেকে পাঠিয়েছে।
জুঁই, মোনাকে চেয়ার টেনে বসতে বলেই ফ্লাক্স থেকে কাপে চা ঢাললেন শিরিন আপা। জুঁই শিরিন আপাকে অন্যদের চেয়ে ভয়টা বেশিই পায়, মোনাও আজকের আগ পর্যন্ত খুব ভয় পেত, আজ কিছুটা কমে এসেছে। শিরিন আপা ওদের দুজনের দিকে চা এগিয়ে দিয়ে নিজে চেয়ারটা টেনে ওদের মুখোমুখি বসে ধীরেধীরে চায়ের কাপে কয়েক চুমুক দিলেন। নরম গলায় শিরিন আপা জুঁইয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, টিউশন করো কয়টা?
-তিনটা।
বেতন কত পাও?
-সবমিলিয়ে আট হাজার।
একটা কিন্ডারগার্টেন স্কুলে চাকরির ব্যবস্থা করেছি, বেতন পাবে আট হাজার আর ওখানে পড়ালে টিউশন করিয়েই আরো দশ-বারো পাবে৷ পড়াবে?
জুঁই ঘটনার আকস্মিকতায় কয়েক সেকেন্ড নিরুত্তর থেকে প্রবল আনন্দে দুবার মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ সূচক উত্তর দিল।
শিরিন আপা চায়ের কাপটা রেখে দিয়ে যন্ত্রের গলায় বললেন, ছেলেটার নাম কী? যার সাথে সেদিন হাত ধরে হাঁটছিলে।
জুঁই মাথা নিচু করে ফেলে। মা বাবার মতো শিরিন আপা তাকে ভালোবাসে বলেই সে লজ্জায়, ভয়ে কথা বলতে পারলো না।
শিরিন আপা ধমক দিয়ে বললেন, নাম কী ওর? থাকে কোথায়? চুপ মেরে আছো কেন?
– জ্বি, ওর নাম, ওর নাম হচ্ছে সাকিব। মোহাম্মদপুর থাকে।
ও আচ্ছা, যাও খেলা দেখো গিয়ে। আর কাল সকাল আটটার আগে বোর্ডিং এ আসতে বলবে তাকে, আমার আটটার পর কাজ আছে, দেরি যেন না করে। ঠিক আছে?
-জ্বি আপু।
জুঁই বেরিয়ে যেতে শিরিন আপা জানালার কাছে গিয়ে বসে, ইশারায় মোনাকে কাছে ডাকে। মোনা কাছে বসতেই শিরিন আপা বললেন, আমাকে চার লাইন কবিতা শোনাবে?
মোনা দম নিয়ে বলে চলল –
How do I love thee? Let me count the ways.
I love thee to the depth and breadth and height
My soul can reach, when feeling out of sight
For the ends of being and ideal grace.
শিরিন আপা জানালার বাইরে তাকিয়ে তাকিয়ে বললেন, এটা এলিজাবেথ ব্রাউনিং এর কবিতা না?
-জ্বি, উনি রবার্ট ব্রাউনিং এর স্ত্রী।
জানালা থেকে চোখ সরিয়ে মোনার দিকে তাকিয়ে গলা নিচু করে, খানিকটা আফসোসের সুরে শিরিন আপা বললেন, কবি বলেছেন তিনি প্রস্থে, উচ্চতায় আর গভীরতায় ভালোবাসতে চান। আমাদের জীবনে এমন মানুষ কেন আসে না মোনা? সবাই কেন কেবল প্রস্থে ভালোবাসতে চায়, সবাই কেন ভালোবাসার একটা সামান্য পথ দেখিয়ে ক্লান্ত হয়ে যায়? কেউ তো গভীরভাবে, আকাশের মতো বিশাল উঁচু হয়ে ভালোবাসতে চায় না।
মোনা উত্তর দিতে পারে না, ফ্যালফ্যাল করে শিরিন আপার দিকে তাকিয়ে থাকে।
শিরিন আপা উত্তরে আশা না করে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, তোমাকে ডেকেছি কেন জানো? তোমার মনে প্রশ্ন জেগেছে ঐ লোকটি কে, উত্তর দেয়া জরুরি আজ। তাই ডেকে আনলাম। সময় আছে তোমার?
-জ্বি আপু, সময় আছে।
আমি তখন অনার্সে ভর্তি হয়েছি। আব্বা-আম্মার অনেক আশা ছিল খালার বড় ছেলেকে বিয়ে করি। আমি তখন পাগল হওয়া প্রেমিকা কারো। সে ডানে বললে ডানে যাই, বামে বললে বামে, এমন অবস্থা আমার। আব্বা-আম্মা স্থির করলেন খালার বড় ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দেবেন যতটা দ্রুত পারা যায়, আমি ছোটবেলা থেকেই খুব জেদি স্বভাবের, আহ্লাদীও। আমি আব্বা-আম্মাকে বললাম আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি, তাকেই বিয়ে করব। এই নিয়ে টিপিক্যাল ইনসিডেন্ট ঘটতে লাগল। শেষমেশ আমি ঘর ছাড়লাম আমার প্রেমিকের জন্য। আসলে ঐ মুহুর্তে আব্বা-আম্মা কিংবা আমি, আমরা সবাই ভুলটা বেছে নিয়েছিলাম। খালার ছেলেটা মানুষের কাতারে পড়ে না, প্রচুর টাকা তাদের, তবে সে টাকার গরমে জঘন্য পর্যায়ের মানুষ ছিল। তো যাই হোক, আমি আর আমার প্রেমিক দুম করেই বিয়ে করে ফেললাম। মাস দুয়েক টইটম্বুর ভালোবাসা সে! সে তখন একটা কোম্পানির সেলসম্যান, আমাদের অভাবের সংসারে নুন, তেল, মাছে সংসার না চললেও আমাদের দুজনের আপোষে সংসারটা বেশ চলে যাচ্ছিল। ভাড়া বাড়ির ফুঁটো টিনের চাল বেয়ে পড়া বৃষ্টির পানি, ফ্যান ছাড়া ভ্যাপসা গরম কিংবা আলু ভর্তায় গোটা দিন পার হলেও আমরা বেশ ছিলাম। তবে আস্তে-ধীরে কেমন যেন সব বদলে যেতে শুরু করে। আমার স্বামী একদিন কাজ থেকে ফিরে কঠিন গলায় বলল, এভাবে আর চলা যায় না শিরিন। আমি হেসে বলেছিলাম, আসলেই এভাবে চলা যায় না, আমি দেখি টিউশন পাই কি না। সে ধৈর্য ধরেনি। খুব তেতো সুরেই বলেছিল আমি যেন আব্বাদের ওখানে চলে যায়, সেও তার বাড়ি চলে যাবে। ভালো চাকরি পেলে সে আমাকে তুলে নেবে। আমি তাকে নানাভাবে বুঝিয়ে, হাতে-পায়ে ধরেও এটা বোঝাতে পারিনি যে আমার আব্বা-আম্মা আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দেবে না। সে কী করল জানো? সে আমার হাতে পঞ্চাশ টাকা গুঁজে দিয়ে বলল, রিক্সা করে বাড়ি ফেরত যেতে। সে ঐ যে বেরিয়ে গেল তো গেলোই। না খেয়ে আমি টানা দুদিন ছিলাম ঐ ভাড়া বাড়িতে, দুটো দিন কেবল নির্জলা পানি খেয়ে থেকেছি। বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছিলাম, আব্বা-আম্মা দরজা লাগিয়ে দিয়েছেন আমাকে দেখেই। সার বিকেল বাড়ির উঠানে বৃষ্টিতে ভিজলাম, তবুও ঘরে তুলল না। বাচ্চা পাখি ঝড়ে, বৃষ্টিতে যতটা অসহায় হয়ে তার বাসা খোঁজে, মাকে খোঁজে আমিও তেমনি আমার স্বামীখে খুঁজেছিলাম। পাইনি। পরে সেদিন ঘন্টা তিনেক হেঁটে লীলাদের বাড়ি গেলাম, ওদের ঘরে ঢোকার আগেই বেহুশ হয়ে পড়ে গেলাম। তারপর লীলাদের ওখানে থাকা, লীলা এই বোর্ডিং দিতেই এখানে এসে ওঠা। ওহ হ্যাঁ, আজকে যাকে দেখলে, সে-ই আমার সেই প্রেমিক! সে-ই আমার স্বামী। থু! ঘৃণা হয় মুখটা দেখলে।
মোনার চোখে পানি টলমল করছে। শিরিন টের পায়। মোনাকে সুযোগ দেয় না কাঁদার। ব্যস্ত গলায় বললেন, আচ্ছা এখন যাও, পরে কথা হবে আবার।
মোনা দরজার সামনে গিয়ে মাথা নিচু করে বলল, আসলেই আপু, সবাই গভীরতা, উচ্চতায় ভালোবাসতে পারে না। তারা কেবল প্রস্থেই ভালোবাসে।
পাকিস্তান বাংলাদেশের ম্যাচের শেষ দিক চলছে, টানটান উত্তেজনা। যে কেউ জিতে যেতে পারে। শায়লা খেলা বোঝে না, কানিজরা লাফিয়ে উঠলে সেও খুশি হচ্ছে। দারোয়ান হাসান মামা এসে জানায় গেটের বাইরে কেউ তাকে ডাকছে। শায়লা তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে আসে। খাইরুল সাহেব এসেছেন।
শায়লা চারদিকে চোখ বুলিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে বলল, আপনি এখানে কেন? একটা ফোন করে আসবেন না?
-খুব জরুরি দরকারে এসেছি শায়লা।
আচ্ছা আচ্ছা বলেন তাড়াতাড়ি, কেউ দেখে ফেললে আমি কী বলব বলেন তো?
-কেউ দেখবে না। শোনো, কাল আমার স্ত্রীর মৃত্যু বার্ষিকী। মেয়েটাকে বলেছিলাম মিলাদ দেব কাল, ও নাকি বন্ধুদের সাথে বেড়াতে যাবে, তাই থাকবে না। কে তাহলে মিলাদের জন্য বিরিয়ানি রাঁধবে বলো তো, আমি একা মানুষ। তুমি কাল আমাদের বাসায় যাবে?
এটা আপনি ফোনে বললেও তো হতো৷
-ফোনে বললে তুমি যেতে না।
আপনার কী মনে হচ্ছে? এখন আমি যাব?
-না, এখন তুমি যাবে না, আমাকে না করবে৷ তবে কাল তুমি যাবে,আমি জানি।
আপনি ভুল জানেন, আমি আপনার বাসায় যাব না। আপনি এখন যান প্লিজ।
খাইরুল সাহেব মন খারাপ করে বললেন, আমার মতো বুড়ো একটা খসি কিনে এনেছি, তুমি না আসলে মিলাদ হবে না কিন্তু।
শায়লা ফিক করে হেসে বলল, আমি যাব না। এখন যান তো, আমিও যাই। শায়লা ধপাস করেই গেট বন্ধ করে দিয়ে গেস্ট রুমের দিকে পা বাড়ায়।
লেখকঃ Borhan uddin