#লাভ_টর্চার❤
#Part-1
#Nusrat_Jahan_Abida
– ছেলেটা দেখতে অনেক জোস না!!
.
.
কথাটা বলে শুভ্র ভাইয়ার দিকে তাকালাম। শুভ্র ভাইয়া আমারই দৃষ্টি অনুসরণ করে তাকিয়ে আছে। সামনে থাকা হাবলাকান্তের মতো মানুষটিকে দেখে কুচকানো ভ্রুযুগল আরো বেশি কুচকে গেছে। তা দেখে আরো উৎসাহিত হলাম। আরেকটা ফুচকা মুখে পুরে বললাম,
– আগে যদি জানতাম দুনিয়াতে এতো জোস জোস ছেলে আছে!!
– তাহলে কি করতি?? (শুভ্র)
.
.
শুভ্র ভাইয়ার প্রশ্নে পোড়া পোড়া গন্ধ পাচ্ছি। তাতে আমার কি! আমি তো বলেই যাব। হুহ! আবার নতুন উদ্যম নিয়ে বলা শুরু করলাম,
– তাই করতাম যা অন্য সবাই করতো!
.
.
শুভ্র ভাইয়া ভ্রু কুচকে বললো, অন্য সবাই কি করতো!
.
.
তার অবস্থা দেখে বেশ হাসি পাচ্ছে। হাসি চেপে বললাম, কি আর করতো! তারিফ করতো! বাহ! দেখতে কি হেব্বি লাগছে, মন তো চাচ্ছে……
.
.
কথা শেষ হওয়ার আগেই শুভ্র ভাইয়া হাত ধরে টেনে দাঁড় করালো। টানতে টানতে বাইকের কাছে নিয়ে গিয়ে বলল, বস!
.
.
আমি মুখ ফুলিয়ে বললাম, আমার ফুসকা!
.
.
– থাপ্পড় খেতে না চাইলে বসে পড়! (শুভ্র)
.
.
রেগেছে রে! আরো রাগালে হীতে বিপরীত হয়ে থাপ্পড় সোজা গালে পড়বে তাই আর কিছু না বলে বাইকে বসে পড়লাম। মনে হেব্বি গান চলছে,, কাঁটা লাগা…….
.
.
বাইক আপন গতিতে চলছে। হঠাৎ এক জায়গাতে বলে উঠলাম, থামুন! থামুন!
.
.
শুভ্র ভাইয়া আকস্মিক ব্রেক কষতেই আমি শুভ্র ভাইয়ার গায়ে বাড়ি খেলাম। তার মাতাল করা গায়ের গন্ধে শ্বাস যেন আটকে যায় যায়!
.
.
– এখানে কি করবি! (শুভ্র)
.
.
নিজেকে সামলে লাজুক হেসে বললাম, আসলে তাসিন ভাইয়া নোট কালেক্ট করতে তার বাসায় যেতে বসেছিল।
– তো! (শুভ্র)
– এই সামনেই তার বাসা।
– চল, আমি নিয়ে যাই (শুভ্র)
– না??
– কি হলো! (শুভ্র)
– না মানে আপনাকে দেখলে নোট দিবে না।
– কেন?? (শুভ্র)
– আপনি জানেন না মনে হয়! একা মেয়েদের ছেলেরা হেল্প বেশি করে।
– তাই নাকি! (শুভ্র)
– জি
.
.
আর কিছু না বলে বাইক থেকে নেমে পড়লাম। শুভ্র ভাইয়া কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে নিজের গন্তব্যে পাড়ি জমালো। শুভ্র ভাইয়ার যাওয়ার দিকে এক নজর তাকিয়ে নিজের গন্তব্যে হাঁটা ধরলাম।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
.
এখন আসি পরিচয় পর্বে! আমি আরোহী রহমান আদাহ। আমার সাথে যে ছিলো তিনি আমার একমাত্র মামার একমাত্র ছেলে, শুভ্র। শুভ্র ভাইয়াকে আমি ছোট বেলার থেকেই পছন্দ করি, কিন্তু মহাশয় আমাচকে দামই দেন না। উল্টো কিছু বলতে গেলে সবার সামনেই অপমান করে। তাই ভেবেছি এখন থেকে আমি তার পিছে ঘুরবো না, উল্টো তাকে আমার পিছে ঘুরাবো। তাকে তো এটা মানতেই হবে যে, তিনিও আমাকে পছন্দ করেন। তা না করা পর্যন্ত তার উপর #লাভ_টর্চার চলতেই থাকবে। সো, গেট রেডি ফর আরোহী’স #লাভ_টর্চার, ডেয়ার!
.
.
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে জানালার ধারে দাঁড়াতেই দেখি শুভ্র ভাইয়া বাসার ভিতরেই ঢুকছে। শুভ্র ভাইয়াকে দেখেই একটা ঢোক গিললাম। তিনি যদি বুঝে যে আমি তাকে মিথ্যা বলেছি তাহলে নিশ্চয়ই আমার বারোটা বাজাতে! না, আরোহী। তোকে কিছু ভাবতেই হবে! ভাবতে ভাবতেই রুমের দরজায় টোকা পড়লো। ছোট্ট জানপাখিটাকে হাতে নিয়ে ধীর পায়ে দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম। কি করব ভাবছি তার মাঝেই আবার টোকা! এই খাটাশটা আমাকে কিছুই ভাবতে দিবে না। হুহ! মনে এক বস্তা সাহস জুগিয়ে দরজা খুলতেই শুভ্র ভাইয়া ভ্রু কুচকে তাকালো। আমি জোরপূর্বক হাসি দিয়ে বললাম,
– হ্যালো, ভাইয়া!
.
.
শুভ্র ভাইয়া এখনোও ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে। নিশ্চয়ই সন্দেহের ভূত তার মাথায় চেপে বসেছে। তিনি কিছু বলছেন না তাই নিজেই বললাম,
– আপনি এখন!
.
.
কোন ভণিতা ছাড়াই শুভ্র ভাইয়া বলল, কেন! আশা করিস নি!
.
.
আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা! কিন্তু আমিও আরোহী! মুখে দীর্ঘ হাসি টেনে বললাম,
– মোটেও না। এভাবে যখন তখন কারো বাসায় আসা মোটেও শোভনীয় না।
.
.
– এ কেমন কথা! দিন দিন তো দেখছি বেশ বেয়াদব হয়ে যাচ্ছিস!
.
.
শুভ্র ভাইয়ার পিছনে উঁকি দিতেই দেখলাম আম্মু কথাটা বলছে। ভুল সময়ে ভুল কথা বলেছি মনে হয়!
.
.
আম্মু এগিয়ে এসে বলল, আমার বাড়ির লোক বলে এভাবে বলছিস! তোর বাবার পরিবারের হলে এটা বলতি না!
.
.
আম্মু সবসময় মনে করেন যে শুভ্র ভাইয়াকে না দেখতে পারার কারণ হলো উনি আম্মুর পরিবারের বলে! হাজার বুঝিয়েও এ কথা আম্মুর মাথা থেকে দূর করতে পারি নি। এখন তো বলতে পারি না যে, আপনার ভাতিজা আমার ইমোশনস বুঝে না, তাই কাট্টি! ছোটবেলা হলে ঠিকই বলে দিতাম!
.
.
আম্মুর দিকে হাসোজ্জ্বল চেহারা নিয়ে বললাম, পরিবার থেকে মনে পড়লো শান্ত ভাইয়া কি কালকে আসছে নাকি!
.
.
আমার কথায় শুভ্র ভাইয়ার কি মনে হয়েছে জানি না কিন্তু আম্মু রেগে বলল, তুই থাক তোর বাপের পরিবার নিয়ে!
.
.
কথাটা বলে হনহন করে চলে গেল। আম্মুর কান্ড দেখে হাসি আসছে প্রচুর কিন্তু হাসি তো ফাসি! তাই হাসি দমিয়ে বললাম, আসলে তাসিন ভাইয়াকে কল করেছিলাম। তিনি বললেন আমার মতো কোমল মানুষ এতো কষ্ট করে তার বাসায় যাবে, আবার নিজের বাসায় আসবে! তাই তিনি দু মিনিটেই বাইক নিয়ে হাজির হয়ে গেলেন। নোট তো দিলেনই, সাথে বাসায় ড্রপও করে গেলেন। ভালো না?
.
.
শুভ্র ভাইয়া মুখের চোয়াল শক্ত করে বলল, হ্যাঁ, হ্যাঁ, খুব ভালো, অনেক ভালো, প্রচন্ড রকমের ভালো!
.
.
ভালোর এতো পদ হয় তা আমার জানা ছিলো না! ভালোই হলো জেনে নিলাম! পরে এটাও #লাভ_টর্চারে কাজে লাগাতে পারবো! হিহিহি!
.
.
Continue………………..
Nice post . Thank u this post .