#লাভ_উইথ_মাই_বেটারহাফ
#পর্ব-১২
#সাদিয়া_খান(সুবাসিনী)
“আমি কী তোকে মিথ্যে বলছি আরশাদ?এই দেখ ছবি। আমি যখন ওইদিক দিয়ে আসি দেখি দুজনে দাঁড়িয়ে আছে। কি নিয়ে যেন কথা কাটাকাটি হচ্ছে। তারপর তৃষ্ণাই আগে হাত বাড়িয়ে দিলো আর রঙ্গান হাত ধরলো। তারপর বাইকে করে চলে গেল।”
“কখন দেখেছিস?”
“কিছুক্ষণ আগে। বড়জোর ঘন্টাখানেক আগে।”
আরশাদ কিছুই বলল না, সিগারেট ধরালো। সিগারেটের ধোঁয়া উড়িয়ে দিতে দিতে বলল,
“তোর কী মনে হয় রাকিব?”
“কী মনে হতে পারে?”
“ওদের মধ্যকার সম্পর্ক?”.
” এইভাবে হাত ধরাধরি? সরি টু সে,কিন্তু আমার বউকে আমি তো দিবো না।”
“আমার জায়গায় থাকলে তুই কী করতি?”
“সত্যি বলবো?”
” জিজ্ঞেস যখন করেছি সত্যিটাই জানতে চাই।”
“চুলের মুঠি ধরে বাসা থেকে বের করে দিতাম।আর পরদিন সোজা তালাক।”
“আর বউ যদি ফিনফিনে শাড়ি পড়ে সুগঠিত শরীর দেখিয়ে রাতভর পার্টি করে?”
“আর যাই হোক ওই বউ নিয়ে সংসার হয় না।”
“একদম ঠিক।তাহলে চল।”
“কোথায়?”
“এই তো এডভোকেট আব্দুল মোতালেব এর কাছে।”
“ডিভোর্স স্পেশালিষ্ট? আমি তো জানি তুই কাগজ রেডিই করেছিস।”
“করেছি আমার জন্য। তোর টা তো এখনো বাকী।”
“মানে?”
“খুব সোজা। তুই তো আমাদের ব্যাচের শেয়াল পন্ডিত অথচ এই সোজা কথার মানে বুঝলি না?”
“ঝেড়ে কাশি দে। কি বলতে চাইছিস?”
“তৃষ্ণা, রঙ্গানের হাত ধরেছে বলে তুই বলছিস আমার ওকে তালাক দিয়ে দেওয়া উচিৎ।”
“রাস্তাঘাটে মান-সম্মান খোয়াতে না চাইলে দিয়ে দেওয়া উচিৎ।”
“তবে তোর উচিৎ তাই করা।তোর বউকে তালাক দেওয়া।”
“কি সব বলছিস?পিনিকে আছিস?”
“ছিলাম।শোন তোদের কাছে সাপ্তাহিক রিল্যাক্স মানে সুইমিং পুলের পানিতে নেমে ছেলে মেয়ে একত্রে গোসল করে নেশায় মত্ত থাকা।কে কার বউকে কীভাবে স্পর্শ করছে, কই কই স্পর্শ করছে সেসব তোরা দেখিস না।
তোরা ওই নীতিতে চলিস
‘তোর বউ আমার বউ, আমার বউ তোর বউ।’
কিন্তু আমি না। হ্যাঁ আমার অনেক দোষ। বিগত চারটে মাস আমার ছোট্ট পাখির বাসায় কি না বয়ে গেল।যে মেয়েটা আমার সব সেই মেয়েকে আমি সেসব মেয়ের সাথে তুলনা করতেছিলা।
শালা কি বলবো আমরা কাপুরুষের জাতটাই এমন। নিজের ঘরের হীরেকে চিনি না, বাইরের বালির প্রশংসায় মেতে থাকি।
তুই একটা কথা বল তো!
কোটি টাকার সম্পত্তি তুই কাউকে এমনিই ধরতে দিবি?
না তো!দামী ফোনটাই দিবি না কারো হাতে। অথচ দেখ
আমার তৃষ্ণা আমার সারাজীবনের সম্পদ।
আর বললি না?টাকা ও কোথায় পেল?
নিজের গয়না বন্ধক দিয়েছে। বিয়ের গয়না।কখনো ভেবেছিস?
আমার বাবার জন্য ওর দায় পড়ে নেই কিন্তু ও দিয়েছে। স্টুডেন্ট লাইফ থেকে বিন্দু বিন্দু টাকা জমিয়ে যে টাকাটা ফিক্সড ডিপোজিটে রেখেছিল তা ভেঙেছে। এরপর আর কিছু বলার থাকে?”
“এসব দেখে তুই গলে গেছিস?চকচক করলেই সোনা হয় না।”
“কিন্তু তৃষ্ণা তো সোনা নয়। ও আমার সেই সম্পদ যাকে আমি পায়ে ঠেলে দিয়েছিলাম।তৃষ্ণার মিতব্যয়ী স্বভাব যা আমার আগে খুব পছন্দ ছিল কিন্তু হঠাৎ তোর কথায় সে স্বভাব আমার গলায় ফাঁসির ফান্দার মতো লাগছিল কেন?
কারণ জানিস?কারণ হচ্ছে তুই আমার মধ্যে সেসব ঢুকিয়েছিলি।
আজ দেখ তৃষ্ণার ওই বাজে স্বভাব,টাকা না খরচ করার স্বভাবের জন্য আমার বাবা আজ ঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে পেরেছেন।
তোর সাথে তো বাবার রক্তের গ্রুপ মিলেছিল, তুই তো দিতে এলি না। ”
“কারণ আমি নেশা করি। আমার রক্ত আরো ক্ষতিকর।”
“শুধু তোর রক্ত নয়, তুই নিজেও আমার সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।”
“আমি এতটাই ক্ষতিকর যখন তবে বেশ আমি যাচ্ছি। আর তোকে বিরক্ত করবো না।”
“তোর ফোনটা নিয়ে যা।আর ছবিটার দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখ পাশে তুষার দাঁড়িয়ে। তৃষ্ণার ভাই।”
“তুষার না থাকলে কী তুই আমাকে বিশ্বাস করতি?”
“না, কারণ যে একবার ঠেকে শিখে সে বারবার ভুল করে না।তৃষ্ণা আমার জন্য সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত।রহমতকে পায়ে ঠেলে, কষ্ট দিয়ে যা শাস্তি পাওয়ার আমি পেয়েছি। আর নয়। আমি জানি না তুই এমন কেন করেছিস তবে শুধু বলব
” বন্ধুবেশে শত্রু হেমলকের থেকেও বিষাক্ত।”
রাকিব চলে যাওয়ার পর আরশাদ নিজ চেয়ারে গা এলিয়ে দিলো। আরেকটা সিগারেট ধরিয়ে সাথে সাথে নিভিয়ে ফেলল সে। তৃষ্ণাকে কল দিচ্ছে সে।
কল ধরলো আরশাদের মা।
তৃষ্ণা তার বাবার সাথে দেখা করতে সি আই সি ইউ এর ভিতরে গিয়েছে।
ফোন রেখে আরশাদ মনে মনে চিন্তা করলো,
“আজ যাই হোক না কেন, সব কিছুর জন্য সে মাফ চাইবে সবার কাছে। ভুল যা করছিল আর কখনো হবে না।”
কলেজ থেকে ফেরার পথে তৃষ্ণা দেখল তার বাবা তার জন্য অপেক্ষা করছে। সামনে পূজোর প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। ভীড় বলেই সে মেয়েকে নিতে এসেছে।
বিকেলে সবাই যখন হাসপাতালে ছিল তখন সম্পূর্ণ কথা তুষার তার মা-বাবাকে জানায়। তারা কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। সব’টা তৃষ্ণার উপর দিয়ে দিয়েছে।
সবার সামনেই তৃষ্ণা তার মতামত জানিয়ে দিলো,
“সে আরশাদ কে ডিভোর্স দিচ্ছে। কারণ তাদের কেস ইতিমধ্যে কোর্টে উঠেছে।”
চলবে
#লাভ_উইথ_মাই_বেটারহাফ
#সাদিয়া_খান(সুবাসিনী)
#পর্বঃ১৩
আরশাদ তৃষ্ণার সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল তার বসার ঘরে। অফিস থেকে ফিরে সে ফ্রেশ হয়ে সবে মাত্র বসেছে। সে মুহুর্তে তার মা তাকে কল দিয়ে সব’টা জানায়। তবে এখন তার বাবাকে কিছু জানাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তৃষ্ণার কাছে আজ কোর্ট থেকে কাগজ পাঠিয়েছে। সেটা সে হাতে পেয়েছে এবং তুষারকে নিয়ে সে এক উকিলের সাথেও কথা বলেছে।
তৃষ্ণা না কী নিজেও চায় দ্রুত ডিভোর্সটা হয়ে যাক।
ফোনটা রেখে মানিব্যাগটা হাতে নেয় রঙ্গান। সেখানে দেখা যাচ্ছে তৃষ্ণাকে।
সোনালী পাড়ের হালকা গোলাপি শাড়িতে।
ছবিটা কবে কার হবে?আরশাদ চিন্তা করছে।হ্যাঁ এটা তার প্রেমে পড়ার বছরের ছবি।
এই ছবিটাও লুকিয়ে তোলা। তৃষ্ণাদের কলেজ ফাংশানে তার হাতে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল সে।
কারো সাথে কথা বলার সময় হাসতে হাসতে ফুল কপালে ঠেকায়।
তখন তুলেছিল ছবিটা।
সে সময় থেকেই ছবিটা তার মানিব্যাগে থাকে।
এরপর মানিব্যাগ বদলেছে অনেকগুলো কিন্তু বদলায়নি এই ছবিটা।তার সর্বক্ষণের সাথী।
তৃষ্ণার প্রতি তার ভালোবাসা তার প্রতি তৃষ্ণার ঘৃণার বা অভিমানের সমানুপাতিক।
ভালোবাসায় অভিমান সমানুপাতিক হলে সম্পর্কটা টিকে না। ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় শেষ পরিণতির দিকে।
তৃষ্ণার প্রতি তার সকল ভালোবাসার এখন কোন মূল্য কেউ দিবে না, শুধু তার করা কিছু ভুলের কারণে।
এসব চিন্তা ভাবনায় কখন দুচোখের পাতা ভারী হয়ে এসেছিল নিজেও জানে সে। ঘুম ভাংলো তখন রাত অনেক।নিজ হাতে কফি বানিয়ে ফেসবুকের ডাটা অন করতেই ম্যাসেজে ভরে যেতে লাগলো ইনবক্স।
একটাই ম্যাসেজ
“রাকিব কে পুলিশে ধরেছে। সাইবার ক্রাইমের জন্য। জানিস কিছু?”
আরশাদ কিছুটা অবাক হয়ে রইল।এরপর কল দিলো ওর বন্ধু ফারদিন কে।ফারদিনের কাছ থেকে সব’টা শুনে আরশাদ কিছুটা হতবিহ্বল হয়ে বসে রইল। কারণ রাকিবের বিছানো সুন্দর মায়াজালে সে এভাবে তার নিজের সংসার বিসর্জন দিয়ে দিলো?
তবে কী সত্যি?বন্ধু নির্বাচনের কোনো বয়স হয় না?
পিঠ পিছনে ছুড়ির আঘাতগুলো কাছের মানুষ করে?
তারা এতটা হিংসে পরায়ণ? শুধু নিজ স্বার্থ হাসিল করার জন্য অন্যকে এভাবে ব্যবহার করে?
পরদিন সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।ঢাকের শব্দে বৃষ্টি নিজ তালে নৃত্য করছে। পূজোর আগমনী বার্তায় হিন্দুপাড়া গুলো নতুন বউয়ের সাজে সাজতে ব্যস্ত৷
তবে এই বৃষ্টির দিনে সবার একটাই আবদার থাকে। তা হলো কী করে আরাম আয়েশে থাকা যায়।
কিন্তু সে আয়েশ হয়নি তুষারের। রোগীর সাথে থাকার ব্যবস্থা নেই তাই হাসপাতালেই একটা কেবিন ভাড়া করেছে তারা। সেখানে আরশাদের মা ছিল রাতে। তাকে খাবার দিতে গিয়েছিল সে। কিন্তু মাঝপথে দেখা গেল আরশাদ আর তার মা আসছে। তাই আবার সে ফিরে এসেছে বাসায়।
খাবার টেবিলে বসে আছে সবাই।গরম গরম খিচুড়ি সাথে বেগুন ভাজা আর কষা মাংস।
তৃষ্ণা সবাইকে পরিবেশন করছিল।তুষারের দিকে এসে দেখলো তার চুলে এখনো পানি। লেবুর বাটিটা টেবিলের উপর রেখে সে নিজ ওড়নায় ভাইয়ের মাথার চুল মুছে দিচ্ছে।
আরশাদের মা অবাক চোখে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে। কে বলবে এটা ছোটো বোন?
যে কী না বড়ভাইকে এভাবে যত্ন করে?
মেয়ে তো তার নিজের আছে অথচ সে আর খবর রাখে কোথায়?
বিয়ের আগে ভাইকে এভাবে যত্ন খুব কম করতো তবে বিয়ের পর তাও যেন নেই। না হলে তার বাবা এতদিন ধরে হাসপাতালে, পরের মেয়ে এত খেয়াল রাখছে, কই সে তো নিজে একবারো এলো না।
অবশ্য না আসার পিছনে তৃষ্ণা কারণ।
তার ননদ আরশাদ বিয়ে করলো না, এদিকে ছেলের পছন্দকে প্রাধান্য দিতে মেয়েকে সবার সামনে হেনস্থা হতে হলো তাকে।
ছেলের বৌয়ের জন্য সম্পর্ক টান পোড়নে মেয়েটা তার হারিয়েই গেল।
ভাবতেই দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো তার অন্তর থেকে।
তৃষ্ণা সবার সামনে আরশাদের সাথে কথা বলছে না আবার তার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে না।আর পাঁচ জনের সাথে যে ব্যবহার করছে আরশাদের সাথেও ঠিক একই ব্যবহার করছে সে৷
আরশাদ চাইছিল তার সাথে একা কথা বলার সুযোগ। তৃষ্ণার পরিবার অবশ্যই তৃষ্ণাকে সাপোর্ট করছে কিন্তু তাদের সংসার নষ্ট হোক তারা এটা চায় না।
তৃষ্ণার একটাই কথা,
“রাকিবের মতোন বন্ধু যদি আবার ফিরে আসে? তবে কী করবে?আবার সোনালীর মতোন কেউ এলে?আবার আমাকে তালাক দিতে চাইবে, নেশা করে ঘরে ফিরবে, আমাকে মারধর করবে, মুখের উপর ডিভোর্স লেটার সাইন করে ফিক্কা মারবে। এসব করার জন্য ওকে আমি আবার সুযোগ দিবো?
তোমাদের কাছে বেশি হলে বলো আমি চলে যাবো।আমাকে সরকার থেকে কোয়ার্টার দিবে কী না সে খোঁজ নিবো। না নিলে অন্য কোথাও বদলি হয়ে শহর ছেড়ে যাচ্ছি যদি এত সমস্যার কারণ হয়ে থাকি।
তোমরা মেয়ে বিয়ে দিয়েছো মানে গাছ কেটে ফেলেছো।তো আমার দায় দায়িত্ব তোমাদের নিতে হবে না।
তোমরা চিন্তা করো না তোমার ছেলের বউ এসে অন্তত ডিভোর্সী ননদের জ্বালাতন সহ্য করবে না।তার আগেই আমি আমার ব্যবস্থা করে নিচ্ছি।বাবা মায়ের কাছে, ভাইয়ের কাছেই আমি বেশি সেখানে আরশাদ পরের ছেলে। তার কী দায় পড়েছে আমাকে ভাত কাপড় দিয়ে পালতে?
হ্যাঁ সে আমার দায়িত্ব নিতে বাধ্য কিন্তু বিনিময়ে আমি তার রাগ ক্ষোভের ডাস্টবিন হতে পারবো না। আমার নিজস্ব মতামতকেই আমি প্রাধান্য দিবো।কারণ আমি মানুষ, আমার নিজের মতামতের প্রতি তোমাদের সম্মান জানাতেই হবে। তোমরা চাইলেও, তোমরা না চাইলেও।”
গতকালের বলা কথাগুলো আরশাদ ফোনেই শুনতে পেয়েছিল। আচ্ছা নিজ ভুল বুঝতে পারার পর কী আর করবে সে?
আরশাদ খুব ভালো করেই জানে,
ভালোবাসার অধিকার আদায় করে নিতে হয়। মানুষ সব উপেক্ষা করতে পারে, ভালোবাসার জ্বালাতন উপেক্ষা করতে পারে না।
আরশাদ অপেক্ষা করছে কখন সে কথা বলতে পারবে অথচ তৃষ্ণা ফোনে ব্যস্ত। রঙ্গানকে কল দিয়ে এটা ওটা আনতে বলছে কারণ আজ তুষারের প্রেয়সীর বাড়ির লোক আসবে৷ কথা বলতে বলতে হাত চালিয়ে কাজ করছিল সে।
ওদিকেই তাকিয়ে আছে আরশাদ। হঠাৎ তার কানে এলো তৃষ্ণার দাদী যেন কী সব বলছে তৃষ্ণাকে নিয়ে।
একটু ধ্যান ওদিকে দিতেই সে শুনতে পেল,
“ওই মেয়েই তো প্রেম কইরা নিলো, বাপ ভাইয়েও মাইনা নিলো। নইলে রঙ্গান আমার কলিজায় তৃষ্ণারে মাথায় কইরা রাখতো।
তালাকের কথা মুখেও আনতো না। আমার বাছায় বুক দিয়া আগলাই রাখতো আমার নাতনীরে।
আমি আল্লাহ্ এর কাছে চাইতেছি ওর লগে ডাইভূস টা হইয়াই যাক। এক বছর হয় নাই বিয়ার৷ এখনি পোলায় ওই কথা কেমনে কয়?
ডাইভূস হইলেই রঙ্গানের সাথে চার হাত এক কইরা দিমু।দেহি এইবার আমারে কে আটকায়।”
চলবে।