রোমান্টিক কালো বউ পর্ব-০৮

0
2230

#গল্পঃ রোমান্টিক কালো বউ ?
#লেখকঃ Md: Aslam Hossain Shovo
#পর্বঃ ৮…

√-তরী আমার হাত ছেড়ে দিয়ে চলে গেলো। আমি বিছানায় উঠে কোলবালিশ জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম।
বিকাল বেলা তরীর ডাকে আমার ঘুম ভাঙ্গলো ~

তরীঃ ভাইয়া, ওই ভাইয়া উঠুন।

আমিঃ এখন আবার কি হলো? (ঘুম চোখে)

তরীঃ আকাশে আর মেঘ নেই, পুরো নীল আকাশ হয়ে গিয়েছে। চলুন না ভাইয়া ছাঁদে গিয়ে গল্প করি।

আমিঃ আপনি কি পাগল হলেন নাকি যে, এই ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে ছাদে গিয়ে বরফ হবো।

তরীঃ ইশশশ, বরফ হতে যাবেন কেনো। দেখবেন কত সুন্দর আকাশ, সাথে মিষ্টি মিষ্টি ঠান্ডা বাতাস।

আমিঃ আপনার ইচ্ছা হয় আপনি যান। আমি ঘুমাবো।

তরীঃ ঠান্ডা লাগলে চাদর গায়ে দিয়ে বসবো, চালুন না ভাইয়া।

আমিঃ আপনি পাগল হয়েছেন, আপনি যান। আমি যাবো না।

~ তরী আমার হাত ধরে টানতে লাগলো। আর বলছে “চলুন না ভাইয়া, চলুন”
কানের কাছে এমন ঘ্যান ঘ্যান করাতে বিরক্ত হয়ে শেষে বললাম চলুন, দেখি কি নীল আকাশ।তরী অনেক খুশি হলো। দুইটা চাদর বের করে আমায় গায়ে একটা দিলো, আর নিজে একটা গায়ে জরিয়ে নিলো।

ছাদে গিয়ে দেখি সত্যি আকাশ টা খুব সুন্দর। সাদা সাদা মেঘ ভাসছে, সাথে বিকালের রৌদ্র, যেনো এক অপূর্ব দৃশ্য। তরী গিয়ে একটা জায়গা পরিস্কার করে বসে আমায়ও তার পাশে বসতে বললো। আমি গিয়ে তার একটু দূরে বসলাম। তরী উঠে এসে আবার আমার খুব কাছে ঘেঁসে বসলো ~

তরীঃ দেখছেন ভাইয়া, কত সুন্দর আকাশ।

আমিঃ হ্যা দেখলাম। কিন্তু ঠান্ডাও তো খুব তাই না?

তরীঃ হুমম ভাইয়া খুব ঠান্ডা। আচ্ছা ভাইয়া এক মিনিট, আমি নিচ থেকে আসছি।

~ বলে তরী দৌড়ে নিচে নেমে গেলো। আল্লাহ জানে মেয়েটা আবার কোন পাগলামি করবে। ২-৩ মিনিট পর একটা বক্স নিয়ে ছাদে আসলো। এসে আমার আরো খুব কাছে মিশে বসলো ~

আমিঃ বক্সের মধ্যে কি?

তরীঃ গরম গরম চপ ও বেগুনি।

আমিঃ এগুলো আবার পেলেন কোথায়?

তরীঃ যখন কাপড় নিতে ছাদে আসছিলাম, তখন দেখলাম আকাশ টা খুব সুন্দর লাগছে। তাই নিচে গিয়ে চপ ও বেগুনি বানিয়েছি যেনো আপনার সাথে ছাদে এসে গল্প করার সময় গরম গরম এগুলো খেতে পারি। কিন্তু আপনি তো আসতে চাচ্ছিলেন না।

আমিঃ হা হা হা।

তরীঃ আপনি হাসছেন কেনো?

আমিঃ আগে যদি বলতেন চপ বেগুনি করছেন, তাহলে তো দৌড়ে চলে আসতাম।

তরীঃ হি হি, আপনি তো খুব পেটুক।

~ আমি রাগী মুখে তরীর দিকে তাকালাম ~

তরীঃ রাগেন কেনো ভাইয়া, মজা করলাম। আচ্ছা আপনি যখন ভাজাপোড়া খেতে পছন্দ করেন, আজ থেকে প্রতিদিন আপনাকে বানিয়ে দিবো। এখন আবার বলবেন না কিন্তু আমি আপনার উপর এমন দরদ করছি আপনার মন জয় করতে, হি হি…

আমিঃ হুম করতেও তো পারেন। আপনি তো খুব চালাক মেয়ে।

তরীঃ আপনি অনেক ঝগড়াটে ছেলে, শুধু আমার সাথে ঝগড়া করেন। ঝগড়া না করে এগুলো আগে খেয়ে বলুন কেমন হয়েছে।

~ তরী আমার হাত চপ দিলো। আমিও খাচ্ছি, সেও খাচ্ছে।
সন্ধ্যা প্রায় হয়ে এসেছে। ঠান্ডা বাতাসে হাত পা ঠান্ডা হয়েছে এসেছে। তরী তার ছোট বেলার কথা গুলো বলছে ~

আমিঃ এই যে ম্যাডাম, নিচে যাবেন না? আমার কিন্তু হাত পা ঠান্ডায় জমে গিয়েছে প্রায়।

তরীঃ তাহলে এক কাজ করি। আপনাকে আমি জরিয়ে ধরি, দেখবেন গরম হয়ে গিয়েছেন।

আমিঃ তাহলে তো ভালোই হয়। আসুন জরিয়ে ধরুন…(রাগ হয়ে)

~ বলতে দেরী, তরীর উঠতে দেরী নাই। এক ঝটকায় তার বুকের থেকে চাদর সরিয়ে সরাসরি আমার বুকের সাথে মিশে গিয়ে চাদর দিয়ে অবদ্ধ করে ফেললো আমায়। কিছু বুঝে উঠার আগে এমন কিছু তরী করে বসবে আমি বুঝতে পারি নাই। আমি যে রাগ হয়ে জরিয়ে ধরতে বলছি হয়তো সে সেটাও বুঝেও নাই।

তরী আমায় জরিয়ে ধরে চোখ বুঝে আছে। তার নিশ্বাস এসে আমার গলায় লাগছে। খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরে আসে। আমি যে কি করবো বুঝতে পারছি না। এমনিতে তার শরীরের ছোঁয়া, সাথে তার নিশ্বাসের শব্দ আমায় পাগল করে দিচ্ছে।

একবার মনে হচ্ছে তাকে বুকের মধ্যে মিশিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরি। আবার মনে হচ্ছে ঘৃণা করে দূরে সরিয়ে দেই। আমি আর ঠিক থাকতে পারলাম না, তাকে বুকের সাথে মিশিয়ে জরিয়ে ধরলাম। সাথে আমার ঠোঁট নিয়ে তার গলায় ছোঁয়া দিলাম। তরী সাথে সাথে কেঁপে উঠলো।

সাথে সাথে মনে হলো, না এটা ভুল হচ্ছে। তাকে তো আমার আপন করে নেওয়ার কথা ছিলো না, তাহলে এমন ভুল কেনো করছি। তারপর আমি জোর করে তার হাত আমার শরীর থেকে ছাড়িয়ে দিয়ে আমি উঠে দাড়িয়ে গেলাম ~

আমিঃ কি হচ্ছে তরী এটা? আমি কি আপনাকে সত্যি সত্যি জরিয়ে ধরতে বলছি? রাগ হয়ে বলছি সেটা আপনি বুঝতে পারেন নাই।

~ তরী মাথা নিচু করে আছে ~

আমিঃ কি হলো উত্তর দেন না কেনো?

~ তরী তখনো চুপ করে আছে ~

আমিঃ এমন করলে কিন্তু মেজাজ গরম হয়।

তরীঃ সব স্ত্রী চাই তার স্বামীর থেকে আদর ভালোবাসা পেতে।

আমিঃ আমিতো আগেই বলছি, তেমন কিছু আমার থেকে পাবেন না।

তরীঃ আমি শুধু কালো বলে ওমন কিছু পাবো না, তাই না ভাইয়া..?.(কান্না কন্ঠে)

আমিঃ আপনার ধারণা ভুল। আপনি কালো সেই জন্য না। অন্য একটা কারন থাকায় আপনাকে আপন করে নেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও, হয়তো কখনো সম্ভব হবে না।

তরীঃ সরি ভাইয়া, আমার ভুল হয়ে গিয়েছে।

আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে।

তরীঃ আসলে ভাইয়া আপনি যখন বললেন জরিয়ে ধরতে, কেনো জানি খুব ইচ্ছা হলো জরিয়ে ধরতে, তাই ধরে ফেলছি।

আমিঃ আচ্ছা সমস্যা নেই। আপনি তো আমার বেস্টফ্রেন্ড তাই না? সামান্য ব্যাপার নিয়ে এতো ভয় পেতে হবে না।

তরীঃ আপনি সত্যি রাগ হন নাই তো ভাইয়া?

আমিঃ একদম না। আর আপনি আমার স্ত্রী হন, জরিয়ে ধরলে গুনাহ নেই। আবার বান্ধবী হন, বান্ধবী তো বন্ধুর কাছে আসতেই পারে তাই না.?

~ তার মুখের ভয় কাটানোর জন্য বললাম কথাটা ~

তরীঃ অবশ্যই পারে, হি হি…

আমিঃ আপনি তো ভারি দুষ্টু, কথায় কথায় শুধু হাসেন, লজ্জা পাচ্ছেন না।

তরীঃ হি হি…

আমিঃ এমন হাসি দেখিয়ে প্রেম করছেন কয়টা ছেলের সাথে?

তরীঃ হা হা হা…

আমিঃ আবার হাসে.? (চোখ গরম করে)

তরীঃ আমি কালো বলে তো আমার বিয়েই হচ্ছিল না, আবার প্রেম করবো কিভাবে, হা হা…

আমিঃ তাহলে তো আমার কপাল ভালো। সিঙ্গেল মেয়েকে বউ হিসাবে পেয়েছি।

তরীঃ আপনি আমায় বউ হিসাবে মানেন…

আমিঃ এই আপনি তো ভারি লোক, কথা কোন দিকে ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। দিনে দিনে পাকনা বুড়ি হয়ে গিয়েছেন তাই না.?

তরীঃ হি হি। আচ্ছা ভাইয়া এমন ভুল যদি আবার আপনার বান্ধবী হিসাবে করে ফেলি, তখন আপনি কি আবার রাগ হবেন.?

আমিঃ সাথে সাথে তখন কানের নিচে দুইটা রসগোল্লা দিয়ে দিবো বুঝবেন।

~ তরী চুপ হয়ে গেলো। মনে হয় একটু বেশি বলে ফেললাম ~

আমিঃ এই ভাবে মন বেজার করে রাখলে আপনাকে একদম বিশ্রী পেত্নী দেখায়। একটু মিষ্টি মিষ্টি হাসি রাখলে কি হয় শুনি…

তরীঃ হি হি। আপনি ভাইয়া রাগাতেও পারেন, আবার হাসাতেও পারেন।

আমিঃ হুমম বুঝলাম। সন্ধা হয়ে গিয়েছে, চলুন এবার নিচে যায়।

তরীঃ আমি একটা কথা বলবো, রাখবেন আপনি?

আমিঃ কি বলুন..?

তরীঃ আমায় একটু কোলে করে নিচে রুমে নিয়ে যাবেন…?

আমিঃ হুম অবশ্যই নিবো, আসুন…

তরীঃ আপনি এবারও রাগ হয়ে বলছেন তাই না?

আমিঃ একদম না। আমি সিরিয়াসলি ভাবে বলছি।

তরীঃ তাহলে সত্যি কোলে উঠবো??

আমিঃ হুম আসুন। সিঁড়ি দিয়ে অর্ধেক নেমে এমন একটা আচার দিবো, মাজা ভেঙ্গে ৩ টুকরো হবে, হা হা… আসুন…

তরীঃ ওমা গো। দরকার নেই আমার কোলে চড়ার।

~ বলে হাসতে হাসতে সিঁড়ি বেয়ে নামতে লাগলো। আমিও রুমে চলে এলাম। বাসায় কেউ না থাকায় বাসা নিরব হয়ে আছে। তরীকে একা বাসায় রেখে আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে যাইতে ইচ্ছা হলো না।
অনলাইনে অডার করে খাবার আনলাম। দুই জনের জন্য আর রান্না করা অনেক ঝামেলা হয়ে যায় তাই।

তরী অনেক খুশি মনে হচ্ছে তার হাসি দেখে। লুডু নিয়ে এসে জোর করে লুডু খেলতে বসালো। কেমন যেনো তরীর সাহস বেড়ে যাচ্ছে, এখন ধমক দিলেও ভয় পায় না, উল্টো হাসে হি হি করে।

লুডু খেলা শেষ হলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে তরী বললো, তার ঘুম এসেছে ঘুমাবে। আমিও বললাম, ঘুমিয়ে যেতে।

আমি খাটের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছি বুক পর্যন্ত কম্বল নিয়ে। সে গিয়ে আমার পাশে শুইয়ে পড়লো। তরী এসে পাশে শোয়ার পর থেকে কেমন যেনো অস্থি অস্থি লাগছে। আজ আবার সে এতোটা কাছে এসে শুইছে আমার শরীরের সাথে মিশে আসে।
আমার শুধু ছাঁদে তরীর যে জরিয়ে ধরা এবং সাথে আমার ঠোঁটের ছোঁয়া যখন তরীর গলায় লাগলো, সেই তার কেঁপে উঠার কথা মনে পড়ছে।

কেনো জানি মনে হচ্ছে তরীকে বুকের সাথে মিশিয়ে নেই। আর তার দিকে যতবার তাকাচ্ছি, তার মায়াবী চেহারা আমায় আরো তার কাছে কাটছে খুব। একবার মনে হচ্ছে আগের সব চিন্তা বাদ দিয়ে তরীকে নিজের করে নেই, আবার মনে হচ্ছে এমন করলে তরী আবার খারাপ কিছু ভাববে না তো যে তাকে কাছে নেওয়ার জন্য এমন করছি কিন্তু মন থেকে ভালোবাসি না।

এই গুলো ভাবতে ভাবতে বিছানা থেকে উঠে গেলাম। ৩০ মিনিটের মত রুমের মধ্যে দিয়ে হাটাহাটি করছি, কিন্তু কিছুতেই তরীর জরিয়ে ধরার কথা ভুলতে পারছি না। আবার এসে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। তরীর প্রতিটি নিশ্বাসের শব্দ যেনো আমায় তার দিকে টানছে। মনে হচ্ছে তাকে খুব কাছে টেনে নেই।

যেই ভাবা সেই কাজ, যা হবে হবে, পরে দেখা যাবে চিন্তা করে আস্তে আস্তে আমার মুখ এগিয়ে নিয়ে আমার ঠোঁট তরীর ঠোঁটের সাথে মিশিয়ে ধরলাম। তরীর দুই ঠোঁট আমার ঠোঁটের মধ্যে নিয়ে গেলাম। জীবনে প্রথম এমন মিষ্টি কিছুর অনুভূতি পেলাম।

যেই মাত্র চুমু দেওয়া শুরু করলাম, কিন্তু তখন যে এমন একটা কাহিনি হবে সেটা আর আমি বুঝি নাই ?

তরীর ঠোঁটে কিস করে ধরার সাথে সাথে তরী চোখ খুলে ফেললো। ইয়া বড় বড় চোখ করে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। যেনো পলক পড়ারও নাম নেই।

আমি মনে মনে বলি, কাম সারছে.. এই মেয়ে দেখি এখনো ঘুমাই নাই। ইজ্জতের বারোটা বেজে গেলো রে আজ। সালা, বউকে কিস করছি তাও আবার লুকিয়ে লুকিয়ে, আর তার সাথে আবার বউয়ের কাছে খেয়ে গেলাম ধরা, ইজ্জত আর রইলো না আমার।

প্রায় এক মিনিট হয়ে গিয়েছে তরী ওই ভাবে বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে আমার চোখের দিকে, কোনো নড়াচড়া নেই। আমার মুখেও কোনো শব্দ নেই। আমি আস্তে আস্তে তার ঠোঁট গুলো আমার ঠোঁট থেকে ছেড়ে দিয়ে উঠে বসে বন্ধ করা টিভির দিকে তাকিয়ে রইলাম।

নিজের কাছে খুব লজ্জা লাগছে এমন একটা কাজ হঠাৎ করে করা ঠিক হলো না আমার। ভাবছি তরী আবার রেগে গেলো নাকি।
২-৩ মিনিট পর তার দিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখি এখনো তরী শুয়ে শুয়ে আমার চোখের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়েই আছে ~

আমিঃ কি হচ্ছে টা কি? ওই ভাবে তাকিয়ে থাকার কি হয়েছে.? (ধমক দিয়ে)

~ তরী শাড়ি ঠিক করে শোয়া থেকে উঠে বসলো খাটের মাঝে। সাথে মাথায় শাড়ির আঁচল দিয়ে ~

আমিঃ একজন বন্ধু হয়ে বান্ধবীকে তো একটু পাপ্পি দিতেই পারে তাই না..?

~ তরী অবুঝ মেয়ের মত আমার মুখের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে ~

আমিঃ কি কোনো উত্তর নেই কেনো? বন্ধু হয়ে বান্ধবীকে তো একটু পাপ্পি দিতেই পারে এতে অবাক হওয়ার কি আছে..

~ তরী লজ্জা মুখে মাথা নাড়িয়ে বললো, হুম ~

আমিঃ এতে কি আমার বান্ধবী রাগ হয়েছে?

~ তরী লজ্জায় মাথা নিচু করে নাড়িয়ে বললো, না ~

আমিঃ এমন ভুল যদি আবার কখনো করে ফেলি তাহলে কি আমার বান্ধবী রাগ হবে.??.(মুচকি হাসি দিয়ে)

~ তরী লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। মুখ লুকিয়ে খাট থেকে নেমে চলে গেলো। আমি কিছুক্ষণ আগের ঘটনা গুলো ভাবছি, আর মুচকি মুচকি হাসি দিচ্ছি। কি একটা লজ্জার কাহিনি করে ফেললাম।

আমি আবার শুয়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম তরী এসে আমার পাশে শুইলো। তরীর দিকে আর ঘুরলাম না, কারন সে এমনিতেও অনেক লজ্জা পেয়েছে।

ভোর রাতে…………….. (..#চলবে..)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে