রাত যখন গভীর ২ পর্ব-১৪+১৫+১৬

0
1003

#রাত_যখন_গভীর
#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
#(jannatul_mawa_moho)
Season:02
Part :১৪
************
পুলিশ কে ও জানিয়েছে।পর মূহুর্তে, অর্ক বলেঃ হাবিব তুই জান্নাত এক সাথে কাজ শুরু কর।সুমির নিশ্চিত কোন বিপদ হয়েছে।না হয়,এতটা সময় হয়েছে চলে আসার কথা।

রাজা(রশিদ),রানী(লোভা),
শাম্মী মিলে চেষ্টা করছে সুমির অনুসন্ধান করতে।

রাহাত হুজুর ও সাথে মুগ্ধ দু’জনে ও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় একটা কল আসে পুলিশ এর কাছ থেকে। পুলিশ বলেঃ মিস সুমি কে।কফির দোকানের থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে।cctv camera তে।তবে জঙ্গল অবধি যাওয়ার ১০ মিনিট পর উদাও।ফুটেজ এ আর কিছু দেখা যাচ্ছে না। ওনার অস্তিত্ব আর দেখতে পাইনি।

কথা টা শুনে সবাই অবাক হয়ে যাই। সবাই বুঝতে পারছে, সুমি নিশ্চিত কোন বড় রকমের বিপদে পড়েছে। সবার চেষ্টা চলাচ্ছে,অনেক রাত অবধি চেষ্টা চলে।সবাই একটু রেস্ট নিয়ে নে।যাতে সকালে উঠে আবার চেষ্টা করতে পারে। সহজে কেউ হার মানবে না।

💮

💮

💮
প্রিন্স রিনি কে ঘুম থেকে ডেকে দিতে এসেছে। রিনির ঘুমন্ত মলিন চেহারা টা বড্ড নিষ্পাপ লাগছে দেখতে। অনেক্ক্ষণ ধরে তাকিয়ে আছে। তখনই,
প্রিন্স বলে উঠেঃ adaein teri,
Uff allah😍
Chal teri,wallah wallah
Larki tu,masallah
Ek din tu meri hogi insallah😇😇😇👌👌👌

প্রিন্স(ইনতিয়াজ) বলেঃ গুড মর্নিং মেম।কি খাবে রিনি?চা না কফি!

রিনি মিটমিট করে তাকিয়ে আছে প্রিন্স এর দিকে। রিনি বলেঃ আপনি কি ঘুমাননি নাকি?এত সকাল সকাল যে!
গুড মর্নিং। আমি একটু কফি খাবো।কফি হলেই হবে।

প্রিন্স বলেঃ নাহ ঘুমাইনি।একটা পরী কে দেখছিলাম।অনেক দিন দেখতে পারিনি।তাই ঘুম আসেনি।পরী টা যে আমার ঘুম হারাম করে দিয়েছে।

আচ্ছা, রিনি নামাজ পড়ে নাও।সময় চলে যাবে।আমি পড়ে নিয়েছি।ফজরের নামাজে নেকি বেশি।তোমার নামাজ শেষ হলে,
তারপর দুজনে মিলে কফি খাবো বেলকনিতে বসে।

রিনি নামাজ আদায় করে ফেলে। প্রিন্স কফি বানিয়ে নিয়ে আসে।

প্রিন্স বলেঃ রিনি এই হলুদ ড্রেস পরে কতক্ষণ থাকবে?যাও তোমার রুমে আই মিন তুমি যে রুমে ঘুমাইছিলে সে রুমে একটা সাদা ড্রেস রাখা আছে। ওইটা পরে নাও।সাথে চুল গুলো খোলা রাখবেনা।কারণ তোমার খোলা চুল এর মধ্যে কি জানি মাদকতা আছে। যা আমাকে একটা গুরের মধ্যে নিয়ে যায়। আর রাতে চাদর গায়ে মুড়িয়ে ঘুমাবে। কাপড় একটা ও ঠিক জায়গায় থাকেনা।i hope, u understand it.what do i mean to say?

রিনি তাড়াতাড়ি কাপড় চেঞ্জ করে নেই। প্রিন্স যেমনটা বলেছে তেমন করেই রেডি হয়ে এসেছে।

প্রিন্স বলেঃ নাও।কফি টা।দোলনা তে বস।সবসময় রিনি একটা কথা মনে রাখবে,সুযোগ হচ্ছে সূর্যোদয়ের মত,বেশি দেরি করলে হারাতে হয়।

রিনি বলেঃ হুম জানি।আপনি নিজের জীবন এর সুখ টা নষ্ট করে ফেললেন।প্রিন্স হয়ে, কেন আমার মতো সাধারণ একটা মেয়ের পিছনে পড়ে আছেন? আপনার জীবনের সুযোগ গুলো হারাচ্ছেন ইচ্ছে করে!

আমার জন্য আপনি,
কি সুখটা পেলেন?দুঃখ ছাড়া কিছু পেলেন না।।
ভবিষ্যতে ও দুঃখ পাবেন সুখ পাবেন বলে মনে হয় না। তাই আমাকে বাসায় ফিরিয়ে দিয়ে নিজের মতন করে আপনি নিজের জীবন সাজান।

প্রিন্স বলেঃ সুখ ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেয়ার বিষয় না,বরং এটি বর্তমানের জন্য। তোমার সাথে যে সময় কাটাচ্ছি বা যে সময় কাটাতে পারছি বর্তমানে, আমার কাছে এটা সুখ।এটা আমার কাছে প্রাপ্তি।তাছাড়া এসব কথা বললে আমার রাগ উঠবে কিন্তু। ফারদার এসব আমাকে একদম বলবে না। তবে দুর্বলতা হচ্ছে একটা জায়গায়। কারণ,
আমার রাগ অনেক, কিন্তু জানি না তোমার সামনে আসলে সব রাগ মাটি হয়ে যাই।

রিনি বলেঃ সব কিছু মন দিয়ে বিচার করিয়ে না।মস্তিষ্ক দিয়ে চিন্তা করেন।

প্রিন্স বলেঃ মাঝে মাঝে কিছু ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক কাজ করে না।বাদ দাও এসব সেড কথা। একটু অপেক্ষা কর।আসছি।

একটু পর প্রিন্স এসে,রিনিকে দু ডজন চুরি দেয়। কাল থেকে এতো ঝাঁক ঝমক চুরি পড়ে আছ।নাও এগুলো পড়।

রিনি বলেঃ আমি নিতে পারবো না। আমার অন্যের জিনিস নিতে ভালো লাগে না।কেউ আমার থেকে দেনা পাবে মতো লাগে। বাসায় ফিরে গেলে সব পরিশোধ করে দিবো।চুরি নিতে পারবো না।দেনা রাখতে ভালো লাগে না।

প্রিন্স বলেঃ আমি তোমাকে এগুলো উপহার দিচ্ছি। উপহার কখনো ঋণ হয় না উপহার তু মন থেকে দেয়। যার ফলস্বরূপ কোন প্রতিদান চাই না।

রিনি বলেঃ আপনার সাথে তর্কে আমি পারবো না।উপহার গ্রহণ করলাম।

এমন সময় ঝুম বৃষ্টির আগমন ঘটে। দুজনে দু মুখ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বেলকনিতে।
বৃষ্টি দেখছে।

প্রিন্স ছোট ছোট করে বলে, every moment spent with you is like a beautiful dream come TRUE,,,, i love u rini.

ঝুম বৃষ্টি তে প্রিন্সের বলা কোন কথা রিনির কান অবধি পৌঁছে নি।।।।

কেন যে দূরত্ব?
রিনি কখন আপন করবে প্রিন্স কে?

💮

💮

💮

মহিলা এক মুহূর্তে চলে গেল তার বান্ধুবীর বাড়িতে।
রাত তখন অনেক গভীর । এমন সময়, তার বান্ধুবী দরজা খুলে দেয়।

বান্ধুবী জিনটার নাম নিশাত।নিশাত বলেঃ হুহ কি সমস্যা?
দেখে মনে হচ্ছে, তুই কোন টেনশনে আচিস?কিসের
চিন্তা তুর বল?

মহিলা সব খুলে বলে। নিশাত বলেঃ তুর চিন্তা অনেক কম।আমার চিন্তার শেষ নেই।

মহিলা বলেঃ তুর আবার কি হলো?

নিশাত বলেঃ আজকে সকাল ১২ টা দিকে পৃথিবীতে একটা জঙ্গলে ছিলাম।একটা মেয়ে দেখতে পেলাম।চুল খোলা, তাছাড়া ওর ব্যাক্তিগত অসুখ হয়ছে সাথে কোন ধাতব জিনিস আনে নি।আমরা তো এমন মেয়ে দের আক্রমণ করি।তাছাড়া সকাল ১২ টার দিকে আমরা একটু সক্রিয় হয়ে যায়।

যে মেয়ে এভাবে চলে তাদের প্রতি নজর থাকে আমাদের।
কারণ আমরা শয়তান বা খারাপ জিন তাই।
আমি ও আক্রমণ করি সেই মেয়ে টাকে।। কিন্তু মেয়ে টা দাপাস করে মাথা ঘুরে পড়ে যায়।তবে আশেপাশে কোন মানুষ জন ও ছিলনা তাই আমি এখানে নিয়ে আসি।মেয়ে টার সেন্স নেই।তাছাড়া হাতে ব্যথা পেয়েছে?

এখন মেয়ে টা কে নিয়ে যে কি করব?
এক্সট্রা একটা বোজা।

মহিলা বলেঃ আহারে দেখিতো মেয়ে টাকে।এখন কি অবস্থা।

মেয়ে টাকে দেখে মহিলার চোখ ঝলমলিয়ে উঠে। ঠোঁটে একটা হাসি।

নিশাত বলেঃ কি হল? খুশি কেন?

মহিলা বলেঃ বলবো বলবো।মেয়ে টাকে সারিয়ে তুল।তাছাড়া তুই কি মেয়ে টার উপর একটু কি মায়াজাদু করে দিতে পারবি?

নিশাত বলেঃ এটা কি কোন ব্যাপার এখনই করে দিচ্ছি।
সাথে সাথে…………

চলবে……..

#রাত_যখন_গভীর
#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
#(jannatul_mawa_moho)
Season:02
Part :১৫
************
নিশাত বলেঃ এটা কি কোন ব্যাপার এখনই করে দিচ্ছি।
সাথে সাথে মায়াজাদু করে দেয়।

একটু পর মেয়ে টার সেন্স ফিরে আসে।মেয়ে টার চোখ জোড়া খুলে।তারপর শোয়া থেকে উঠে একদম পুতুল এর মতো করে বসে আছে। ডেবডব করে তাকিয়ে আছে নিশাত ও মহিলাটার দিকে।

মহিলা বলেঃ এই মেয়ে তোমার নাম কি জানো?তুমি কে?তোমার বাসা কই তুমি কি জানো?

মেয়ে টা মাথা নেড়ে না বলে।

মহিলা বলেঃ তোমার নাম রিনি।তুমি রিনি।বাসা পৃথিবীতে ।মনে থাকবে।

মেয়েটা মাথা নেড়ে হা বলে।

মহিলা নিশাত কে বলেঃ চল কালকে বিয়েতে অংশ গ্রহণ কর। একসাথে বিয়ে টাতে মজা করবো।তুর আর আমার চিন্তা একসাথে শেষ হবে।

মেয়েটা,মহিলাটা,সাথে নিশাত জিন প্রস্তুত হয়ে যাই। প্রসাদে ফিরে যাওয়ার জন্য।

তখনই,
মহিলা বলেঃ আচ্ছা। প্রিন্স (ইনতিয়াজ) কই আছে দেখ?
ব্যাটা ছাড়া পাইছে নাকি দেখ!

নিশাত জিন চোখ বন্ধ করে। চেষ্টা করছে প্রিন্স কে দেখার।তবে দেখা যাচ্ছে না।এই টুকু বুঝতে পারছে,নিশাত জিন প্রিন্স মুক্তি পাইছে।।

নিশাত বলেঃ প্রিন্স মুক্তি পাইছে।তবে এখন কই আছে জানি না?

মহিলা বলেঃ প্রিন্স কই আছে তা জেনে লাভ নাই আমাদের। মুক্তি পাইছে এই খবর টাই আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৩ জনে প্রাসাদের মধ্যে চলে গেল।
সকালে অনেক জিনরা এসেছে। শয়তান জিনের রাজার ছেলের বিয়ে বলে কথা। সব দিকে ঝাঁক ঝমক
করে সাজিয়েছে।বিভিন্ন ধরনের ফুল মিশিয়ে সাজিয়েছে পুরো প্রাসাদ টা।

সকালে তাসনিয়া মহিলা কে ডাক দেই।
তাসনিয়া বলেঃ রিনি কে জাগিয়ে দিছেন?
বেলা অনেক তো হল।সাজাতে হবে।একটু পর বিয়ে পড়ানো হবে।

মহিলা বলেঃ আপা মণি একটা খবর আছে। একদম টাটকা খবর।আপনার উপকারী। রিনি মেম কে নিয়ে আপনার চিন্তা করতে হবে না। আমি সামলে নিবো সব।

তাসনিয়া বলেঃ কি খবর বল?

মহিলা বলেঃ আপা মণি আপনার প্রিন্স(ইনতিয়াজ) মুক্তি পাইছে।তবে কই আছে জানি না।

তাসনিয়ার চোখে মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

তাসনীয়া বলেঃ আমি যে কি পরিমাণ খুশি হয়ছি বলে বুঝাতে পারবো না।একটা কাজ করতে হবে, তুমি রিনি কে রেডি কর।আর,আমি বিয়ে শুরু হয়ে একটু পর বেরিয়ে যাবো প্রিন্স এর খুঁজে তবে বেশিক্ষণ দেরি করবো না।তুমি একটু সামলে নিও।

মহিলা বলেঃ কোন চিন্তা করিও না।আমি সামলে নিবো।

মহিলা, রিনিকে যে-ই রুমে থাকতো সেই রুমে এখন মেয়ে টাকে রেখেছে। মেয়ে টা ঘুমন্ত।
মহিলা বলেঃ এই রিনি উঠে পড়।

মেয়ে টার ওপর মায়াজাদু করেছে তাই মেয়েটার অতীত, বর্তমান কিছু মনে নেই।মেয়ে টা জানে সে রিনি।কারণ, মহিলা ও নিশাত এটাই বলে ছিল।তার নাম।মেয়ে টা কে রিনি বলে ডাকতেই উঠে পড়ে।

মেয়েটা বলেঃ জি উঠে পড়ে ছি।

মহিলা বলেঃ যাও গোসল করে আসো।আর আজ তোমার বিয়ে। কোন পেচাল করবে না। পেঁচাল বাধালে কিন্তু শাস্তি পাবে।চুপচাপ বিয়ে করে নাও।

মেয়েটা বলেঃ প্লিজ আমাকে কিছু করিয়েন না। আপনি যায় বলবেন তাই করবো।

মেয়েটা গোসল করে আসে।মহিলা তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে।

মহিলা বলেঃ মাশাল্লাহ গোসল করার পর রুপ আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এই মেয়ে এখানে বস।

মহিলা বলেঃ নিশাত এদিকে আই।

নিশাত বলেঃ হম বল।

মহিলা বলেঃ মেয়ে টার আসল নাম কি?কিছু কি জানিস?
কাজি কে বলতে হবে তো।

নিশাত বলেঃ ও যখন জঙ্গলের দিকে আসছিল। তখন একটা ছেলে দূর থেকে সুমি বলে ডাক দিচ্ছি লো।মেয়ে টার নাম সুমি হবে।

মহিলা বলেঃ তুই মেয়ে টাকে লাল লেহেঙ্গা টা পড়িয়ে দে।
আমি ততক্ষণে আসছি।

মহিলা হাজির হয়েছে জামাল জিনের এর বাসার সামনে। জামাল জিন হচ্ছে কাজি যে আজ বিয়ে পড়াবে।শয়তান প্রিন্স এর সাথে রিনির অর্থ্যাৎ মেয়ে টার।

মহিলা বলেঃ কাজি সাহেব, কেমন আছে? কখন যাবেন প্রাসাদ এ?

জামাল জিন বলেঃ আপা একটু পর।

মহিলা বলে ঃ একটা কাজ করতে হবে। অনেক আশা নিয়ে আসছি ফিরিয়ে দিবেন না কিন্তু।
জামাল জিন বলেঃ আচ্ছা বলেন।

মহিলা বলেঃকাজ টা করলে আপনাকে আমি ২ থলি মুহর দিবো একটা সোনার অন্য টা রুপার। সাথে হাড্ডি দিবো অনেক।

জামাল জিন বলেঃ কি করতে হবে সেটা বলেন।

মহিলা বলেঃ আজকে বিয়ে পড়ানোর সময় বউয়ের নাম বড় স্বরে রিনি বলবেন। তবে রিনি বলার আগেই, সুমি নামটা বলতে হবে যাতে কেউ খেয়াল না করে।

জামাল জিন বলেঃ কেন?

মহিলা বলেঃ আপনার প্রাপ্য আপনি পাবেন। কেন তা জানলে ও হবে।তবে চালাকি করবেন না।আমি আপনার পাশে থাকবো।

জামাল জিন বলেঃ রাজি আমি।

মহিলা বলেঃ কাজ হলেই আপনার পাওনা পেয়ে যাবেন।

মহিলা কাজির কাছ থেকে সোজা নিশাত এর কাছে চলে আসে
নিশাত বলেঃ লেহেঙ্গা পড়িয়ে দিছি।

মহিলা বলেঃ সাজানোর ব্যবস্থা করছি তাইলে।
মহিলা হাততালি দেয়। বেশ কয়েক টা মেয়ে জিন আসে।মেয়ে টা কে সাজিয়ে দিচ্ছে। নিশাত মেহেদী দিয়ে দিচ্ছে।

সুমির কেন জানি কান্না আসছে।

সুমির মনে হচ্ছে, সে কিছু একটা ভুলে গেছে।
সাজানো শেষ। জিন মেয়ে গুলো চলে গেল।

মেহেদী গুলো উঠিয়ে ফেলে। কারণ শুকিয়ে গেছে।

মহিলা বলেঃ এই মেয়ে সাজ একটু নষ্ট হলে তোমার খবর আছে। আবার,

মহিলা বলেঃ
নিশাত মেয়ে টাকে রিনির মতো করে মেকাপ করে দিছি।তবে আরেকটু জাদু করে দে।কেউ যেন বুঝতে না পারে।এটা যে রিনি নই।

নিশাত জাদু করে দিল।মহিলা সুমি কে কানে,গলায়, হাতে,নাকে, কানে জুয়েলারি পড়িয়ে দেই। শেষে,বুকের ওপর একটা ওড়না কে ভালো ভাবে পড়িয়ে দেই। মাথার উপর লম্বা করে আরেকটা ঘোমটা পড়িয়ে দেই।

বউ সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সুমি কে নিচে নামিয়ে আনে।রহমান বসে আছে বর সেজে।

রহমান বলে উঠে ঃ মুখ দেখা যাচ্ছে না কেন?

মহিলা ও নিশাত বলেঃ বিয়ের আগে বউয়ের মুখ দেখলে অশুভ হয়।তাই দেখা যাবে না।

আরো কিছু বয়স্ক জিন ও তাল মিলাইয়ে বলেঃ দেখা যাবে না।বউয়ের মুখ।

পর্দার এপারে সুমি অন্য পারে রহমান।

কাজি জামাল জিন আসে।বিয়ে পড়ানো শুরু করে।সুমি নামটা বলার সময় নিশাত ইচ্ছে করে, হঠাৎ করে গান চালিয়ে দেয় ফলে মহিলা ও নিশাত ছাড়া কেউ সুমি নামটা শুনে নি।

নিশাতের গান চালানোর জন্য রহমান রাগ দেখায়।নিশাত ক্ষমা চাই।যেহেতু, রহমানের আজ বিয়ে তাই মাফ করে দেয়।

কোন একফাঁকে বেরিয়ে পড়ে তাসনিয়া। কারণ, এই সুযোগে তার অনুসন্ধান চালাতে হবে প্রিন্স এর।প্রিন্স (ইনতিয়াজ) এর চিন্তায় এতো ডুবে ছিল। বউ টাকে ও একটি বার দেখে নি।কেমন লাগছে তার ভাই রহমানের বউ কে???

অবশেষে, সুমি ও কবুল বলে। শয়তান রহমান ও কবুল বলে। দুজনে আজ থেকে বউ,জামাই হয়ে গেছে এই বলে জামাল জিন বলেঃ আমিন

বিয়ে হতেই কাজি খবার খেয়ে চলে যাওয়ার সময় প্রাপ্য টা দিয়ে দেয় মহিলা।

এরপর,মহিলা ও নিশাত দুজনে গায়েব। সুমি এখনো বসে আছে ঘোমটা পড়ে বিয়ের আসরে।

শয়তান প্রিন্স রহমান অনেক্ক্ষণ ধরে মহিলা কে খুঁজছে।কারণ, তার রিনি কে তার রুমে রেখে আসতে বলার জন্য কিন্তু মহিলা টা কে খুঁজেই পাচ্ছে না।

কি অপেক্ষা করছে সুমির জন্য?
কি হতে চলছে সুমির সাথে???

💮💮

💮💮

💮

হাবিব ঘুম থেকে উঠে পড়ে। স্ফটিক নিয়ে চেষ্টা করছে। কোন ভাবেই যদি সুমির খবর পাই।জান্নাত ও উঠে পড়ে। রাতে অনেক কান্না করছে যার ফলে চোখ জোড়া লাল হয়ে আছে।

হাবিবর এর পাশে শাম্মি ও আছে। শাম্মি ও সাহায্য করছে।

জান্নাত এর বেস্ট ফ্রেন্ড সুমি।তার সাথে স্কুল, কলেজ,ভার্সিটি একসাথে শেষ করেছিল জান্নাত । হঠাৎ করে যে,কই হারিয়ে গেল।জান্নাত বুঝতে পারছে না।

আবার কান্না করে দিল জান্নাত ।মুগ্ধ বলেঃ এই আরেক বার কান্না করলে কিন্তু ভালো হবে না।বলে দিচ্ছি। তাছাড়া পেয়ে যাবো দেইখো সুমি কে।

জান্নাত কান্না করছে। থামার নাম ই নাই।

মুগ্ধ জান্নাত কে টান দিয়ে ছাদে নিয়ে গেল। জান্নাত কে মুগ্ধ বলছেঃ আমার তো কোন কথায় শুন না।নিজের ইচ্ছে নাকি সব?কান্না ই তো না করতে বললাম।না জান্নাত মেডাম এর তো কান্না করে করে । সেই কান্নার পানি দিয়ে সাগর বানিয়ে ফেলতে হবে।
বলো কেন শোন না কোন কথা বল জান্নাত????

মুগ্ধ এক পা এক পা করে জান্নাত এর সামনে আসছে জান্নাত এক পা এক পা করে পিছিয়ে যাচ্ছে।

মুগ্ধ আবার বলেঃ বল কেন শোন না কোন কথা। মনে করছো আমি হার মানবো?
শেষ মেষ বউ হবে তুমি আমারিই।তখনই বুঝতে পারবে,কত ধানের কত চাল।
এখন চুপ করে আচো কেন বলো কেন শুন না?

মুগ্ধ জান্নাতের অনেক টা কাছে চলে আসে। জান্নাত এর পিঠ ঠেকে যাই ছাদে থাকা একটা মেহদি গাছে। জান্নাত পাশ কাটিয়ে চলে আসতে চাইলো মুগ্ধ সেদিকে হাত দিয়ে দিল।জান্নাত কে এখন মুগ্ধ ঘিরে রেখেছে। চারপাশ দিয়ে। পালানোর কোন সুযোগ নেই।

মুগ্ধ, জান্নাত কে বলছেঃ জান্নাত একটা কি জানো, ভালোবাসা পেতে হলে যে কোন একজন কে চেচরা হতে হয়।দেখো আমি চেচরার মতো তোমাকে বলেই যায় ভালোবাসি। কিন্তু তুমি নিরব ভুমিকা পালন কর।মুখে মনে হয়, সুপার গ্লো লাগিয়ে রখো তাইনা?

কারণ, যখন ভালবাসি বলি
তখন প্রতি উত্তরে নিরব হয়ে থাকো।

হুহ,,,

জান্নাত,
I love you yesterday,
I love u still
I always Have.
I always will.

এই কথা টা বলে মুগ্ধ, আরো কিছু টা কাছে আসে জান্নাত এর। মুগ্ধ, জান্নাত এর…..

💮

💮

💮

ঝুম বৃষ্টির মধ্যে প্রিন্স লক্ষ্য করলো একটা মেয়ে ভিজছে। সাথে হাত,পা নেড়ে নেড়ে লাফাচ্ছে।প্রিন্স বলেঃ রিনি,মেয়ে টা কে?
তুমি কি চিনতে পারছো?

প্রিন্স পাশ ফিরে দেখে রিনি নাই।রিনির রুমে প্রবেশ করে দেখে সাদা ড্রেস টা রেখে দিয়েছে।

রেখে দিছে বললে ভুল হবে। ফেলে রেখেছে ফ্লোরে।
তবে বিছানার উপর একটা লাল শাড়ী রেখেছিল।যখন, রিনির সাথে কফি খাচ্ছিল।তখন এক ফাঁকে,এসে শাড়ী টা রেখেছিল প্রিন্স । সেই শাড়ী টা এখন আর বিছানাতে নেই।

প্রিন্স বলেঃ যে মেয়ে টা ভিজছে সেতো লাল কাপড় পড়েছে। তাহলে কি ওটা রিনি?
ওহ আল্লাহ মেয়ে টা এতো বাচ্চামি করে কেন?
কখন বড় হবে! আমার কপালে এটা কি রাখলা।
ঠান্ডা লেগে যাবে। তখন কি হবে?

প্রিন্স আপন মনে বকবক করতে করতে বাসার বাইরে চলে আসে।

প্রিন্স দেখে একটা বৃষ্টি বিলাসী। লাল শাড়ী। খোলা চুল। পেটের খানিকটা অংশ দেখা যাচ্ছে। কারণ, পুরো টা ভিজে গেছে। লাল শাড়ী টা লেপ্টে গেছে শরীরের সাথে।

প্রিন্স তো এই অন্য রুপি রিনি কে দেখছে।প্রিন্স তো পাগল হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া, বারবার মানা করছে প্রিন্স, রিনি চুল গুলো খোলা না রাখি ও না। সব সময় খোপা করে রাখতে। কিন্তু রিনি দিব্যি চুল গুলো খোলা রেখেছে ।

প্রিন্স আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে রিনির কাছে।বৃষ্টির তিব্রতা আরও বেড়ে গেছে।

প্রিন্স এর উঠানের পাশে করে কদম ফুলের গাছ আছে। ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে, কদম ফুল এর মন মাতাল করা ঘ্রাণ, সামনে আছে প্রিন্স এর মন ঘায়েল করা বৃষ্টি বিলাসী।

প্রিন্স এখন অনেকটা কাছাকাছি আছে রিনির।এমন সময়…….

চলবে…….

Friday special,
Surprise part😍😍😍😊
#রাত_যখন_গভীর
#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
#(jannatul_mawa_moho)
Season:02
Part :১৬
************
প্রিন্স এর উঠানের পাশে করে কদম ফুলের গাছ আছে। ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে, কদম ফুল এর মন মাতাল করা ঘ্রাণ, সামনে আছে প্রিন্স এর মন ঘায়েল করা বৃষ্টি বিলাসী।

প্রিন্স এখন অনেকটা কাছাকাছি আছে রিনির।এমন সময় প্রিন্স (ইনতিয়াজ) আলতো করে রিনির কোমরে স্পর্শ করে। রিনি একটু কেঁপে ওঠে। রিনি পিছনে ফিরে দেখে প্রিন্স(ইনতিয়াজ)।

প্রিন্স রিনির ঘাড়ে ঠোঁট জোড়া স্পর্শ করে দেয়। রিনি অবিরত কেঁপে চলছে। প্রিন্স তার হাত দিয়ে রিনির চুল গুলো খোপা করে দেয়।

প্রিন্স বলেঃ এ চুল আমাকে মাতাল করে দেয়। খোলা চুল, আর তোমার মায়াবী চাহুনি আমাকে অস্থির করে দেয় রিনি।তাই বলেছি চুল গুলো খোলা না রাখতে। আমি যে প্রতিশোধ এর নেশা তে ভুল কাজ করেছি। চাইছিনা এমন কিছু আবার হোক।
তবে এমন কিছু হবে তোমাকে হালাল ভাবে অর্জন করার পর।

এমন সময়, প্রিন্স এর মুখ রিনির কানের কাছে নিয়ে গেল। প্রিন্স এর নিশ্বাস এসে লাগছে রিনির কাঁধে।প্রিন্স বলে উঠেঃ
“ঝুম বৃষ্টি,
মাতাল করা ফুলের ঘ্রাণ,
বৃষ্টিতে ভেজা,
লেপ্টে থাকা শাড়ি,
চোখের চেপ্টে যাওয়া কাজল,
চুল এর শেষ প্রান্তের জলের বিন্দু,
পাগল করে রে মায়াবতী ,
পাগল করে।
এ রূপ মারাত্মক বল ভয়ংকর বল।
হৃদয়ে সৃষ্টি করছে
নাম না জানা,
অন্য এক ঝড়।”
(কবিতাঃলেখিকা জান্নাতুল মাওয়া মহুয়া)

রিনির শরীর জুড়ে বিদ্যুৎ খেলে যাচ্ছে।একে তো বৃষ্টি তার উপর থেমে থেমে ঠান্ডা স্রোত। আর এখন প্রিন্স এর এমন আকষ্মিকভাবে স্পর্শ।

প্রিন্স রিনি কে ছেড়ে দেয়। প্রিন্স এর নজর গেল মাটিতে পড়ে থাকা একটা বস্তুর উপর।

প্রিন্স মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে যাই জিনিস টা কি ভালো ভাবে দেখতে লাগলো।

প্রিন্স বলেঃ আরে এটা তো রিনি তোমার নুপুর।
নাচানাচি করতে করতে ফেলে দিছো আরকি?

প্রিন্স নুপুর টা তুলে নেই। রিনির পা টা প্রিন্সের উরুর উপর রাখে।রিনির শরীর কাঁপুনি দিচ্ছে।রিনি কাতুকুতু ও লাগছে। প্রিন্স পা ধরেছে তাই।
প্রিন্স নুপুর টা রিনির পায়ে পড়িয়ে দিল।

এবার প্রিন্স দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে,
অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রিনির মুখে পড়া বৃষ্টির পানি গুলো দিকে।
সেই পানি গুলো রিনির গায়ে
খুব সুন্দর করে সমান তালে পড়ছে । বৃষ্টি ফোটা গুলো রিনির শরীর বেয়ে নেমে আসছে। বৃষ্টির পানিতে ভিজে রিনির সৌন্দর্য আরও দ্বিগুণ
বেড়ে গেছে।

প্রিন্স এভাবে কতক্ষণ তাকিয়ে ছিল সে জানে না।তবে বেশ কিছু সময় পর,

প্রিন্স বলেঃ রিনি চল।আর কতো ভিজবে? বেলা তো অনেক হয়েছে। রাত হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া, কাল না হয় পরশু আমাদের পৃথিবীতে যেতে হবে।যদি তোমার ঠান্ডা লেগে যাই তাহলে তো সমস্যা?

রিনি তো প্রিন্স এর কোন কথা শুনছে না।প্রিন্স তাই বাধ্য হয়ে রিনিকে কোলে তুলে নেই। রিনির শরীর থেকে টপটপ পানি পড়ছে। প্রিন্স বেচারা কাক ভেজা ভিজে গেছে।

এমন সময় রিনি বলেঃআন্না আমি যাবো না।আমি আরও ভিজবো।আ আ আ আ…….

প্রিন্স বলেঃ মেজাজ টা খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু এমন করলে।ভালো মত চুপচাপ হয়ে থাকো।এখন বাসায় ঢুকে যাবো।

রিনি বলেঃ তাহলে, ওই যে কদম ফুল এর ঘ্রাণ আসছে। আমার কদম ফুল চাই।আ আ আ আপনি ফুল নিয়ে দিন! আমি সত্যি আর ভিজবার বাইনা করবো না।প্লেজ।

প্রিন্স অসহায় দৃষ্টিতে রিনির দিকে তাকিয়ে আছে। বেচারার একদম বৃষ্টি পছন্দ না।তার উপর ভিজে একাকার হয়ে গেছে। প্রিন্স মনে মনে বলছেঃ এই মেয়ে যে খচ্চর। ফুল না নিয়ে দিলে জ্বালিয়ে ছাড়বে।

তাই প্রিন্স রিনিকে কোল থেকে নামিয়ে গাছে উঠে ফুল নেয়। রিনি খুশি হয়ে ফুল নিতে দৌড়ে প্রিন্স এর কাছে যাই।প্রিন্স খেয়াল করে নি রিনি এসেছে।কারণ রিনিকে বাসার দরজা তে রেখে এসেছিল।

প্রিন্স বেশ কিছু ফুল নিয়ে একটা লাফ দেয়। বাস খেল খাতাম।রিনির গায়ের উপর গিয়ে পড়লো প্রিন্স।

রিনি বলেঃ মা….. গু।
আমি যে মরে গেলাম। শেষ আমি আজকে।

প্রিন্স আশা করেনি এই পাগল টা এখানে চলে আসবে।তাই,প্রিন্স কেবলা কান্তের মতো ভেবলেষ হিনভাবে তাকিয়ে আছে রিনির দিকে।
প্রিন্স উঠে দাড়িয়ে যায়। রিনি উঠার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছেনা।তাই,প্রিন্স,
রিনিকে আবার কোলে তুলে নেয়।

দুজনে বাসায় প্রবেশ করে। প্রিন্স ফ্রেশ হতে গেল।কিন্তু যাওয়ার আগে বলে গেছে, রিনি তুমি ও কাপড় টা পাল্টে নাও।তুমি যে রুমে ছিলে সে রুমে কাপড় রাখা আছে। প্রিন্স চলে গেল।

রিনি আছে নিজের তালে।
কে শুনে কার কথা।রিনি তো কদম ফুল গুলো পেয়ে মহা খুশি। ভিজে কাপড়ে বসে আছে। ফুল গুলো নিয়ে সুগন্ধি নিচ্ছে । এই ফুল গুলো বড্ড প্রিয় রিনির।

প্রিন্স এসে যখন দেখে রিনি এখনো বসে আছে। তার মেজাজ টা খারাপ হয়ে যায়।

প্রিন্স বলেঃ এই এখনো কাপড় না পাল্টে কি করছো ঠান্ডা লাগলে কি করবে?

রিনি কোন কথাতে পাত্তা দিল না।আপন মনে ফুল গুলো থেকে সুগন্ধি নিয়ে যাচ্ছে।
প্রিন্স এবার ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। রিনিকে আবার কোলে তুলে নেই। রিনি চটফট করছে।নক দিয়ে আঁচড় ও দিছে।প্রিন্স তো নাছোড় বান্দা। এক ফোটা ও ছাড়লো না কোল থেকে। সিড়ি বেয়ে উঠতে লাগলো।

রিনি বলেঃ কি করছেন?
আবার কোলে নিলেন কেন?

প্রিন্স কোন উত্তর না দিয়ে। সোজা সিড়ি দিয়ে উপরে উঠেই চলছে ।মেইন ছাঁদে উঠে পড়ে।

প্রিন্স এর বাড়ির ছাদের উপর একটা ফুল বাগান আছে। তার পাশে একটা সুইমিং পুল আছে।

প্রিন্স টাস করে কোল থেকে রিনি কে ফেলে দেয় সুইমিং পুল এর মধ্যে।

প্রিন্স বলেঃ তাকো এবার ভিজে ভিজে। উপরের বৃষ্টি আর সুইমিংপুল এর পানি।মজা বুঝ।

রিনি বে বে কান্না করছে।রিনি সাঁতার জানে না।তাছাড়া রিনির সুইমিং পুলের মধ্যে ভয় করে।
রিনির মনে হয়, সুইমিংপুলের মধ্যে কেউ তার পা টানে।তাই বড্ড ভয় পাই।

তবুও,
রিনি আস্তে আস্তে সুইমিংপুল এর সিড়ি টা ধরে।এইটুকু আসতে কই বার যে নাকানি চুবানি খাইয়েছে সে জানে আর আল্লাহ জানে।

প্রিন্স তাকিয়ে আছে রিনির দিকে। রিনি আস্তে করে প্রিন্স এর পা টা ধরে। আর হাত দিয়ে একটা টান দেয়।প্রিন্স চিন্তা করেনি।এই পাগল এমন কিছু করে বসবে।টান দেয়ার ফলস্বরূপ, প্রিন্স ও পড়ে যায় সুইমিংপুলে।

এবার প্রিন্স এর আরও রাগ ফেঁপে উঠলো।রিনির কোমরটা স্পর্শ করে।একটানে প্রিন্স এর গায়ের সাথে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে। রিনি কাপঁচে প্রিন্স স্পষ্ট বুঝতে পারছে।তবুও সেদিকে দৃষ্টি পাত না করে সুইমিংপুলের মাঝ বরাবর নিয়ে গেল রিনিকে।

তখনই, প্রিন্স…….

💮

💮

💮

জান্নাত,
I love you yesterday,
I love u still
I always Have.
I always will.

এই কথা টা বলে মুগ্ধ, আরো কিছু টা কাছে আসে জান্নাত এর। মুগ্ধ, জান্নাত এর কাঁধে একটা ভালবাসার স্পর্শ অংকন করে দিল।
জান্নাত এর ভয়ে নাজেহাল অবস্থা।

এমন সময় জান্নাত বলেঃ আরে রানি(লোভা) আপনি?

এটা বলতেই, মুগ্ধ ছেড়ে দেয়। জান্নাত কে আর পাই কে। দেয় একটা দৌড়।

মুগ্ধ অট্টহাসি দেয়। আর বলেঃ
“পালিয়ে পালিয়ে রবে কদিন,
ফিরতে হবে এই নীড়ে,
অপেক্ষাই গুনছি প্রহর,
আসবে কবে এই নীড়ে।
(কবিতা লেখিকাঃজান্নাতুল মাওয়া মহুয়া)

জান্নাত রুমে প্রবেশ করে হাফ ছেড়ে বাঁচল। এমন সময় হাবিব চিৎকার দিয়ে উঠে।

শাম্মি স্তব্ধ হয়ে পাশে বসে আছে। সবাই সেখানে উপস্থিত হয়।

সবাই বলেঃ কি হ’য়েছে?
ঘুমের মধ্যে তোমার এমন চিৎকার শুনে ভয়ে আছি।কি হয়েছে বল।

হাবিব স্ফটিক এর দিকে দেখিয়ে দেয়। সবাই তাকিয়ে আছে। তবে, রাজা,রানী(লোভা),রাজকুমারি(শাম্মি) কোন প্রতিক্রিয়া দেখায় নি।

বাকি সবাই ভয়ে চুপসে গেছে।

এমন সময়,
রাজা(রশিদ) বলেঃমানুষের মধ্যে যেমন ভালো খারাপ আছে। তেমন জিনদের মধ্যে ও আছে। তবে অনেকে জিনের অস্তিত্ব নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে।
কুরআনের বাণী তে আছে,
And the jinn we create before from scorchingfire.
And we did certainly create man out of clay From an altered blake Mud.

কুরআনের মধ্যে জিন ও মানব জাতি নিয়ে ভালো ভাবে ব্যাখা দেয়া আছে।

তাছাড়া আমাদের মধ্যে খারাপ জিন আছে। যেমনটা মানুষের মধ্যে আছে,
কিছু মানুষ রুপি অমানুষ।

যে খারাপ জিনের ছবি স্ফটিক এর মধ্যে দেখতে পেলে।সে ই খুব সম্ভব সুমি কে নিয়ে গেল ।জানিনা সুমিকে আর ফিরে পাবে কিনা।ওরা সবচেয়ে খারাপ জিন।তারা সবসময় বিভিন্ন পশুর রুপ ধারণ করে। তবে বেশির ভাগ ধরে, কালো বিড়াল এর রুপ।আমরা সবসময় ওদের এড়িয়ে চলতাম।

সবাই মন মরা হয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে।
মুগ্ধ সবাই কে মনোবল দিচ্ছে এমন কিছু হবে না।সব ঠিক হয়ে যাবে।

কামাল, অর্ক,রাহাত হুজুর, হাবিব সবাই একটু শান্ত হলো।

আসলে,কিছু সম্পর্ক রক্তের, কিছু সম্পর্ক মানুষের তৈরি। আর কিছু সম্পর্ক স্রষ্টার তরফ থেকে পাওয়া উপহার।

এমন একটা মুহূর্তে, সবাইকে শান্ত করেছে মুগ্ধ তাই তাদের মনে হচ্ছে, তাদের সাথে মুগ্ধের এমন একটা সম্পর্ক আছে বা সম্পর্ক সৃষ্ঠি হয়ে গেছে। যা তাদের জন্য আল্লাহর দেয়া উপহার।

সবাই এবার রিনিকে ও প্রিন্স কে খুঁজড়ে মনোযোগ দিল।কারণ, প্রিন্স এর কাছে শক্তি আছে। যা দিয়ে খুব সম্ভব সুমি কে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে!!!!
চলবে…….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে