#রং_বদল
#IH_Iman_Haque
#পর্ব_০৬
আমি বুঝতে পারতেছি এশা কি বলতেছে?ও আমার পিরিয়ড এর বেপারে বলতেছে।হঠাৎ করে এমন প্রশ্ন করায় আমি লজ্জা পাইলাম।(দুই ভাই-বোনের লজ্জা শরম কিছুই নাই দেখতেছি )
কি বেপার ভাবি তুমি লজ্জা পাচ্ছো কেনো?তুমিও একজন মেয়ে, আমিও একজন মেয়ে তাই এখানে শরম পাওয়ার কিছু নাই।আর তোমার পাশে যে ছেলেটা আছে ওটা তোমার স্বামী,তার স্ত্রী তুমি তোমার সব বিষয়ে জানার অধিকার আছে।
এশার এমন কথা শুনে আমি একবার আমার স্বামী র এর দিকে আর একবার এশার দিকে তাকাচ্ছি।
জান্নাতুন এভাবে তাকানো দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম।
কি বেপার ভাবি তুমি ভাইয়াকে আর আমাকে এভাবে কি দেখতেছো?
কিছু না।আরে এশা তুমি দরজার পাশে দাড়িয়ে আছো কেনো রুমের ভিতরে আসো বিছানায় বসো।(কথা ঘুরানোর জন্য এশাকে এই কথা বললাম।এশাকে এই বিষয়ে বলতে আমার লজ্জা করতেছে।যতো ও আমার মতো একজন নারী হোক )
ঠিক বলছো তো ভাবি,আমি এতোক্ষন ধরে এখানে দাড়িয়ে আছি পা দুটো লেগে গেলো কেনো যে রুমের ভিতরে ঢুকলাম না।
তাহলে এখনে রুমে এসে বসে পড়ো,তারপর না হয় গল্প
করা যাবে।
ভাবির কথা শুনে রুমের ভিতরে গিয়ে সোজা বিছানায় গিয়ে বসলাম ।আমি বিছানায় বসার পরে একটু পরে ভাবিও দাড়িয়ে না থেকে আমার পাশে এসে বসলেন বিছানায়।
আমি এখানে থেকে কি করবো,আমি বাহিরে গেলাম তোমরা ভাবি ননোন গল্প করো?
ভাইয়া তোকে কি কেউ এখানে জোড় করে রেখেছে?
না তো,
তাহলে এখনো রুম থেকে বাহির হস নাই কেনো,আমরা ভাবি ননোন কি গল্প করি সেটা তুই কি শুনতে চাস?
না মানে, আমিও একটু শুনতাম (মজা করে বললাম কারন এমনিতে আমি এখানে থাকবো না।এশাটা রুমে আসাটাও টাইম পাইলো না।)
তোকে শুনতে হবে না ভাইয়া, তুই এখন রুম থেকে বাহিরে যা।
যাচ্ছি যাচ্ছি তোদের গল্প শুনার এই ঈমানের ইচ্ছা নাই।
ডাইলোক তো ভালো শিখেছিস,যা ভাগ এখান থেকে।
আমি গেলাম তুমি খাবারগুলো খেয়ে নিও।রুম থেকে বাহির হওয়ার সময় জান্নাতুনকে চোখ টিপা দিয়ে চলে আসলাম।
কি ভাবি একদিনে এতো ভালোবাসা,আমি থাকতেও তোমারে ভাইয়া প্রেম-ভালোবাসা দেখাচ্ছে চোখ টিপা মেরে?
মাথা নিচ করে,চূপ করে বসে আছি।কারন কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
ভাবি তুমি কি আবারো লজ্জা পাচ্ছো, আমার কথায়?
এশা তুমি এটা কি বলো, লজ্জা পাবো কেনো?
তাহলে আমার কথা শুনে মাথা নিচ করলে কেনো ভাবি?বুঝি বুঝি সবেই বুঝি ভাবি,না বুঝার দিন শেষ।
এশা তুমি যখন সবেই বুঝো তাহলে তোমার একটা ব্যবস্হা করতে হয়।
কিসের ব্যবস্হা ভাবি।
তোমার বিয়ের কথা মা-বাবাকে বলতে হবে,তুমি বড় হয়ে গেছো।
ভাবি আমি এখন বিয়ে করবো না কারন,আমার পড়ালেখা শেষ হয় নি।আর ঘরে নতুন ভাবি আসতে না আসতে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চাচ্ছো ।
তাড়িয়ে দিবো কেনো,মেয়ে হয়ে যখন জন্ম হয়েছো তখন পরে ঘরে যাইতে হবে আজ না কাল।
তবুও ভাবি আমি এখন বিয়ে করবো না।তোমার এটা বাচ্ছা না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করবো না।
তবুও একটু কথা বলি মা-বাবার সাথে ,কি বলো এশা?
আমি গেলাম ভাবি তোমার এখানে আর থাকবো না কারন তুমি যে শুরু করে দিয়েছো,আর কিছুক্ষন থাকে তুমি অঘটন ঘটিয়ে ফেলবে।(এই বলে দৌড়িয়ে রুম থেকে বাহিরে চলে আসলাম )
এই এশা শুনো কই যাও, যেও না।ধূর চলেই গেলো পাগলী মেয়ে কোথাকার।একটু মজা করলাম তাতে ভয় পেয়ে গেছে।হঠাৎ করে টেবিলের উপরে একটা প্লেট দেখতে পেলাম।প্লেটা দেখে ওনার কথা মনে পড়লো খাবারগুলো আমাকে খাইতে বলেছে।আমি বিছানা থেকে উঠে এক পা সামনে বাড়িয়ে দিবো তাতে পেট ব্যথা শুরু হয়ে কেনো।এমন পেট ব্যথা কখনো হয় নি।পেট ব্যথার কারনে জীবন যায় যায় অবস্হা।একটা মেয়ের পিরিয়ড টাইমে কতো কষ্ট হয় একমাত্র আল্লাহ্ ভালো জানে।অনেক কষ্টে টেবিলের সামনে গিয়ে একটা চেয়ারে বসে পড়লাম।দুহাত দিয়ে পেট টা খামচিয়ে ধরে আছি,অনেক পেট ব্যথা করতেছে।আল্লাহ্ তুমি কোন যন্ত্রনায় ফেললা,শইতে পাড়ি না।টেবিলের উপরে মাথাটা দিয়ে পেট খামচিয়ে ধরে আছি।
জান্নাতুন তোমার কি হয়েছে,এমন করতেছো কেনো?খারাপ লাগতেছে মাকে ডাকবো।
হঠাৎ করে এভাবে আমাকে বলতেছে।টেবিলের উপর থেকে মাথাটা ঘুরে দেখি আমার স্বামী বলতেছে এভাবে আমাকে।
কি হয়েছে তোমার বলো আমাকে,কান্না করতেছো কেনো?(জান্নাতুন এর পাশে গিয়ে আমার দুই হাত দিয়ে চোখে পানি মুছে দিয়ে বলতেছি।)
আমার না খুবেই পেট ব্যথা করতেছে,খুবেই কষ্ট হচ্ছে মনে হচ্ছে মরে যাবো।আমি এতো যন্ত্রনা সহ্য করতে পারতেছি না।পেট ব্যথার যন্ত্রণায় কখন যে চোখ দিয়ে পানি পড়েছে বুঝতে পাড়ি নি।
ধুর পাগলী এভাবে কেউ বলে নাকি।পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা হয় সবারে।
বুঝলাম পিরিয়ড এর সময় পেট ব্যথা হয়,তাহলে বিয়ের আগে আমার পিরিয়ড হওয়ার সময় এতো পেট ব্যথা হতো না।
আমি দুঃখীত গল্পটা বড় করে দিতে না পাড়াই।গল্পটা আমি অনেক কষ্টে লিখলাম ১০ঃ১৫,থেকে ১১ঃ৫ মিনিট পযর্ন্ত লিখলাম।আরো লিখতে চাইলাম কিন্তু দুচোখ ঘুমে বন্ধ হয়ে আসতেছে। ইনসাআল্লাহ্ কালকে থেকে ঠিক টাইমে গল্প পাবেন।
চলবে