#মিষ্টার_লেখক(১২)
#Israt_Bintey_Ishaque(লেখিকা)
[কার্টেসি সহও সম্পূর্ণ কপি নিষিদ্ধ]
ইমা’দের বাড়ির পাশে নদী বয়ে গেছে।
সেখানে মানুষজন গোসল করে। ছোট ছোট ছেলেরা সারাদিন ধরে পানিতে নেমে থাকে।পাকা সিঁড়ির দুই পাশের দেয়াল থেকে লাফিয়ে পড়ে পানিতে। এতে একেকজন প্রতিযোগিতায় নামে যেন।কারো মানা, কারো বাধা শুনে না তারা। নিজেদের আনন্দ বহাল রেখে, পানি খোরের মতো ডুবাতে থাকে।
আর এদের লিডার হচ্ছে রিহাব। দেয়ালে উঠে পানিতে লাফ দেওয়ার পরিবর্তে ভুলবশত পাকা সিঁড়িতে পরে আহত হয়ে বাসায় ফিরেছে বর্তমানে সে।
সাথের ছেলেদের থেকে জানা গেল এই ঘটনা ঘটেছে। তখন সাহারা কাটা স্থানের উপর আরো মাইর দিতে উদ্যত হলেন। তার বারন করা সত্ত্বেও কেন এসব করে ছেলে তাই রেগে গিয়ে মার’তে গেলেন।ইমা মাকে ধরে আটকালো,
না মারা’র জন্য।
তারপর মহিন ইমাকে বললো,ফাষ্ট এইড বক্স আনার জন্য।
আর রিহাব কে বললো, ভিজে থাকা পোশাক পরিবর্তন করে আসার জন্য।রিহাব তাই করলো।ইমা ঘর থেকে হাতে করে কিছু তুলো আর মলম নিয়ে এলো। এসে বললো, এগুলোই আছে আপাতত। দেখুন এগুলো দিয়ে কাজ হবে কিনা?
মহিন মলমটা হাতে নিয়ে দেখল কাটা, ছেঁড়া স্থানে প্রয়োগ করার মলম এটা। ব্যবহার করা যেতে পারে সমস্যা নেই। তারপর রিহাবের ক্ষত স্থান গুলো ড্রেসিং করে মলমটা সুন্দর করে লাগিয়ে দিল।
.
.
এরপরের দিন,
ফজরের আযান হতে ইমা মহিন কে ডেকে দিল মসজিদে যাওয়ার জন্য।অন্য নামায গুলো নিয়মিত পড়লেও ফজরের সময় নিয়মিত ঘুম থেকে উঠতে পারে না মহিন। আল্লাহ তা’আলা মাফ করুন। তবে বিয়ের পর থেকে একদিন ও কাজা হয়নি কারণ ইমা রোজ ডেকে তুলে মহিন কে “আলহামদুলিল্লাহ”।
এমনিতে মহিন নামায পড়া নিয়ে আলসেমি করে না। হসপিটালে যখন কোন রোগীর অপারেশন করে তখন তার পূর্বে নফল নামায আদায় করে আল্লাহ তা’আলার সাহায্য প্রার্থনা করে। কারণ এখানে একটা মানুষের জীবন মর’ণের ঝুঁকি থাকে। সবটাই মহান আল্লাহ পাকের হাতে ডাক্তার তো মাত্র উছিলা।যে উছিলায় আল্লাহ তা’আলা মানুষ কে সুস্থতা দান করেন “সুবহান আল্লাহ”।
ইমা তার রোজকারের অভ্যাস মতো নামায পড়ে শুয়ে আছে। মহিন সাড়ে পাঁচটার দিকে মসজিদ থেকে ফিরে আসে। তখন সদ্য আলো ছড়িয়েছে। পূর্ব আকাশে সূর্যের লাল আভা এখনো অবধি ছড়ায়নি। প্রকৃতি বেশ শান্ত স্নিগ্ধ শোভন করছে। মানুষজন যার যার নীড়ে অবস্থানরত আছে। এই সময়ে গ্রামের সবুজ প্রকৃতির মাঝে হাঁটা মন্দ হবে না।তাই মহিন ইমাকে বললো,চলো বাড়ির বাহিরে থেকে হেঁটে আসি?
ইমা উঠতে নারাজ।সে এখন ঘুমাবে বললো। কিন্তু মহিন এ কথা শুনতে নারাজ।সে ইমাকে নিয়ে তবেই হাঁটতে যাবে।তাই আকস্মিক ইমাকে পাঁজা কোলে তুলে নিল।
ইমা ভয়ে ভীত চোখে তাকায়,পরে যাওয়ার ভয়ে গলা জড়িয়ে ধরে মহিনের। মহিন ইমার কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে বলে, ভীত চোখে তাকালে তোমাকে কিন্তু সেই লাগে!
ইমা চোখ দুটো ছোট ছোট করে তাকায় মহিনের পানে।
মহিন মুচকি হেসে ইমাকে কোলে নিয়েই বাহিরে বের হয়ে আসে। তারপর একদম বাড়ির পাশে কাঁচা রাস্তায় এনে নামায়।ইমা দাঁড়িয়ে বললো, প্রথম বার কারো কোলে চড়লাম, তবে আপনার কোলে চড়তে কিন্তু বেশ ভালই লাগছিল আমার!
মহিন তখন ঠাট্টা করে বললো, কিন্তু আমার জান বেরিয়ে যাচ্ছিল প্রায় আটার বস্তা বহন করে!
ইমা রেগে গিয়ে বললো কি বললেন আপনি? আমি আটার বস্তা?আপনার কোন শক্তি নেই সেটা বলেন হুহ।
মহিন বললো, আমার শক্তি দেখতে চাও তুমি?
ইমা বললো, না থাক দেখতে হবে না। এবার চলুন সামনের দিকে যাই?
তারপর দুজন হেঁটে চলে রাস্তা দিয়ে। রাস্তার দুই পাশে জমিতে বর্ষার পানি থই থই করছে।ইমার সকালটা মন্দ লাগছে না। সবসময় নামায পড়ে ঘুমিয়ে থাকা হয়, আলসেমি করে এই সময়ে বাহিরে বের হয়ে হাঁটাহাঁটি করা হয় না। ইব্রাহিম খলিল প্রায় সময় ইমাকে বলতেন ঘুমিয়ে না থেকে বাহিরে একটু হাঁটাহাঁটি করার জন্য কিন্তু ইমা শুনতো না।
আজকে মহিনের জন্যই আসা তাই মহিন কে বললো, জাযাকিল্লাহু খাইরান।
মহিন বললো, হঠাৎ কি মনে করে?
ইমা বললো, এতো সুন্দর একটা সকাল উপভোগ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
মহিন প্রশান্তির হাসি ফুটিয়ে তোলে ঠুটে।ইমার ডান কাঁধে নিজের ডান হাত দিয়ে আঁকড়ে ধরে হাঁটে।ইমা লজ্জায় মাথা নত করে মুচকি হাসে। একদিন এই মুহূর্তটা স্বপ্ন ছিল তার! সবসময় স্বামী নামক মানুষটার কথা ভাবতো। তাকে ঘিরে হাজারো স্বপ্ন বুনতো। দুজনের আনন্দ দুঃখ গুলো ভাগাভাগি করে জীবন পার করার ইচ্ছা বুনে।
“যদি হয় পবিত্র বন্ধন,
তবে ভালোবাসা সুন্দর”।
.
.
রাস্তায় মানুষজনের গতানুগতি দেখলে ইমা আর মহিন বাড়ি ফিরে আসে।
সাহারা নতুন জামাই এর জন্য ডাল পুরি পিঠা তৈরি করছেন। মহিন পিঠা খাবে কি খাবে না এই নিয়ে,ইমা চিন্তায় পড়ে গেল।
ইরিনা পিঠা বানাতে বানাতে বোনের দিকে নজর দিতেই দেখলো চিন্তিত মুখে বসে আছে ইমা।ভারি রুটির গোল অংশটাকে কেটে নকশা করতে করতে বললো, কিরে কি ভাবছিস?
ইমা ধ্যান ভেঙ্গে বললো, উনি সকালের নাস্তায় ফল খান।
ইরিনা হাত থামিয়ে বললো, আগে বলবি না তুই?তোর ভাইয়াকে বললেই তো সে বাজার থেকে ফল কিনে নিয়ে আসতো। এখন এই সকাল বেলা কোথায় থেকে ফল আনবো?
ইমা বললো, গতকাল ই তো আসলাম এর মধ্যে মনে থাকে এতো কিছু?ভাল্লা’গে না আমার।
এই বলে রান্নাঘর থেকে ঘরে চলে গেল।
.
নাস্তার টেবিলে যখন পিঠা আর পায়েশ দেওয়া হলো তখন মহিন খুব সুন্দর করে খাওয়া শুরু করলো। এতে যেন সবার পাংশুটে মুখে হাসি ফিরে এলো।
ইমা অবাক নয়নে তাকিয়ে দেখছে মহিন কি সুন্দর কোন অনিহা প্রকাশ না করে পিঠা খাচ্ছে। তখন ফিসফিস করে বললো, আপনি না তেলে ভাজা খাবার খুব একটা খান না আর সকাল বেলা তো একদম ই না। তাহলে?
মহিন হেসে বললো, বাবা বলে নতুন কোন স্থানে গেলে তোমাকে কিছু খেতে দিলে অল্প হলেও খাবে, কখনো অনিহা প্রকাশ করবে না।তা না হলে তোমাকে যত্ন সহকারে দেওয়া খাবার গুলো তুমি না খেলে অপর ব্যক্তিটি কষ্ট পাবে।
তাছাড়া পিঠা গুলো খুবই সুস্বাদু। আমার ভিশন ভালো লাগছে খেতে। পরিমাণ মতো খেলে কিছু হবে না ইনশা আল্লাহ।
মহিনের উত্তর শুনে প্রশান্তিতে ভরে গেল ইমার মনটা। এমন একজন মানুষ কে তার জীবনে এনে দেওয়ার জন্য আল্লাহ তা’আলার কাছে শুকরিয়া আদায় করে আলহামদুলিল্লাহ বললো মনে মনে।
এর মাঝে ইমার ছোট মামাতো ভাই দৌড়ে এসে কিচেন থেকে পানি নিয়ে খাচ্ছিল। তখন ইমার মামি বললো, এই করছিস কি? ভাঙ্গা পাত্রে পানাহার করলে আয়ু কমে যায়’! এই গ্লাসটা এক কোণে একটু ভাঙ্গা দেখছিলাম।
কিচেনের পাশে ডাইনিং রুমে থেকে ইমা সবটা শুনে বললো,মামি এসব কুসংস্কার কথা তুমি মানো?
মামি বললো, এগুলো তোর নানু আমাকে বলতেন। তারা এসব মেনে চলতেন বলেই তাদের রোগ বালাই কম ছিল বুঝলি?এসব কুসংস্কার বলে ফেলে দেওয়া যায় না।
ইমা বললো,এসব ভুল কথা মামি নানু সেকালের মানুষ বলে এসব বিশ্বাস করতেন। তাদের বইয়ের জ্ঞান কম ছিল না বলে এসব শুনে বিশ্বাস করতেন।শরিয়তের দৃষ্টিতে ভাঙ্গা পাত্রে পানাহার করার বিধান এবং একটি কুসংস্কার: ‘ভাঙ্গা পাত্রে পানাহার করলে আয়ু কমে যায়’!
ভাঙ্গা পাত্রে খাবার খাওয়া জায়েজ তবে ভাঙ্গা পাত্রের ভাঙ্গা স্থানে মুখ লাগিয়ে পান করার ব্যাপারে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
ভাঙ্গা পাত্রে খাবার খাওয়া জায়েজ সংক্রান্ত হাদিস:
আনাস রা. সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোনও এক স্ত্রীর ঘরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় উম্মাহাতুল মু‘মিনীন রাসূলের জনৈক স্ত্রী তার খাদেমকে দিয়ে এক পেয়ালা খাবার পাঠালেন। বর্ণনাকারী বলেন, [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার ঘরে ছিলেন] সেই স্ত্রী (রাগান্বিত হয়ে) পেয়ালাটি হাতের দ্বারা আঘাত করে ভেঙ্গে ফেলেন।
ইবনুল মুসান্না বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাঙ্গা টুকরা দু’টো উঠিয়ে নিয়ে একটিকে অপরটির সাথে জোড়া দিলেন এবং পড়ে যাওয়া খাবারগুলো উঠাতে লাগলেন এবং বললেন, “তোমাদের মায়ের আত্ম মর্যাদাবোধ জেগেছে (রাগ হয়েছে)।”
ইবনুল মুসান্নার বর্ণনায় রয়েছে: “তোমরা এগুলো খাও। তাদের খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি খাদেমসহ পেয়ালাটি আটকিয়ে রাখলেন। অতঃপর অক্ষত পেয়ালাটি তিনি খাদেমের হাতে তুলে দিলেন আর ভাঙ্গা পেয়ালাটি তাঁর ঘরে রেখে দিলেন।[১]
এ হাদিস থেকে প্রমাণিত হল যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবিগণ ভাঙ্গা প্লেটে খাবার খেয়েছেন।
পানপাত্রের ভাঙ্গা স্থানে মুখ দিয়ে পান করা নিষেধ সংক্রান্ত হাদিস:
পানপাত্রের ভাঙ্গা স্থানে মুখ দিয়ে পান করার ব্যাপারে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত হয়েছে। যেমন:
আবু সাঈদ আল-খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাত্রের ভাঙ্গা স্থান দিয়ে পানি পান করতে এবং পানীয়ের মধ্যে ফুঁ দিতে নিষেধ করেছেন।[২]
ইমাম আবু জাফর ত্বহাবি রাহ, শারহু মাআনিল আসার গ্রন্থে এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন,
একদল মুহাদ্দিস বলেছেন, এই নিষেধের কারণ হল, পাত্রের ভাঙ্গা স্থানে পোকামাকড় স্থান নেয়। এগুলো যেন কোন ক্ষতি না করে সে জন্য তিনি তা নিষেধ করেছেন।” আর এটা বিজ্ঞান সম্মত কথা যে, গ্লাস, মগ ইত্যাদির ভাঙ্গা স্থানে জীবাণু সৃষ্টি হয়। সুতরাং সেখানে মুখ লাগলে মুখের মধ্যে জীবাণু প্রবেশ করে অসুখ-বিসুখ সৃষ্টি হতে পারে।
সাধারণ অবস্থায় খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে যথাসম্ভব ভালো, উপযুক্ত ও রুচিসম্মত পাত্র ব্যবহার করা উচিৎ। কেননা ভাঙ্গা, ফাটা, ছিদ্র ইত্যাদি পাত্রে খাবার খাওয়া হলে তা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বা খাওয়ার সময় হাত বা মুখ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে এ জাতীয় পাত্রে মেহমানদেরকে আপ্যায়ন করাকে সমাজে সম্মানহানিকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অত:এব, পানাহারের ক্ষেত্রে ভাঙ্গা-ফুটা ও অনিরাপদ পাত্র ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
তবে দারিদ্র্যতার কারণে অথবা বিশেষ পরিস্থিতির শিকার হয়ে যদি জোড়া-তালি দেয়া বা টুকটাক ভাঙ্গা-ফাটা পাত্রে পানাহারের প্রয়োজন হয় তাহলে তাতে শরিয়তে কোন বাধা নেই।
‘ভাঙ্গা পাত্রে পানাহার করলে আয়ু কমে যায় বা ঘরে অকল্যাণ নেমে আসে’ এটি বাতিল ও কুসংস্কার পূর্ণ কথা:
‘ভাঙ্গা পাত্রে পানাহার করলে আয়ু কমে যায় বা ঘরে অকল্যাণ নেমে আসে’ এ জাতীয় কথাবার্তা শরিয়ত সমর্থন করে না। অনুরূপভাবে “ভাঙ্গা আয়নায় মুখ দেখা অশুভ। এতে চেহারা নষ্ট হয়ে যায়।” “ভাঙ্গা কুলায় লাথি মারলে জমির ফসল কমে যায়।” এ সকল কথাবার্তা ১০০% কুসংস্কার, বাতিল ও শরিয়ত পরিপন্থী বিশ্বাস। ইসলামের সাথে এগুলোর কোন সম্পর্ক নাই। সুতরাং এ জাতীয় মূর্খতা পূর্ণ কথা-বার্তায় বিশ্বাস রাখা হারাম।
.
.
ইমার কথা গুলো যেন খুব কষ্টে হজম করলেন মামি। তার ভুল ধরিয়ে দেওয়াতে তিনি মোটেও খুশি হলেন না। তিনি উল্টো অপমান বোধ করে চলে গেলেন এখান থেকে।ইমা বুঝতে পারলো তার মামি রাগ করেছেন। মামির স্বভাব সম্পর্কে অবগত আছে ইমা।তাই ঠিক করলো পরে বুঝিয়ে বলবে।
নাস্তা শেষে বিশ্রাম করে মহিন এবং ইমার দুলাভাই মিলে বাজারে যায়। কারণ বিয়ের আড়াই দিনে জামাই বাজার করার নিয়ম আছে।তাই মহিন গেল বাজারে।
অতঃপর,
প্রায় বিশ হাজার টাকার বাজার করে নিয়ে এলো।বড় মাছ থেকে শুরু করে গোশত এবং সব ধরনের সবজি সব কিছু।
দুপুরে সবাই মন ভরে তৃপ্তি নিয়ে খায়। সাহারা আশেপাশের ঘরে রান্না তরকারি বাটিতে করে দিয়ে আসে।
তারপর, বিকালে রওনা হয়ে মহিন ইমাকে নিয়ে চলে আসে খুলনা।
বেশ কিছুদিন পর,
বাসায় কাজের বুয়া আর ইমা ছাড়া কেউ নেই।তাই ইমা ঠিক করলো পাশের ফ্ল্যাটে যাবে।এই সুযোগ সবকিছু জানার। এখন দশটা বেজে চার মিনিট। শ্বাশুড়ি মা কলেজ থেকে ফিরতে অনেক সময়।যেই ভাবা সেই কাজ ইমা বুয়া কে দরজা বন্ধ করতে বলে পাশের ফ্ল্যাটে গিয়ে কলিং বেল বাজালো….
_________
রেফারেন্স:
[১][সহীহ ইবনু মাজাহ/২৩৩৪]
[২](সুনানে আবু দাউদ/৩৭২২-সহিহ)
_______
#চলবে… ইনশা আল্লাহ।