#মিষ্টার_লেখক(৯)
#Israt_Bintey_Ishaque(লেখিকা)
[কার্টেসি সহও সম্পূর্ণ কপি নিষিদ্ধ]
মাথার উপরে থাকা তিন পাখার ফ্যান টা বিরতিহীন ভাবে ঘুরে চলেছে। সূর্য মামা যেন তার তেজস্ক্রিয় রশ্মি সম্পূর্ণ ভাবে ছড়িয়ে দিয়েছে।ইমা ফ্যানের নিচে বসে থেকেও ঘেমে একাকার হয়ে যাচ্ছে। হয়তো মাত্রাতিরিক্ত রেগে থাকার কারণে।
মহিন এসে পাশে বসে বললো,অতিরিক্ত রাগ শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। গবেষণা অনুযায়ী, দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক চাপে থাকলে মস্তিস্কে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। যে কারণে ব্রেন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং বুকে ব্যথার ঝুঁকি বাড়ে।অতিরিক্ত রেগে গেলে শরীরে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়।
ইমা কিছু বলে না চুপ করে বসে থাকে। মহিন আবার বলে, আচ্ছা রাইটারের উপর রেগে গিয়ে বই কে এভাবে অবমাননা করা কি ঠিক কাজ করেছো তুমি?নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে দেখ একবার?
ইমা বললো, আমি দুঃখিত আর এমন হবে না।রাগের মাথায় কি করেছি না করেছি জানি না। সত্যি আমার এরকম টা করা উচিৎ ছিল না।
মহিন ইমাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বললো, আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি?
ইমা বললো,জ্বি করুন।
মহিন অনেক সাহস সঞ্চয় করে বললো, আচ্ছা ঐ রাইটারের বই কে এভাবে ছুঁড়ে ফেলে দিলে।যদি কখনো ঐ রাইটার তোমার সামনে আসে! তখন ঠিক কি রিয়েক্ট করবে তুমি?
ইমা চোখ মুখে কাঠিন্য ভাব ফুটিয়ে তুলে বললো, সে কথা আসছে কেন?ঐ লেখকের সাথে আমার কোন দিন ও দেখা হবে না আমি নিশ্চিত।বাই দা ওয়ে আপনি কিভাবে জানলেন যে ঐ বই টার লেখক কে আমি পছন্দ করি না?
এটুকু বলে সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকায় ইমা।
মহিন শুকনো কাশি দিয়ে বললো, তোমাকে একটা গল্প বলি শুন!
ইমা উৎসুক হয়ে তাকিয়ে রইল শুনার জন্য। মহিন দাঁড়িয়ে থাই গ্লাস টা সম্পূর্ণ খুলে দিয়ে পর্দা গুলো চাপিয়ে দিল। তারপর বলতে শুরু করলো,আমি একটু হলেই মানুষকে ব্লক দেই, ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে,এমনকি ফেবু আইডির সূচনা লগ্ন থেকে এপর্যন্ত ব্লকলিস্টে হাজারের উপরে মানুষ আছে। কিন্তু দুই একটা ব্লক খাওয়ার ইন্টারেস্টিং গল্প কিন্তু আমারও আছে।
একবার একটা মেয়ের সাথে ফেসবুকে ভালই খাতির হয়েছিল। কথাবার্তা হত মেসেঞ্জারে। হয়ত আরো কয়েকদিন কথাবার্তা এগোলে আজ ওই মেয়েটি আমার স্ত্রী হত! (দীর্ঘশ্বাস)। ওরকমই কথাবার্তা চলছিল।
তো একদিন মেয়েটার সারাদিনে কোনো খোজ পেলাম না। খুব চিন্তিত হয়ে গেলাম। কারণ কয়েকদিন কথাবার্তা বলায় ওর অনলাইনে আসার সময় আমার জানা ছিল । এছাড়া অনলাইনে না আসার মত কোনো কথা আগের দিন সে বলে নি।
রাত একটার সময় মেয়েটার একটা মেসেজ আসল। সে বলল, ” আমি হাসপাতালে ভর্তি। আমার ফুড পয়জনিং হয়েছে। খুব খারাপ অবস্থা। দোয়া করেন।”
আমিও খুবই দুঃখ প্রকাশ করলাম। তখনো স্টুডেন্ট ছিলাম, তাই ডাক্তারি ফলাতে গেলাম না ( অন্য বাংলাদেশিদের মত)। এমনি কথাবার্তা বলে মেয়েটার মন ভাল করার চেষ্টা করলাম।
মেয়েটা ডায়রিয়ার কারণে বেশ টক্সিক ছিল বলাই বাহুল্য। ডিহাইড্রেশনে মানুষের মেজাজ খারাপ থাকা স্বাভাবিক। আমার কথা কিছুক্ষণ পরই তার আর ভাল লাগছিল না। আমাকে বলল, কিছু গান সাজেস্ট করতে। তার রাতে ঘুম আসছে না, সে কানে হেড ফোন গুজে শুয়ে থাকবে।
কোন শয়তানে গুতিয়েছিল আমাকে, আমি জানি না। আমি তাকে সাজেস্ট করা প্রথম গানটাই টাইপ করলাম, তৌসিফের ” রাত জাগা মেয়ে”।
তারপর একটু খুজতে বের হলাম চ্যাট থেকে। কারণ আগেই জানতাম, মেয়েটার গানের লিস্ট আর আমার গানের লিস্ট প্রায় একই।
আরো কয়েকটা গান বেছে চ্যাটে টাইপ করতে যাব, তখনই আমার ব্যাকগ্রাউন্ডে ইন্ডিয়ান সিরিয়ালের মত ঠাডা পড়ার শব্দ হল। মেয়েটা আমাকে ব্লক দিয়ে দিয়েছে!
কারণ আমি নিজেই বের করলাম সাথে সাথেই। তৌসিফের “রাত জাগা মেয়ে” টাইপ করতে গিয়েছিলাম দ্রুত। কি-বোর্ডে h আর j পাশাপাশি থাকে। এতেই দুর্ঘটনাটা ঘটে গেল। ডায়রিয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রাত জাগা মেয়েকে “রাত জাগা মেয়ে” গান সাজেস্ট করতে গিয়ে, আমি ভুলে “রাত হাগা মেয়ে ” সাজেস্ট করে ফেলেছি। যেটা এমনিতেই চলমান ছিল বলাই বাহুল্য।(লেখাটি কপি করা)
.
.
আপনার প্রাক্তন প্রেমিকা ছিল?
কথাটা বলতে বলতে ইমার চোখের পানি টলমল করছে। মহিন বিচলিত হয়ে ইমার কাছে এসে বললো, বিশ্বাস করো শুধু কথা মেয়েটার সাথে।তাও আবার মেসেঞ্জারে।
ইমা আবারো একটু ভেবে বললো, আপনি সেই লেখক!যে আমাকে সামান্য একটা রিয়েক্টের জন্য ব্লক করেছিলেন? তারপর আবার আমার মেসেজ টাও সিন করেন নি। আমি ভিশন কষ্ট পেয়েছি এতে। সারারাত এই অপমানের কথা ভেবে ভেবে ঘুমাতে পারিনি আমি।
মহিন অনুতপ্ত হয়ে বললো, সরি।
ইমা প্রতিবাদ করে বললো, সরি বললেই হলো? আমার কষ্ট টা মুছে যাবে? সবসময় আমি অন্যদের ব্লক করে এসেছি, অবশ্যই যুক্তিযুক্ত কারণে।
অথচ সেদিন বিনা কারণে আপনি আমাকে যে অপমান করলেন সেটা আমি ভুলতে পারি না আজো।
এই বলে ইমা রুম থেকে বেরিয়ে কিচেনে গেল।দুজন হেল্পিং হ্যান্ড একজন রান্না করে অন্য জন সব কিছু কাটাকাটি করে গুছিয়ে দিচ্ছে। দুজনের মধ্যে একজন পারমানেন্ট এ বাসায় থাকে আরেক জন শুধু রান্না বান্না করে দিয়ে যান, প্রতিদিন এসে।
ইমা বললো, দিন আজকে আমি রান্না করি?
শেফালী ভুয়া বললেন, না না আপনি এ বাসায় নতুন বউ। আপনাকে এহন রান্না করতে হবে না।যখন পুরান হবেন তখন ম্যাডামের মতো রান্না বান্না কইরেন। তখন কেউ বাধা দিব না।
ইমা আর কথা বাড়ালো না চলে আসতে নিলে, রাহেলা ভুয়া ভাতের গরম মার ফেলছে তখন ইমা বললো, সবসময় মনে রাখবেন গরম মার ফেলার আগে বিসমিল্লাহ বলে ফেলবেন।
সতর্ক হউন।
সৌদী স্কলার শায়খ বিন বাযকে জিজ্ঞেস করা হলো, বেসিনে গরম পানি ঢাললে কি জীনদের সমস্যা হয়?
উত্তরে বিন বায (রহ:) বলেন- “হ্যাঁ,বেসিনে কিংবা মাটিতে গরম পানি ফেলার আগে যেন ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ি। এতে করে সেখানে কোনো বসবাসকারী থেকে থাকলে তারা সরে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমি একবার এক
আছরগ্রস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গিয়েছিলাম,তার ওপর সওয়ার হওয়া জ্বীনের কাছে জানতে চাওয়া হলো- কেন তুমি একে কষ্ট দিচ্ছো?
জ্বীন জানালো- সে গরম পানি ঢেলে বেসিনের পাইপে থাকা আমার ছেলেকে মে’রে ফেলেছে তাই।
আমরা বললাম- সে তো জানতো না,সেখানে কেউ ছিল।জ্বীন বললো- সে কেন ‘বিসমিল্লাহ’
পড়েনি? বাসমালা (বিসমিল্লাহ) পড়লে আমরা সতর্ক হয়ে স্থানান্তর হয়ে যেতে পারি।”
(ফতোয়ায়ে বিন বায)
বেসিনে বা অন্য কোথাও গরম পানি ঢালার
আগে অবশ্যই উচ্চ শব্দে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ে
নিন। (সংগৃহিত)।
________
যেহেতু জ্বীন জাতী কে যেকোন রুপ ধারন
ও যেকোন স্থানে বসবাস করার ক্ষমতা
দেয়া হয়েছে। সেহেতু জ্বীনেরা যেকোন
রুপে সর্ব জায়গায় বিচরন করতে সক্ষম।
সুতরাং,, সতর্ক থাকাই উত্তম।
(সংগৃহিত)
.
রাহেলা এবং শেফালী দু’জনেই চমকালো এমন ভয়ং’কর কথা শুনে।১৩৫
এবং আল্লাহ তা’আলার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলো যেন মনে করে বিসমিল্লাহ বলে ফেলতে পারে।
ইমা বললো, আপনাদের নেক ইচ্ছে গুলো আল্লাহ তা’আলা পূরন করুন আমীন!
তারপর ইমা চলে আসতে নিলে রাহেলা ভুয়া বললেন, আচ্ছা নতুন ভাবী আপনি তো অনেক কিছু জানেন। আমাকে বলতে পারবেন আমার ছেলেটার জন্য আমি কিভাবে দো’আ করুম?
ইমা একটু ভেবে বললো, আমি নারীদের আমল ঘরে পড়েছিলাম একজন বোন এই সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন, মনযোগ দিয়ে শুনুন।
আমার ছেলেটা তখন খুব ছোট,২ এর কম হবে বয়স।
ওকে নিয়ে হেফজ খানায় পড়তে যেতাম…
প্রতি সপ্তাহ সেখানে একজন দায়ীয়া আসতেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে লেকচার দিতেন।
রোজার আগের সপ্তাহ প্রতিদিনই এক ঘন্টা করে লেকচার দিতেন ক্লাসের ম্যাম।
অনেক অসাধরন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ছিলেন তিনি। উনার অনেক অনেক নসিহত আমি আজো মেনে চলি।
তো সেবার রোজার আগে ছাত্রীরা বিভিন্ন প্রশ্ন করছিল।
তিনি উত্তর দিচ্ছেন।
আমি প্রশ্ন করলামঃ এক জন মা তার সন্তানের জন্য সবচেয়ে উত্তম কোন দুয়া টা করতে পারে ?
উনার উত্তর টা আজও স্পষ্ট কানে ভাসছে,
উনি আমার দিকে প্রথমে তাকালেন,এরপর কোলে আমার ছেলের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে এতো সুন্দর করে বললেনঃ
“একজন মা তার সন্তানের জন্য কি দুয়া করবে? এটা তো ফিক্সড করে দেওয়া যায় না,সন্তানের জন্য তো মায়ের চাহিদার শেষ নেই। সন্তানের জন্য মায়েরা সব কিছুই চায়,প্রশ্ন হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম দুয়াটা কি হতে পারে।”
এরপর তিনি আমাদের মাঝে যতজন মা ছিলেন সবাইকে বললেন “যা যা তোমরা আল্লাহর কাছে চাও তোমাদের সন্তানের জন্য, তার একটা লিস্ট করো।”
আমরা সবাই লিস্ট করলাম,উনাকে দিলাম লিস্ট,উনি পড়ে শুনাচ্ছেন…
কমন ছিল সবার চাওয়া গুলোঃ
১ঃ ভাল মত যেন পড়াশুনা করে
২ঃ সুস্থতা
৩ঃ টাকা পয়শা
৪ঃ সুখ শান্তি
৫ঃ লম্বা হায়াত
৬ঃ কখনো যেন কষ্ট/অভাব না আসে
৭ঃ ঈমানি মৃত্যু এবং জান্নাত
ইত্যাদি…
এবার ম্যাম চশমা নাকে নামিয়ে চশমার উপর দিয়ে আমাদের দিকে প্রশ্নবাচক হাসি হেসে তাকালেন।
তারপর বললেনঃ
সুস্থতা কি ফায়দা দিবে যদি এই শরীর আল্লাহর প্রতি অবনত না হয়?
পড়াশুনা কি কাজে দিবে যদি দায়ী হতে না পারে?
টাকা পয়শা দিয়ে কি হবে যদি খারাপ কাজে ব্যয় করে?
লম্বা হায়াত দিয়ে কি হবে যদি মানুষ টা পথ ভ্রষ্ট হয়?
আমরা সত্যি খুব অবাক হচ্ছিলাম, আমাদের এই চাওয়া গুলো কি তাহলে ভুল?
বান্দা খারাপ হবে না ভাল তা কি আমরা জানি?
“তাহলে সন্তানের জন্য আমরা চাইব কি?”
প্রশ্ন গুলো করলাম ম্যাম কে।
তিনি বললেনঃ ❛❛তোমরা মা, সন্তানের জন্য দুয়া করবা, তোমাদের দুয়া বদলে দিবে সন্তানের জীবন।
কেন এইসব চাও?
সুস্থতা টাকা পয়শা লম্বা হায়াত সুখ শান্তি ইত্যাদি কি আল্লাহর খুব কাছে নিয়ে যাবে তোমার সন্তান কে?
তোমরা আল্লাহর কাছে সন্তানের জন্য একটা সুন্দর ক্বলব চাও, এমন ক্বলব চাও যেখানে শয়তান ওয়াসওয়াসা দিতে পারবে না। এমন পরিষ্কার ক্বলব চাও!!
কারন এক মাত্র পরিষ্কার ক্বলব ভাল চিন্তা করতে পারে, আল্লাহর খুব নিকটে যাওয়ার কথা চিন্তা করতে পারে, খারাপ থেকে দূরে থাকতে পারে।
তার সুস্থতা থাকুক না থাকুক, অনেক টাকা পয়শা থাকুক না থাকুক, সুখ শান্তি থাকুক না থাকুক,
তার পবিত্র ক্বলবের জন্য সে আল্লাহর খুব নিকটেই থাকবে, কারন পবিত্র ক্বলবেই তাকওয়া থাকে,
তাওয়াক্কুল থাকে, সবর থাকে।
দুনিয়াতে ক্ষনিকের জন্য সুখ শান্তি টাকা পয়সা চেয়ে লাভ কি? একটা অশিক্ষিত মানুষও জান্নাতে যাবে যদি তার ক্বলব গুনাহ থেকে পরিষ্কার থাকে।
একটা পংগু মানুষ ও আল্লাহর অনেক নিকটে থাকতে পারে যদি তার ক্বলব পরিষ্কার থাকে।
সন্তানের জন্য সরাসরি জান্নাত চাও। আর সেই জান্নাতে যাওয়ার পথ গুলো চিনিয়ে দিবে একটা পরিষ্কার ক্বলব।
পরিষ্কার ক্বলব দুনিয়াতে নিজেকে শান্তি দিবে আশেপাশের সবাইকে শান্তি দিবে, গুনাহ থেকে বাঁচিয়ে রাখবে,ঈমানি মৃত্যু হবে ইন শা আল্লাহ ও জান্নাতবাসী হবে ইন শা আল্লাহ।❜❜
সেই থেকে আজ অবধি আমি মুহাম্মাদের জন্য একটা পরিষ্কার ক্বলব ও শারীরিক সুস্থতার চেয়ে অন্য কিছু বেশি আর চাইনি।
একটা তাকওয়াপূর্ণ, তাওয়াক্কুলপুর্ণ, সবরপুর্ণ ক্বলব সবচেয়ে বেশি ইম্পরট্যান্ট একটা মানুষের জন্য।
©Zainab Al-Gazi
.
.
এবার বুঝলেন?
রাহেলা ভুয়া খুশি হয়ে বললো, শুকরিয়া। কাজের ফাঁকে ফাঁকে আপনার থেকে এরকম হাদিস সম্পর্কে জানতে পারবো তো ভাবী?
ইমা খুশি মনে বললো,নিশ্চই কেন নয়?
.
.
এর পরের দিন সকাল বেলা একটা ছেলে মহিনের সমবয়সীর মত। আজাদ লস্কর কে টাকা দিয়ে বললো, বাবা এ মাসের ভাড়ার টাকাটা রাখ।
তারপর চলে যেতে নিলে মোহনা এসে বললো,মেজ ভাইয়া আমাদের সাথে নাস্তা করবে এসো?
ছেলেটি বিদ্রুপ হেসে বললো, এক বেলা খেলে ঘরের মানুষ হয়ে যাবো না, সেই ভাড়াটে ভাড়াটে থাকবো!….
#চলবে… ইনশা আল্লাহ।