Sunday, October 5, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"মাফিয়ার ভালোবাসামাফিয়ার_ভালোবাসা পর্বঃ ০৫

মাফিয়ার_ভালোবাসা পর্বঃ ০৫

মাফিয়ার_ভালোবাসা পর্বঃ ০৫
– আবির খান

মায়ার চোখদুটো ঠিক যখনই লেগে আসবে তখনই হঠাৎ মায়ার ফোনে একটা মেসেজ আসে। মায়া মেসেজটা খুলে দেখে,

“কাল অপেক্ষায় থাকবো। দেরি করো না।”

মায়া ভাবছে,

কে এই মেসেজ দিতে পারে?? কেই বা আমার অপেক্ষায় থাকবে?? কোথায়ই বা থাকবে?? একটা ফোন দিবো নাকি?? নাহ কোনো খারাপ কেউ বা হতে পারে। কে হতে পারে?? যে আমার অপেক্ষায় থাকবে??

মায়া এসব ভাবতে ভাবতে হারিয়ে যায় ঘুমের দেশে। একটা সুন্দর স্বপ্ন দেখে মায়া রাতে। স্বপ্নটা ভাঙে খুব সকালে। ঠিক যখন মায়া জগিং এ যায়। মায়া ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে জগিং এর উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পরে।

মায়া জগিং করে তার সেই কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌছায়। কিন্তু একি দেখছে মায়া। আজ যে তার আগেই কেউ সেখানে বাচ্চাদের সাথে খেলা করছে। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে একটা ছেলে। কিছুটা আবিরের মতো লাগছে। মায়া ধীরে ধীরে ওদের দিকে এগিয়ে যায়। হ্যাঁ মায়া ঠিকই দেখেছে। এটা আবির।

মায়া যেখানে বাচ্চাদের সাথে খেলা করতো সেখানটা খুব সুন্দর করে সাজানো। রংবেরঙের বেলুন, কাগজ আরো অনেক কিছু। আজ যেন বাচ্চাদের চোখ জ্বলজ্বল করছে এসব দেখে।

মায়া এসব দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছে ৷ কিভাবে কি?? তাহলে কি আবিরই কাল রাতে মেসেজ দিয়েছে। মায়া দেখছে সব বাচ্চাদের গায়ে নতুন নতুন জামা কাপড়। হাতে অনেক দামি দামি খেলনা। আবির ওদের সাথে মন খুলে মজা করছে। হঠাৎ একটা বাচ্চা ছেলে মায়ার কাছে এসে ওকে নিচে ঝুকতে বলে। মায়া নিচে ঝুকে বাচ্চাটার কথা শুনতে চেষ্টা করে।

বাচ্চাঃ আপু আপনে অনেক ভালো। আপনে নাকি এই ভাইয়াডারে পাঠাইছেন আমাদেরকে এই নুতুন নুতুন জামা আর খেলনা দেওয়ার জন্য। আপু আপনে অনেক ভালা। ভাইয়াডাও অনেক ভালা। জানেন আমাদের অনেক গুলা মিষ্টি (চকলেট) দিছে। খুব মজা।

মায়া যেন বাচ্চাটার কথা শুনে আকাশ থেকে পরে। মায়াতো আবিরকে পাঠায়নি। বরং মায়াতো জানেই না যে আবির এখানে। আর আবির এসব নিজে করে আমার নামই বা কেন বলল?? না এর উত্তর শুধু আবিরই দিতে পারবে। মায়া এসব চিন্তা করতেই হঠাৎ আবির,

আবিরঃ শুধু তোমার বন্ধু হতে চাই। তাই এই ছোট্ট সারপ্রাইজ।

মায়াঃ শুধু কি আমার বন্ধু হওয়ার জন্যই এতো কিছু??

আবিরঃ আজ আপতত বন্ধু হই পরে না হয় বাকি উত্তরটা দিবো।

মায়াঃ এক শর্তে বন্ধু হতে পারি।

আবিরঃ কি?? চিন্তিত হয়ে।

আবিরের চিন্তিত ভাব মায়াকে বেশ মজা দিচ্ছে।

মায়াঃ আমি যদি কোনো গল্প পড়ি তা যদি আপনার পড়া হয় তার শেষটা আমাকে বলবেন নাহ।

বলেই মায়া হাসিতে ভেঙে পরে। সে কি হাসি। আবির অবাক হয়ে মায়ার মন মুগ্ধকর হাসি দেখছে।

মায়াঃ কি রাজি তো??মজা করে।

আবিরঃ আপনি গল্প পড়লে আমি আর দেখবোই নাহ। হা হা।

মায়াঃ হা হা।

আবিরঃ আচ্ছা আর একটা ছোট্ট রিকুয়েষ্ট করতে পারি??

মায়াঃ করুন।

আবিরঃ আমাকে যদি তুমি করে বলতে ভালো হতো। কারণ আমরাতো একই ক্লাসে তাই না।

মায়াঃ বাবাহ। মাত্র বন্ধু হলেন আর এখনই আপনি থেকে তুমিতে যেতে চাচ্ছেন?? আপনার মতলবটা কি বলেনতো প্রেমে পরলেন নাকি?? হা হা।

আবির কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। কারণ কথাতো সত্যি। আবির বোকার মতো মাথা চুলকাচ্ছে।

মায়াঃ আচ্ছা আর ভাবতে হবে না। এবার চলো বাচ্চাদের সাথে একটু খেলি।

আবিরঃ আচ্ছা। ওয়েট ওয়েট… তুমি আমাকে একটু আগে তুমি করে বললে রাইট??

মায়াঃ কই আমি তোমাকে কখন তুমি করে বললাম।মজা করে।

আবিরঃ এই যে এই মাত্রই তো বললে। তারমানে আজ থেকে তুমি?? ইয়ে ইয়ে। আবির অনেক খুশি হয়েছে৷ খুশিতে বাচ্চাদের সাথে অনেক মজা করছে।

আর মায়া অবাক হয়ে আবিরের কান্ড দেখছে। সামান্য বন্ধুত্ব আর আপনি থেকে তুমিতে আসাতে যে কেউ এতো খুশি হতে পারে তা মায়ার জানা ছিলো না।

মায়াঃ আবির…..

মায়ার মুখে প্রথম আবির ডাকটা শুনে যেন আবিরের মনে সমুদ্রের বিশাল ঢেউ উঠিছে। আবির মায়ার কাছে তাড়াতাড়ি এগিয়ে যায়।

আবিরঃ হুম বলো।

মায়াঃ কাল রাতে কি তুমিই তাহলে আমাকে মেসেজ দিয়েছিলে??

আবিরঃ হুম।

মায়াঃ তাহলে এই তোমার অপেক্ষার কারণ??

আবিরঃ হুম। ওয়েট তোমাদের জন্য আরেকটা সারপ্রাইজ আছে।

আবির ইশারা দিতেই একজন ফুচকাওয়ালা এসে হাজির হয়।

মায়াঃ ও মাই গড। এই সকালে ফুচকা!!! মায়ার চোখে মুখে বিস্ময়ের ছাপ।

আবিরঃ হুম তোমাদের জন্য।

মায়াঃ কিন্তু তুমি কি করে জানলে যে আমার ফুচকা খেতে অনেক পছন্দ??

আবিরঃ সব বলতে হয় না। কিছু জিনিস সিক্রেট থাক। চোখ টিপ দিয়ে।

মায়া আবিরকে যতই দেখছে ততই অবাক হচ্ছে। মায়া ভাবে, আমার নাম্বার, আমার এখানে আসা, আমার পছন্দের খাবার এতো সব ও কিভাবে জানলো??মনে মনে

আবিরঃ এখন এসব ভেবে লাভ নাই। আস্তে আস্তে সব জানবে। হা হা।

মায়া এবার ভয়ই পেয়ে যায়। কারণ আবির ওর মনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছে।

মায়াঃ এই তুমি কি মানুষের মন পড়তে পারো নাকি??

আবিরঃ সবার না। যারা অনেক স্পেশাল তাদের।

মায়া আর কিছু বলে না। কারণ মায়া কিছুটা হলেও বুঝতে পারছে যে আবির ওকে পছন্দ করে৷ কারণ আসলে মায়ারো আবিরকে একটু একটু ভালো লাগতে শুরু করেছে। কারণ গতকাল মায়া দেখেছে সবাই আবিরের পিছনে ঘুর ঘুর করলেও আবিরের স্পেশাল এটেনশন ছিলো শুধু মায়ার জন্য। যা মায়ার কাছে ভালো লেগেছে।

এরপর মায়া বাচ্চাদের নিয়ে ফুচকা খেতে মেতে উঠে। আর আবির শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে। অবশ্য মাঝে একবার আবিরকে মায়া সেধে ছিলো খাওয়ার জন্য কিন্তু আবির খায়নি। কারণ তাহলেতো আর মায়াকে দেখতে পারবে না ভালো মতো। খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাচ্চাদেরকে আবির অনেক গিফট দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। বাচ্চারাও অনেক খুশি হয়ে চলে যায়। এখন আবির আর মায়া বেঞ্চে বসে আছে। দুজনেই কেমন চুপচাপ। এই অসস্থিকর নিরবতা ভেঙে মায়া,

মায়াঃ আচ্ছা বাচ্চাদের তোমার কথা না বলে আমার কথা বললে কেনো??

আবিরঃ কারণ আমিতো নতুন আর তুমি ওদের পুরনো বন্ধু। তাই তোমার কথা বলাতে ওরা সাচ্ছন্দ্যে আমার সাথে মিশেছে। তাই আরকি।

মায়াঃ আচ্ছা আজতো বেজায় খরচ করলে। আঙ্কেল বুঝি অনেক ধনী??

আবির মায়ার কথা শুনে হাসতে হাসতে পরে যাওয়ার উপক্রম। তবে মায়া খেয়াল করেছে এই হাসির পিছনে লুকিয়ে আছে এক অজানা কষ্ট।

মায়াঃ হাসছো যে??

আবিরঃ আমার বাবা নেই।

মায়াঃ ও তাহলে মা বুঝি??

আবিরঃ আমার মাও নেই।

আবিরের এই কথাগুলো এতো সাচ্ছন্দ্যে বলাটা মায়ার মনে অনেক প্রশ্ন জাগায়। যার উত্তর শুধু আবিরই জানে।

মায়াঃ তাহল….

আবিরঃ সব কি আজই জানবে নাকি। অন্য আরেকদিন৷ আজ উঠতে হবে৷ ক্লাসে যাবে না??

মায়া আবিরের সাথে যখনই কথা বলে তখনই মায়া যেন ওর মাঝে হারিয়ে যায়। মায়ার তখন বাইরের দুনিয়া সম্পর্কে খেয়াল থাকে না। মায়া ঘড়িতে তাকিয়ে দেখে ৯.০৫ বাজে।

মায়াঃ ওহ অনেক দেরি হয়েগিয়েছে। আজ তাহলে যাই। ভারসিটিতে দেখা হবে।

আবিরঃ আমি নামিয়ে দেই??

মায়াঃ না আমি একাই যেতে পারবো।

আবিরঃ কেনো সংকোচ হচ্ছে যেতে??

মায়াঃ তা না। আচ্ছা চল তাহলে।

আবিরঃ আচ্ছা।

আবিরের চোখে মুখে খুশির ছাপ। যা মায়ার চোখ এড়ালো না। মায়ার কাছে আবিরের এই ছোট ছোট বিষয়ে অনেক খুশি হওয়াটা ভালো লাগে। কারণ ভালো মানুষেরই এই গুণটা থাকে।

মায়া আবিরের দামি গাড়িতে করে যাচ্ছে। মায়া অনেক কথা বলছে আর হাসাহাসি করছে। আসলে এতোদিন মায়ার কথা শুনার কেউ ছিলো না। আজ থেকে কেন জানি আবিরকে মায়ার অনেক আপন মনে হচ্ছে। তাই মায়াও মন খুলে আবিরের সাথে কথা বলছে। আর আবির মুগ্ধ হয়ে তার পাশে বসা অপরূপ সুন্দরীর মধুর মতো কণ্ঠে কথা শুনছে।

আবিরঃ মায়া এসে পরেছি।

মায়াঃ আচ্ছা। তোমাকে অনেক থ্যাংকস। লিফট দেওয়ার জন্য।

আবিরঃ ইটস ওকে। বাই দেন।

মায়াঃ ওকে। হেই ওয়েট ওয়েট!! তুমি আমার বাসা চিনলে কিভাবে??

আবিরঃ ওই যে সব তখন বললাম নাহ কিছু কথা বলতে হয়না। হা হা।

মায়া অবাক হয়ে গাড়ি থেকে নামে। আর কিছু বলার আগেই আবির গাড়ি নিয়ে একটানে চলে যায় সেখান থেকে। মায়া শুধু অবাক হয়ে আবিরের চলে যাওয়া দেখে। মায়া ভাবে, মানুষটার ভিতরে অনেক রহস্য আছে। যা আমার জানতেই হবে। কি ওর পরিচয় সব।

এরপর প্রায় ২ মাস কেটে যায়। আবির আর মায়া এখন খুবই ভালো বন্ধু। মায়া এক অজানা অনুভূতিতে আবিরের প্রতি অনেক দূর্বল হয়ে পরেছে। মনে মনে আবিরকে ভালোবাসতেও শুরু করেছে। মায়া এও জানে যে আবিরও ওকে কতটা ভালোবাসে। মায়া এখন শুধু অপেক্ষায় আছে কখন সে তার প্রথম ভালোবাসার মানুষকে পাবে। মানে কখন আবির ওকে প্রপোজ করবে। ভালোবাসার কথা বলবে।

একদিন সকালে,

মায়াঃ মা আমি বের হচ্ছি। বাই।

মাঃ আচ্ছা যা। গাড়ি আছে নিচে। তুই চালাবি না কিন্তু। আমি শুনেছি তুই নাকি গাড়ি নিয়ে কোথায় কোথায় যাস।

মায়াঃ না মানে ওই একটু বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে যাই। মিথ্যা বলল।

মাঃ মায়া এগুলো কিন্তু ঠিক না।

মায়াঃ আচ্ছা মা আর চালাবো না। সরিইই।

মাঃ আচ্ছা হইছে। এখন যা।

মায়া তার মাকে বিদায় দিয়ে গাড়িতে করে ভারসিটিতে চলে আসে । মায়া আজ একটু তাড়াতাড়িই এসেছে যাতে আবিরের সাথে একটু বেশি সময় কাটাতে পারে। ভারসিটিতে ঢুকে মায়া আবিরের সাথে দেখা করার জন্য ক্লাসের দিকে যায়। কিন্তু ক্লাসে গিয়ে মায়া যা দেখে তা দেখার জন্য মায়া মোটেও প্রস্তুত ছিলনা। মায়া দেখে, একটা মেয়ে আবিরের সাথে অনেক হেসে হেসে কথা বলছে। আর সাথে আবিরও।

এই দৃশ্য দেখে মায়া হতবাক হয়ে যায়। মায়া কল্পনাও করে নি আবিরকে সে এভাবে দেখবে। মায়ার প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে। মায়া কোনো ভাবেই আবিরকে অন্য কারো সাথে মেনে নিতে পারছে না। মায়ার চোখ থেকে অঝোরে পানি পরছে।

হঠাৎই আবিরের চোখ যায় ক্লাসের দরজার দিকে। আবির দেখে মায়া করুণ দৃষ্টিতে কান্নারত অবস্থায় আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে। আবিরের চোখে চোখ পরতেই মায়া সেখান থেকে দৌড়ে চলে যায়। আবির মায়াকে ধরার আগেই মায়া ভারসিটি ছেড়ে বাসায় চলে যায়।

মায়া বাসায় ঢুকতেই তার মায়ের সম্মুখীন হয়।

মাঃ কিরে এইমাত্র গেলি আর এখনিই চলে আসলি??

মায়াঃ আমার শরীর অনেক খারাপ লাগছে। তাই ক্লাস করিনি চলে এসেছি। মা আমি একটু একা থাকতে চাই। ঘুমাবো।

মাঃ আচ্ছা ঘুমা। কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলিস।

মায়া আর কিছু না বলেই নিজের রুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে বিছানায় পরে অঝোরে কাদতে থাকে। মুখে বালিশ চাপা দিয়ে কাদতে থাকে। মায়ার অনেক কষ্ট হচ্ছে। আবিরকে এভাবে অন্যকারো সাথে হাসাহাসি করতে দেখে মায়ার বুকটা ফেটে যাচ্ছে। মায়া ভেবেছিলো আবির হয়তো ওকে ভালোবাসে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে না আবির ওই মেয়েকে ভালোবাসে। মায়ার রাগে কষ্টে গা জ্বলে যাচ্ছে। মায়া খেয়াল করে আবির ওকে একের পর এক ফোন দিয়েই যাচ্ছে। অলরেডি ১০০ ফোন দেওয়া শেষ। মায়া বিরক্ত হয়ে ফোন অফ করে দেয়। সাথে আরো কান্নায় ভেঙে পরে।

এদিকে আবির মায়ার ফোন বন্ধ পেয়ে অনেক রেগে যায়। ওর কথা না শুনেই মায়া এভাবে চলে গেলো আর ফোনটাও অফ করে দিলো। বিষয়টা আবিরের ইগোতে লাগে। তাই আবিরও রাগ করে আর মায়ার কোন খোঁজ খবর নেয়না। আজ প্রায় ৬ দিন হয়ে গিয়েছে মায়া ভারসিটিতে আসে না৷ মায়া সম্পুর্ন নিজেকে একা করে ফেলে।

এদিকে আবির পাগল হয়ে যাচ্ছে মায়াকে না দেখে। মায়ার কষ্ট ভুলাতে মাদকের আশ্রয় নেয় আবির। মাদকে এতোটা ডুবে যায় যে বাস্তব জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। আবিরের এ অবস্থা দেখে রাফি, শুভ আর রহিম চাচা অনেক চিন্তিত হয়ে পরে।

রাফিঃ দোস্ত শুভ, তুই আবিরকে গিয়ে বুঝা। কারণ ও যা করছে তা সম্পূর্ণ ভুল। তুই ওকে বুঝাতে পারবি।

শুভঃ ও যদি রেগে যায়??

রহিম চাচাঃ তোকে ও অনেক পছন্দ করে আর তোর কথাও শুনে। তাই তুই পারবি ওকে বুঝাতে।

শুভঃ আচ্ছা আমি দেখছি। আমার তো যেতে সমস্যা নেই কিন্তু ওর যে রাগ তাই ভয় লাগে।

রাফিঃ আরে কিচ্ছু হবে না যা তুই।

শুভ আবিরের রুমের পাসওয়ার্ড জানায় ভিতরে ঢুকতে তেমন সমস্যা হয়নি। শুভ ভিতরে ঢুকে আস্তে করে আবিরের কাছে যায়। আবির নেশায় একদম বুদ হয়ে আছে।

শুভঃ আবির…ভাই…আর নিজেকে কষ্ট দিস না।

আবিরঃ আমি মাফিয়া, আমাকে কেউ কোনোদিন ভালোবাসতে পারে না। আমাকে ছেড়ে সবাই চলে যায়। আমি একা আছি একাই থাকবো। তুই চলে যা। বলেই আবির কান্নায় ভেঙে পরে।

শুভ আবিরের কাছে গিয়ে ওর কাধে হাত রেখে ওকে সান্ত্বনা দেয়।

শুভঃ দোস্ত মায়াতো মেয়ে মানুষ। আর তুই ভাব ও যদি তোকে ভালো নাই বা বাসত তাহলে ও তোকে অন্য মেয়ের সাথে দেখে এভাবে রিয়েক্টই বা কেন করবে৷ শোন ও তোকে ভালোবাসে। তুই তোর ইগো ফেলে ওর কাছে যা৷ ওকে বুঝা। দেখবি সব ঠিক হয়েগিয়েছে। মায়া তোকে ভালোবাসেরে। ওকে আর একা থাকতে দিস না দোস্ত। দেখ ও তোর মতো কষ্ট পাচ্ছে।

আবির ভাবছে,

শুভর প্রতিটা কথাই সঠিক। মায়া যদি ওকে নাই বা ভালোবাসত, তাহলে এভাবে আচরণ করার কোনো প্রয়োজন ছিলো না। তাহলে মায়াও আবিরকে ভালোবাসে। এ কথা ভাবতেই আবিরের সব নেশা কেটে যায়৷

আবিরঃ দোস্ত আমি এখন কি করবো??

শুভঃ তুই আজ রাতে মায়ার কাছে যাবি। আর ওকে সবটা বুঝাবি যে মেয়েটা ওদিন কে ছিলো।

আবিরঃ আচ্ছা দোস্ত। আমাকে মাফ করে দিস। তোদের সাথে অনেক খারাপ আচরণ করেছি।

শুভঃ আরে ধুর। তোর মনে আছে আমি একবার বলেছিলাম, ভাবিকে পেতে একটু কষ্ট করতে হবে। তো একটু কষ্ট এখন কর।

আবিরঃ আচ্ছা। তাহলে তুই একটা ড্রোন রেডি কর। আজ রাতে ওর কাছে যাবো দেখি আর কত অভিমান করে থাকতে পারে।

শুভঃ এই না হলো আমার বন্ধু। আমি সব রেডি করছি। তুই আগে নিজেকে ঠিক কর। দেখ আয়নায় নিজেকে। এই কয়দিনে কি অবস্থা করেছিস নিজের।

আবিরঃ আচ্ছা বাবা। তুই যা আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। আর থ্যাংকস দোস্ত। তুই না থাকলে আমি আজ নিজেকে শেষই করে ফেলতাম।

শুভঃ ধুর বেটা। তুই ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি আয়।

রাফিঃ কিরে পারলি??

শুভঃ হুম। আসছে।

রহিম চাচাঃ যাক।

আসলে আমাদের অনেক কাছের কোনো জিনিসের সাথে আমাদের আবেগটা জুরে যায়। ফুলে সেটা যখন দূরে সরে যায় আমরা আবেগের বসে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। ঠিক তখনই তাকে যদি একটু মেন্টালি সাপোর্ট দেওয়া যায় তাহলে সে আর সেই ভুল করতে পারে না। আর তার কোনো ক্ষতিও হয়না। শুভও সেই কাজটাই করেছে।

রাত ১১.৫৫ মিনিট,

মায়ার বাসার সামনে আবির, শুভ আর রাফি। আবির ড্রোনটা ফ্লাই করে যেইনা মায়ার রুমের দিকে নেয় আর যা দেখে…..
চলবে….?

কোনো ভুল হলে জানাবেন।

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ