মন উন্মনে আঁচড় পর্ব-০২

0
667

#মন_উন্মনে_আঁচড়
লেখনীতেঃ #রিধিমা_জান্নাত_রূপা
পর্বঃ ০২

.
ধড়ফড়িয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে বসলো মীতি। তীব্র গতিতে ছুটতে লাগলো হৃদপিণ্ড। জোরে জোরে নিশ্বাস টেনে নিতে লাগলো, টপটপ করে গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়তে লাগলো অশ্রুধারা। কি দেখলো সে এটা? স্বপ্ন, না-কি কিছু অপ্রিয় সত্যি? স্বপ্ন কি এতটায় জীবন্ত হয়? উত্তর মিললো না মীতির, আর না শান্ত হতে পারলো। পাশের ট্রি-টেবিল থেকে পানি ভর্তি গ্লাসটা হাতে নিলো। এক ঢোক পান করে শুধু গলা ভিজিয়ে নিলো মাত্র। তারপর স্ব-জোরে হাতের গ্লাসটা ফ্লোরে ছুড়ে মে’রে মৃদু আর্তনাদ করে উঠলো। দু’হাতে মাথা চেপে চিৎকার করে কেঁদে উঠলো। মধ্যে রাতের অন্ধকারে চারদিকে নিস্তব্ধতা হলেও মীতির চিৎকার রুমের চার দেয়ালের মাঝে বারি খেয়ে বারংবার ফিরে আসলো।

দেড় বছরের সংসার তাদের। খুব সাধারণ জীবনযাপন। আর পাঁচটা দম্পতির মতোই ছিলো তারাও। উঁহু! হয়তো একটু বেশিই সুখে ছিলো। সেই সুখের সংসারেই যেন হঠাৎ নজর লেগে গেল কারোর। সারাদিনের অফিসের ব্যস্ততায় মীতিকে কম সময় দিতে লাগলো রাতুল। এক মুহুর্তে এসে অফিস ও অফিসের কাজগুলোকে সতীন বলে মনে হতে লাগলো মীতি। এক দুই কথায় ঝামেলা করতে লাগলো রাতুলের সাথে, নিত্যদিন ঝগড়া হতে লাগলো দু’জনের মাঝে।
হঠাৎ এই ভাঙনের সৃষ্টিটা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না মীতি। মেনে নিতে পারছে না তার দেখা এই দুঃস্বপ্ন। স্বপ্নটাকে দুঃস্বপ্ন ভেবেই কেটে দিতে চাইছে। কিন্তু মন চাইলেও মস্তিষ্ক যেন ভিন্ন কথায় বলছে। ‘আহ্! শব্দে ফের মৃদু আর্তনাদ করে উঠলো মীতি। চিৎকার করে বলে উঠলো,
“আই হেইট ইউ রাতুল! আই হেইট ইউ! যতটা না ভালোবেসেছিলাম তার চেয়েও অধিক ঘৃণা করি তোমাকে।”

.
পারিবারিক ভাবেই রাতুল ও মীতির বিয়েটা হয়েছিলো। খুব একটা বড়সড় করে নয়, বেশ সাধারণ ভাবেই বিয়েটা হয়েছিলো। মীতির পরিবার উচ্চবিত্ত হলেও রাতুলের পরিবার ছিলো বেশ সাধারণ। ছোটখাটো চাকরি রাতুলের। মা ও অসুস্থ বাবাকে নিয়ে বেশ সাধারণ ভাবেই জীবন যাপন করতো। সিভিল ইন্জিনিয়ারিং শেষ করার পর প্রায় বছর দুয়েক ঘোরার পর একটা কোম্পানিতে চাকরি হয় তার। এই তো, মাস ছয়েক হবে হয়তো। তার মাঝেই বাড়িতে বিয়ের কথাবার্তা উঠে। এত তাড়াতাড়ি বিয়েটা করতে চায় নি রাতুল, কিন্তু অসুস্থ বাবা ও মামার অনুরোধই রাজি হতে হয়েছিলো।
রাতুলের মামার বন্ধুর মেয়ে মীতি। রাতুলের মামার দরুন রাতুলকে চিনেন মীতির বাবা। অসংখ্য গল্প শুনেছে রাতুলের। দু’একবার সাক্ষাৎও হয়েছে তাদের। যখনই শুনেছেন রাতুলের চাকরির ব্যাপারে, তৎক্ষনাৎ তার মামাকে বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েই ফেলেছেন মীতির বাবা। এমন সু-পাত্র কিছুতেই যেন হাতছাড়া করতে চান নি। মীতির বাবা মাহতাব শেখ রাজি হলেও ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন মীতির মা ফাহমিদা খানম। এমন ছেলে ও পরিবারে তিনি কিছুতেই ছেলের বিয়ে দিতে রাজি নন। কিন্তু মাহতাব শেখের সিদ্ধান্তে চোখ মুখ খিঁচে রাজি হতে বাধ্য হয়েছেন।
প্রথম দেখাতেই একে অপরকে পছন্দ করে ফেলে রাতুল ও মীতি, রাজি হয়ে যায় বিয়েতে। তাদের সেই দেখা হওয়াটাও ছিলো বেশ নাটকীয়। রাতুল সহ তার বাবা, মামা ও মামাতো ভাই এসেছিলো মীতিকে দেখতে। ছেলে-মেয়ে একে অপরকে পছন্দ করলে সেদিনই আংটি পরানোর কাজ সম্পন্ন করবে বলে বড়রা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো।

দুই তালার বেশ বড়সড় মীতিদের বাসা। দোতলার পুরোটা জুড়েই থাকতো তাদের পরিবার। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই রাতুলের ফোনে হঠাৎ কল আসে অফিস থেকে। সবাইকে ভেতরে যেতে বলে—এখনি আসছি! বলে সিঁড়িতেই দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলতে থাকে। এদিকে সবাই একসাথে ভেতরে আসতে দেখে রাতুলের মামাতো ভাইকেই রাতুল ভেবে ভুল ধারণা পোষণ করে মীতি ও তার দুই কাজিন। মীতিকে উদ্দেশ্য করে তার ফুপাতো বোন তুলি খানিকটা কপাল কুঁচকে বলে, “মামা শেষ-মেষ এই লোকটাকে তোমার জন্য পছন্দ করেছে মীতিপু? আমার তো ওনাকে দুলাভাই হিসেবেই মানতে ইচ্ছে করছে না, তুমি বর হিসেবে এই বুড়ো লোকটাকে মেনে নিবে কিভাবে?”

তৎক্ষনাৎ তার মাথায় টোকা পড়ে। ‘আহ্!’ শব্দ করে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে মাথা ঘুড়িয়ে নেয় তুলি। মে’রে’ছে তার বড় বোন তুবা। বলে উঠে, “তোর বয়স থেকে ওনাকে দেখছিস বলে বুড়ো মনে হচ্ছে, মীতির জন্য একদম ঠিক আছে। এত সুন্দর একটা ছেলেকে বুড়ো বলে সম্মোধন করছিস, লজ্জা লাগছে না?”

“নাহ্! লাগছে না লজ্জা। আমি তো….”

“যা সর এখান থেকে, দেখতেও হবে না তো। যার বর হবে সেই দেখে নিক। এই মীতি, ওর কথায় কান দিতে হবে না তোর।”

দুই বোনের কথায় হাসলো মীতি। পর্দার আড়াল থেকে আবারও দেখলো বাইরে দাঁড়িয়ে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া লম্বাচওড়া সুদর্শন পুরুষটিকে। মিথ্যে নয় তুবার কথা। বয়সের দিক থেকে তুলির কাছে বুড়ো মনে হলেও তার সাথে ঠিক আছে, শুধু মানিয়ে নিতে হবে। কিন্তু বিয়েতে রাজি হবে কি-না তা এখনি ঠিক করতে পারলো না। মনে মনে ভাবলো ছেলেটার সম্পর্কে কিছু তথ্য কালেক্ট করতে হবে তার। তার জন্য তুবা ও তুলির মাঝে কাউকেই কাজে লাগাতে হবে।
মীতির করা ভাবনার মাঝেই যেন উপায়টাও পেয়ে গেল। মেইন দরজার ফটকে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলতে দেখলো কাউকে। বেশ সাধারণ পোশাক-আশাক। পিছন ফিরে বেশ মনোযোগ সহকারে মোবাইলে কথা বলছে ছেলেটা। ছেলেটাকে দেখে ছেলে পক্ষ হতে আসা কাউকেই বলে মনে হলো মীতির কাছে। তুবা ও তুলিকে উদ্দেশ্য করে, “এসব কথা ছাড় এখন। ওই যে, ছেলেটাকে দেখছিস, ওকে আমার চাই।”

বলতেই একবার দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটার দিকে তো একবার মীতির পানে বড় বড় চোখ করে তাকালো তুলি ও তুবা। একসাথে সুর তুলে বলে উঠলো, “ওই ছেলেটাকে চাই, মানেএএ?”

“আরে, আরে…চাই মানে—কথা বলতে চাই। ওই ছেলেটার থেকেই জানতে পারবো ওই ব্যাটা সিভিল ইন্জিনিয়ার এর সম্পর্কে।”

মীতির কথায় হেঁসে উঠলো তুলি। বয়স কম তার, ফ্যান্টাসি বেশি৷ এই তো ষোলো সতেরো হবে হয়তো। আর তুবা, মাস চারেকের ছোট হবে মীতির। দু’জনের সম্পর্কও বন্ধু সমতুল্য। পড়াশোনা, চলাফেরা সেই ছোট থেকেই একসাথে। দু’জনে একসাথে তুলির দিকে তাকালো। মীতি বললো, “দাঁত কেলানো বন্ধ কর। আর যা, ছেলেটাকে কথায় কথায় এদিকে নিয়ে আয়।”

“আমিই?”

“হ্যাঁ! তুই। এখন যা, যা বললাম তাই কর।”

“আশ্চর্য! আমাকে টানছো কেন? তুবাপু কে বলো।”

“আমাকে কেন বলবে? তুই ছোট, ছোটদের কাজ করবি। এখন যা, মীতি যা বললো কর।”

প্রতিবাদ করে বলে উঠলো তুবা। বিরক্তির স্বরে বাঁধা দিতে লাগলো তুলি। মীতির হবু বর হিসেবে ছেলেটাকে পছন্দ হয় নি তুলির। প্রথমেই যেন তার মনটা টুকরো টুকরো হয়ে গেছে, মীতির বিয়ে নিয়ে সমস্ত প্ল্যান ভেস্তে গেছে। সেখানে মীতির হবু বরের সম্পর্কে জানার জন্য কিছুতেই সাহায্য করতে পারবে না সে। দু’বোন মিলে যখন তাকে ঠেলে পাঠাতে চাইলো, তখন বেশ বিরক্তিকর স্বরে, “আমি কেন? তোমার হবু বর সম্পর্কে জানতে তুমিই যাও না বাপু।”

বলেই মীতিকে ঠেলে পাঠালো সামনের দিকে। আচমকা এমন হওয়ায় তাল সামলাতে না পেরে অনেকটা এগিয়ে এলো মীতি। পড়নের শাড়িতে পা লেগে পড়তে পড়তেও সামলে নিলো নিজেকে। ছেলেটাও মোবাইলে কথা বলা শেষ করে সবেই ভেতরে এসে দাঁড়িয়েছে। তখনই সামনে দাঁড়িয়ে পড়লো মীতি। দু’জনেই মুখোমুখি। মুহুর্তেই চোখাচোখিও হয়ে গেল। পিছন ফিরে বোনদের দিকে একবার তাকালো, মীতি। নেই তারা, হয়তো রুমে ঢুকে গেছে। আশেপাশে নজর বুলিয়ে দেখে নিলো—কেউ আসছে কি না। সময় নষ্ট করলো না এবার। এগিয়ে এলো রাতুলের দিকে, চট করে হাত ধরে ফেললো। ফের টেনে নিয়ে যেতে লাগলো বাইরে।
এদিকে হতভম্ব রাতুল। পাত্রী দেখতে এসে হঠাৎ অপরিচিত মেয়ে হাত ধরায় হতভম্ব হওয়াটায় স্বাভাবিক। আচমকা এমন হওয়ায় বলার মতো কিছু খুঁজে পেল না যেন। তবুও বলতে লাগলো, “আরেএ…আরে, কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে? কে আপনি?”

উত্তর দেয় না মীতি। দরজার বাইরে সিঁড়ির কাছে এনে দাঁড় করায় রাতুলকে, ছেড়ে দেয় হাত। রাতুল ফের বলে উঠে, “আশ্চর্য! কে আপনি? এভাবে টেনে নিয়ে আসলেন কেন আমাকে।”

“তার আগে বলেন, ওই ছেলেটা আপনার কে হয়?”

“কোন ছেলে? কার কথা বলছেন আপনি?”

“কার কথা আবার বলছি? ওই যে ভেতরে যে ছেলেটা গেল, উনি। যার জন্য মেয়ে….”

“ওও! ও তো আমার ভাই।”

“তাহলে আমি আপনার ভাবী। এবার বলেন আপনার ভাই সম্পর্কে। ব্যাটা সিভিল ইন্জিনিয়ার কেমন, আমিও জানি তাকে।”

চকিতেই কপাল কুঁচকে ফেললো রাতুল। কি বলছে মেয়েটা? মাথা-টাতা ঠিক আছে তো? তার ভাবী মানে? সৈকত ভাই তো সেই বছর খানিক আগেই বিয়ে করেছে। বিয়ে না করলে হয়তো গার্লফ্রেন্ড ভাবতে পারতো। আর সিভিল ইন্জিনিয়ার বলে কি-ই বা বোঝাতে চাইলো? ভাবনার আনা এতগুলো প্রশ্নের উত্তরের আশায় বলে উঠলো, “মানে? কি বলছেন আপনি?”

“আরে ভাই, বুঝতে পারছেন না? যার জন্য পাত্রী দেখেতে এসেছেন, তার কথায় তো বলছি আমি। এই যে আমি, আমাকেই তো দেখে এসেছেন।”

“আপনি পাত্রী? মাহতাব আঙ্কেলের মেয়ে।”

খানিকটা অবাকের সুরেই জিজ্ঞেস করলো রাতুল। মাথা থাকালো মীতি, হ্যাঁ বললো। এবার যেন সবটা বুঝতে পারলো রাতুল, ঠোঁটে ফুটে উঠলো হাসি। মীতি বললো, “এবার বলেন ওনার সম্পর্কে। উম্… কি যেন নাম…”

“রাতুল মাহমুদ!”

“ওও হ্যাঁ! রাতুল। সে যাইহোক, নাম দিয়ে কাজ নেই আমার। আমার তো ওই ব্যাটাকে দিয়ে কাজ, ওই ইন্জিনিয়ারের গার্লফ্রেন্ড গুলো নিয়ে কাজ।”

হাসলো রাতুল, তবে বুঝতে দিলো না মীতিকে। জিজ্ঞেস করলো, “আর?”

“আর! কোথায় যায়, কি করে, কতগুলো গার্লফ্রেন্ড সামলায়? আপাতত এগুলো জানান।”

“উম্! এই ধরুন বাসা থেকে অফিস, অফিস শেষে পার্কে বা হোটেলে যায়, গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘোরাঘুরি করে হোটেলে ওই সব… হোটেলে কেন যায় বুঝতেই তো পারছেন। আর গার্লফ্রেন্ড? তা আছে মাত্র চারটা।”

কপাল কুঁচকে ফেললো মীতি। ছেলেটার কথা বিশ্বাস করতে চেয়েও বিশ্বাস যোগ্য হলো না। তার বাবা প্রায়শই রাতুলের কথা বাসায় বলতো, তাদের বিয়ের কথা বলার পর অধিক হয়ে উঠেছিলো রাতুলকে নিয়ে আলোচনা। বাবার কথায় কখনো এমন মনে হয় নি ছেলেটাকে। তার চেয়ে বড় কথা, বাবার প্রতি আস্থা আছে তার। তাই তো মাহতাব শেখ বলার সাথে সাথেই সে রাজি হয় বিয়েতে। মীতি বললো, “রাতুল না আপনার ভাই? ওনার সম্পর্কে এসব কথা কিভাবে বলছেন আপনি?”

এবার খানিকটা শব্দ করেই হাসে রাতুল। বলে, “ভাইয়ের সম্পর্কে বলতে না পারলেও নিজের সম্পর্কে বলতে তো দ্বিধা নেই।”

“মানে?”

“মানে, ওই যে বললেন না, পাত্রী দেখতে এসেছি? আমার জন্য। আপনার ভাষ্যমতে ব্যাটা সিভিল ইন্জিনিয়ার।”

চমকে উঠে মীতি, বড় বড় চোখ করে তাকায় রাতুলের পানে। বাঁধা বাঁধা স্বরে বলতে লাগে, “আ..আপনি….”

“রাতুল মাহমুদ! আপনার হবু বর।”

আর দাঁড়ায় নি মীতি, ছুটে চলে আসে ভেতরে। সেদিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে রাতুল। বিড়বিড়িয়ে বলে উঠে, “মায়মুনা শেখ মীতি! বিয়ে তো আমি তোমাকেই করছি।”

.
“রাতুল…”

কেউ নাম ধরে ডাকতেই ঘোর কাটে রাতুলের, বেড়িয়ে আসে নিজ ভাবনা থেকে। পিছন ফিরে তাকায়। ইশা দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখেই মুচকি হাসে। ইশাও মিষ্টি হাসি ফিরিয়ে দেয় তাকে। বলে উঠে, “কিহ্? বেশ হ্যাপি দেখছি। ব্যাপার কি?”

“তেমন কিছু না।”

“তেমন কিছু না—বললে তো আর মানছি না। কিছু তো একটা আছে।”

বলপই একটু থামলো ইশা। সেকেন্ডের মতো সময় নিয়ে বললো, “ওহ্ হোও! আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম। নিশ্চয়ই মীতির জন্য? কথা হয়েছে ওর সাথে।”

হাসলো রাতুল। হ্যাঁ! তার হ্যাপি হওয়ার কারণটা মীতিই। এই যে, মীতির সাথে দেখা হওয়া সেই প্রথম দিনের কথাটা ভাবনায় এলো, মুহুর্তেই হাসি ফুটে উঠলো তার ঠোঁটে।
রাতুল কিছু না বললেও বুঝে নিলো ইশা। ঠোঁটের যেন হাসিটা প্রসস্থ হলো। বলে উঠলো, “তো, ম্যাডামের সারপ্রাইজটা পেয়ে অনুভুতি কেমন?”

“দেওয়া হয় নি।”

বেশ স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই বলে উঠলো রাতুল। কপাল কুঁচকে ফেললো ইশা। বললো, “দেওয়া হয় নি মানে? মীতিকে সারপ্রাইজটা দাও নি তুমি?”

“উঁহু! সেই সুযোগটাই পাই নি।”

“আর আই লাভ ইউ?”

খানিকটা অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করলো ইশা। রাতুল আগের ভঙ্গিতেই মাথা ঝাঁকিয়ে না বললো। ব্যাপক বিরক্ত হলো ইশা। কিছুটা রাগ রাগ কণ্ঠে বলে উঠলো, ছি্ঃ রাতুল! তুমি কি পুরুষ মানুষ? বিয়ের দেড় বছর অতিক্রম হলো অথচ বউকে ‘ভালোবাসি’ বলতে পারলে না।”

ইশার বলা কথায় খানিকটা শব্দ করেই হাসলো রাতুল। সেই হাসিটা যেন ইশার রাগ খানিকটা বাড়িয়ে দিলো। ফের বলে উঠলো, “ অপদার্থ!”

.
.
চলবে….

[রি-চেকই দেওয়া হয় নি। শব্দের মাঝে অনেক ভুল থাকতে পারে। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে