‘মডেল মিফতা’পর্ব : ৭
গল্পবিলাসী – Nishe
কিছুক্ষণ নিরবের দিক তাকিয়ে থেকে
-‘ আমি আজও গ্রামের মেয়ে।
আপনার মেজো চাচ্চু পছন্দ করা
মেয়েই আছি বদলে যাইনি।
-‘আই ডোন্ট কেয়ার তাতে আমার
কিছু যায় আসে না। ‘ মৃদু হাসলো মিফতা
।
-‘আপনার কিছু যায় আসুক বা না আসুক
তাতে আমি কি করবো?’
-‘ শুধু ভালোবাসবা আর কিছু করা লাগবে
না তোমার।’
-‘ সেটা সম্ভব না ভালোবাসিনা
আপনাকে ‘
-‘ঘৃনা করো? চুপ করে রইলো
মিফতা।এইমূহুর্তে তার কেমন রিয়েক্ট
করা দরকার সেটাই ভেবে পাচ্ছেনা
সে। সে কি খুশি হবে নিরব তাকে
মেনে নিয়েছে এই ভেবে নাকি দু
বছর দুরে থাকার জন্য তাকে ফিরিয়ে
দিবে। মিফতার কোনো রিয়েক্ট না
পেয়ে হালকা হেসে দুহাতে মিফতার
গাল আলতো ভাবে স্পর্শ করে
নিরব। চোখ তুলে মিফতা তাকিয়ে
আছে নিরবের চোখে
-‘তোমার চোখে ঘৃনা না জমে
আছে হাজারো অভিমান। অভিমানটা
এতোটাই জমে গেছে সেখানে
পর্বতমালা হয়ে গেছে মিফতা। যেটা
আমি স্পষ্ট তোমার চোখে
দেখতে পাচ্ছি। ইউ নো? রাগ অভিমান
করা স্ত্রীদের অধিকার আর সেই রাগ
ভাঙানো স্বামীদের দায়িত্ব। ‘ সত্যিই
কি আমি নিরবকে ঘৃনা করি? নিরব
আবারো বলতে শুরু করলো
-‘ তুমি রাগ করতে করতে ট্রায়াড
হলেও আমি রাগ ভাঙাতে ট্রায়াড হবোনা
ট্রাস্ট মি। ‘ বলেই কোলে তুলে
নিলো ওয়াশরুমের দরজার কাছে
নামিয়ে দিয়ে কপালে চুমু খেয়ে
‘ ফ্রেশ হয়ে নাও।’
লংটাইম জার্নি করে বাসায় ঢুকতেই বাবা
মায়ের মুখোমুখি হয় ফাহিমা। গভীর
ভাবে কিছু ভেবে চলছে দুজন।
কোনো সিরিয়াস কিছুতো নিশ্চয়ই
সে যে মেইনডোর থেকে
ড্রইংরুম পর্যন্ত চলে এসেছে বিন্দু
মাত্র টের পায়নি কেউ। কাধেঁর ব্যাগটা
সোফায় ঢিল মেরে বাবাকে জড়িয়ে
ধরতেই চমকে উঠলো জনাব
রেহমান।
– ‘তুমি? কখন এলে? ‘ রেহমান
সাহেবের কথা শুনেই পাশ ফিরে
তাকাতেই মেয়ের চোখাচোখি
হলেন রাবেয়া বেগম।
-‘ এইতো মাত্রই এলাম। কি ভাবছিলে
বলোতো এতো গভীর ভাবে?
যে আমাকেই দেখতে পেলেনা? ‘
-‘ হুম বলবো তো। বৌমা এলোনা? ‘
-‘ আরে আর বলোনা বাবা হঠাৎ করেই
কলেজ ফ্রেন্ডস সবাই গেট টুগেদার
করবে বলে প্ল্যান করলো তাই
চলে এলাম আর তোমার বৌমা পড়ছে।
ভাইয়ের কথানুযায়ী পুরো ব্যাপারটাই
হাইড করে গেলো ফাহিমা কিছুতেই
বুঝতে দেয়া যাবেনা।
-‘তুই ফ্রেশ হয়ে আয় আমি তোর
খাবার রেডি করছি। ‘
-‘না মা আমি খেয়ে এসেছি তুমিতো
জানোই অনিক কেমন কিছুতেই
খেতে চাইছিলাম না জোড় করে
খাইয়ে বলতেই হুশ হলো সে
মায়ের সাথে কথা বলছে। ফাহিমার
দিকে তাকিয়েই ফিক করে হেসে
উঠলো দুজন
লজ্জা পেয়ে দৌড়েঁ রুমে চলে
এলো ফাহিমা। ফ্রেশ হয়ে এসেই
ভাইকে কল দিলো
-‘ আপটেড বল ‘
-‘ফ্রেশ হচ্ছে কিছুক্ষন পর খাবো
দেন ঘুমাবো। ‘
-‘ ভাই আর ইউ সিরিয়াস? তুই খাওয়া দাওয়ার
প্ল্যান করতে গেছিস ওইখানে? ‘
-আচ্ছা পরে কথা বলছি ড্রেস চেঞ্জ
করবো। ‘
-‘ যা ভাগ। ‘
ডায়নিং স্পেস এ আসতেই মায়ের
মুখোমুখি হতেই মাথা নিচু করে
নিলো ফাহিমা।
-‘ওরে আমার লজ্জাবতী মেয়ে।
সুখী হো দুজন এতেই খুশি আমরা।
তোর পরীক্ষার পরই অনিকের
ফেমিলিতে কথা বলে সম্পর্কের
নামটা দিয়ে দিবো। কেমন হবে বল?
‘
-‘ মা তুমিওনা ধুর ‘বলেই হাসতে
লাগলো ফাহিমা।
-‘হইছে আর লজ্জা পাইতে হবেনা বি
নরমাল। ‘
-‘রিবু বললেনা তো ডিসিশন টা কেমন
হলো? ‘
-‘বুঝতে পারছিনা কি বলবো ছেলেটা
বাহিরের দেশের তাছাড়া মানিয়ে
নেয়ার ওতো একটা ব্যাপার আছে। ‘
-‘মা! কার বিয়ের কথা বলছো
তোমরা? ‘
-‘ ভাবছি মিফতাকে অন্য কোথাও বিয়ে
দিবো এভাবে তো আর পুরো
জীবন কাটিয়ে দিবেনা মেয়েটা।
মেয়েটারও একটা লাইফ আছে।
ছেলেটাও আমার পরিচিতো। তাই
ভাবছিলাম মিফতাকে বলে এবার এই
দায়িত্বটা শেষ করে নিবো।’
-‘বাবা আর ইউ সিরিয়াস? ‘
-‘ হ্যা। কেনো? ‘
-‘ভাইয়া? ভাইয়ার কি হবে? তাছাড়া ভাইয়া কি
ডিভোর্স দিবে ভাবিকে? ‘
-‘দিবে নাইবা কেনো? সেতো
চায়না মিফতাকে নিয়ে সংসার করতে
তাহলে প্রবলেম টা কোথায়? ‘
-‘ আমি বলছি যে নিরবের সাথে একবার
কথা বলে নিলে ভালো হতো না? ‘
-‘আর কি বলবে সে? দুইটা বছর
কেটে গেছে রিবু। ভেবে
দেখেছো কখনো? অন্য হাইফাই
লেভেলের মেয়ে হলে তিনমাস
পরেই ডিভোর্স লেটার হাতে
ধরিয়ে দিয়ে চলে যেতো। ‘
-‘ আমি বুঝতে পারছিনা হঠাৎ এইটা নিয়েই
কেনো ভাবছো তোমরা। সামনে
আমাদের এক্সাম প্লিজ এইসব বলে
ভাবির মনটা খারাপ করে দিয়োনা।
এমনিতেই একজায়গা ছেড়ে আরেক
জায়গায় এসে মানিয়ে নিতে হিমশিম
খেয়ে যাচ্ছিলো বেচারী। তাছাড়া
ওই ফেমিলির লোকও যে আমাদের
মতোই হবে কিভাবে বুঝবে তুমি?
আজাইরা প্যাচাল যত্তসব বলেই খাবার
টেবিল ছেড়ে উঠে গেলো।
মিফতাকে ওয়াশরুমে পাঠিয়ে নিজেও
ড্রেস চেঞ্জ করে নিলো।
ড্রেসটার দিকে একমনে তাকিয়ে
আছে মিফতা কালো একটা শাড়ির জমিনটা
খয়েরি টাইপ সাথে প্রয়োজনীয়
সবকিছুই দেয়া আছে। শাড়িটা পরেই
বের হয়ে এলো বাড়িতে কথা বলা
দরকার।ইফতিটাতো আজকাল কথা বলাই
ছেড়ে দিয়েছে মডেল হওয়ার পর
থেকে একদিনও কথা বলেনি। সে
মোটেও পছন্দ করেনি মিফতার
চিত্রজগত আসাটা। তাছাড়া ফাহিমই বা
আমাকে না জানিয়ে কিভাবে এইসবে
হেল্প করলো নিরব কে একটা বার
মতামত নেয়ার প্রয়োজনবোধ
করলোনা। লেপটপটা অন করতেই
ফাহিমা ভিডিও কল দিলো
-‘শুন ভাইয়া আমি কিন্তু আর ওয়েট
করতে পারছিনা কবে তোদের হ্যাপি
কাপল হিসেবে দেখবো। হালকা
হেসে
-‘ আর বেশিদূর নয় মাই সিস্টার। ‘ ওয়াও
বলেই হাসি মুখটা পুরো ফাটা বেলুনের
মতো চুপসে গেলো আবার
‘ কি হলো? ‘
তার মধ্যেই মিফতা বেড়িয়ে এলো।
ওয়াশরুম থেকে বের হতেই কেউ
কলিং বাজালো মিফতা এগিয়ে যেতে
নিলে
-‘ তুমি বসো আমি দেখছি। মিফতা
খাটে বসে লেপটপের স্ক্রিনে
তাকিয়ে দেখে ফাহিম মিফতাকে
দেখে হাত দিয়ে ইশারায়
-‘ হাই সুইটহহার্ট! ইউ লুকিং সো প্রিটি।
কেমন এঞ্জয় করছো হানিমুন? ‘
মিফতা রাগী মুড নিয়া স্ক্রিনে তাকিয়ে
-‘তোরে আমি একবার পাই দেখ
তোর অবস্থা কি করি।’
-‘ আহারে আমার ভাইয়া বুঝি এখনো
আদর করেনি কোনো ব্যাপার না
আমার ভাই কিন্তু রোমান্সের কিং বুঝলা
একবার যখন শুরু করবে তখন কিন্তু
বলেই মুখ টিপে হাসতে লাগলো
ফাহিম ।
-‘ কেমনে পারলি তুই ডিব্বানি! ‘
-‘ হো হো একদম ডিব্বা বলবিনা
তোর থেকে শুনে অনিকও
আমারে এইনামে ডাকে ‘
-‘ বেশ হয়েছে ‘
-‘ এঞ্জয় গাইস আমার দিনটা যে কবে
আসবো ‘
-‘ লজ্জা করেনা তোর? ‘
-‘ লজ্জা কেনো করবে?এই
বলোনা ভাইয়া কি করলো?মুচকি
হেসে
– ‘স্টুপিড যা ভাগ ‘
-‘এই জন্যই কারো ভালো করতে
নাই তুই স্টুপিড।’ তারমধ্যেই ওদের
খাবার চলে এলো। কিছুক্ষন আগেই
নিরব খাবার অর্ডার করেছিলো এখন
নিচে যাওয়ার ইচ্ছে তার নিজেরও নাই
তাই অর্ডার করে ছিলো।
মিফতার পাশে বসে জড়িয়ে ধরে
-‘ ফাহিম! কেমন লাগছে আমাদের? ‘
-‘ বেস্ট কাপল ব্রো। দুইটা বছর
হারাইলি শুধু নিজের ভূলের জন্য। ‘
-‘ আই নো।’ দুইটা বছর কথাটা শুনে
হঠাৎ কেমন যেনো বুকের ভিতর
একটা চাপা কষ্ট অনুভব হলো মিফতার।
মিফতা ছাড়াতে গেলে নিরব আরো
জোড়ে চেপে ধরে আছে আর
তা দেখে ফাহিম হাসছে।
-‘ তুই বাসায় মেনেজ করে নিস ‘
-‘ ওকে গাইস আম সো ট্রায়াড বাই ‘
-‘ওকে বাই ‘
-‘ কি হলো এমন করছো কেনো?
‘
-‘ ছাড়ুন আমাকে এইসব আমার
মোটেও ভালো লাগেনা ঘুমাবো
আমি। ‘
-‘হোহ! চলো খাবে দেন রেস্ট
নিয়ে বের হবো আমরা। ‘
-‘ আমার খিদে নেই আপনি খেয়ে
নিন। ‘
-‘তাতো আমি শুনছি না’ নীরব নিজ
হাতে মুখে তুলে দিতে চাইলে
মিফতা মুখ ফিরিয়ে নেয়। হালকা হেসে
উঠলো নিরব। কয়েকবার ফিরিয়ে
দিলেই খুব জোর করে মুখ চেপে
মুখে তুলে দেয় কিছুটা জোড়
করেই মিফতাকে খাইয়ে দিয়ে
নিজেও কিছুটা খেয়ে নেয়। হাত ধুরে
এসে দেখে মিফতা চোখ বন্ধ
করে শুয়ে আছে। অনেক জার্নি
করে এসে দুজনেই ট্রায়াড কিছুটা
রেস্ট নেয়া প্রয়োজন ভেবে
নিরবও মিফতার পাশে শুয়ে পরলো।
কিছুক্ষনের মধ্যেই ঘুমের দেশে
পাড়ি জমালো দুজন।
-‘ মিফতা কল দেয়নাই? ‘
-‘ না বাবা! আপু তিনদিন কল দেয়নি দেখি
আমি একটু পরে দিবো।আপুর তো
সামনে এক্সাম তাই হয়তো ব্যস্ত। ‘
-‘ ইফতি কহন আইবো? ‘
-‘ বিকালে প্রাইভেট শেষ কইরাই
আসবো। ‘
-‘মিফতাটারে নিয়া বহুত চিন্তা হইতাছে।
কেন জানি মনে অয় কিছু লুকাইতাছে
আমরার থেইকা। আমার তো জামাইরে
সন্দেহ হইতাছে।
মোহনারে বিয়া দেওনের আগে
পোলার লগে কথা কইয়া নেওন
লাগবো। কত আশা আছিলো দুই মাইয়া
দিয়া দুই জামাই নিয়া বড় পোলার অভাব
পুরন করমু। জামাই তো একটা খবর ও
নেয়না। পাশ থেকে মিফতার মা শুনে
চোখের পানি ফেলছেন তার
মেয়ের মুখটা দেখেই সে বুঝতে
পারে কেমন আছে মেয়ে। বাবার
কথাগুলো চুপচাপ শুনছিলো মোহনা।
চোখভরে পানি চলে এলো
বোনটা যে অর্থের প্রাচুর্যে
থাকলেও ভালোবাসাটাই পেলোনা।
স্বামী মানুষটাকেই ভালোভাবে
দেখতে পেলোনা। সেদিন মিফতার
মোবাইল দিয়ে ইফতির সাথে কথা
বলে গেলারি অপেন করতে গিয়ে
হঠাৎ নোটপ্যাড এ ক্লিক পরে যায়
সেখান থেকে এতোদিন বোনের
সুখে থাকার অভিনয়টা বুঝতে পারলো।
যেখানে স্বামী নামক মানুষটাই
একবারের জন্য তাকে দেখতে
এলোনা তার খবর নিলোনা আর
সেখানে আমরা।চোখের সামনে
ভেসে এলো বোনের বুনে থাকা
স্বপ্ন গুলো। কতকিছু ভাবতো এই
স্বামী নামক মানুষটারে নিয়ে। কতো
স্বপ্ন কিভাবে সংসার সাজাবে কেমন
করে প্রতিটা ভোর কাটাবে সবকিছু।
সবকিছুইতো অন্ধকারে হারিয়ে
গেলো মিফতার। কখনো কাউকে
বুঝতে দেয়নি শুধু চিন্তা হবে বলে।
কতো নিখুঁত ভাবে প্রতিটা মিথ্যা করে
বলে যেতো আমাদের কাছে। যে
মেয়েটা কিছুদিন আগেও মোহনা
মিথ্যা বললে আমার সাথে কথা বলবিনা
আল্লাহ কষ্ট পায় এমন হাজারো কথা
শুনিয়ে দিতো আজ সেই মেয়েটাই
হাজারো মিথ্যা বলে যাচ্ছে। আহারে
সময়! ভেবেই খুব জোড়ে একটা
নিঃশ্বাস ফেললো মোহনা।
‘মিফতার মোবাইল থেকে মোহনার
নাম্বারটা নিয়ে কল দেবে কিনা ভাবতে
লাগলো নিরব। কিছুক্ষন আগেই ঘুমটা
ভেঙে গেছে মোবাইলের
মেসেজটোন শুনে। নিরবের ঘুমটা
এমনিতেও খুব হালকা। ছোট একটা
শব্দেও সে জেগে যায়। পাশ
ফিরতেই মিফতার ঘুমন্ত মুখটার উপর
চোখ আটকে গেলো কপালে
চুলগুলো ছড়িয়ে
পরে আছে। হাত বারিয়ে
চুলগুলোকে সরিয়ে দিয়ে বুকে
টেনে নিয়ে মোবাইলটা হাতে
নিলো। কিন্তু হাতের মোবাইলটা
ছিলো মিফতার। লক বাটনটা চেপে
ধরতেই স্ক্রিনে একটা মায়াবি হাসিময়ী
মিফতার ছবি ভেসে উঠলো।
কোনো লক দেয়া নেই যাস্ট
সোয়াইপ লক। গেলারি অপেন
করতেই নিরবকে অবাক করে দিয়ে
তার নিজের কিছু ছবি ভেসে এলো
স্ক্রিনে। নিরবের মুখে তৃপ্তিময় একটা
হাসি ফুটে উঠলো নিজেকে আজ খুব
সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। ফোল্ডারটার
দিকে চোখ পরতেই মুখের হাসিটা
যেনো আরো বিস্তার লাভ করলো
নিরবের, ‘ মাই হ্যান্ডসাম ‘ সবগুলা ছবিই
পুরোনো। তারপর বেশ কিছু সময়
নিয়ে মিফতার ছবিগুলো দেখতে
লাগলো। তখনি নিরবের মোবাইলটা
বেজে উঠলো। স্ক্রিনে ভাসছে
ফাহিমার একটি ছবি।
-‘ হোয়াটস আপ ব্রো? ‘
-‘ ফাইন ‘
-‘ কি করছিলি? ‘
-‘ মিফতার মোবাইল দেখছিলাম। ‘
-‘ শোন তখন বলতে গিয়েও
বলতে পারিনি মিফতা চলে আসাতে ‘
-‘ এনিথিং রং? ‘
-‘ হুম। বাবা মা মিফতার জন্য ছেলে
দেখছে। ‘
-‘ হোয়াট? ওর বিয়ে হয়েছে আবার
ছেলে দেখছে মানে কি? ‘
-‘ তুমি যে সাদরে গ্রহন করছিলা তাই ‘
-‘ এখন তো করেছি মেনে
নিয়েছি। ‘
-‘ সেটাতো বাবা মা জানেনা। আই থিংক
বাবা সব পেপার রেডি করে
ফেলেছে ভাবি বাসায় এলেই সাইন
নিয়ে তোর কাছে পাঠিয়ে দিবে। ‘
-‘ মামার বাড়ির আবদার পাইছে নাকি ইচ্ছে
হলেই বিয়ে করিয়ে দিবে আবার
ইচ্ছে হলে ডিভোর্স করাবে
ভেবেছেটা কি ওরা? ‘
-‘ রিলেক্স ব্রো! এতো রিয়েক্ট
করার কি আছে। এখন তুই মিফতার মন
থেকে সব কষ্ট দুর করে
ভালোবেসে কিছু কর দেখবি সে
নিজেই চাইবেনা। তাছাড়া ভাবির বাড়িতে
তোর একবার যাওয়া দরকার ছিলো।
আমার তো মনেহয় এই
ডিভোর্সের কথাটা আঙ্কেল ই
বলেছে। হয়তো কিছু বুঝতে
পারছে ওনি। ‘
-‘ ওকে আমি কথা বলবো ওনাদের
সাথে আর বিডিতে ব্যাক করেই
মিফতাকে নিয়ে ওদের বাড়ি যাবো। ‘
-‘ওকে আর কষ্ট দিসনা মেয়েটাকে
খুব লক্ষ্মী একটা মেয়ে । কখনো
মুখ ফুটে কিছু চাইনা তার যা আছে
তাতেই হ্যাপি। কিছুদিন একসাথে থাকলে
তুইও বুঝতে পারবি। ওকে
টেইককেয়ার আর যা বলছি মনে থাকে
যেনো বাই। ‘
-‘ ওকে বাই। ‘ ফাহিমার সাথে কথা
বলেই মিফতার মোবাইল থেকে
মোহনার নাম্বারটা নিয়ে ভেবে
চলছে কি বলবে ওরা? কেমন
রিয়েক্ট করবে? কল দেয়াটা ক ঠিক
হবে? এইসব ভাবতে ভাবতে সময়টা
দেখে নিলো সন্ধ্যা ছয়টা বেজে
ত্রিশ মিনিট, বাংলাদেশে এখন সাতটা।
হাজারো সংকোচের ভিতরেও কল
দিলো নিরব।
চলবে,,,,,,,,,
কেমন রিয়েক্ট হবে বলে মনেহয়
পাঠকবাসী????
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ??? https://www.facebook.com/nishe.ratri.9809