“মডেল মিফতা”পর্ব : ৩
গল্পবিলাসী – Nishe
।
-“নিয়ে আসো মোবাইলটা ”
-” আরে আমি ধরতাছি কোনো কথা কয়না ”
-” নিশ্চয়ই আগের বারের মতো কেটে দিছো।” শেফালির হাত থেকে মোবাইলটা নিয়ে দেখি মা কল দিয়েছিলো তাই বারান্দায় এসে কল ব্যাক করলাম
-“হ্যা মা! কেমন আছো? ”
-“আছি ভালোই। তুই কেমন আছোস? ”
-” মা তুমিতো জানো আমি সবসময় ভালো থাকি। কেনো শুধু শুধু টেনশন করো বলোতো? আচ্ছা বাদ দাও বাবা, মোহনা, ইফতি কেমন আছে?
-” আছে তারা ভালোই আছে। জামাই আইছিলো নি? ”
-” নাহ মা। আসলে তোমার জামাইর সাথে আমার একটু আগেও কথা হয়েছে। বললো, কিছুদিনের মধ্যেই আসবে অফিসে অনেক কাজের চাপ তাই আসতে পারেনা। ”
-” আইচ্ছা তুই জামাই রে নিয়া তাইলে বেড়াইযা যাইস। ”
-” আচ্ছা রাখছি তাহলে ভালোথেকো। আল্লাহ হাফেজ। ”
-” আইচ্ছা আল্লাহ হাফেজ ” কলটা কেটে দিয়ে বারান্দার গ্রীল ধরে দাঁড়িয়ে আছি। চোখগুলো কেমন ঝাপসা হয়ে আসছে।প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলতে হচ্ছে মাকে। যেখানে স্বামী নামের মানুষটার কোনো অস্তিত্বই নেই তার জীবনে। সেতো দূরে খুব দূরে। আমারতো কোনো দোষ ছিলোনা কি করেছি আমি? কেনো এতো কষ্ট পেতে হচ্ছে আমাকে? আমি কি এতোটাই খারাপ সেতো আমার খবর ও নেয়না। আমিযে তার মনের রাজ্যের অধিকারী হতে পারিনি মা কি করে বুঝাই তোমাকে?
নিশ্চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নিরব। তার পাশের রুমটাই ফাহিমার। তাদের দুজনের বারান্দার মাঝখানে একটা দেয়াল। যদিও এক বারান্দা থেকে অন্য বারান্দাটায় ঠিক কিছুই দেখা যায়না কিন্তু কথাগুলো ঠিক শুনা যায়। কিছুক্ষন আগে মোবাইলের এই প্রান্ত থেকে মিফতার বলা মিথ্যাগুলোও শুনছে।এখন যেই কথাগুলো ও অস্পষ্ট ভাবে বলে কেঁদে যাচ্ছে তাও শুনতে পাচ্ছে। মিফতার বলাপ্রতিটা কথা তার বুকে গিয়ে বিঁধছে।বারবার একটা কথাই মনে দোল খেয়ে যাচ্ছে মেয়েটা নির্দোষ ছিলো।
-” বৌমনি? বৌমনি? ”
-” ( তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছে )হ্যা বলো ”
-” খালাম্মা না কইছিলো ছোটভাইয়ের রুমে আপনার সব কিছু নিয়া যাইতে? না নিলে কিন্তু বড় ভাইজানের বউ সন্দেহ করবো আফনারে। আর খালাম্মা ও রাগ হইবো ”
-“আচ্ছা চলো তোমার ছোট ভাইজানের রুমটা আগে পরিষ্কার করে নেই। ”
-” হ, চলেন ”
-“আচ্ছা তখন তুমি বলছিলে ভাবি সন্দেহ করবে । কেনো ভাবি আবার আমাকে সন্দেহ করবে কেনো? ”
-” আরে তুমিতো জানোনা যেই ইনজিরি কয় আমিতো কিছুই বুঝিনা ” -” ইনজিরি? ”
-“আরে তুমি ইনজিরি বুজোনা ওই আর কি (একটা কেলেন্ডার দেখিয়ে)
এই লেহাডির মতো কথা ” উচ্চস্বরে হেসে উঠলো মিফতা হাসতে হাসতে খাটে বসে গেলো
-“হোয়াট এ নাইস জোক ইনজিরি” বলে আবারো হাসতে লাগলো। নিরব বারান্দা থেকে কিছুটা আড়াল হয়ে তাকিয়ে দেখছে মিফতা কে। ডানপাশে সিঁথিপাটি করে সামনে কাধ পর্যন্ত কিছু চুল কাটা যেগুলো ছড়িয়ে আছে কাধে। আর পিছনের গুলো কাঠি দিয়ে বাধা তাও আবার কেমন করে যেনো। কোমড়ে আচল গুঁজে হাতে একটা ঝাড়ু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । হঠাৎই শেফালির চোখে পরলে ইশারায় চুপ থাকতে বলে শেফালিও আর কিছু বলেনা শুধু হালকা হাসে ।
-” কি দরকার ছিলো এইসবের? আমরা তো দুইদিন পরেই চলে যাবো। কখন না জানি মা এইটা বলে এই রুমে তোকে একা থাকতে হবে, তখন কি হবে? আমিতো একলা থাকতেও পারবোনা এই রুমে মরেই যাবো। ”
-” একলা কেন? বলতে গিয়েই আবার থেমে যায় শেফালি। আইচ্ছা আমি খালাম্মারে কমু যেনো এইটা না করে। ” -” আচ্ছা শোনো তোমার ভাইজান তো বাসায় থাকেনা তাই বরং একটা কাজ করি কি বলো? ”
-“কি কাজ? ”
-“এই রুমটা লক করে রেখে দেই আর ভাবি কিছু বললে বলেদিবো ওনিতো ঢাকা থাকে আর আমার একা থাকতে ভয় লাগে তাই ফাহিমার সাথেই থাকি। ভালো হবেনা? ”
-” আরে নাহ ওই ইনজিরি ভাবি আইসা ঠিকই দেখবো। যেমনে হেই হেই করে ইনজিরি বলে তুমি দেইখো”
-” আচ্ছা তুমি আমাকে একটা টাওয়েল দাও আমি আগে ফ্লাওয়ার ভাস, ওয়ালমেট এইগুলো মুছে নেই অনেক বালু জমে আছে। ”
-” আমি নিয়াই দাঁড়ান আফনে। ” বলেই দৌড়েঁ বের হয়ে গেলো। মিফতা রুমের চারোদিক থেকে ফ্লাওয়ার ভাস,
ওয়ালমেট এইগুলো একে একে এনে ফ্লোরে রাখতে শুরু করলো। হঠাৎ ওয়্যারড্রপের উপর নিরবের দুইটা ছবি দেখতে পায় মিফতা।সেগুলোতেও অনেক ধুলো জমে আছে। ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো ছবিগুলোর দিকে।
একটা ছবি হাতে নিয়ে একমনে তাকিয়ে আছে ছবিটার দিকে। ছবিতে নিরব ছিলো একদম ফর্মাল ড্রেসাপ। কি সুন্দর লাগছিলো দেখতে। কখন চোখগুলো ঝাপসা হয়ে এলো নিজেও বুঝতে পারলোনা আনমনেই বলতে লাগলো
-” কি দোষ ছিলো আমার? কেনো এমনটা করলেন আমার সাথে আপনি? একটা বারও কি মনে হয়না আমাকে? যাকে তিন কবুল করে এনেই চলে গেলেন একবার ও কি জানতে ইচ্ছে হয়না কেমন আছে সে? দেখতে ইচ্ছে হয়না?হয়তো ভূলেই গেছেন দিয়ে আমার কথা। সব মেয়েরাইতো তার স্বামীকে ভরশা করে সবাইকে ছেড়ে চলে আসে তার কাছে। আর আমি? আমি কি পেলাম? বাবা, মা, ফাহিমা আর টাকাপয়সা এইগুলো? এইগুলো ছাড়াওতো বেশ ছিলাম একবেলা খেয়ে যখন তিনবেলা না খেয়ে থেকেছি তখন তো কখনো বুকে চাপা কষ্ট ছিলোনা। এমন জীবনতো কখনো চাইনি আমি। আমার সাথেই কেনো এমন হলো?
বলেই একটা বড় নিঃশ্বাস নিলো মিফতা। মিফতার কথা গুলো শুনে কেনো জানি নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো মিফতার এই অবস্থার জন্য শুধু সেই দায়ী। সে চাইলেই অন্যরকম হতে পারতো মেয়েটার জীবনটা। চোখটা ফিরিয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছি।
কিছু একটা পরে যাওয়ার শব্দটা শুনেই মিফতার দিকে তাকিয়ে দেখে ফ্লোরে বসে আছে। ছবিটাতে হাত বুলিয়ে দিতে দিতেই এগিয়ে আসছিলো মিফতা।ফ্লোরে জমিয়ে রাখা ফ্লাওয়ার ভাস আর ছবিগুলোর কাছে কখন যে আনমনে কাপড়ে পা আটকে যায় দেখতেও পায়নি মিফতা। ভয়ে কেঁপে উঠলো মিফতা। সবগুলো ওয়ালমেট ভেঙে গেছে ঢুকরে কেঁদে উঠলো মিফতা। হঠাৎ করেই হাতে চাপ অনুভব হলেই ব্যাথায় ককিয়ে উঠে মিফতা ” আহহ্ ” পাশে তাকাতেই শক! নিরব!!! আরো বেশি ভয় পেয়ে যায় মিফতা।
-“আমমমি ইইচ্চছা কক্করে ” মিফতাকে অবাক করে দিয়ে নিরব তাকে কোলে উঠিয়ে খাটে এনে বসিয়ে দিয়ে ফাস্ট এইড বক্স এনে বেন্ডেজ করে দিতে লাগলো। তার মধ্যেই নিরবের মোবাইলটা বেজে উঠলো
-” হ্যা আমি আসছি । নাহ তুমি ফ্লাইট রেডি করো আমি এক্ষনি বের হচ্ছি। ” মোবাইলটা রেখেই মিফতার দিকে তাকিয়ে আছে এতো আর্জেন্ট একটা কাজ পরে যাবে ভাবতেও পারেনি নিরব। সব ঠিক করবে বলেই এসেছিলো কিন্তু এই টার্গেটটা যে তার সবচেয়ে বড় টার্গেট ছিলো। আজকে যদি মিটিংয়ে জয়েন না করতে পারে এতোদিন ধরে যা ইনভেস্টমেন্ট করেছে সবই বিফলে যাবে। কিন্তু মিফতাকে এভাবে ফেলে যাওয়াটা কি ঠিক হবে? অনেক পেইন হবে এইগুলো। ভিতরে কাচ ঢুকে আছে কিনা কে জানে যদি থাকে তাহলে তো ইনফেকশন হবে। মিফতাকে কোলে উঠিয়ে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে নিজেই ড্রাইভ করে হসপিটালে চলে আসে। হসপিটালে আসার পরই মিফতা প্রায় ছুটেই পালিয়ে যাচ্ছিলো। বারবার নিরবের কোল থেকে নামার চেষ্টা করছে
-“কি হচ্ছে এইসব? ”
-“হহহসপিপটালে কেককেনো? ”
-” কি হাল হয়েছে ভূলে গেছো? ” মিফতাকে আর কিছু বলার সু্যোগ না দিয়ে সোজা রোহানের কেভিনে চলে এলাম।
-“আরে নিরব তুই? আর এইটা কে ? ” -” এইটা? ” বলেই হেসে দিলো যা বুঝার রোহান নিজেই বুঝে নিলো।
-” তা ইনজুরড হলো কিভাবে? ”
-” আচ্ছা হিস্ট্রি পরে বলবো ভাই আগে ট্রিটমেন্ট স্টার্ট করো আমাকে বের হতে হবে।
-” যখনি সার্জারি ইন্সট্রুমেন্ট গুলোতে চোখ পরলো মিফতা নিরবের দিকে তাকালো তাকে এখন এগুলো দিয়ে ট্রিটমেন্ট করবে ভেবেই গলা শুকিয়ে আসছে। রোহান নার্সকে ডাকতে বাহিরে গেলেই
-” আমি বাড়ি যাবো আমি বাড়ি যাবো আমি আমি বাড়ি যাবো ” বলেই কান্না করতে লাগলো মিফতা। অবাক হয়ে গেলো নিরব।
-” কি হয়েছে? এভাবে বাচ্চাদের মতো কান্না করছো কেনো?”
-” আমার কিছু হয়নি আমি বাড়ি যাবো “বলেই কান্না করতে লাগলো মিফতা। ততোক্ষনে রোহান চলে এসেছে মিফতার অবস্থা দেখে
-“কি ব্যাপার ভাবি? দেখি হাতটা দেখি। ” বলে কিছু গজ হাতে নিতেই মিফতা দূরে সরে গেলো।
-” আপনি মেডিসিন লিখে দিন আমি সব খাবো এই এই (সার্জারি ইন্সট্রুমেন্ট গুলো দেখিয়ে) গুলো নিয়ে যান।”
-” ব্যাথা লাগবেনা দেখি একটু “বলেই এগিয়ে এলো রোহান। নিরবকে চোখের ইশারায় কিছু বুঝিয়ে দিলে নিরব এগিয়ে গিয়ে একহাতে মিফতাকে জড়িয়ে ধরে আরেহ হাতে মিফতার হাত চেপে ধরে
-” আহহ্ লাগছে আমার “বলেই কাঁদতে লাগলো। নিরব এতোটাই চেপে ধরেছে মিফতা বিন্দু পরিমাণ হাত নাড়াতে পারছেনা। একটা কাচের টুকরো খুব ভিতরে ঢুকে গেছে সেটা বের করে আনতেই মিফতা চিৎকার দিয়ে সেন্সলেস হয়ে যায়। তাতে রোহানের আরো সুবিধা হয়। খুব দ্রুত সে নিজের কাজ শেষ করে নেয়।
-” ডান। ”
-“থ্যাংকস ভাই। ”
-” ইটস মাই ডিউটি ব্রো। আজকাল তো দেখাই যায়না বিয়ে করেছিস বলে? ”
-” আরে না তা নয়। নতুন বিজন্যাস নিয়ে অনেকটা বিজি। ”
-” তা বিয়ে করলি কবে শুনলাম নাতো ”
-” দুই বছর হয়ে গেছে।ভাই সে অনেক কাহিনী পরে বলবো। এখন ওকে নিয়ে যেতে পারবো? ”
-” হুম। বাট বি কেয়ারফুল। অনেক ইনজুরড হয়েছে আমি কিছু মেডিসিন লিখে দিচ্ছি এক সপ্তাহ পরেই বেন্ডেজ খুলে ফেলে এই অয়েনমেন্ট টা দিতে হবে আর নাহলে দাগ থেকে যেতে পারে। ” বলতে বলতে কিছু মেডিসিন লিখে দিলো।
-“আসি ব্রো “বলেই মিফতাকে কোলে করে নিয়ে বেরিয়ে এলো নিরব। এই মেয়েটার প্রতি হঠাৎ এতো মায়া কেনো পরছে তার সেটাই ভেবে পাচ্ছেনা নিরব। বাসায় এনে শুইয়ে দিয়ে সব মেডিসিন বুঝিয়ে দিলো শেফালিকে। আপাততো কিছুই করার নাই। শেফালির উপর যথেষ্ট ভরশা আছে তার। সেই ছোটবেলা থেকে এখানে আছে তার। মা অনেক করে স্কুলে ভর্তি করাতে চাইলো কিন্তু তার পড়তে ভালোলাগেনা তাই আর স্কুলে যায়নি। সারাদিন মায়ের সাথেই থাকে। ওদের কথা শুনে মনে হচ্ছিলো মিফতাকে খুব ভালোবাসে সে তাই কিছুটা নিশ্চিত হতে পারলো নিরব
-” আচ্ছা শোন! মা আসলে বলবি তুই নিজেই নিয়ে গিয়েছিলি আমার কথা বলার দরকার নাই ওকে? আমি ছিলাম বলেই করেছি আর নয়তো তোকেই করতে হতো সব।খেয়াল রাখিস। আমি আসছি ” মিফতার দিকে একনজর তাকিয়েই বেড়িয়ে গেলো নিরব। মিফতা চুপচাপ শুয়ে আছে দু হাতপা বেন্ডেজ। নিরবের শেষের কথাটা ঠিক বুকে গিয়ে লাগলো মিফতার। চোখ খুলেই রুমে খুজেঁ পায় মিফতা। পাশ থেকেই নিরবের কথা গুলো ভেসে আসে কানে। এই অবস্থাতেও নিরবের কাছে কোনো ভ্যালু নেই তার? শুধু কি সামনে ছিলো বলেই এইটুকু করলো? হয়তো। ভেবেই খুব বড় একটা নিঃশ্বাস ছাড়ে মিফতা। নিজেকে শান্তনা দেয় এই ভেবে
” তোদের মতো মেয়েদের কপালে স্বামীর ভালোবাসা জুটেনা ” চোখের পানিগুলো মুছে আবারো চোখটা বন্ধ করে থাকে মিফতা। নিরব ড্রাইভ করছে চোখের সামনে বারবার ভেসে উঠছে মিফতা কান্নাময়ী মুখটা। ইচ্ছে করছিলোনা আসতে কিন্তু কি করবে এখন? বাড়ির বাকি সবাই বা কোথায় গেলো? কাউকেই দেখতে পায়নি নিরব। খুব কষ্ট হচ্ছে আজ মিফতার জন্য। শুধু শুধু মেয়েটাকে এভাবে কষ্ট না দিলেও পারতো। মেয়েটারতো সত্যিই কোনো দোষ ছিলোনা। এইসব ভাবতে ভাবতেই এয়ারপোর্ট চলে এলো নিরব। তার গাড়ি দেখেই সামনে এলো পিএ শফিক।
-“রেডি? ”
-” জ্বি স্যার ”
মিফতা চুপচাপ শুয়ে আছে। সন্ধ্যায় তো এতো জ্বর ছিলোনা। হঠাৎ করেই জ্বরটা বেরে বেগতিক অবস্থা। জ্বরের ঘোরে কতোকিছু বলে যাচ্ছে অনেক্ষন যাবৎ শেফালি মাথায় পানি দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কমার কোনো লক্ষন সে দেখতে পাচ্ছেনা। কপালে বসে জলপট্টি দিতে লাগলো। আসার পর থেকে কিছুতেই মনটাকে শান্ত করতে পারছেনা নিরব। এমন কেনো লাগছে তার? কিছুক্ষন পরেই তার মিটিংয়ে এটেন্ড করতে হবে তাকে। সব পেপারস আবারও চেক করে নিলো। শেষ পর্যন্ত ডিলটা নিরবই পেলো।লংটাইম জার্নি করে অনেকটা ট্রায়াড হয়ে পরেছে নিরব। বিছানায় গা ফেলতেই দু চোখের পাতায় ঘুম ভর করে।
-” বৌমমি খালাম্মারে জানাইলে ভালো হইতোনা পরে আইসা দেখবেন চিল্লাইয়া তুলবো ”
-” না না ঠিক আছি আমি মা এমনিতেও কোথাও যায়না এবার তো অনেক জোড় করে পাঠালাম বিয়েটা শেষ করেই আসুক। ততোদিনে আমি সুস্থ হয়ে যাবো। ”
ধীরে ধীরে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলো মিফতা। এইরকম অবস্থা দেখে গিয়েও একটা খবর নেয়নি নিরব ভেবেই কেমন লাগছে। কতোটা স্বার্থপর হলে এটা করা সম্ভব? মা বাবারাও গতকাল চলে এসেছে মামার বাসা থেকে। এসেই চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিয়েছে ফাহিমা তো কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছে তাকে কেনো জানাইনি তাই। ব্যাগ গুছিয়ে বেড়িয়ে পরলো দুজন। উদ্দ্যেশ্য সিলেট। সুস্থ হয়ে গেলো মিফতা। একসপ্তাহ পর টিভিতে নিউজ দেখছিলো নিরব। হঠাৎ করেই চ্যানেল চেঞ্জ করতে দিয়ে আটকে যায় সে। মিফতা??
চলবে
( প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি আমার গল্প পরে ভালোলেগে থাকে তাহলে আরো নতুন নতুন গল্প পড়ার জন্য আমার facebook id follow করে রাখতে পারেন, কারণ আমার facebook id তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গল্প, কবিতা Publish করা হয়।) Facebook Id link ??? https://www.facebook.com/nishe.ratri.9809
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.