ভয়
লেখিকা_বিন্দু_মালিনী
#পর্ব_৪_৫
_আজ আর তোমাকে ছাড়ার জন্য আমি ধরিনি সুইটহা”র্ট।
আজ তো আমি তোমাকে আমার করে তবেই ছাড়বো।
আমিতো ভয়ে কাঁপছি।
কি হবে আজ আমার।লিমন কি করবে এখন।ও কেন আমাকে এভাবে রিক্সায় তুল্লো।
_প্লীজ আপনার পায়ে পড়ি ছেড়ে দিন আমাকে।
-বলেছিনা,আজ তোমায় আমি আমার করে তারপরই ছাড়বো।
_মানে কি?কি বলতে চাচ্ছেন আপনি?
_আপনি আমাকে…
_আমি তোমাকে আজ বিয়ে করবো বিয়ে।
তাহলেইতো তুমি আমার রেজি’স্ট্রি করা স’ম্পত্তি হয়ে যাবে।
কেউ আর আমার কাছ থেকে তোমাকে কেড়ে নিতে পারবেনা।
_দেখুন আমি আপনাকে ভালবাসিনা।আর কোন দিন বাসতেও পারবোনা।
দয়া করে আমাকে ছেড়ে দিন।
এমন কাউকে বিয়ে করুন যে আপনাকে ভালবাসে।
আর জোর করে ভালবাসা হয়না।
আমি আগেও বলেছি,এখনো বলছি।
লিমন কিছুতেই আমার হাত ছাড়ছেনা।আর ও যদি একবার আমাকে বিয়ে করে ফেলে তাহলে আমার জীবন টাই ব”রবাদ হয়ে যাবে।
কারণ ও আর ওর পরিবার আমাকে কখনোই ভালো থাকতে দিবেনা।
শুনেছি ওর বড় ভাইয়ের বউ ও বিয়ের কয়দিন পরই পালিয়ে গেছে।ওদের অ”ত্যাচার স”হ্য করতে না পেরে।
আমি কাঁদছি রিক্সায় বসে।
কত স্বপ্ন আমার।সব স্বপ্ন আজই মাটির সাথে মিশে যাবে।
_কি হয়েছে?কাঁদছো কেন?
_হাতে ব্য’থা পাচ্ছি।
লিমন আমার ব্য’থার কথা শুনে আমার হাতটা ছেড়ে দেয়।
আমি চুপচাপ কিছু ক্ষণ বসে থাকি রিক্সায়।
_কেঁদোনা প্লিজ,হাত তো ছেড়ে দিয়েছি আমি।এখন কেন কাঁদছো?
আর এভাবে শক্ত করে হাত ধরবোনা।
কেঁদোনা প্লিজ।
আমি চুপ করে আছি।
কিছু দূর যেতেই দেখি অলিগলি ময় বাড়ীঘর।
মানে জায়গাটায় এক লাইনে অনেক গুলো ঘর।
আরেক লাইনে অনেক গুলো ঘর।
ঘরের ভেতর ঘর।আধাপাকা বাড়ী,টিনের বাড়ী।
আমি সুযোগ বুঝেই চলন্ত রিক্সা থেকে এক লাফে নেমে যাই আর রিক্সা কিছু দূর চলে যায়।
আমি লাফিয়ে পড়ার সাথে সাথে রাস্তায় পড়ে যাই।আর হাতে খুব ব্য’থা পাই।
ব্য’থার দিকে আমার কোন খেয়াল নেই।
আমি উঠেই দেই দৌড়।অলিগলি ময় বাড়ী ঘর গুলোর ভেতরে ঢুকে যাই।
এদিকে লিমন দৌড়ে আমার দিকে এগিয়ে আসছে।
ও ঘর গুলোর সীমানায় আসতে আসতেই আমি মাঝের একটা আধা পাকা বাড়ীতে ঢুকে পড়ি।
যাতে ও আমাকে খুঁজে না পায়।
আর যদি একটা একটা করে ঘরও খুঁজে আমাকে।তত ক্ষণে আমি ঘরটাতে লুকিয়ে পড়তে পারবো।ওই ঘরের মানুষ গুলোকে আমি আমার পরিস্থিতি বুঝিয়ে ফেলতে পারবো।কারণ একটা অপরিচিত মানুষকে তারা হঠাৎ করেই তো ঘরে জায়গা দিবেনা।
আজকাল তো অনেকে ছ’দ্মবেশে বাসায় ঢুকেই চু”রি ডা”কাতি করে।
তো আমি দৌড়ে আর অনেকটা হাঁপিয়ে একটা বাসার রুমে ঢুকে পড়ি।
আর ওই রুমের মহিলা আমাকে দেখে চিল্লিয়ে উঠে,
_এই কে তুমি কে তুমি?
এভাবে আমার ঘরে ঢুকেছো কেন?
আমি তত ক্ষণে আমার মুখের হিজাব টা খুলে তাকে হাঁ’পাতে হাঁ’পাতে বললাম আস্তে প্লিজ।
জোরে কথা বইলেন না আন্টি।
আমি আপনাকে সব বলছি।
_কি হয়েছে তোমার?
_এভাবে কাঁপছো কেন?
আমি আন্টিটাকে কেঁদে দিয়ে বললাম,
একটা মা”স্তান ছেলে আমাকে তাড়া করেছে।
ও আমাকে পেলেই ধরে নিয়ে বিয়ে করে ফেলবে।
আমি কোন রকম এখানে পালিয়ে এসেছি।
ও আমাকে খুঁজছে।
পেলেই আমাকে নিয়ে যাবে।
দয়া করে আমাকে বাঁচান প্লিজ।
ওর সাথে বিয়ে হলে আমার জীবন টা ধ্বং”স হয়ে যাবে।
আমাকে বাঁচান।
আমি জানি,
ও এত ক্ষণে প্রতিটা ঘর খোঁজা শুরু করে দিয়েছে।
_আচ্ছা মা তুমি কেঁদোনা।
তুমি আমার সাথে আসো।
আন্টিটা আমাকে তার আরেক রুমের আলমারির পেছনে নিয়ে দাঁড় করায়।
আর বলে,আমি না বলা পর্যন্ত তুমি এখান থেকে বের হবেনা।
_আচ্ছা ঠিক আছে আন্টি।
এদিকে লিমন সব রুমে খুঁজছে আমায়।
খুঁজতে খুঁজতে যেই বাসার রুমে আমি সেখানেও এসে গেছে।
_এই যে কাকী,এই দিকে কি একটা মেয়ে এসেছে?সুন্দর মত।বোরকা পরা।
_নাতো,এখানেতো কোন মেয়ে আসেনি।
_সত্যি তো?
_হ্যাঁ সত্যি।
_আচ্ছা আমি তাহলে একটু দেখি।
লিমন আন্টির কথা বিশ্বাস না করেই রুমে ঢুকে গেলো।
ওই রুম তো দেখলোই,
আমি যেই রুমে সেই রুমেও এসে দেখলো।
এদিকে আমি আমার হাত দিয়ে মুখ চে’পে ধরে আলমারির পেছনে দাঁড়িয়ে।
লিমন আমাকে না পেয়ে চলে যায়।
কিছু ক্ষণ পর আন্টি আমাকে ডাকেন।
আমি বেরিয়ে আসি।
_ও চলে গেছে।
_অনেক অনেক ধন্যবাদ আন্টি।
_কিন্তু এখন তুমি যাবে কি করে?
_দেখি আন্টি।আমার একটা কাজিন আছে,তাকে ফোন দেই।
দেখি ভাইয়া কোথায়।
তারপর আমি আমার কাজিন ব্রো কে ফোন দেই।
আর সে তার এক বন্ধুকে নিয়ে এ বাসায় আসে।
আন্টি ততক্ষণে আমাকে অনেক বার ভাত খেতে সাধেন।
কিন্তু আমি খাইনা।ভয়ে তো আমার কলিজা ই শু”কিয়ে গেছে।
খাবো আর কি।
ভাইয়া আসার পর আমি ভাইয়াকে সব বলি।
ভাইয়া আমাকে অন্য রাস্তা দিয়ে আমাদের বাসায় না নিয়ে একবারে তাদের বাসায় নিয়ে যায়।
আমি আন্টিকে বিদায় জানিয়ে চলে আসি ভাইয়ার সাথে খালামণির কাছে।
সেদিনই আমি বুঝি,আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ।
কারো উপকার করতে জা”ত ধ”র্ম কোন কিছুই বা’ধা হয়ে দাঁড়ায় না।
আমি মুসলিম জেনেও আন্টি আমাকে আশ্র”য় দেন।
আন্টি হিন্দু হয়েও আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন।
সত্যিই সবার উপর মানুষ সত্য।তাহার উপর নাই।
আমরা মানুষ এটাই আমাদের বড় পরিচয়।
আমি খালামণির কাছে গিয়ে খালামণিকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেই।
খালামণি আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন,
_যা এবার ফ্রেশ হয়ে নে।
_আমি তোর মাকে ফোন দিয়ে জানাই,তুই যে এখানে।
নয়তো চিন্তা করবে।
আমি ফ্রেশ হই।
খালামণি আমাকে জোর করে খাইয়ে দেয়।
এদিকে আমার কাজিন অভ্র আমাকে বলে,
_তুই এখানে থেকে যা কিছু দিন।
তোর এখন বাসায় যেতে হবেনা।
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হোক তারপর না হয় যাস।
_আমি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললাম।
খালামণি আম্মুকে ফোন দিয়ে সব কিছু জানান।
আম্মুও আমাকে কিছু দিন অভ্র ভাইয়াদের বাসায় থাকতে বলেন।
অভ্র ভাইয়া রাতেই দেখি আমার জন্য কয়েক সেট জামা কাপড় নিয়ে আসে।
আমি রাতে ভয়ে ঘুমাতে পারিনা।চোখ বুজলেই লিমনের ভয়াবহ স্মৃতি আমায় আকড়ে ধরে।
ঘুম আসেনা আমার।
লাইট জ্বালিয়ে বিছানায় বসে আছি।
অভ্র ভাইয়া দেখে আমার রুমের লাইট জ্বলছে আর দরজাও খোলা।
_কিরে?ঘুমাস নি?
_উঁহু।
_ঘুম আসছেনা?
_না।
_গান শুনবি?
_আচ্ছা।
_চল আমার সাথে,
অভ্র ভাইয়া তার গিটার টা নিয়ে এসে বাজাচ্ছে আর আমাকে গান শোনাচ্ছে।
এদিকে গান গাইতে গাইতে শুনতে শুনতে সকাল হয়ে যায়।
_দেখেছিস,সকাল হয়ে গেছে।
আর আমরা বুঝতেই পারিনি।
_যা এবার ঘুমিয়ে পড়।
নইলে সারাদিন মা”তাল মা”তাল লাগবে।
_মা”তাল মা’তাল কি?
_আরকি ম”দ খেলে যেমন লাগে।
_ভাইয়া,আমার না ম”দ খাওয়ার খুব ইচ্ছে।
আমাকে কি ম”দ এনে দিবে একদিন?
_কিহ?থা”প্পড় খাবি?
_উঁহু মদ খাবো।হি হি হি।
হাসতে হাসতে আমি রুমে চলে এলাম।
পরের দিন সকাল থেকে ঘুম সারাদিন ঘুমিয়েছি।
সন্ধ্যা বেলা অভ্র ভাইয়া এসে বল্লো,
তোর জন্য একটা জিনিষ এনেছি।
_কি এনেছো?দাও।
_উঁহু আগে চোখ বন্ধ কর।
_আচ্ছা করলাম।
_এই নে।
_কি এটা?
_তুই না বললি মদ খাবি?
_হুম বলেছিতো।
_এটাই ম”দ।
_খাই আমি?
_খেলে কিন্তু হু’স থাকবেনা তোর।
খেয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে শুয়ে থাকবি।
বাইরে বের হবিনা কিন্তু।
_আচ্ছা।
কিছু ক্ষণ পর,
হঠাৎ ই আমাকে দেখে অভ্র ভাইয়ার হাত থেকে পানির গ্লাস টা পড়ে যায়।
আর আমি…
#৫ম_পর্ব
হঠাৎ ই আমাকে দেখে অভ্র ভাইয়ার হাত থেকে পানির গ্লাস টা পড়ে যায়।
আর আমি অবাক হয়ে ভাইয়ার দিকে তাকাই।
ভাইয়া এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
_কি হলো?এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছো কেন তুমি ভাইয়া?
_তুই এটা কি করেছিস?
_কি করেছি?
_কি পরেছিস এটা?
_কি আবার?শাড়ী পরেছি।খালামণি নাকি এটা তোমার বউ এর জন্য কিনেছিলো।
কিন্তু আমি গিয়ে যখন বললাম,খালামণি আমাকে আপনার একটা শাড়ী দিন তো।
খালামণি আমাকে এটা বের করে দিলো।
আমি পরার পর খালামণি বললেন,
এটা নাকি তোমার বউ এর জন্য কিনে রেখেছিলো।
কিন্তু আজ থেকে এটা নাকি আমার।
বিশ্বাস করো অভ্র ভাইয়া,আমি যদি জানতাম এই শাড়ীটা খালামণি তোমার বউ এর জন্য কিনে রেখেছেন তাহলে আমি কিছুতেই পরতাম না এই শাড়ী।
আমি এই শাড়ী পরেছি বলে তুমি আমার উপর রে’গে এইভাবে তাকিয়ে আছো আমার দিকে না?
দাঁড়াও আমি এক্ষুণি খুলে ফেলছি শাড়ী।
_আরে না না,আমি রাগ করিনি।
খুলতে হবে না শাড়ী।
আমি তো তোকে দেখছিলাম।তুই কত্ত বড় হয়ে গেছিস।
আমি তো তোকে পিচ্চিই ভেবে এসেছি এত দিন।
আজ শাড়ীতে তোকে দেখে আমি অবাক হয়ে গেছি।
আর তুই অনেক সুন্দরিও বটে।
এই জন্যই তো ওই ছেলে তোর পিছু নিয়েছে।
_ধু’র,কি যে বলোনা তুমি ভাইয়া।
_কিন্তু আজ শাড়ী কেন পরতে মন চাইলো?
_আমার ইচ্ছে ছিলো আমি শাড়ী পরে ম”দ খাবো।
_কিহ?
কেন?
_যদি মা”তাল হই তবে শাড়ী পরে নাচবো আর মা”তলামি করবো।
_শাড়ী পরেই ম”দ খেতে হবে কেন?
_আরে ভাইয়া,ইচ্ছে বুঝোনা ইচ্ছে?
এটা আমার ইচ্ছে।
_ওরে ইচ্ছে রে।
মা”তলামি করতে করতে শাড়ী খুলে গেল বুঝবি।
_ধু’র!তুমি না বলেছো ম”দ খেয়ে ঘরেই বসে থাকতে?
তাহলে আর সমস্যা কি?
কেউ দেখবেনাতো।হি হি।
_তোর ম”দ খেতে হবেনা।
ওটা আমাকে দে।
_কেন কেন?
_আমি খাই,তুই আমাকে পা’হারা দে।
_না,আমি খাবো।
_না আমি খাবো।
_না আমি।
_না আমি।
যাহ ভেঙেই ফেললি?
_পরে গেলোতো হাত থেকে।
_যাহ এবার কারোও খাওয়া হলোনা।
_এ্যায়ায়ায়া।হলোনা শাড়ী পরে ম”দ খাওয়া আমার।
শুধু শুধু শাড়ী পরলাম।
_দে তোর মোবাইল দে,পিক তুলে দেই।
স্মৃতি হয়ে থাকুক আজকের দিন টা।
_আচ্ছা এই নাও মোবাইল।কিন্তু তোমার ফোন দিয়ে তুলবেনা কিন্তু খবরদার।
_আচ্ছা রে আচ্ছা।
ভাইয়া আমাকে অনেক গুলো ছবি তুলে দিলো।
_আমি একটা পিক নেই তোর?
_উঁহু।একটাও না।
_আমার কাছে পিক থাকলে কি হবে?
_আমি কাউকে পিক দেইনা।
_আমি কেউ?
_না তুমি কেউ না,
তুমি অভ্র ভাইয়া।
হি হি।
পিক তুলে দেয়ার জন্য থ্যাংক ইউ।
আমি চলে গেলাম রুমে।
পরের দিন সকালে,
_কিরে তোর কেমন লাগছে আমাদের এখানে?
_ভালোই লাগছে খালামণি।
_তাহলে এখানকার কলেজেই ভর্তি হয়ে যা না।
তাহলে ওই ব”দমাশ ছেলেও তোকে পাবেনা।আর কোন ঝা’মেলাও করবেনা।
_এখানে?
এখানে ভর্তি হবো?
_হুম হলে সম’স্যা কি?(অভ্র)
_সম’স্যা নেই,তবে বাসার সবাইকে রেখে এখানে থাকবো।
খারাপ লাগবেতো।
_ভালো কিছু অর্জন করতে গেলে কখনো কখনো কিছু ত্যা’গ করতে হয়।
_তা তো জানি।
_দেখ কি করবি,তুই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে জানা।
তারপর আমি তোর মাকে জানিয়ে দিবোনে।
আমি ভেবে দেখলাম আমি এখানে নিরাপদে থাকবো।
লিমন আমাকে খুঁজে পাবেনা।
আর জ্বা’লাবেও না।
তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আমি খালামণির এখানকার একটা কলেজেই ভর্তি হবো।
অভ্র ভাইয়া আমাকে সাথে করে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে দিলেন।
আসার পথে অনেকেই অভ্র ভাইয়াকে ডেকে ডেকে বলছে,
_কিরে?ভাবীকে নিয়ে কই গিয়েছিলি?
এত স্বা”র্থপর।জানালিও না।ট্রিট দেয়ার ভয়ে লুকিয়েছিস না?
_আরে কি বলছিস?ও তো আমার…
_জানি জানি সব জানি,
ঘন্টা কয়েক আগে দেখলাম হাত ধরে রাস্তা পাড় করছিস।
_আরে ও এমন রাস্তা পাড় হয়নি কখনো।
এত গাড়ী ঘো”ড়া তাই হাত ধরে পাড় করছিলাম।
_তবে যাই বলিস,ভাবী কিন্তু খুব সুন্দর।
_আরে শা”লা,এটা আমার খালাতো বোন।
_উপস!সরি।
_ইটস ওকে ভাইয়া।
_শা”লা,এত সুন্দর বোন ঘরে তোমার। আর আমি যে এখানে সিঙ্গেল তার খেয়াল রাখোনা না।
_কি বলছিস এগুলো?
_চলো তো অভ্র ভাইয়া,ভালো লাগছেনা।
কলেজে ভর্তি হয়ে বাসায় আসি।
খালামণি আমাদের খেতে দেন।
_কলেজের সব ঝা’মেলা শেষ?
_হুম খালামণি।
_এখন সব চিন্তা বাদ দিয়ে শুধু পড়া শোনা করবি মন দিয়ে।কেমন?
_জ্বী খালামণি।
এরপর থেকে আমি প্রতিদিন কলেজে যাওয়া শুরু করি।
ক্লাস করতে যাই প্রতিদিন।
কারণ লেখাপড়ায় আমি কোন গা”ফিলতি করিনা।
একদিন কলেজ থেকে ফিরছিলাম আর হঠাৎ অভ্র ভাইয়ার সেই বন্ধু একটা গোলাপ নিয়ে আমার সামনে হাজির।
_কি হলো?এভাবে সামনে এসে দাঁড়ালেন যে?
_প্রপোজ করতে হলে তো সামনে এসেই দাঁড়াতে হবে।
_মানে?
_মানে আই লাভ ইউ।
_হুয়াট?
_ইয়েস!ইটস ট্রু।
_অভ্র ভাইয়ার বন্ধু আপনি,সেই সুবাদে আপনি আমার ভাইয়া হোন।
আশা করি আর কখনো মনের সামনে এই ভাবে এসে দাঁড়াবেন না।
আসি।
আমি চলে যাচ্ছিলাম।
আর অভ্র ভাইয়ার বন্ধু আমাকে ডেকে বলে উঠে,
দাঁড়াও বিন্দু।
আমি তোমাকে সত্যিই পছন্দ করি।তুমি আমাকে ভাল না বাসতে চাইলে আমি তোমার খালামণির কাছে আমার মাকে পাঠাবো।
একবারে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে।
আমি তার কথায় কোন পাত্তা না দিয়ে চলে আসি বাসায়।
সন্ধ্যা বেলা দেখি অভ্র ভাইয়ার বন্ধু তার মাকে নিয়ে খালামণির বাড়ীতে চলে এসেছেন।
খালামণি তার মায়ের সাথে কথা বলছেন।
আমি সালাম দিয়ে ওখান থেকে সরে এসে আমার রুমে গিয়ে বসি।
আর তখনই অভ্র ভাইয়ার বন্ধু হুট করে আমার রুমে চলে আসে আমাকে খুঁজতে খুঁজতে।
_আপনি এখানে?
_তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে চলে এসেছি।
_আপনি যান প্লিজ।আপনার মায়ের কাছে খালামণির কাছে যান।
_যদি না যাই?
_দেখুন,আমার ভালো লাগছেনা।সামনে আসবেন না আপনি আমার।
_আসলে কি হবে?
_আমি কিন্তু চিৎকার করবো?
আর তখনই অভ্র ভাইয়া এসে এক হাত দিয়ে তার বন্ধুর শার্টের ক”র্লার ধরে,
আর আরেক হাত দিয়ে গালে থা”প্পড় বসিয়ে দেয়।
আর এরপর ভাইয়া যা বলেন,
তা শোনার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
#চলবে?