ভুলতে পারব না তোকে পর্ব-৩+৪

0
1169

#ভুলতে_পারব_না_তোকে❤
#Part:03
#Writer: Unknown Writer

স্নেহার ঘর থেকে বেরিয়ে কাপড় কাঁচার জন্য ড্রইং রুম দিয়ে যাচ্ছিল নদী ঠিক তখনি সাগরের মা রহিমা বেগম নদীর সামনে হাজির হয়৷ রহিমা বেগম রাগী চোখে নদীর দিকে তাকিয়ে আছে। রহিমা বেগমের এমন তাকানো দেখে নদী ভয়ে শুকনো ঢুক গিলতে থাকতে। রহিমা বেগম এগিয়ে এসে নদীর চুলের মুঠি ধরে বললেন
–হারামজাদি তোর এত বড় সাহস কাপড় না কেঁচে তুই গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরঘুর করছিস? তোকে কি আমরা বিনা পয়সায় পালবো নাকি রে ফকিন্নির বাচ্চা?
রহিমা বেগম নদীর চুলের মুঠি এতোই শক্ত করে ধরেছে যে নদীর ব্যথায় চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে। নদী কাঁদতে কাঁদতে রহিমা বেগমকে বলল
–আহ্ বড় ম্যাডাম আমার খুব ব্যথা লাগছে৷ বড় ম্যাডাম আমি স্নেহা আপামনির বিছানা ঠিক করতে গিয়েছিলাম৷ তাই কাপড়গুলো বাথরুমে রেখে এসেছিলাম।এখনি কেঁচে দিচ্ছি।
নদীর কথা শুনে রহিমা বেগম নদীর চুলের মুঠি ছেড়ে দিয়ে বলল
–কাপড়গুলো ভালো করে ধুয়ে দিস নাহলে তোর কি অবস্থা আমি করব তা তুই ভাবতেও পারছিস না৷
রহিমা বেগম স্নেহাকে ডাক দিতে লাগল। তারপর স্নেহা নিচে আসলে স্নেহাকে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় তার বোনের বাসার উদ্দেশ্যে। নদী ওদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল। ঐদিকে সিড়ির উপর থেকে সাগর নদীর উপর সব অত্যাচার দেখে মুখ বুঝে সহ্য করছে। সাগর নিজের ঘরের গিয়েই টেবিলে থাকা একটা ফুলদানি আঁচড়ে ফেলে দেয়। তারপর দেয়ালে সজোড়ে ঘুষি মারে যার ফলে সাগরের হাত থেকে রক্ত পড়তে থাকে। সাগর দাঁতে দাঁত চেপে বলতে থাকে
–এরা আমার আপনজন তা আমার ভাবতেও ঘৃণা লাগছে। কি করে এরা পারে এমন নিষ্পাপ মেয়ের সাথপ এতো অত্যাচার করতে। এরা কি আসলেই মানুষ?
.
.
.
নদী বাথরুমের মাটিতে বসে কাপড়গুলো আবারো কাচতে থাকে আর চোখ দিয়ে অনবরত জল ফেলতে থাকে।
নদী মনে মনে বলতে থাকে
–আমি যে এতো অত্যাচার আর নিতে পারছি না। মাঝে মাঝে মনে হয় মরে যাই। কিন্তুু আত্মহত্যা করা যে মহাপাপ তাই আমি আত্মহত্যা করব না। আমাকে সব কিছু কষ্ট করে সহ্য করতে হবে।
নদী কাপড়গুলো ধুয়ে ছাঁদে শুকাতে নিয়ে যায়। ছাঁদে কাপড়গুলো মেলে আবার নিচে নামতে গেলে সিড়িতে সাগরকে দাঁড়ানো দেখতে পায়। সাগরকে দেখতে পেয়ে নদী ভয় পেয়ে যায়। নদী কাঁপা কাঁপা গলায় সাগরকে বলল
–স স্যার আপনি এখানে?!
সাগর সিড়ি বেয়ে উঠে নদীর হাত চেপে ধরে নিচে নামাতে থাকে। নদী আবারো বলল
–স্যার আমার হাত ছাড়ুন। স্যার আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আপনি?
–চুপ। একদম চুপ।
সাগর সোজা নদীকে নিজের বেডরুমে নিয়ে যায়। সাগর নদীকে টেনে বিছানায় বসিয়ে দিল। সাগর নদীকে শান্ত গলায় বলল
–এবার তোর হাত দুটো দেখি?
–কেন স্যার? হাত দেখাবো কেন?আমার কিছু হয় নিতো।
–আমি বললাম তো হাত দেখাতে।
নদী আর কোনো উপায় না পেয়ে সাগরের দিকে দুই হাত বাড়িয়ে দিল। সাগর নদীর হাতের দিকে তাকিয়ে দেখল নদীর দুই হাতেই ফোস্কা পড়ে গেছে। মনে মনে সাগর খুব কষ্ট পেলেও তা নদীর সামনে প্রকাশ করল না। সাগর ড্রয়ার থেকে মলম বের করে নদীর সামনে মাটিতে বসে নদীর হাতগুলো ধরে মলম লাগাতে লাগল। নদী সাগরের এমন কান্ডে অবাক হয়ে সাগরের দিকে তাকিয়ে রইল। সাগর মলম লাগিয়ে নদীর দিকে তাকিয়ে দেখল নদী চোখের জল ফেলছে।
এটা দেখে সাগর নদীকে জিজ্ঞেস করল
–কি হলো এভাবে কাঁদছিস কেন?
–এমনি স্যার৷
–এমনি এমনি কেউ কাঁদে?
নদী আর কিছু বলল না। শুধু কেঁদেই যাচ্ছে। নদী দেখতে অনেকটা বাচ্চা মেয়ের মতো। উজ্জ্বল শ্যাম বর্ণের এবং মায়াবী চেয়ারা নদীর। তাই নদীর কান্নাটাও বাচ্চাদের মতোই লাগছে। সাগর নদীর দিকে তাকিয়ে আছে। নদী বুঝতে পারল সাগর নদীর দিকে তাকিয়ে আছে। নদী উঠতে নিলে সাগর নদীর হাত চেপে ধরল। নদী সাগরকে বলল
–স্যার আমাকে যেতে দিন৷ ঘরের অনেক কাজ পড়ে আছে। বড় ম্যাডাম আর আপামনি একটু পরেই চলে আসবে। তখন যদি দেখতে পায় আমি কোনো কাজ করি নি তখন অনেক রেগে যাবে।
সাগর এবার দুষ্টুমি হাসি দিয়ে মাটিতে বসা থেকে উঠে বিছানায় নদীর পাশে বসে নদীর কানের কাছে বলল
–এখন বাসাটা পুরোই ফাঁকা। শুধু তুই আর আমি বাড়িতে আছি। তোর এখন কেমন অনুভূতি হচ্ছে নদী?
সাগরের এমন কথা শুনে নদীর বুকটা কেঁপে উঠল। নদীর চোখে মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। নদী আর কিছু না ভেবে বিছানায় বসা থেকে উঠে চলে যেতে নিলে সাগর নদীর হাত চেপে ধরে নদীকে বিছানায় ফেলে দেয়। তারপর নদীর উপর উঠে নদীর দুই হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে নদীর মুখের একদম কাছে চলে এসে সাগর শান্ত গলায় নদীকে বলল
–এখন কি তুই আমাকে খুব ভয় পাচ্ছিস নদী?
নদী সাগরের দিকে চোখ বড়োবড়ো করে তাকিয়ে আছে। নদীর এবার সত্যি খুব ভয় লাগছে৷ নদীর হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। বুকের স্পন্দন ক্রমশ বেড়ে চলেছে৷ নদী চোখ বন্ধ করে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল
–স্যা স্যার আ আমাকে দ দয়া ছেড়ে দিন। আমার সাথে দয়া করে এমন করবেন না৷
নদীর ভয় পাওয়া চেহারা দেখে সাগর মুচকি হেসে নদীর উপর থেকে সরে যায়৷ তারপর বিছানায় বসে সাগর হাসতে থাকে। নদী এবার উঠে বসে সাগরের হাসি দেখতে থাকে। কত সুন্দর করে হাসে সাগর। নদী মুগ্ধ নয়নে সাগরের হাসির দিকে তাকিয়ে থাকে। সাগর হাসতে হাসতেই নদীর দিকে তাকিয়ে বলল
–তুই কত বোকা রে নদী। তোর কি মনে হয় আমি এতোটাই খারাপ?
সাগরের কথায় নদী মাথা নিচু করে নিল। সাগর আবারো নদীর কাছে এসে নদীকে বলল
–তুই খুব সহজ সরল নদী। খুবই সহজ সরল। এতোটা সহজ সরল না হলেও তুই পারতি।
নদী এবার সাগরের ডান হাতের দিকে তাকিয়ে দেখল সাগরের হাত থেকে রক্ত পড়ে অবশিষ্ট রক্তগুলো শুকিয়ে আছে। সাগরের হাতে কোনো বেন্ডেজ বাঁধা নেই। এটা দেখে নদী সাগরকে চিন্তিত স্বরে বলল
–স্যার আপনার হাত কাটল কিভাবে? হাতে তো রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে!




#চলবে…..

#ভুলতে_পারব_না_তোকে❤
#Part:04
#Writer: Unknown Writer
সাগর নদীর কথা শুনে নদীর দিকে কিছুক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। তারপর মুচকি হেসে সাগর নদীকে বলল
–এটা কিছু না নদী। একটু কেটে গিয়েছে। এই আরকি।
–না এটা মোটেও এইটুকু কাটে নি। বরং আপনার হাতটা অনেকটাই কেটে গিয়েছে স্যার।
নদী বিছানার পাশে থাকা মলমটা নিয়ে সাগরের হাতে লাগাতে লাগল। এটা দেখে সাগর নদীকে বলল
–নদী আমি ঠিক আছি। তুই শুধু শুধু চিন্তিত হচ্ছিস।
–এইটা শুধু শুধু হতে পারে না স্যার। আপনি কিভাবে আপনার হাত কাটলেন বলুন আমায়?
–যদি বলি তোর জন্য।
–আমার জন্য! মানে কি স্যার?
–কিছু না।
সাগর বিছানায় বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে নদীকে বলল
— এখন এখান থেকে যা।
নদীও আর কথা না বাড়িয়ে সাগরের রুম থেকে চলে গেল।
সাগর নদীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইল। তারপর সোফায় বসে সাগর অতীতে ডুব দিল।
.
.
.
সেদিন নদী ঘর ঝাড়ু দিচ্ছিল। বাড়িতে কেউ নেই। সাগরের বাবা সাজ্জাদ চৌধুরী ব্যবসার কাজে লন্ডনে থাকেন। আর সাগরের মা রহিমা বেগম এবং সাগরের বোন স্নেহা সেদিন বিয়ের দাওয়াত খেতে চলে যায়। যাওয়ার আগে রহিমা বেগম নদীকে বলেছিল ঘরটা ভালো করে ঝাড়ু দিতে। তাই পুরো বাড়িটা নদী সুন্দর করে পরিষ্কার করছিল৷ নদী কোমড়ে ওড়না পেচিয়ে ঘর ঝাড়ু দিচ্ছিল এমন সময় বাড়িতে এসে হাজির হয় সাগর। নদী সাগরকে দেখে হাত থেকে ঝাড়ুটা পড়ে যায়। নদী সাগরকে দেখে হা করে তাকিয়ে থাকে। সাগর দেখতে অসম্ভব সুন্দর। লম্বায় ছয় ফুট, গায়ের রং ধবধবে সাদা, কালো সিল্কি চুল, মায়াবী চোখ, পরণে নীল রংয়ের টি শার্ট এবং জিন্স পেন্ট পড়ে এক রাজপুত্র নদীর সামনে দাঁড়িয়ে আছে৷ নদী সাগরের কাছে এসে সাগরকে জিজ্ঞেস করল
–কে আপনি? চেনা নাই জানা নাই হুট করে বাড়িতে ঢুকে পড়েছেন কেন?
সাগর দেখল সাগরের সামনে একটা বাচ্চা, কিউট মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সাগর মুচকি হেসে নদীকে জিজ্ঞেস করল
–আমি কে তা পড়েই জানতে পারবে। কিন্তুু তুমি কে? তোমাকে তো ঠিক চিনলাম না।
–আমার নাম নদী। আমি এ বাড়িতে কাজ করি। এক কথায় আমি এ বাড়ির কাজের মেয়ে।
–ওহ ভালো কথা। আমি এখন অনেক ক্লান্ত। আমার জন্য একটা কফি করে নিয়ে আসো তো। জার্নি করে এসে আই এম সো টায়ার্ড।
সাগর ড্রইং রুমের সোফায় হেলান দিয়ে বসল৷ একে তো বাড়িতে কেউ নেই তারওপর কোথা থেকে একটা ছেলে চলে এসেছে। নদীর ভয় লাগছে। কিন্তু কি করার কফি বানাতে নদী চলে গেল। কিছুক্ষণপর নদী কফিটা টেবিলে রেখে দূরে গিয়ে দাঁড়াল। নদীর এভাবে দশ মাইল দূরে যাওয়া দেখে সাগর নদীকে জিজ্ঞেস করল
–কি হলো এভাবে দূরে দাঁড়িয়ে আছো কেন? আমাকে দেখে বুঝি তোমার ভয় লাগছে?
নদী কাঁপা কাঁপা গলায় সাগরকে বলল
–ক কে আ আপনি? এই বাড়িতে কেন এসেছেন? কফি তো বানিয়ে দিলাম আপনাকে। এবার নিজের বাড়িতে চলে যান।
নদীর কথায় সাগর হাসতে লাগল। সাগর সোফায় বসা থেকে উঠে নদীর কাছে এসে বলল
–যদি আমি না যাই তাহলে তুমি কি করবে?
সাগর নদীর দিকে এগোতে লাগল৷ নদী ভয়ে এক দৌড় দিতে নিলে সাগর নদীকে একটান দিয়ে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিল। নদী কাঁপা কাঁপা গলায় সাগরকে বলল
–কে আপনি? আপনাকে আমি চিনি না। জানি না। আমাকে ছেড়ে দিন বলছি।
সাগর মুচকি হেসে নদীকে বলল
–ছেড়ে তো তোমাকে দিব। কিন্তুু কি বলতো তোমাকে এভাবে জ্বালাতন করতে আমার বিষণ ভালো লাগছে।
নদী সাগরের হাতে একটা কামড় বসিয়ে দিল। কিন্তু তাতেও সাগর নদীকে ছাড়ল না। নদী এবার চিৎকার করে বলতে লাগল
–আমাকে আপনি এভাবে জড়িয়ে ধরেছেন কেন? ছাড়ুন বলছি। আমি আপনাকে খুন করে ফেলব।
ঠিক এই মুহুর্তেই রহিমা বেগম এবং স্নেহা এসে হাজির হয়। রহিমা বেগম তার ছেলের কান্ড দেখে অবাক হয়ে যায়। রহিমা বেগম দেখল সাগর নদীকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। রহিমা বেগম চিৎকার দিয়ে বলে উঠল
–সাগর! তুই এসব কি করছিস!
রহিমা বেগমের এমন চিৎকার শুনে সাগর পেছনে তাকিয়ে দেখল মেইন দরজার সামনে স্নেহা ও রহিমা বেগম দাঁড়িয়ে আছে। দুজনেই সাগরের এমন কান্ড দেখে রাগে আগুন। স্নেহা সাগরকে বলল
–ছিহ্ ভাইয়া তুই জানিস তুই কাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছিস? ওতো এই বাড়ির কাজের মেয়ে রে।
সাগর নদীকে সাথে সাথে ছেড়ে দিল। নদী এবার বুঝতে পারল সাগর এই বাড়ির ছেলে। নদী কান্না করছে। সাগর তার মায়ের কাছে এসে বলল
–মা আসলে আমি….
সাগরকে বলতে না দিয়ে রহিমা বেগম ঠাসস করে সাগরের গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিলেন। রহিমা বেগম রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বললেন
–তুই আমার পেটের ছেলে হয়ে এই কাজের মেয়ের সাথে…. ছিহ্ আমার ভাবতেও ঘৃণা লাগছে। তুই বিদেশ থেকে আজ ফিরে এলি আর আজই এই মেয়ের সাথে গা ঘেঁষাঘেঁষি করছিস!
সাগর এবার তার মায়ের দিকে অসহায় মুখ করে তাকিয়ে বলল
–মা বিশ্বাস করো আমি এই মেয়েকে ইচ্ছে করে জড়িয়ে ধরি নি। আসলে এই মেয়েটা পা পিছলে আমার উপর পড়ে যাচ্ছিল তাই আমি ওকে ধরলাম।
নদী সাগরের কথায় অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। নদী মনে মনে বলল
–উনি মিথ্যে কথা কেন বলছেন? উনি তো আমায় ইচ্ছে করে জড়িয়ে ধরেছেন।
সাগর নদীর কাছে এসে নদীকে হাত ধরে টেনে নিয়ে রহিমা বেগমের সামনে দাঁড় করাল। সাগর নদীকে বলল
–এবার তুমি মাকে বলো আমি যা বলছি তা সত্যি বলছি কিনা?
নদী চুপ করে আছে। নদীর চুপ করে থাকা দেখে সাগর চিৎকার করে বলল
–কি হলো সত্যিটা বলো?
এবার নদী ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে রহিমা বেগমকে বলল
–বড় ম্যাডাম স্যার ঠিক বলছে। আসলে আমি পা পিছলে স্যারের উপর পড়ে গিয়েছিলাম।
নদীর এমন কথা শুনে রহিমা বেগম রেগে নদীকে সজোরে ঠাসস করে থাপ্পড় বসিয়ে দিলেন। থাপ্পড়টা এতো জোরেই রহিমা বেগম দিয়েছেন যার ফলে নদী মাটিতে ছিটকে পড়ে যায়। রহিমা বেগম নদীর চুলের মুঠি ধরে দাঁড় করিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলল
–হারামজাদি তোর জন্য আমার ছেলের গায়ে আমি হাত তুলেছি। তোকে তো আজ আমি মেরেই ফেলব৷
রহিমা বেগম নদীকে আরও মারতে চায় কিন্তুু সাগর রহিমা বেগমকে বাঁধা দেয়। সাগর রহিমা বেগমকে বলল
–মা থাক না। ওকে আর মেরো না। এই মেয়ে তুমি তোমার ঘরে যাও।
সাগরের কথা শুনে রহিমা বেগম বলে উঠল
–সাগর তুই ওকে তুমি করে কেন বলছিস? আরে ও হলো আমাদের বাড়ির কাজের মেয়ে। কাজের মেয়েদের তুই করে বলবি বাবা।
সাগর তার মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল
–ঠিক আছে মা। তাহলে তাই বলব৷
সাগর নদীকে বলল
–এই মেয়ে তুই তোর ঘরে যা।
নদী আর সহ্য করতে পারল না৷ কাঁদতে কাঁদতে নিজের রুমে চলে গেল।




#চলবে……

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে