ভালোবাসি বলেই ভালোবাসি বলিনা পর্ব-০৬

0
2716

গল্পর নাম :#ভালোবাসি_বলেই_ভালোবাসি_বলিনা
#পর্ব_৬ : #good_vs_bad_Arin
লেখিকা : #Lucky

আমাদের বেডরুমের পাশেই ফুলদানিটা রাখলাম যেটা ইথান দিয়েছিল।
আমি ফুলদানিতে ফুল রাখি না।
ফাকা ফুলদানিই ভালো লাগে আমার।
আমি ফুলদানিটার দিকে তাকিয়ে রইলাম। এটা ইথানের দেওয়া প্রথম উপহার। যত্নে রাখতে চাই।
কিন্তু আমি ত ইথানকে কিছুই দিলাম না।
কি দেব আমি! ওনার কি পছন্দ! তা ত জানিনা। কিন্তু একটা জিনিস আমি অনেক ভালো বানাই সেটা হলো পায়েস।
পায়েস ত সবাই-ই প্রায় পছন্দ করে। আপাতত এটাই বানাই। ওনার জন্য পরে ভেবেচিন্তে কিছু কেনা যাবে।

আমি সবার জন্য পায়েস বানাতে লেগে পরলাম।
ইথানের মা ত আমাকে রান্নাঘরে ঢুকতে দিতেই রাজি না। তাও আমি তাকে রাজি করিয়ে রান্নাঘরে ঢুকলাম।
আর অনেক সুন্দর করে পায়েসও বানিয়ে নিলাম আর ইথানের জন্য আলাদা করে তুলে রাখলাম। কারণ তার অফিস থেকে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে।

সবাই খেয়ে খুব প্রশংসা করলো। অর্থাৎ ভালই হয়েছে। আমি বানিয়েছি বলে কথা।

কিন্তু সন্ধ্যার আগে আগেই আমি অনেক অসুস্থ হয়ে পরলাম পিরিয়ডের কারণে। পিরিয়ডে আমার ভয়ানক অবস্থা হয়।
বমি আর প্রচন্ড পেট ব্যাথা। বাসায় থাকাকালীন প্রতিমাসে এই দিনে ডাক্তার ডেকেও আনা লাগে হীট থেরাপি দেওয়ার জন্য। বাসার সবাই সহ পাড়া প্রতিবেশীও জেনে যায় আমার চিল্লানির কারণে।

যদিও আজ অনেক চেষ্টা করলাম স্বাভাবিক থাকার। কিন্তু হয়ে উঠল না। এক পর্যায়ে ব্যথার কারণে রুমে চলে এলাম আর বিছানা শুয়ে দুই হাত দিয়ে বালিশ চেপে ধরে দাতে দাত চিপে রাখলাম। চোখ জলে ভিজে এসেছে।
আমি ত আর এক মূহুর্তের জন্যও সহ্য করতে পারছি না।
হঠাৎ ইথানের মা আমার মাথায় হাত রাখলেন। আমি চমকে ওনার দিকে তাকালাম।
“কি হয়েছে?” অবাক হয়ে বললেন উনি।
আমি কিছু বলতে পারলাম না শুধু বাচ্চাদের মত কাদতে শুরু করে দিলাম।
ইথানের মা হতবুদ্ধি হয়ে গেল।


“এখন আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে আশা করি। বেশি খারাপ লাগলে গরম সেঁক নিলেই হবে।” বলল ডাক্তার।
“আমি ত চিন্তাতেই পরে গেছিলাম। বোকা মেয়ে আমাকে না বলেই কাদতে শুরু করে দিয়েছিল।” বলল ইথানের মা।
আমি ইথানের মায়ের দিকে লজ্জায় তাকাতে পারলাম না।
মৃদু হেসে ডাক্তার আংকেল বললেন,”আচ্ছা মামোনি ভালো থাকো।”
আমি একটু হাসার চেষ্টা করলাম।
“ইথান এখনি চলে আসবে। আমি ওকে জানিয়েছি।তুমি রেস্ট নেও আমি ডাক্তারবাবুকে ছেড়ে আসি।” বলেই ইথানের মা ডাক্তারের সাথে বাহিরে চলে গেলেন। অন্যরাও একে একে চলে গেল। আর যাওয়ার আগে বলল, “রেস্ট নেও।”
দিবা আমার গায়ে একটা পাতলা চাদর টেনে দিল আর বলল, “আমি আবার পানি গরম করে হট ব্যাগে আনছি থামো।”
দিবা চলে গেল।
এতটুকু সময়ে অনেক বার মা ফোন করে ফেলেছে। পারলে সে এখনি চলে আসে।
আমি বার বার বুঝালাম যে আমি ঠিক আছি।
সে তাও কালই আসতে চায়। অনেক কষ্টে মাকে বুঝালাম আসা লাগবে না। কারণ প্রথম দিনই এত সমস্যা হয় আমার। তারপরের তিনদিন সব ঠিকঠাক।

ব্যথা এখনো অল্প অল্প আছে। এভাবে শুয়ে থাকতেও ভাল লাগছে না। তাই আমি আস্তে আস্তে উঠে বসে বালিশে পিঠ ঠেকিয়ে সামনের দিকে হালকা নুয়ে রইলাম। আমার অগোছালো চুলগুলো মুখের সামনে এসে পরে রইল। মায়ের কাছে আমারই যেতে ইচ্ছে করছে। মা যে কত কেয়ার করত তা এখন টের পাচ্ছি। চিন্তা করেই আমার চোখে জল চলে এলো।
তখনি এক হাত দিয়ে ইথান আমার ডান সাইডের চুলগুলো কানের পিছনে গুজে দিলো।
আমি অনেক বেশিই অপ্রস্তুত হয়ে ইথানের দিকে তাকালাম।
“you ok?” শান্ত গলায় বলল ইথান।
আমি মুখ একটু ঘুড়িয়ে নিয়ে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লাম। তারপর ওড়না দিয়ে ঝট করে চোখের জল মুছে নিলাম।

“বসে আছ কেনো? শুয়ে পরো।” বলতে বলতে ইথান নিজে আমাকে শুইয়ে দিলো।
আমি অবাক চোখে শুধু দেখতে লাগলাম।
ইথান আমার গায়ে চাদরটা টেনে দিয়ে ফ্রেস হতে চলে গেল।
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই নীল টি-শার্ট আর কালো ট্রাউজার পরে বের হয়ে এলো।
দিবাও তখন হট ব্যাগ নিয়ে ঢুকলো।
“এইযে এনেছি।” আমাকে বলল দিবা।
ইথান এগিয়ে গিয়ে দিবার হাত থেকে নিলো হটব্যাগটা।
“আমাকে ত আর লাগবে না মেবি। যাই আমি। গুডনাইট।” দিবা মিষ্টি হেসে বের হয়ে চলে গেল।
ইথান আমার পাশে এসে বসল।
আমি ওর দিকে তাকালাম। হঠাৎ উনি এত পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছেন দেখে আমিই অবাক হচ্ছি।
ইথান আমার গায়ের চাদরটা সরিয়ে আমার পেটের উপর হটব্যাগটা রাখল।
বুঝতে পারছি না। ছেলের হয়েছে টা কি?
মায়ের কথায় বিয়ে করেছে! এখন কি মায়ের কথায় বউয়ের সেবাও করবে?
নিজের কোনো মতামত নেই?
দুইদিন পর তার মা বলবে নাতিনাতনি লাগবে তখন?
আজব।
“আমি ডিনার এখানে আনার ব্যবস্থা করছি।” বলেই উঠে দাড়ালো ইথান।
সাথে সাথে আমি বলে উঠলাম, “আমি খাব না। খেলেই বমি হবে।”
“হবে না।” বলতে বলতে ইথান ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই এক প্লেট ভাত নিয়ে এলো।
চামচসহ প্লেট আমার সামনে ধরলো ইথান।
দুধভাত! এখন এই দুধভাত খাওয়া লাগবে!
“কি হলো? নেও।” বলল ইথান।
অনিচ্ছার সত্বেও নিলাম।
ইথান খাওয়ার জন্য ইশারা করল। আমি নাকমুখ কুচকে চামচে করে মুখে দিতে লাগলাম। আর ইথানের দিকে তাকালাম।
কিন্তু তার কোনো মায়া হলো না আমার উপর। সে জোর করে পুরোটাই খাওয়ালো আমাকে।
তারপর আমাকে আবার বিছানায় শুইয়ে দিয়ে প্লেট নিয়ে চলে গেল।
আমি আমার ফোনটা নিয়ে ফেইসবুকে ঢুকলাম।
সাথে সাথে মৃদুলের হাজারটা মেসেজের বন্যা বয়ে যেতে লাগল।
আমি মেসেজ সিন করতে না করতেই মৃদুল কল করে দিল।
আমি বিরক্তির সাথে ফোন তুলে হ্যালো বললাম।
আমাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে মৃদুল বকবক শুরু করল।
তার কথা গুলো হলো, সিনিয়রের মুখের উপর ফোন কেন কাটলাম, এতবার ফোন দিচ্ছে ধরিনি কেন, ব্লা ব্লা।
আমি মাঝপথে তাকে থামিয়ে দিয়ে কঠোর গলায় বলে উঠলাম, “দেখুন বিয়ে হয়ে গেছে আমার। দয়া করে যখন তখন কল দিবেন না।”
মৃদুল চুপ হয়ে গেল। মনে হয় বড়সড় শক পেয়েছে। আমি আর কথা না বাড়িয়ে ফোন কেটে দিলাম।
যাক বাবা, এটা আর জ্বালাবে না।
কিন্তু সাথে সাথে আবার ফোন করলো মৃদুল।
উফ কি অসহ্য!
সাথে সাথে ইথানও এসে রুমে ঢুকল।
ইথানের সামনে ফোন তুলতে বিব্রত বোধ করতে লাগলাম।
এদিকে ফোন বেজেই চলছে।
ইথান আমার দিকে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকালো।
আমি ফোনটা কেটে দিতেই যাচ্ছিলাম কিন্তু হঠাৎই মনে হলো একটা জিনিস পরীক্ষা করে দেখা দরকার।
গাড়িতে যেমন করেছিলেন সেটা কি মুড অফ এর জন্য নাকি জেলাসির জন্য!

আমি ফোন তুলে কানে দিলাম আর মুখের হাসি অনেক কষ্টে আটকে রেখে বললাম, “হ্যা শুনেন, আপনি পাঞ্জাবি পরবেন বলছিলেন না! পড়েন। আর আমি শাড়ি পরব। তারপর একসাথে অনুষ্ঠান পরিচালনা করব। আপনি যে শাড়ি বলেছেন ওটাই পরব।”
আমি আড় চোখে তাকিয়ে ইথানকে পর্যবেক্ষণ করে নিলাম। সে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
ওপাশ থেকে মৃদুলের শুধু একটাই প্রশ্ন, কবে বিয়ে করেছ।
সে ব্যস্ত হয়ে এটাই জিজ্ঞেস করছে কিন্তু আমার সে প্রশ্নের উওর দেওয়ার ইচ্ছে নেই।
“আমি খেয়েছি আপনি খেয়েছেন?” বললাম আমি।
“কে ফোন করছে?” প্রশ্ন করল ইথান।
আমি ইথানের দিকে তাকালাম। কিন্তু কিছু বলার আগেই সে এক টান দিয়ে আমার কান থেকে ফোনটা নিয়ে নিল ইথান।
তারপর রাগমিশ্রিত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, আবার এই ছেলে! কে এটা? আর তোমাকে কেন বার বার ফোন করে?
আমি অবুঝ হবার ভান করে বললাম, “কেন? উনি সিনিয়র আমার কলেজের। সামনে অনুষ্ঠান আছে সেটাতে আমি আর সে পরিচালনা করব..।”
“কোনো দরকার নেই।” আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলল ইথান।
আমি চোখে বড় বড় পলক ফেলে তাকাতে লাগলাম। সে প্রচুর রেগে গেছে।
কিন্তু তাতে আমার প্রচুর আনন্দ লাগছে।
ইথান আমার ফোন হাতে নিয়ে কি যেন করতে লাগল।
“কি করছেন আপনি?” অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম আমি।
“ব্লক।” উওর দিল ইথান।
আমি হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
সে সব জায়গা থেকে মৃদুলকে ব্লক দিয়ে ফোনটা ড্রয়ারে ঢুকিয়ে রাখল।
আমি চুপচাপ তার কান্ড দেখতে লাগলাম।
“ঘুমাও।” বলে ইথান লাইট অফ করে দিল।
আমি মিটমিটিয়ে হাসতে লাগলাম কারণ আমি সিওর যে এটা জেলাসি।

মাঝ রাতে ব্যথার জন্য ঘুম ভেঙে গেল। আমি আস্তে আস্তে উঠে বসলাম। ব্যথার কারণে কষ্ট হচ্ছে।
আমি পেটে হাত দিয়ে মাথা নুড়ে রাখলাম।
তখনি কাধে ইথানের হাতের স্পর্শে আমি একটু চমকে উঠলাম।
“আপনি ঘুমান নি?” আমি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম।
“তোমার জন্য শান্তিতে ঘুমানো যায়?” উঠে বসতে বসতে বলল ইথান।
আমি ঘুমাতে দিচ্ছি না! আশ্চর্য৷ শুনেই গা জ্বলে যাচ্ছে আমার।
আমি মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকালাম।
যদিও অন্যদিকে তাকিয়ে আছি তাও বুঝতে পারছি যে উনি আমার দিকেই তাকিয়ে আছে।
আমি কপাল কুচকে অন্যদিকেই তাকিয়ে রইলাম।
এদিকে ব্যাথাও হচ্ছে প্রচুর।
ইথান বিছানা থেকে নেমে আমার পাশে এসে দাড়ালো আর আমার গায়ে থাকা চাদরটা নিজের হাতে তুলে নিলো।
আমি প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকালাম।
“আসো।” বলেই ইথান আমার দিকে অন্য হাতটা বাড়িয়ে দিল।
উনি কি করতে চাচ্ছেন বুঝতে না পেরে ওনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।
ইথান নিজেই আমার হাত ধরে নামিয়ে নিল আর বেলকোনিতে নিয়ে এলো।
আমি শকে আছি বলতে গেলে।
উনি বেলকোনির চেয়ারের সামনে আমাকে দাড় করিয়ে নিজে বসে পরলেন।
আমি প্রশ্ন করে বসলাম “কি করতে চাচ্ছেন আপনি?”
উনি আমার প্রশ্নের উওর না দিয়ে নিজের কোলের উপর হাত দিয়ে ইশারা করে বললেন,”এখানে বসো।”
আমি চোখ ছানাবড়া করে বললাম, “মা..মাথা ঠিক আছে আপনার? এসব কি বলছেন আপনি?”
ইথান একটা বিরক্তির নিঃশ্বাস ফেলে আমার হাত ধরে টেনে নিজের কোলে বসিয়ে দিলো।
আমি থ মেরে ইথানের দিকে তাকালাম। এদিকে হার্ট বিট আবার বাড়তে শুরু করল। দুইপাশে পা দিয়ে ওনার কোলে এভাবে, একদম কাছে উনি আমাকে বসিয়ে দিয়েছেন। কেমন যে অনুভব হচ্ছে তা বুঝতে পারব না।
আমি ত চোখ নামিয়ে রেখেছি ত রেখেছি আর উঠাই নি।
উনি আমার গায়ে চাদরটা জড়িয়ে দিলেন।
যদিও আমি চোখ নামিয়ে রেখেছি তাও বুঝতে পারছি যে উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।
উনি কি করতে চাচ্ছেন সেটাই বুঝতে পারছি না আমি। সারারাত কি এভাবেই থাকতে হবে নাকি!
অনেক্ষন ইতস্তত করার পর মাথা নিচু করে রেখেই আমতা আমতা করে জিজ্ঞেস করলাম, “আ..আপনি.. এভাবে আ..আমাকে…?”
“ডাক্তার এভাবেই বসিয়ে রাখতে বলেছে তোমাকে। পেইন কমে যাবে।” আমার প্রশ্ন শেষ হবার আগেই বলে উঠল ইথান।
আমি চমকে ইথানের চোখের দিকে তাকালাম।
সে নির্বিকার ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে।
আমি চোখ সরিয়ে মনে মনে চিন্তা করতে লাগলাম, পেইন কমে যাবে! এভাবে থাকলে!
.
আসলে সত্যি সত্যিই পেইন অনেক কমে গেছে। আশ্চর্য ত!
ইথান চেয়ারের ব্যাকসাইডে নিজের মাথা হেলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে। হয়ত তার ঘুম আসছে।
আমি নেমে পরার জন্য চিন্তা করলাম। কারণ আমার জন্য ওনাকে এভাবে জাগিয়ে রাখা ঠিক হচ্ছে না।
কিন্তু আমি একটু নড়ার সাথে সাথে ইথান চোখ বন্ধ করা অবস্থাতেই বলে উঠল, “চুপচাপ বসে থাকো।”
আমি ভয়ে আর নড়লাম না।
কি আর করার!

আমি বসে বসে তাকে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলাম। সে এক সাইডে মুখ ফিরিয়ে শুয়ে আছে।
তার চুল, চোখ, ঠোঁট সবকিছুই কত সুন্দর।
কিন্তু সবচেয়ে যে জিনিসটা নজর কেড়ে নিচ্ছে সেটা হলো তার গলা থেকে কাধের অংশটা, যেটা কালো টি-শার্ট ফুটিয়ে তুলেছে।
ইচ্ছে করছে একটা কামড় বসিয়ে দিই।
মনের মধ্যের শয়তান এরিন বলছে, ‘হ্যা বসিয়ে দে।’
কিন্তু ভালো এরিন বলছে, ‘না, ভুলেও না। ছেলেটা কত নিস্পাপ। তুই এগুলো কি ভাবছিস!’
শয়তান এরিন বলল, ‘আরে রাখ তোর নিষ্পাপ! পৃথিবীর কোনো ছেলে নিষ্পাপ না। তুই কামড় বসা এরিন।’
ভালো এরিন বলল, ‘তুই শয়তানের কথায় কান দিস না এরিন। তুই ভালো মেয়ে।’
কিন্তু আমার ত শয়তানের কথাতেই কান দিতে ইচ্ছে করছে।
নিচের ঠোঁটটা কামড়ে ধরে তার গলার দিকে কিছু ক্ষণ তাকিয়ে তারপর কাছে এগিয়ে গেলাম।
ভালো এরিন রেলিং এর ফাঁক দিয়ে লাফ দিয়ে সুইসাইড করল। কারণ আমি সত্যি সত্যিই কামড় বসিয়ে দিলাম।
“আহ” বলে কপাল কুচকে ইথান চোখ খুলল।
তারপর এক হাত দিয়ে তার গলা স্পর্শ করে কপাল কুচকে অনেক অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো।
আমি যে তার ঘুমন্ত অবস্থার সুযোগ নিয়ে এমন কিছু করে দিব তা সে হয়তো ভাবতেও পারেনি।
আমি থতমত খেয়ে গেলাম। কারণ এটা ঘটিয়ে আমার হুশ হলো। তাই আমি লজ্জায় দ্রুত ইথানের কোল থেকে উঠে রুমে চলে এলাম।

(চলবে…)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে