ভালোবাসি বলেই ভালোবাসি বলিনা পর্ব-০৪

0
2656

গল্পর নাম : #ভালোবাসি_বলেই_ভালোবাসি_বলিনা
#পর্ব_৪ : #ফুলদানি
লেখিকা : #Lucky

আমি ইথানের পাশের সীটে বসলাম। আজ নিজের বাড়ি যাচ্ছি। বৌভাতের পরের দিন নাকি যেতে হয়।
ব্যাপারটা রোম্যান্টিক করার জন্য আমার শাশুড়ী আমাকে আর ইথানকে এক গাড়িতে দিয়েছেন আর ইথানের কয়েক জন কাজিনরা অন্য গাড়িতে যাচ্ছে। যদিও বা শাশুড়ী রোম্যান্টিক কিছু ভেবে আমাদের একসাথে দিয়েছে কিন্তু এখানে রোম্যান্স কম বোরনেছ বেশি।
অনেক সময় চুপ করে থেকে আমি বললাম, “আমার উপর আপনি ওই বিয়ের ঘটনার জন্য এখনো রেগে আছেন? মানে বখাটে বলে….”
ইথান আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাতেই আমি চুপ হয়ে গেলাম।
“না মানে আমাকে সহ্যই করতে পারেন না কেনো?” আমি হতাশ চোখে তাকিয়ে বললাম।
তখনি ইথানের ফোন বেজে উঠল। আমি বিরক্তির সাথে ফোনের দিকে তাকালাম। সীটের পাশেই ফোনটা রাখা ছিল। ময়ূরী নামের কেউ ফোন দিয়েছে।
এখন এই ময়ূরী টা কে!
ইথান ফোন তুলে হ্যালো বলল।
ওদিকের কথা ত কিছু শুনলাম না। ইথান বলল, “ওকে আমি এসে দেখা করব।”
আমি মুখ ঘুরিয়ে জালানার বাহিরে তাকিয়ে রইলাম।
“আজ না, আজ যাচ্ছি এক জায়গায়।” ইথান বলল।
আমার গা জ্বলে গেল। তাই আমি বলে উঠলাম, “এক জায়গায় যাচ্ছি মানে কি?”
ইথান আমার কথায় একপলক আমার দিকে তাকিয়ে ওই ময়ূরীকে বলল, “পরে কথা বলছি। বাই।”
ইথান ফোন রেখে আমার দিকে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকালো তারপর গাড়ি চালানোতে মনোযোগ দিল।
“কে এই মেয়ে? আর আপনি কেনো দেখা করবেন ওর সাথে?” চোখ পাকিয়ে বললাম আমি।
ইথান কোনো উওর দিল না।
আমি রেগে ওর বাহুর কাছের শার্টের হাতা ধরে টান দিলাম।
ইথান গাড়ির ব্রেক কষল আর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, কি শুরু করেছ?
“আপনি উওর কেন দেন না কোনো কথার?” আমার চোখে পানি চলে এলো।
রেগে গেলে আমার চোখে পানি চলে আসে। অসহ্যকর বিষয় এটা।
ইথান আমার চোখে পানি দেখে হতবাক হয়ে গেল।
“কাদছ কিসের জন্য?” বলল ইথান।
আমি চোখ মুছে নিয়ে বললাম,”খারাপ আপনি।”
বলেই আমি মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকালাম।
ইথান কয়েক সেকেন্ড হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে তারপর গাড়ি স্টার্ট দিলো।
আমি সারারাস্তায় আর কোনো কথাই বললাম না। ওর দিকে তাকালামও না।
|
বাড়িতে লোকজনে ভরে আছে। সবাই ইথানকে নিয়ে ব্যস্ত। আমার কোনো পাত্তাই নেই!
রাতে আমাদের দুইজনকে এক রুমে ঢুকিয়ে দিয়ে কাজিনরা মিটমিটিয়ে হাসতে হাসতে চলে গেল। এরা ত কত কিছু ভেবে বসে আছে।
আমি একটা নিঃশ্বাস ফেলে বিছানায় গিয়ে বসলাম। ইথান নিজের ফোনটা রেখে ওয়াসরুমে গেল।
জানিনা কেনো কিন্তু ওনার ফোন চেক করতে ইচ্ছে করছে আমার।
কত গুলো মেয়ের সাথে কথা বলে আমারো ত জানা দরকার।
আমি ইথানের ফোনটা হাতে নিলাম আর বাথরুমের দিকে তাকালাম।
ইথান বের হবার আগে চেক করতে হবে।
আমি ফোন ত হাতে নিলাম কিন্তু পাসওয়ার্ড দেওয়া। এখন!
আমি কয়েকটা পাসওয়ার্ড লিখলাম কিন্তু একটাও কাজ করল না।
“334259 পাসওয়ার্ড।” ইথান পিছন থেকে বলল।
আমি অনেক বেশিই চমকে উঠলাম আর ইথানের দিকে তাকালাম।
চোর ধরা পরলে যে অবস্থা হয় সেটাই হয়েছে।
আমার মুখ থেকে কোনো বাহানা বের হলো না। এভাবে ধরা পরবো বুঝিনি।
সে তার মত হাত মুখ তোয়ালে দিয়ে মুছতে ব্যস্ত। ইথানের চোখে চোখ পরতেই চোখ সরিয়ে নিলাম।
আমি একটু হাসার চেষ্টা করে বললাম, “ন..না আমি ত মনে করেছিলাম ফো..ফোনটা আমার। আসলে আমারটার মতই।”
বলেই তাড়াতাড়ি ফোনটা রেখে গায়ে কম্বল টেনে নিয়ে শুয়ে পরলাম। যদিও শীতের শেষ তাও অল্প অল্প ঠান্ডা আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো একটা কম্বল দিয়ে গেছে।
এগুলা যে আমার কাজিনদের কাজ তা বুঝতে আর বাকি রইল না।
ইথান আমার পাশে এসে শুয়ে পরল।
ওর ত অবশ্যই শীত করবে। আমি কি শেয়ার করব!
কিন্তু শেয়ার করার কথা বলতে গেলে যদি উল্টো কথা শুনিয়ে দেয়?
যাই হোক, লাগুক ঠান্ডা, আমার কি?
ময়ূরীকে গিয়ে বলুক কম্বল এনে দিতে। হুহ।
আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পরলাম।

সকালে উঠে আমি সবচেয়ে বেশি চমকে গেলাম। ইথান আমার দিকে ঘুরে আমার সাথে এক কম্বলে শুয়ে আছে। এত কাছাকাছি আছি সেটা বিশ্বাসই হচ্ছে না। এদিকে আমার হার্ট বেচারার আবার সেই একই অবস্থা।
আমি উঠে পরার জন্য চিন্তা ত করলাম, কিন্তু শয়তান মন বলছে শুয়েই থাকতে। তাই শুয়েই রইলাম।
হঠাৎই একটা সেলফি তোলার ইচ্ছে হলো। এই ইচ্ছেটা পূরণ না করলেই নয়। আমি কোন শব্দ না করে পাশ ফিরে নিজের ফোনটা নিলাম। তারপর ইথানের দিকে ঘুরলাম আর ক্যামেরা অন করে আমাদের দুইজনের ছবি তুলে নিলাম।
কয়েকটা তুললাম। তারপর ছবি গুলো দেখতে লাগলাম।
কি সুন্দর আসছে ছবিগুলো! দেখে নিজেই ফিদা হয়ে গেলাম।
“what?!” ইথান ভ্রুকুচকে তাকিয়ে বলল।
আমি চমকে উঠলাম আর হাত থেকে ফোনটা ফসকে গেলো।
ইথান আমার ফোনের দিকে তাকালো। আমি সাথে সাথে ফোনটা হাতের মুঠোয় নিয়ে হুমড়ি খেয়ে বিছানা থেকে নেমে গেলাম।
ইথান প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকালো।
“ক…কিছু না।” বলেই আমি রুম থেকে বের হয়ে গেলাম।
গাধার মতো সবকিছুতেই ধরা পরে যাচ্ছি।
মাত্রই উঠেছে হয়তো। নাকি জেগেই ছিলো!
তার চেয়েও বড় কথা হাত থেকে ফোনটা ফসকে গেলো তখন কি ছবিটা দেখে ফেলেছে?
উফ! কি অসহ্য!
হঠাৎই রুমের মধ্যে কিছু একটা ভাঙার আওয়াজ এলো। আমি দৌড়ে আবার ফিরে এলাম।
আমার প্রিয় ফুলদানিটা ভেঙে পরে আছে। আমি হা হয়ে ভাঙা ফুলদানির দিকে তাকিয়ে রইলাম।
ইথান আমার দিকে তাকিয়ে একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল, “সরি। খেয়াল করিনি এটা এখানে ছিল।”
ততক্ষণে মাও এসে রুমে ঢুকল।
“কি হয়েছে বাবা?” মা একটু ঘাবড়ে গেছে।
“রিল্যাক্স আন্টি কিছু হয়নি। আমি খেয়াল করিনি, ভুল করে ভেঙে ফেলেছি এটা।” ইথান ফুলদানির দিকে তাকিয়ে বলল।
আমি বুঝিনা ওনার আমার ফুলদানির সাথে কিসের শত্রুতা! ছোটো বেলায়ও ত একটা ভেঙে দিয়ে গেছিল।
আমার মা হেসে বলে উঠল, “কোনো ব্যপার না। ভাঙতেই পারে। এটা আমি পরিষ্কার করে ফেলছি।”
মায়ের কথা শুনে আমি হা হয়ে গেলাম।
“আমিই করতে পারব।” বলল ইথান।
“না না।” সাথে সাথে বলল মা।
“কারো করা লাগবে না। আমার ফুলদানি আমি বুঝে নিব।” সরু চোখে তাকিয়ে বললাম আমি।
“আচ্ছা কর। নতুন কিনে দিব রাগ করিস না।” একটু সান্ত্বনার সুরে বলল মা।
“তুমি নাস্তা করে নেও আসো। তুইও আয় এরিন।” বলে মা চলে গেল।
আমি বসে ফুলদানির টুকরো গুলো তুলতে লাগলাম। ইথানও আমার সাথে ভাঙা টুকরো গুলো তুলতে লাগল।
আমি ভালমন্দ কিছুই বললাম না।
“আবার আমার ঘড়ি ভেঙো না।” সরু চোখে বলল ইথান।
আমি অবাক হয়ে ইথানের দিকে তাকালাম। ওনার মনে আছে?
ইথান টুকরো গুলো একপাশে একত্রে রেখে ফ্রেশ হতে চলে গেল।
|
|
সন্ধ্যার সময় নিজের রুমে নতুন ফুলদানি দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। আগেরটার চেয়েও সুন্দর এটা। কিন্তু এটা কে আনলো? মা?
ফুলদানিটায় সাদা আর হালকা গোলাপী রং এর কাজ।
আমি খুশিতে মাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
কিন্তু মা বলল এটা নাকি সে কিনে আনে নি।
আমি অবাক হয়ে গেলাম, “তাহলে…?”
“তাহলে আর কে বুঝিস না তুই!” মুচকি হেসে বলল আমার কাজিন নিরা।
আমার মাও মুচকি মুচকি হাসতে লাগল।
সব কাজিনদের মুখের ভাব ভঙ্গি দেখে বুঝলাম ওরা ইথানের বিষয়ে বুঝতে চাচ্ছে।
ভেবেই আমি নিজেই হতবুদ্ধি হয়ে গেলাম। সে দেবে?
যদিও মনে মনে খুবই খুশি লাগছে।
“ছাদে আছে, যা।” বলল এলমা।
আমি নিজের মুখের হাসিটা সরিয়ে দিয়ে এদিকে ওদিকে তাকাতে লাগলাম।
সবাই হাসতে লাগল।
আমি আর দাড়ালাম না সোজা ছাদে উঠে এলাম।
ইথান ছাদে থাকা এক বেঞ্চে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি গুটি গুটি পায়ে ওর পাশে গিয়ে বসলাম। যদিও একটু দূরত্ব রেখেই বসলাম।
ইথান আমার দিকে তাকালো তারপর আবার আকাশের দিকে তাকালো। এই নিস্তব্ধতার ভিতরে চাঁদের আলোয় ওর মুখটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
আর নিস্তব্ধতা ভেঙে আমার একটা কথাই বলতে ইচ্ছে হলো। সেটা হলো “ভালোবাসি।”
যদিও এই কথাটা বলা অনেক কঠিন। আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কথা এটাই।
তাই “আমি আপনাকে ভালোবাসি” এই কথাটা বলার বদলে আমি বললাম, “আজকের চাঁদটা অনেক সুন্দর, তাই না?”
কারণ কিছু কথা বলার সাহস সবসময় হয়ে ওঠে না। হয়তো বা লজ্জার কারণে, কিংবা ভয়ের কারণে।
আমি মুখ ফিরিয়ে ইথানের দিকে তাকালাম।
সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তবে কপাল কুচকে।
আমি চিন্তায় পরে চোখ সরিয়ে অন্যদিকে তাকালাম।
‘উনি কি জানে যে জাপানিজ নোভেলে চাঁদকে সুন্দর বলা মানে, I love you?’
আমি আড় চোখে ইথানের দিকে তাকালাম। সে এখন চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে।
তবে এখন তার মুখে একটু হাসির আভা আছে।
এর কি মানে? আমি নিজেকে নিজে প্রশ্ন করলাম।
হার্ট আবার দ্রুত গতিতে ছুটছে। ওর পাশে বসা থেকেই শুরু হয়েছে।
ইচ্ছে করছে এই হার্ট নামক জিনিসটা বের করে ছুড়ে বাহিরে ফেলে দিই।
উঠে চলে যাবো! কিন্তু কোনো এক অজানা কারনে তাও পারছি না।
আমি দোটানায় পরে গেলাম।
“Did you get the vase?” বলল ইথান।
আমি অপ্রস্তুত হয়ে ওর দিকে তাকালাম।
সে গম্ভীর মুখে তাকিয়ে আছে।
আমি দ্রুত হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লাম।
ইথান আবার সামনের দিকে তাকালো।
মনটা অনেক ভাল লাগছে এখন। কারণ ইথান স্বাভাবিক ভাবে আমার সাথে কথা বলছে।
ইথান বেঞ্চ থেকে উঠে ছাদের প্রান্ত ভাগের সামনে গিয়ে দাড়ালো। তাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে তার মন অনেক ভালো আছে৷ কিন্তু কেনো?
আমি উঠে ওর পাশে গিয়ে দাড়ালাম। কিন্তু আমার হাইট ফোবিয়া আছে। তার একটু ঘাবড়ে গেলাম।
ইথান হালকা পিছিয়ে এসে দাঁড়ালো।
আমি একটু অবাক হলাম।
অল্প অল্প বাতাস বইছে। এরমধ্যে দুইজন একসাথে দাড়িয়ে থাকতে বেশ ভালো লাগছে।
আমি ফাকে ফাকে ইথানের দিকে তাকাচ্ছি।
হঠাৎই কি মনে হলো আমি ইথানের গালে একটা কিস বসিয়ে দিলাম।
ইথান অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো।
কাজটা করে আমি নিজেই অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। তাই দ্রুত ছাদ থেকে নেমে এলাম।
আজ মায়ের রুমে ঘুমালাম। মা ত প্রথমে রাজিই হয়নি। কিন্তু আমিও নাছোড়বান্দা।
তবে রাতে হয়ে গেল আরেক কান্ড।
রাতে পানি খাবার জন্য উঠলাম। ঘুম ঘুম চোখে ডায়নিং থেকে পানি খেয়ে আমি ভুল করে নিজের রুমে ঘুমোতে চলে গেলাম।
রুমে ঢুকেই বিছানায় শুয়ে পরলাম। আর ইথানকে কোলবালিশ মনে করে জড়িয়ে ধরলাম।
কয়েক সেকেন্ডের মাথায় মনে হলো এটা কোনো কোলবালিশ না তাই হাত দিয়ে হাতর। ঘুম ঘুম চোখ মেলে তাকালাম।
ইথান অবাক হয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি ভুত দেখার মত চমকে পিছিয়ে গেলাম আর খাট থেকে পরে গেলাম।
কোমড়ে আর মাথায় ভালই ব্যথা পেলাম।
ব্যথায় বলে উঠলাম, ওহ রে, আমার কোমড় শেষ হয়ে গেল রে।
“চিল্লাচ্ছ কেনো!” নীচু আওয়াজে বলল ইথান।
আমি আস্তে আস্তে উঠে দাড়ালাম।
কোমড়ে সত্যিই ব্যথা পেয়েছি ভালই।
ইথান এত সময় বিছানায় চুপচাপ বসে আমার দিকে কপাল কুচকে তাকিয়ে ছিল। আমি দাঁড়ানোর পর সে নিজের মত গায়ে চাদর টেনে নিয়ে শুয়ে পরল।
দেখেই আমার মাথা গরম হয়ে গেল।
এই ধরনের স্বামী দিয়ে আমার কি লাভ? বউয়ের কষ্ট দেখতে পায় না।
আমি কোমড়ে এক হাত রেখে ড্রেসিং টেবিলের কাছে এগিয়ে গেলাম। আর নিঃশব্দে ড্রয়ার খুললাম। এখানেই কোথাও মুভ রাখা ছিল। উপরের ড্রয়ার দুটো ত খুজলাম কিন্তু নিচের দিকের গুলো খুজতে গেলে ঝুকতে হবে। কোমড় ব্যথা নিয়ে কিভাবে ঝুকবো?
“কি খুঁজছ?”
আমি একটু চমকে উঠলাম হঠাৎ পিছন থেকে ইথানের গলা শুনে। আমি ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালাম।
সে আমার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে।
“কি!” ইথান প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল।
“মুভ।” আমি ইশারায় ড্রয়ার দেখিয়ে দিলাম।
ইথান ড্রয়ার খুজে মুভ ক্রিম বের করে আমার হাতে দিলো।
আমি ইথানকে জ্বালানোর জন্য বললাম,”খুলে দিন।”
ইথান তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো তারপর আমার হাত থেকে নিয়ে খুলে দিল।
আমি এবার বললাম, “বের করে দিন।”
আমি অনেক কষ্টে হাসি আটকে রাখলাম।
ইথান ভ্রুকুচকে আমার দিকে তাকালো। সে হয়তো বুঝতে পারছে যে আমি ইচ্ছে করেই এমন করছি।
মুখ দিয়ে একটা নিঃশ্বাস বের করে দিয়ে ইথান নিজের আঙুলে লাগিয়ে নিল। তারপর আমার কোমড়ের কাছ থেকে জামা সরিয়ে ওর আঙুল স্পর্শ করিয়ে দিলো।
আমি সাথে সাথে চমকে সরে যেতে চাইলাম। কিন্তু ইথান আমার হাত ধরে টান দিয়ে আবার ওর সামনে দাড় করিয়ে দিল।
আমি অপ্রস্তুত হয়ে বললাম,”কি করছেন! ছাড়ুন।”
ইথান আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে সিক্ত গলায় বলল, “কেনো? এখন ছাড়তে বলছ কেনো!”
আমার সারা শরীরে এক অদ্ভুত শিহরণ বয়ে গেল।

(চলবে…)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে